Ajker Patrika

গাজী টায়ার্সকে গুঁড়িয়ে সুপার লিগে তামিম-মুশফিকরা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ২২: ৪৪
গাজী টায়ার্সকে গুঁড়িয়ে সুপার লিগে তামিম-মুশফিকরা

এবারের ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) প্রাইম ব্যাংকের যাত্রাটা ‘রোলার কোস্টারের’ মতো। এই জয় তো এই হার— তামিম ইকবাল-মুশফিকুর রহিমদের নিয়ে প্রাইম ব্যাংক চলতে থাকে এভাবেই। সুপার লিগে খেলাটাও পড়ে যায় সংশয়ের মধ্যে। গাজী টায়ার্স ক্রিকেট অ্যাকাডেমিকে বিধ্বস্ত করে সুপার লিগ নিশ্চিত করেছে প্রাইম ব্যাংক।

ডিপিএলের লিগ পর্বের শেষ রাউন্ড শুরু হয়েছে আজ। প্রথম ১০ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট পাওয়া গাজী টায়ার্সের সুপার লিগ শেষ হয়ে যায় আগেই। প্রাইম ব্যাংকের কাছে আজ চ্যালেঞ্জ ছিল সুপার লিগ নিশ্চিত করা। সেই চ্যালেঞ্জ উতড়ে গেছে সহজেই। ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে গাজী টায়ার্সকে ১৪১ রানে হারিয়েছে প্রাইম ব্যাংক। ১১ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট পেয়ে পয়েন্ট তালিকার পাঁচে এখন প্রাইম ব্যাংক। প্রাইম ব্যাংক, গাজী টায়ার্সের পাশাপাশি ১১ ম্যাচের সব ম্যাচই খেলেছে আবাহনী, শাইনপুকুর, শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব ও লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ। প্রাইম ব্যাংকসহ আবাহনী, শাইনপুকুর, শেখ জামাল, মোহামেডান-এই পাঁচ দল নিশ্চিত করেছে সুপার লিগ। ছয় ও সাতে থাকা গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স ও লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ দল দুটির পয়েন্ট ১২।   

ফতুল্লায় টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন গাজী টায়ার্সের অধিনায়ক গাজী মোহাম্মদ তাহজিবুল ইসলাম। প্রথমে ব্যাটিং পেয়ে প্রাইম ব্যাংক ৫০ ওভারে করে ৯  উইকেটে ২৬৯ রান। দলের ইনিংস সর্বোচ্চ ৭১ রান করেন মুশফিক। ৬৯ বলের ইনিংসে মারেন ৫ চার ও ১ ছক্কা। মুশফিকের পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৬ রান করেন প্রাইম ব্যাংকের তিন ক্রিকেটার। ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন, অধিনায়ক জাকির হাসান ও মোহাম্মদ আশিকুর জামান প্রত্যেকেই ৩৬ রানের ইনিংস খেলেন। যার মধ্যে ১০ নম্বরে নেমে আশিকুর ২৬ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কায় ৩৬ রান করে অপরাজিত থাকেন আশিকুর।  গাজী টায়ার্সের সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন শামীম মিয়া।

২৭০ রান তাড়া করতে নেমে গাজী টায়ার্সের দুই ওপেনার আউট হয়েছেন পাঁচ ওভারের মধ্যেই। আশিকুর রহমান শিবলি ও ইফতেখার দীপু করেন ১০ ও ৭ রান। যেখানে পঞ্চম ওভারের তৃতীয় বলে শিবলিকে ফেরান হাসান মাহমুদ। ৪.৩ ওভারে গাজী টায়ার্সের স্কোর হয়ে যায় ২ উইকেটে ১৯ রান। চাপে পড়া দলটির হাল ধরেন মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান ও মোহাম্মদ আশরাফুল আলম আসিফ। তৃতীয় উইকেটে তাঁরা গড়েন ৬৪ রানের জুটি।  আসিফকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন শেখ মেহেদী হাসান। ২০তম ওভারের শেষ বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ ধরেন মোহাম্মদ মিঠুন। আসিফ ফেরার পরের বলেই আউট হয়েছেন হাফিজুর।  ২১তম ওভারের প্রথম বলে হাফিজুরকে এলবিডব্লুর ফাঁদে ফেলেন নাজমুল অপু।

দুই সেট ব্যাটার আসিফ ও হাফিজুরের বিদায়ে গাজী টায়ার্সের স্কোর হয়ে যায় ২০.১ ওভারে ৪ উইকেটে ৮৩ রান। আসা-যাওয়ার মিছিল শুরু যে এখানেই। ৪৫ রানে শেষ ৬ উইকেট হারিয়ে ৩২.২ ওভারে ১২৮ রানে অলআউট হয় দলটি। সাত নম্বরে নামা শামীম মিয়া যা একটু লড়াই করেছেন শেষের দিকে। ২৯ বলে ১ চার ও ২ ছক্কায় করেন ২৮ রান।  গাজী টায়ার্সের সর্বোচ্চ স্কোরার আসিফ করেছেন ৩৪ রান। ৫৩ বলের ইনিংসে মেরেছেন ৪ চার। প্রাইম ব্যাংকের সেরা বোলার মেহেদী। ৭ ওভার বোলিং করে ২৪ রান খরচ করে নেন ৪ উইকেট।  ম্যাচসেরা হয়েছেন মুশফিক।

বরাবরের মতো ছুটছে আবাহনীর জয়রথ। ১১ ম্যাচের ১১টিতে জিতে ২২ পয়েন্ট নিয়ে দলটি এখন পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে। মিরপুরে শেখ জামালকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিয়েছে।  টস হেরে প্রথমে ব্যাটিং পাওয়া শেখ জামাল ২২.৪ ওভারে ৮৮ রানে অলআউট হয়েছে।  ৮৯ রান তাড়া করতে নেমে আবাহনী ১০ উইকেটে জিতেছে ২৩৮ বল হাতে রেখে। আবাহনীর দুই ওপেনার নাঈম শেখ ও এনামুল হক বিজয় উদ্বোধনী জুটিতে ১০.২ ওভারে যোগ করেন ৯১ রান। ৪০ বলে ৮ চার ও ২ ছক্কায় ৫৩ রান করেন নাঈম। স্ট্রাইকরেট ১৩২.৫০। নাঈমের চেয়ে বিধ্বংসী ব্যাটিং করেছেন বিজয়। ২২ বলে ১৬৮.১৮ স্ট্রাইকরেটে করেন ৩৭ রান। ম্যাচসেরা হয়েছেন শরীফুল ইসলাম। ৭ ওভার বোলিং করে ৩৫ রানে নেন ৪ উইকেট। এক ওভার মেডেনও দিয়েছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত