নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
কী ছন্দেই না ছিলেন ইবাদত হোসেন। গত বছরের জুলাইয়ে আফগানিস্তান সিরিজে পাওয়া চোটটা তাঁকে এতটা ভোগাবে, কে ভেবেছিল! তাঁর এশিয়া কাপ শেষ, বিশ্বকাপ শেষ। ব্যতিক্রম কিছু না ঘটলে ইবাদতের আগামী জুনে হতে যাওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপও শেষ। হাঁটুর চোট থেকে সেরে ওঠার সংগ্রাম চলছে ইবাদতের।
টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের নিয়মিত মুখ হয়ে উঠছিলেন ইবাদত। নিয়মিত দেখা যাচ্ছিল তাঁর স্যালুট উদ্যাপনও। সাদা বলের ক্রিকেটেও আলো ছড়িয়ে হয়ে উঠেছিলেন ওয়ানডে দলের নিয়মিত সদস্য। কিন্তু গত বছরের জুলাইয়ে আফগানিস্তানের বিপক্ষে চট্টগ্রামে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে চোটে পড়ে সব এলোমেলো হয়ে যায়। যেহেতু গত বছরের বেশির ভাগ সময় খেলতে পারেননি, আগামী ছয় মাসও পাওয়া যাবে না ইবাদতকে। স্বাভাবিকভাবেই ২০২৪ সালের কেন্দ্রীয় চুক্তিতে তাঁকে রাখছে না বিসিবি। তবে তাঁর জন্য একটা সান্ত্বনা বা অনুপ্রাণিত করতে একটা ‘ব্যবস্থা’ রাখছে বিসিবি। যেহেতু তিনি বাংলাদেশের হয়ে খেলতে গিয়ে চোটে পড়েছেন এবং দলের একজন গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করছিলেন, কেন্দ্রীয় চুক্তিতে না রাখলেও ইবাদতকে আর্থিক প্রণোদনা দিতে চাইছে বিসিবি।
শুধু ইবাদতই নন, জাতীয় দলে খেলতে গিয়ে চোটে পড়া এমন পারফরমারদের আর্থিক প্রণোদনা দেওয়ার ভাবনা বিসিবির। ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দীন চৌধুরী বিষয়টি নিয়ে গতকাল আজকের পত্রিকাকে বলেছেন, ‘এ ধরনের বিষয় আমরা বিশেষভাবে বিবেচনা করব। যারা জাতীয় দলের হয়ে খেলতে গিয়ে চোটে পড়বে, নির্দিষ্ট এই কারণে তারা আর দলে থাকছে না বা বাদ পড়ে গেছে, এটা তো তাদের সমস্যা না। তাদের বিশেষ কেস হিসেবে বিবেচনা করা হবে। বোর্ড সেভাবে দেখবে। এটা নীতিগতভাবে সুপারিশ করা হয়েছে। এটা আগামী (এ মাসেই) বোর্ডের সভায় দেওয়া হবে। বোর্ড আশা করি ইতিবাচকভাবে নেবে। তবে ঘরোয়া কিংবা অন্যান্য লিগ খেলতে গিয়ে চোটে পড়লে সেটা আবার দেখা হবে না।’
যারা জাতীয় দলের হয়ে খেলতে গিয়ে চোটে পড়বে, নির্দিষ্ট এই কারণে তারা আর দলে থাকছে না বা বাদ পড়ে গেছে, এটা তো তাদের সমস্যা না।নিজাম উদ্দীন চৌধুরী, বিসিবির প্রধান নির্বাহী
বিসিবি সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের মতো ২০২৪ সালের কেন্দ্রীয় চুক্তিতেও ২১ জন খেলোয়াড়কে রাখার পরিকল্পনা বিসিবির। সাকিব আল হাসান, তাসকিন আহমেদ, লিটন দাস, নাজমুল হোসেন শান্ত, শরীফুল ইসলাম ও মেহেদী হাসান মিরাজ তিন সংস্করণেই থাকতে পারেন। ২০২৩ সালে বাংলাদেশ দলের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক শান্ত (১৬৫০) ও সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি শরীফুলকে (৫২) প্রথমবারের মতো তিন সংস্করণে রাখা হচ্ছে।
শেষ মুহূর্তে বিশ্বকাপ দলে সুযোগ পেয়ে দারুণ খেলেছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ওয়ানডে সংস্করণের চুক্তিতে রাখা হচ্ছে তাঁকে। গত বছরও ছিলেন একই সংস্করণে। গত বছর যেহেতু কোনো টি-টোয়েন্টি খেলেননি বা সুযোগ পাননি, আগের বছরের পারফরম্যান্সের মূল্যায়নেরও তাই সুযোগ নেই মাহমুদউল্লাহর ক্ষেত্রে। অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম গত বছরের মতোই আছেন টেস্ট ও ওয়ানডের চুক্তিতে। মোস্তাফিজুর রহমান থাকছেন সাদা বলের চুক্তিতে।
তরুণ ক্রিকেটার তানজিম হাসান সাকিব, তাওহীদ হৃদয়, মাহমুদুল হাসান জয় ও শাহাদাত হোসেন দিপুকেও প্রথমবারের মতো কেন্দ্রীয় চুক্তিতে রাখার কথা জানা গেছে। জয় ও দিপুকে রাখা হতে পারে টেস্টের চুক্তিতে। এই বছর সর্বোচ্চ ১৪টি টেস্ট খেলবে বাংলাদেশ দল। মুমিনুল হক, তাইজুল ইসলাম, জাকির হাসান, খালেদ আহমেদদের সঙ্গে নাইম হাসানকেও টেস্ট চুক্তিতে অন্তর্ভুক্ত করার কথা জানা গেছে।
নতুন চুক্তিতে যে তামিম ইকবাল থাকছেন না, আগেই জানা গেছে। এবার বাদ পড়ার তালিকায় থাকতে পারেন নাসুম আহমেদ, মোসাদ্দেক হোসেন, আফিফ হোসেন ও নুরুল হাসান সোহান।
কী ছন্দেই না ছিলেন ইবাদত হোসেন। গত বছরের জুলাইয়ে আফগানিস্তান সিরিজে পাওয়া চোটটা তাঁকে এতটা ভোগাবে, কে ভেবেছিল! তাঁর এশিয়া কাপ শেষ, বিশ্বকাপ শেষ। ব্যতিক্রম কিছু না ঘটলে ইবাদতের আগামী জুনে হতে যাওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপও শেষ। হাঁটুর চোট থেকে সেরে ওঠার সংগ্রাম চলছে ইবাদতের।
টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের নিয়মিত মুখ হয়ে উঠছিলেন ইবাদত। নিয়মিত দেখা যাচ্ছিল তাঁর স্যালুট উদ্যাপনও। সাদা বলের ক্রিকেটেও আলো ছড়িয়ে হয়ে উঠেছিলেন ওয়ানডে দলের নিয়মিত সদস্য। কিন্তু গত বছরের জুলাইয়ে আফগানিস্তানের বিপক্ষে চট্টগ্রামে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে চোটে পড়ে সব এলোমেলো হয়ে যায়। যেহেতু গত বছরের বেশির ভাগ সময় খেলতে পারেননি, আগামী ছয় মাসও পাওয়া যাবে না ইবাদতকে। স্বাভাবিকভাবেই ২০২৪ সালের কেন্দ্রীয় চুক্তিতে তাঁকে রাখছে না বিসিবি। তবে তাঁর জন্য একটা সান্ত্বনা বা অনুপ্রাণিত করতে একটা ‘ব্যবস্থা’ রাখছে বিসিবি। যেহেতু তিনি বাংলাদেশের হয়ে খেলতে গিয়ে চোটে পড়েছেন এবং দলের একজন গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করছিলেন, কেন্দ্রীয় চুক্তিতে না রাখলেও ইবাদতকে আর্থিক প্রণোদনা দিতে চাইছে বিসিবি।
শুধু ইবাদতই নন, জাতীয় দলে খেলতে গিয়ে চোটে পড়া এমন পারফরমারদের আর্থিক প্রণোদনা দেওয়ার ভাবনা বিসিবির। ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দীন চৌধুরী বিষয়টি নিয়ে গতকাল আজকের পত্রিকাকে বলেছেন, ‘এ ধরনের বিষয় আমরা বিশেষভাবে বিবেচনা করব। যারা জাতীয় দলের হয়ে খেলতে গিয়ে চোটে পড়বে, নির্দিষ্ট এই কারণে তারা আর দলে থাকছে না বা বাদ পড়ে গেছে, এটা তো তাদের সমস্যা না। তাদের বিশেষ কেস হিসেবে বিবেচনা করা হবে। বোর্ড সেভাবে দেখবে। এটা নীতিগতভাবে সুপারিশ করা হয়েছে। এটা আগামী (এ মাসেই) বোর্ডের সভায় দেওয়া হবে। বোর্ড আশা করি ইতিবাচকভাবে নেবে। তবে ঘরোয়া কিংবা অন্যান্য লিগ খেলতে গিয়ে চোটে পড়লে সেটা আবার দেখা হবে না।’
যারা জাতীয় দলের হয়ে খেলতে গিয়ে চোটে পড়বে, নির্দিষ্ট এই কারণে তারা আর দলে থাকছে না বা বাদ পড়ে গেছে, এটা তো তাদের সমস্যা না।নিজাম উদ্দীন চৌধুরী, বিসিবির প্রধান নির্বাহী
বিসিবি সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের মতো ২০২৪ সালের কেন্দ্রীয় চুক্তিতেও ২১ জন খেলোয়াড়কে রাখার পরিকল্পনা বিসিবির। সাকিব আল হাসান, তাসকিন আহমেদ, লিটন দাস, নাজমুল হোসেন শান্ত, শরীফুল ইসলাম ও মেহেদী হাসান মিরাজ তিন সংস্করণেই থাকতে পারেন। ২০২৩ সালে বাংলাদেশ দলের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক শান্ত (১৬৫০) ও সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি শরীফুলকে (৫২) প্রথমবারের মতো তিন সংস্করণে রাখা হচ্ছে।
শেষ মুহূর্তে বিশ্বকাপ দলে সুযোগ পেয়ে দারুণ খেলেছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ওয়ানডে সংস্করণের চুক্তিতে রাখা হচ্ছে তাঁকে। গত বছরও ছিলেন একই সংস্করণে। গত বছর যেহেতু কোনো টি-টোয়েন্টি খেলেননি বা সুযোগ পাননি, আগের বছরের পারফরম্যান্সের মূল্যায়নেরও তাই সুযোগ নেই মাহমুদউল্লাহর ক্ষেত্রে। অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম গত বছরের মতোই আছেন টেস্ট ও ওয়ানডের চুক্তিতে। মোস্তাফিজুর রহমান থাকছেন সাদা বলের চুক্তিতে।
তরুণ ক্রিকেটার তানজিম হাসান সাকিব, তাওহীদ হৃদয়, মাহমুদুল হাসান জয় ও শাহাদাত হোসেন দিপুকেও প্রথমবারের মতো কেন্দ্রীয় চুক্তিতে রাখার কথা জানা গেছে। জয় ও দিপুকে রাখা হতে পারে টেস্টের চুক্তিতে। এই বছর সর্বোচ্চ ১৪টি টেস্ট খেলবে বাংলাদেশ দল। মুমিনুল হক, তাইজুল ইসলাম, জাকির হাসান, খালেদ আহমেদদের সঙ্গে নাইম হাসানকেও টেস্ট চুক্তিতে অন্তর্ভুক্ত করার কথা জানা গেছে।
নতুন চুক্তিতে যে তামিম ইকবাল থাকছেন না, আগেই জানা গেছে। এবার বাদ পড়ার তালিকায় থাকতে পারেন নাসুম আহমেদ, মোসাদ্দেক হোসেন, আফিফ হোসেন ও নুরুল হাসান সোহান।
বাংলাদেশের গত ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে সবচেয়ে সফল ব্যাটার ছিলেন জাকের আলী অনিক। সে সফরে দুই টেস্টের সিরিজে করেছিলেন ১৭৬ রান। তিনটি টি-টোয়েন্টিতে ৬০ গড়ে ১২০ রান। দুই সংস্করণেই তিনি ছিলেন সফরকারী দলের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। সে সফরে ওয়ানডে সিরিজেও রান পেয়েছিলেন জাকের; তিন ওয়ানডেতে ৫৬.৫০ গড়ে করেছিলেন ১১৩।
৪ ঘণ্টা আগেমিরপুরে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তানকে ৮ রানে হারিয়ে সিরিজ জিতল বাংলাদেশ। কুড়ি ওভারের একাধিক ম্যাচের দ্বিপক্ষীয় সিরিজে পাকিস্তানের বিপক্ষে এটি তাদের প্রথম সিরিজ জয়। টেস্ট খেলুড়ে হিসেবে নবমতম দলের বিপক্ষে সিরিজ জয়। শোকের দিনে এল বাংলাদেশ দলের সিরিজ জয়ের সাফল্য। অধিনায়ক লিটন দাস এই জয় উৎসর্গ করলেন
৭ ঘণ্টা আগেসহজে জয়ের ইঙ্গিত দিয়েও ফাহিম আশরাফের তাণ্ডবে কঠিন হয়ে ওঠে ম্যাচ। তবে ১৯তম ওভারের শেষ বলে ফাহিমকে বোল্ড করে জয়ের সম্ভাবনা উজ্জ্বল করেন রিশাদ হোসেন। শেষ ওভারে জিততে পাকিস্তানের প্রয়োজন ছিল ১৩, বাংলাদেশের ১ উইকেট। মোস্তাফিজুর রহমানের করা প্রথম বলেই মিড অফ দিয়ে দারুণ এক চারে ম্যাচ আরও জমিয়ে তোলেন
৭ ঘণ্টা আগেবাড়িতে টিভি ছিল না। গত বছর অনূর্ধ্ব-১৯ নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে সেরা খেলোয়াড় হওয়ায় মোসাম্মৎ সাগরিকার ঘরে পৌঁছে যায় দুটি টিভি। তবু গ্যালারিতে বসে মেয়ের খেলা দেখার আনন্দই অন্য রকম। সাগরিকার বাবা লিটন আলীও চেয়েছিলেন তা। কিন্তু জটিলতার কারণে ঠাকুরগাঁও থেকে ঢাকায় আসতে পারেননি তিনি।
৮ ঘণ্টা আগে