ওমর ফারুক, ঢাকা
বয়সভিত্তিক ক্রিকেটের সর্বোচ্চ মঞ্চে টানা দুই ম্যাচে সেঞ্চুরি করেও দল যখন জিততে ব্যর্থ, তখন মনের মাঝে বিশাল আক্ষেপ থাকাটাই স্বাভাবিক। অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের মঞ্চে তৃতীয় ক্রিকেটার হিসেবে টানা দুই ম্যাচে সেঞ্চুরি করে ইংল্যান্ডের অ্যালিস্টার কুক কিংবা দক্ষিণ আফ্রিকার এইডেন মার্র্করামের নামের পাশে বসেও মন ভালো নেই আরিফুল ইসলামের। তাঁর দল যে টুর্নামেন্ট শেষ করেছে অষ্টম হয়ে।
বিশ্বমঞ্চে দলের ব্যর্থতা ও নিজে ঠিকসময়ে পারফর্ম করতে না পারার আক্ষেপের আগুনে পুড়ছেন আরিফুল। ফোনের ওপ্রান্ত থেকে ঠান্ডা স্বরে বলেন, ‘কী আর বলব...একই লাগে বলতে, নতুন কিছু তো নেই।’ নতুন করে কীই-বা বলবেন আরিফুল। তাঁর দল যে এবার অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে নতুন করে গৌরবের গল্প লিখতে পারেনি। ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জ থেকে ফিরেছে তারা একরাশ হতাশা নিয়ে। গত আসরের চ্যাম্পিয়নরা এবার নেমে এসেছে আটে। ব্যর্থতার মাঝেও দুর্দান্ত খেলা আরিফুলের কাছে তাই বলার মতো কিছু নেই।
আরিফুলের আফসোস আরও বেশি, যে দুটা ম্যাচ দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছেন, ওই দুই ম্যাচের আগেই প্রতিযোগিতা থেকে দল ছিটকে পড়েছে। তখন টুর্নামেন্টে নিজেদের অবস্থান নির্ধারণ করা ছাড়া আর কিছুই ছিল না। তবু টানা দুই ম্যাচে সেঞ্চুরিকে কিছুতেই হালকাভাবে দেখার সুযোগ নেই। কিন্তু আরিফুলকে যে পোড়াচ্ছে দলের ব্যর্থতা। বলছিলেন, ‘এমন পারফরম্যান্সের পর জেতাটা গুরুত্বপূর্ণ। হারলে অনেক খারাপ লাগে।’
আর সব বাবা-মায়ের মতো আরিফুলের বাবা-মাও ছেলেকে ডাক্তার কিংবা প্রকৌশলী বানানোর স্বপ্ন দেখেছিলেন। কিন্তু বড় ভাইকে দেখে ক্রিকেটের প্রতি তাঁর যে ভালোবাসা, সেটি আর শেষ হতে দেননি বাবা-মা। ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্নে বিভোর আরিফুল এসেছিলেন বিকেএসপিতে পরীক্ষা দিতে। প্রথম চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে বেশ হতাশ হলেও ভেঙে পড়েননি। একটি ক্রিকেট কোচিং সেন্টারে অনুশীলন শুরুর কয়েক মাস পরই সফল, ভর্তি হতে পারলেন বিকেএসপিতে।
এর ছয় বছর পর অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেটে সবচেয়ে বড় মঞ্চে বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করে গড়লেন দারুণ কীর্তি। দীর্ঘ পরিশ্রমের ফল পেয়ে কিছুটা তৃপ্ত আরিফুল বলছিলেন, ‘যে চেষ্টা ও পরিশ্রম করেছিলাম, তার ফল পেয়ে অনেক ভালো লেগেছে। আমার লক্ষ্য ছিল বিশ্বকাপে এমন কিছু করা এবং সেটা করতে পেরে ভালো লাগা কতটা, ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়।’
মাত্রই বয়সভিত্তিক ক্রিকেটের সিঁড়ি পেরিয়েছেন। অভীষ্ট লক্ষ্য পূরণে এখনো অনেকটা পথ পেরোতে হবে তাঁকে। স্বপ্নের জাতীয় দলে সুযোগ পেতে কঠিন, লম্বা পথটা পাড়ি তিনিও দৃঢ়প্রত্যয়ী। আরিফুলের ভাবনা জুড়ে এখন নিজেকে প্রমাণ করার চ্যালেঞ্জটাই। দীর্ঘ পথের যাত্রার শুরুতে তিনি চোখ রেখেছেন আগামী মাসে হতে যাওয়া ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল)। এরই মধ্য মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবে নাম লিখিয়েছেন। বলছিলেন, ‘আমার এখন লক্ষ্য মূলত ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ। এখানে ভালো কিছু করার ইচ্ছা আছে। ধাপে ধাপে এগোতে চাই। দেখা যাক কী হয়। তবে লক্ষ্য অবশ্যই ভালো কিছু করার।’
প্রিমিয়ার লিগে ভালো করে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট...এভাবে একেকটা সিঁড়ি পেরিয়ে এগিয়ে যেতে চান আরিফুল। তাঁর আশা, ধারাবাহিক ভালো করলে একদিন ধরা দেবেই বড় স্বপ্নটা।
বয়সভিত্তিক ক্রিকেটের সর্বোচ্চ মঞ্চে টানা দুই ম্যাচে সেঞ্চুরি করেও দল যখন জিততে ব্যর্থ, তখন মনের মাঝে বিশাল আক্ষেপ থাকাটাই স্বাভাবিক। অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের মঞ্চে তৃতীয় ক্রিকেটার হিসেবে টানা দুই ম্যাচে সেঞ্চুরি করে ইংল্যান্ডের অ্যালিস্টার কুক কিংবা দক্ষিণ আফ্রিকার এইডেন মার্র্করামের নামের পাশে বসেও মন ভালো নেই আরিফুল ইসলামের। তাঁর দল যে টুর্নামেন্ট শেষ করেছে অষ্টম হয়ে।
বিশ্বমঞ্চে দলের ব্যর্থতা ও নিজে ঠিকসময়ে পারফর্ম করতে না পারার আক্ষেপের আগুনে পুড়ছেন আরিফুল। ফোনের ওপ্রান্ত থেকে ঠান্ডা স্বরে বলেন, ‘কী আর বলব...একই লাগে বলতে, নতুন কিছু তো নেই।’ নতুন করে কীই-বা বলবেন আরিফুল। তাঁর দল যে এবার অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে নতুন করে গৌরবের গল্প লিখতে পারেনি। ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জ থেকে ফিরেছে তারা একরাশ হতাশা নিয়ে। গত আসরের চ্যাম্পিয়নরা এবার নেমে এসেছে আটে। ব্যর্থতার মাঝেও দুর্দান্ত খেলা আরিফুলের কাছে তাই বলার মতো কিছু নেই।
আরিফুলের আফসোস আরও বেশি, যে দুটা ম্যাচ দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছেন, ওই দুই ম্যাচের আগেই প্রতিযোগিতা থেকে দল ছিটকে পড়েছে। তখন টুর্নামেন্টে নিজেদের অবস্থান নির্ধারণ করা ছাড়া আর কিছুই ছিল না। তবু টানা দুই ম্যাচে সেঞ্চুরিকে কিছুতেই হালকাভাবে দেখার সুযোগ নেই। কিন্তু আরিফুলকে যে পোড়াচ্ছে দলের ব্যর্থতা। বলছিলেন, ‘এমন পারফরম্যান্সের পর জেতাটা গুরুত্বপূর্ণ। হারলে অনেক খারাপ লাগে।’
আর সব বাবা-মায়ের মতো আরিফুলের বাবা-মাও ছেলেকে ডাক্তার কিংবা প্রকৌশলী বানানোর স্বপ্ন দেখেছিলেন। কিন্তু বড় ভাইকে দেখে ক্রিকেটের প্রতি তাঁর যে ভালোবাসা, সেটি আর শেষ হতে দেননি বাবা-মা। ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্নে বিভোর আরিফুল এসেছিলেন বিকেএসপিতে পরীক্ষা দিতে। প্রথম চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে বেশ হতাশ হলেও ভেঙে পড়েননি। একটি ক্রিকেট কোচিং সেন্টারে অনুশীলন শুরুর কয়েক মাস পরই সফল, ভর্তি হতে পারলেন বিকেএসপিতে।
এর ছয় বছর পর অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেটে সবচেয়ে বড় মঞ্চে বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করে গড়লেন দারুণ কীর্তি। দীর্ঘ পরিশ্রমের ফল পেয়ে কিছুটা তৃপ্ত আরিফুল বলছিলেন, ‘যে চেষ্টা ও পরিশ্রম করেছিলাম, তার ফল পেয়ে অনেক ভালো লেগেছে। আমার লক্ষ্য ছিল বিশ্বকাপে এমন কিছু করা এবং সেটা করতে পেরে ভালো লাগা কতটা, ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়।’
মাত্রই বয়সভিত্তিক ক্রিকেটের সিঁড়ি পেরিয়েছেন। অভীষ্ট লক্ষ্য পূরণে এখনো অনেকটা পথ পেরোতে হবে তাঁকে। স্বপ্নের জাতীয় দলে সুযোগ পেতে কঠিন, লম্বা পথটা পাড়ি তিনিও দৃঢ়প্রত্যয়ী। আরিফুলের ভাবনা জুড়ে এখন নিজেকে প্রমাণ করার চ্যালেঞ্জটাই। দীর্ঘ পথের যাত্রার শুরুতে তিনি চোখ রেখেছেন আগামী মাসে হতে যাওয়া ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল)। এরই মধ্য মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবে নাম লিখিয়েছেন। বলছিলেন, ‘আমার এখন লক্ষ্য মূলত ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ। এখানে ভালো কিছু করার ইচ্ছা আছে। ধাপে ধাপে এগোতে চাই। দেখা যাক কী হয়। তবে লক্ষ্য অবশ্যই ভালো কিছু করার।’
প্রিমিয়ার লিগে ভালো করে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট...এভাবে একেকটা সিঁড়ি পেরিয়ে এগিয়ে যেতে চান আরিফুল। তাঁর আশা, ধারাবাহিক ভালো করলে একদিন ধরা দেবেই বড় স্বপ্নটা।
বিপিএলের প্লে-অফের একটি জায়গা নিয়ে লড়াই চলছিল দুর্বার রাজশাহী ও খুলনা টাইগার্সের সঙ্গে। তবে বাঁচা-মরার লড়াইয়ে লিগ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে ঢাকা ক্যাপিটালসকে উড়িয়ে প্লে-অফের শেষ টিকিটটা নিশ্চিত করল খুলনাই। মহা গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে আজ মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে মেহেদী হাসান মিরাজের অলরাউন্ড পারফরম্যান
২৩ মিনিট আগেদ্বিতীয় দিনের খেলা শেষেই পরাজয় চোখ রাঙাচ্ছিল শ্রীলঙ্কাকে। বৃষ্টি-আশীর্বাদে তৃতীয় দিন ম্যাচের মীমাংসা না হলেও আজ ইনিংস এবং ২৪২ রানে হেরেছে শ্রীলঙ্কা। দেশটির টেস্ট ইতিহাসে ইনিংস ব্যবধানে এটাই সবচেয়ে বড় হার। আর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এটাই সবচেয়ে বড় জয় অস্ট্রেলিয়ার।
২৭ মিনিট আগেরাজপুত্র ফিরে এসেছেন। সাও পাওলোর সান্তোস শহরে মানুষের ব্যতিব্যস্ততা বেড়ে গেছে। ভারী বর্ষণ উপেক্ষা করে শহরের মানুষ জড়ো হতে থাকে সান্তোসের মাঠ ভিলা বেলমিরোয়। রাজপত্রকে বরণ করে নিতে হবে যে! সেই রাজপুত্র নেইমার।
২ ঘণ্টা আগেচলমান বিপিএলে ফিক্সিং ইস্যুতে ক্রিকেটার এনামুল হক বিজয়কে নিয়ে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার গুঞ্জনে সরগরম দেশের ক্রিকেটাঙ্গন। গণমাধ্যমে এ নিয়ে ছড়ানো নানা খবরের প্রেক্ষিতে আজকের পত্রিকাকে দেওয়া প্রতিক্রিয়ায় বিজয় বিষয়টি সরাসরি অস্বীকার করেছেন এবং নিজের অবস্থান পরিষ্কার করেছেন।
২ ঘণ্টা আগে