Ajker Patrika

আমরা ডাচ ক্রিকেটের বিজ্ঞাপন হতে চেয়েছি

বোরহান জাবেদ, চট্টগ্রাম
আমরা ডাচ ক্রিকেটের বিজ্ঞাপন হতে চেয়েছি

ম্যাক্স প্যাট্রিক ও’ডাউড প্রথমবার বাংলাদেশে এসেছেন। বিপিএলে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জসার্সের হয়ে নেদারল্যান্ডসের ২৮ বছর বয়সী ওপেনার শুধু লম্বা সোনালি চুলেই নয়, নজর কেড়েছেন ব্যাট হাতেও। পরশু চট্টগ্রামে টিম হোটেলে ম্যাক্স ও’ডাউড কথা বললেন আজকের পত্রিকার সঙ্গে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বোরহান জাবেদ।

প্রশ্ন: বিপিএল কেমন উপভোগ করছেন? 
ম্যাক্স ও’ডাউড: প্রথমবার বাংলাদেশে এসেছি, দারুণ লাগছে। এখানকার মানুষজন অসাধারণ, আমার সতীর্থরাও। ক্রিকেট নিয়ে বাংলাদেশের দর্শক, সংবাদমাধ্যমের অভূতপূর্ব আবেগের সাক্ষী হচ্ছি। আমার কখনোই এমন অভিজ্ঞতা হয়নি, নেদারল্যান্ডসের হয়ে খেলার সময়ও না।

প্রশ্ন: আপনার ক্যারিয়ার তো অনেক ঘটনাবহুল...। 
ও’ডাউড: আমার বাবা কিউই, মা ডাচ। ৫-১৩ বছর পর্যন্ত নেদারল্যান্ডসে ছিলাম। সেখানে অনূর্ধ্ব-৯,১০, ১১ ক্রিকেট খেলেছি। তারপর নিউজিল্যান্ডে যাই। অকল্যান্ডের হয়ে অনূর্ধ্ব-১৫,১৬, ১৭,১৯ এবং ‘এ’ দলের হয়ে খেলেছি। এখানে আসার আগে অকল্যান্ড মূল দলের হয়ে খেলেছি। নিউজিল্যান্ডের গ্রীষ্মে সেখানে থাকি, নেদারল্যান্ডসের গ্রীষ্মে মায়ের দেশে ফিরে আসি। নেদারল্যান্ডসের খেলা হলে আমি তাদের জন্য উন্মুক্ত থাকি। হ্যাঁ, আমার ক্যারিয়ার অনেক ঘটনাবহুল। আমার নিজেকে নিজে তৈরি করতে হয়েছে। আমি ভালো ক্রিকেটার হয়েছি গত ৪-৫ বছরে। যখন ছোট ছিলাম, নিউজিল্যান্ডের হয়ে খেলা আমার স্বপ্ন ছিল। কিন্তু এই মুহূর্তে আমি যেই অবস্থানে আছি, কৃতিত্ব নেদারল্যান্ডসের। তারা আমাকে অনেক সুযোগ-সুবিধা দিয়েছে। নেদারল্যান্ডসের হয়ে খেলা আমার জন্য গর্বের। আমি তাদের হয়ে খেলতে ভালোবাসি, এটা আমি সব সময় করে যেতে চাই।

প্রশ্ন: স্বেচ্ছায় নেদারল্যান্ডসকে বেছে নেওয়া নাকি অনেকটা বাধ্য হয়ে?
ও’ডাউড: প্রায় ২৫ বছর পর্যন্ত আমার ক্যারিয়ারের উন্নতি খুব ভালো ছিল না। ২৩ বছর বয়সে নেদারল্যান্ডসের হয়ে খেলা শুরু করি। সব সময় সর্বোচ্চ পর্যায়ে খেলতে চেয়েছি। দল কোন দিকে মনোযোগ দিতে চেয়েছে, সেটার চেয়ে নিজে ভালো ক্রিকেটার হতে চেয়েছি। যখন দলের ইচ্ছে অগ্রাধিকার দিয়ে ভালো ক্রিকেটার হতে চেয়েছি, তখন ব্যাপারগুলো পরিবর্তন হতে থাকে। প্রচুর রান করা শুরু করি। এটা আসলে বেছে নেওয়া ছিল না, স্রেফ ঘটে গেছে। 

প্রশ্ন: টেস্ট খেলতে না পারার আক্ষেপ কাজ করে? 
ও’ডাউড: সত্যি কথা বলতে, এটা নিয়ে চিন্তিত নই। আমি বর্তমানে যেখানে আছি, এটা নিয়েই ভালো আছি। আমি রান করতে চাই, সেটা হতে পারে চট্টগ্রাম, অকল্যান্ড অথবা নেদারল্যান্ডসের হয়ে। বাকি যেটা ঘটবে, সেটা তখন দেখা যাবে। 

প্রশ্ন: টার্ফে ১০ ওভারের ক্রিকেটই কি আপনার হিটিং স্কিল বাড়িয়েছে? 
ও’ডাউড: একদম। ইউরোপীয় ক্রিকেট লিগে খেলেছি, মজার লিগ। এটা অপেশাদার একটা লিগ, যেখানে পুরো ইউরোপের ক্লাব ক্রিকেটাররা খেলে। আমার এটার প্রথম মৌসুমে খেলার সৌভাগ্য হয়েছিল। ওখানে যারা খেলে, তাদের অনেকে টাকাও পায় না। আমি, ডাচ ক্যাপ্টেন স্কট এডওয়ার্ডসও খেলেছিল ওই লিগে। আমরা পেশাদার হিসেবে খেলি। টি-১০ ক্রিকেট পাওয়ার আর গতির বিষয়। ওখানে খেলে আমার উন্নতি হয়েছে। সবচেয়ে বড় কথা, ওই লিগে খেলে আমার আত্মবিশ্বাস বেশ বেড়েছে। 
 
প্রশ্ন: বিপিএলে আপনার আরও কয়েকজন ডাচ সতীর্থ খেলছেন। 
ও’ডাউড: বিপিএলে আমি, কলিন অ্যাকারম্যান, পল ফন মিকেরেন খেলছি। ফ্রেড ক্ল্যাসেন, টিম প্রিঙ্গল দুবাইয়ে টি-টেন খেলে গেছে। এটা দারুণ। এই ধরনের অভিজ্ঞতা আমাদের আগে হয়নি। বাংলাদেশসহ বিশ্বের নানা দেশের খেলোয়াড়দের সঙ্গে মেশা, ড্রেসিংরুম শেয়ার করা, দারুণ এক অভিজ্ঞতা। দারুণ একটি (২০২২) বিশ্বকাপ গিয়েছিল আমাদের। ছেলেরা অনেক জায়গায় খেলার সুযোগ পাচ্ছে। আমরা সবাই এটাই চেয়েছিলাম। আমরা ডাচ ক্রিকেটের বিজ্ঞাপন হতে চেয়েছি। আমরা কতটা ভালো আর কতটা খেলতে পারি, সেটা বিশ্বের সামনে দেখাতে চেয়েছিলাম। সেই সুযোগটা এখানে পাচ্ছি। আশা করি ছেলেরা সামনে আরও সুযোগ পাবে। ডাচ ক্রিকেটও ক্রিকেটের ক্যালেন্ডারে ভালোভাবে জায়গা করে নিতে পারবে। 

প্রশ্ন: বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সঙ্গে ম্যাচের কথা নিশ্চয়ই মনে আছে। এখনো কি মনে হয় আপনি রানআউট না হলে ভিন্ন ফল হতে পারত? 
ও’ডাউড: একটু ভেবে...হাসি। ম্যাচটা আসলেই অনেক ক্লোজ ছিল। আমাদের জন্য বিশ্বকাপে সম্ভবত সবচেয়ে হতাশার ম্যাচ। এই ম্যাচটা আমরা সবচেয়ে খারাপ খেলেছি এবং আমরা ৮ (আসলে ৯) রানে হেরেছি। পাওয়ার প্লেতে ৪ উইকেট হারানোর পরই আমরা ম্যাচ থেকে ছিটকে গিয়েছিলাম, এর দুটো রানআউট। তারপর যতটা সম্ভব ম্যাচে থাকার চেষ্টা করেছে। বলতে পারেন আমি, বাস (বাস ডি লিড), টম কুপার—কেউ একজন থাকলে হয়তো ম্যাচের ফল ভিন্ন হতে পারত। কিন্তু আমরা জানি, বাংলাদেশ কতটা ভালো দল। যেকোনো কিছুই ঘটতে পারত। পরে যখন বাংলাদেশের সঙ্গে খেলা হবে আশা করি আমরা সেরাটা দেখাতে পারব। 

প্রশ্ন: ২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর নেদারল্যান্ডসের পরবর্তী লক্ষ্য কী? 
ও’ডাউড: এর মধ্যে আমরা বিশ্বকাপের কিছু ফল পেয়েছি। আমরা কয়েকজন ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে খেলছি। আরও যারা নেদারল্যান্ডসে আছে, তারা অনেক প্রতিভাবান। আমরা বড় মঞ্চে সুযোগের অপেক্ষায় আছি। মার্চে জিম্বাবুয়েতে খেলতে যাব। আমরা দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে খেলব। এরপর আমরা ২০২৪ বিশ্বকাপের প্রস্তুতি নেব। 
 
প্রশ্ন: বিশ্বকাপের পর ডাচ ক্রিকেট নিয়ে মানুষের আগ্রহ কি বেড়েছে? 
ও’ডাউড: ক্রিকেটের ব্যাপারে খুব একটা আগ্রহী না। খুবই অল্প সংখ্যায় খেলোয়াড় ওখানে। ফুটবল ও হকি ওখানকার প্রধান খেলা। ভালো খেলার মাধ্যমে আমরা কিছু চেষ্টা করছি। আশা করছি ধীরে ধীরে মানুষ আগ্রহী হবে। আরও কিছু পৃষ্ঠপোষক পাওয়ার আশা করছি। 

প্রশ্ন: বাংলাদেশে এই পার্থক্যটা কেমন দেখছেন? 
ও’ডাউড: একেবারেই ভিন্ন। ক্রিকেট নিয়ে মানুষের আবেগ, এটার সঙ্গে কিছু তুলনা হয় না। সংবাদকর্মীরা সব সময় খেলোয়াড়দের পিছে ছুটছে, খবর হচ্ছে, মাঠে দর্শক—এটা অবিশ্বাস্য। উপমহাদেশে ক্রিকেটের আবেগ অবিশ্বাস্য। মানুষ খেলাটা ধর্মের মতো ভালোবাসে। কিন্তু নেদারল্যান্ডস এটার সিকিভাগও নেই। ক্রিকেট নিয়ে মানুষের ধারণা খুব একটা নেই। সেখানে আমি কোনো বাধা ছাড়াই বাইরে ঘুরি। কিন্তু এখানে মনে হয় বাইরে হাঁটার সময় মানুষ আমাকে চিনতে পারবে। সেলফি তুলতে চাইবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ইংল্যান্ডকে ধবলধোলাই করে ৪৩ বছর আগের স্মৃতি ফেরাল নিউজিল্যান্ড

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ০১ নভেম্বর ২০২৫, ১৫: ৪০
শেষ ওয়ানডেতে ২ উইকেটের জয় তুলে নিয়েছে কিউইরা। ছবি: এক্স
শেষ ওয়ানডেতে ২ উইকেটের জয় তুলে নিয়েছে কিউইরা। ছবি: এক্স

শেষ ওয়ানডেটা দুই দলের জন্য ছিল দুই রকমের। আগেই সিরিজ জেতায় কিউইদের জন্য ম্যাচটি শুধু আনুষ্ঠানিকতার হয়ে দাঁড়ায়। অন্যদিকে তিন ম্যাচ সিরিজের শেষ ওয়ানডেটা ইংল্যান্ডের জন্য ছিল মান বাঁচানো ও ধবলধোলাই এড়ানোর মিশন। কিন্তু শেষটাতেও সান্ত্বনার জয় পায়নি ইংলিশরা।

শেষ ম্যাচে তাঁদের ২ উইকেটে হারিয়েছে নিউজিল্যান্ড। সেই সঙ্গে হ্যারি ব্রুকের দলকে ৩-০ ব্যবধানে ধবলধোলাই করল ব্ল্যাক ক্যাপসরা। ইউরোপের দলটিকে দ্বিতীয়বারের মতো ধবলধোলাই করার স্বাদ পেল তারা। এর আগে সর্বশেষ ১৯৮২ সালে ইংল্যান্ডকে ৩-০ ব্যবধানে হারিয়েছিল দলটি।

ওয়েলিংটনের রিজিওনাল স্টেডিয়ামে ব্লেয়ার টিকনার, জ্যাকব ডাফিদের বোলিং তোপে পড়ে লড়াইয়ের পুঁজিই পায়নি ইংল্যান্ড। ৪০.২ ওভারে ২২২ রানে অলআউট হয় তারা। সফরকারীদের প্রথম সারির ৫ ব্যাটারের মধ্যে সর্বোচ্চ ১১ রান করেন জ্যাকব বেথেল। অন্যরা আটকে যান এক অঙ্কের ঘরে। শুরুর ব্যাটিং ব্যর্থতার পর জেমি ওভারটনের ফিফটি ও জস বাটলার ও ব্রাইডন কার্সের দুটি মাঝারি মানের ইনিংসে ভর করে ২০০ ছাড়ানো সংগ্রহ পায় দলটি।

৬২ বলে ৬৮ রানের ইনিংস খেলেন ওভারটন। ৩৮ রান আসে বাটলারের ব্যাট থেকে। ৩৬ রান করেন কার্স। জোফরা আর্চার এনে দেন ১৬ রান। ৪ উইকেট নেন টিকনার। ৬৪ রান খরচ করেন এই পেসার। ৫৬ রানে ৩ উইকেট নেন ডাফি। জাকারি ফোকসের শিকার দুটি।

জবাব দিতে নেমে ৭৮ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়েন ডেভন কনওয়ে ও রাচিন রবীন্দ্র। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে ২০০ রানের কোটায় যাওয়ার আগেই ৮ উইকেটের দলে পরিণত হয় নিউজিল্যান্ড। এরপরও অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার সাক্ষী হতে হয়নি তাদের। ৪৬ রান করেন রবীন্দ্র।

৪৪ রান আসে ড্যারেল মিচেলের ব্যাট থেকে। ৩৪ রান করেন কনওয়ে। শেষ দিকে হারের শঙ্কা জাগলেও ৩২ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ে দলের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন ফোকস ও টিকনার। এই দুজন ১৪ ও ১৮ রানে অপরাজিত থাকেন। ইংল্যান্ডের হয়ে ওভারটন ও স্যাম কারান দুটি করে উইকেট নেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ভারতের ‘হুমকি’, দুই দিনের মধ্যে এশিয়া কাপের ট্রফি বুঝিয়ে দিতে হবে

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ০১ নভেম্বর ২০২৫, ১৫: ৫১
এখনো এশিয়া কাপের ট্রফি পায়নি ভারত। ছবি: এক্স
এখনো এশিয়া কাপের ট্রফি পায়নি ভারত। ছবি: এক্স

এশিয়া কাপ শেষ হয়েছে এক মাসের বেশি সময় আগে। তবে ট্রফি ইস্যুতে এখনো মহাদেশীয় টুর্নামেন্টটির রেশ কাটেনি। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানকে হারিয়ে এশিয়া কাপের শিরোপা জিতেছে ভারত। এখনো ট্রফি বুঝে পায়নি সূর্যকুমার যাদবের দল।

বিষয়টি নিয়ে কিছুদিন ধরে অনেক নাটক হয়েছে। এবার এশিয়া কাপ ট্রফি ইস্যুতে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলকে (এসিসি) রীতিমতো হুমকি দিয়ে রাখলেন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) সচিব দেবজিত সাইকিয়া। দুই দিনের মধ্যে ট্রফি না পেলে আইসিসির বোর্ড সভায় ঝড় তোলার বার্তা দিয়ে রাখলেন তিনি।

এসিসির সভাপতি মহসিন নাকভি। তিনি পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) সভাপতি। ফাইনালের পর তাঁর কাছ থেকে ট্রফি নিতে অস্বীকৃতি জানায় ভারতীয় দল। নাকভিও ছাড় দেননি বিন্দুমাত্র। তিনি জানান, ট্রফি নিতে চাইলে এসিসির সদর দপ্তরে যেতে হবে ভারতীয় দলের কোনো প্রতিনিধিকে। এই প্রস্তাবে রাজি হয়নি বিসিসিআই। তাই এশিয়া কাপের ট্রফি ইস্যুতে এখনো রশি-টানাটানি চলছেই। আগামী মঙ্গলবার দুবাইয়ে পরবর্তী আইসিসি সভা অনুষ্ঠিত হবে। তার আগে সম্প্রতি ট্রফি চেয়ে এসিসির কাছে চিঠি দেয় বিসিসিআই। সংস্থাটির চাওয়া, ট্রফি ভারতে পৌঁছে দিক এসিসি।

বার্তা সংস্থা পিটিআইকে সাইকিয়া বলেন, ‘এক মাসের বেশি অতিবাহিত হলেও আমরা ট্রফি পাইনি। এ জন্য আমরা অসন্তুষ্ট। ব্যাপারটি নিয়ে আলোচনা করে যাচ্ছি। ১০ দিন আগে এসিসিকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। অবস্থানের কোনো পরিবর্তন হয়নি। তারা তাদের কাছে ট্রফি রেখেছে। আমাদের আশা, দু-এক দিনের মধ্যে বিসিসিআই অফিসে ট্রফি বুঝিয়ে দিয়ে যাওয়া হবে।’

ট্রফি নিয়ে দেশবাসীকে আশ্বস্ত করেছেন বিসিসিআই সচিব, ‘বিষয়টি কীভাবে সামাল দিতে হবে বিসিসিআই সেটার প্রস্তুতি নিয়েছে। ভারতীয় জনগণকে নিশ্চয়তা দিচ্ছি যে ট্রফি এখন ভারতে ফিরবেই। এটা শুধু সময়ের ব্যবধান। সময় চূড়ান্ত না হলেও একদিন না একদিন আমরা ট্রফি পাবই।’

ট্রফির ইস্যুতে নাকভিকে খোঁচা দিতেও ভোলেননি সাইকিয়া, ‘এশিয়া কাপে আমরা পাকিস্তানের বিপক্ষে সব ম্যাচ জিতেছি। চ্যাম্পিয়নও হয়েছি। তবে ট্রফি আমাদের হাতে নেই। আশা করব, এসিসি সভাপতির বুদ্ধির উদয় হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেন আইয়ার, ভারত ফিরবেন কবে

ক্রীড়া ডেস্ক    
আরও কিছুদিন চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে থাকতে হবে আইয়ারকে। ছবি: এক্স
আরও কিছুদিন চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে থাকতে হবে আইয়ারকে। ছবি: এক্স

চোট পেয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার দুই দিনের মাথায় শ্রেয়াশ আইয়ারকে নিয়ে স্বস্তি ফেরে। তাই হাসপাতাল থেকে তাঁর ছাড়া পাওয়া ছিল কেবলমাত্র সময়ের ব্যাপার। অবশেষে এল সেই সময়। ভর্তি হওয়ার এক সপ্তাহের মাথায় হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেন আইয়ার।

তারকা ব্যাটারের হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)। তবে এখনই ভারতে ফেরা হচ্ছে না তাঁর। আরও কিছুদিন থাকতে হবে চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে। চিকিৎসকরা ছাড়পত্র দেওয়ার পরই বিমানে চড়তে পারবেন আইয়ার।

আজ এক বিবৃবিতে বিসিসিআই জানিয়েছে, ‘আইয়ারকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তাঁর চোট চিহ্নিত করতে বেশি সময় লাগেনি। কিছু ব্যবস্তা নেওয়ার পর রক্তক্ষরণ বন্ধ হয়ে যায়। এরপর থেকেই যথাযথ চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল। বর্তমানে তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল। উন্নতির মাত্রাও চোখে পড়ার মতো। বিসিসিআইয়ের মেডিকেল বিভাগ এবং সিডনি ও ভারতের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা তার অগ্রগতিতে সন্তুষ্ট।’

আইয়ারকে দ্রুত সুস্থ করে তোলায় চিকিৎসকদের প্রতি কৃতজ্ঞ বিসিসিআই, ‘আইয়ারের জন্য ভালো মানের চিকিৎসার ব্যবস্থা করায় সিডনিতে ড. কৌরুশ হাঘিগি ও তার দল এবং ভারতে ড. ডিনশ পার্দিওলা ও তার দলের কাছে বিসিসিআই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছে। পরবর্তী পরামর্শ ও প্রক্রিয়ার জন্য আইয়ার আপাতত আরও কিছুদিন সিডনিতেই থেকে যাবে। বিমান উঠার মতো অবস্থা তৈরি হলে সে ভারত ফিরবে।’

অস্ট্রেলিয়া সফরে ২–১ ব্যবধানে ওয়ানডে সিরিজ হেরে যায় ভারত। শেষ ম্যাচে গত ২৫ অক্টোবর ৯ উইকেটের জয়ে ধবলধোলাই এড়ায় সফরকারী দল। জয়ের দিনে ফিল্ডিংয়ের সময় চোট পান আইয়ার। পরদিন তাঁকে সিডনির একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এমনকি অবস্থার অবনতি হওয়ায় আইসিইউতেও নেওয়া হয়েছিল এই ব্যাটারকে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

জাকেরের 'চুইংগাম ইস্যু'কে ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ মনে করেন আসিফ

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ০১ নভেম্বর ২০২৫, ১৩: ০৪
সময়টা ভালো যাচ্ছে না জাকের আলী অনিকের।
সময়টা ভালো যাচ্ছে না জাকের আলী অনিকের।

ফর্মে না থাকলে ক্রিকেটারদের ট্রল করতে ছাড়েন না এ দেশের ভক্তরা। বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের যে কয়েকজন ক্রিকেটারকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশি ট্রল হচ্ছে, জাকের আলী অনিক তাঁদের মধ্যে অন্যতম। বিষয়টি নিয়ে এবার কথা বলেছেন নামকরা সংগীতশিল্পী এবং বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালক আসিফ আকবর।

লম্বা সময় ধরে অফফর্মে আছেন জাকের। ব্যাটে রান না থাকলেও একটি বিষয় নিয়ে বেশ আলোচিত-সমালোচিত এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার। মাঠে ব্যাটিং কিংবা উইকেটকিপিংয়ের সময় অনবরত চুইংগাম চিবাতে থাকেন তিনি। যেটা নিয়ে বেশ বিরক্ত ভক্তরা। বিষয়টি নিয়ে কিছুদিন ধরেই ট্রল হচ্ছে। বিষয়টিকে নেতিবাচকভাবে নিচ্ছেন না আসিফ। এটা ভক্তদের ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ বলেই মনে করেন তিনি। পাশাপাশি বাংলাদেশ দলের প্রতিটি ভুল নিয়ে ভক্তদের সমালোচনাকেও ইতিবাচকভাবে দেখছেন আসিফ।

তিনি বলেন, ‘একটা চুইংগাম নিয়ে পুরো দেশ ব্যস্ত। একটা রানআউট নিয়ে পুরো দেশ ব্যস্ত। এটা হচ্ছে ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ। এটাও দরকার আছে।’

সর্বশেষ ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে টি-টোয়েন্টিতে ধবলধোলাই হয়েছে বাংলাদেশ। সিরিজজুড়ে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন ব্যাটাররা। সর্বশেষ ম্যাচে বাংলাদেশের দেওয়া ১৫২ রানের লক্ষ্য ওয়েস্ট ইন্ডিজ ছুঁয়ে ফেলে ৫ উইকেট ও ১৯ বল হাতে রেখে। এদিনও ব্যাট হাতে হতাশ করেছেন জাকের। ব্যক্তিগত ৫ রানে জেসন হোল্ডারের বলে এলবিডব্লু হয়ে ফেরেন।

এর আগে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে তাঁর ব্যাট থেকে আসে ১৭ রান। এ জন্য ১৮ বল খেলেন জাকের। সব মিলিয়ে সময়টা কথা বলছে না এই ক্রিকেটারের হয়ে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সেটার প্রভাব ভালোভাবেই টের পাচ্ছেন জাকের।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত