আনোয়ার সোহাগ, ঢাকা
চ্যাম্পিয়নস ট্রফি শুরুর আগে ভারতীয় দল নিয়ে বেশির ভাগ আলোচনাই ছিল যশপ্রীত বুমরাকে ঘিরে। শেষ পর্যন্ত চোটে পড়ে দল থেকে ছিটকেই যান এই পেসার। কেউ কেউ ভারতের জন্য সেটা বিশাল ধাক্কা মনে করেছিলেন। কিন্তু পুরো আসরে একটি মুহূর্তের জন্যও বুমরার অভাব অনুভব করেনি ভারত। করতে দেননি তাদের স্পিনাররা।
১৫ জনের দলে ৫ স্পিনার দেখে খোদ ভারতের সাবেক স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিনই অবাক হয়েছিলেন। দুবাইয়ে স্পিনাররা খুব টার্নের সহায়তা পান না। তবে অধিনায়ক রোহিত শর্মা পুরো আসরে যেভাবে স্পিনারদের ব্যবহার করেছেন, তাঁকে সাধুবাদ জানাতেই হয়। ফাইনালেও এর কোনো ব্যতিক্রম হয়নি।
অক্ষর প্যাটেল ও রবীন্দ্র জাদেজাকে অলরাউন্ডার হিসেবে ধরা হলেও তাঁদের মূল কাজ বোলিং। বরুণ চক্রবর্তী আর কুলদীপ যাদবের বাড়তি কোনো দায়িত্ব নেই। চার স্পিনারের ভেতর কেউ না কেউ জ্বলে উঠবেন, এটাই স্বাভাবিক। ‘র্যাঙ্ক টার্নার’ হিসেবে খ্যাতি নেই কারও। কিন্তু কাউকে খুব একটা হালকাভাবে নেওয়ার সুযোগ নেই। টুর্নামেন্টজুড়ে ৪৭ উইকেটের মধ্যে ২৬ উইকেটই (৫৫.৩১ শতাংশ) নিয়েছেন ভারতীয় স্পিনাররা। সর্বোচ্চ ৯ উইকেট নিয়েছেন বরুণ, ৭টি কুলদীপের। ৫টি করে শিকার জাদেজা ও অক্ষরের। তাঁদের ঘূর্ণিজাদুতে কোনো ম্যাচেই প্রতিপক্ষ দল ৩০০ রানের ধারেকাছেও ঘেঁষতে পারেনি।
দুবাইয়ের গতকালের উইকেটেই পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলেছিল ভারত। সেদিন বোলিংয়ে ২.৮ ডিগ্রি টার্ন হচ্ছিল বল। কিন্তু ফাইনালে প্রথম ইনিংসে গড়ে ২ ডিগ্রির বেশি ঘোরেনি বল। অথচ কিউইদের সময় টার্ন ছিল ৩.৪ ডিগ্রি। তবু তপ্ত গরমে মাথা ঠান্ডাই ছিল ভারতীয় স্পিনারদের। কোনো ধরনের ছটফট বা হতাশ না হয়ে লেংথ-গতি বুঝে বল করে গেছেন তাঁরা, সেটাই তাঁদের এনে দিয়েছে সাফল্য।
টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালোই করেছিল নিউজিল্যান্ড। বিশেষ করে মোহাম্মদ শামি ও হার্দিক পান্ডিয়াকে বেশ সানন্দেই খেলতে থাকেন দুই ওপেনার রাচিন রবীন্দ্র ও উইল ইয়াং। তাঁদের থামাতে তাই ষষ্ঠ ওভারেই বরুণকে আক্রমণে নিয়ে আসেন রোহিত। ব্যস আরকি! এর পর থেকেই কিউইদের রানের গতি নিম্নমুখী।
নিজের দ্বিতীয় ওভারেই ইয়াংকে এলবিডব্লুর ফাঁদে ফেলে ব্রেক-থ্রু এনে দেন বরুণ। আগের ম্যাচগুলোয় শুরুর দিকে ছন্দ খুঁজে পেতে হিমশিম খেতে হতো কুলদীপের। গতকাল বোলিংয়ে যখন আসেন, নির্ভারই ছিল নিউজিল্যান্ড। স্পিনের বিপক্ষে তাদের দুই সেরা ব্যাটার রবীন্দ্র ও কেন উইলিয়ামসন তখন উইকেটে। তাতে অবশ্য কুলদীপের থোড়াই কেয়ার। নিজের প্রথম বলেই তিনি সাজঘরে ফেরান রবীন্দ্রকে। দ্বিতীয় ওভারে পেয়ে উইলিয়ামসনকে তুলে নিয়ে শিকার করেন বড় মাছ। তখনই তিনি বুঝে যান কবজির প্রয়োগটা ভালোমতো করতে হলে কমিয়ে আনতে হবে গতি।
দ্রুত ৩ উইকেট হারিয়ে অনেকটাই চাপে পড়ে যায় কিউইরা। তবু আত্মতুষ্টিতে ভোগেনি ভারত বরং আরও জোরালোভাবে টুঁটি চেপে ধরে রাখে। ১১ থেকে ৪০ ওভার পর্যন্ত কোনো পেসারকেই আক্রমণে আনেননি রোহিত। একপ্রান্ত থেকে কুলদীপের আক্রমণাত্মক বোলিং, তো অন্য প্রান্তে রান কমানোর চেষ্টায় ছিলেন অক্ষর। ঠিক একই কাজটা করে যান বরুণ ও জাদেজা। চার স্পিনারের ৩৮ ওভারে ৫ উইকেট খুইয়ে ১৪৪ রানই করতে পেরেছে নিউজিল্যান্ড। এর মধ্যে ১২৫ বলই ছিল ডট। কুলদীপের পাশাপাশি ২ উইকেট পেয়েছেন বরুণও। একটি শিকার জাদেজার। কোনো উইকেট না পেলেও ৮ ওভারে ২৯ রান দিয়েছেন অক্ষর। তাই অনুযোগের কোনো সুযোগ নেই।
দেখছেন না রোহিত। শিরোপা জিতে শুরুতে স্পিনারদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন তিনি, ‘তাদের নিয়ে অনেক প্রত্যাশা ছিল, কিন্তু কখনোই তারা হতাশ করেনি। আমরা তাদের শক্তিমত্তা বুঝে নিজেদের মতো করে কাজে লাগিয়েছি। বোলিংয়ে আমরা বেশ ধারাবাহিক ছিলাম।’ সেই ধারাবাহিকতাই রোহিতদের নিয়ে গেছে সফলতার মঞ্চে।
চ্যাম্পিয়নস ট্রফি শুরুর আগে ভারতীয় দল নিয়ে বেশির ভাগ আলোচনাই ছিল যশপ্রীত বুমরাকে ঘিরে। শেষ পর্যন্ত চোটে পড়ে দল থেকে ছিটকেই যান এই পেসার। কেউ কেউ ভারতের জন্য সেটা বিশাল ধাক্কা মনে করেছিলেন। কিন্তু পুরো আসরে একটি মুহূর্তের জন্যও বুমরার অভাব অনুভব করেনি ভারত। করতে দেননি তাদের স্পিনাররা।
১৫ জনের দলে ৫ স্পিনার দেখে খোদ ভারতের সাবেক স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিনই অবাক হয়েছিলেন। দুবাইয়ে স্পিনাররা খুব টার্নের সহায়তা পান না। তবে অধিনায়ক রোহিত শর্মা পুরো আসরে যেভাবে স্পিনারদের ব্যবহার করেছেন, তাঁকে সাধুবাদ জানাতেই হয়। ফাইনালেও এর কোনো ব্যতিক্রম হয়নি।
অক্ষর প্যাটেল ও রবীন্দ্র জাদেজাকে অলরাউন্ডার হিসেবে ধরা হলেও তাঁদের মূল কাজ বোলিং। বরুণ চক্রবর্তী আর কুলদীপ যাদবের বাড়তি কোনো দায়িত্ব নেই। চার স্পিনারের ভেতর কেউ না কেউ জ্বলে উঠবেন, এটাই স্বাভাবিক। ‘র্যাঙ্ক টার্নার’ হিসেবে খ্যাতি নেই কারও। কিন্তু কাউকে খুব একটা হালকাভাবে নেওয়ার সুযোগ নেই। টুর্নামেন্টজুড়ে ৪৭ উইকেটের মধ্যে ২৬ উইকেটই (৫৫.৩১ শতাংশ) নিয়েছেন ভারতীয় স্পিনাররা। সর্বোচ্চ ৯ উইকেট নিয়েছেন বরুণ, ৭টি কুলদীপের। ৫টি করে শিকার জাদেজা ও অক্ষরের। তাঁদের ঘূর্ণিজাদুতে কোনো ম্যাচেই প্রতিপক্ষ দল ৩০০ রানের ধারেকাছেও ঘেঁষতে পারেনি।
দুবাইয়ের গতকালের উইকেটেই পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলেছিল ভারত। সেদিন বোলিংয়ে ২.৮ ডিগ্রি টার্ন হচ্ছিল বল। কিন্তু ফাইনালে প্রথম ইনিংসে গড়ে ২ ডিগ্রির বেশি ঘোরেনি বল। অথচ কিউইদের সময় টার্ন ছিল ৩.৪ ডিগ্রি। তবু তপ্ত গরমে মাথা ঠান্ডাই ছিল ভারতীয় স্পিনারদের। কোনো ধরনের ছটফট বা হতাশ না হয়ে লেংথ-গতি বুঝে বল করে গেছেন তাঁরা, সেটাই তাঁদের এনে দিয়েছে সাফল্য।
টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালোই করেছিল নিউজিল্যান্ড। বিশেষ করে মোহাম্মদ শামি ও হার্দিক পান্ডিয়াকে বেশ সানন্দেই খেলতে থাকেন দুই ওপেনার রাচিন রবীন্দ্র ও উইল ইয়াং। তাঁদের থামাতে তাই ষষ্ঠ ওভারেই বরুণকে আক্রমণে নিয়ে আসেন রোহিত। ব্যস আরকি! এর পর থেকেই কিউইদের রানের গতি নিম্নমুখী।
নিজের দ্বিতীয় ওভারেই ইয়াংকে এলবিডব্লুর ফাঁদে ফেলে ব্রেক-থ্রু এনে দেন বরুণ। আগের ম্যাচগুলোয় শুরুর দিকে ছন্দ খুঁজে পেতে হিমশিম খেতে হতো কুলদীপের। গতকাল বোলিংয়ে যখন আসেন, নির্ভারই ছিল নিউজিল্যান্ড। স্পিনের বিপক্ষে তাদের দুই সেরা ব্যাটার রবীন্দ্র ও কেন উইলিয়ামসন তখন উইকেটে। তাতে অবশ্য কুলদীপের থোড়াই কেয়ার। নিজের প্রথম বলেই তিনি সাজঘরে ফেরান রবীন্দ্রকে। দ্বিতীয় ওভারে পেয়ে উইলিয়ামসনকে তুলে নিয়ে শিকার করেন বড় মাছ। তখনই তিনি বুঝে যান কবজির প্রয়োগটা ভালোমতো করতে হলে কমিয়ে আনতে হবে গতি।
দ্রুত ৩ উইকেট হারিয়ে অনেকটাই চাপে পড়ে যায় কিউইরা। তবু আত্মতুষ্টিতে ভোগেনি ভারত বরং আরও জোরালোভাবে টুঁটি চেপে ধরে রাখে। ১১ থেকে ৪০ ওভার পর্যন্ত কোনো পেসারকেই আক্রমণে আনেননি রোহিত। একপ্রান্ত থেকে কুলদীপের আক্রমণাত্মক বোলিং, তো অন্য প্রান্তে রান কমানোর চেষ্টায় ছিলেন অক্ষর। ঠিক একই কাজটা করে যান বরুণ ও জাদেজা। চার স্পিনারের ৩৮ ওভারে ৫ উইকেট খুইয়ে ১৪৪ রানই করতে পেরেছে নিউজিল্যান্ড। এর মধ্যে ১২৫ বলই ছিল ডট। কুলদীপের পাশাপাশি ২ উইকেট পেয়েছেন বরুণও। একটি শিকার জাদেজার। কোনো উইকেট না পেলেও ৮ ওভারে ২৯ রান দিয়েছেন অক্ষর। তাই অনুযোগের কোনো সুযোগ নেই।
দেখছেন না রোহিত। শিরোপা জিতে শুরুতে স্পিনারদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন তিনি, ‘তাদের নিয়ে অনেক প্রত্যাশা ছিল, কিন্তু কখনোই তারা হতাশ করেনি। আমরা তাদের শক্তিমত্তা বুঝে নিজেদের মতো করে কাজে লাগিয়েছি। বোলিংয়ে আমরা বেশ ধারাবাহিক ছিলাম।’ সেই ধারাবাহিকতাই রোহিতদের নিয়ে গেছে সফলতার মঞ্চে।
না এবার আর ভাগ্য পাশে থাকল না নিউজিল্যান্ডের। আইসিসি টুর্নামেন্টে ভারতের বিপক্ষে দুবার ফাইনাল খেলে দুবারই শিরোপার দেখা পেয়েছে তারা। তবে তৃতীয়বার এসে জট খুলে ফেলল ভারত। দুবাই স্টেডিয়ামে কিউইদের ৪ উইকেটে হারিয়ে চ্যাম্পিনস ট্রফির চ্যাম্পিয়ন হলো ভারত।
৮ ঘণ্টা আগে২০০০ সালে ভারতকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির শিরোপা জিতেছিল নিউজিল্যান্ড। ম্যাচটি হয়েছিল নাইরোবিতে। ২৫ বছর পর দুবাইয়ে আবার চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ফাইনালে মুখোমুখি ভারত-নিউজিল্যান্ড। ৪ উইকেটে জিতে এবার পুরোনো বদলা নিল ভারত।
৯ ঘণ্টা আগেভারতের লক্ষ্য ২৫ বছরের বদলা নেওয়া। নিউজিল্যান্ডের উদ্দেশ্য সেই ভারতকে কাঁদিয়ে আরও একটি আইসিসির শিরোপা জেতা। এই দুইয়ের মিশেলে দুবাইয়ে আজ চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ভারত-নিউজিল্যান্ড ফাইনাল জমে উঠেছে। দলের দুই সেরা ক্রিকেটার রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি আউট হওয়াতে চাপে ভারত।
১০ ঘণ্টা আগেম্যাচ ফিক্সিংয়ে তো বটেই, মাঠের বাইরের নানা ঘটনায় খেলোয়াড়দের গ্রেপ্তার হওয়ার ঘটনা খুবই পরিচিত। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে দুই বছর বাইরে থাকা শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটার আসেন বান্দারা গ্রেপ্তার হয়েছেন ভিন্ন রকম এক ঘটনায়।
১০ ঘণ্টা আগে