
প্রশ্ন: হঠাৎ বিশ্বকাপের দেড় মাস আগে ভেন্যু পরিবর্তন হয়ে গেল, এখন টুর্নামেন্ট হবে আরব আমিরাতে। নিজেদের মাঠে বড় টুর্নামেন্ট খেলার সুযোগটা হাতছাড়া হলো, কতটা আফসোস লাগছে?
নিগার সুলতানা জ্যোতি: সত্যি বলতে, খুবই খারাপ লাগছে। বাংলাদেশে বিশ্বকাপ হবে, এটা জানার পর থেকে মনের মধ্যে অন্য রকম একটা ভালো লাগা কাজ করছিল। দেশের মাঠে আমাদের পরিবার থাকবে। ওদের সামনে খেলা, বিশ্বকাপ বড় একটা মঞ্চ। এসব আর এখন ভাবার বিষয় নয়, পেশাদার ক্রিকেটার হিসেবে আমাদের মাঠে লক্ষ্য ঠিক রেখে খেলতে হবে। ভেন্যু পরিবর্তনের বিষয় নিয়ে পড়ে থাকার সুযোগ নেই। তবে আফসোস লাগছে—বাংলাদেশের হয়ে দেশের মাঠে বিশ্বকাপের ম্যাচ খেলতে পারব না। সুযোগটা হাতছাড়া হলো।
প্রশ্ন: হোমে এক রকম কন্ডিশন, আরব আমিরাতে আরেক কন্ডিশনে খেলতে হবে। এটা কি চ্যালেঞ্জ বাড়িয়ে দিল আপনাদের?
জ্যোতি: আমার স্কিলে তেমন কোনো পরিবর্তন হবে না বলে মনে হচ্ছে। তবে বাংলাদেশে বিশ্বকাপ মানে চেনা মাঠে উইকেট কেমন হবে, আমরা আগেই জানতে পারতাম। এখন হয়তো সুযোগটা থাকবে না। আমাদের ভাবনায় পরিবর্তন এনে আরব আমিরাতে খেলতে হবে।
প্রশ্ন: বিশ্বকাপ নিয়ে এখন আপনাদের প্রস্তুতি কোন পর্যায়ে আছে?
জ্যোতি: বিশ্বকাপের প্রস্তুতি—আমি বলব, এখন যতটুকু নিতে পেরেছি, এর চেয়েও ভালো হতে পারত। দেশের যে পরিস্থিতি ছিল, সে জন্য আমরা প্রত্যাশা অনুযায়ী বিশ্বকাপের প্রস্তুতি নিতে পারিনি। বিশ্বকাপের আগে আমাদের সঙ্গে বিদেশি কয়েকটি দল খেলতে চেয়েছিল। সেগুলো আর হলো না। এশিয়া কাপে আমরা কয়েকটি ম্যাচ খেলেছি। বিশ্বকাপে যাওয়ার আগে হয়তো আমরা আরও কিছু ম্যাচ খেলব। হয়তো আন্তর্জাতিক ম্যাচ পাব না। তবে যা-ই পাব, যেভাবে সুযোগ পাব, ভালোভাবে যেন প্রস্তুত হওয়া যায়, সেদিকে লক্ষ রাখব।
প্রশ্ন: হোমে বিশ্বকাপ খেলার ক্ষেত্রে বড় কিছু করার যে স্বপ্ন ছিল, সেটি কি এখন আরব আমিরাতেও থাকবে?
জ্যোতি: (হাসি) ভেন্যু পরিবর্তন হয়েছে, তবে স্বপ্ন তো পরিবর্তন হয়নি। বিশ্বকাপে ভালো খেলার যে প্রত্যাশা ছিল, সেটা এখনো আছে। ভেন্যু পরিবর্তন হওয়ায় এই স্বপ্ন বাস্তবায়নে কোনো বাধা হবে না। চেষ্টা থাকবে স্বপ্নের দিকে ছুটে চলার। চারটা বিশ্বকাপে বাংলাদেশ একেবারে শূন্য হাতে ফিরেছে। একটা ম্যাচও জিততে পারিনি। এবার লক্ষ্য থাকবে যেন আমরা একাধিক ম্যাচ জিততে পারি। দল হিসেবে যদি পরিকল্পনা করে খেলতে পারি, আমাদের প্রত্যাশা মেটানো সম্ভব হবে মনে করি।
প্রশ্ন: আরব আমিরাতে আপনাদের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ কী হতে পারে বলে মনে করছেন?
জ্যোতি: আবহাওয়া অনেক বেশি গরম ও শুষ্ক। আর্দ্রতা বেশি থাকবে। এটা শুরুতে হয়তো একটু কষ্ট দিতে পারে। তবে এমন পরিস্থিতিও আমাদের খুব বেশি ভোগাবে না। ধীরে ধীরে ঠিক হয়ে যায়। বাংলাদেশে অনেক গরম ছিল, এই বছর আমরা এমন পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারব। শ্রীলঙ্কায় যখন আমরা খেলেছি, সেখানেও গরম ছিল। আমরা এই কন্ডিশনে অভ্যস্ত। বিশ্বকাপ স্কোয়াডে যারা থাকবে, তাদের কাছে এসব পরিস্থিতি বড় কোনো ইস্যু হবে না। তারা মানিয়ে নিয়ে খেলতে পারবে। খুব বড় চ্যালেঞ্জ হবে না।
প্রশ্ন: আপনি বাদে টপ অর্ডার থেকে শুরু করে বেশির ভাগ ব্যাটারের ব্যাটে রানে নেই। এশিয়া কাপে ফাইনাল না খেলার পেছনে হতশ্রী ব্যাটিং দায়ী। বিশ্বকাপের আগে এটা কতটা ভাবাচ্ছে?
জ্যোতি: সব সময় ব্যাটিংটা নিয়ে সমস্যায় পড়ি। বলতে পারেন, টপ অর্ডারে রান হচ্ছে না। ধারাবাহিক না। যেন ধারাবাহিক হতে পারে, ব্যাটারদের সেটির প্রতি মনোযোগ বাড়ানো দরকার। যে ক্রিকেটার ১০-১৫ বা ২০টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলে ফেলেছে, নিজেদের নিয়ে তাদের নতুন করে ভাবার সুযোগ নেই। টিম ম্যানেজমেন্টকে অজুহাত দেওয়ার সুযোগ থাকবে না। টিম ম্যানেজমেন্টও এসব শুনবে না। ব্যক্তিগত তাগিদ থেকে নিজেদের সেরাটা বের করে আনতে হবে। কোনো সংশয় নেই, আমাদের বেশির ভাগ ক্রিকেটার স্কিলফুল। আমাদের মধ্যে অনেক সম্ভাবনা আছে। সেটা এখন পারফরম্যান্সে পরিণত করতে হবে। এখন যে জাতীয় ক্রিকেট লিগ (এনসিএল) হবে, সেটিও টি-টোয়েন্টি সংস্করণে। যেসব ক্রিকেটার জানে, আমরা বিশ্বকাপে খেলব, তাদের আরও উন্নতি করে বিশ্বকাপের জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে। সবাইকে স্বাধীনতা দেওয়া হচ্ছে। আশা করি, তারা বিশ্বকাপে এবার আরও ভালো ক্রিকেট খেলবে। আমিও চেষ্টা করব, যেন আরও বেশি রান করতে পারি। দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে পারি।
প্রশ্ন: কোচ হাশান তিলকারত্নের কোচিং কেমন উপভোগ করছেন?
জ্যোতি: তাঁর কোচিং উপভোগের বিষয়ে এখনই কিছু বলতে চাইছি না।
প্রশ্ন: বাংলাদেশ দলে এখন বেশ কয়েকজন ভালো মানের পেসার যোগ হয়েছে। আগে বাংলাদেশ স্পিননির্ভর দল ছিল, বিশ্বকাপে এবার বোলিং বিভাগ নিয়ে কতটা আশাবাদী?
জ্যোতি: দেখুন, আমাদের দলে পেসার হিসেবে মারুফাকেই দেখছি, দলে সম্প্রতি জাহানারা আপুকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এর আগে তৃষ্ণা-দিশা ছিল। যদিও আমরা সেভাবে দিশার কাছ থেকে সার্ভিস পাইনি। সম্প্রতি দেশের মাঠে আমাদের খেলা বেশি ছিল; তাই আমরা স্পিনে শক্তি বাড়িয়ে খেলেছি। কিন্তু এবার বিশ্বকাপ আরব আমিরাতে। সেখানকার উইকেটও ভিন্ন থাকবে। আইসিসি ইভেন্টে স্পোর্টিং উইকেট হয়। যারা জোরের ওপর কিংবা ভালো জায়গায় বল করতে পারে, তাদের উইকেট পাওয়ার সুযোগ বেশি থাকবে। আমাদের দলে রিস্ট স্পিনার আছে, অফ স্পিনার আছে। বিশ্বকাপের মতো বড় আসরে শুধু স্পিন কিংবা পেসনির্ভর হলে সাফল্য পাওয়া কঠিন হবে। বিশ্বকাপের মতো মঞ্চে নির্দিষ্ট একটা বিভাগের ওপর নির্ভর করা কঠিন। প্রতিটি বিভাগে শক্তি বাড়াতে হয়। ব্যাটিং-বোলিং-ফিল্ডিংয়ে সম্মিলিতভাবে ভালো করতে পারলেই ভালো ফল পাওয়া সম্ভব।
প্রশ্ন: হঠাৎ বিশ্বকাপের দেড় মাস আগে ভেন্যু পরিবর্তন হয়ে গেল, এখন টুর্নামেন্ট হবে আরব আমিরাতে। নিজেদের মাঠে বড় টুর্নামেন্ট খেলার সুযোগটা হাতছাড়া হলো, কতটা আফসোস লাগছে?
নিগার সুলতানা জ্যোতি: সত্যি বলতে, খুবই খারাপ লাগছে। বাংলাদেশে বিশ্বকাপ হবে, এটা জানার পর থেকে মনের মধ্যে অন্য রকম একটা ভালো লাগা কাজ করছিল। দেশের মাঠে আমাদের পরিবার থাকবে। ওদের সামনে খেলা, বিশ্বকাপ বড় একটা মঞ্চ। এসব আর এখন ভাবার বিষয় নয়, পেশাদার ক্রিকেটার হিসেবে আমাদের মাঠে লক্ষ্য ঠিক রেখে খেলতে হবে। ভেন্যু পরিবর্তনের বিষয় নিয়ে পড়ে থাকার সুযোগ নেই। তবে আফসোস লাগছে—বাংলাদেশের হয়ে দেশের মাঠে বিশ্বকাপের ম্যাচ খেলতে পারব না। সুযোগটা হাতছাড়া হলো।
প্রশ্ন: হোমে এক রকম কন্ডিশন, আরব আমিরাতে আরেক কন্ডিশনে খেলতে হবে। এটা কি চ্যালেঞ্জ বাড়িয়ে দিল আপনাদের?
জ্যোতি: আমার স্কিলে তেমন কোনো পরিবর্তন হবে না বলে মনে হচ্ছে। তবে বাংলাদেশে বিশ্বকাপ মানে চেনা মাঠে উইকেট কেমন হবে, আমরা আগেই জানতে পারতাম। এখন হয়তো সুযোগটা থাকবে না। আমাদের ভাবনায় পরিবর্তন এনে আরব আমিরাতে খেলতে হবে।
প্রশ্ন: বিশ্বকাপ নিয়ে এখন আপনাদের প্রস্তুতি কোন পর্যায়ে আছে?
জ্যোতি: বিশ্বকাপের প্রস্তুতি—আমি বলব, এখন যতটুকু নিতে পেরেছি, এর চেয়েও ভালো হতে পারত। দেশের যে পরিস্থিতি ছিল, সে জন্য আমরা প্রত্যাশা অনুযায়ী বিশ্বকাপের প্রস্তুতি নিতে পারিনি। বিশ্বকাপের আগে আমাদের সঙ্গে বিদেশি কয়েকটি দল খেলতে চেয়েছিল। সেগুলো আর হলো না। এশিয়া কাপে আমরা কয়েকটি ম্যাচ খেলেছি। বিশ্বকাপে যাওয়ার আগে হয়তো আমরা আরও কিছু ম্যাচ খেলব। হয়তো আন্তর্জাতিক ম্যাচ পাব না। তবে যা-ই পাব, যেভাবে সুযোগ পাব, ভালোভাবে যেন প্রস্তুত হওয়া যায়, সেদিকে লক্ষ রাখব।
প্রশ্ন: হোমে বিশ্বকাপ খেলার ক্ষেত্রে বড় কিছু করার যে স্বপ্ন ছিল, সেটি কি এখন আরব আমিরাতেও থাকবে?
জ্যোতি: (হাসি) ভেন্যু পরিবর্তন হয়েছে, তবে স্বপ্ন তো পরিবর্তন হয়নি। বিশ্বকাপে ভালো খেলার যে প্রত্যাশা ছিল, সেটা এখনো আছে। ভেন্যু পরিবর্তন হওয়ায় এই স্বপ্ন বাস্তবায়নে কোনো বাধা হবে না। চেষ্টা থাকবে স্বপ্নের দিকে ছুটে চলার। চারটা বিশ্বকাপে বাংলাদেশ একেবারে শূন্য হাতে ফিরেছে। একটা ম্যাচও জিততে পারিনি। এবার লক্ষ্য থাকবে যেন আমরা একাধিক ম্যাচ জিততে পারি। দল হিসেবে যদি পরিকল্পনা করে খেলতে পারি, আমাদের প্রত্যাশা মেটানো সম্ভব হবে মনে করি।
প্রশ্ন: আরব আমিরাতে আপনাদের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ কী হতে পারে বলে মনে করছেন?
জ্যোতি: আবহাওয়া অনেক বেশি গরম ও শুষ্ক। আর্দ্রতা বেশি থাকবে। এটা শুরুতে হয়তো একটু কষ্ট দিতে পারে। তবে এমন পরিস্থিতিও আমাদের খুব বেশি ভোগাবে না। ধীরে ধীরে ঠিক হয়ে যায়। বাংলাদেশে অনেক গরম ছিল, এই বছর আমরা এমন পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারব। শ্রীলঙ্কায় যখন আমরা খেলেছি, সেখানেও গরম ছিল। আমরা এই কন্ডিশনে অভ্যস্ত। বিশ্বকাপ স্কোয়াডে যারা থাকবে, তাদের কাছে এসব পরিস্থিতি বড় কোনো ইস্যু হবে না। তারা মানিয়ে নিয়ে খেলতে পারবে। খুব বড় চ্যালেঞ্জ হবে না।
প্রশ্ন: আপনি বাদে টপ অর্ডার থেকে শুরু করে বেশির ভাগ ব্যাটারের ব্যাটে রানে নেই। এশিয়া কাপে ফাইনাল না খেলার পেছনে হতশ্রী ব্যাটিং দায়ী। বিশ্বকাপের আগে এটা কতটা ভাবাচ্ছে?
জ্যোতি: সব সময় ব্যাটিংটা নিয়ে সমস্যায় পড়ি। বলতে পারেন, টপ অর্ডারে রান হচ্ছে না। ধারাবাহিক না। যেন ধারাবাহিক হতে পারে, ব্যাটারদের সেটির প্রতি মনোযোগ বাড়ানো দরকার। যে ক্রিকেটার ১০-১৫ বা ২০টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলে ফেলেছে, নিজেদের নিয়ে তাদের নতুন করে ভাবার সুযোগ নেই। টিম ম্যানেজমেন্টকে অজুহাত দেওয়ার সুযোগ থাকবে না। টিম ম্যানেজমেন্টও এসব শুনবে না। ব্যক্তিগত তাগিদ থেকে নিজেদের সেরাটা বের করে আনতে হবে। কোনো সংশয় নেই, আমাদের বেশির ভাগ ক্রিকেটার স্কিলফুল। আমাদের মধ্যে অনেক সম্ভাবনা আছে। সেটা এখন পারফরম্যান্সে পরিণত করতে হবে। এখন যে জাতীয় ক্রিকেট লিগ (এনসিএল) হবে, সেটিও টি-টোয়েন্টি সংস্করণে। যেসব ক্রিকেটার জানে, আমরা বিশ্বকাপে খেলব, তাদের আরও উন্নতি করে বিশ্বকাপের জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে। সবাইকে স্বাধীনতা দেওয়া হচ্ছে। আশা করি, তারা বিশ্বকাপে এবার আরও ভালো ক্রিকেট খেলবে। আমিও চেষ্টা করব, যেন আরও বেশি রান করতে পারি। দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে পারি।
প্রশ্ন: কোচ হাশান তিলকারত্নের কোচিং কেমন উপভোগ করছেন?
জ্যোতি: তাঁর কোচিং উপভোগের বিষয়ে এখনই কিছু বলতে চাইছি না।
প্রশ্ন: বাংলাদেশ দলে এখন বেশ কয়েকজন ভালো মানের পেসার যোগ হয়েছে। আগে বাংলাদেশ স্পিননির্ভর দল ছিল, বিশ্বকাপে এবার বোলিং বিভাগ নিয়ে কতটা আশাবাদী?
জ্যোতি: দেখুন, আমাদের দলে পেসার হিসেবে মারুফাকেই দেখছি, দলে সম্প্রতি জাহানারা আপুকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এর আগে তৃষ্ণা-দিশা ছিল। যদিও আমরা সেভাবে দিশার কাছ থেকে সার্ভিস পাইনি। সম্প্রতি দেশের মাঠে আমাদের খেলা বেশি ছিল; তাই আমরা স্পিনে শক্তি বাড়িয়ে খেলেছি। কিন্তু এবার বিশ্বকাপ আরব আমিরাতে। সেখানকার উইকেটও ভিন্ন থাকবে। আইসিসি ইভেন্টে স্পোর্টিং উইকেট হয়। যারা জোরের ওপর কিংবা ভালো জায়গায় বল করতে পারে, তাদের উইকেট পাওয়ার সুযোগ বেশি থাকবে। আমাদের দলে রিস্ট স্পিনার আছে, অফ স্পিনার আছে। বিশ্বকাপের মতো বড় আসরে শুধু স্পিন কিংবা পেসনির্ভর হলে সাফল্য পাওয়া কঠিন হবে। বিশ্বকাপের মতো মঞ্চে নির্দিষ্ট একটা বিভাগের ওপর নির্ভর করা কঠিন। প্রতিটি বিভাগে শক্তি বাড়াতে হয়। ব্যাটিং-বোলিং-ফিল্ডিংয়ে সম্মিলিতভাবে ভালো করতে পারলেই ভালো ফল পাওয়া সম্ভব।

প্রশ্ন: হঠাৎ বিশ্বকাপের দেড় মাস আগে ভেন্যু পরিবর্তন হয়ে গেল, এখন টুর্নামেন্ট হবে আরব আমিরাতে। নিজেদের মাঠে বড় টুর্নামেন্ট খেলার সুযোগটা হাতছাড়া হলো, কতটা আফসোস লাগছে?
নিগার সুলতানা জ্যোতি: সত্যি বলতে, খুবই খারাপ লাগছে। বাংলাদেশে বিশ্বকাপ হবে, এটা জানার পর থেকে মনের মধ্যে অন্য রকম একটা ভালো লাগা কাজ করছিল। দেশের মাঠে আমাদের পরিবার থাকবে। ওদের সামনে খেলা, বিশ্বকাপ বড় একটা মঞ্চ। এসব আর এখন ভাবার বিষয় নয়, পেশাদার ক্রিকেটার হিসেবে আমাদের মাঠে লক্ষ্য ঠিক রেখে খেলতে হবে। ভেন্যু পরিবর্তনের বিষয় নিয়ে পড়ে থাকার সুযোগ নেই। তবে আফসোস লাগছে—বাংলাদেশের হয়ে দেশের মাঠে বিশ্বকাপের ম্যাচ খেলতে পারব না। সুযোগটা হাতছাড়া হলো।
প্রশ্ন: হোমে এক রকম কন্ডিশন, আরব আমিরাতে আরেক কন্ডিশনে খেলতে হবে। এটা কি চ্যালেঞ্জ বাড়িয়ে দিল আপনাদের?
জ্যোতি: আমার স্কিলে তেমন কোনো পরিবর্তন হবে না বলে মনে হচ্ছে। তবে বাংলাদেশে বিশ্বকাপ মানে চেনা মাঠে উইকেট কেমন হবে, আমরা আগেই জানতে পারতাম। এখন হয়তো সুযোগটা থাকবে না। আমাদের ভাবনায় পরিবর্তন এনে আরব আমিরাতে খেলতে হবে।
প্রশ্ন: বিশ্বকাপ নিয়ে এখন আপনাদের প্রস্তুতি কোন পর্যায়ে আছে?
জ্যোতি: বিশ্বকাপের প্রস্তুতি—আমি বলব, এখন যতটুকু নিতে পেরেছি, এর চেয়েও ভালো হতে পারত। দেশের যে পরিস্থিতি ছিল, সে জন্য আমরা প্রত্যাশা অনুযায়ী বিশ্বকাপের প্রস্তুতি নিতে পারিনি। বিশ্বকাপের আগে আমাদের সঙ্গে বিদেশি কয়েকটি দল খেলতে চেয়েছিল। সেগুলো আর হলো না। এশিয়া কাপে আমরা কয়েকটি ম্যাচ খেলেছি। বিশ্বকাপে যাওয়ার আগে হয়তো আমরা আরও কিছু ম্যাচ খেলব। হয়তো আন্তর্জাতিক ম্যাচ পাব না। তবে যা-ই পাব, যেভাবে সুযোগ পাব, ভালোভাবে যেন প্রস্তুত হওয়া যায়, সেদিকে লক্ষ রাখব।
প্রশ্ন: হোমে বিশ্বকাপ খেলার ক্ষেত্রে বড় কিছু করার যে স্বপ্ন ছিল, সেটি কি এখন আরব আমিরাতেও থাকবে?
জ্যোতি: (হাসি) ভেন্যু পরিবর্তন হয়েছে, তবে স্বপ্ন তো পরিবর্তন হয়নি। বিশ্বকাপে ভালো খেলার যে প্রত্যাশা ছিল, সেটা এখনো আছে। ভেন্যু পরিবর্তন হওয়ায় এই স্বপ্ন বাস্তবায়নে কোনো বাধা হবে না। চেষ্টা থাকবে স্বপ্নের দিকে ছুটে চলার। চারটা বিশ্বকাপে বাংলাদেশ একেবারে শূন্য হাতে ফিরেছে। একটা ম্যাচও জিততে পারিনি। এবার লক্ষ্য থাকবে যেন আমরা একাধিক ম্যাচ জিততে পারি। দল হিসেবে যদি পরিকল্পনা করে খেলতে পারি, আমাদের প্রত্যাশা মেটানো সম্ভব হবে মনে করি।
প্রশ্ন: আরব আমিরাতে আপনাদের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ কী হতে পারে বলে মনে করছেন?
জ্যোতি: আবহাওয়া অনেক বেশি গরম ও শুষ্ক। আর্দ্রতা বেশি থাকবে। এটা শুরুতে হয়তো একটু কষ্ট দিতে পারে। তবে এমন পরিস্থিতিও আমাদের খুব বেশি ভোগাবে না। ধীরে ধীরে ঠিক হয়ে যায়। বাংলাদেশে অনেক গরম ছিল, এই বছর আমরা এমন পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারব। শ্রীলঙ্কায় যখন আমরা খেলেছি, সেখানেও গরম ছিল। আমরা এই কন্ডিশনে অভ্যস্ত। বিশ্বকাপ স্কোয়াডে যারা থাকবে, তাদের কাছে এসব পরিস্থিতি বড় কোনো ইস্যু হবে না। তারা মানিয়ে নিয়ে খেলতে পারবে। খুব বড় চ্যালেঞ্জ হবে না।
প্রশ্ন: আপনি বাদে টপ অর্ডার থেকে শুরু করে বেশির ভাগ ব্যাটারের ব্যাটে রানে নেই। এশিয়া কাপে ফাইনাল না খেলার পেছনে হতশ্রী ব্যাটিং দায়ী। বিশ্বকাপের আগে এটা কতটা ভাবাচ্ছে?
জ্যোতি: সব সময় ব্যাটিংটা নিয়ে সমস্যায় পড়ি। বলতে পারেন, টপ অর্ডারে রান হচ্ছে না। ধারাবাহিক না। যেন ধারাবাহিক হতে পারে, ব্যাটারদের সেটির প্রতি মনোযোগ বাড়ানো দরকার। যে ক্রিকেটার ১০-১৫ বা ২০টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলে ফেলেছে, নিজেদের নিয়ে তাদের নতুন করে ভাবার সুযোগ নেই। টিম ম্যানেজমেন্টকে অজুহাত দেওয়ার সুযোগ থাকবে না। টিম ম্যানেজমেন্টও এসব শুনবে না। ব্যক্তিগত তাগিদ থেকে নিজেদের সেরাটা বের করে আনতে হবে। কোনো সংশয় নেই, আমাদের বেশির ভাগ ক্রিকেটার স্কিলফুল। আমাদের মধ্যে অনেক সম্ভাবনা আছে। সেটা এখন পারফরম্যান্সে পরিণত করতে হবে। এখন যে জাতীয় ক্রিকেট লিগ (এনসিএল) হবে, সেটিও টি-টোয়েন্টি সংস্করণে। যেসব ক্রিকেটার জানে, আমরা বিশ্বকাপে খেলব, তাদের আরও উন্নতি করে বিশ্বকাপের জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে। সবাইকে স্বাধীনতা দেওয়া হচ্ছে। আশা করি, তারা বিশ্বকাপে এবার আরও ভালো ক্রিকেট খেলবে। আমিও চেষ্টা করব, যেন আরও বেশি রান করতে পারি। দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে পারি।
প্রশ্ন: কোচ হাশান তিলকারত্নের কোচিং কেমন উপভোগ করছেন?
জ্যোতি: তাঁর কোচিং উপভোগের বিষয়ে এখনই কিছু বলতে চাইছি না।
প্রশ্ন: বাংলাদেশ দলে এখন বেশ কয়েকজন ভালো মানের পেসার যোগ হয়েছে। আগে বাংলাদেশ স্পিননির্ভর দল ছিল, বিশ্বকাপে এবার বোলিং বিভাগ নিয়ে কতটা আশাবাদী?
জ্যোতি: দেখুন, আমাদের দলে পেসার হিসেবে মারুফাকেই দেখছি, দলে সম্প্রতি জাহানারা আপুকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এর আগে তৃষ্ণা-দিশা ছিল। যদিও আমরা সেভাবে দিশার কাছ থেকে সার্ভিস পাইনি। সম্প্রতি দেশের মাঠে আমাদের খেলা বেশি ছিল; তাই আমরা স্পিনে শক্তি বাড়িয়ে খেলেছি। কিন্তু এবার বিশ্বকাপ আরব আমিরাতে। সেখানকার উইকেটও ভিন্ন থাকবে। আইসিসি ইভেন্টে স্পোর্টিং উইকেট হয়। যারা জোরের ওপর কিংবা ভালো জায়গায় বল করতে পারে, তাদের উইকেট পাওয়ার সুযোগ বেশি থাকবে। আমাদের দলে রিস্ট স্পিনার আছে, অফ স্পিনার আছে। বিশ্বকাপের মতো বড় আসরে শুধু স্পিন কিংবা পেসনির্ভর হলে সাফল্য পাওয়া কঠিন হবে। বিশ্বকাপের মতো মঞ্চে নির্দিষ্ট একটা বিভাগের ওপর নির্ভর করা কঠিন। প্রতিটি বিভাগে শক্তি বাড়াতে হয়। ব্যাটিং-বোলিং-ফিল্ডিংয়ে সম্মিলিতভাবে ভালো করতে পারলেই ভালো ফল পাওয়া সম্ভব।
প্রশ্ন: হঠাৎ বিশ্বকাপের দেড় মাস আগে ভেন্যু পরিবর্তন হয়ে গেল, এখন টুর্নামেন্ট হবে আরব আমিরাতে। নিজেদের মাঠে বড় টুর্নামেন্ট খেলার সুযোগটা হাতছাড়া হলো, কতটা আফসোস লাগছে?
নিগার সুলতানা জ্যোতি: সত্যি বলতে, খুবই খারাপ লাগছে। বাংলাদেশে বিশ্বকাপ হবে, এটা জানার পর থেকে মনের মধ্যে অন্য রকম একটা ভালো লাগা কাজ করছিল। দেশের মাঠে আমাদের পরিবার থাকবে। ওদের সামনে খেলা, বিশ্বকাপ বড় একটা মঞ্চ। এসব আর এখন ভাবার বিষয় নয়, পেশাদার ক্রিকেটার হিসেবে আমাদের মাঠে লক্ষ্য ঠিক রেখে খেলতে হবে। ভেন্যু পরিবর্তনের বিষয় নিয়ে পড়ে থাকার সুযোগ নেই। তবে আফসোস লাগছে—বাংলাদেশের হয়ে দেশের মাঠে বিশ্বকাপের ম্যাচ খেলতে পারব না। সুযোগটা হাতছাড়া হলো।
প্রশ্ন: হোমে এক রকম কন্ডিশন, আরব আমিরাতে আরেক কন্ডিশনে খেলতে হবে। এটা কি চ্যালেঞ্জ বাড়িয়ে দিল আপনাদের?
জ্যোতি: আমার স্কিলে তেমন কোনো পরিবর্তন হবে না বলে মনে হচ্ছে। তবে বাংলাদেশে বিশ্বকাপ মানে চেনা মাঠে উইকেট কেমন হবে, আমরা আগেই জানতে পারতাম। এখন হয়তো সুযোগটা থাকবে না। আমাদের ভাবনায় পরিবর্তন এনে আরব আমিরাতে খেলতে হবে।
প্রশ্ন: বিশ্বকাপ নিয়ে এখন আপনাদের প্রস্তুতি কোন পর্যায়ে আছে?
জ্যোতি: বিশ্বকাপের প্রস্তুতি—আমি বলব, এখন যতটুকু নিতে পেরেছি, এর চেয়েও ভালো হতে পারত। দেশের যে পরিস্থিতি ছিল, সে জন্য আমরা প্রত্যাশা অনুযায়ী বিশ্বকাপের প্রস্তুতি নিতে পারিনি। বিশ্বকাপের আগে আমাদের সঙ্গে বিদেশি কয়েকটি দল খেলতে চেয়েছিল। সেগুলো আর হলো না। এশিয়া কাপে আমরা কয়েকটি ম্যাচ খেলেছি। বিশ্বকাপে যাওয়ার আগে হয়তো আমরা আরও কিছু ম্যাচ খেলব। হয়তো আন্তর্জাতিক ম্যাচ পাব না। তবে যা-ই পাব, যেভাবে সুযোগ পাব, ভালোভাবে যেন প্রস্তুত হওয়া যায়, সেদিকে লক্ষ রাখব।
প্রশ্ন: হোমে বিশ্বকাপ খেলার ক্ষেত্রে বড় কিছু করার যে স্বপ্ন ছিল, সেটি কি এখন আরব আমিরাতেও থাকবে?
জ্যোতি: (হাসি) ভেন্যু পরিবর্তন হয়েছে, তবে স্বপ্ন তো পরিবর্তন হয়নি। বিশ্বকাপে ভালো খেলার যে প্রত্যাশা ছিল, সেটা এখনো আছে। ভেন্যু পরিবর্তন হওয়ায় এই স্বপ্ন বাস্তবায়নে কোনো বাধা হবে না। চেষ্টা থাকবে স্বপ্নের দিকে ছুটে চলার। চারটা বিশ্বকাপে বাংলাদেশ একেবারে শূন্য হাতে ফিরেছে। একটা ম্যাচও জিততে পারিনি। এবার লক্ষ্য থাকবে যেন আমরা একাধিক ম্যাচ জিততে পারি। দল হিসেবে যদি পরিকল্পনা করে খেলতে পারি, আমাদের প্রত্যাশা মেটানো সম্ভব হবে মনে করি।
প্রশ্ন: আরব আমিরাতে আপনাদের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ কী হতে পারে বলে মনে করছেন?
জ্যোতি: আবহাওয়া অনেক বেশি গরম ও শুষ্ক। আর্দ্রতা বেশি থাকবে। এটা শুরুতে হয়তো একটু কষ্ট দিতে পারে। তবে এমন পরিস্থিতিও আমাদের খুব বেশি ভোগাবে না। ধীরে ধীরে ঠিক হয়ে যায়। বাংলাদেশে অনেক গরম ছিল, এই বছর আমরা এমন পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারব। শ্রীলঙ্কায় যখন আমরা খেলেছি, সেখানেও গরম ছিল। আমরা এই কন্ডিশনে অভ্যস্ত। বিশ্বকাপ স্কোয়াডে যারা থাকবে, তাদের কাছে এসব পরিস্থিতি বড় কোনো ইস্যু হবে না। তারা মানিয়ে নিয়ে খেলতে পারবে। খুব বড় চ্যালেঞ্জ হবে না।
প্রশ্ন: আপনি বাদে টপ অর্ডার থেকে শুরু করে বেশির ভাগ ব্যাটারের ব্যাটে রানে নেই। এশিয়া কাপে ফাইনাল না খেলার পেছনে হতশ্রী ব্যাটিং দায়ী। বিশ্বকাপের আগে এটা কতটা ভাবাচ্ছে?
জ্যোতি: সব সময় ব্যাটিংটা নিয়ে সমস্যায় পড়ি। বলতে পারেন, টপ অর্ডারে রান হচ্ছে না। ধারাবাহিক না। যেন ধারাবাহিক হতে পারে, ব্যাটারদের সেটির প্রতি মনোযোগ বাড়ানো দরকার। যে ক্রিকেটার ১০-১৫ বা ২০টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলে ফেলেছে, নিজেদের নিয়ে তাদের নতুন করে ভাবার সুযোগ নেই। টিম ম্যানেজমেন্টকে অজুহাত দেওয়ার সুযোগ থাকবে না। টিম ম্যানেজমেন্টও এসব শুনবে না। ব্যক্তিগত তাগিদ থেকে নিজেদের সেরাটা বের করে আনতে হবে। কোনো সংশয় নেই, আমাদের বেশির ভাগ ক্রিকেটার স্কিলফুল। আমাদের মধ্যে অনেক সম্ভাবনা আছে। সেটা এখন পারফরম্যান্সে পরিণত করতে হবে। এখন যে জাতীয় ক্রিকেট লিগ (এনসিএল) হবে, সেটিও টি-টোয়েন্টি সংস্করণে। যেসব ক্রিকেটার জানে, আমরা বিশ্বকাপে খেলব, তাদের আরও উন্নতি করে বিশ্বকাপের জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে। সবাইকে স্বাধীনতা দেওয়া হচ্ছে। আশা করি, তারা বিশ্বকাপে এবার আরও ভালো ক্রিকেট খেলবে। আমিও চেষ্টা করব, যেন আরও বেশি রান করতে পারি। দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে পারি।
প্রশ্ন: কোচ হাশান তিলকারত্নের কোচিং কেমন উপভোগ করছেন?
জ্যোতি: তাঁর কোচিং উপভোগের বিষয়ে এখনই কিছু বলতে চাইছি না।
প্রশ্ন: বাংলাদেশ দলে এখন বেশ কয়েকজন ভালো মানের পেসার যোগ হয়েছে। আগে বাংলাদেশ স্পিননির্ভর দল ছিল, বিশ্বকাপে এবার বোলিং বিভাগ নিয়ে কতটা আশাবাদী?
জ্যোতি: দেখুন, আমাদের দলে পেসার হিসেবে মারুফাকেই দেখছি, দলে সম্প্রতি জাহানারা আপুকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এর আগে তৃষ্ণা-দিশা ছিল। যদিও আমরা সেভাবে দিশার কাছ থেকে সার্ভিস পাইনি। সম্প্রতি দেশের মাঠে আমাদের খেলা বেশি ছিল; তাই আমরা স্পিনে শক্তি বাড়িয়ে খেলেছি। কিন্তু এবার বিশ্বকাপ আরব আমিরাতে। সেখানকার উইকেটও ভিন্ন থাকবে। আইসিসি ইভেন্টে স্পোর্টিং উইকেট হয়। যারা জোরের ওপর কিংবা ভালো জায়গায় বল করতে পারে, তাদের উইকেট পাওয়ার সুযোগ বেশি থাকবে। আমাদের দলে রিস্ট স্পিনার আছে, অফ স্পিনার আছে। বিশ্বকাপের মতো বড় আসরে শুধু স্পিন কিংবা পেসনির্ভর হলে সাফল্য পাওয়া কঠিন হবে। বিশ্বকাপের মতো মঞ্চে নির্দিষ্ট একটা বিভাগের ওপর নির্ভর করা কঠিন। প্রতিটি বিভাগে শক্তি বাড়াতে হয়। ব্যাটিং-বোলিং-ফিল্ডিংয়ে সম্মিলিতভাবে ভালো করতে পারলেই ভালো ফল পাওয়া সম্ভব।

নারী ফুটবল দলের কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচ সামনে থাকলেই উঠে আসে সাবিনা খাতুনের প্রসঙ্গ। আদৌ কি জাতীয় দলে আর সুযোগ পাবেন তিনি। গত বছর সাফ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর কোচের সঙ্গে দ্বন্দ্বের কারণে আর জাতীয় দলে ডাক পাননি এই ফুটবলার। তবে তাঁকে অধিনায়ক করেই আজ ফুটসালের প্রাথমিক দল করেছে বাফুফে।
৪১ মিনিট আগে
বিয়ে করেছেন নারী ক্রিকেটার রুমানা আহমেদ। খুলনায় আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন ইনিংস শুরু করলেন বাংলাদেশ নারী দলের সাবেক অধিনায়ক। তাঁর স্বামীর নাম আল মামুন। মামুন একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে মহাপরিচালক হিসেবে কর্মরত।
২ ঘণ্টা আগে
যুব এশিয়া কাপে বাংলাদেশ টানা দুবারের চ্যাম্পিয়ন। গতকাল সংযুক্ত আরব আমরাতে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ‘চ্যাম্পিয়নে’র মতোই খেলল বাংলাদেশ। আফগানদের হারাল ৩ উইকেটে।
২ ঘণ্টা আগে
পার্থ টেস্টেই চোট পান উসমান খাজা। এজন্য ব্রিজবেনের গ্যাবায় অনুষ্ঠিত সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে মাঠে নামতে পারেননি। তবে অ্যাশেজ সিরিজের তৃতীয় টেস্টের আগে শতভাগ ফিট এই ব্যাটার। এরপরও একাদশে জায়গা পাওয়া নিয়ে শঙ্কায় আছেন তিনি। সব সিদ্ধান্ত ছেড়ে দিচ্ছেন নির্বাচকেদের ওপর।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

নারী ফুটবল দলের কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচ সামনে থাকলেই উঠে আসে সাবিনা খাতুনের প্রসঙ্গ। আদৌ কি জাতীয় দলে আর সুযোগ পাবেন তিনি। গত বছর সাফ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর কোচের সঙ্গে দ্বন্দ্বের কারণে আর জাতীয় দলে ডাক পাননি এই ফুটবলার। তবে তাঁকে অধিনায়ক করেই আজ ফুটসালের প্রাথমিক দল করেছে বাফুফে।
আগামী বছরের ১৩ জানুয়ারি থাইল্যান্ডে শুরু হবে সাফ ফুটসাল চ্যাম্পিয়নশিপ। বাংলাদেশসহ এতে অংশ নেবে মালদ্বীপ, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, নেপাল, ভারত ও ভুটান। রাউন্ড রবিন লিগ ফরম্যাটে সব দল একে অপরের মুখোমুখি হবে।
পুরুষ দলের কোচ সাইদ খোদারাহমির অধীনেই চলছে বাংলাদেশ নারী দলের ক্যাম্প। প্রাথমিক দলও সাজানো হয়েছে। অধিনায়কত্বের দায়িত্ব কাঁধে নেওয়া সাবিনা ছাড়াও দলে আছেন ফুটবল দলের কোচ পিটার বাটলারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করা মাসুরা পারভীন, মাতসুশিমা সুমাইয়া, কৃষ্ণা রানী সরকার, নিলুফা ইয়াসমিনও।
সাফ ফুটসালে বাংলাদেশের প্রাথমিক দল: সাবিনা খাতুন (অধিনায়ক), মাতসুশিমা সুমাইয়া, মাসুরা পারভীন, কৃষ্ণা রানী সরকার, লিপি আক্তার, উন্নতি খাতুন, মেহেনুর আক্তার, রাত্রি মণি, সুমি খাতুন, নওশন জাহান, নিলুফা ইয়াসমিন, মিসরাত জাহান মৌসুমী, মার্জিয়া, নাসরিন আক্তার, শেজুতি ইসলাম স্মৃতি, সাথী বিশ্বাস, ইতি রানী, স্বপ্না আক্তার জিলি ।

নারী ফুটবল দলের কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচ সামনে থাকলেই উঠে আসে সাবিনা খাতুনের প্রসঙ্গ। আদৌ কি জাতীয় দলে আর সুযোগ পাবেন তিনি। গত বছর সাফ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর কোচের সঙ্গে দ্বন্দ্বের কারণে আর জাতীয় দলে ডাক পাননি এই ফুটবলার। তবে তাঁকে অধিনায়ক করেই আজ ফুটসালের প্রাথমিক দল করেছে বাফুফে।
আগামী বছরের ১৩ জানুয়ারি থাইল্যান্ডে শুরু হবে সাফ ফুটসাল চ্যাম্পিয়নশিপ। বাংলাদেশসহ এতে অংশ নেবে মালদ্বীপ, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, নেপাল, ভারত ও ভুটান। রাউন্ড রবিন লিগ ফরম্যাটে সব দল একে অপরের মুখোমুখি হবে।
পুরুষ দলের কোচ সাইদ খোদারাহমির অধীনেই চলছে বাংলাদেশ নারী দলের ক্যাম্প। প্রাথমিক দলও সাজানো হয়েছে। অধিনায়কত্বের দায়িত্ব কাঁধে নেওয়া সাবিনা ছাড়াও দলে আছেন ফুটবল দলের কোচ পিটার বাটলারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করা মাসুরা পারভীন, মাতসুশিমা সুমাইয়া, কৃষ্ণা রানী সরকার, নিলুফা ইয়াসমিনও।
সাফ ফুটসালে বাংলাদেশের প্রাথমিক দল: সাবিনা খাতুন (অধিনায়ক), মাতসুশিমা সুমাইয়া, মাসুরা পারভীন, কৃষ্ণা রানী সরকার, লিপি আক্তার, উন্নতি খাতুন, মেহেনুর আক্তার, রাত্রি মণি, সুমি খাতুন, নওশন জাহান, নিলুফা ইয়াসমিন, মিসরাত জাহান মৌসুমী, মার্জিয়া, নাসরিন আক্তার, শেজুতি ইসলাম স্মৃতি, সাথী বিশ্বাস, ইতি রানী, স্বপ্না আক্তার জিলি ।

বাংলাদেশ থেকে মেয়েদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ সরে গেছে আরব আমিরাতে। এত দিন ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ খেলার লক্ষ্যে তৈরি হতে থাকা বাংলাদেশ নারী দলকে এখন নতুনভাবে প্রস্তুত হতে হচ্ছে। বিশ্বকাপের ভেন্যু পরিবর্তন, দলের প্রস্তুতি, লক্ষ্যসহ সাম্প্রতিক বাংলাদেশ নারী ক্রিকেটের বিভিন্ন বিষয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার আজকের পত্
২৩ আগস্ট ২০২৪
বিয়ে করেছেন নারী ক্রিকেটার রুমানা আহমেদ। খুলনায় আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন ইনিংস শুরু করলেন বাংলাদেশ নারী দলের সাবেক অধিনায়ক। তাঁর স্বামীর নাম আল মামুন। মামুন একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে মহাপরিচালক হিসেবে কর্মরত।
২ ঘণ্টা আগে
যুব এশিয়া কাপে বাংলাদেশ টানা দুবারের চ্যাম্পিয়ন। গতকাল সংযুক্ত আরব আমরাতে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ‘চ্যাম্পিয়নে’র মতোই খেলল বাংলাদেশ। আফগানদের হারাল ৩ উইকেটে।
২ ঘণ্টা আগে
পার্থ টেস্টেই চোট পান উসমান খাজা। এজন্য ব্রিজবেনের গ্যাবায় অনুষ্ঠিত সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে মাঠে নামতে পারেননি। তবে অ্যাশেজ সিরিজের তৃতীয় টেস্টের আগে শতভাগ ফিট এই ব্যাটার। এরপরও একাদশে জায়গা পাওয়া নিয়ে শঙ্কায় আছেন তিনি। সব সিদ্ধান্ত ছেড়ে দিচ্ছেন নির্বাচকেদের ওপর।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিয়ে করেছেন নারী ক্রিকেটার রুমানা আহমেদ। খুলনায় আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন ইনিংস শুরু করলেন বাংলাদেশ নারী দলের সাবেক অধিনায়ক। তাঁর স্বামীর নাম আল মামুন। মামুন একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে মহাব্যবস্থাপক হিসেবে কর্মরত।
রুমানা জানান, খুব সংক্ষিপ্ত সময়ের মধ্যে তাঁদের বিয়ের অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছে। গতকাল অনুষ্ঠান হয়েছে খুলনার টাইগার গার্ডেনে। খুলনা থেকে ফোনে আজকের পত্রিকাকে রুমানা বললেন, ‘নতুন জীবন, একটা অদ্ভুত অনুভূতিই হচ্ছে। সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন।’
বাংলাদেশের হয়ে ৫০ ওয়ানডে ও ৮৭ টি-টোয়েন্টি খেলেছেন রুমানা। জিতেছেন ২০১৮ এশিয়া কাপ। রুমানা সর্বশেষ বাংলাদেশের হয়ে খেলেছেন ২০২৪ সালের জুলাইয়ে।

বিয়ে করেছেন নারী ক্রিকেটার রুমানা আহমেদ। খুলনায় আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন ইনিংস শুরু করলেন বাংলাদেশ নারী দলের সাবেক অধিনায়ক। তাঁর স্বামীর নাম আল মামুন। মামুন একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে মহাব্যবস্থাপক হিসেবে কর্মরত।
রুমানা জানান, খুব সংক্ষিপ্ত সময়ের মধ্যে তাঁদের বিয়ের অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছে। গতকাল অনুষ্ঠান হয়েছে খুলনার টাইগার গার্ডেনে। খুলনা থেকে ফোনে আজকের পত্রিকাকে রুমানা বললেন, ‘নতুন জীবন, একটা অদ্ভুত অনুভূতিই হচ্ছে। সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন।’
বাংলাদেশের হয়ে ৫০ ওয়ানডে ও ৮৭ টি-টোয়েন্টি খেলেছেন রুমানা। জিতেছেন ২০১৮ এশিয়া কাপ। রুমানা সর্বশেষ বাংলাদেশের হয়ে খেলেছেন ২০২৪ সালের জুলাইয়ে।

বাংলাদেশ থেকে মেয়েদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ সরে গেছে আরব আমিরাতে। এত দিন ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ খেলার লক্ষ্যে তৈরি হতে থাকা বাংলাদেশ নারী দলকে এখন নতুনভাবে প্রস্তুত হতে হচ্ছে। বিশ্বকাপের ভেন্যু পরিবর্তন, দলের প্রস্তুতি, লক্ষ্যসহ সাম্প্রতিক বাংলাদেশ নারী ক্রিকেটের বিভিন্ন বিষয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার আজকের পত্
২৩ আগস্ট ২০২৪
নারী ফুটবল দলের কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচ সামনে থাকলেই উঠে আসে সাবিনা খাতুনের প্রসঙ্গ। আদৌ কি জাতীয় দলে আর সুযোগ পাবেন তিনি। গত বছর সাফ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর কোচের সঙ্গে দ্বন্দ্বের কারণে আর জাতীয় দলে ডাক পাননি এই ফুটবলার। তবে তাঁকে অধিনায়ক করেই আজ ফুটসালের প্রাথমিক দল করেছে বাফুফে।
৪১ মিনিট আগে
যুব এশিয়া কাপে বাংলাদেশ টানা দুবারের চ্যাম্পিয়ন। গতকাল সংযুক্ত আরব আমরাতে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ‘চ্যাম্পিয়নে’র মতোই খেলল বাংলাদেশ। আফগানদের হারাল ৩ উইকেটে।
২ ঘণ্টা আগে
পার্থ টেস্টেই চোট পান উসমান খাজা। এজন্য ব্রিজবেনের গ্যাবায় অনুষ্ঠিত সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে মাঠে নামতে পারেননি। তবে অ্যাশেজ সিরিজের তৃতীয় টেস্টের আগে শতভাগ ফিট এই ব্যাটার। এরপরও একাদশে জায়গা পাওয়া নিয়ে শঙ্কায় আছেন তিনি। সব সিদ্ধান্ত ছেড়ে দিচ্ছেন নির্বাচকেদের ওপর।
৩ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

যুব এশিয়া কাপে বাংলাদেশ টানা দুবারের চ্যাম্পিয়ন। আজ সংযুক্ত আরব আমিরাতে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ‘চ্যাম্পিয়নে’র মতোই খেলল বাংলাদেশ। আফগানদের হারাল ৩ উইকেটে।
আইসিসির একাডেমি মাঠে টস জিতে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেটে ২৮৩ রান তোলে আফগানিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দল। লক্ষ্য তাড়ায় ৭ উইকেট হারিয়ে ৭ বল হাতে রেখেই জিতে যায় বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল (২৮৪/৭)।
বড় লক্ষ্য তাড়ায় বাংলাদেশ দলকে দুর্দান্ত শুরু এনে দিয়েছিলেন দুই ওপেনার জাওয়াদ আবরার ও রিফাত বেগ। ১০৬ বলে ১৫১ রান করেন তাঁরা। রিফাতের বিদায়ে ছিন্ন হয় এই জুটি। আউট হওয়ার আগে ৫টি চার ও ২টি ছক্কায় ৬৮ বলে ৬২ রান করেন তিনি। রিফাত আউট হয়ে গেলেও সেঞ্চুরির দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলেন আবরার। কিন্তু নড়বড়ে নব্বুইয়ে আউট হয়ে যান তিনি। আফগান বোলার রুহুল্লাহ আরবের দ্বিতীয় শিকার হওয়ার আগে ৯টি চার ও ছয়টি ছয়ে ১১২ বলে ৯৬ রান করেন তিনি।
দুই ওপেনারের বিদায়ের পর উইকেটে জুটি বাঁধেন আজিজুল হাকিম ও কালাম সিদ্দিকী। ৭১ বলে তারা ৬৬ রান যোগ করেন। তাতে ২ উইকেট হারিয়েই ২৩৫ রান তুলে ফেলে বাংলাদেশ। কিন্তু এরপরই ‘মিনি’ মোড়ক লাগে বাংলাদেশ ইনিংসে। ২৩৬ থেকে ২৬৪—এই ২৮ রানের মধ্যে ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ। যার মধ্যে আছে ৪৮ বলে ৪৭ রান করা অধিনায়ক আজিজুল হাকিম ও ৩৬ বলে ২৯ রান করা কালাম সিদ্দিকীর উইকেটও।
এরপর দলের ওপর চাপ সৃষ্টি হলেও দল লক্ষ্যের কাছাকাছি থাকায় কোনো অসুবিধা হয়নি। ১৬ বলে ২৬ রান করে দল জয় দলের জয় নিশ্চিত করেই মাঠ ছাড়েন আবদুল আজিজ। তাঁর এই ইনিংসে আছে ৩টি ছক্কা।
এর আগে প্রথমে ব্যাট করে ফয়সাল শিনোজাদার সেঞ্চুরির সুবাদে ৭ উইকেটে ৮৩ রান তোলে আফগানিস্তান। ১৬ রানে ওপেনার খালিদ আহমেদজাইয়ের (৩) বিদায়ের পর উইকেটে এসে দলের হাল ধরেন শিনোজাদা। ৮টি চার ও ৪টি ছয়ে ৯৪ বলে ১০৩ রান করেন তিনি।
শিনোজাদার বাইরে আর বলার মতোন তেমন রান করতে পারেনি কেউ। তবে এক প্রান্ত আগলে রেখে খেললে সতীর্থদের ছোট-মাঝারি অবদানেই ৭ উইকেটে আফগানদের স্কোর ২৮০ ছাড়িয়ে যায়। শিনোজাদার পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪৪ রান আসে উজাইরুল্লাহ নিয়াজাইয়ের ব্যাটে। বল হাতে ২টি করে উইকেট নিয়েছেন ইকবাল হোসেন ইমন ও শাহরিয়ার আহমেদ।

যুব এশিয়া কাপে বাংলাদেশ টানা দুবারের চ্যাম্পিয়ন। আজ সংযুক্ত আরব আমিরাতে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ‘চ্যাম্পিয়নে’র মতোই খেলল বাংলাদেশ। আফগানদের হারাল ৩ উইকেটে।
আইসিসির একাডেমি মাঠে টস জিতে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেটে ২৮৩ রান তোলে আফগানিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দল। লক্ষ্য তাড়ায় ৭ উইকেট হারিয়ে ৭ বল হাতে রেখেই জিতে যায় বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল (২৮৪/৭)।
বড় লক্ষ্য তাড়ায় বাংলাদেশ দলকে দুর্দান্ত শুরু এনে দিয়েছিলেন দুই ওপেনার জাওয়াদ আবরার ও রিফাত বেগ। ১০৬ বলে ১৫১ রান করেন তাঁরা। রিফাতের বিদায়ে ছিন্ন হয় এই জুটি। আউট হওয়ার আগে ৫টি চার ও ২টি ছক্কায় ৬৮ বলে ৬২ রান করেন তিনি। রিফাত আউট হয়ে গেলেও সেঞ্চুরির দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলেন আবরার। কিন্তু নড়বড়ে নব্বুইয়ে আউট হয়ে যান তিনি। আফগান বোলার রুহুল্লাহ আরবের দ্বিতীয় শিকার হওয়ার আগে ৯টি চার ও ছয়টি ছয়ে ১১২ বলে ৯৬ রান করেন তিনি।
দুই ওপেনারের বিদায়ের পর উইকেটে জুটি বাঁধেন আজিজুল হাকিম ও কালাম সিদ্দিকী। ৭১ বলে তারা ৬৬ রান যোগ করেন। তাতে ২ উইকেট হারিয়েই ২৩৫ রান তুলে ফেলে বাংলাদেশ। কিন্তু এরপরই ‘মিনি’ মোড়ক লাগে বাংলাদেশ ইনিংসে। ২৩৬ থেকে ২৬৪—এই ২৮ রানের মধ্যে ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ। যার মধ্যে আছে ৪৮ বলে ৪৭ রান করা অধিনায়ক আজিজুল হাকিম ও ৩৬ বলে ২৯ রান করা কালাম সিদ্দিকীর উইকেটও।
এরপর দলের ওপর চাপ সৃষ্টি হলেও দল লক্ষ্যের কাছাকাছি থাকায় কোনো অসুবিধা হয়নি। ১৬ বলে ২৬ রান করে দল জয় দলের জয় নিশ্চিত করেই মাঠ ছাড়েন আবদুল আজিজ। তাঁর এই ইনিংসে আছে ৩টি ছক্কা।
এর আগে প্রথমে ব্যাট করে ফয়সাল শিনোজাদার সেঞ্চুরির সুবাদে ৭ উইকেটে ৮৩ রান তোলে আফগানিস্তান। ১৬ রানে ওপেনার খালিদ আহমেদজাইয়ের (৩) বিদায়ের পর উইকেটে এসে দলের হাল ধরেন শিনোজাদা। ৮টি চার ও ৪টি ছয়ে ৯৪ বলে ১০৩ রান করেন তিনি।
শিনোজাদার বাইরে আর বলার মতোন তেমন রান করতে পারেনি কেউ। তবে এক প্রান্ত আগলে রেখে খেললে সতীর্থদের ছোট-মাঝারি অবদানেই ৭ উইকেটে আফগানদের স্কোর ২৮০ ছাড়িয়ে যায়। শিনোজাদার পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪৪ রান আসে উজাইরুল্লাহ নিয়াজাইয়ের ব্যাটে। বল হাতে ২টি করে উইকেট নিয়েছেন ইকবাল হোসেন ইমন ও শাহরিয়ার আহমেদ।

বাংলাদেশ থেকে মেয়েদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ সরে গেছে আরব আমিরাতে। এত দিন ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ খেলার লক্ষ্যে তৈরি হতে থাকা বাংলাদেশ নারী দলকে এখন নতুনভাবে প্রস্তুত হতে হচ্ছে। বিশ্বকাপের ভেন্যু পরিবর্তন, দলের প্রস্তুতি, লক্ষ্যসহ সাম্প্রতিক বাংলাদেশ নারী ক্রিকেটের বিভিন্ন বিষয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার আজকের পত্
২৩ আগস্ট ২০২৪
নারী ফুটবল দলের কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচ সামনে থাকলেই উঠে আসে সাবিনা খাতুনের প্রসঙ্গ। আদৌ কি জাতীয় দলে আর সুযোগ পাবেন তিনি। গত বছর সাফ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর কোচের সঙ্গে দ্বন্দ্বের কারণে আর জাতীয় দলে ডাক পাননি এই ফুটবলার। তবে তাঁকে অধিনায়ক করেই আজ ফুটসালের প্রাথমিক দল করেছে বাফুফে।
৪১ মিনিট আগে
বিয়ে করেছেন নারী ক্রিকেটার রুমানা আহমেদ। খুলনায় আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন ইনিংস শুরু করলেন বাংলাদেশ নারী দলের সাবেক অধিনায়ক। তাঁর স্বামীর নাম আল মামুন। মামুন একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে মহাপরিচালক হিসেবে কর্মরত।
২ ঘণ্টা আগে
পার্থ টেস্টেই চোট পান উসমান খাজা। এজন্য ব্রিজবেনের গ্যাবায় অনুষ্ঠিত সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে মাঠে নামতে পারেননি। তবে অ্যাশেজ সিরিজের তৃতীয় টেস্টের আগে শতভাগ ফিট এই ব্যাটার। এরপরও একাদশে জায়গা পাওয়া নিয়ে শঙ্কায় আছেন তিনি। সব সিদ্ধান্ত ছেড়ে দিচ্ছেন নির্বাচকেদের ওপর।
৩ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

পার্থ টেস্টেই চোট পান উসমান খাজা। এজন্য ব্রিজবেনের গ্যাবায় অনুষ্ঠিত সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে মাঠে নামতে পারেননি। তবে অ্যাশেজ সিরিজের তৃতীয় টেস্টের আগে শতভাগ ফিট এই ব্যাটার। এরপরও একাদশে জায়গা পাওয়া নিয়ে শঙ্কায় আছেন তিনি। সব সিদ্ধান্ত ছেড়ে দিচ্ছেন নির্বাচকেদের ওপর।
পার্থ টেস্টে ফিল্ডিংয়ের শেষের দিকে মাঠের বাইরে ছিলেন খাজা। এজন্য ওপেনিংয়ে নামতে পারেননি। ব্যাট করতে নামেন ৪ নম্বরে। মাত্র ২ রান করে ফেরেন তিনি। তাঁর পরিবর্তে ওপেনিং করতে নেমে ১২৩ রানের ইনিংস খেলেন হেড।
ব্রিজবেনের গোলাপি টেস্টেও ওপেনিং করতে নামেন তিনি। এ যাত্রায় দুই ইনিংসে এই মারকুটে ব্যাটার করেন ৩৩ ও ২২ রান। অ্যাডিলেড টেস্টের আগে সুস্থ হওয়ায় ওপেনিংয়ে ফেরার সুযোগ থাকছে খাজার। তবে সেটা নির্ভর করছে নির্বাচক এবং ম্যানেজমেন্টের ওপর।
খাজা বলেন, ‘আমি একাদশে ফিরতে চাই। কিন্তু বাস্তবতা হলো আমি জানি না কী হবে। এটা আমার সিদ্ধান্ত নয়। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আমি বুঝেছি—কোন বিষয়গুলো আমার নিয়ন্ত্রণে, আর কোনগুলো নয়। ফিটনেসের দিক থেকে আমি বর্তমানে খুব ভালো অনুভব করছি। আমি খেলার জন্য প্রস্তুত। এছাড়া আর আমার নিয়ন্ত্রণে নেই। তাই দেখা যাক কী হয়।’
সুস্থ হওয়ার জন্য গত সপ্তাহে প্রচুর পরিশ্রম করেছেন খাজা, ‘আমি এখন খেলার জন্য শতভাগ ফিট আছি। পার্থ টেস্টের আগেও আমি নিজেকে শতভাগই মনে করেছিলাম। কিছু বিষয় এমনই হয়। ফিট হওয়ার জন্য যা করা দরকার আমি ঠিক তাই করেছি। গত এক সপ্তাহ কঠোর পরিশ্রম করেছি। আসলে তখন শুধু রিহ্যাবই করতে হয়েছে। এটা আমার কাছে বিরক্তিকর মনে হয়। কারণ ইনজুরিতে পড়লে কাজটা আরও বেশি করতে হয়।’

পার্থ টেস্টেই চোট পান উসমান খাজা। এজন্য ব্রিজবেনের গ্যাবায় অনুষ্ঠিত সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে মাঠে নামতে পারেননি। তবে অ্যাশেজ সিরিজের তৃতীয় টেস্টের আগে শতভাগ ফিট এই ব্যাটার। এরপরও একাদশে জায়গা পাওয়া নিয়ে শঙ্কায় আছেন তিনি। সব সিদ্ধান্ত ছেড়ে দিচ্ছেন নির্বাচকেদের ওপর।
পার্থ টেস্টে ফিল্ডিংয়ের শেষের দিকে মাঠের বাইরে ছিলেন খাজা। এজন্য ওপেনিংয়ে নামতে পারেননি। ব্যাট করতে নামেন ৪ নম্বরে। মাত্র ২ রান করে ফেরেন তিনি। তাঁর পরিবর্তে ওপেনিং করতে নেমে ১২৩ রানের ইনিংস খেলেন হেড।
ব্রিজবেনের গোলাপি টেস্টেও ওপেনিং করতে নামেন তিনি। এ যাত্রায় দুই ইনিংসে এই মারকুটে ব্যাটার করেন ৩৩ ও ২২ রান। অ্যাডিলেড টেস্টের আগে সুস্থ হওয়ায় ওপেনিংয়ে ফেরার সুযোগ থাকছে খাজার। তবে সেটা নির্ভর করছে নির্বাচক এবং ম্যানেজমেন্টের ওপর।
খাজা বলেন, ‘আমি একাদশে ফিরতে চাই। কিন্তু বাস্তবতা হলো আমি জানি না কী হবে। এটা আমার সিদ্ধান্ত নয়। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আমি বুঝেছি—কোন বিষয়গুলো আমার নিয়ন্ত্রণে, আর কোনগুলো নয়। ফিটনেসের দিক থেকে আমি বর্তমানে খুব ভালো অনুভব করছি। আমি খেলার জন্য প্রস্তুত। এছাড়া আর আমার নিয়ন্ত্রণে নেই। তাই দেখা যাক কী হয়।’
সুস্থ হওয়ার জন্য গত সপ্তাহে প্রচুর পরিশ্রম করেছেন খাজা, ‘আমি এখন খেলার জন্য শতভাগ ফিট আছি। পার্থ টেস্টের আগেও আমি নিজেকে শতভাগই মনে করেছিলাম। কিছু বিষয় এমনই হয়। ফিট হওয়ার জন্য যা করা দরকার আমি ঠিক তাই করেছি। গত এক সপ্তাহ কঠোর পরিশ্রম করেছি। আসলে তখন শুধু রিহ্যাবই করতে হয়েছে। এটা আমার কাছে বিরক্তিকর মনে হয়। কারণ ইনজুরিতে পড়লে কাজটা আরও বেশি করতে হয়।’

বাংলাদেশ থেকে মেয়েদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ সরে গেছে আরব আমিরাতে। এত দিন ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ খেলার লক্ষ্যে তৈরি হতে থাকা বাংলাদেশ নারী দলকে এখন নতুনভাবে প্রস্তুত হতে হচ্ছে। বিশ্বকাপের ভেন্যু পরিবর্তন, দলের প্রস্তুতি, লক্ষ্যসহ সাম্প্রতিক বাংলাদেশ নারী ক্রিকেটের বিভিন্ন বিষয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার আজকের পত্
২৩ আগস্ট ২০২৪
নারী ফুটবল দলের কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচ সামনে থাকলেই উঠে আসে সাবিনা খাতুনের প্রসঙ্গ। আদৌ কি জাতীয় দলে আর সুযোগ পাবেন তিনি। গত বছর সাফ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর কোচের সঙ্গে দ্বন্দ্বের কারণে আর জাতীয় দলে ডাক পাননি এই ফুটবলার। তবে তাঁকে অধিনায়ক করেই আজ ফুটসালের প্রাথমিক দল করেছে বাফুফে।
৪১ মিনিট আগে
বিয়ে করেছেন নারী ক্রিকেটার রুমানা আহমেদ। খুলনায় আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন ইনিংস শুরু করলেন বাংলাদেশ নারী দলের সাবেক অধিনায়ক। তাঁর স্বামীর নাম আল মামুন। মামুন একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে মহাপরিচালক হিসেবে কর্মরত।
২ ঘণ্টা আগে
যুব এশিয়া কাপে বাংলাদেশ টানা দুবারের চ্যাম্পিয়ন। গতকাল সংযুক্ত আরব আমরাতে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ‘চ্যাম্পিয়নে’র মতোই খেলল বাংলাদেশ। আফগানদের হারাল ৩ উইকেটে।
২ ঘণ্টা আগে