Ajker Patrika

নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে পাকিস্তানের জবাব

আপডেট : ২৭ অক্টোবর ২০২১, ০১: ৫৫
নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে পাকিস্তানের জবাব

 
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে এই ম্যাচটা ছিল পাকিস্তানের জবাব দেওয়ার। গত মাসে এই নিউজিল্যান্ডই নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে পাকিস্তান সফর বাতিল করেছিল। তখন থেকেই এই দিনটার অপেক্ষায় ছিল পাকিস্তানের সাবেক-বর্তমান ক্রিকেটার সহ দলটির সমর্থকেরা। কিউইদের সফর বাতিলের পরেই পাকিস্তান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের এই ম্যাচে হারানোর হুমকি দিয়ে রেখেছিল। শেষ পর্যন্ত হারিয়েই দিল। কেন উইলিয়ামসনদের দলের বিপক্ষে বাবর আজমদের জয় ৫ উইকেটে। 

ম্যাচের আগেই শোয়েব আখতার শারজার গ্যালারিতে থাকা দর্শকদের উদ্দেশ্য করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেন, খুব বেশি চেঁচামেচি কিংবা উল্লাস করবেন না দয়া করে। কারণ নিরাপত্তার অজুহাতে ম্যাচ বাতিলের আবদার করতে না পারলে তখন নিউজিল্যান্ড ‘শব্দদূষণ’কে বাহানা বানাতে পারে! ম্যাচ চলাকালীনও থেমে ছিলেন না এই গতি তারকা। ফেসবুকে একের পর এক পোস্ট দিয়ে কিউইদের কটাক্ষ করছিলেন। শোয়েব সহ পুরো পাকিস্তানকে অবশ্য হতাশ করেনি বাবরের দল। 

তবে একটা সময় ম্যাচ নিউজিল্যান্ডের দিকে হেলে পড়েছিল। সেখান থেকে টিম সাউদির ১৭ তম ওভারে দুই ছক্কা মেরে ম্যাচের ছবি বদলে দেন আসিফ আলী। শেষ দিকে রান রেট যখন বাড়ছিল, তখনই পাকিস্তানকে পথ দেখান আসিফ। শেষ ১৮ বলে জয়ের সমীকরণ সহজ করে ফেলেন এই পাকিস্তানি ব্যাটার। বাকি কাজটুকুও ঠান্ডা মাথায় সারেন অভিজ্ঞ মালিক আর আসিফ। আসিফ ২৭ আর মালিক ২৬ রানে অপরাজিত থাকেন।

 ১৩৫ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা দেখেশুনে করেছিলেন বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ান। তবে ২৮ রানে এদিন ভাঙে উদ্বোধনী জুটি। বাবর ফেরার পর তিনে আসা ফখর জামান জামান ১১ রানে আউট হওয়ার আগে ১৭ বল খেলে যেন আরও ক্ষতি করেছেন দলের! প্রথম বলে ছক্কা হাঁকানো হাফিজও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। বড় ভরসা হয়ে থাকা মোহাম্মদ রিজওয়ান দলীয় ৬৯ রানে ফিরে গেলে চাপে পড়ে পাকিস্তান। দলীয় ৮৭ রানে ফিরে যান ইমাদ ওয়াসিমও। সুইচ হিট করতে গিয়ে ট্রেন্ট বোল্টের বলে ইমাদ এলবিডব্লু হলে ম্যাচের ভাগ্য হেলে পড়ে নিউজিল্যান্ডের দিকে। পরে আসিফের ১২ বলে ২৭ রানের ঝড়ে কিউইদের শেষ হাসি হাসতে দেয়নি পাকিস্তান।

এর আগে টস জিতে আগে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেয় পাকিস্তান। ভারতের বিপক্ষে আগুন ঝরানো শাহীন আফ্রিদি প্রথম ওভারে দেন মেডেন। তবে শুরুর ব্রেক থ্রু অবশ্য এনে দিয়েছেন হারিস রউফ। ভয়ংকর হয়ে ওঠার আগেই বোল্ড করেন মার্টিন গাপটিলকে (১৭)। 

আরেক ওপেনার ড্যারিল মিচেলও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ইমাদ ওয়াসিমকে ছক্কা মেরে পরের বলেই ফখরের হাতে মিড অনে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন মিচেল (২৭)। পরের ওভারে বোলিংয়ে এসেই জিমি নিশামকে ওই একই জায়গায় ফখরের হাতে ক্যাচ বানান মোহাম্মদ হাফিজ। ৫৬ রানের মধ্যে তিন টপ অর্ডারকে হারিয়ে কিছুটা কোণঠাসা হয়ে পড়ে কিউইরা। 

শেষ দিকে দ্রুত রান তুলতে গিয়ে ফিরে যান কনওয়ে (২৭) আর ফিলিপস (১৩)। দুজনই রউফকে তুলে মারতে গিয়ে ক্যাচ দেন। ৪ ওভারে ২১ রান দিয়ে ১ উইকেট নেওয়া শাহীনও কিউইদের অল্পের মধ্যে বেঁধে রাখতে বড় অবদান রেখেছেন। রউফ ২২ রানে নিয়েছেন ৪ উইকেট। শেষ পর্যন্ত উইলিয়ামসনের দলের সংগ্রহ ৭ উইকেটে ১৩৪। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত