নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বাংলাদেশের ২৭৪ রান তাড়ায় টেক্টরের আউটের জয়ের পাল্লা আয়ারল্যান্ডের দিকেই ঝুঁকে ছিল। আইরিশদের রান তখন ৩ উইকেট হারিয়ে ২২৫। ৭ উইকেট হাতে নিয়ে জয় থেকে দূরত্ব ৫০ রানের। হাতে ৪৯ বল। ধারাভাষ্যকক্ষ থেকে সাবেক আইরিশ ক্রিকেটার নেয়াল ও'ব্রাইন বলছিলেন, 'এটা আয়ারল্যান্ডের ম্যাচ।' কিন্তু শান্তর ব্রেক-থ্রু উইকেটের পর চোখের পলকে ১৭ রানের মধ্যে ৪ উইকেট হারায় আয়ারল্যান্ড। শেষ দিকে ম্যাচ জমিয়ে তুলেও ম্যাচটা স্বাগতিকেরা আর বের করতে পারেনি। আরেকটি রোমাঞ্চকর জয়ে সিরিজ বাংলাদেশের ৷
শুরুটা ভালো না হলেও দ্বিতীয় উইকেট থেকেই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিতে থাকে আয়ারল্যান্ড। অ্যান্ড্রু বলবির্নির সঙ্গে পল স্টার্লিংয়ের ১০৯ রানের জুটি। এই সময় ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ২৭তম ফিফটি তুলে নেন স্টার্লিং। তবে বাংলাদেশকে ব্রেক-থ্রু এনে দেন ইবাদত হোসেন। ডিপ মিডউইকেটে সরাসরি রনি তালুকদারের হাতে ক্যাচ ৭৮ বলে ৫৩ রান করে আউট হন বলবার্নি। এরপর ২০ রানের মধ্যে ফিরে যান স্টার্লিংও। মেহেদী হাসান মিরাজের বলে মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরীর হাতে ক্যাচ দিয়ে ৬০ রানে ফেরেন আইরিশ ওপেনার। এরপরও আয়ারল্যান্ডকে ম্যাচে রাখেন টেক্টর ও লরকান টাকার। দুজনের ৭৯ রানের জুটিতেই সহজ জয়ের পথে এগোচ্ছিল আইরিশরা। কিন্তু শান্তর হাতে টেক্টর ৪৫ রানে আউট হওয়ার পর আইরিশ ইনিংস ধসে পড়ে। ধস নামান একাদশে ফেরা মোস্তাফিজুর রহমান।
একে একে তুলে নেন কার্টিস ক্যাম্ফার, জর্জ ডকরেল ও আইরিশদের জয়ের আশা দেখানো টাকারকে। স্কুপ করতে গিয়ে মোস্তাফিজের বলে বোল্ড হন ৫৩ বলে ৫০ রান করা টাকার। তবে শেষদিকে ম্যাচ জমিয়ে তুলেছিলেন মার্ক এডেয়ার। তাঁর ১০ বলে ২০ রান ইনিংস যদিও ৪ রানের হার রুখতে পারেনি। প্রথমটি বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়ার পর টানা দুই ম্যাচ জিতে সিরিজ নিজেদের করে নেয় বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের সুযোগ ছিল টানা দ্বিতীয় ম্যাচে ৩০০ ছাড়িয়ে যাওয়ার ৷ চেমসফোর্ডের ব্যাটিং-সহায়ক উইকেট শুরু থেকেই খুব ভালোভাবে ব্যবহার করতে পেরেছে বাংলাদেশ। পাওয়ার প্লেতে ১ উইকেট হারিয়ে ৬২ রান। কিন্তু ১৩ রানের মধ্যে শেষ ৫ উইকেট হারিয়ে তারাই ৭ বল আগে ২৭৪ রানে অলআউট।
বাংলাদেশের প্রথম ছয় ব্যাটারের পাঁচজনই ছুঁয়েছেন দুই অঙ্ক। দলের সর্বোচ্চ ৬৯ রান করেছেন তামিম। কিন্তু ৮২ বলের ইনিংসে তামিমকে খুঁজে পাওয়া গেল কই? ফর্মে যে নেই ইনিংসজুড়ে, সেটাই যেন বুঝিয়ে দিয়ে গেছেন। আউটও হয়েছেন দৃষ্টিকটুভাবে। জর্জ ডকরেলকে উইকেট থেকে বেরিয়ে এসে মারতে গিয়ে ক্যাচ দিয়েছেন শর্ট থার্ড ম্যানে ক্রেইগ ইয়াংয়ের হাতে। তামিমের ট্রেডমার্ক কাভার ড্রাইভে যা একটু ছন্দ দেখা গেছে ৷ সেটা নাও হতে পারত যদি অ্যান্ড্রু বলবার্নি সহজ ক্যাচটা না ফেলতেন। দ্বিতীয় স্লিপে বলবার্নি ক্যাচ ফেলার সময় তামিমের রান ছিল ১। দুই অঙ্কের দেখা পাননি শুধু রনি তালুকদার। অভিষেক ওয়ানডে, কিছুটা স্নায়ুচাপ কাজ করা অস্বাভাবিক ছিল না। ১৪ বলে ৪ রানের ইনিংসে রনির মধ্যে সে ভয়ই ধরা পড়েছে।
এরপর তামিমের সঙ্গে নাজমুল হোসেন শান্তর ৪৯ ও লিটনের ৭০ রানের জুটি। শান্ত ও লিটন দুজনেই ৩৫ রান করে আউট হন। দলীয় ১৮৬ রানে তামিমকে হারিয়ে একটু বড় স্কোরের স্বপ্ন ফিকে হয়ে গেলেও পরিস্থিতি সামলে নেন মুশফিক-মিরাজ। ষষ্ঠ উইকেটে দুজনের জুটিতে আসে ৭২ বলে মোড় ঘোরানো ৭৫ রান। ছয় নম্বরে নেমে ফিনিশিংয়ের দায়িত্বটা এদিনও ভালোভাবে পালন করছিলেন মুশফিক। তবে নিয়মিত উইকেট হারানোর চাপে সেভাবে ঝড় তুলতে পারেননি। মুশফিক ফেরেন ৪৫ রান করে। একটু পর ৩৭ করে উ
থামেন মিরাজ। অভিষিক্ত মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী টেল এন্ডারদের নিয়ে আর খুব বেশি রান যোগ করতে না পারলে বাংলাদেশ গুটিয়ে যায় ৩০০ রানের আগেই। পরে ২৭৪ রানের স্কোরই জিততে 'যথেষ্ট' করে ফেলেন বোলাররা।
বাংলাদেশের ২৭৪ রান তাড়ায় টেক্টরের আউটের জয়ের পাল্লা আয়ারল্যান্ডের দিকেই ঝুঁকে ছিল। আইরিশদের রান তখন ৩ উইকেট হারিয়ে ২২৫। ৭ উইকেট হাতে নিয়ে জয় থেকে দূরত্ব ৫০ রানের। হাতে ৪৯ বল। ধারাভাষ্যকক্ষ থেকে সাবেক আইরিশ ক্রিকেটার নেয়াল ও'ব্রাইন বলছিলেন, 'এটা আয়ারল্যান্ডের ম্যাচ।' কিন্তু শান্তর ব্রেক-থ্রু উইকেটের পর চোখের পলকে ১৭ রানের মধ্যে ৪ উইকেট হারায় আয়ারল্যান্ড। শেষ দিকে ম্যাচ জমিয়ে তুলেও ম্যাচটা স্বাগতিকেরা আর বের করতে পারেনি। আরেকটি রোমাঞ্চকর জয়ে সিরিজ বাংলাদেশের ৷
শুরুটা ভালো না হলেও দ্বিতীয় উইকেট থেকেই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিতে থাকে আয়ারল্যান্ড। অ্যান্ড্রু বলবির্নির সঙ্গে পল স্টার্লিংয়ের ১০৯ রানের জুটি। এই সময় ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ২৭তম ফিফটি তুলে নেন স্টার্লিং। তবে বাংলাদেশকে ব্রেক-থ্রু এনে দেন ইবাদত হোসেন। ডিপ মিডউইকেটে সরাসরি রনি তালুকদারের হাতে ক্যাচ ৭৮ বলে ৫৩ রান করে আউট হন বলবার্নি। এরপর ২০ রানের মধ্যে ফিরে যান স্টার্লিংও। মেহেদী হাসান মিরাজের বলে মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরীর হাতে ক্যাচ দিয়ে ৬০ রানে ফেরেন আইরিশ ওপেনার। এরপরও আয়ারল্যান্ডকে ম্যাচে রাখেন টেক্টর ও লরকান টাকার। দুজনের ৭৯ রানের জুটিতেই সহজ জয়ের পথে এগোচ্ছিল আইরিশরা। কিন্তু শান্তর হাতে টেক্টর ৪৫ রানে আউট হওয়ার পর আইরিশ ইনিংস ধসে পড়ে। ধস নামান একাদশে ফেরা মোস্তাফিজুর রহমান।
একে একে তুলে নেন কার্টিস ক্যাম্ফার, জর্জ ডকরেল ও আইরিশদের জয়ের আশা দেখানো টাকারকে। স্কুপ করতে গিয়ে মোস্তাফিজের বলে বোল্ড হন ৫৩ বলে ৫০ রান করা টাকার। তবে শেষদিকে ম্যাচ জমিয়ে তুলেছিলেন মার্ক এডেয়ার। তাঁর ১০ বলে ২০ রান ইনিংস যদিও ৪ রানের হার রুখতে পারেনি। প্রথমটি বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়ার পর টানা দুই ম্যাচ জিতে সিরিজ নিজেদের করে নেয় বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের সুযোগ ছিল টানা দ্বিতীয় ম্যাচে ৩০০ ছাড়িয়ে যাওয়ার ৷ চেমসফোর্ডের ব্যাটিং-সহায়ক উইকেট শুরু থেকেই খুব ভালোভাবে ব্যবহার করতে পেরেছে বাংলাদেশ। পাওয়ার প্লেতে ১ উইকেট হারিয়ে ৬২ রান। কিন্তু ১৩ রানের মধ্যে শেষ ৫ উইকেট হারিয়ে তারাই ৭ বল আগে ২৭৪ রানে অলআউট।
বাংলাদেশের প্রথম ছয় ব্যাটারের পাঁচজনই ছুঁয়েছেন দুই অঙ্ক। দলের সর্বোচ্চ ৬৯ রান করেছেন তামিম। কিন্তু ৮২ বলের ইনিংসে তামিমকে খুঁজে পাওয়া গেল কই? ফর্মে যে নেই ইনিংসজুড়ে, সেটাই যেন বুঝিয়ে দিয়ে গেছেন। আউটও হয়েছেন দৃষ্টিকটুভাবে। জর্জ ডকরেলকে উইকেট থেকে বেরিয়ে এসে মারতে গিয়ে ক্যাচ দিয়েছেন শর্ট থার্ড ম্যানে ক্রেইগ ইয়াংয়ের হাতে। তামিমের ট্রেডমার্ক কাভার ড্রাইভে যা একটু ছন্দ দেখা গেছে ৷ সেটা নাও হতে পারত যদি অ্যান্ড্রু বলবার্নি সহজ ক্যাচটা না ফেলতেন। দ্বিতীয় স্লিপে বলবার্নি ক্যাচ ফেলার সময় তামিমের রান ছিল ১। দুই অঙ্কের দেখা পাননি শুধু রনি তালুকদার। অভিষেক ওয়ানডে, কিছুটা স্নায়ুচাপ কাজ করা অস্বাভাবিক ছিল না। ১৪ বলে ৪ রানের ইনিংসে রনির মধ্যে সে ভয়ই ধরা পড়েছে।
এরপর তামিমের সঙ্গে নাজমুল হোসেন শান্তর ৪৯ ও লিটনের ৭০ রানের জুটি। শান্ত ও লিটন দুজনেই ৩৫ রান করে আউট হন। দলীয় ১৮৬ রানে তামিমকে হারিয়ে একটু বড় স্কোরের স্বপ্ন ফিকে হয়ে গেলেও পরিস্থিতি সামলে নেন মুশফিক-মিরাজ। ষষ্ঠ উইকেটে দুজনের জুটিতে আসে ৭২ বলে মোড় ঘোরানো ৭৫ রান। ছয় নম্বরে নেমে ফিনিশিংয়ের দায়িত্বটা এদিনও ভালোভাবে পালন করছিলেন মুশফিক। তবে নিয়মিত উইকেট হারানোর চাপে সেভাবে ঝড় তুলতে পারেননি। মুশফিক ফেরেন ৪৫ রান করে। একটু পর ৩৭ করে উ
থামেন মিরাজ। অভিষিক্ত মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী টেল এন্ডারদের নিয়ে আর খুব বেশি রান যোগ করতে না পারলে বাংলাদেশ গুটিয়ে যায় ৩০০ রানের আগেই। পরে ২৭৪ রানের স্কোরই জিততে 'যথেষ্ট' করে ফেলেন বোলাররা।
ব্যালন ডি’অরের সোনালি ট্রফি উঠবে কার হাতে? তা জানা যাবে সেপ্টেম্বরে। মৌসুম যেহেতু শেষ, তাই এ নিয়ে আলোচনা বেড়ে গেছে। তবে দুটি নামই শোনা যাচ্ছে বেশি—পিএসজির ওসমান দেম্বেলে ও বার্সেলোনার লামিনে ইয়ামাল। দেম্বেলেকে বেশ ভালোভাবেই চেনা কিলিয়ান এমবাপ্পের। গত মৌসুমেও একসঙ্গে পিএসজিতে খেলেছেন তারা।
৩৪ মিনিট আগেএশিয়ান কাপ বাছাইয়ে বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলতে আজ ঢাকায় আসছে সিঙ্গাপুর ফুটবল দল। রাত পৌনে ১১টার দিকে ঢাকায় পৌঁছানোর কথা রয়েছে তাদের। তবে এর আগে দলে যোগ ফারহান জুলকিফলি। গতি, ড্রিবলিং ও প্লেমেকিং সক্ষমতা দিয়ে খেলার মোড় ঘুরিয়ে দেওয়ার সামর্থ্য আছে ২২ বছর বয়সী প্রতিভাবান এই উইঙ্গারের। জাতীয় দলের হয়ে
২ ঘণ্টা আগেদুজন একে অপরের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী। খেলা বাদে একসঙ্গে খুব একটা দেখাও যায় না। তবে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক না থাকলেও পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধা দেখিয়ে এসেছেন বরাবর। লিওনেল মেসিকে ভালো লাগার এটাই কারণ বলে জানিয়েছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো।
৪ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের কাছে গত মাসে প্রথম ম্যাচ হেরেও টি-টোয়েন্টি সিরিজ জেতে সংযুক্ত আরব আমিরাত। ঐতিহাসিক এই জয়ে মুহাম্মদ ওয়াসিম ছিলেন। ‘ক্যাপ্টেন লিডিং ফ্রম দ্য ফ্রন্ট’। দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থার (আইসিসি) পুরস্কার পেলেন আমিরাত অধিনায়ক।
৫ ঘণ্টা আগে