Ajker Patrika

কাঁদতে কাঁদতে তামিম যা বললেন

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০৬ জুলাই ২০২৩, ১৬: ৫৮
কাঁদতে কাঁদতে তামিম যা বললেন

তাঁর অপেক্ষায় ছিলেন সবাই। আগেই জানিয়ে রেখেছিলেন সংবাদ সম্মেলন করবেন। দুপুর দেড়টা বাজার আগেই চট্টগ্রামের জুবলি রোডে হোটেল টাওয়ার ইনে মাথায় কালো টুপি, গায়ে কালো টি-শার্ট পরে এলেন তামিম ইকবাল। এসেই জানিয়ে দিলেন, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তিনি আর খেলবেন না। সংবাদ সম্মেলনের একপর্যায়ে তিনি কেঁদেই দিলেন। কান্নায় কথাই বলতে পারছিলেন না বাংলাদেশ ক্রিকেট ইতিহাসের সেরা ওপেনার। মাত্রই ‘সাবেক’ হয়ে যাওয়া বাংলাদেশ ওয়ানডে অধিনায়কের সংবাদ সম্মেলনের পুরোটাই থাকল এখানে—

এ রকম একটা অবস্থায় মানুষ বক্তব্য লিখে নিয়ে আসে। আমি আসলে প্রস্তুত না।

আফগানিস্তানের বিপক্ষে গতকালকের ম্যাচটাই আমার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ। আমি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিচ্ছি। এটার পেছনে কোনো সাডেন (আকস্মিক) সিদ্ধান্ত ছিল না। আমি এ বিষয়ে ভাবছিলাম। এটার ভিন্ন ভিন্ন কারণ আছে। 

আমি মনে করি, আমার এখানে এটা বলার আছে। এটা না যে, হুট করে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এটা নিয়ে আমি কয়েক দিন ধরে কথা বলছিলাম। এমনকি আমার পরিবারের সঙ্গেও কথা বলছিলাম। আমি মনে করি, আমার জন্য এটাই সঠিক সময়। আমি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিচ্ছি। আমি লোকজনকে ধন্যবাদ জানাই। আমার কাছে মনে হয়, এটা তাদের প্রাপ্য। 

আমি সব সময় একটা কথা বলছি যে, আমি খেলেছি (কান্নায় ভেঙে পড়েন, কিছুক্ষণ পর পানি খান), আমি সব সময় বলছি যে, আমি ক্রিকেট খেলি আমার বাবার স্বপ্ন পূরণ করার জন্য। আমি জানি না, ১৬ বছরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে আমি কতটুকু কী করেছি...। সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ।

আমার সবচেয়ে ছোট চাচা যে, যিনি ইন্তেকাল করছেন—ওনার নাম আকবর খান। তাঁর হাত ধরেই আমার প্রথম ক্রিকেট টুর্নামেন্ট খেলা। আমি তাঁকে ধন্যবাদ জানাই। তপন দা নামে একজন কোচ আছেন, যাঁর কাছে আমি ঋণী। ছোটবেলা থেকে (আবার আবেগাক্রান্ত হয়ে কিছুক্ষণ মাথা নিচু করে, চোখ মুছে)… যার কাছে আমি ছোটবেলা থেকে অনুশীলন করছি, আমি তাঁকে ধন্যবাদ জানাই। যেসব খেলোয়াড়ের সঙ্গে আমি অনূর্ধ্ব-১৩, ১৫, ১৭, ১৮, ১৯, প্রিমিয়ার লিগ, জাতীয় লিগ, জাতীয় দলে খেলেছি। যাদের সঙ্গে আমি খেলেছি, তাদের সবাইকে ধন্যবাদ। বিশেষ করে যারা জাতীয় দলে আমার সতীর্থ ছিল তাদের, নিঃসন্দেহে ক্রিকেট বোর্ডকেও। তারা আমাকে সুযোগ দিয়েছে দীর্ঘদিন ধরে জাতীয় দলে প্রতিনিধিত্ব করার এবং অধিনায়কত্ব করার। 

আসলে আমার বেশি কিছু বলার নাই। একটা বিষয় আমি নিঃসন্দেহে বলব, আমি ম্যানেজ করার চেষ্টা করেছি (আবার কান্নায় ভেঙে পড়েন)। হয়তো আমি যথেষ্ট ভালো ছিলাম না, আমি জানি না। তবে যতক্ষণ আমি মাঠে ছিলাম, চেষ্টা করেছি শতভাগ দেওয়ার। আমি আসলে অনেক কিছু বলতে চাই, কিন্তু বলতে অক্ষম হয়ে পড়েছি। আশা করি, আপনারা এই পরিস্থিতিকে সম্মান করবেন। আমি এত বছর যখন খেলেছি, যখন আমি ছাড়ছি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খুব সহজ নয়, আপনারা আশা করি বুঝতে পেরেছেন। 

আপনাদের ডাকা হয়েছে, সব গণমাধ্যমকে ধন্যবাদ। আপনাদের কাছে আমার একটাই অনুরোধ, সামনে যাঁরা ক্রিকেট খেলবেন আপনারা তাঁদের কথা ভালো লিখবেন, খারাপ লিখবেন। ক্রিকেটে থাকবেন, বাউন্ডারির বাইরে যাবেন না। কেউ ভালো খেললে ভালো খেলেছে বলবেন। কেউ ভালো না খেললে সমালোচনা করবেন, ঠিক আছে। আমার অনুরোধ, যারা ক্রিকেট খেলছে এখন, তারা খুবই খুবই গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় বিশ্বকাপের জন্য। আমি আশা করি, দলের একজন সদস্য হিসেবে, এটা আমি অনুরোধ করব যে, দলকে সমর্থন করুন। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। 

আবারও একই কথা বলছি, আমি সর্বোচ্চটা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। আমি আবারও একটা জিনিস পুনরাবৃত্তি করি, আমি আমার বাবার স্বপ্নপূরণের জন্য ক্রিকেট খেলা শুরু করেছিলাম, জানি না কতটুকু কী করেছি। তবে আমি আমার সর্বোচ্চটা করার চেষ্টা করেছি। যদি কারও কাছে কোনো অপরাধ করে থাকি, তবে ক্ষমাপ্রার্থী। সবাইকে ধন্যবাদ। যাঁরা আমাকে ক্রিকেটার হিসেবে বেড়ে উঠতে সহায়তা করেছেন, একজন মানুষ হিসেবে বেড়ে উঠতে সহায়তা করেছেন, তাদের সবাইকে ধন্যবাদ জানাই হৃদয়ের অন্তঃস্থল থেকে। আমার মা, আমি তাঁকে ভুলতে পারি না। আমার ভাইদের, আমার স্ত্রী, আমার দুই সন্তান—আমার এই জার্নিতে তারা অনেক ভুগেছে। তাদের অনেক ধন্যবাদ জানাই। এর চেয়ে আমার বেশি কিছু বলার নেই। 

এটাই অনুরোধ করব, আমার আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের বিষয়টি নিয়ে আর বেশি গুতাগুতি কইরেন না। কেন, কেন, কী হতে পারত, কী হতে পারত না। এটা এখানেই শেষ করি। সব সময় বলি, দল ব্যক্তির চেয়ে অনেক বড়। দলের দিকে মনোযোগ রাখুন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

অ্যাশেজ হার ঠেকাতে ইংল্যান্ড একাদশে আছেন কারা

ক্রীড়া ডেস্ক    
একটি পরিবর্তন এনেছে সফরকারীরা। ছবি: ক্রিকইনফো
একটি পরিবর্তন এনেছে সফরকারীরা। ছবি: ক্রিকইনফো

২০১০-১১ সালের পর অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে অ্যাশেজ জিততে পারেনি ইংল্যান্ড। খরা কাটাতে চলমান সিরিজের আগে প্রস্তুতির কোনো কমতি ছিল না সফরকারী দলের। এরপরও স্বস্তিতে নেই বেন স্টোকসের দল। প্রথম ২ ম্যাচ হেরে আরও একবার অ্যাশেজ হারের শঙ্কায় তারা। সিরিজে টিকে থাকতে চাইলে তৃতীয় টেস্টে হার ঠেকাতেই হবে ইংল্যান্ডকে।

অ্যাডিলেড ওভালে অ্যাশেজ সিরিজের তৃতীয় টেস্ট শুরু হবে আগামী ১৭ ডিসেম্বর। সে ম্যাচকে সামনে রেখে একাদশ দিয়েছে ইংল্যান্ড। ব্রিসবেনের গ্যাবায় অনুষ্ঠিত গোলাপি বলের টেস্ট একাদশ থেকে একটি পরিবর্তন এনেছে অতিথিরা। বাদ পড়েছেন গাস অ্যাটকিনসন। একাদশে নেওয়া হয়েছে জশ টাংকে। ২৭ বছর বয়সী পেসার আস্থার প্রতিদান দিতে না পারায় একাদশে পরিবর্তন এনেছে ইংল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট।

প্রথম ২ টেস্টের ৪ ইনিংসে মাত্র ৩ উইকেট নিয়েছেন অ্যাটকিনসন। পার্থ টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ৮ উইকেটে হেরে যায় ইংল্যান্ড। সে ম্যাচের ২ ইনিংসে ২১ ওভার বল করে কোনো উইকেট পাননি অ্যাটকিনসন। ব্রিসবেন টেস্টের প্রথম ইনিংসের ১ উইকেটের পর দ্বিতীয় ইনিংসে তাঁর শিকার ২ উইকেট। এই টেস্টেও সফরকারীরা হেরেছে ৮ উইকেটে।

অ্যাটকিনসনের পরিবর্তে একাদশে জায়গা পাওয়া টাং এখন পর্যন্ত ৬ টেস্টে নিয়েছেন ৩১ উইকেট। সবশেষ গত জুলাই-আগস্টে অ্যান্ডারসন-টেন্ডুলকার ট্রফিতে ভারতের বিপক্ষে ওভালে টেস্ট খেলেছেন তিনি। অ্যাশেজ সিরিজের প্রথম ২ টেস্টে সুযোগ হয়নি তাঁর। অ্যাটকিনসনের অধারাবাহিকতায় ক্যারিয়ারের সপ্তম টেস্ট খেলার অপেক্ষায় তিনি।

অ্যাডিলেড টেস্টের জন্য ইংল্যান্ডের একাদশ: জ্যাক ক্রলি, বেন ডাকেট, অলি পোপ, জো রুট, হ্যারি ব্রুক, বেন স্টোকস (অধিনায়ক), জেমি স্মিথ (উইকেটকিপার), উইল জ্যাকস, ব্রাইডন কার্স, জোফরা আর্চার এবং জশ টাং।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

পান্ডিয়ার অনন্য ডাবল, ফর্মে ফেরার বার্তা দিলেন সূর্য

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২: ৫৯
হার্দিক পান্ডিয়া। ছবি: ক্রিকইনফো
হার্দিক পান্ডিয়া। ছবি: ক্রিকইনফো

তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৭ উইকেটে হারিয়ে সিরিজে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে গেছে ভারত। দলের সহজ জয়ের দিনে অনন্য এক কীতি গড়েছেন হার্দিক পান্ডিয়া। এদিন নিজের ফর্ম নিয়ে সূর্যকুমারের কণ্ঠে শোনা গেল আত্মবিশ্বাসের সুর।

টি–টোয়েন্টিতে আরও আগেই ১ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন পান্ডিয়া। ৯৯ উইকেট নিয়ে গতকাল দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মাঠে নামেন তিনি। এদিন ইনিংসের সপ্তম ওভারের শেষ বলে ট্রিস্টান স্টাবসকে আউট করেন। তাঁর করা অফ স্টাম্পের বাইরের বল খেলতে গিয়ে উইকেটরক্ষক জিতেশ শর্মার গ্লাভস বন্দী হন স্টাবস। তাতেই প্রথম পেস বোলিং অলরাউন্ডার হিসেবে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে অন্তত এক হাজার রান ও ১০০ উইকেটের ডাবলের কীর্তি গড়লেন পান্ডিয়া।

সব মিলিয়ে পঞ্চম ক্রিকেটার হিসেবে ১০০ উইকেট এবং ১ হাজারি রানের ক্লাবে প্রবেশ করলেন এই ভারতীয় তারকা। এর আগে এই মাইলফলক স্পর্শ করেছেন সাকিব আল হাসান, মোহাম্মদ নবি, সিকান্দার রাজা ও বিরানদীপ সিং। এরা সবাই স্পিনিং অলরাউন্ডার। এদিক থেকে ব্যতিক্রম কেবল পান্ডিয়া।

এদিন আরও একটি কীর্তি গড়েছেন পান্ডিয়া। চতুর্থ ক্রিকেটার হিসেবে টি-টোয়েন্টিতে সমান ১০০ উইকেট এবং ছক্কা ও ১ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন তিনি। এই ক্লাবের আগের তিনজন হলেন নবি, রাজা ও বিরানদীপ।

লম্বা সময় ধরে ছন্দে নেই সূর্য। সবশেষ ২২ ইনিংসে তাঁর ব্যাট থেকে এসেছে মাত্র ২৫১ রান। প্রোটিয়াদের বিপক্ষে তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে করেন মাত্র ১২ রান। এরপরও নিজের ফর্ম নিয়ে শঙ্কিত নন ভারতীয় দলপতি। সেরা ছন্দে ফেরার বার্তা দিয়ে রাখলেন তিনি। সূর্য বলেন, ‘আমি নেটে দারুণ সময় পার করছি। আমার ব্যাটে রান ফিরবে। এটা ঠিক যে এখন রান পাচ্ছি না। রানে না থাকলেও ফর্মে আছি। আমি শিগগিরই ফর্মে ফিরব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

‘একদম শোয়াই ফেলব’ শান্তর হুঙ্কারের জবাব দিলেন মিরাজও

ক্রীড়া ডেস্ক    
শান্ত ও মিরাজ। ফাইল ছবি
শান্ত ও মিরাজ। ফাইল ছবি

বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে আগামীকাল একটি প্রীতি টি-টোয়েন্টি ম্যাচের আয়োজন করবে ক্রিকেটার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (কোয়াব)। ‘বাংলাদেশ অল স্টার্স ম্যাচ’ নামক ম্যাচটিতে অংশ নেবে ‘অদম্য’ এবং ‘অপরাজেয়’ দল। ২ দলের নেতৃত্বে থাকছেন যথাক্রমে মেহেদি হাসান মিরাজ ও নাজমুল হোসেন শান্ত।

ম্যাচের আগে আজ সকালে মিরপুরে হাজির হয়েছিলেন দুই দলের অধিনায়ক। সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন তাঁরা। প্রীতি ম্যাচ হওয়ায় বাকি দশটা ম্যাচের আগের সংবাদ সম্মেলনের মতো পেশাদার আচরণ নয়, বরং রসিকতায় মেতে উঠেছিলেন শান্ত ও মিরাজ। হাসি, ঠাট্টায় পুরোটা সময় মাতিয়ে রেখেছিলেন দুজন।

শান্ত বলেন, ‘আমরা খুবই উত্তেজিত। এরকম ম্যাচ খেলার সুযোগ আগে হয়নি। কোনো ছাড়াছাড়ি হবে না, শোয়াই ফেলব একদম। প্রস্তুতি মাঠে দেখতে পাবেন না। সব প্রস্তুতি মুখে মুখে হচ্ছে। মাঠে শোয়াই ফেলতে পারি, না হলে শুয়েও যাইতে পারি। যেকোনো কিছুই হতে পারে।’

আম্পায়ারিং নিয়ে রসিকতা করতেও ছাড়েননি শান্ত, ‘উত্তাপ তো থাকবেই। তবে বেশি দেখানো যাবে না। শুনলাম ভালো আম্পায়ার থাকবে। তবে বেশি উত্তাপ আবার দেখানো যাবে না। পরে ডিমেরিট পয়েন্ট খেয়ে যাব। একটু ভয়েই আছি। শুনলাম আমাদের দলের পাঁচজন খেলতে পারবে না। এখন সন্দেহ হচ্ছে যে ফোন-টোন করে হুমকি খেয়েছে নাকি তারা।’

শান্তর পর মিরাজের কথাতেও ছিল রসিকতা। ম্যাচ জিতেই প্রতিপক্ষ দলের অধিনায়কের হুঙ্কারের জবাব দিতে চান তিনি, ‘সেটা (অপরাজেয় দলের কয়েকজনের খেলা নিয়ে শঙ্কা) তো ওদের ব্যর্থতা। ওরা হয়তো খেলোয়াড়েদের ঠিকমতো গাইড করতে পারেনি (হাসি)। প্রতিপক্ষ দল হুমকি দেয় এরপর আমরাও যদি দেই... একটা পক্ষকে তো সেভ করতে হবে। তাই আমরা মাঠে চেষ্টা করব ম্যাচটা জিতে যেন ওদের কথার জবাব দিতে পারি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

অভিষেকে খরুচে তাসকিন, স্বরূপে ফিরলেন মোস্তাফিজ

ক্রীড়া ডেস্ক    
জিতেছে তাসকিনের দল। হেরেছে মোস্তাফিজরা। ফাইল ছবি
জিতেছে তাসকিনের দল। হেরেছে মোস্তাফিজরা। ফাইল ছবি

ইন্টারন্যাশনাল লিগ টি-টোয়েন্টিতে (আইএল টি–টোয়েন্টি) অভিষেক হলো তাসকিন আহমেদের। সংযুক্ত আরব আমিরাতের এই ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে অভিষেকে নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি ঢাকা এক্সপ্রেস। বল হাতে খরুচে ছিলেন তিনি। অন্যদিকে এক ম্যাচে খরুচে বোলিংয়ের পর স্বরূপে ফিরেছেন মোস্তাফিজুর রহমান।

তাসকিনের অভিষেক ম্যাচে এমআই এমিরেটসকে ৬ রানে হারিয়েছে তাঁর দল শারজা ওয়ারিয়র্স। আবুধাবির শেখ জায়েদ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে জনসন চার্লসের ফিফটিতে ১৭৪ রান তোলে তারা। ৫৩ বলে ৭৭ রানের ইনিংস খেলেন এই ক্যারিবীয় ব্যাটার। এছাড়া টম কোলার ক্যাডমোর ৩০ ও সিকান্দার রাজা করেন ২৯ রান। জবাবে নির্ধারিত ওভার শেষে ১৬৮ রানে থামে এমিরেটস।

৪ ওভারে ৩৯ রান দেন তাসকিন। ছিলেন উইকেটশূন্য। শারজার হয়ে এদিন তাসকিন সবচেয়ে খরুচে বোলার ছিলেন না। ৪ ওভারে বল করে ৪১ রান দেন শ্রীলঙ্কার পেসার মাথিশা পাথিরানা। সমান ওভার হাত ঘুরিয়ে ৩৫ রান দেন জুনায়েদ সিদ্দিকী। শারজার হয়ে বল হাতে দুর্দান্ত ছিলেন রাজা। ৪ ওভারে ১৫ রানের বিনিময়ে ২ উইকেট নেন এই জিম্বাবুইয়ান অলরাউন্ডার। ব্যাটে-বলে অলরাউন্ড পারফর্ম করে ম্যাচসেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জেতেন তিনি।

টানা ২ জয়ের পর হেরেছে দুবাই ক্যাপিটালস। নিজেদের পঞ্চম ম্যাচে ডেজার্ট ভাইপার্সের কাছে ৫ উইকেটে হেরেছে তারা। ২ বল হাতে রেখে দুবাইয়ের দেওয়া ১৬৭ রানের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় ভাইপার্স। নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে আগের ম্যাচে ৪ ওভারে ৪৭ রান খরচ করেন মোস্তাফিজ। ভাইপার্সের বিপক্ষে ৩০ রানের বিনিময়ে নেন ১ উইকেট। এদিন প্রথম ২ ওভারে ২১ রান খরচ করেন মোস্তাফিজ। কিন্তু ডেথ ওভারে ছিলেন দুর্দান্ত। শেষ স্পেলে তারঁ খরচ মাত্র ৯ রান। এরপরও জিততে পারেনি দল।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত