Ajker Patrika

সাকিবের উপলব্ধি ‘বেস্ট ফ্রেন্ড’ বলে কিছু নেই

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
সাকিব আল হাসানের বেশির ভাগ সময় কাটছে যুক্তরাষ্ট্রে। ফাইল ছবি
সাকিব আল হাসানের বেশির ভাগ সময় কাটছে যুক্তরাষ্ট্রে। ফাইল ছবি

রাজনীতিতে জড়িয়ে ভক্তদের একাংশের কাছে বিতর্কিত হয়েছেন বাংলাদেশের ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় তারকা সাকিব আল হাসান। সাত মাস ছিলেন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য। তবে সরকার পতনের পর আর দেশে ফেরেননি বা ফেরা হয়নি সাকিবের। তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা হয়েছে। বর্তমান বাস্তবতায় অনেকটা ‘দেশান্তরী’ সাকিবের বেশির ভাগ সময় কাটছে যুক্তরাষ্ট্রে।

ক্রিকেটের প্রয়োজনে ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের বাইরেও যাওয়া হচ্ছে না তেমন। এক সময়ের তুমুল ব্যস্ত সাকিবের এখন অখণ্ড অবসর। সবশেষ খেলেছেন পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল) লাহোর কালান্দার্সের হয়ে। সামনে অবশ্য ব্যস্ততা শুরু হচ্ছে সাকিবের। খেলবেন গায়ানায় গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি লিগে, দুবাই ক্যাপিটালসের হয়ে। নাম রয়েছে ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (সিপিএল) দল অ্যান্টিগা ও বারবুডা ফ্যালকনসের স্কোয়াডেও।

গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি লিগে খেলতে যাওয়ার আগে কাল এসেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগানের ডেট্রয়েট শহরে। স্থানীয় একটি ক্রিকেট ক্লাবের শুভেচ্ছাদূত হয়ে সেখানকার এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে নিজের ক্রিকেট ক্যারিয়ার, তামিম ইকবালের সঙ্গে সম্পর্ক এবং ব্যক্তিগত রাজনৈতিক উপলব্ধি নিয়ে খোলামেলা কথা বলেন বাংলাদেশ অলরাউন্ডার।

এক প্রশ্নের উত্তরে তামিম প্রসঙ্গে সাকিব বলেন, ‘২৫ বছরের বেশি সময়ের ক্রিকেট ক্যারিয়ারে তামিম-মুশফিক ভাইয়ের সঙ্গে দারুণ সম্পর্ক ছিল। একসঙ্গে খেলেছি অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে। এরপর ২০–২৫ বছর ক্রিকেট খেলেছি কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে। বলা যায়, ক্রিকেটজীবনের সবচেয়ে বেশি সময় আমরা একসঙ্গেই কাটিয়েছি। ওরা আমার খুব ভালো বন্ধু।’

সাকিব-তামিমের সম্পর্কের অবনতি দেশের ক্রিকেটে নতুন কিছু নয়। সাকিব প্রকাশ্যে তামিমের কিছু সিদ্ধান্তের সমালোচনাও করেছিলেন। সাকিবকে নিয়ে বিচ্ছিন্নভাবে মন্তব্য করলেও সাবেক সতীর্থকে নিয়ে সেভাবে কোনো তির্যক মন্তব্য করেননি তামিম। গত মার্চে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হন তামিম। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাঁর সুস্থতা কামনা করে পোস্ট দেন সাকিব। এমনকি সাকিবের বাবা-মাও হাসপাতালে তামিমকে দেখতে যান।

জীবনে সেরা বন্ধু কে, এমন এক প্রশ্নে ব্যক্তিগত এক উপলব্ধির কথা জানিয়েছেন সাকিব। বাঁহাতি অলরাউন্ডার বলেন, ‘মনে করতে পারি না, সবশেষ কবে ভাত, রুটি, মিষ্টি কিংবা ওরকম কোনো খাবার খেয়েছিলাম। সময়ের সঙ্গে অনেক কিছুই বদলে গেছে। তবে একটা বিষয় খুব ভালোভাবে বুঝেছি এই জীবনে বেস্ট ফ্রেন্ড বলে কিছু নেই। যাকে আপনি নিঃশর্তভাবে বিশ্বাস করতে পারেন, একমাত্র সেই-ই আপনার আসল বন্ধু। বাকি সব সম্পর্ক সময়, সুযোগ আর প্রয়োজনের ওপর দাঁড়িয়ে থাকে।’

নিজের নানা বিতর্কিত কর্মকাণ্ড নিয়ে সাকিব বলেন, ‘এসব নিয়ে চিন্তা করে লাভ নেই। আমার কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই এসবের ওপর। সময় নষ্ট ছাড়া কিছুই নয়। যদি আমার হাতে থাকত, তাহলে হয়তো নিয়ন্ত্রণ করতাম। কিন্তু যেহেতু নেই, এসব না ভেবে সামনে এগিয়ে যাওয়াই ভালো।’

সাকিব আরও বলেন, ‘আমি সোশ্যাল মিডিয়ার কোনো কমেন্ট পড়ি না। কেউ যদি আমাকে নিয়ে খারাপ কিছু বলে, আমি তার জবাবে আরেকটা কমেন্ট করলেই সেটা আরও বাড়বে। আমি ওই পথেই হাঁটি না। এতে আমার জীবন অনেক সহজ হয়ে গেছে।’

ক্রিকেটজীবনের শুরুর দিনেও ফিরে গেছেন সাকিব। ভক্তদের সঙ্গে স্মৃতি রোমন্থন করে সাকিব বলেন, ‘আমি সব সময় নিজের ব্যাটিং-বোলিং নিয়ে কাজগুলো ডায়েরিতে লিখে রাখতাম। এটা আমাকে আত্মবিশ্বাস আর ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে সাহায্য করত।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

দরপত্র ছাড়াই জুলাই স্মৃতি জাদুঘরের কাজ পেল দুই প্রতিষ্ঠান, এরা কারা

ট্রাকে করে ৪৩ হাজার পৃষ্ঠার নথি ইসিতে জমা দিয়েও নিবন্ধন পেল না এনসিপি

এনবিআর চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে কুৎসা, বরখাস্ত নিরাপত্তাপ্রহরী

এত শিক্ষার্থীর জীবন হুমকিতে ফেললেন, সন্তানদের মুখ মনে পড়ল না—বাশারকে আদালত

অবৈধ অভিবাসী বিষয়ে কঠোর মালয়েশিয়া, ফেরত পাঠাচ্ছে বিমানবন্দর থেকেই

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত