যশস্বী জয়সওয়ালের ডাবল সেঞ্চুরি, জসপ্রীত বুমরার বিধ্বংসী বোলিং, শুবমান গিলের সেঞ্চুরি—কী ছিল না বিশাখাপত্তনমে ভারত-ইংল্যান্ড দ্বিতীয় টেস্টে। ভারতীয় ক্রিকেটারদের এমন দাপুটে পারফরম্যান্সের বিপরীতে ইংল্যান্ড লড়াইয়ের আভাস দিয়েছিল ঠিকই। শেষ পর্যন্ত ইংল্যান্ড আর পেরে ওঠেনি। ১০৬ রানে জিতে পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ ১-১ সমতা করল ভারত। একই সঙ্গে হায়দরাবাদ টেস্টে কাছাকাছি গিয়ে হারের প্রতিশোধও নিল ভারত।
৩৯৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নামা ইংল্যান্ড গতকাল তৃতীয় দিনে ব্যাটিংয়ে নেমেছিল। ১৪ ওভারে ১ উইকেটে ৬৭ রানে শেষ করেছিল ইংল্যান্ড। সেখান থেকে আজ ইংল্যান্ডের ওপেনার জ্যাক ক্রলি ও নাইটওয়াচম্যান হিসেবে নামা রেহান আহমেদ এগোচ্ছিলেন সাবলীলভাবেই। ২২তম ওভারের পঞ্চম বলে রেহানকে এলবিডব্লুর ফাদে ফেলে জুটি ভাঙেন অক্ষর প্যাটেল। তাতে ইংল্যান্ডের স্কোর হয়ে যায় ২১.৫ ওভারে ২ উইকেটে ৯৫ রান। দ্বিতীয় উইকেটে ক্রলি ও রেহানের জুটি ছিল ৬৬ বলে ৪৫ রানের।
২ উইকেটে ৯৫ রান হওয়ার পর ব্যাটিংয়ে নামেন ওলি পোপ। ওপেনার ক্রলির সঙ্গে পোপের জুটিটা যখন বড় হওয়ার পথে এগোচ্ছিল, তখনই বাদ সাধেন অশ্বিন। ২৯তম ওভারের দ্বিতীয় বলে পোপকে ফেরান অশ্বিন। ২১ বলে ৫ চারে ২৩ রান করেন পোপ। এরপর পাঁচ নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামা জো রুট উইকেটে এসেও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ১০ বলে ২ চার ও ১ ছক্কায় ১৬ রানের ছোট ইনিংসটিই প্রমাণ করে যে রুট টেস্টে বেশি বিধ্বংসী হতে গিয়েছেন। তাতেই নিজের উইকেট দিয়ে এসেছেন। ৩১তম ওভারের শেষ বলে অশ্বিনকে মিড উইকেট দিয়ে তুলে মারতে যান রুট। এজ হওয়া বল ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে গেলে সহজে ক্যাচ ধরেন অক্ষর প্যাটেল। অশ্বিনের জোড়া আঘাতে মুহূর্তেই ইংল্যান্ডের স্কোর হয়ে যায় ২ উইকেটে ১৩২ রান থেকে ৪ উইকেটে ১৫৪ রান।
সতীর্থদের আসা-যাওয়ার মধ্যে খেলতে থাকেন ক্রলি। পঞ্চম উইকেটে জনি বেয়ারস্টোর সঙ্গে ৬৬ বলে ৪০ রানের আরও একটি জুটি গড়তে অবদান রাখেন ক্রলি। সেই ক্রলিকে ফিরিয়েই জুটি ভাঙেন কুলদীপ যাদব। ৪২তম ওভারের শেষ বলে ক্রলিকে এলবিডব্লুর ফাদে ফেলেন কুলদীপ। প্রথমে মাঠের আম্পায়ার আউট দেননি। এরপর রোহিত শর্মা রিভিউ নিয়ে ক্রলিকে আউট করেছেন। ইংল্যান্ডের ওপেনার ১৩২ বলে করেন ৭৩ রান। যা ইংল্যান্ডের ইনিংসের সর্বোচ্চ রান।
ক্রলির বিদায়ে ইংল্যান্ডের স্কোর হয়ে যায় ৪২ ওভারে ৫ উইকেটে ১৯৪ রান। এরপর জনি বেয়ারস্টো ও ইংল্যান্ড অধিনায়ক বেন স্টোকস—দ্রুতই ড্রেসিংরুমের পথ ধরেছেন। যেখানে ৫৩তম ওভারের চতুর্থ বলে অশ্বিনকে মিড অনে ঠেলে সিঙ্গেল নিতে যান বেন ফোকস। অপরপ্রান্তে থাকা বেন স্টোকস কিছুটা দ্বিধাদ্বন্দ্ব নিয়ে দৌড় দেন। স্ট্রাইকপ্রান্তে শ্রেয়াস আয়ার দুর্দান্ত ডিরেক্ট থ্রোতে স্টাম্প ভেঙেছেন। তাতে আউট হয়েছেন স্টোকস এবং ইংল্যান্ডের স্কোর হয়ে যায় ৭ উইকেটে ২২০ রান। এরপর অষ্টম উইকেটে টম হার্টলি ও বেন ফোকসের ৭৪ বলে ৫৫ রানের জুটিটা শুধু ব্যবধানই কমিয়েছে। শেষ পর্যন্ত ইংল্যান্ড ২৯২ রানে অলআউট হয়েছে। যেখানে হার্টলিকে বোল্ড করে ইংল্যান্ডের ইনিংসের সমাপ্তি টেনেছেন জসপ্রীত বুমরা। ভারতীয় বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৩টি করে উইকেট নেন বুমরা ও অশ্বিন। টেস্টে অশ্বিনের ৫০০ উইকেট নেওয়ার অপেক্ষা থেকে গেল বিশাখাপত্তনমেও। ৯৭ টেস্ট ক্যারিয়ারে অশ্বিনের উইকেট ৪৯৯।
এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মা। প্রথম ইনিংসে ৩৯৬ রানে অলআউট হয়েছে ভারতীয়রা। ইনিংস সর্বোচ্চ ২০৯ রান করেছিলেন যশস্বী জয়সওয়াল। ২৯০ বলের ইনিংসে ১৯ চার ও ৭ ছক্কা মারেন জয়সওয়াল। ইংল্যান্ডের বোলারদের মধ্যে ৩টি করে উইকেট নেন জেমস অ্যান্ডারসন, শোয়েব বশির ও রেহান আহমেদ। এরপর ইংল্যান্ড তাদের প্রথম ইনিংসে ২৫৩ রানে অলআউট হয়েছে। ইনিংস সর্বোচ্চ ৭৬ রান করেন ক্রলি। ভারতের বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৬ উইকেট নেন বুমরা। এরপর ভারত তাদের দ্বিতীয় ইনিংসে ২৫৫ রানে অলআউট হয়েছে। ভারতীয় ব্যাটারদের মধ্যে ইনিংস সর্বোচ্চ ১০৪ রান করেন গিল।
যশস্বী জয়সওয়ালের ডাবল সেঞ্চুরি, জসপ্রীত বুমরার বিধ্বংসী বোলিং, শুবমান গিলের সেঞ্চুরি—কী ছিল না বিশাখাপত্তনমে ভারত-ইংল্যান্ড দ্বিতীয় টেস্টে। ভারতীয় ক্রিকেটারদের এমন দাপুটে পারফরম্যান্সের বিপরীতে ইংল্যান্ড লড়াইয়ের আভাস দিয়েছিল ঠিকই। শেষ পর্যন্ত ইংল্যান্ড আর পেরে ওঠেনি। ১০৬ রানে জিতে পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ ১-১ সমতা করল ভারত। একই সঙ্গে হায়দরাবাদ টেস্টে কাছাকাছি গিয়ে হারের প্রতিশোধও নিল ভারত।
৩৯৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নামা ইংল্যান্ড গতকাল তৃতীয় দিনে ব্যাটিংয়ে নেমেছিল। ১৪ ওভারে ১ উইকেটে ৬৭ রানে শেষ করেছিল ইংল্যান্ড। সেখান থেকে আজ ইংল্যান্ডের ওপেনার জ্যাক ক্রলি ও নাইটওয়াচম্যান হিসেবে নামা রেহান আহমেদ এগোচ্ছিলেন সাবলীলভাবেই। ২২তম ওভারের পঞ্চম বলে রেহানকে এলবিডব্লুর ফাদে ফেলে জুটি ভাঙেন অক্ষর প্যাটেল। তাতে ইংল্যান্ডের স্কোর হয়ে যায় ২১.৫ ওভারে ২ উইকেটে ৯৫ রান। দ্বিতীয় উইকেটে ক্রলি ও রেহানের জুটি ছিল ৬৬ বলে ৪৫ রানের।
২ উইকেটে ৯৫ রান হওয়ার পর ব্যাটিংয়ে নামেন ওলি পোপ। ওপেনার ক্রলির সঙ্গে পোপের জুটিটা যখন বড় হওয়ার পথে এগোচ্ছিল, তখনই বাদ সাধেন অশ্বিন। ২৯তম ওভারের দ্বিতীয় বলে পোপকে ফেরান অশ্বিন। ২১ বলে ৫ চারে ২৩ রান করেন পোপ। এরপর পাঁচ নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামা জো রুট উইকেটে এসেও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ১০ বলে ২ চার ও ১ ছক্কায় ১৬ রানের ছোট ইনিংসটিই প্রমাণ করে যে রুট টেস্টে বেশি বিধ্বংসী হতে গিয়েছেন। তাতেই নিজের উইকেট দিয়ে এসেছেন। ৩১তম ওভারের শেষ বলে অশ্বিনকে মিড উইকেট দিয়ে তুলে মারতে যান রুট। এজ হওয়া বল ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে গেলে সহজে ক্যাচ ধরেন অক্ষর প্যাটেল। অশ্বিনের জোড়া আঘাতে মুহূর্তেই ইংল্যান্ডের স্কোর হয়ে যায় ২ উইকেটে ১৩২ রান থেকে ৪ উইকেটে ১৫৪ রান।
সতীর্থদের আসা-যাওয়ার মধ্যে খেলতে থাকেন ক্রলি। পঞ্চম উইকেটে জনি বেয়ারস্টোর সঙ্গে ৬৬ বলে ৪০ রানের আরও একটি জুটি গড়তে অবদান রাখেন ক্রলি। সেই ক্রলিকে ফিরিয়েই জুটি ভাঙেন কুলদীপ যাদব। ৪২তম ওভারের শেষ বলে ক্রলিকে এলবিডব্লুর ফাদে ফেলেন কুলদীপ। প্রথমে মাঠের আম্পায়ার আউট দেননি। এরপর রোহিত শর্মা রিভিউ নিয়ে ক্রলিকে আউট করেছেন। ইংল্যান্ডের ওপেনার ১৩২ বলে করেন ৭৩ রান। যা ইংল্যান্ডের ইনিংসের সর্বোচ্চ রান।
ক্রলির বিদায়ে ইংল্যান্ডের স্কোর হয়ে যায় ৪২ ওভারে ৫ উইকেটে ১৯৪ রান। এরপর জনি বেয়ারস্টো ও ইংল্যান্ড অধিনায়ক বেন স্টোকস—দ্রুতই ড্রেসিংরুমের পথ ধরেছেন। যেখানে ৫৩তম ওভারের চতুর্থ বলে অশ্বিনকে মিড অনে ঠেলে সিঙ্গেল নিতে যান বেন ফোকস। অপরপ্রান্তে থাকা বেন স্টোকস কিছুটা দ্বিধাদ্বন্দ্ব নিয়ে দৌড় দেন। স্ট্রাইকপ্রান্তে শ্রেয়াস আয়ার দুর্দান্ত ডিরেক্ট থ্রোতে স্টাম্প ভেঙেছেন। তাতে আউট হয়েছেন স্টোকস এবং ইংল্যান্ডের স্কোর হয়ে যায় ৭ উইকেটে ২২০ রান। এরপর অষ্টম উইকেটে টম হার্টলি ও বেন ফোকসের ৭৪ বলে ৫৫ রানের জুটিটা শুধু ব্যবধানই কমিয়েছে। শেষ পর্যন্ত ইংল্যান্ড ২৯২ রানে অলআউট হয়েছে। যেখানে হার্টলিকে বোল্ড করে ইংল্যান্ডের ইনিংসের সমাপ্তি টেনেছেন জসপ্রীত বুমরা। ভারতীয় বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৩টি করে উইকেট নেন বুমরা ও অশ্বিন। টেস্টে অশ্বিনের ৫০০ উইকেট নেওয়ার অপেক্ষা থেকে গেল বিশাখাপত্তনমেও। ৯৭ টেস্ট ক্যারিয়ারে অশ্বিনের উইকেট ৪৯৯।
এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মা। প্রথম ইনিংসে ৩৯৬ রানে অলআউট হয়েছে ভারতীয়রা। ইনিংস সর্বোচ্চ ২০৯ রান করেছিলেন যশস্বী জয়সওয়াল। ২৯০ বলের ইনিংসে ১৯ চার ও ৭ ছক্কা মারেন জয়সওয়াল। ইংল্যান্ডের বোলারদের মধ্যে ৩টি করে উইকেট নেন জেমস অ্যান্ডারসন, শোয়েব বশির ও রেহান আহমেদ। এরপর ইংল্যান্ড তাদের প্রথম ইনিংসে ২৫৩ রানে অলআউট হয়েছে। ইনিংস সর্বোচ্চ ৭৬ রান করেন ক্রলি। ভারতের বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৬ উইকেট নেন বুমরা। এরপর ভারত তাদের দ্বিতীয় ইনিংসে ২৫৫ রানে অলআউট হয়েছে। ভারতীয় ব্যাটারদের মধ্যে ইনিংস সর্বোচ্চ ১০৪ রান করেন গিল।
ক্রিকেটে জিম্বাবুয়ে পার করছে দুঃসময়। কিন্তু প্রতিপক্ষ বাংলাদেশ হলে তারাও যেন হালে পানি পায়। সিলেট টেস্টে প্রথম দুই দিনই দাপট দেখিয়েছে জিম্বাবুয়ে। প্রথম ইনিংসে লিড নেয় তারা ৮২ রানের। দ্বিতীয় দিন শেষে ৫৭ রানে ১ উইকেট বাংলাদেশের।
৪ ঘণ্টা আগেসিলেট টেস্টে দ্বিতীয় দিন শেষে কিছুটা স্বস্তি বাংলাদেশ শিবিরে। যদিও এখনো পিছিয়ে আছে ২৫ রানে। ৮২ রানের লিড মাথায় নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুতেই মাত্র ১৩ রানে কাটা পড়েছেন ওপেনার সাদমান ইসলাম। তবে দিন শেষে মাহমুদুল হাসান জয় ও মুমিনুল হকের ব্যাটে অপরাজিত ৪৪ রানের জুটিতে স্বপ্ন দেখছে বাংলাদেশ দল।
৫ ঘণ্টা আগেটেস্টে প্রথম দিনটা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। সিলেট টেস্টে প্রথম দিনটাই ভালো যায়নি বাংলাদেশের। ফলে আজ দ্বিতীয় দিনও তারা শেষ করেছে পিছিয়ে থেকে। তবে মেহেদী হাসান মিরাজের দুর্দান্ত ঘূর্ণি জাদু ও শেষ বিকেলে মাহমুদুল হাসান জয়-মুমিনুল হকের ব্যাটিংয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর আশা দেখছে স্বাগতিকেরা।
৬ ঘণ্টা আগেসিলেট টেস্টে দ্বিতীয় দিন শেষ বিকেলে ব্যাটিংয়ে নেমে ১ উইকেট হারিয়ে ৫৭ রান তুলেছে বাংলাদেশ। ২৫ রানে পিছিয়ে থেকে কাল আবারও ব্যাটিংয়ে নামবে স্বাগতিকেরা। মুমিনুল হক ১৫ ও মাহমুদুল হাসান জয় ২৮ রানে অপরাজিত আছেন। দ্বিতীয় ইনিংসেও ওপেনিং জুটি বড় হয়নি বাংলাদেশের। ইনিংসের চতুর্থ ওভারে দলীয় ১৩ রানে ফেরেন সাদমান
৭ ঘণ্টা আগে