Ajker Patrika

‘সাকিব বাংলাদেশ দলে ফিরতে পারবে সরকার চাইলে’

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
সাকিবের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরা বাংলাদেশ সরকারের ওপর নির্ভর করছে বলে মনে করেন সালাহ উদ্দীন। ফাইল ছবি
সাকিবের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরা বাংলাদেশ সরকারের ওপর নির্ভর করছে বলে মনে করেন সালাহ উদ্দীন। ফাইল ছবি

সাকিব আল হাসানের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের পথচলা কি তবে নিভৃতেই শেষ? বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পক্ষ থেকে বারবার বলা হচ্ছে, সাকিবের সামনে দরজা এখনো খোলা। তবে এটা যে শুধুই কথার কথা, সেটি এখন আর অজানা নয় দেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের কাছে।

কদিন আগে বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল বলেছেন, সাকিবকে জাতীয় দলে খেলতে হলে দেশে থাকতে হবে। তাঁর গুরু মোহাম্মদ সালাহ উদ্দীনও প্রায় একই কথা বলেছেন। বোর্ডের আরও অনেক নীতিনির্ধারকদের মতো তিনি মনে করেন, সরকারের চাওয়ার ওপরই আসলে নির্ভর করছে সাকিবের ফেরা।

গত বছরের আগস্টে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে পতন হওয়া আওয়ামী লীগ সরকারের সংসদ সদস্য ছিলেন সাকিব। সরকার পতনের পর গত বছরের অক্টোবরে তিনি দেশে এসে ক্যারিয়ারের শেষ টেস্ট খেলতে চেয়েও পারেননি। পরে বারবার তাঁর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার কথা শোনা গেলেও তা আর আলোর মুখ দেখেনি। সাকিবের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার তাহলে এমন নীরবে-নিভৃতে শেষ হয়ে যাচ্ছে—আজকের পত্রিকাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এই প্রশ্নের উত্তরে বাংলাদেশের সিনিয়র সহকারী কোচ সালাহ উদ্দীন বলেন, ‘এটা নিয়ে আমার কিছু বলার নেই। বোর্ডও কিছু করতে পারবে বলে মনে হয় না। এটা সরকারি নীতি, তাদের ওপর নির্ভর করে। বোর্ডেরও কিছু করার নেই। যখন সরকার মনে করবে, তখনই সে আসতে পারবে। না হলে আসলে...তাকে ক্রিকেট খেলতে দেশে আসতে হবে।’

ভারতের বিপক্ষে গত বছরের অক্টোবরে কানপুরে যে টেস্ট খেলেছিলেন, সেটাই এখন পর্যন্ত সাকিবের বাংলাদেশের হয়ে সবশেষ কোনো ম্যাচ। প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেট থেকে অবশ্য তিনি দূরে নেই। পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল), গ্লোবাল সুপার লিগ (জিএসএল), ম্যাক্স সিক্সটি ক্যারিবিয়ানের মতো ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক টুর্নামেন্টে খেলেছেন বাংলাদেশের এই অলরাউন্ডার। শিষ্য যেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরতে পারেন, সেটাই চাওয়া সালাহ উদ্দীনের। সালাহ উদ্দীন বলেন, ‘এটা নিয়ে আমাদের খুব বেশি চিন্তা করার কিছু নেই। হয়তো সেভাবে সে মেনে নেবে। বা কখনো যদি সে ফিরে আসতে পারে, সবাই চাই আসুক। এটা নিয়ে আমাদের কিছু বলার নেই।’

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে দূরে থাকলেও সাকিবের সঙ্গে গুরু সালাহ উদ্দীনের নিয়মিতই যোগাযোগ হয়। সাকিব গত এক বছরে অনেক বেশি দুঃসংবাদ পেয়েছেন। বোলিংয়ে নিষিদ্ধ হওয়ার কারণে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দলে জায়গা পাননি বলে জানুয়ারিতে জানিয়েছিলেন বিসিবি প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু। সাকিবের বিরুদ্ধে শেয়ারবাজার কারসাজির মামলা, দুদকের মামলা, চেক প্রতারণার মামলাও হয়েছে। এখন বাঁহাতি অলরাউন্ডার আছেন যুক্তরাষ্ট্রে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত