Ajker Patrika

পাকিস্তানি ক্রিকেটারের ঝোড়ো সেঞ্চুরিতে লন্ডভন্ড জিম্বাবুয়ে

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৪: ৪৯
Thumbnail image
ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি সাইম আইয়ুব তুলে নিয়েছেন ৫৩ বলে। তাঁর ঝোড়ো সেঞ্চুরিতেই জিম্বাবুয়ে হেরেছে ১০ উইকেটে। ছবি: ক্রিকইনফো

বুলাওয়েতে জিম্বাবুয়ের কাছে প্রথম ওয়ানডেতে হারের পর পাকিস্তানকে নিতে শুরু হয় ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ। সেই পাকিস্তান ৪৮ ঘণ্টার ব্যবধানে নিল ‘মধুর প্রতিশোধ’। সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে আজ বুলাওয়েতে জিম্বাবুয়েকে ১০ উইকেটে হারিয়েছে পাকিস্তান।

স্কোরবোর্ডে ১৪৬ রানের লক্ষ্যটাই হয়তো আজ জানতেন সাইম আইয়ুব। কিন্তু সংস্করণটা কী, সেটা যে তাঁর মাথা থেকেই বেরিয়ে গিয়েছিল। ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরিটা তুলে নিয়েছেন ৫৩ বলে। তাঁর ঝোড়ো সেঞ্চুরির দিন পাকিস্তান ম্যাচ জিতল ১৯০ বল হাতে রেখে ১০ উইকেট। পাকিস্তান-জিম্বাবুয়ে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ এখন ১-১ সমতায়।

জয়ের লক্ষ্যে নেমে ৩৬ রানে ভাঙতে পারত পাকিস্তানের উদ্বোধনী জুটি। সপ্তম ওভারের তৃতীয় বলে ব্লেজিং মুজারাবানির অফসাইডের বাইরের বল ড্রাইভ করতে যান আব্দুল্লাহ শফিক। ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে ডাইভ দিয়েও ক্যাচ ধরতে পারেননি শন উইলিয়ামস। ঠিক তার পরের বলেই পয়েন্ট-ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টের মাঝ দিয়ে চার মারেন শফিক। প্রথম ১০ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়ে পাকিস্তান করে ৭১ রান। সাইম তাঁর ওয়ানডে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ফিফটি পেয়েছেন ৩২ বলে।

টি-টোয়েন্টি মেজাজে ফিফটি করা সাইম তাঁর সঙ্গী শফিককে একপ্রান্তে দর্শক বানিয়ে তাণ্ডব চালিয়ে যান। ১৪তম ওভারের প্রথম তিন বলে ব্র্যান্ডন মাভুতাকে চার মারেন সাইম। তাণ্ডব চালানো সাইম সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন ১৭তম ওভারের প্রথম বলে সিকান্দার রাজাকে মিড উইকেট দিয়ে পুল করে। ম্যাচসেরার পুরস্কার উঠেছে সাইমের হাতে। ৬২ বলে ১৭ চার ও ৩ ছক্কায় ১১৩ রান করে অপরাজিত থাকেন পাকিস্তানি এই ব্যাটার। ৪ ওভার বোলিংয়ে ১৬ রান খরচ করে ১ উইকেটও নিয়েছেন তিনি। একপ্রান্তে দর্শক বনে যাওয়া শফিক দিয়েছেন ‘ফিনিশিং টাচ’। ১৯তম ওভারের দ্বিতীয় বলে রাজাকে স্কয়ার লেগ দিয়ে চার মেরে পাকিস্তানকে এনে দেন ১০ উইকেটের বিশাল জয়।

বুলাওয়ের কুইন্স স্পোর্টস ক্লাবে আজ দ্বিতীয় ওয়ানডেতে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক ক্রেগ আরভিন। ৩.৫ ওভারে ২ উইকেটে ২৩ রানে পরিণত হয় স্বাগতিকেরা। এখান থেকে তৃতীয় উইকেটে ৫১ বলে ৩৮ রানের জুটি গড়েন আরভিন ও দিওন মায়ার্স। ১৪তম ওভারের তৃতীয় বলে মায়ার্সকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলে জুটি ভাঙেন আগা সালমান। আরভিনকেও দ্রুত ফিরিয়েছেন সালমান। দ্রুত ২ উইকেট হারিয়ে জিম্বাবুয়ের স্কোর হয়ে যায় ১৫ ওভারে ৪ উইকেটে ৬৮ রান।

জোড়া ধাক্কা খাওয়া জিম্বাবুয়ে এরপর দিশা খুঁজে পায় মিডল অর্ডারের ব্যাটিংয়ে। পঞ্চম ও ষষ্ঠ উইকেটে ২৯ ও ২৪ রানের দুটি জুটি গড়তে অবদান রেখেছেন উইলিয়ামস। যেখানে পঞ্চম ও ষষ্ঠ উইকেটে উইলিয়ামসের সঙ্গী ছিলেন সিকান্দার রাজা ও ব্রায়ান বেনেট। এখান থেকে ২৪ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৪৫ রানে গুটিয়ে যায় জিম্বাবুয়ে। ইনিংস সর্বোচ্চ ৩৩ রান করেন মায়ার্স। ৩০ বলে ৬ চার মারেন জিম্বাবুয়ের এই ব্যাটার। ম্যাচে পাকিস্তানের সেরা বোলার আবরার আহমেদ নিয়েছেন ৪ উইকেট। ওয়ানডে অভিষেকে আবরার বোলিং করেছেন ৮ ওভার। ২ ওভার মেডেন দিয়েছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত