অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের সর্বশেষ চার আসরে দুই বার চ্যাম্পিয়ন ও দুই বার রানার্সআপ ভারত। এই তথ্যই বলে দিচ্ছে, অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলা ভারত একরকম নিয়ম বানিয়ে ফেলেছে। এবার ভারত সেই সংখ্যাটা নিয়ে গেল পাঁচে। বেনোনির উইলোমুর পার্কে আজ প্রথম সেমিফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ২ উইকেটের জয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করেছে ভারত।
২৪৫ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে রানের খাতা খোলার আগেই উইকেট হারায় ভারত। ইনিংসের প্রথম বলে দক্ষিণ আফ্রিকার বাহাতি পেসার কেওনা মাফাকার বাউন্সারে হতবিহ্বল হয়ে ঠেকাতে যান ভারতীয় ওপেনার আদর্শ সিং। এজ হওয়া বল ক্যাচ ধরেন প্রোটিয়া উইকেটরক্ষক লুয়ান ডি প্রিটোরিয়াস। এরপর তিন নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামা মুশির খান উইকেটে এসেও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ১২ বলে ৪ রান করা মুশিরকে ফিরিয়েছেন প্রোটিয়া পেসার ট্রিস্টান লুস। চতুর্থ ওভারের দ্বিতীয় বলে দক্ষিণ আফ্রিকা পেসার লুস অতিরিক্ত বাউন্সের ফাঁদে ফেলে উইকেট নিয়েছেন।
টপ অর্ডারের দুই ব্যাটারকে হারিয়ে ভারতের স্কোর হয়ে যায় ৩.২ ওভারে ২ উইকেটে ৮ রান। শুরুর বিপর্যয় কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই ভারত আবারও ধাক্কা খায়। দশম ওভারের দ্বিতীয় বলে ভারতের আরেক ওপেনার আর্শিন কুলকার্নিকে ফেরান লুস। ভারতের দ্বিতীয় ও তৃতীয় দুটি উইকেটেই দ্বিতীয় স্লিপে ক্যাচ ধরেন প্রোটিয়া অধিনায়ক হুয়ান জেমস। টপ অর্ডারের তিন ব্যাটারের মধ্যে একমাত্র কুলকার্নিই দুই অঙ্ক পেরিয়েছেন। ৩০ বলে ১ ছক্কায় করেন ১২ রান। এক ওভার পর বিরতিতে ভারতকে আবারও বিপদে ফেলেন লুস। ১২তম ওভারের দ্বিতীয় বলে প্রিয়াংশু মুলিয়াকে কট বিহাইন্ড করেন লুস।
মুলিয়া ১০ বলে ৫ রান করে আউট হলে ভারতের স্কোর হয়ে যায় ১১.২ ওভারে ৪ উইকেটে ৩২ রান। এরই মধ্যে অধিনায়ক উদয় সাহারান উইকেটে থেকে দুই সতীর্থ কুলকার্নি ও মুলিয়ার বিদায় দেখেছেন। চার উইকেট পড়ার পর ছয় নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামেন শচীন দাস। ভারতের সামনে দরকার তখন ২৩২ বলে ২১৩ রান—ওভারপ্রতি রান প্রয়োজন ৫.৫১। হাতে ৬ উইকেট থাকলেও ৫.৫১ রিকোয়ার্ড রানরেট তখনো অনেক দূরের পথ ছিল ভারতের কাছে। এমন পরিস্থিতিতে বিপদে পড়া ভারতের হাল ধরেন শচীন ও সাহারান। তাঁরা এগোতে থাকেন বেশ সাবধানে। দুই ব্যাটারই ফিফটি তুলে নিয়েছেন। পঞ্চম উইকেটে ১৮৭ বলে ১৭১ রানের জুটি গড়েন শচীন ও সাহারান। ৪৩তম ওভারের প্রথম বলে শচীনকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন মাফাকা। সেঞ্চুরি থেকে ৪ রান দূরে থাকতে আউট হয়েছেন শচীন। ৯৫ বলে ১১ চার ও ১ ছক্কায় ৯৬ রান করেন ভারতীয় এই মিডল অর্ডার ব্যাটার।
শচীনের আউটে ভারতের স্কোর হয়ে যায় ৪২.১ ওভারে ৫ উইকেটে ২০৩ রান। সাহারানের ভারতের তখন দরকার হয় ৪৭ বলে ৪২ রান। উইকেটে তখনো ছিলেন অধিনায়ক সাহারান। সমীকরণ সহজ হয়ে এলেও নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে আবার চাপে পড়ে ভারত। ষষ্ঠ থেকে অষ্টম—এই ৩ উইকেটের দুটিই হয়েছে রান আউট। এই দুই রান আউটের শিকার হয়েছেন সাহারান ও মুরুগান অভিষেক। শচীনের মতো সেঞ্চুরি পাননি সাহারান। অবশ্য ১২৪ বলে ৮১ রান করে সাহারান যখন আউট হয়েছেন, তখন ভারতের দরকার ছিল ৮ বলে ১ রান। ৪৯তম ওভারের পঞ্চম বলে কোবানি মোকোইনাকে চার মেরে ভারতকে ২ উইকেটের রুদ্ধশ্বাস জয় এনে দিয়েছেন রাজ লিম্বানি। ৭ বল আগে পাওয়া এই জয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন ভারতীয় অধিনায়ক সাহারান।
এর আগে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ভারতীয় অধিনায়ক সাহারান। প্রথমে ব্যাটিং পেয়ে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেটে ২৪৪ রান করে দক্ষিণ আফ্রিকা অনূর্ধ্ব-১৯ দল। ইনিংস সর্বোচ্চ ৭৬ রান করেন দলটির উইকেটরক্ষক প্রিটোরিয়াস। ১০২ বলের ইনিংসে ৬ চার ও ৩ ছক্কা মারেন তিনি। ভারতের বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নিয়েছেন লিম্বানি। ২ উইকেট নিয়েছেন মুশির। ১টি করে উইকেট নিয়েছেন সৌমি পান্ডে ও নামান তিওয়ারি।
অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের সর্বশেষ চার আসরে দুই বার চ্যাম্পিয়ন ও দুই বার রানার্সআপ ভারত। এই তথ্যই বলে দিচ্ছে, অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলা ভারত একরকম নিয়ম বানিয়ে ফেলেছে। এবার ভারত সেই সংখ্যাটা নিয়ে গেল পাঁচে। বেনোনির উইলোমুর পার্কে আজ প্রথম সেমিফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ২ উইকেটের জয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করেছে ভারত।
২৪৫ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে রানের খাতা খোলার আগেই উইকেট হারায় ভারত। ইনিংসের প্রথম বলে দক্ষিণ আফ্রিকার বাহাতি পেসার কেওনা মাফাকার বাউন্সারে হতবিহ্বল হয়ে ঠেকাতে যান ভারতীয় ওপেনার আদর্শ সিং। এজ হওয়া বল ক্যাচ ধরেন প্রোটিয়া উইকেটরক্ষক লুয়ান ডি প্রিটোরিয়াস। এরপর তিন নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামা মুশির খান উইকেটে এসেও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ১২ বলে ৪ রান করা মুশিরকে ফিরিয়েছেন প্রোটিয়া পেসার ট্রিস্টান লুস। চতুর্থ ওভারের দ্বিতীয় বলে দক্ষিণ আফ্রিকা পেসার লুস অতিরিক্ত বাউন্সের ফাঁদে ফেলে উইকেট নিয়েছেন।
টপ অর্ডারের দুই ব্যাটারকে হারিয়ে ভারতের স্কোর হয়ে যায় ৩.২ ওভারে ২ উইকেটে ৮ রান। শুরুর বিপর্যয় কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই ভারত আবারও ধাক্কা খায়। দশম ওভারের দ্বিতীয় বলে ভারতের আরেক ওপেনার আর্শিন কুলকার্নিকে ফেরান লুস। ভারতের দ্বিতীয় ও তৃতীয় দুটি উইকেটেই দ্বিতীয় স্লিপে ক্যাচ ধরেন প্রোটিয়া অধিনায়ক হুয়ান জেমস। টপ অর্ডারের তিন ব্যাটারের মধ্যে একমাত্র কুলকার্নিই দুই অঙ্ক পেরিয়েছেন। ৩০ বলে ১ ছক্কায় করেন ১২ রান। এক ওভার পর বিরতিতে ভারতকে আবারও বিপদে ফেলেন লুস। ১২তম ওভারের দ্বিতীয় বলে প্রিয়াংশু মুলিয়াকে কট বিহাইন্ড করেন লুস।
মুলিয়া ১০ বলে ৫ রান করে আউট হলে ভারতের স্কোর হয়ে যায় ১১.২ ওভারে ৪ উইকেটে ৩২ রান। এরই মধ্যে অধিনায়ক উদয় সাহারান উইকেটে থেকে দুই সতীর্থ কুলকার্নি ও মুলিয়ার বিদায় দেখেছেন। চার উইকেট পড়ার পর ছয় নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামেন শচীন দাস। ভারতের সামনে দরকার তখন ২৩২ বলে ২১৩ রান—ওভারপ্রতি রান প্রয়োজন ৫.৫১। হাতে ৬ উইকেট থাকলেও ৫.৫১ রিকোয়ার্ড রানরেট তখনো অনেক দূরের পথ ছিল ভারতের কাছে। এমন পরিস্থিতিতে বিপদে পড়া ভারতের হাল ধরেন শচীন ও সাহারান। তাঁরা এগোতে থাকেন বেশ সাবধানে। দুই ব্যাটারই ফিফটি তুলে নিয়েছেন। পঞ্চম উইকেটে ১৮৭ বলে ১৭১ রানের জুটি গড়েন শচীন ও সাহারান। ৪৩তম ওভারের প্রথম বলে শচীনকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন মাফাকা। সেঞ্চুরি থেকে ৪ রান দূরে থাকতে আউট হয়েছেন শচীন। ৯৫ বলে ১১ চার ও ১ ছক্কায় ৯৬ রান করেন ভারতীয় এই মিডল অর্ডার ব্যাটার।
শচীনের আউটে ভারতের স্কোর হয়ে যায় ৪২.১ ওভারে ৫ উইকেটে ২০৩ রান। সাহারানের ভারতের তখন দরকার হয় ৪৭ বলে ৪২ রান। উইকেটে তখনো ছিলেন অধিনায়ক সাহারান। সমীকরণ সহজ হয়ে এলেও নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে আবার চাপে পড়ে ভারত। ষষ্ঠ থেকে অষ্টম—এই ৩ উইকেটের দুটিই হয়েছে রান আউট। এই দুই রান আউটের শিকার হয়েছেন সাহারান ও মুরুগান অভিষেক। শচীনের মতো সেঞ্চুরি পাননি সাহারান। অবশ্য ১২৪ বলে ৮১ রান করে সাহারান যখন আউট হয়েছেন, তখন ভারতের দরকার ছিল ৮ বলে ১ রান। ৪৯তম ওভারের পঞ্চম বলে কোবানি মোকোইনাকে চার মেরে ভারতকে ২ উইকেটের রুদ্ধশ্বাস জয় এনে দিয়েছেন রাজ লিম্বানি। ৭ বল আগে পাওয়া এই জয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন ভারতীয় অধিনায়ক সাহারান।
এর আগে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ভারতীয় অধিনায়ক সাহারান। প্রথমে ব্যাটিং পেয়ে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেটে ২৪৪ রান করে দক্ষিণ আফ্রিকা অনূর্ধ্ব-১৯ দল। ইনিংস সর্বোচ্চ ৭৬ রান করেন দলটির উইকেটরক্ষক প্রিটোরিয়াস। ১০২ বলের ইনিংসে ৬ চার ও ৩ ছক্কা মারেন তিনি। ভারতের বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নিয়েছেন লিম্বানি। ২ উইকেট নিয়েছেন মুশির। ১টি করে উইকেট নিয়েছেন সৌমি পান্ডে ও নামান তিওয়ারি।
৪৩ তম জাতীয় ক্রিকেট চ্যাম্পিয়নশিপে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন হয়েছে কিশোরগঞ্জ জেলা। ৩ দিনের ম্যাচে কুমিল্লা জেলাকে ১৮৪ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে তারা।
৭ ঘণ্টা আগেভিনিসিয়ুস জুনিয়র-রাফিনিয়া-নেইমারদের নতুন কোচ কে? এই প্রশ্নে শেষ হয়ে আসছে অপেক্ষার পালা। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী সপ্তাহে নাম ঘোষণা করতে পারে ব্রাজিলিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন (সিবিএফ)।
৭ ঘণ্টা আগেপাসপোর্ট হাতে পাওয়ার মাত্র একদিনের ভেতরই ফিফা প্লেয়ার্স স্ট্যাটাস কমিটির অনুমোদন পেয়ে গেলেন সমিত সোম। তাই বাংলাদেশের জার্সিতে খেলতে আর বাধা নেই তাঁর। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাফুফের সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন তুষার। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী জুনে এএফসি এশিয়া কাপ বাছাইয়ে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে অভিষেক হওয়ার
৭ ঘণ্টা আগেকানাডা সকার অ্যাসোসিয়েশনের ছাড়পত্র পাওয়ার পর বাংলাদেশের পাসপোর্টও হাতে পেয়েছেন সোমিত সোম। বাকি রইল শুধু ফিফার প্লেয়ার্স স্ট্যাটাস কমিটির ছাড়পত্র। সেটি পেলে বাংলাদেশের হয়ে খেলতে আর কোনো বাধা থাকবে না তাঁর। এর মধ্যেই সোমিত পেয়েছেন আরেকটি সুখবর। কানাডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের সপ্তাহের সেরা দলে জায়গা করে নিয়
৮ ঘণ্টা আগে