Ajker Patrika

জয় শাহ আইসিসি চেয়ারম্যান, ক্রিকেটে ভারতের দাপট কি আরও বাড়বে

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২২ অক্টোবর ২০২৪, ১১: ৪৪
জয় শাহ আইসিসি চেয়ারম্যান, ক্রিকেটে ভারতের দাপট কি আরও বাড়বে

ভারতের বর্তমান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের ছেলে জয় শাহ, মাত্র ৩৫ বছর বয়সেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থার (আইসিসি) চেয়ারম্যান হয়েছেন। এখন সবচেয়ে কম বয়সী আইসিসি প্রধানও তিনি। জয় শাহর আইসিসির প্রধান হওয়ায় বিশ্ব ক্রিকেটে ভারতের দাপট কি আরও বাড়বে, সে প্রশ্ন আপনা–আপনি এসে যাচ্ছে। 

বাবা অমিত শাহ ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) প্রভাবশালী নেতা ও দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। ছেলে জয় শাহ ২০ বছর বয়সেই ক্রিকেট প্রশাসনে এসেছেন। ছোটবেলা থেকেই ক্রিকেটের প্রতি তাঁর আলাদা নেশা রয়েছে। বাবার পরিচয়, নিজের প্যাশন—ক্রিকেট সংগঠক, প্রশাসক হিসেবে তাঁর কাজ করাটা তাই কঠিন কোনো কাজ ছিল না। তবে দক্ষতাই যদি না থাকে, শুধু ক্ষমতা দিয়ে সফল হওয়া যায়, এমন উদাহরণ ভুরি ভুরি আছে। জয়ের নিশ্চয়ই এমন কিছু দক্ষতা ছিল, সেটির সঙ্গে অমিত-ক্ষমতার মিশ্রণ ঘটিয়ে তিনি বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থার সিংহাসনে বসেছেন। 

ক্রিকেট প্রশাসনে জয় শাহের যাত্রা শুরু ২০০৯ সালে, জেলা পর্যায়ে কেন্দ্রীয় ক্রিকেট বোর্ড আহমেদাবাদে (সিবিসিএ) কাজ শুরু করেন। ধীরে ধীরে উন্নীত হতে থাকে তাঁর অবস্থানও। এরপর গুজরাট ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনে (জিসিএ) কাজ শুরু করেন এবং ২০১৩ সালে সংস্থার যুগ্ম সম্পাদক হন। এরপর জয় শাহ পৌঁছান জাতীয় পর্যায়ে। ২০১৯ সালে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) সচিব হিসেবে কাজ শুরু করেন। ২০২১ সাল এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি) প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন জয় শাহ। ২০২২ সালে জয় শাহ আইসিসির গুরুত্বপূর্ণ পদ আর্থিক ও বাণিজ্যিক কমিটির প্রধান হন। আর এবার হলেন আইসিসির সভাপতি। আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে শুরু হবে তাঁর আনুষ্ঠানিক দায়িত্ব। তাঁর আগে ভারত থেকে জগমোহন ডালমিয়া, শরদ পাওয়ার, এন শ্রিনিবাসন ও শশাঙ্ক মনোহর আইসিসির সভাপতি হয়েছেন। 

আইসিসির আয়ের সবচেয়ে উৎস ও বাজার হচ্ছে ১৫০ কোটি মানুষের ভারত। আইসিসির বিভিন্ন টুর্নামেন্টের সব বড় রাজস্ব আসে ভারত থেকে। আর এভাবেই গত দুই দশকে আইসিসিতে সবচেয়ে বেশি দাপট প্রতিষ্ঠা করেছে ভারত। বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ক্রিকেট বোর্ড হওয়ায় ভারতই ‘তিন মোড়লে’র তত্ত্ব সামনে আনে। পরে সেটি বাতিল হলেও আইসিসির বর্তমান আর্থিক মডেলে ভারতের দাপটই বেশি। আইসিসির আয়ের ৬০-৭০ শতাংশ উৎস ভারতের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। আইসিসির বার্ষিক আয় বণ্টনেও ভারতের অগ্রাধিকার। আইসিসি আয়ের সর্বোচ্চ ৪০ শতাংশ ভাগ দেয় ভারতকে। সব ক্রিকেট বোর্ডের এখন বড় আশা নিয়ে থাকে ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সিরিজ খেলতে। ভারতের সঙ্গে খেললেই যে কোষাগার ফুলে ওঠার নিশ্চয়তা। 

বিভিন্ন দেশের আয়ের ওপর রাজস্ব বণ্টননীতি চালু থেকেই ভারতের দাপট বেড়েছে আইসিসিতে। আর সে কারণেই ভারতের পছন্দ অনুযায়ী ভেন্যু ও সূচি অনুযায়ী খেলা হয় আইসিসি কিংবা এসিসির বড় টুর্নামেন্টে। গত বছর জটিল হাইব্রিড মডেলে এশিয়া কাপ হয়েছে শুধুই ভারতের চাওয়া মেনে। পাকিস্তানে হতে যাওয়া ২০২৫ চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে ভারতের অংশগ্রহণ এখনো অনিশ্চিত। বড় টুর্নামেন্টের সূচিও এমনভাবে সাজানো হয়, যেখানে ভারতকে বাড়তি সুবিধা দেওয়ার অভিযোগ থাকবেই। সবশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও দেখা যাবে, ভারতকে সবচেয়ে কম ভ্রমণ ধকল সইতে হয়েছে। আরব আমিরাতে হওয়া ২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ কিংবা ২০২২ এশিয়া কাপে ভারতকে দুবাইয়ের বাইরে খেলতেই হয়নি। ভারতীয় দলের প্রতি আয়োজক দেশগুলোর বাড়তি নজরও রাখতে হয়—হোটেল থেকে শুরু করে বিভিন্ন লজিস্টিক সাপোর্টে যেন পান থেকে চুন খসলেই সর্বনাশ! 

বার্বাডোজে ২৯ জুন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ের পর শিরোপা হাতে বিসিসিআই সচিব জয় শাহ। পাশে আইসিসির সাবেক চেয়ারম্যান গ্রেগ বার্কলে। ছবি: এএফপিলক্ষ্য করলে দেখা যাবে, এখন বেশির ভাগ টুর্নামেন্টেই গ্রুপ বা লিগ পর্বের শেষ দিনের ম্যাচটি থাকে ভারতের, তাদের জটিল সমীকরণ মেলাতে কাজে দিতে পারে বলেই এমন ব্যবস্থা। ২০১৯ বিশ্বকাপের লিগ পর্বের শেষ দিনে ভারতের প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা, ২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সুপার টুয়েলভের শেষ দিনে ভারতের প্রতিপক্ষ নামিবিয়া, ২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সুপার টুয়েলভের শেষ দিনে ভারতের প্রতিপক্ষ জিম্বাবুয়ে, ২০২৩ বিশ্বকাপের শেষ দিনে ভারতের প্রতিপক্ষ নেদারল্যান্ডস আর ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বের শেষ দিনে ভারতের প্রতিপক্ষ ছিল কানাডা। এগুলো সবই ছোট ছোট উদাহরণ মাত্র। 

শুধুই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নয়, ঘরোয়া ক্রিকেটেও ভারতের দাপট প্রমাণ করতে শুধুই আইপিএল যথেষ্ট। বিসিসিআই সাধারণত ভারতীয় খেলোয়াড়দের বাইরের টি-টোয়েন্টি লিগ খেলার অনুমতি দেয় না। তবে তাদের আইপিএল খেলতে বিশ্বের বেশির ভাগ তারকা ক্রিকেটার অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় থাকে। কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা আর গ্ল্যামারে আইপিএল এখন সবচেয়ে আকর্ষণীয় টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট। এই টুর্নামেন্টের সূচির সঙ্গে আইসিসিকেও মানিয়ে নিতে হয়। আইপিএলের সময় আইসিসির কোনো ইভেন্ট তো দূরে থাক, আন্তর্জাতিক সিরিজ আয়োজনও বেশ কঠিন হয়ে পড়ে সদস্য দেশগুলোর। কারণ, বেশির ভাগ তারকা ক্রিকেটার আইপিএল নিয়ে ব্যস্ত থাকে। নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকার মতো দলকেও এ সময়ে সিরিজ খেলতে তারকা ক্রিকেটারদের ছাড়াই নামতে হয়। দিনে দিনে আইপিএলের দলের সংখ্যা বাড়ায় টুর্নামেন্টের সময়সীমাও বেড়েছে। আগে আইপিএল শেষ হয়েছে দেড় মাসের মধ্যে। আর এখন হয় দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে। মার্চ, এপ্রিল ও মে—এই তিন মাসের উইন্ডো এখন আইপিএলের জন্য ‘খালি’ রাখতে হয় বেশির ভাগ ক্রিকেট বোর্ডকে।

আইসিসিতে ‘ভারতের স্বার্থ আগে, তারপর বাকি সবকিছু’—এ অভিযোগ গত এক দশকে এত বেশি উঠেছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আইসিসিকে অনেকে ‘ইন্ডিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল’ বলেও ব্যঙ্গ করে থাকেন! জয় শাহ আইসিসির প্রধান হওয়ার পর ভারতের দাপট কোনোভাবেই কমার কথা নয়, বরং সেটি কত বাড়বে, সেটিই কৌতূহলী চোখে দেখতে চাইছেন ক্রিকেটপ্রেমীরা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মসজিদে আমির হামজাকে রাজনৈতিক আলোচনা করতে নিষেধ করায় লাঞ্ছিত বিএনপি নেতা

বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে পথচারীর মৃত্যু, মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ

তিন ঘণ্টা পর আংশিক চালু মেট্রোরেল

বিমানবন্দর রেলস্টেশনে ট্রেন থেকে আগ্নেয়াস্ত্রভর্তি ট্রলি ব্যাগ উদ্ধার

সুদান: সবুজ স্বর্গে পচে যাচ্ছে খাবার, অন্য পাশে দুর্ভিক্ষে মারা যাচ্ছে শিশু

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ঘরের মাঠে খেলতে না পারার আক্ষেপ বাংলাদেশ কোচের

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
অনুশীলনে ফুটবলারদের নিয়ে বাংলাদেশ কোচ পিটার বাটলার। ছবি: বাফুফে
অনুশীলনে ফুটবলারদের নিয়ে বাংলাদেশ কোচ পিটার বাটলার। ছবি: বাফুফে

ফুটবলে দিন শেষে ফলই গুরুত্বপূর্ণ। তাই বাংলাদেশ কোচ পিটার বাটলারের কাছে প্রশ্ন রাখা হয়েছিল আজ থাইল্যান্ডকে কি হারাতে পারবেন ঋতুপর্ণা-আফঈদারা? জবাবে বাটলার পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে দিলেন। থাইল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশ শেষ কবে জিতেছিল?

দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলতে গিয়ে প্রথম ম্যাচে থাইল্যান্ডের কাছে পাত্তাই পায়নি বাংলাদেশ। হেরেছে ৩-০ গোলে। কাল লড়াইটা তাই ঘুরে দাঁড়ানোর। ব্যাংককের চালেম ফ্রা কিয়াত স্পোর্টস সেন্টারে ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় বিকেল ৫টায়।

খেলায় যেকোনো দলই জয়ের লক্ষ্য নিয়ে মাঠে। তবে প্রতিপক্ষ যখন র‍্যাঙ্কিংয়ে ৫১ ধাপ এগিয়ে থাকা থাইল্যান্ড। দুবার বিশ্বকাপ খেলা দলটির বিপক্ষে তখন বাটলারও খুব একটা উচ্চাশা দেখার সুযোগ পান না। আগের ম্যাচের ভুল শুধরে স্বাগতিকদের চ্যালেঞ্জে ফেলার সাহস অবশ্য তিনি করছেন। আজ বাংলাদেশ কোচ বলেন, ‘আমরা সিস্টেমে কিছুটা পরিবর্তন এনেছি। কিছু কিছু জায়গা ঘাটতি রয়েছে আমাদের, সেটা পূরণ করতে হবে। আগের ম্যাচে আমরা মৌলিক কিছু ভুল করেছি—যেমন প্রথম ৪৫ সেকেন্ডে গোল হজম করা এবং তা সবসময় পাহাড়সম চাপ বয়ে আনে।’

ঘরের মাঠে বাংলাদেশ সবশেষ খেলেছে গত বছরের জুনে চায়নিজ তাইপের বিপক্ষে। এরপর সবগুলো ম্যাচ শুধু দেশের বাইরে খেলেছে। বাটলারও খানিকটা আক্ষেপ ভরা কণ্ঠে বলেন, ‘খেলার মধ্যে অনেক কিছুই থাকে, যা ফলাফলে প্রভাব ফেলে। আমি কাউকে দোষ দিতে পছন্দ করি না এবং অজুহাতও দিই না। তবে দেশের বাইরে জেতার চেয়ে ঘরের মাঠে ম্যাচ জেতা অনেক সহজ।’

প্রথম ম্যাচে হারের পর ফুটবলারদের আচরণ ও মানসিকতা ক্ষুব্ধ করেছিল বাটলারকে, ‘কয়েকজনের সঙ্গে আমি আলাদাভাবে কথা বলেছি। তাদের অ্যাপ্রোচ ও মাইন্ডসেট নিয়ে আমি সন্তুষ্ট। বিশেষ করে এক-দুজন আছে, যাদের আমি সত্যিকারের ম্যাচ উইনার মনে করি এবং আগের ম্যাচে তারা তাদের সামর্থ্যটা মেলে ধরতে পারেনি।’

থাইল্যান্ডের সঙ্গে তুলনা করতে গিয়ে বাটলার বলেন, ‘আমরা থাইল্যান্ডের লেভেলে নেই। তারা খুবই ভালো দল এবং সেটা তারা দেখাবেও। তারা সম্ভবত পুরো ভিন্ন এক দল মাঠে নামাবে (আজ)। অনেক সময় বেঞ্চ দেখে দলের শক্তি বোঝা যায়। তাদের বেঞ্চ দেখে মনে হলো এখানে আরকটা দল বসে আছে। তাই আমাদের বাস্তববাদী হতে হবে।’

এই সফরের আগে থাইল্যান্ডের বিপক্ষে একটি ম্যাচই খেলেছে বাংলাদেশ। এক যুগ আগের ম্যাচে হারতে হয়েছিল ৯-০ গোলে। বাটলার বলেন, ‘যদি আমরা মানদণ্ড দাঁড় করানোর ও আরও পেশাদার হওয়ার কথা বলি, বড় কিছু কল্পনা করার আগে আমাদের সেই জায়গায় পৌঁছাতে হবে। যেখানে আমরা থাইল্যান্ডের মতো জায়গায় এসে ম্যাচ জেতার কথা ভাবতে পারি। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো আমরা একটা মোমেন্টাম তৈরি করছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মসজিদে আমির হামজাকে রাজনৈতিক আলোচনা করতে নিষেধ করায় লাঞ্ছিত বিএনপি নেতা

বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে পথচারীর মৃত্যু, মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ

তিন ঘণ্টা পর আংশিক চালু মেট্রোরেল

বিমানবন্দর রেলস্টেশনে ট্রেন থেকে আগ্নেয়াস্ত্রভর্তি ট্রলি ব্যাগ উদ্ধার

সুদান: সবুজ স্বর্গে পচে যাচ্ছে খাবার, অন্য পাশে দুর্ভিক্ষে মারা যাচ্ছে শিশু

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

‘জীবনে যে একদিন লুডুও খেলেনি, সে কেন সাধারণ সম্পাদক’

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
মহিলা ক্রীড়া সংস্থার কমিটি বিলুপ্তির দাবি জানিয়েছেন সাবেক ক্রীড়াবিদ ও সংগঠকেরা। ছবি: সংগৃহীত
মহিলা ক্রীড়া সংস্থার কমিটি বিলুপ্তির দাবি জানিয়েছেন সাবেক ক্রীড়াবিদ ও সংগঠকেরা। ছবি: সংগৃহীত

অবশেষে মহিলা ক্রীড়া সংস্থার অ্যাডহক কমিটি দিয়েছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি)। গতকাল ঘোষিত কমিটি নিয়ে রয়েছে বিতর্ক। তাই এই কমিটির বিলুপ্তি চান সাবেক ক্রীড়াবিদ ও সংগঠকেরা।

মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবে আজ এক সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করা হয়। সাবেক ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড় কামরুন নাহার ডানাসহ ৬ সাবেক নারী ক্রীড়াবিদ ও সংগঠক।

নতুন অ্যাডহক কমিটির সভাপতি করা হয়েছে ব্যারিস্টার সারওয়াত সিরাজ শুক্লাকে। এই কমিটির সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী ফিরোজ করিম নেলী। দুজনেই আগের কমিটির সদস্য ছিলেন।

ডানা বলেন, ‘যেহেতু সরকার বলেছে ক্রীড়াঙ্গনের লোক থাকবে। এই কমিটিতে ৫০ শতাংশ লোকও নাই। আমরা অবশ্যই আশা করব কালকের মধ্যে কমিটি ভেঙে দিতে হবে। নয়ত বৃহত্তর কর্মসূচি ঘোষণা করব। আমরা ফিরোজা করিম নেলীকে চাই না। উনি তো খেলোয়াড় নন। অনেক সাবেক খেলোয়াড় ও সংগঠক আছে তারা সুযোগ পায় না। এই কমিটির বিলুপ্তি চাই।’

নেলীকে নিয়ে সাবেক সাঁতারু মাহফুজা আক্তার তানিয়া বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সময় দেখেছি সাঁতার ফেডারেশনে অনেক নন স্পোর্টসম্যান ছিল। এখন মহিলা ক্রীড়া সংস্থাতেও সেসব দেখছি। নেলী করিম আমাদের সঙ্গে যা করেছে সেসব মানার মতো না। এসব আশা করি না। তা ছাড়া সার্চ কমিটি যাদের নাম দিল তাদের কেউ তো কমিটিতে নেই। আমরা চাই সুস্থ কমিটি, পূর্ণাঙ্গ কমিটি।’

নতুন অ্যাডহক কমিটির অনেকেই কোনো দিন খেলাধুলায় ছিলেন না বলে মনে করেন সাবেক ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড় নাজমা সিদ্দিকী শিমুল, ‘নেলী জীবনে একদিন লুডুও খেলেনি সে কেন জেনারেল সেক্রেটারি। এখানে কমিটিতে যারা আছে তাদের কাউকে চিনি না। ডানা আপার একজনের যোগ্যতা এদের কারও নেই।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মসজিদে আমির হামজাকে রাজনৈতিক আলোচনা করতে নিষেধ করায় লাঞ্ছিত বিএনপি নেতা

বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে পথচারীর মৃত্যু, মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ

তিন ঘণ্টা পর আংশিক চালু মেট্রোরেল

বিমানবন্দর রেলস্টেশনে ট্রেন থেকে আগ্নেয়াস্ত্রভর্তি ট্রলি ব্যাগ উদ্ধার

সুদান: সবুজ স্বর্গে পচে যাচ্ছে খাবার, অন্য পাশে দুর্ভিক্ষে মারা যাচ্ছে শিশু

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

আফিফের হ্যাটট্রিকের দিনে নাঈম–রনির সেঞ্চুরি

ক্রীড়া ডেস্ক    
হ্যাটট্রিকসহ ৬ উইকেট নিয়েছেন আফিফ। ছবি: বিসিবি
হ্যাটট্রিকসহ ৬ উইকেট নিয়েছেন আফিফ। ছবি: বিসিবি

জাতীয় ক্রিকেট লিগের (এনসিএল) প্রথম রাউন্ডের দ্বিতীয় দিনে দাপট দেখালেন বোলাররা। আলাদাভাবে বলতে হয় আফিফ হোসেন ধ্রুবর কথা। বরিশালের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করেছেন তিনি। বোলারদের দাপটের দিনে ব্যাটিংয়ে আলো ছড়িয়েছেন নাঈম ইসলাম ও আবু হায়দার রনি। সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন এই দুজন।

আজ দিনের শুরুতেই ৩১৩ রানে অলআউট হয় খুলনা। জবাবে আফিফের হ্যাটট্রিকে ১২৬ রানে গুটিয়ে যায় বরিশাল। ৪২ তম ওভারের প্রথম বলে শামসুল ইসলামকে এলবিডব্লু করেন আফিফ। পরের দুই বলে ইয়াসির আরাফাত মিশু ও রুয়েল মিয়াকে ফেরান তিনি। প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে ১৯ তম বোলার হিসেবে হ্যাটট্রিক করলেন আফিফ।

সব মিলিয়ে বরিশালকে অলআউট করা পথে ৩১ রানে নেন ৬ উইকেট। ফলোঅনে পড়ে আবার ব্যাট করতে নামে বরিশাল। এ যাত্রায় ১১৯ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ করেছে তারা। এখনো ৬৮ রানে পিছিয়ে দলটি।

ঢাকার করা ২২১ রানের জবাবে দ্বিতীয় দিন শেষে ৮ উইকেটে ৩০৮ রান করেছে রংপুর। ১১১ রানে অপরাজিত আছেন নাঈম। তানভীর হায়দারের ব্যাট থেকে আসে ৪৫ রান। ৮৭ রানের লিড নিয়েছে রংপুর। সিলেটের বিপক্ষে ৪০১ রানে থেমেছে ময়মনসিংহের ইনিংস। দলটির হয়ে গতকাল সেঞ্চুরি তুলে নেন আরিফুল ইসলাম। আজ সে পথে হাঁটলেন রনি। ১০৭ রান করেন এই বাঁ হাতি পেসার। জবাবে ৫ উইকেটে ১৯৮ রানে দিনের খেলা শেষ করেছে সিলেট। ৫ উইকেট হাতে রেখে ২০৩ রানে পিছিয়ে তারা।

রাজশাহী বিভাগীয় স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় দিন ১৪ উইকেট পড়েছে। চট্টগ্রামের ৪০১ রানের জবাব দিতে নেমে স্বাগতিকরা থামে ১৯৬ রানে। সফরকারীদের হয়ে ৩৯ রানে ৬ উইকেট নেন হাসান মুরাদ। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে ১৩৩ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে দিনের খেলা শেষ করেছে চট্টগ্রাম। ৩৩৮ রানের লিড পেয়েছে তারা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মসজিদে আমির হামজাকে রাজনৈতিক আলোচনা করতে নিষেধ করায় লাঞ্ছিত বিএনপি নেতা

বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে পথচারীর মৃত্যু, মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ

তিন ঘণ্টা পর আংশিক চালু মেট্রোরেল

বিমানবন্দর রেলস্টেশনে ট্রেন থেকে আগ্নেয়াস্ত্রভর্তি ট্রলি ব্যাগ উদ্ধার

সুদান: সবুজ স্বর্গে পচে যাচ্ছে খাবার, অন্য পাশে দুর্ভিক্ষে মারা যাচ্ছে শিশু

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বাসায় বসে ক্রিকেট দেখাও কষ্টদায়ক: লিটন

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
চোট নিয়ে বাসায় বসে খেলা দেখাটাকে কষ্টদায়ক বলছেন লিটন।
চোট নিয়ে বাসায় বসে খেলা দেখাটাকে কষ্টদায়ক বলছেন লিটন।

হংকং আর আফগানিস্তানকে হারিয়ে প্রত্যাশামতোই সুপার ফোরে উঠেছিল বাংলাদেশ। এই রাউন্ডেও শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে হয়েছিল দুর্দান্ত শুরু। কিন্তু শেষ দুই ম্যাচে ভারত ও পাকিস্তানের বিপক্ষে বোলাররা ভালো করলেও ব্যাটিং ব্যর্থতায় হারে বাংলাদেশ। আর চোটের কারণে গুরুত্বপূর্ণ এই দুই ম্যাচের একটিতেও খেলা হয়নি অধিনায়ক লিটন দাসের। এরপর আরব আমিরাতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজটিও টিভিতে দেখেছেন বাসায় বসে। তাঁর অনুপস্থিতিতে এই সিরিজে ধবলধোলাই হয়েছে বাংলাদেশ।

অনেকেই বলেছেন অধিনায়ক লিটন থাকলে হয়তো এই সিরিজে ধবলধোলাই হতে হতো না বাংলাদেশকে। হতো কিনা, সে প্রশ্নে না গিয়ে খেলা মিস করার যন্ত্রণার কথা জানালেন বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে বললেন, ‘খেলোয়াড় হিসেবে যখন আপনি ম্যাচ খেলতে পারবেন না এটা, কষ্টদায়ক। এটা শুধু এশিয়া কাপেই নয়, আমি যখন বাসা থেকে আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজও দেখেছি, সেটাও ছিল আমার জন্য কষ্টদায়ক।’

কেন কষ্টদায়ক চট্টগ্রামে সংবাদ সম্মেলনে তাঁর ব্যাখ্যাও দিলেন লিটন, ‘কষ্টদায়ক এ জন্য যে একজন প্লেয়ার ভালো ফর্মে ছিল, টুকটাক ভালো পারফর্ম করছিল এবং দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছিল। সেখান থেকে (সরে এসে) বাসায় বসে খেলা দেখাটাও কষ্টদায়ক ব্যাপার।’ তবে লিটন এটাও বলছে ইনজুরির ওপর কারও নিয়ন্ত্রণ নেই। বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি অধিনায়কের ভাষায়, ‘এটা আপনাকে মেনে নিতেই হবে যে কিছু কিছু ক্ষেত্রে আপনার নিয়ন্ত্রণ নেই, বিশেষ করে ইনজুরি। তাই যে কোনো সময় যে কেউ ইনজুরিতে পড়তে পারে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মসজিদে আমির হামজাকে রাজনৈতিক আলোচনা করতে নিষেধ করায় লাঞ্ছিত বিএনপি নেতা

বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে পথচারীর মৃত্যু, মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ

তিন ঘণ্টা পর আংশিক চালু মেট্রোরেল

বিমানবন্দর রেলস্টেশনে ট্রেন থেকে আগ্নেয়াস্ত্রভর্তি ট্রলি ব্যাগ উদ্ধার

সুদান: সবুজ স্বর্গে পচে যাচ্ছে খাবার, অন্য পাশে দুর্ভিক্ষে মারা যাচ্ছে শিশু

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত