
সময়টা দারুণ যাচ্ছে নিগার সুলতানা জ্যোতির। কদিন আগে মেয়েদের ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে ১২৪ গড়ে ৬ ইনিংসে করেছেন ২৪৮ রান। সফল নেতৃত্বে চ্যাম্পিয়ন করেছেন রূপালী ব্যাংক ক্রীড়া পরিষদকে, হয়েছেন টুর্নামেন্ট-সেরাও। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও বাংলাদেশ দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন জ্যোতি। কদিন আগে আজকের পত্রিকাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বিস্তারিত বলেছেন নিজের ক্যারিয়ার, দেশের নারী ক্রিকেটকে। তাঁর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন লাইছ ত্বোহা।
লাইছ ত্বোহা

প্রশ্ন: মেয়েদের প্রিমিয়ারে শক্তিশালী মোহামেডানকে অলিখিত ফাইনালে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে রূপালী ব্যাংক। সেই ম্যাচে আপনাদের স্কোরও বড় ছিল না। ম্যাচটা জিততে কতটা আত্মবিশ্বাসী ছিলেন সেদিন?
নিগার সুলতানা জ্যোতি: এই টুর্নামেন্টে শুরু থেকেই আমরা দাপট দেখিয়ে ক্রিকেট খেলেছি। আমাদের দুটো ম্যাচ কিন্তু পরিত্যক্ত হয়েছে, যেগুলো লো-স্কোরিং ম্যাচ ছিল, আমরা অনায়াসে জিততাম। এটা নিয়ে একটা চিন্তা ছিল। ম্যাচে ভালো একটা স্কোর দাঁড় করাতে পারলে জিততে পারব এই আত্মবিশ্বাস ছিল। অপ্রত্যাশিতভাবে আমরা যারা প্রতি ম্যাচে রান করি, সেই ম্যাচে (ফাইনালে) দ্রুত আউট হয়ে যাই। তবে আমার বিশ্বাস ছিল, ১৮০-১৯০ রান করতে পারলে ভালো লড়াই হবে। জিততে কষ্ট হবে, কিন্তু আমরা জিতব। এসব গুরুত্বপূর্ণ, চাপের ম্যাচে কম স্কোর হয়। এসব ম্যাচে স্নায়ু সামলে রাখতে হয়, মাথা ঠান্ডা রাখতে হয়, আমি সেটাই করেছি। পরিকল্পনা করে খেলেছি, জিতেছি।
প্রশ্ন: অধিনায়কত্ব পাওয়ার পর ব্যাটিংয়ে আপনার উন্নতি চোখে পড়ার মতো...।
জ্যোতি: আমার মনে হয় মানসিকতা। অনেক দিন বাংলাদেশ দলে খেলছি। এটা খেয়াল করেছি, আমরা কেন পিছিয়ে আছি, বের করার চেষ্টা করেছি, কেন আমরা ম্যাচগুলো জিতি না, ভালো ম্যাচগুলোয় কেন পিছিয়ে পড়ি। কারণ হচ্ছে, মোমেন্টাম আমাদের দিকে ধরতে পারি না। দেখা যাচ্ছে আমরা ধীরে ব্যাটিং করি। বড় দলগুলোর তিন-চারটি উইকেট পড়লেও তারা কিন্তু আক্রমণাত্মক ব্যাটিং ধরে রেখে স্ট্রাইরেট, ওভারপিছু প্রয়োজনীয় রানরেট বুঝেই ব্যাটিং করে। আমরা কেন করব না? পরিস্থিতি যা-ই হোক না, আমাদের যদি জেতার জন্য যেতে হয়, অবশ্যই আমাদের ওই সময় ভালো স্ট্রাইকরেটে ব্যাটিং করতে হবে। আপনি তো টেলএন্ডারের ওপর চাপ দিতে পারেন না। আমরা যদি শুরুতে দুই-তিনজন ব্যাটার ভালো রান করে যাই, তাহলে কিন্তু আমাদের জয়ের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। সর্বশেষ শ্রীলঙ্কার সিরিজেও এটা ছিল। আমি চেষ্টা করেছি মোমেন্টাম ধরে রাখতে। ম্যাচ জিতব কি হারব, এটা মাথায় ছিল না। ছন্দ যদি ধরে রাখি, অন্তত আমি যদি আউট হই, অন্য কেউ এসে যেন স্ট্রাগল না করে। এটাই এখন আমার মাথায় কাজ করছে। সেখান থেকে একটা পরিবর্তন। দ্বিতীয় হচ্ছে অধিনায়ক যদি ভালো খেলে, তখন পুরো দলই ভালো খেলে। আমি ভালো শুরু এনে দিলে অন্য ব্যাটাররাও ভালো খেলবে। নিজের ব্যাটিং স্টাইলটা পরিবর্তন করা।
প্রশ্ন: আগামী তিন-চার বছরে মেয়েদের ক্রিকেটে বাংলাদেশকে কোথায় দেখতে চান?
জ্যোতি: আমরা এখন যেভাবে ম্যাচ খেলা শুরু করেছি—নিউজিল্যান্ডে গিয়েছি, শ্রীলঙ্কায় গিয়েছি—এভাবে আমরা প্রচুর ম্যাচ খেলব আগামী দুই বছরে। যত ম্যাচ খেলব, দল তত আত্মবিশ্বাসী হবে জিততে। কীভাবে সিরিজ জিততে হবে, সেটা এখন চিন্তা করা উচিত। আমার মনে হয়, যত বেশি ম্যাচ খেলব, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তত দক্ষতা তৈরি হবে। সামনে দেশের মাঠে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আছে (২০২৪ সালে)। অবশ্যই আমরা চাই দেশের মাঠে বিশ্বকাপ স্মরণীয় করে রাখতে। আমরা এত বছর যেটা পারিনি, সেটা যেন করতে পারি। অন্তত আমরা ম্যাচ জিততে চাই। সেমিফাইনালের কথা অনেক পরে, কিন্তু ম্যাচ জিততে চাই। কাছাকাছি গিয়ে অনেক ম্যাচ হেরেছি। আসলে বড় মঞ্চে খেলার অভিজ্ঞতা কম। আরেকটা লক্ষ্য থাকবে, আমরা যেন সরাসরি বিশ্বকাপে খেলতে পারি। আন্তর্জাতিক ম্যাচ জয়ে ধারাবাহিক হতে হবে।
প্রশ্ন: আগামী মাসে ভারতের বিপক্ষে সিরিজে অন্তত এক-দুইটা ম্যাচ জেতার আশা করা যায়?
জ্যোতি: ক্রিকেট খেলায় কী হবে, কেউ কখনো বলতে পারবে না। ভারতের সঙ্গে আমাদের সব সময় কঠিন হয়। ওদের ক্রিকেটীয় স্ট্রাকচার অনেক শক্তিশালী। ওরা ঘরোয়া লিগে কয়েকটা টুর্নামেন্ট খেলে, ওরা টি-টোয়েন্টিতে নিজেদের মধ্যে ম্যাচ খেলে। ওয়ানডেতে আমরা ভালো দল। ১১ বছর পর হোম অব ক্রিকেটে (মিরপুরে) ক্রিকেট খেলব। দলগতভাবে অবশ্যই চাইব ম্যাচ জিততে। ভালো ক্রিকেট খেললে হয়তো সিরিজ জেতারও সম্ভাবনা থাকবে। টি-টোয়েন্টিতেও ছোট ছোট বিষয়ে উন্নতি করতে হবে। বিশ্বকাপে কিন্তু এগুলোর জন্য হেরেছি। এগুলো কাটিয়ে উঠতে পারলে তাদের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জেতাও অসম্ভব কিছু হবে না। কারণ ওদের শক্তি আর আমাদের শক্তি একই।
প্রশ্ন: কেন্দ্রীয় চুক্তিতে থাকা নারী ক্রিকেটারদের ২০ শতাংশ বেতন বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে বিসিবি—এটা কীভাবে দেখছেন। যদিও কয়েকটি দেশে পুরুষ ও নারী ক্রিকেটারদের বেতন সমান। আপনার কি মনে হয় বাংলাদেশে কখনো এটা সম্ভব?
জ্যোতি: অসম্ভব বলে কিছু নেই। মানুষের নিয়ন্ত্রণে যত কিছু আছে, সবই সম্ভব। আমরা যতটুকু আশা করেছি, এর চেয়েও বেশি দিয়েছে বিসিবি। এর জন্য ধন্যবাদ ক্রিকেট বোর্ডকে। আমাদের নারী ক্রিকেট দলের যেহেতু সে রকম পৃষ্ঠপোষক নেই, বোর্ডের কারণেই টিকে আছে। ম্যাচ ফিও বেড়েছে একেবারে অপ্রত্যাশিত হারে। এটা নারী ক্রিকেটের জন্য অনুপ্রেরণা।
প্রশ্ন: দুজন সিনিয়র ক্রিকেটারকে ছাড়াই সর্বশেষ সিরিজ খেলেছে বাংলাদেশ। তাঁদের বিকল্প খোঁজার কাছে বাংলাদেশ কতটা এগোতে পেরেছে?
জ্যোতি: সিনিয়রদের বিকল্প...এভাবে বলা ঠিক হবে না। এখানে নির্দিষ্ট একটা সিরিজে হয়তো চিন্তা করেছে যে তাঁদের জায়গায় অন্য কাউকে নিলে ভালো হবে। তাঁরা হয়তো সম্প্রতি অফ ফর্মে আছেন। তাঁদের অনেক বড় বড় অবদান রয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেটে। তাঁরা কীভাবে আরেকটু ভালোভাবে ফিরতে পারেন, সেটা আমাদের করা উচিত। তাঁদের জায়গায় যারা এসেছে, তারাও ভালো করেছে। এখন কিন্তু সিনিয়র-জুনিয়রের হিসাব থাকে না কোনো দলে। যারা ভালো ক্রিকেট খেলবে, তারাই দলে খেলবে। এটা আসলে ম্যানেজমেন্টের ব্যাপার।
প্রশ্ন: পুরুষ দলের মতো নারী দলেও একাধিক নির্বাচক প্যানেল থাকলে ভালো হয় কি না?
জ্যোতি: সব সময় দেখেছি, আমাদের নির্বাচক একজন ছিলেন। অবশ্যই অনেক সময় একজনের সমস্যা থাকতে পারে, মানুষমাত্রই ভুল করে। যখন দুজন (একাধিক) থাকবে, তখন আলোচনার মাধ্যমে সঠিক সিদ্ধান্তে আসা যায়।
প্রশ্ন: মেয়েদের প্রিমিয়ারে শক্তিশালী মোহামেডানকে অলিখিত ফাইনালে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে রূপালী ব্যাংক। সেই ম্যাচে আপনাদের স্কোরও বড় ছিল না। ম্যাচটা জিততে কতটা আত্মবিশ্বাসী ছিলেন সেদিন?
নিগার সুলতানা জ্যোতি: এই টুর্নামেন্টে শুরু থেকেই আমরা দাপট দেখিয়ে ক্রিকেট খেলেছি। আমাদের দুটো ম্যাচ কিন্তু পরিত্যক্ত হয়েছে, যেগুলো লো-স্কোরিং ম্যাচ ছিল, আমরা অনায়াসে জিততাম। এটা নিয়ে একটা চিন্তা ছিল। ম্যাচে ভালো একটা স্কোর দাঁড় করাতে পারলে জিততে পারব এই আত্মবিশ্বাস ছিল। অপ্রত্যাশিতভাবে আমরা যারা প্রতি ম্যাচে রান করি, সেই ম্যাচে (ফাইনালে) দ্রুত আউট হয়ে যাই। তবে আমার বিশ্বাস ছিল, ১৮০-১৯০ রান করতে পারলে ভালো লড়াই হবে। জিততে কষ্ট হবে, কিন্তু আমরা জিতব। এসব গুরুত্বপূর্ণ, চাপের ম্যাচে কম স্কোর হয়। এসব ম্যাচে স্নায়ু সামলে রাখতে হয়, মাথা ঠান্ডা রাখতে হয়, আমি সেটাই করেছি। পরিকল্পনা করে খেলেছি, জিতেছি।
প্রশ্ন: অধিনায়কত্ব পাওয়ার পর ব্যাটিংয়ে আপনার উন্নতি চোখে পড়ার মতো...।
জ্যোতি: আমার মনে হয় মানসিকতা। অনেক দিন বাংলাদেশ দলে খেলছি। এটা খেয়াল করেছি, আমরা কেন পিছিয়ে আছি, বের করার চেষ্টা করেছি, কেন আমরা ম্যাচগুলো জিতি না, ভালো ম্যাচগুলোয় কেন পিছিয়ে পড়ি। কারণ হচ্ছে, মোমেন্টাম আমাদের দিকে ধরতে পারি না। দেখা যাচ্ছে আমরা ধীরে ব্যাটিং করি। বড় দলগুলোর তিন-চারটি উইকেট পড়লেও তারা কিন্তু আক্রমণাত্মক ব্যাটিং ধরে রেখে স্ট্রাইরেট, ওভারপিছু প্রয়োজনীয় রানরেট বুঝেই ব্যাটিং করে। আমরা কেন করব না? পরিস্থিতি যা-ই হোক না, আমাদের যদি জেতার জন্য যেতে হয়, অবশ্যই আমাদের ওই সময় ভালো স্ট্রাইকরেটে ব্যাটিং করতে হবে। আপনি তো টেলএন্ডারের ওপর চাপ দিতে পারেন না। আমরা যদি শুরুতে দুই-তিনজন ব্যাটার ভালো রান করে যাই, তাহলে কিন্তু আমাদের জয়ের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। সর্বশেষ শ্রীলঙ্কার সিরিজেও এটা ছিল। আমি চেষ্টা করেছি মোমেন্টাম ধরে রাখতে। ম্যাচ জিতব কি হারব, এটা মাথায় ছিল না। ছন্দ যদি ধরে রাখি, অন্তত আমি যদি আউট হই, অন্য কেউ এসে যেন স্ট্রাগল না করে। এটাই এখন আমার মাথায় কাজ করছে। সেখান থেকে একটা পরিবর্তন। দ্বিতীয় হচ্ছে অধিনায়ক যদি ভালো খেলে, তখন পুরো দলই ভালো খেলে। আমি ভালো শুরু এনে দিলে অন্য ব্যাটাররাও ভালো খেলবে। নিজের ব্যাটিং স্টাইলটা পরিবর্তন করা।
প্রশ্ন: আগামী তিন-চার বছরে মেয়েদের ক্রিকেটে বাংলাদেশকে কোথায় দেখতে চান?
জ্যোতি: আমরা এখন যেভাবে ম্যাচ খেলা শুরু করেছি—নিউজিল্যান্ডে গিয়েছি, শ্রীলঙ্কায় গিয়েছি—এভাবে আমরা প্রচুর ম্যাচ খেলব আগামী দুই বছরে। যত ম্যাচ খেলব, দল তত আত্মবিশ্বাসী হবে জিততে। কীভাবে সিরিজ জিততে হবে, সেটা এখন চিন্তা করা উচিত। আমার মনে হয়, যত বেশি ম্যাচ খেলব, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তত দক্ষতা তৈরি হবে। সামনে দেশের মাঠে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আছে (২০২৪ সালে)। অবশ্যই আমরা চাই দেশের মাঠে বিশ্বকাপ স্মরণীয় করে রাখতে। আমরা এত বছর যেটা পারিনি, সেটা যেন করতে পারি। অন্তত আমরা ম্যাচ জিততে চাই। সেমিফাইনালের কথা অনেক পরে, কিন্তু ম্যাচ জিততে চাই। কাছাকাছি গিয়ে অনেক ম্যাচ হেরেছি। আসলে বড় মঞ্চে খেলার অভিজ্ঞতা কম। আরেকটা লক্ষ্য থাকবে, আমরা যেন সরাসরি বিশ্বকাপে খেলতে পারি। আন্তর্জাতিক ম্যাচ জয়ে ধারাবাহিক হতে হবে।
প্রশ্ন: আগামী মাসে ভারতের বিপক্ষে সিরিজে অন্তত এক-দুইটা ম্যাচ জেতার আশা করা যায়?
জ্যোতি: ক্রিকেট খেলায় কী হবে, কেউ কখনো বলতে পারবে না। ভারতের সঙ্গে আমাদের সব সময় কঠিন হয়। ওদের ক্রিকেটীয় স্ট্রাকচার অনেক শক্তিশালী। ওরা ঘরোয়া লিগে কয়েকটা টুর্নামেন্ট খেলে, ওরা টি-টোয়েন্টিতে নিজেদের মধ্যে ম্যাচ খেলে। ওয়ানডেতে আমরা ভালো দল। ১১ বছর পর হোম অব ক্রিকেটে (মিরপুরে) ক্রিকেট খেলব। দলগতভাবে অবশ্যই চাইব ম্যাচ জিততে। ভালো ক্রিকেট খেললে হয়তো সিরিজ জেতারও সম্ভাবনা থাকবে। টি-টোয়েন্টিতেও ছোট ছোট বিষয়ে উন্নতি করতে হবে। বিশ্বকাপে কিন্তু এগুলোর জন্য হেরেছি। এগুলো কাটিয়ে উঠতে পারলে তাদের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জেতাও অসম্ভব কিছু হবে না। কারণ ওদের শক্তি আর আমাদের শক্তি একই।
প্রশ্ন: কেন্দ্রীয় চুক্তিতে থাকা নারী ক্রিকেটারদের ২০ শতাংশ বেতন বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে বিসিবি—এটা কীভাবে দেখছেন। যদিও কয়েকটি দেশে পুরুষ ও নারী ক্রিকেটারদের বেতন সমান। আপনার কি মনে হয় বাংলাদেশে কখনো এটা সম্ভব?
জ্যোতি: অসম্ভব বলে কিছু নেই। মানুষের নিয়ন্ত্রণে যত কিছু আছে, সবই সম্ভব। আমরা যতটুকু আশা করেছি, এর চেয়েও বেশি দিয়েছে বিসিবি। এর জন্য ধন্যবাদ ক্রিকেট বোর্ডকে। আমাদের নারী ক্রিকেট দলের যেহেতু সে রকম পৃষ্ঠপোষক নেই, বোর্ডের কারণেই টিকে আছে। ম্যাচ ফিও বেড়েছে একেবারে অপ্রত্যাশিত হারে। এটা নারী ক্রিকেটের জন্য অনুপ্রেরণা।
প্রশ্ন: দুজন সিনিয়র ক্রিকেটারকে ছাড়াই সর্বশেষ সিরিজ খেলেছে বাংলাদেশ। তাঁদের বিকল্প খোঁজার কাছে বাংলাদেশ কতটা এগোতে পেরেছে?
জ্যোতি: সিনিয়রদের বিকল্প...এভাবে বলা ঠিক হবে না। এখানে নির্দিষ্ট একটা সিরিজে হয়তো চিন্তা করেছে যে তাঁদের জায়গায় অন্য কাউকে নিলে ভালো হবে। তাঁরা হয়তো সম্প্রতি অফ ফর্মে আছেন। তাঁদের অনেক বড় বড় অবদান রয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেটে। তাঁরা কীভাবে আরেকটু ভালোভাবে ফিরতে পারেন, সেটা আমাদের করা উচিত। তাঁদের জায়গায় যারা এসেছে, তারাও ভালো করেছে। এখন কিন্তু সিনিয়র-জুনিয়রের হিসাব থাকে না কোনো দলে। যারা ভালো ক্রিকেট খেলবে, তারাই দলে খেলবে। এটা আসলে ম্যানেজমেন্টের ব্যাপার।
প্রশ্ন: পুরুষ দলের মতো নারী দলেও একাধিক নির্বাচক প্যানেল থাকলে ভালো হয় কি না?
জ্যোতি: সব সময় দেখেছি, আমাদের নির্বাচক একজন ছিলেন। অবশ্যই অনেক সময় একজনের সমস্যা থাকতে পারে, মানুষমাত্রই ভুল করে। যখন দুজন (একাধিক) থাকবে, তখন আলোচনার মাধ্যমে সঠিক সিদ্ধান্তে আসা যায়।

বৃষ্টি বাগড়া দিল কয়েকবার। তাতে ম্যাচের দৈর্ঘ্য কমে আসে ২৭ ওভারে। মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপে বৃষ্টির মতো আরেকটি দৃশ্য খুব পরিচিত হয়ে উঠেছে। সেটা বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের হতাশা। এমনকি শেষ ম্যাচেও তা এড়ানো গেল না।
৭ ঘণ্টা আগে
খেলার শেষ মিনিটে পেদ্রিকে রেফারি লাল কার্ড দেখানোর সঙ্গে সঙ্গেই উত্তপ্ত হয়ে উঠল দুই দলের ডাগআউট। খেলা শেষেও তর্কে জড়িয়ে পড়েন খেলোয়াড়েরা। আপনি হয়তো বলতে পারেন এ আর নতুন কি! এল ক্লাসিকো বলে কথা। মাঠের লড়াইয়ে যেখানে থাকে যুদ্ধের ভাব। থিয়েটারে রিলিজ করলেও বক্স অফিসে সহজেই হিট তকমা পেয়ে যাবে এই ম্যাচ।
৮ ঘণ্টা আগে
এক বছর পূর্তিতে আজ বাফুফে ভবনে হয়েছে বাফুফের কার্যনির্বাহী কমিটির পঞ্চম সভা। যেখানে আসেনি উল্লেখযোগ্য কোনো সিদ্ধান্ত। বেলা ২টায় শুরু হওয়া সভার চার ঘণ্টায় এক বছর নারী ফুটবল দলের সাফল্য ও গঠনতন্ত্রের সংশোধন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। অথচ অ্যাজেন্ডা থাকলেও বাংলাদেশ...
৯ ঘণ্টা আগে
ফুটবলে দিন শেষে ফলই গুরুত্বপূর্ণ। তাই বাংলাদেশ কোচ পিটার বাটলারের কাছে প্রশ্ন রাখা হয়েছিল আজ থাইল্যান্ডকে কি হারাতে পারবেন ঋতুপর্ণা-আফঈদারা? জবাবে বাটলার পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে দিলেন। থাইল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশ শেষ কবে জিতেছিল?
১১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বৃষ্টি বাগড়া দিল কয়েকবার। তাতে ম্যাচের দৈর্ঘ্য কমে আসে ২৭ ওভারে। মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপে বৃষ্টির মতো আরেকটি দৃশ্য খুব পরিচিত হয়ে উঠেছে। সেটা বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের হতাশা। এমনকি শেষ ম্যাচেও তা এড়ানো গেল না।
মুম্বাইয়ের ডিওয়াই পাতিল স্টেডিয়ামে ভারতের বিপক্ষে টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ৯ উইকেটে ১১৯ রান করেছে নিগার সুলতানা জ্যোতির দল। দুই অঙ্কের ছোঁয়া পেয়েছেন মাত্র ৪ ব্যাটার। প্রথম ওভারে সুমাইয়া আক্তারকে ফিরিয়ে উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন রেনুকা সিং। আরেক ওপেনার রুবাইয়া হায়দারও (১৩) থিতু হতে পারেননি।
তিনে নেমে বড় ইনিংস খেলার সুবাস দিচ্ছিলেন শারমিন আক্তার সুপ্তা। কিন্তু দলীয় সর্বোচ্চ ৩৬ রানে ফিরতে হয় তাঁকে। সোবহানা মোস্তারি এসে আক্রমণাত্মক খেলা শুরু করেন। তাঁর ২১ বলে ৪ চারে ২৬ রানের ইনিংস থামান রাধা যাদব। এরপর তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে বাংলাদেশ। দিন শেষে অলআউট না হওয়ার স্বস্তি নিয়ে শেষ হয় ইনিংস।
ভারতের হয়ে সর্বোচ্চ তিন উইকেট নেন রাধা যাদব। দুটি উইকেট শিকার শ্রী চারানির। ডিএলএস মেথডে ভারতের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ১২৬ রান। যে লক্ষ্যে ব্যাট করে ৮.৪ ওভারে বিনা উইকেটে ৫৭ রান করে ভারত।। এরপর বৃষ্টি আবার বাগড়া দলে ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়। ম্যাচ বাতিল হওয়ার আগে স্মৃতি মান্ধনা ৩৪ ও আমানজোতে কৌর ১৫ রানে অপরাজিত ছিলেন।
ম্যাচ বাতিল হওয়ায় ৭ ম্যাচে ৩ পয়েন্ট নিয়ে টুর্নামেন্ট শেষ করলেন নিগার সুলতানা জ্যোতিরা। আর সমান ম্যাচে ৭ পয়েন্ট নিয়ে শেষ দল হিসেবে সেমিফাইনালেম উঠল ভারত। ভারতের আগে অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকার মেয়েরা সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে।

বৃষ্টি বাগড়া দিল কয়েকবার। তাতে ম্যাচের দৈর্ঘ্য কমে আসে ২৭ ওভারে। মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপে বৃষ্টির মতো আরেকটি দৃশ্য খুব পরিচিত হয়ে উঠেছে। সেটা বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের হতাশা। এমনকি শেষ ম্যাচেও তা এড়ানো গেল না।
মুম্বাইয়ের ডিওয়াই পাতিল স্টেডিয়ামে ভারতের বিপক্ষে টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ৯ উইকেটে ১১৯ রান করেছে নিগার সুলতানা জ্যোতির দল। দুই অঙ্কের ছোঁয়া পেয়েছেন মাত্র ৪ ব্যাটার। প্রথম ওভারে সুমাইয়া আক্তারকে ফিরিয়ে উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন রেনুকা সিং। আরেক ওপেনার রুবাইয়া হায়দারও (১৩) থিতু হতে পারেননি।
তিনে নেমে বড় ইনিংস খেলার সুবাস দিচ্ছিলেন শারমিন আক্তার সুপ্তা। কিন্তু দলীয় সর্বোচ্চ ৩৬ রানে ফিরতে হয় তাঁকে। সোবহানা মোস্তারি এসে আক্রমণাত্মক খেলা শুরু করেন। তাঁর ২১ বলে ৪ চারে ২৬ রানের ইনিংস থামান রাধা যাদব। এরপর তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে বাংলাদেশ। দিন শেষে অলআউট না হওয়ার স্বস্তি নিয়ে শেষ হয় ইনিংস।
ভারতের হয়ে সর্বোচ্চ তিন উইকেট নেন রাধা যাদব। দুটি উইকেট শিকার শ্রী চারানির। ডিএলএস মেথডে ভারতের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ১২৬ রান। যে লক্ষ্যে ব্যাট করে ৮.৪ ওভারে বিনা উইকেটে ৫৭ রান করে ভারত।। এরপর বৃষ্টি আবার বাগড়া দলে ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়। ম্যাচ বাতিল হওয়ার আগে স্মৃতি মান্ধনা ৩৪ ও আমানজোতে কৌর ১৫ রানে অপরাজিত ছিলেন।
ম্যাচ বাতিল হওয়ায় ৭ ম্যাচে ৩ পয়েন্ট নিয়ে টুর্নামেন্ট শেষ করলেন নিগার সুলতানা জ্যোতিরা। আর সমান ম্যাচে ৭ পয়েন্ট নিয়ে শেষ দল হিসেবে সেমিফাইনালেম উঠল ভারত। ভারতের আগে অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকার মেয়েরা সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে।

এই টুর্নামেন্টে শুরু থেকেই আমরা দাপট দেখিয়ে ক্রিকেট খেলেছি। আমাদের দুটো ম্যাচ কিন্তু পরিত্যক্ত হয়েছে, যেগুলো লো স্কোরিং ম্যাচ ছিল, আমরা অনায়াসে জিততাম। এটা নিয়ে একটা চিন্তা ছিল। ম্যাচে ভালো একটা স্কোর দাঁড় করাতে পারলে জিততে পারব
২৩ জুন ২০২৩
খেলার শেষ মিনিটে পেদ্রিকে রেফারি লাল কার্ড দেখানোর সঙ্গে সঙ্গেই উত্তপ্ত হয়ে উঠল দুই দলের ডাগআউট। খেলা শেষেও তর্কে জড়িয়ে পড়েন খেলোয়াড়েরা। আপনি হয়তো বলতে পারেন এ আর নতুন কি! এল ক্লাসিকো বলে কথা। মাঠের লড়াইয়ে যেখানে থাকে যুদ্ধের ভাব। থিয়েটারে রিলিজ করলেও বক্স অফিসে সহজেই হিট তকমা পেয়ে যাবে এই ম্যাচ।
৮ ঘণ্টা আগে
এক বছর পূর্তিতে আজ বাফুফে ভবনে হয়েছে বাফুফের কার্যনির্বাহী কমিটির পঞ্চম সভা। যেখানে আসেনি উল্লেখযোগ্য কোনো সিদ্ধান্ত। বেলা ২টায় শুরু হওয়া সভার চার ঘণ্টায় এক বছর নারী ফুটবল দলের সাফল্য ও গঠনতন্ত্রের সংশোধন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। অথচ অ্যাজেন্ডা থাকলেও বাংলাদেশ...
৯ ঘণ্টা আগে
ফুটবলে দিন শেষে ফলই গুরুত্বপূর্ণ। তাই বাংলাদেশ কোচ পিটার বাটলারের কাছে প্রশ্ন রাখা হয়েছিল আজ থাইল্যান্ডকে কি হারাতে পারবেন ঋতুপর্ণা-আফঈদারা? জবাবে বাটলার পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে দিলেন। থাইল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশ শেষ কবে জিতেছিল?
১১ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

খেলার শেষ মিনিটে পেদ্রিকে রেফারি লাল কার্ড দেখানোর সঙ্গে সঙ্গেই উত্তপ্ত হয়ে উঠল দুই দলের ডাগআউট। খেলা শেষেও তর্কে জড়িয়ে পড়েন খেলোয়াড়েরা। আপনি হয়তো বলতে পারেন এ আর নতুন কি! এল ক্লাসিকো বলে কথা। মাঠের লড়াইয়ে যেখানে থাকে যুদ্ধের ভাব। থিয়েটারে রিলিজ করলেও বক্স অফিসে সহজেই হিট তকমা পেয়ে যাবে এই ম্যাচ।
তবে সেই সিনেমায় তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলবেন কেবল রিয়াল মাদ্রিদ ভক্তরাই। আজ বার্সেলোনাকে ২-১ গোলে হারিয়ে তাদের জয় উপহার দিয়েছেন এমবাপ্পে-বেলিংহামরা। তাও টানা ৪ এল ক্লাসিকো হারের পর।
সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটে পেনাল্টি পায় রিয়াল। কিন্তু ভিএআরে দেখা যায় লামিনে ইয়ামাল নন উল্টো ভিনিসিয়ুস জুনিয়রই ফাউল করে বসেন। ১২ মিনিটে কিলিয়ান এমবাপ্পে দারুণ এক ভলিতে কাঁপান জাল। অফসাইডের সংকেত নিয়ে এবারও বাধা হয়ে দাঁড়ায় ভিএআর।
২২ মিনিটে রিয়ালকে আর কোনোকিছুই আটকাতে পারেনি। আটকাতে পারেনি এমবাপ্পেকেও। জুড বেলিংহামের দুর্দান্ত এক থ্রু বল খুব সহজেই নিয়ন্ত্রণে নেন তিনি। সামনে যখন শুধু গোলরক্ষক ভয়চেক সেজনি। তখন এমবাপ্পে আর ভুল করতে পারেন কী করে! অসাধারণ শটে বল জালে ঠেলে সোজা চলে যান উদ্যাপনে। এল ক্লাসিকোর ইতিহাসে টানা ৪ ম্যাচে গোল করা তৃতীয় ফুটবলার তিনি।
এরপর বল বার্সার দখলে বেশি থাকলেও রিয়াল শানাচ্ছিল একের পর এক আক্রমণ। আর বার্সা ছিল রিয়ালের একটি ভুলের অপেক্ষায়। সেই ভুল করে বসেন আর্দা গুলের। বক্সের সামনে পেদ্রির কাছে বল হারান তিনি। সেখান থেকে আলেহান্দ্রো বালদে বল পেয়ে তা বাড়ান মার্কাস রাশফোর্ডকে। তাঁর কাটব্যাক থেকে সুযোগ সন্ধানী ফরোয়ার্ডের মতোই জাল খুঁজে নেন ফেরমিন লোপেস। সমতায় ফেরার স্বস্তি নিয়ে বার্সা বিরতিতে যাওয়ার সম্ভাবনা তখনো খুব একটা বেশি ছিল। রিয়াল বল পেলেই যে ছুটছিল আক্রমণের দিকে। ৪২ মিনিটে স্বাগতিকদের ফের এগিয়ে দেন বেলিংহাম। ২১ শতাব্দীতে এল ক্লাসিকোর এক ম্যাচে গোল ও অ্যাসিস্ট করা সর্বকনিষ্ঠ ফুটবরার তিনি (২২ বছর ১১৯ দিন)। ছাড়িয়ে গেছেন ভিনিসিয়ুস জুনিয়রকে (২২ বছর ২৬৭ দিন)।
বিরতির পর ম্যাচের ফিরে আসতে মরিয়া হয়ে ওঠে বার্সা। রিয়ালের রক্ষণ দুর্গ ভেঙে তেমন কোনো সুযোগই পাচ্ছিল না। তাদের হাইলাইন ডিফেন্সের সুযোগ নিয়ে এমবাপ্পেও বেশ কিছু পাল্টা আক্রমণে ত্রাস সৃষ্টি করেন। কিন্তু একটি সুযোগও কাজে লাগাতে পারেননি। এমনকি পেনাল্টিও না। ৬২ মিনিটে স্পটকিক থেকে তাঁর নেওয়া শট খুব সহজেই ঠেকান সেজনি। যোগ করা সময়ের নবম মিনিটে অরেলিয়ে চুয়োমেনিকে ফাউল করে পেদ্রি দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখলে ১০ জনের দলে নামে বার্সা। হতাশার সঙ্গে তাই ক্ষোভ নিয়েও মাঠ ছাড়তে হলো তাদের।
এই জয়ে ১০ ম্যাচে ২৭ পয়েন্ট নিয়ে লা লিগায় শীর্ষস্থান আরও মজবুত করল রিয়াল। ৫ পয়েন্ট দূরে থেকে দুইয়ে বার্সা।

খেলার শেষ মিনিটে পেদ্রিকে রেফারি লাল কার্ড দেখানোর সঙ্গে সঙ্গেই উত্তপ্ত হয়ে উঠল দুই দলের ডাগআউট। খেলা শেষেও তর্কে জড়িয়ে পড়েন খেলোয়াড়েরা। আপনি হয়তো বলতে পারেন এ আর নতুন কি! এল ক্লাসিকো বলে কথা। মাঠের লড়াইয়ে যেখানে থাকে যুদ্ধের ভাব। থিয়েটারে রিলিজ করলেও বক্স অফিসে সহজেই হিট তকমা পেয়ে যাবে এই ম্যাচ।
তবে সেই সিনেমায় তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলবেন কেবল রিয়াল মাদ্রিদ ভক্তরাই। আজ বার্সেলোনাকে ২-১ গোলে হারিয়ে তাদের জয় উপহার দিয়েছেন এমবাপ্পে-বেলিংহামরা। তাও টানা ৪ এল ক্লাসিকো হারের পর।
সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটে পেনাল্টি পায় রিয়াল। কিন্তু ভিএআরে দেখা যায় লামিনে ইয়ামাল নন উল্টো ভিনিসিয়ুস জুনিয়রই ফাউল করে বসেন। ১২ মিনিটে কিলিয়ান এমবাপ্পে দারুণ এক ভলিতে কাঁপান জাল। অফসাইডের সংকেত নিয়ে এবারও বাধা হয়ে দাঁড়ায় ভিএআর।
২২ মিনিটে রিয়ালকে আর কোনোকিছুই আটকাতে পারেনি। আটকাতে পারেনি এমবাপ্পেকেও। জুড বেলিংহামের দুর্দান্ত এক থ্রু বল খুব সহজেই নিয়ন্ত্রণে নেন তিনি। সামনে যখন শুধু গোলরক্ষক ভয়চেক সেজনি। তখন এমবাপ্পে আর ভুল করতে পারেন কী করে! অসাধারণ শটে বল জালে ঠেলে সোজা চলে যান উদ্যাপনে। এল ক্লাসিকোর ইতিহাসে টানা ৪ ম্যাচে গোল করা তৃতীয় ফুটবলার তিনি।
এরপর বল বার্সার দখলে বেশি থাকলেও রিয়াল শানাচ্ছিল একের পর এক আক্রমণ। আর বার্সা ছিল রিয়ালের একটি ভুলের অপেক্ষায়। সেই ভুল করে বসেন আর্দা গুলের। বক্সের সামনে পেদ্রির কাছে বল হারান তিনি। সেখান থেকে আলেহান্দ্রো বালদে বল পেয়ে তা বাড়ান মার্কাস রাশফোর্ডকে। তাঁর কাটব্যাক থেকে সুযোগ সন্ধানী ফরোয়ার্ডের মতোই জাল খুঁজে নেন ফেরমিন লোপেস। সমতায় ফেরার স্বস্তি নিয়ে বার্সা বিরতিতে যাওয়ার সম্ভাবনা তখনো খুব একটা বেশি ছিল। রিয়াল বল পেলেই যে ছুটছিল আক্রমণের দিকে। ৪২ মিনিটে স্বাগতিকদের ফের এগিয়ে দেন বেলিংহাম। ২১ শতাব্দীতে এল ক্লাসিকোর এক ম্যাচে গোল ও অ্যাসিস্ট করা সর্বকনিষ্ঠ ফুটবরার তিনি (২২ বছর ১১৯ দিন)। ছাড়িয়ে গেছেন ভিনিসিয়ুস জুনিয়রকে (২২ বছর ২৬৭ দিন)।
বিরতির পর ম্যাচের ফিরে আসতে মরিয়া হয়ে ওঠে বার্সা। রিয়ালের রক্ষণ দুর্গ ভেঙে তেমন কোনো সুযোগই পাচ্ছিল না। তাদের হাইলাইন ডিফেন্সের সুযোগ নিয়ে এমবাপ্পেও বেশ কিছু পাল্টা আক্রমণে ত্রাস সৃষ্টি করেন। কিন্তু একটি সুযোগও কাজে লাগাতে পারেননি। এমনকি পেনাল্টিও না। ৬২ মিনিটে স্পটকিক থেকে তাঁর নেওয়া শট খুব সহজেই ঠেকান সেজনি। যোগ করা সময়ের নবম মিনিটে অরেলিয়ে চুয়োমেনিকে ফাউল করে পেদ্রি দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখলে ১০ জনের দলে নামে বার্সা। হতাশার সঙ্গে তাই ক্ষোভ নিয়েও মাঠ ছাড়তে হলো তাদের।
এই জয়ে ১০ ম্যাচে ২৭ পয়েন্ট নিয়ে লা লিগায় শীর্ষস্থান আরও মজবুত করল রিয়াল। ৫ পয়েন্ট দূরে থেকে দুইয়ে বার্সা।

এই টুর্নামেন্টে শুরু থেকেই আমরা দাপট দেখিয়ে ক্রিকেট খেলেছি। আমাদের দুটো ম্যাচ কিন্তু পরিত্যক্ত হয়েছে, যেগুলো লো স্কোরিং ম্যাচ ছিল, আমরা অনায়াসে জিততাম। এটা নিয়ে একটা চিন্তা ছিল। ম্যাচে ভালো একটা স্কোর দাঁড় করাতে পারলে জিততে পারব
২৩ জুন ২০২৩
বৃষ্টি বাগড়া দিল কয়েকবার। তাতে ম্যাচের দৈর্ঘ্য কমে আসে ২৭ ওভারে। মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপে বৃষ্টির মতো আরেকটি দৃশ্য খুব পরিচিত হয়ে উঠেছে। সেটা বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের হতাশা। এমনকি শেষ ম্যাচেও তা এড়ানো গেল না।
৭ ঘণ্টা আগে
এক বছর পূর্তিতে আজ বাফুফে ভবনে হয়েছে বাফুফের কার্যনির্বাহী কমিটির পঞ্চম সভা। যেখানে আসেনি উল্লেখযোগ্য কোনো সিদ্ধান্ত। বেলা ২টায় শুরু হওয়া সভার চার ঘণ্টায় এক বছর নারী ফুটবল দলের সাফল্য ও গঠনতন্ত্রের সংশোধন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। অথচ অ্যাজেন্ডা থাকলেও বাংলাদেশ...
৯ ঘণ্টা আগে
ফুটবলে দিন শেষে ফলই গুরুত্বপূর্ণ। তাই বাংলাদেশ কোচ পিটার বাটলারের কাছে প্রশ্ন রাখা হয়েছিল আজ থাইল্যান্ডকে কি হারাতে পারবেন ঋতুপর্ণা-আফঈদারা? জবাবে বাটলার পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে দিলেন। থাইল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশ শেষ কবে জিতেছিল?
১১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

এক বছর পূর্তিতে আজ বাফুফে ভবনে হয়েছে বাফুফের কার্যনির্বাহী কমিটির পঞ্চম সভা। যেখানে আসেনি উল্লেখযোগ্য কোনো সিদ্ধান্ত। বেলা ২টায় শুরু হওয়া সভার চার ঘণ্টায় এক বছর নারী ফুটবল দলের সাফল্য ও গঠনতন্ত্রের সংশোধন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। অথচ অ্যাজেন্ডা থাকলেও বাংলাদেশ-সিঙ্গাপুর ও বাংলাদেশ-হংকং ম্যাচের আয়-ব্যয়ের হিসাব নিয়ে আলোচনাই হয়নি।
সভা শেষে বাফুফের মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম বাবু বলেন, ‘আজ তাবিথ আউয়ালের নেতৃত্বে বাফুফে নির্বাহী কমিটি এক বছর অতিক্রম করল। আমরা এক বছর অনেক ফুটবল কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করেছি। নারী দল সাফ চ্যাম্পিয়ন, প্রথমবারের মতো নারী দলের এশিয়া কাপের মূল পর্বে কোয়ালিফাই করেছে, ফুটসাল এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে খেলেছে, হামজা-শমিতের মতো ফুটবলার বাংলাদেশের হয়ে খেলছে, এ রকম অনেক সফলতাই আমাদের এসেছে। ব্যর্থতা থাকলে সেটা আপনারা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।’
নারী ফুটবল দল সাফ জেতার পর দেড় কোটি টাকা বোনাসের ঘোষণা দেয় বাফুফে। সেই অর্থ এখনো দেওয়া হয়নি। বাবু বলেন, ‘আজকে এটা নিয়ে আলোচনা হয়নি। আমরা সামনে আলোচনার মাধ্যমে এটা তাদের প্রদানের ব্যবস্থা করব।’
সবশেষ দুই ম্যাচে হংকংয়ের কাছে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে জিততে পারেনি পুরুষ ফুটবল দল। সেই প্রসঙ্গ কেউ তোলেননি বলে দাবি বাবুর, ‘না, আমাদের এ রকম আলোচনা হয়নি। হলে তো অবশ্যই বলতাম। জাতীয় দলের বিষয়ে কোনো কথা হয়নি। এটি জাতীয় দল কমিটির বিষয়, সভাপতি নিজেই এটার চেয়ারম্যান। এই (আয়-ব্যয়ের) বিষয়টি আলোচনায় ওঠেনি। গঠনতন্ত্র ও এক বছরের কর্মকাণ্ড নিয়ে অনেক আলোচনা হওয়ায় দুটি বিষয় আলোচনা হয়নি।’

এক বছর পূর্তিতে আজ বাফুফে ভবনে হয়েছে বাফুফের কার্যনির্বাহী কমিটির পঞ্চম সভা। যেখানে আসেনি উল্লেখযোগ্য কোনো সিদ্ধান্ত। বেলা ২টায় শুরু হওয়া সভার চার ঘণ্টায় এক বছর নারী ফুটবল দলের সাফল্য ও গঠনতন্ত্রের সংশোধন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। অথচ অ্যাজেন্ডা থাকলেও বাংলাদেশ-সিঙ্গাপুর ও বাংলাদেশ-হংকং ম্যাচের আয়-ব্যয়ের হিসাব নিয়ে আলোচনাই হয়নি।
সভা শেষে বাফুফের মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম বাবু বলেন, ‘আজ তাবিথ আউয়ালের নেতৃত্বে বাফুফে নির্বাহী কমিটি এক বছর অতিক্রম করল। আমরা এক বছর অনেক ফুটবল কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করেছি। নারী দল সাফ চ্যাম্পিয়ন, প্রথমবারের মতো নারী দলের এশিয়া কাপের মূল পর্বে কোয়ালিফাই করেছে, ফুটসাল এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে খেলেছে, হামজা-শমিতের মতো ফুটবলার বাংলাদেশের হয়ে খেলছে, এ রকম অনেক সফলতাই আমাদের এসেছে। ব্যর্থতা থাকলে সেটা আপনারা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।’
নারী ফুটবল দল সাফ জেতার পর দেড় কোটি টাকা বোনাসের ঘোষণা দেয় বাফুফে। সেই অর্থ এখনো দেওয়া হয়নি। বাবু বলেন, ‘আজকে এটা নিয়ে আলোচনা হয়নি। আমরা সামনে আলোচনার মাধ্যমে এটা তাদের প্রদানের ব্যবস্থা করব।’
সবশেষ দুই ম্যাচে হংকংয়ের কাছে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে জিততে পারেনি পুরুষ ফুটবল দল। সেই প্রসঙ্গ কেউ তোলেননি বলে দাবি বাবুর, ‘না, আমাদের এ রকম আলোচনা হয়নি। হলে তো অবশ্যই বলতাম। জাতীয় দলের বিষয়ে কোনো কথা হয়নি। এটি জাতীয় দল কমিটির বিষয়, সভাপতি নিজেই এটার চেয়ারম্যান। এই (আয়-ব্যয়ের) বিষয়টি আলোচনায় ওঠেনি। গঠনতন্ত্র ও এক বছরের কর্মকাণ্ড নিয়ে অনেক আলোচনা হওয়ায় দুটি বিষয় আলোচনা হয়নি।’

এই টুর্নামেন্টে শুরু থেকেই আমরা দাপট দেখিয়ে ক্রিকেট খেলেছি। আমাদের দুটো ম্যাচ কিন্তু পরিত্যক্ত হয়েছে, যেগুলো লো স্কোরিং ম্যাচ ছিল, আমরা অনায়াসে জিততাম। এটা নিয়ে একটা চিন্তা ছিল। ম্যাচে ভালো একটা স্কোর দাঁড় করাতে পারলে জিততে পারব
২৩ জুন ২০২৩
বৃষ্টি বাগড়া দিল কয়েকবার। তাতে ম্যাচের দৈর্ঘ্য কমে আসে ২৭ ওভারে। মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপে বৃষ্টির মতো আরেকটি দৃশ্য খুব পরিচিত হয়ে উঠেছে। সেটা বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের হতাশা। এমনকি শেষ ম্যাচেও তা এড়ানো গেল না।
৭ ঘণ্টা আগে
খেলার শেষ মিনিটে পেদ্রিকে রেফারি লাল কার্ড দেখানোর সঙ্গে সঙ্গেই উত্তপ্ত হয়ে উঠল দুই দলের ডাগআউট। খেলা শেষেও তর্কে জড়িয়ে পড়েন খেলোয়াড়েরা। আপনি হয়তো বলতে পারেন এ আর নতুন কি! এল ক্লাসিকো বলে কথা। মাঠের লড়াইয়ে যেখানে থাকে যুদ্ধের ভাব। থিয়েটারে রিলিজ করলেও বক্স অফিসে সহজেই হিট তকমা পেয়ে যাবে এই ম্যাচ।
৮ ঘণ্টা আগে
ফুটবলে দিন শেষে ফলই গুরুত্বপূর্ণ। তাই বাংলাদেশ কোচ পিটার বাটলারের কাছে প্রশ্ন রাখা হয়েছিল আজ থাইল্যান্ডকে কি হারাতে পারবেন ঋতুপর্ণা-আফঈদারা? জবাবে বাটলার পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে দিলেন। থাইল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশ শেষ কবে জিতেছিল?
১১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ফুটবলে দিন শেষে ফলই গুরুত্বপূর্ণ। তাই বাংলাদেশ কোচ পিটার বাটলারের কাছে প্রশ্ন রাখা হয়েছিল আজ থাইল্যান্ডকে কি হারাতে পারবেন ঋতুপর্ণা-আফঈদারা? জবাবে বাটলার পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে দিলেন। থাইল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশ শেষ কবে জিতেছিল?
দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলতে গিয়ে প্রথম ম্যাচে থাইল্যান্ডের কাছে পাত্তাই পায়নি বাংলাদেশ। হেরেছে ৩-০ গোলে। কাল লড়াইটা তাই ঘুরে দাঁড়ানোর। ব্যাংককের চালেম ফ্রা কিয়াত স্পোর্টস সেন্টারে ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় বিকেল ৫টায়।
খেলায় যেকোনো দলই জয়ের লক্ষ্য নিয়ে মাঠে। তবে প্রতিপক্ষ যখন র্যাঙ্কিংয়ে ৫১ ধাপ এগিয়ে থাকা থাইল্যান্ড। দুবার বিশ্বকাপ খেলা দলটির বিপক্ষে তখন বাটলারও খুব একটা উচ্চাশা দেখার সুযোগ পান না। আগের ম্যাচের ভুল শুধরে স্বাগতিকদের চ্যালেঞ্জে ফেলার সাহস অবশ্য তিনি করছেন। আজ বাংলাদেশ কোচ বলেন, ‘আমরা সিস্টেমে কিছুটা পরিবর্তন এনেছি। কিছু কিছু জায়গা ঘাটতি রয়েছে আমাদের, সেটা পূরণ করতে হবে। আগের ম্যাচে আমরা মৌলিক কিছু ভুল করেছি—যেমন প্রথম ৪৫ সেকেন্ডে গোল হজম করা এবং তা সবসময় পাহাড়সম চাপ বয়ে আনে।’
ঘরের মাঠে বাংলাদেশ সবশেষ খেলেছে গত বছরের জুনে চায়নিজ তাইপের বিপক্ষে। এরপর সবগুলো ম্যাচ শুধু দেশের বাইরে খেলেছে। বাটলারও খানিকটা আক্ষেপ ভরা কণ্ঠে বলেন, ‘খেলার মধ্যে অনেক কিছুই থাকে, যা ফলাফলে প্রভাব ফেলে। আমি কাউকে দোষ দিতে পছন্দ করি না এবং অজুহাতও দিই না। তবে দেশের বাইরে জেতার চেয়ে ঘরের মাঠে ম্যাচ জেতা অনেক সহজ।’
প্রথম ম্যাচে হারের পর ফুটবলারদের আচরণ ও মানসিকতা ক্ষুব্ধ করেছিল বাটলারকে, ‘কয়েকজনের সঙ্গে আমি আলাদাভাবে কথা বলেছি। তাদের অ্যাপ্রোচ ও মাইন্ডসেট নিয়ে আমি সন্তুষ্ট। বিশেষ করে এক-দুজন আছে, যাদের আমি সত্যিকারের ম্যাচ উইনার মনে করি এবং আগের ম্যাচে তারা তাদের সামর্থ্যটা মেলে ধরতে পারেনি।’
থাইল্যান্ডের সঙ্গে তুলনা করতে গিয়ে বাটলার বলেন, ‘আমরা থাইল্যান্ডের লেভেলে নেই। তারা খুবই ভালো দল এবং সেটা তারা দেখাবেও। তারা সম্ভবত পুরো ভিন্ন এক দল মাঠে নামাবে (আজ)। অনেক সময় বেঞ্চ দেখে দলের শক্তি বোঝা যায়। তাদের বেঞ্চ দেখে মনে হলো এখানে আরকটা দল বসে আছে। তাই আমাদের বাস্তববাদী হতে হবে।’
এই সফরের আগে থাইল্যান্ডের বিপক্ষে একটি ম্যাচই খেলেছে বাংলাদেশ। এক যুগ আগের ম্যাচে হারতে হয়েছিল ৯-০ গোলে। বাটলার বলেন, ‘যদি আমরা মানদণ্ড দাঁড় করানোর ও আরও পেশাদার হওয়ার কথা বলি, বড় কিছু কল্পনা করার আগে আমাদের সেই জায়গায় পৌঁছাতে হবে। যেখানে আমরা থাইল্যান্ডের মতো জায়গায় এসে ম্যাচ জেতার কথা ভাবতে পারি। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো আমরা একটা মোমেন্টাম তৈরি করছি।’

ফুটবলে দিন শেষে ফলই গুরুত্বপূর্ণ। তাই বাংলাদেশ কোচ পিটার বাটলারের কাছে প্রশ্ন রাখা হয়েছিল আজ থাইল্যান্ডকে কি হারাতে পারবেন ঋতুপর্ণা-আফঈদারা? জবাবে বাটলার পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে দিলেন। থাইল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশ শেষ কবে জিতেছিল?
দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলতে গিয়ে প্রথম ম্যাচে থাইল্যান্ডের কাছে পাত্তাই পায়নি বাংলাদেশ। হেরেছে ৩-০ গোলে। কাল লড়াইটা তাই ঘুরে দাঁড়ানোর। ব্যাংককের চালেম ফ্রা কিয়াত স্পোর্টস সেন্টারে ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় বিকেল ৫টায়।
খেলায় যেকোনো দলই জয়ের লক্ষ্য নিয়ে মাঠে। তবে প্রতিপক্ষ যখন র্যাঙ্কিংয়ে ৫১ ধাপ এগিয়ে থাকা থাইল্যান্ড। দুবার বিশ্বকাপ খেলা দলটির বিপক্ষে তখন বাটলারও খুব একটা উচ্চাশা দেখার সুযোগ পান না। আগের ম্যাচের ভুল শুধরে স্বাগতিকদের চ্যালেঞ্জে ফেলার সাহস অবশ্য তিনি করছেন। আজ বাংলাদেশ কোচ বলেন, ‘আমরা সিস্টেমে কিছুটা পরিবর্তন এনেছি। কিছু কিছু জায়গা ঘাটতি রয়েছে আমাদের, সেটা পূরণ করতে হবে। আগের ম্যাচে আমরা মৌলিক কিছু ভুল করেছি—যেমন প্রথম ৪৫ সেকেন্ডে গোল হজম করা এবং তা সবসময় পাহাড়সম চাপ বয়ে আনে।’
ঘরের মাঠে বাংলাদেশ সবশেষ খেলেছে গত বছরের জুনে চায়নিজ তাইপের বিপক্ষে। এরপর সবগুলো ম্যাচ শুধু দেশের বাইরে খেলেছে। বাটলারও খানিকটা আক্ষেপ ভরা কণ্ঠে বলেন, ‘খেলার মধ্যে অনেক কিছুই থাকে, যা ফলাফলে প্রভাব ফেলে। আমি কাউকে দোষ দিতে পছন্দ করি না এবং অজুহাতও দিই না। তবে দেশের বাইরে জেতার চেয়ে ঘরের মাঠে ম্যাচ জেতা অনেক সহজ।’
প্রথম ম্যাচে হারের পর ফুটবলারদের আচরণ ও মানসিকতা ক্ষুব্ধ করেছিল বাটলারকে, ‘কয়েকজনের সঙ্গে আমি আলাদাভাবে কথা বলেছি। তাদের অ্যাপ্রোচ ও মাইন্ডসেট নিয়ে আমি সন্তুষ্ট। বিশেষ করে এক-দুজন আছে, যাদের আমি সত্যিকারের ম্যাচ উইনার মনে করি এবং আগের ম্যাচে তারা তাদের সামর্থ্যটা মেলে ধরতে পারেনি।’
থাইল্যান্ডের সঙ্গে তুলনা করতে গিয়ে বাটলার বলেন, ‘আমরা থাইল্যান্ডের লেভেলে নেই। তারা খুবই ভালো দল এবং সেটা তারা দেখাবেও। তারা সম্ভবত পুরো ভিন্ন এক দল মাঠে নামাবে (আজ)। অনেক সময় বেঞ্চ দেখে দলের শক্তি বোঝা যায়। তাদের বেঞ্চ দেখে মনে হলো এখানে আরকটা দল বসে আছে। তাই আমাদের বাস্তববাদী হতে হবে।’
এই সফরের আগে থাইল্যান্ডের বিপক্ষে একটি ম্যাচই খেলেছে বাংলাদেশ। এক যুগ আগের ম্যাচে হারতে হয়েছিল ৯-০ গোলে। বাটলার বলেন, ‘যদি আমরা মানদণ্ড দাঁড় করানোর ও আরও পেশাদার হওয়ার কথা বলি, বড় কিছু কল্পনা করার আগে আমাদের সেই জায়গায় পৌঁছাতে হবে। যেখানে আমরা থাইল্যান্ডের মতো জায়গায় এসে ম্যাচ জেতার কথা ভাবতে পারি। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো আমরা একটা মোমেন্টাম তৈরি করছি।’

এই টুর্নামেন্টে শুরু থেকেই আমরা দাপট দেখিয়ে ক্রিকেট খেলেছি। আমাদের দুটো ম্যাচ কিন্তু পরিত্যক্ত হয়েছে, যেগুলো লো স্কোরিং ম্যাচ ছিল, আমরা অনায়াসে জিততাম। এটা নিয়ে একটা চিন্তা ছিল। ম্যাচে ভালো একটা স্কোর দাঁড় করাতে পারলে জিততে পারব
২৩ জুন ২০২৩
বৃষ্টি বাগড়া দিল কয়েকবার। তাতে ম্যাচের দৈর্ঘ্য কমে আসে ২৭ ওভারে। মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপে বৃষ্টির মতো আরেকটি দৃশ্য খুব পরিচিত হয়ে উঠেছে। সেটা বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের হতাশা। এমনকি শেষ ম্যাচেও তা এড়ানো গেল না।
৭ ঘণ্টা আগে
খেলার শেষ মিনিটে পেদ্রিকে রেফারি লাল কার্ড দেখানোর সঙ্গে সঙ্গেই উত্তপ্ত হয়ে উঠল দুই দলের ডাগআউট। খেলা শেষেও তর্কে জড়িয়ে পড়েন খেলোয়াড়েরা। আপনি হয়তো বলতে পারেন এ আর নতুন কি! এল ক্লাসিকো বলে কথা। মাঠের লড়াইয়ে যেখানে থাকে যুদ্ধের ভাব। থিয়েটারে রিলিজ করলেও বক্স অফিসে সহজেই হিট তকমা পেয়ে যাবে এই ম্যাচ।
৮ ঘণ্টা আগে
এক বছর পূর্তিতে আজ বাফুফে ভবনে হয়েছে বাফুফের কার্যনির্বাহী কমিটির পঞ্চম সভা। যেখানে আসেনি উল্লেখযোগ্য কোনো সিদ্ধান্ত। বেলা ২টায় শুরু হওয়া সভার চার ঘণ্টায় এক বছর নারী ফুটবল দলের সাফল্য ও গঠনতন্ত্রের সংশোধন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। অথচ অ্যাজেন্ডা থাকলেও বাংলাদেশ...
৯ ঘণ্টা আগে