রাজনৈতিক বৈরিতায় ভারত-পাকিস্তান দ্বিপাক্ষিক সিরিজ হয় না ১১ বছর। দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী মুখোমুখি হওয়ার সুযোগ পায় আইসিসি ইভেন্ট ও এশিয়া কাপে। এমনকি পাকিস্তানের মাঠে কোনো টুর্নামেন্ট আয়োজন করা হলেও তা নিয়ে আপত্তি থাকে ভারতের। ২০২৫ চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে ভারতের ম্যাচগুলো লাহোরে আয়োজনের চিন্তা রয়েছে পাকিস্তানের।
২০২৫ আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি আয়োজন হবে সম্ভবত ফেব্রুয়ারিতে। করাচি, লাহোর, রাওয়ালপিন্ডি—মিনি বিশ্বকাপ খ্যাত আইসিসির এই টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে এই তিন ভেন্যুর প্রস্তাব দিয়েছে আয়োজক দলটি। ক্রিকইনফো জানতে পেরেছে, টুর্নামেন্টে ভারতের সব ম্যাচ হবে লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে। টুর্নামেন্টটির ফাইনালও হতে পারে লাহোরে। ভারতীয় ক্রিকেট দলের ভ্রমণঝক্কি এড়াতেই মূলত সব ম্যাচ একই ভেন্যুতে দেওয়া। লাহোরে ম্যাচ হলে প্রতিবেশী দেশ ভারতের ভক্ত-সমর্থকদের জন্যও খেলা দেখতে যাওয়া তুলনামূলক সহজ হবে। পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের ওয়াগা সীমান্ত থেকে লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামের দূরত্ব ২৯ কিলোমিটার।
আইসিসির কাছে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির খসড়া সূচি এরই মধ্যে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) চেয়ারম্যান মোহসিন নাকভি। চলতি সপ্তাহের শুরুতে তিনি জানিয়েছেন যে আইসিসির নিরাপত্তা দল পাকিস্তানে এসেছে। পাকিস্তানের নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়ে আইসিসি সন্তোষ প্রকাশ করেছে বলে জানা গেছে নাকভির কথায়। ভারতীয় দল পাকিস্তানে খেলতে যাবে কি যাবে না, সে ব্যাপারেও কথা বলেছেন তিনি। যেখানে নিরাপত্তার অজুহাতে প্রতিবেশী দেশে খেলতে বারবার আপত্তি জানায় ভারত।
ভারতীয় ক্রিকেট দল সবশেষ পাকিস্তান সফরে যায় ২০০৮ এশিয়া কাপ খেলতে। একই বছরের নভেম্বরে মুম্বাই হামলার পর দুই প্রতিবেশী দেশের সম্পর্ক ক্রমশ খারাপ হতে থাকে। কয়েক মাস পর ২০০৯ সালের মার্চে লাহোরে শ্রীলঙ্কার ক্রিকেট বাসে হামলার পর পাকিস্তানে ক্রিকেট একরকম নির্বাসিত হয়ে পড়ে। ২০১৫ সালে পাকিস্তানে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফেরার পর বাংলাদেশ, অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকাসহ অনেক দলই সেখানে (পাকিস্তানে) খেলতে গেছে। এমনকি পিএসএলেও বিদেশি ক্রিকেটাররা পাকিস্তান সফর করেছেন। তবে পাকিস্তানে যায়নি ভারত। ২০২৩ এশিয়া কাপের আয়োজক স্বত্ব পাকিস্তানের থাকলেও ভারতের ঘোরতর আপত্তি ছিল। ফলে হাইব্রিড মডেলে শ্রীলঙ্কা-পাকিস্তানে আয়োজিত হয়েছে গত বছরের এশিয়া কাপ। ২০২৫ চ্যাম্পিয়নস ট্রফির জন্যও হাইব্রিড মডেলের প্রস্তাব দেওয়া হয়।
রাষ্ট্রীয় দিক থেকে ভারত-পাকিস্তানের সম্পর্ক যতই খারাপ থাকুক, দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর লড়াইয়ের উত্তাপ আছে আগের মতোই। বিশ্বের যে স্টেডিয়ামেই ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ হোক না কেন, গ্যালারি থাকে কানায় কানায় ভর্তি। ২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে (এমসিজি) দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর ম্যাচে দর্শকসংখ্যা প্রায় ১ লাখ ছুঁয়েছিল। ২০১৭ সালে আয়োজিত সবশেষ চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ফাইনালেও মুখোমুখি হয় ভারত-পাকিস্তান। ভারতকে ১৮০ রানে হারিয়ে প্রথমবারের মতো টুর্নামেন্টটির শিরোপা জেতে পাকিস্তান।
আরও পড়ুন:
রাজনৈতিক বৈরিতায় ভারত-পাকিস্তান দ্বিপাক্ষিক সিরিজ হয় না ১১ বছর। দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী মুখোমুখি হওয়ার সুযোগ পায় আইসিসি ইভেন্ট ও এশিয়া কাপে। এমনকি পাকিস্তানের মাঠে কোনো টুর্নামেন্ট আয়োজন করা হলেও তা নিয়ে আপত্তি থাকে ভারতের। ২০২৫ চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে ভারতের ম্যাচগুলো লাহোরে আয়োজনের চিন্তা রয়েছে পাকিস্তানের।
২০২৫ আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি আয়োজন হবে সম্ভবত ফেব্রুয়ারিতে। করাচি, লাহোর, রাওয়ালপিন্ডি—মিনি বিশ্বকাপ খ্যাত আইসিসির এই টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে এই তিন ভেন্যুর প্রস্তাব দিয়েছে আয়োজক দলটি। ক্রিকইনফো জানতে পেরেছে, টুর্নামেন্টে ভারতের সব ম্যাচ হবে লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে। টুর্নামেন্টটির ফাইনালও হতে পারে লাহোরে। ভারতীয় ক্রিকেট দলের ভ্রমণঝক্কি এড়াতেই মূলত সব ম্যাচ একই ভেন্যুতে দেওয়া। লাহোরে ম্যাচ হলে প্রতিবেশী দেশ ভারতের ভক্ত-সমর্থকদের জন্যও খেলা দেখতে যাওয়া তুলনামূলক সহজ হবে। পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের ওয়াগা সীমান্ত থেকে লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামের দূরত্ব ২৯ কিলোমিটার।
আইসিসির কাছে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির খসড়া সূচি এরই মধ্যে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) চেয়ারম্যান মোহসিন নাকভি। চলতি সপ্তাহের শুরুতে তিনি জানিয়েছেন যে আইসিসির নিরাপত্তা দল পাকিস্তানে এসেছে। পাকিস্তানের নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়ে আইসিসি সন্তোষ প্রকাশ করেছে বলে জানা গেছে নাকভির কথায়। ভারতীয় দল পাকিস্তানে খেলতে যাবে কি যাবে না, সে ব্যাপারেও কথা বলেছেন তিনি। যেখানে নিরাপত্তার অজুহাতে প্রতিবেশী দেশে খেলতে বারবার আপত্তি জানায় ভারত।
ভারতীয় ক্রিকেট দল সবশেষ পাকিস্তান সফরে যায় ২০০৮ এশিয়া কাপ খেলতে। একই বছরের নভেম্বরে মুম্বাই হামলার পর দুই প্রতিবেশী দেশের সম্পর্ক ক্রমশ খারাপ হতে থাকে। কয়েক মাস পর ২০০৯ সালের মার্চে লাহোরে শ্রীলঙ্কার ক্রিকেট বাসে হামলার পর পাকিস্তানে ক্রিকেট একরকম নির্বাসিত হয়ে পড়ে। ২০১৫ সালে পাকিস্তানে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফেরার পর বাংলাদেশ, অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকাসহ অনেক দলই সেখানে (পাকিস্তানে) খেলতে গেছে। এমনকি পিএসএলেও বিদেশি ক্রিকেটাররা পাকিস্তান সফর করেছেন। তবে পাকিস্তানে যায়নি ভারত। ২০২৩ এশিয়া কাপের আয়োজক স্বত্ব পাকিস্তানের থাকলেও ভারতের ঘোরতর আপত্তি ছিল। ফলে হাইব্রিড মডেলে শ্রীলঙ্কা-পাকিস্তানে আয়োজিত হয়েছে গত বছরের এশিয়া কাপ। ২০২৫ চ্যাম্পিয়নস ট্রফির জন্যও হাইব্রিড মডেলের প্রস্তাব দেওয়া হয়।
রাষ্ট্রীয় দিক থেকে ভারত-পাকিস্তানের সম্পর্ক যতই খারাপ থাকুক, দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর লড়াইয়ের উত্তাপ আছে আগের মতোই। বিশ্বের যে স্টেডিয়ামেই ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ হোক না কেন, গ্যালারি থাকে কানায় কানায় ভর্তি। ২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে (এমসিজি) দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর ম্যাচে দর্শকসংখ্যা প্রায় ১ লাখ ছুঁয়েছিল। ২০১৭ সালে আয়োজিত সবশেষ চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ফাইনালেও মুখোমুখি হয় ভারত-পাকিস্তান। ভারতকে ১৮০ রানে হারিয়ে প্রথমবারের মতো টুর্নামেন্টটির শিরোপা জেতে পাকিস্তান।
আরও পড়ুন:
বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের সংগঠন ক্রিকেটার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (কোয়াব) নির্বাচন হবে আগামী ৪ সেপ্টেম্বর। আজ (শনিবার) বিকেলে বিসিবি কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত অ্যাডহক কমিটির বৈঠকে নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু এই নির্বাচনে তামিম ইকবাল কি কোনো প্রার্থী হবেন? বিশেষ করে তাঁর সভাপতি
১ ঘণ্টা আগেসিঙ্গাপুর ম্যাচ ঘিরে কতই উন্মাদনা ছিল। কিন্তু সেসব বিষাদে পরিণত হয় ঘরের মাঠে বাংলাদেশের ২-১ গোলের হারে। প্রায় দুই মাস পেরোলেও সেই হারের রেশ এখনো কাটেনি। কোচ হাভিয়ের কাবরেরা প্রশ্নের মুখে পড়েছেন বারংবার। তাঁর কৌশল নিয়ে খোদ বাফুফের ভেতরেই চলছে সমালোচনা।
১ ঘণ্টা আগে২০২৫ এশিয়া কাপের প্রাথমিক দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। ২৫ জনের প্রাথমিক দলে নুরুল হাসান সোহান থাকলেও তাঁর প্রস্তুতি ক্যাম্পের বেশির ভাগ সময়েই থাকা হচ্ছে না। আগামী ৭ আগস্ট সোহানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ ‘এ’ দল যাচ্ছে অস্ট্রেলিয়ায়। ‘এ’ দলের সফর শেষ হবে আগস্টের শেষ সপ্তাহে। প্রাথমিক দল
২ ঘণ্টা আগেট্রাজেডি—শব্দটি যেন মোহাম্মদ সিরাজের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। উদাহরণ দিতে চাইলে এই সিরিজেরই অনেক কিছু মুহূর্ত তুলে ধরতে পারেন সিরাজ। লর্ডসে অদ্ভুতভাবে বোল্ড হয়ে ঠাঁয় দাঁড়িয়ে থাকার সেই দৃশ্য, বোলারদের ক্যাচ মিসের পর হতাশাচ্ছন্ন মুখ, একের পর এক ক্লান্তিকর স্পেল, এমনকি ব্রুকের ক্যাচ নিয়েও
২ ঘণ্টা আগে