নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম থেকে
চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে দুপুরের সূর্যটা তখন মাথার ওপরে। কিছুক্ষণ আগে আকাশে যে মেঘ ছিল, সেটাও সরে গেছে। ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় টেস্ট সেঞ্চুরি করতে যে ২৪ রান বাকি ছিল, সেটা মেহেদী হাসান মিরাজ পূর্ণ করেছেন লাঞ্চের পরে।
ওয়েসলি মাধেভেরের লেন্থ বলটা লেগ সাইডে শরীর ঘুরিয়ে হালকা টোকা মারেন মিরাজ। শর্ট ফাইন লেগে বল ঠেলে দিয়ে সিঙ্গেল নিয়ে মিরাজ তুলে নেন দ্বিতীয় টেস্ট সেঞ্চুরি। হেলমেট খুলে ব্যাট তুলে ড্রেসিংরুমে যেন বার্তা দিতে চাইলেন, মিশন শেষ। মুখে প্রশান্তির হাসি, চাপ-সত্ত্বেও আত্মবিশ্বাসের ছাপ ছিল স্পষ্ট। ক্রিকেটের রাজকীয় সংস্করণে যে সেঞ্চুরি করতে মিরাজকে অপেক্ষা করতে হয়েছে ৪ বছর ২ মাস ২৬ দিন।গ্যালারিতে দাঁড়িয়ে দর্শকেরা করতালিতে যেন বুঝিয়ে দিলেন এটা কেবল এক ইনিংস নয়। বরং বাংলাদেশের এক অলরাউন্ডারের আইকনে পরিণত হওয়ার অধ্যায়।
সেঞ্চুরি করার পথে ২০০০ রানের মাইলফলক ও ২০০-এর বেশি উইকেট—টেস্টে এই ডাবলের ক্লাবে নাম লেখালেন মিরাজ। ৫৩ টেস্টে এই কীর্তি গড়ে চতুর্থ দ্রুততম অলরাউন্ডার হিসেবে এমন বিরল রেকর্ড গড়লেন তিনি। মিরাজের সঙ্গে যৌথভাবে এই তালিকায় চারে রবীন্দ্র জাদেজা। ৪২ ম্যাচে ২০০০ রান ও ২০০ উইকেটের মাইলফলক ছুঁয়ে টেস্টে এই রেকর্ড দ্রুততম করার কীর্তি ইয়ান বোথামের। দুইয়ে থাকা ইমরান খান ও কপিল দেব—দুজনেরই এই কীর্তি গড়তে লেগেছে ৫০ টেস্ট। আর টেস্টের এই বিরল রেকর্ড করতে অশ্বিনকে খেলতে হয়েছে ৫১ টেস্ট।
দিনের শুরুতেই মিরাজ যদিও জীবন পেয়েছিলেন। ৮৯তম ওভারের দ্বিতীয় ভিনসেন্ট মাসেকেসার কাট শটে ব্যাটে গ্লাভস ছুঁয়ে স্লিপে যাওয়া বলটি তালুবন্দী করতে পারেননি উইকেটরক্ষক তাফাদজোয়া সিগা। এরপর ১১৮তম ওভারের চতুর্থ বলেই মিরাজকে এলবিডব্লিউ করেন মাসেকেসা। সে যাত্রায় রিভিউ নিয়ে বেঁচে যান মিরাজ।
মিরাজের ইনিংসের সৌন্দর্য তাঁর বাউন্ডারিতে। দশ চারের মধ্যে চারটিই এসেছে কাট-আপার কাট শটে। কাভার অঞ্চলে মেরেছেন তিন চার আর ডিপ থার্ডম্যান এলাকা দিয়ে মেরেছেন দুটি। সবচেয়ে সাবলীল খেলেছেন মাসেকেসার বিপক্ষে। জিম্বাবুয়ের এই লেগস্পিনারের বিপক্ষে মারেন সাতটি চার। যেগুলো এসেছে স্কয়ার এলাকা, ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্ট ও এক্সট্রা কাভার দিয়ে।
অনূর্ধ্ব–১৯ দলের অধিনায়ক থাকা অবস্থাতেই মিরাজের ব্যাটিং সত্ত্বা দেখা গিয়েছিল। ২০২১ সালে চট্টগ্রামে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরির দিনে। তখনও বাংলাদেশ ছিল ব্যাটিং সংকটে। আজ জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে গল্পটা একই। তাইজুল আউট হওয়ার পর বাংলাদেশের স্কোর ছিল ৮ উইকেটে ৩৪২ রান। তানজিম হাসান সাকিবকে নিয়ে নবম উইকেটে ৯৬ রানের মূল্যবান জুটি গড়তে অবদান রাখেন মিরাজ।
সেঞ্চুরি করতে মিরাজ আজ খেলেছেন ১৪৩ বল। শেষ পর্যন্ত ১৬২ বলে ১১ চার ও ১ ছক্কায় ১০৪ রান করে আউট হয়েছেন তিনি। প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ অলআউট ৪৪৪ রানে। এরই মধ্যে জিম্বাবুয়ে তাদের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং শুরু করেছে। চা পানের বিরতি পর্যন্ত ৯ ওভারে ২ উইকেটে ১৭ রান করেছে সফরকারীরা। জিম্বাবুয়ে এখনো ২০০ রান পিছিয়ে।
স্যার ইয়ান বোথাম | ৪২ |
---|---|
ইমরান খান, কপিল দেব | ৫০ |
রবিচন্দ্রন অশ্বিন | ৫১ |
রবীন্দ্র জাদেজা, মেহেদী হাসান মিরাজ | ৫৩ |
চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে দুপুরের সূর্যটা তখন মাথার ওপরে। কিছুক্ষণ আগে আকাশে যে মেঘ ছিল, সেটাও সরে গেছে। ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় টেস্ট সেঞ্চুরি করতে যে ২৪ রান বাকি ছিল, সেটা মেহেদী হাসান মিরাজ পূর্ণ করেছেন লাঞ্চের পরে।
ওয়েসলি মাধেভেরের লেন্থ বলটা লেগ সাইডে শরীর ঘুরিয়ে হালকা টোকা মারেন মিরাজ। শর্ট ফাইন লেগে বল ঠেলে দিয়ে সিঙ্গেল নিয়ে মিরাজ তুলে নেন দ্বিতীয় টেস্ট সেঞ্চুরি। হেলমেট খুলে ব্যাট তুলে ড্রেসিংরুমে যেন বার্তা দিতে চাইলেন, মিশন শেষ। মুখে প্রশান্তির হাসি, চাপ-সত্ত্বেও আত্মবিশ্বাসের ছাপ ছিল স্পষ্ট। ক্রিকেটের রাজকীয় সংস্করণে যে সেঞ্চুরি করতে মিরাজকে অপেক্ষা করতে হয়েছে ৪ বছর ২ মাস ২৬ দিন।গ্যালারিতে দাঁড়িয়ে দর্শকেরা করতালিতে যেন বুঝিয়ে দিলেন এটা কেবল এক ইনিংস নয়। বরং বাংলাদেশের এক অলরাউন্ডারের আইকনে পরিণত হওয়ার অধ্যায়।
সেঞ্চুরি করার পথে ২০০০ রানের মাইলফলক ও ২০০-এর বেশি উইকেট—টেস্টে এই ডাবলের ক্লাবে নাম লেখালেন মিরাজ। ৫৩ টেস্টে এই কীর্তি গড়ে চতুর্থ দ্রুততম অলরাউন্ডার হিসেবে এমন বিরল রেকর্ড গড়লেন তিনি। মিরাজের সঙ্গে যৌথভাবে এই তালিকায় চারে রবীন্দ্র জাদেজা। ৪২ ম্যাচে ২০০০ রান ও ২০০ উইকেটের মাইলফলক ছুঁয়ে টেস্টে এই রেকর্ড দ্রুততম করার কীর্তি ইয়ান বোথামের। দুইয়ে থাকা ইমরান খান ও কপিল দেব—দুজনেরই এই কীর্তি গড়তে লেগেছে ৫০ টেস্ট। আর টেস্টের এই বিরল রেকর্ড করতে অশ্বিনকে খেলতে হয়েছে ৫১ টেস্ট।
দিনের শুরুতেই মিরাজ যদিও জীবন পেয়েছিলেন। ৮৯তম ওভারের দ্বিতীয় ভিনসেন্ট মাসেকেসার কাট শটে ব্যাটে গ্লাভস ছুঁয়ে স্লিপে যাওয়া বলটি তালুবন্দী করতে পারেননি উইকেটরক্ষক তাফাদজোয়া সিগা। এরপর ১১৮তম ওভারের চতুর্থ বলেই মিরাজকে এলবিডব্লিউ করেন মাসেকেসা। সে যাত্রায় রিভিউ নিয়ে বেঁচে যান মিরাজ।
মিরাজের ইনিংসের সৌন্দর্য তাঁর বাউন্ডারিতে। দশ চারের মধ্যে চারটিই এসেছে কাট-আপার কাট শটে। কাভার অঞ্চলে মেরেছেন তিন চার আর ডিপ থার্ডম্যান এলাকা দিয়ে মেরেছেন দুটি। সবচেয়ে সাবলীল খেলেছেন মাসেকেসার বিপক্ষে। জিম্বাবুয়ের এই লেগস্পিনারের বিপক্ষে মারেন সাতটি চার। যেগুলো এসেছে স্কয়ার এলাকা, ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্ট ও এক্সট্রা কাভার দিয়ে।
অনূর্ধ্ব–১৯ দলের অধিনায়ক থাকা অবস্থাতেই মিরাজের ব্যাটিং সত্ত্বা দেখা গিয়েছিল। ২০২১ সালে চট্টগ্রামে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরির দিনে। তখনও বাংলাদেশ ছিল ব্যাটিং সংকটে। আজ জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে গল্পটা একই। তাইজুল আউট হওয়ার পর বাংলাদেশের স্কোর ছিল ৮ উইকেটে ৩৪২ রান। তানজিম হাসান সাকিবকে নিয়ে নবম উইকেটে ৯৬ রানের মূল্যবান জুটি গড়তে অবদান রাখেন মিরাজ।
সেঞ্চুরি করতে মিরাজ আজ খেলেছেন ১৪৩ বল। শেষ পর্যন্ত ১৬২ বলে ১১ চার ও ১ ছক্কায় ১০৪ রান করে আউট হয়েছেন তিনি। প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ অলআউট ৪৪৪ রানে। এরই মধ্যে জিম্বাবুয়ে তাদের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং শুরু করেছে। চা পানের বিরতি পর্যন্ত ৯ ওভারে ২ উইকেটে ১৭ রান করেছে সফরকারীরা। জিম্বাবুয়ে এখনো ২০০ রান পিছিয়ে।
স্যার ইয়ান বোথাম | ৪২ |
---|---|
ইমরান খান, কপিল দেব | ৫০ |
রবিচন্দ্রন অশ্বিন | ৫১ |
রবীন্দ্র জাদেজা, মেহেদী হাসান মিরাজ | ৫৩ |
হারারেতে এ সপ্তাহের সোমবার দক্ষিণ আফ্রিকা-জিম্বাবুয়ে ম্যাচ দিয়ে শুরু হয়েছিল ত্রিদেশীয় সিরিজ। সেই ম্যাচে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২৫ বল হাতে রেখে ৫ উইকেটের সহজ জয় পেয়েছিল প্রোটিয়ারা। জিম্বাবুয়ে আজ খেলবে টুর্নামেন্টে প্রথম জয় খুঁজতে। বাংলাদেশ সময় আজ বেলা ৫টায় হারারেতে শুরু হবে জিম্বাবুয়ে-নিউজিল্যান্ড ম্যাচ
৭ মিনিট আগেদিয়োগো জোতার মৃত্যুর ১৫ দিন পেরিয়ে গেলেও তিনি যে অমর হয়ে আছেন সকলের মনে। টেনিস কোর্ট, ক্রিকেট স্টেডিয়াম—সব খানেই তাঁকে স্মরণ করছেন খেলোয়াড় থেকে শুরু করে ভক্ত-সমর্থকেরা। এবার ইংল্যান্ডের একটি ফুটবল ক্লাবের হল অব ফেমে নাম উঠে গেল জোতার।
২৪ মিনিট আগেপ্রথমে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি, এরপর টেস্ট থেকে অবসর নিয়েছেন বিরাট কোহলি। তবু তাঁর ব্যাটিং, মাঠে প্রতিপক্ষ ব্যাটারদের উইকেটের সময় বুনো উল্লাস, স্লেজিং—বিভিন্ন কারণে ভারতীয় তারকা ব্যাটারকে এখনো মিস করেন অনেকেই।
১ ঘণ্টা আগেএশিয়ার প্রথম দেশ হিসেবে ১৯৩৮ সালে বিশ্বকাপ খেলেছিল ইন্দোনেশিয়া। তখন অবশ্য ‘ডাচ ইস্ট ইন্ডিজ’ বলা হতো তাদের। নেদারল্যান্ডসের উপনিবেশ থেকে বেরিয়ে ১৯৪৫ সালে স্বাধীনতা অর্জনের পর কখনো বিশ্বকাপ খেলতে পারেনি। এবার স্বপ্ন পূরণের খুব কাছে দাঁড়িয়ে তারা।
২ ঘণ্টা আগে