নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাংলাদেশে সবশেষ এসেছিলেন ২০১৪ সালে, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সময়। ধারাভাষ্যকার হিসেবে। এর পরের নয় বছরে অনেক পাল্টে গেছে পৃথিবী। পাল্টেছে বাংলাদেশ। হয়েছে এবং চলছে অনেক উন্নয়নকাজ।
গত কয়েকটি বছর সৌরভ গাঙ্গুলীর জীবনেও বেশ স্মরণীয়। পশ্চিমবঙ্গের ক্রিকেট প্রধান থেকে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) সর্বেসর্বা হয়েছেন সৌরভ। ছিলেন আইসিসি প্রধান হওয়ার দৌড়েও। শেষ কয়েক বছরে ভীষণ ব্যস্ত ও ক্রিকেটের সবচেয়ে ক্ষমতাধর ব্যক্তিদের একজন ছিলেন ভারতীয় সাবেক অধিনায়ক। ব্যস্ততার কারণে অসুস্থ হয়ে যেতে হয়েছে হাসপাতালে। বিসিসিআই থেকে সরে আসার পর এখন নিজেকে দেওয়ার মতো সময় হয়েছে ভারতীয়দের প্রিয় ‘দাদা’এর। সেখান থেকেই সময় বের করে নয় বছর বাংলাদেশে এসেছেন। নতুন বাংলাদেশ দেখে অবাক হয়েছেন ভারতের কিংবদন্তি অধিনায়ক।
‘ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন মেয়র কাপ’-এর দ্বিতীয় আসরের শুভেচ্ছাদূত হয়েছেন সৌরভ। ভারতীয় একটি ব্যাংকের দূতিয়ালি ও মেয়র কাপের উদ্বোধনের জন্য সৌরভ ঢাকায় অবতরণ করেন বিকেল সাড়ে ৩টার পর। ঢাকা পৌঁছাতেই বেশ খানিকক্ষণ দেরি হয়ে গেছে, তাই হোটেল ওয়েস্টিনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তাঁর বক্তব্যও পাওয়া গেল অল্প সময়ের জন্য। অল্প সময়েই শোনালেন বাংলাদেশ নিয়ে তাঁর মুগ্ধতা আর অভিজ্ঞতার গল্প।
সৌরভ বাংলাদেশে প্রথম বাংলাদেশে এসেছিলেন ১৯৮৯ সালে। অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপে খেলতে। এরপর বিভিন্ন টুর্নামেন্ট খেলেছেন ঢাকার মাটিতে। তবে ২০০০ সালে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে হওয়া বাংলাদেশের অভিষেক টেস্টটা তাঁর জীবনে সবচেয়ে স্মরণীয় ম্যাচগুলোর একটি। কারণ সেই টেস্টে সাদা পোশাকের ক্রিকেটে অধিনায়ক হিসেবেও অভিষেক হয়েছিল তাঁর। সৌরভ বললেন সেই অভিজ্ঞতার কথা, ‘আমার প্রথম টেস্ট অধিনায়কত্ব বাংলাদেশের মাটিতে। বাংলাদেশ ক্রিকেট ইতিহাসের সঙ্গে আমার নাম সব সময় জড়িয়ে থাকবে। কারণ ওটা ছিল বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট ম্যাচ, ২০০১ সালে (আসলে ২০০০)। আর আমার প্রথম টেস্ট, ভারতের অধিনায়ক হিসেবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার এখনো মনে আছে, তখনো নতুন স্টেডিয়াম হয়নি। পুরোনো স্টেডিয়াম, বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে খেলা হয়েছিল। বাংলাদেশ মনে হয় প্রথম ইনিংসে লিড নিয়েছিল। তারপর যখন ড্রেসিং রুমে ঢুকি আমি, আমার মনে হলো, 'এ কী! আমি অধিনায়ক হিসেবে আমার প্রথম ম্যাচ হেরে যাব! ' তারপর আমরা ফিরে এসে টেস্ট ম্যাচটা জিতি।’
‘আমার জীবনের বহু মূল্যবান মুহূর্তের সাক্ষী বাংলাদেশে ও বাংলাদেশের মানুষ। এখনো মনে আছে, ইনডিপেনডেন্টস কাপের ফাইনালে আমরা ৩১৫ রান তাড়া করে জিতি। তখনকার দিনে ৩১৫ রান অনেক বড় ছিল। কিন্তু আমার মনে আছে, বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে এত সুন্দর আলো বা ফ্লাডলাইট ছিল না তখন। ফুটবলের বাতির আলোয় খেলা হয়েছে শেষ পর্যন্ত আর আমরা সেই ম্যাচটা সেখানে জিতি।’
ভারতের প্রথম দিবা-রাত্রির টেস্ট ছিল বাংলাদেশের বিপক্ষে। কাকতালীয়ভাবে তখন বিসিসিআইয়ের প্রধান ছিলেন সৌরভই। সেই টেস্টের কথাও স্মরণ করলেন তিনি, ‘যখন প্রথম পিংক টেস্ট হয়...এটাও কাকতালীয়। ভারতের বোর্ড প্রেসিডেন্ট সেটাই ছিল আমার প্রথম পিংক টেস্ট, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে। আপনাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তখন গিয়েছেন, আমার আমন্ত্রণে। তাই বাংলাদেশের মানুষের সঙ্গে প্রচুর মধুর সময় কেটেছে আমার।’
গত নয় বছরে বাংলাদেশের পরিবর্তন দেখে মুগ্ধতার কথা জানালেন সৌরভ। যুব সমাজকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, ‘আমি যতবার ঢাকায় আসি...এই শহরের মধ্য দিয়ে যখন আসি, প্রচুর পরিবর্তন দেখি...বহুদিন আগে ঢাকায় এসেছি, প্রায় ৮-৯ বছর হয়ে গেছে। এত বছর বাদে যখন আমি শহরে আসি, আমি দেখি রাস্তা কত চওড়া হয়েছে, বিভিন্ন ফ্লাইওভার হয়েছে। গুলশান দিয়ে যখন এলাম, এটা হয়তো বাংলাদেশের অন্যতম ধনী জায়গা, এখানেও কত উন্নয়ন জয়েছে। এই উন্নয়ন কাদের জন্য? যুব সমাজের জন্য। এই উন্নয়নের সঙ্গে তোমরা এগোও। এই উন্নয়নে অংশ নাও, সেটা অনেক অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কারণ সমাজের কাছে অংশ নেওয়া সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।’
এবারও ক্রিকেট, ফুটবল ও ভলিবল নিয়ে হবে মেয়র কাপের দ্বিতীয় আসর। শুরু হবে মার্চের প্রথম সপ্তাহ থেকে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ঢাকার উত্তরের মেয়র আতিকুল হক ছাড়াও ছিলেন রকিবুল হাসান, গাজী আশরাফ হোসেন লিপু, আতহার আলী খান, নাইমুর রহমান দুর্জয়ের মতো সাবেক ক্রিকেটাররা। ছিলেন কায়সার হামিদের মতো সাবেক ফুটবলারও।

বাংলাদেশে সবশেষ এসেছিলেন ২০১৪ সালে, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সময়। ধারাভাষ্যকার হিসেবে। এর পরের নয় বছরে অনেক পাল্টে গেছে পৃথিবী। পাল্টেছে বাংলাদেশ। হয়েছে এবং চলছে অনেক উন্নয়নকাজ।
গত কয়েকটি বছর সৌরভ গাঙ্গুলীর জীবনেও বেশ স্মরণীয়। পশ্চিমবঙ্গের ক্রিকেট প্রধান থেকে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) সর্বেসর্বা হয়েছেন সৌরভ। ছিলেন আইসিসি প্রধান হওয়ার দৌড়েও। শেষ কয়েক বছরে ভীষণ ব্যস্ত ও ক্রিকেটের সবচেয়ে ক্ষমতাধর ব্যক্তিদের একজন ছিলেন ভারতীয় সাবেক অধিনায়ক। ব্যস্ততার কারণে অসুস্থ হয়ে যেতে হয়েছে হাসপাতালে। বিসিসিআই থেকে সরে আসার পর এখন নিজেকে দেওয়ার মতো সময় হয়েছে ভারতীয়দের প্রিয় ‘দাদা’এর। সেখান থেকেই সময় বের করে নয় বছর বাংলাদেশে এসেছেন। নতুন বাংলাদেশ দেখে অবাক হয়েছেন ভারতের কিংবদন্তি অধিনায়ক।
‘ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন মেয়র কাপ’-এর দ্বিতীয় আসরের শুভেচ্ছাদূত হয়েছেন সৌরভ। ভারতীয় একটি ব্যাংকের দূতিয়ালি ও মেয়র কাপের উদ্বোধনের জন্য সৌরভ ঢাকায় অবতরণ করেন বিকেল সাড়ে ৩টার পর। ঢাকা পৌঁছাতেই বেশ খানিকক্ষণ দেরি হয়ে গেছে, তাই হোটেল ওয়েস্টিনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তাঁর বক্তব্যও পাওয়া গেল অল্প সময়ের জন্য। অল্প সময়েই শোনালেন বাংলাদেশ নিয়ে তাঁর মুগ্ধতা আর অভিজ্ঞতার গল্প।
সৌরভ বাংলাদেশে প্রথম বাংলাদেশে এসেছিলেন ১৯৮৯ সালে। অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপে খেলতে। এরপর বিভিন্ন টুর্নামেন্ট খেলেছেন ঢাকার মাটিতে। তবে ২০০০ সালে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে হওয়া বাংলাদেশের অভিষেক টেস্টটা তাঁর জীবনে সবচেয়ে স্মরণীয় ম্যাচগুলোর একটি। কারণ সেই টেস্টে সাদা পোশাকের ক্রিকেটে অধিনায়ক হিসেবেও অভিষেক হয়েছিল তাঁর। সৌরভ বললেন সেই অভিজ্ঞতার কথা, ‘আমার প্রথম টেস্ট অধিনায়কত্ব বাংলাদেশের মাটিতে। বাংলাদেশ ক্রিকেট ইতিহাসের সঙ্গে আমার নাম সব সময় জড়িয়ে থাকবে। কারণ ওটা ছিল বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট ম্যাচ, ২০০১ সালে (আসলে ২০০০)। আর আমার প্রথম টেস্ট, ভারতের অধিনায়ক হিসেবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার এখনো মনে আছে, তখনো নতুন স্টেডিয়াম হয়নি। পুরোনো স্টেডিয়াম, বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে খেলা হয়েছিল। বাংলাদেশ মনে হয় প্রথম ইনিংসে লিড নিয়েছিল। তারপর যখন ড্রেসিং রুমে ঢুকি আমি, আমার মনে হলো, 'এ কী! আমি অধিনায়ক হিসেবে আমার প্রথম ম্যাচ হেরে যাব! ' তারপর আমরা ফিরে এসে টেস্ট ম্যাচটা জিতি।’
‘আমার জীবনের বহু মূল্যবান মুহূর্তের সাক্ষী বাংলাদেশে ও বাংলাদেশের মানুষ। এখনো মনে আছে, ইনডিপেনডেন্টস কাপের ফাইনালে আমরা ৩১৫ রান তাড়া করে জিতি। তখনকার দিনে ৩১৫ রান অনেক বড় ছিল। কিন্তু আমার মনে আছে, বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে এত সুন্দর আলো বা ফ্লাডলাইট ছিল না তখন। ফুটবলের বাতির আলোয় খেলা হয়েছে শেষ পর্যন্ত আর আমরা সেই ম্যাচটা সেখানে জিতি।’
ভারতের প্রথম দিবা-রাত্রির টেস্ট ছিল বাংলাদেশের বিপক্ষে। কাকতালীয়ভাবে তখন বিসিসিআইয়ের প্রধান ছিলেন সৌরভই। সেই টেস্টের কথাও স্মরণ করলেন তিনি, ‘যখন প্রথম পিংক টেস্ট হয়...এটাও কাকতালীয়। ভারতের বোর্ড প্রেসিডেন্ট সেটাই ছিল আমার প্রথম পিংক টেস্ট, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে। আপনাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তখন গিয়েছেন, আমার আমন্ত্রণে। তাই বাংলাদেশের মানুষের সঙ্গে প্রচুর মধুর সময় কেটেছে আমার।’
গত নয় বছরে বাংলাদেশের পরিবর্তন দেখে মুগ্ধতার কথা জানালেন সৌরভ। যুব সমাজকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, ‘আমি যতবার ঢাকায় আসি...এই শহরের মধ্য দিয়ে যখন আসি, প্রচুর পরিবর্তন দেখি...বহুদিন আগে ঢাকায় এসেছি, প্রায় ৮-৯ বছর হয়ে গেছে। এত বছর বাদে যখন আমি শহরে আসি, আমি দেখি রাস্তা কত চওড়া হয়েছে, বিভিন্ন ফ্লাইওভার হয়েছে। গুলশান দিয়ে যখন এলাম, এটা হয়তো বাংলাদেশের অন্যতম ধনী জায়গা, এখানেও কত উন্নয়ন জয়েছে। এই উন্নয়ন কাদের জন্য? যুব সমাজের জন্য। এই উন্নয়নের সঙ্গে তোমরা এগোও। এই উন্নয়নে অংশ নাও, সেটা অনেক অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কারণ সমাজের কাছে অংশ নেওয়া সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।’
এবারও ক্রিকেট, ফুটবল ও ভলিবল নিয়ে হবে মেয়র কাপের দ্বিতীয় আসর। শুরু হবে মার্চের প্রথম সপ্তাহ থেকে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ঢাকার উত্তরের মেয়র আতিকুল হক ছাড়াও ছিলেন রকিবুল হাসান, গাজী আশরাফ হোসেন লিপু, আতহার আলী খান, নাইমুর রহমান দুর্জয়ের মতো সাবেক ক্রিকেটাররা। ছিলেন কায়সার হামিদের মতো সাবেক ফুটবলারও।
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাংলাদেশে সবশেষ এসেছিলেন ২০১৪ সালে, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সময়। ধারাভাষ্যকার হিসেবে। এর পরের নয় বছরে অনেক পাল্টে গেছে পৃথিবী। পাল্টেছে বাংলাদেশ। হয়েছে এবং চলছে অনেক উন্নয়নকাজ।
গত কয়েকটি বছর সৌরভ গাঙ্গুলীর জীবনেও বেশ স্মরণীয়। পশ্চিমবঙ্গের ক্রিকেট প্রধান থেকে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) সর্বেসর্বা হয়েছেন সৌরভ। ছিলেন আইসিসি প্রধান হওয়ার দৌড়েও। শেষ কয়েক বছরে ভীষণ ব্যস্ত ও ক্রিকেটের সবচেয়ে ক্ষমতাধর ব্যক্তিদের একজন ছিলেন ভারতীয় সাবেক অধিনায়ক। ব্যস্ততার কারণে অসুস্থ হয়ে যেতে হয়েছে হাসপাতালে। বিসিসিআই থেকে সরে আসার পর এখন নিজেকে দেওয়ার মতো সময় হয়েছে ভারতীয়দের প্রিয় ‘দাদা’এর। সেখান থেকেই সময় বের করে নয় বছর বাংলাদেশে এসেছেন। নতুন বাংলাদেশ দেখে অবাক হয়েছেন ভারতের কিংবদন্তি অধিনায়ক।
‘ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন মেয়র কাপ’-এর দ্বিতীয় আসরের শুভেচ্ছাদূত হয়েছেন সৌরভ। ভারতীয় একটি ব্যাংকের দূতিয়ালি ও মেয়র কাপের উদ্বোধনের জন্য সৌরভ ঢাকায় অবতরণ করেন বিকেল সাড়ে ৩টার পর। ঢাকা পৌঁছাতেই বেশ খানিকক্ষণ দেরি হয়ে গেছে, তাই হোটেল ওয়েস্টিনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তাঁর বক্তব্যও পাওয়া গেল অল্প সময়ের জন্য। অল্প সময়েই শোনালেন বাংলাদেশ নিয়ে তাঁর মুগ্ধতা আর অভিজ্ঞতার গল্প।
সৌরভ বাংলাদেশে প্রথম বাংলাদেশে এসেছিলেন ১৯৮৯ সালে। অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপে খেলতে। এরপর বিভিন্ন টুর্নামেন্ট খেলেছেন ঢাকার মাটিতে। তবে ২০০০ সালে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে হওয়া বাংলাদেশের অভিষেক টেস্টটা তাঁর জীবনে সবচেয়ে স্মরণীয় ম্যাচগুলোর একটি। কারণ সেই টেস্টে সাদা পোশাকের ক্রিকেটে অধিনায়ক হিসেবেও অভিষেক হয়েছিল তাঁর। সৌরভ বললেন সেই অভিজ্ঞতার কথা, ‘আমার প্রথম টেস্ট অধিনায়কত্ব বাংলাদেশের মাটিতে। বাংলাদেশ ক্রিকেট ইতিহাসের সঙ্গে আমার নাম সব সময় জড়িয়ে থাকবে। কারণ ওটা ছিল বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট ম্যাচ, ২০০১ সালে (আসলে ২০০০)। আর আমার প্রথম টেস্ট, ভারতের অধিনায়ক হিসেবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার এখনো মনে আছে, তখনো নতুন স্টেডিয়াম হয়নি। পুরোনো স্টেডিয়াম, বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে খেলা হয়েছিল। বাংলাদেশ মনে হয় প্রথম ইনিংসে লিড নিয়েছিল। তারপর যখন ড্রেসিং রুমে ঢুকি আমি, আমার মনে হলো, 'এ কী! আমি অধিনায়ক হিসেবে আমার প্রথম ম্যাচ হেরে যাব! ' তারপর আমরা ফিরে এসে টেস্ট ম্যাচটা জিতি।’
‘আমার জীবনের বহু মূল্যবান মুহূর্তের সাক্ষী বাংলাদেশে ও বাংলাদেশের মানুষ। এখনো মনে আছে, ইনডিপেনডেন্টস কাপের ফাইনালে আমরা ৩১৫ রান তাড়া করে জিতি। তখনকার দিনে ৩১৫ রান অনেক বড় ছিল। কিন্তু আমার মনে আছে, বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে এত সুন্দর আলো বা ফ্লাডলাইট ছিল না তখন। ফুটবলের বাতির আলোয় খেলা হয়েছে শেষ পর্যন্ত আর আমরা সেই ম্যাচটা সেখানে জিতি।’
ভারতের প্রথম দিবা-রাত্রির টেস্ট ছিল বাংলাদেশের বিপক্ষে। কাকতালীয়ভাবে তখন বিসিসিআইয়ের প্রধান ছিলেন সৌরভই। সেই টেস্টের কথাও স্মরণ করলেন তিনি, ‘যখন প্রথম পিংক টেস্ট হয়...এটাও কাকতালীয়। ভারতের বোর্ড প্রেসিডেন্ট সেটাই ছিল আমার প্রথম পিংক টেস্ট, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে। আপনাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তখন গিয়েছেন, আমার আমন্ত্রণে। তাই বাংলাদেশের মানুষের সঙ্গে প্রচুর মধুর সময় কেটেছে আমার।’
গত নয় বছরে বাংলাদেশের পরিবর্তন দেখে মুগ্ধতার কথা জানালেন সৌরভ। যুব সমাজকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, ‘আমি যতবার ঢাকায় আসি...এই শহরের মধ্য দিয়ে যখন আসি, প্রচুর পরিবর্তন দেখি...বহুদিন আগে ঢাকায় এসেছি, প্রায় ৮-৯ বছর হয়ে গেছে। এত বছর বাদে যখন আমি শহরে আসি, আমি দেখি রাস্তা কত চওড়া হয়েছে, বিভিন্ন ফ্লাইওভার হয়েছে। গুলশান দিয়ে যখন এলাম, এটা হয়তো বাংলাদেশের অন্যতম ধনী জায়গা, এখানেও কত উন্নয়ন জয়েছে। এই উন্নয়ন কাদের জন্য? যুব সমাজের জন্য। এই উন্নয়নের সঙ্গে তোমরা এগোও। এই উন্নয়নে অংশ নাও, সেটা অনেক অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কারণ সমাজের কাছে অংশ নেওয়া সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।’
এবারও ক্রিকেট, ফুটবল ও ভলিবল নিয়ে হবে মেয়র কাপের দ্বিতীয় আসর। শুরু হবে মার্চের প্রথম সপ্তাহ থেকে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ঢাকার উত্তরের মেয়র আতিকুল হক ছাড়াও ছিলেন রকিবুল হাসান, গাজী আশরাফ হোসেন লিপু, আতহার আলী খান, নাইমুর রহমান দুর্জয়ের মতো সাবেক ক্রিকেটাররা। ছিলেন কায়সার হামিদের মতো সাবেক ফুটবলারও।

বাংলাদেশে সবশেষ এসেছিলেন ২০১৪ সালে, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সময়। ধারাভাষ্যকার হিসেবে। এর পরের নয় বছরে অনেক পাল্টে গেছে পৃথিবী। পাল্টেছে বাংলাদেশ। হয়েছে এবং চলছে অনেক উন্নয়নকাজ।
গত কয়েকটি বছর সৌরভ গাঙ্গুলীর জীবনেও বেশ স্মরণীয়। পশ্চিমবঙ্গের ক্রিকেট প্রধান থেকে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) সর্বেসর্বা হয়েছেন সৌরভ। ছিলেন আইসিসি প্রধান হওয়ার দৌড়েও। শেষ কয়েক বছরে ভীষণ ব্যস্ত ও ক্রিকেটের সবচেয়ে ক্ষমতাধর ব্যক্তিদের একজন ছিলেন ভারতীয় সাবেক অধিনায়ক। ব্যস্ততার কারণে অসুস্থ হয়ে যেতে হয়েছে হাসপাতালে। বিসিসিআই থেকে সরে আসার পর এখন নিজেকে দেওয়ার মতো সময় হয়েছে ভারতীয়দের প্রিয় ‘দাদা’এর। সেখান থেকেই সময় বের করে নয় বছর বাংলাদেশে এসেছেন। নতুন বাংলাদেশ দেখে অবাক হয়েছেন ভারতের কিংবদন্তি অধিনায়ক।
‘ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন মেয়র কাপ’-এর দ্বিতীয় আসরের শুভেচ্ছাদূত হয়েছেন সৌরভ। ভারতীয় একটি ব্যাংকের দূতিয়ালি ও মেয়র কাপের উদ্বোধনের জন্য সৌরভ ঢাকায় অবতরণ করেন বিকেল সাড়ে ৩টার পর। ঢাকা পৌঁছাতেই বেশ খানিকক্ষণ দেরি হয়ে গেছে, তাই হোটেল ওয়েস্টিনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তাঁর বক্তব্যও পাওয়া গেল অল্প সময়ের জন্য। অল্প সময়েই শোনালেন বাংলাদেশ নিয়ে তাঁর মুগ্ধতা আর অভিজ্ঞতার গল্প।
সৌরভ বাংলাদেশে প্রথম বাংলাদেশে এসেছিলেন ১৯৮৯ সালে। অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপে খেলতে। এরপর বিভিন্ন টুর্নামেন্ট খেলেছেন ঢাকার মাটিতে। তবে ২০০০ সালে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে হওয়া বাংলাদেশের অভিষেক টেস্টটা তাঁর জীবনে সবচেয়ে স্মরণীয় ম্যাচগুলোর একটি। কারণ সেই টেস্টে সাদা পোশাকের ক্রিকেটে অধিনায়ক হিসেবেও অভিষেক হয়েছিল তাঁর। সৌরভ বললেন সেই অভিজ্ঞতার কথা, ‘আমার প্রথম টেস্ট অধিনায়কত্ব বাংলাদেশের মাটিতে। বাংলাদেশ ক্রিকেট ইতিহাসের সঙ্গে আমার নাম সব সময় জড়িয়ে থাকবে। কারণ ওটা ছিল বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট ম্যাচ, ২০০১ সালে (আসলে ২০০০)। আর আমার প্রথম টেস্ট, ভারতের অধিনায়ক হিসেবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার এখনো মনে আছে, তখনো নতুন স্টেডিয়াম হয়নি। পুরোনো স্টেডিয়াম, বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে খেলা হয়েছিল। বাংলাদেশ মনে হয় প্রথম ইনিংসে লিড নিয়েছিল। তারপর যখন ড্রেসিং রুমে ঢুকি আমি, আমার মনে হলো, 'এ কী! আমি অধিনায়ক হিসেবে আমার প্রথম ম্যাচ হেরে যাব! ' তারপর আমরা ফিরে এসে টেস্ট ম্যাচটা জিতি।’
‘আমার জীবনের বহু মূল্যবান মুহূর্তের সাক্ষী বাংলাদেশে ও বাংলাদেশের মানুষ। এখনো মনে আছে, ইনডিপেনডেন্টস কাপের ফাইনালে আমরা ৩১৫ রান তাড়া করে জিতি। তখনকার দিনে ৩১৫ রান অনেক বড় ছিল। কিন্তু আমার মনে আছে, বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে এত সুন্দর আলো বা ফ্লাডলাইট ছিল না তখন। ফুটবলের বাতির আলোয় খেলা হয়েছে শেষ পর্যন্ত আর আমরা সেই ম্যাচটা সেখানে জিতি।’
ভারতের প্রথম দিবা-রাত্রির টেস্ট ছিল বাংলাদেশের বিপক্ষে। কাকতালীয়ভাবে তখন বিসিসিআইয়ের প্রধান ছিলেন সৌরভই। সেই টেস্টের কথাও স্মরণ করলেন তিনি, ‘যখন প্রথম পিংক টেস্ট হয়...এটাও কাকতালীয়। ভারতের বোর্ড প্রেসিডেন্ট সেটাই ছিল আমার প্রথম পিংক টেস্ট, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে। আপনাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তখন গিয়েছেন, আমার আমন্ত্রণে। তাই বাংলাদেশের মানুষের সঙ্গে প্রচুর মধুর সময় কেটেছে আমার।’
গত নয় বছরে বাংলাদেশের পরিবর্তন দেখে মুগ্ধতার কথা জানালেন সৌরভ। যুব সমাজকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, ‘আমি যতবার ঢাকায় আসি...এই শহরের মধ্য দিয়ে যখন আসি, প্রচুর পরিবর্তন দেখি...বহুদিন আগে ঢাকায় এসেছি, প্রায় ৮-৯ বছর হয়ে গেছে। এত বছর বাদে যখন আমি শহরে আসি, আমি দেখি রাস্তা কত চওড়া হয়েছে, বিভিন্ন ফ্লাইওভার হয়েছে। গুলশান দিয়ে যখন এলাম, এটা হয়তো বাংলাদেশের অন্যতম ধনী জায়গা, এখানেও কত উন্নয়ন জয়েছে। এই উন্নয়ন কাদের জন্য? যুব সমাজের জন্য। এই উন্নয়নের সঙ্গে তোমরা এগোও। এই উন্নয়নে অংশ নাও, সেটা অনেক অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কারণ সমাজের কাছে অংশ নেওয়া সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।’
এবারও ক্রিকেট, ফুটবল ও ভলিবল নিয়ে হবে মেয়র কাপের দ্বিতীয় আসর। শুরু হবে মার্চের প্রথম সপ্তাহ থেকে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ঢাকার উত্তরের মেয়র আতিকুল হক ছাড়াও ছিলেন রকিবুল হাসান, গাজী আশরাফ হোসেন লিপু, আতহার আলী খান, নাইমুর রহমান দুর্জয়ের মতো সাবেক ক্রিকেটাররা। ছিলেন কায়সার হামিদের মতো সাবেক ফুটবলারও।

ফুটবলে দিন শেষে ফলই গুরুত্বপূর্ণ। তাই বাংলাদেশ কোচ পিটার বাটলারের কাছে প্রশ্ন রাখা হয়েছিল আজ থাইল্যান্ডকে কি হারাতে পারবেন ঋতুপর্ণা-আফঈদারা? জবাবে বাটলার পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে দিলেন। থাইল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশ শেষ কবে জিতেছিল?
১৮ মিনিট আগে
অবশেষে মহিলা ক্রীড়া সংস্থার অ্যাডহক কমিটি দিয়েছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি)। গতকাল ঘোষিত কমিটি নিয়ে রয়েছে বিতর্ক। তাই এই কমিটির বিলুপ্তি চান সাবেক ক্রীড়াবিদ ও সংগঠকেরা।
২৫ মিনিট আগে
জাতীয় ক্রিকেট লিগের (এনসিএল) প্রথম রাউন্ডের দ্বিতীয় দিনে দাপট দেখালেন বোলাররা। আলাদাভাবে বলতে হয় আফিফ হোসেন ধ্রুবর কথা। বরিশালের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করেছেন তিনি। বোলারদের দাপটের দিনে ব্যাটিংয়ে আলো ছড়িয়েছেন নাঈম ইসলাম ও আবু হায়দার রনি। সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন এই দুজন।
২ ঘণ্টা আগে
হংকং আর আফগানিস্তানকে হারিয়ে প্রত্যাশামতোই সুপার ফোরে উঠেছিল বাংলাদেশ। এই রাউন্ডেও শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে হয়েছিল দুর্দান্ত শুরু। কিন্তু শেষ দুই ম্যাচে ভারত ও পাকিস্তানের বিপক্ষে বোলাররা ভালো করলেও ব্যাটিং ব্যর্থতায় হারে বাংলাদেশ। আর চোটের কারণে গুরুত্বপূর্ণ এই দুই ম্যাচের একটিতেও খেলা হয়নি অধিনায়ক লিটন
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ফুটবলে দিন শেষে ফলই গুরুত্বপূর্ণ। তাই বাংলাদেশ কোচ পিটার বাটলারের কাছে প্রশ্ন রাখা হয়েছিল আজ থাইল্যান্ডকে কি হারাতে পারবেন ঋতুপর্ণা-আফঈদারা? জবাবে বাটলার পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে দিলেন। থাইল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশ শেষ কবে জিতেছিল?
দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলতে গিয়ে প্রথম ম্যাচে থাইল্যান্ডের কাছে পাত্তাই পায়নি বাংলাদেশ। হেরেছে ৩-০ গোলে। কাল লড়াইটা তাই ঘুরে দাঁড়ানোর। ব্যাংককের চালেম ফ্রা কিয়াত স্পোর্টস সেন্টারে ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় বিকেল ৫টায়।
খেলায় যেকোনো দলই জয়ের লক্ষ্য নিয়ে মাঠে। তবে প্রতিপক্ষ যখন র্যাঙ্কিংয়ে ৫১ ধাপ এগিয়ে থাকা থাইল্যান্ড। দুবার বিশ্বকাপ খেলা দলটির বিপক্ষে তখন বাটলারও খুব একটা উচ্চাশা দেখার সুযোগ পান না। আগের ম্যাচের ভুল শুধরে স্বাগতিকদের চ্যালেঞ্জে ফেলার সাহস অবশ্য তিনি করছেন। আজ বাংলাদেশ কোচ বলেন, ‘আমরা সিস্টেমে কিছুটা পরিবর্তন এনেছি। কিছু কিছু জায়গা ঘাটতি রয়েছে আমাদের, সেটা পূরণ করতে হবে। আগের ম্যাচে আমরা মৌলিক কিছু ভুল করেছি—যেমন প্রথম ৪৫ সেকেন্ডে গোল হজম করা এবং তা সবসময় পাহাড়সম চাপ বয়ে আনে।’
ঘরের মাঠে বাংলাদেশ সবশেষ খেলেছে গত বছরের জুনে চায়নিজ তাইপের বিপক্ষে। এরপর সবগুলো ম্যাচ শুধু দেশের বাইরে খেলেছে। বাটলারও খানিকটা আক্ষেপ ভরা কণ্ঠে বলেন, ‘খেলার মধ্যে অনেক কিছুই থাকে, যা ফলাফলে প্রভাব ফেলে। আমি কাউকে দোষ দিতে পছন্দ করি না এবং অজুহাতও দিই না। তবে দেশের বাইরে জেতার চেয়ে ঘরের মাঠে ম্যাচ জেতা অনেক সহজ।’
প্রথম ম্যাচে হারের পর ফুটবলারদের আচরণ ও মানসিকতা ক্ষুব্ধ করেছিল বাটলারকে, ‘কয়েকজনের সঙ্গে আমি আলাদাভাবে কথা বলেছি। তাদের অ্যাপ্রোচ ও মাইন্ডসেট নিয়ে আমি সন্তুষ্ট। বিশেষ করে এক-দুজন আছে, যাদের আমি সত্যিকারের ম্যাচ উইনার মনে করি এবং আগের ম্যাচে তারা তাদের সামর্থ্যটা মেলে ধরতে পারেনি।’
থাইল্যান্ডের সঙ্গে তুলনা করতে গিয়ে বাটলার বলেন, ‘আমরা থাইল্যান্ডের লেভেলে নেই। তারা খুবই ভালো দল এবং সেটা তারা দেখাবেও। তারা সম্ভবত পুরো ভিন্ন এক দল মাঠে নামাবে (আজ)। অনেক সময় বেঞ্চ দেখে দলের শক্তি বোঝা যায়। তাদের বেঞ্চ দেখে মনে হলো এখানে আরকটা দল বসে আছে। তাই আমাদের বাস্তববাদী হতে হবে।’
এই সফরের আগে থাইল্যান্ডের বিপক্ষে একটি ম্যাচই খেলেছে বাংলাদেশ। এক যুগ আগের ম্যাচে হারতে হয়েছিল ৯-০ গোলে। বাটলার বলেন, ‘যদি আমরা মানদণ্ড দাঁড় করানোর ও আরও পেশাদার হওয়ার কথা বলি, বড় কিছু কল্পনা করার আগে আমাদের সেই জায়গায় পৌঁছাতে হবে। যেখানে আমরা থাইল্যান্ডের মতো জায়গায় এসে ম্যাচ জেতার কথা ভাবতে পারি। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো আমরা একটা মোমেন্টাম তৈরি করছি।’

ফুটবলে দিন শেষে ফলই গুরুত্বপূর্ণ। তাই বাংলাদেশ কোচ পিটার বাটলারের কাছে প্রশ্ন রাখা হয়েছিল আজ থাইল্যান্ডকে কি হারাতে পারবেন ঋতুপর্ণা-আফঈদারা? জবাবে বাটলার পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে দিলেন। থাইল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশ শেষ কবে জিতেছিল?
দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলতে গিয়ে প্রথম ম্যাচে থাইল্যান্ডের কাছে পাত্তাই পায়নি বাংলাদেশ। হেরেছে ৩-০ গোলে। কাল লড়াইটা তাই ঘুরে দাঁড়ানোর। ব্যাংককের চালেম ফ্রা কিয়াত স্পোর্টস সেন্টারে ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় বিকেল ৫টায়।
খেলায় যেকোনো দলই জয়ের লক্ষ্য নিয়ে মাঠে। তবে প্রতিপক্ষ যখন র্যাঙ্কিংয়ে ৫১ ধাপ এগিয়ে থাকা থাইল্যান্ড। দুবার বিশ্বকাপ খেলা দলটির বিপক্ষে তখন বাটলারও খুব একটা উচ্চাশা দেখার সুযোগ পান না। আগের ম্যাচের ভুল শুধরে স্বাগতিকদের চ্যালেঞ্জে ফেলার সাহস অবশ্য তিনি করছেন। আজ বাংলাদেশ কোচ বলেন, ‘আমরা সিস্টেমে কিছুটা পরিবর্তন এনেছি। কিছু কিছু জায়গা ঘাটতি রয়েছে আমাদের, সেটা পূরণ করতে হবে। আগের ম্যাচে আমরা মৌলিক কিছু ভুল করেছি—যেমন প্রথম ৪৫ সেকেন্ডে গোল হজম করা এবং তা সবসময় পাহাড়সম চাপ বয়ে আনে।’
ঘরের মাঠে বাংলাদেশ সবশেষ খেলেছে গত বছরের জুনে চায়নিজ তাইপের বিপক্ষে। এরপর সবগুলো ম্যাচ শুধু দেশের বাইরে খেলেছে। বাটলারও খানিকটা আক্ষেপ ভরা কণ্ঠে বলেন, ‘খেলার মধ্যে অনেক কিছুই থাকে, যা ফলাফলে প্রভাব ফেলে। আমি কাউকে দোষ দিতে পছন্দ করি না এবং অজুহাতও দিই না। তবে দেশের বাইরে জেতার চেয়ে ঘরের মাঠে ম্যাচ জেতা অনেক সহজ।’
প্রথম ম্যাচে হারের পর ফুটবলারদের আচরণ ও মানসিকতা ক্ষুব্ধ করেছিল বাটলারকে, ‘কয়েকজনের সঙ্গে আমি আলাদাভাবে কথা বলেছি। তাদের অ্যাপ্রোচ ও মাইন্ডসেট নিয়ে আমি সন্তুষ্ট। বিশেষ করে এক-দুজন আছে, যাদের আমি সত্যিকারের ম্যাচ উইনার মনে করি এবং আগের ম্যাচে তারা তাদের সামর্থ্যটা মেলে ধরতে পারেনি।’
থাইল্যান্ডের সঙ্গে তুলনা করতে গিয়ে বাটলার বলেন, ‘আমরা থাইল্যান্ডের লেভেলে নেই। তারা খুবই ভালো দল এবং সেটা তারা দেখাবেও। তারা সম্ভবত পুরো ভিন্ন এক দল মাঠে নামাবে (আজ)। অনেক সময় বেঞ্চ দেখে দলের শক্তি বোঝা যায়। তাদের বেঞ্চ দেখে মনে হলো এখানে আরকটা দল বসে আছে। তাই আমাদের বাস্তববাদী হতে হবে।’
এই সফরের আগে থাইল্যান্ডের বিপক্ষে একটি ম্যাচই খেলেছে বাংলাদেশ। এক যুগ আগের ম্যাচে হারতে হয়েছিল ৯-০ গোলে। বাটলার বলেন, ‘যদি আমরা মানদণ্ড দাঁড় করানোর ও আরও পেশাদার হওয়ার কথা বলি, বড় কিছু কল্পনা করার আগে আমাদের সেই জায়গায় পৌঁছাতে হবে। যেখানে আমরা থাইল্যান্ডের মতো জায়গায় এসে ম্যাচ জেতার কথা ভাবতে পারি। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো আমরা একটা মোমেন্টাম তৈরি করছি।’

বাংলাদেশে সবশেষ এসেছিলেন ২০১৪ সালে, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সময়। ধারাভাষ্যকার হিসেবে। এর পরের নয় বছরে অনেক পাল্টে গেছে পৃথিবী। পাল্টেছে বাংলাদেশ। হয়েছে এবং চলছে অনেক উন্নয়নকাজ।
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
অবশেষে মহিলা ক্রীড়া সংস্থার অ্যাডহক কমিটি দিয়েছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি)। গতকাল ঘোষিত কমিটি নিয়ে রয়েছে বিতর্ক। তাই এই কমিটির বিলুপ্তি চান সাবেক ক্রীড়াবিদ ও সংগঠকেরা।
২৫ মিনিট আগে
জাতীয় ক্রিকেট লিগের (এনসিএল) প্রথম রাউন্ডের দ্বিতীয় দিনে দাপট দেখালেন বোলাররা। আলাদাভাবে বলতে হয় আফিফ হোসেন ধ্রুবর কথা। বরিশালের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করেছেন তিনি। বোলারদের দাপটের দিনে ব্যাটিংয়ে আলো ছড়িয়েছেন নাঈম ইসলাম ও আবু হায়দার রনি। সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন এই দুজন।
২ ঘণ্টা আগে
হংকং আর আফগানিস্তানকে হারিয়ে প্রত্যাশামতোই সুপার ফোরে উঠেছিল বাংলাদেশ। এই রাউন্ডেও শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে হয়েছিল দুর্দান্ত শুরু। কিন্তু শেষ দুই ম্যাচে ভারত ও পাকিস্তানের বিপক্ষে বোলাররা ভালো করলেও ব্যাটিং ব্যর্থতায় হারে বাংলাদেশ। আর চোটের কারণে গুরুত্বপূর্ণ এই দুই ম্যাচের একটিতেও খেলা হয়নি অধিনায়ক লিটন
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

অবশেষে মহিলা ক্রীড়া সংস্থার অ্যাডহক কমিটি দিয়েছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি)। গতকাল ঘোষিত কমিটি নিয়ে রয়েছে বিতর্ক। তাই এই কমিটির বিলুপ্তি চান সাবেক ক্রীড়াবিদ ও সংগঠকেরা।
মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবে আজ এক সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করা হয়। সাবেক ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড় কামরুন নাহার ডানাসহ ৬ সাবেক নারী ক্রীড়াবিদ ও সংগঠক।
নতুন অ্যাডহক কমিটির সভাপতি করা হয়েছে ব্যারিস্টার সারওয়াত সিরাজ শুক্লাকে। এই কমিটির সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী ফিরোজ করিম নেলী। দুজনেই আগের কমিটির সদস্য ছিলেন।
ডানা বলেন, ‘যেহেতু সরকার বলেছে ক্রীড়াঙ্গনের লোক থাকবে। এই কমিটিতে ৫০ শতাংশ লোকও নাই। আমরা অবশ্যই আশা করব কালকের মধ্যে কমিটি ভেঙে দিতে হবে। নয়ত বৃহত্তর কর্মসূচি ঘোষণা করব। আমরা ফিরোজা করিম নেলীকে চাই না। উনি তো খেলোয়াড় নন। অনেক সাবেক খেলোয়াড় ও সংগঠক আছে তারা সুযোগ পায় না। এই কমিটির বিলুপ্তি চাই।’
নেলীকে নিয়ে সাবেক সাঁতারু মাহফুজা আক্তার তানিয়া বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সময় দেখেছি সাঁতার ফেডারেশনে অনেক নন স্পোর্টসম্যান ছিল। এখন মহিলা ক্রীড়া সংস্থাতেও সেসব দেখছি। নেলী করিম আমাদের সঙ্গে যা করেছে সেসব মানার মতো না। এসব আশা করি না। তা ছাড়া সার্চ কমিটি যাদের নাম দিল তাদের কেউ তো কমিটিতে নেই। আমরা চাই সুস্থ কমিটি, পূর্ণাঙ্গ কমিটি।’
নতুন অ্যাডহক কমিটির অনেকেই কোনো দিন খেলাধুলায় ছিলেন না বলে মনে করেন সাবেক ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড় নাজমা সিদ্দিকী শিমুল, ‘নেলী জীবনে একদিন লুডুও খেলেনি সে কেন জেনারেল সেক্রেটারি। এখানে কমিটিতে যারা আছে তাদের কাউকে চিনি না। ডানা আপার একজনের যোগ্যতা এদের কারও নেই।’

অবশেষে মহিলা ক্রীড়া সংস্থার অ্যাডহক কমিটি দিয়েছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি)। গতকাল ঘোষিত কমিটি নিয়ে রয়েছে বিতর্ক। তাই এই কমিটির বিলুপ্তি চান সাবেক ক্রীড়াবিদ ও সংগঠকেরা।
মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবে আজ এক সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করা হয়। সাবেক ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড় কামরুন নাহার ডানাসহ ৬ সাবেক নারী ক্রীড়াবিদ ও সংগঠক।
নতুন অ্যাডহক কমিটির সভাপতি করা হয়েছে ব্যারিস্টার সারওয়াত সিরাজ শুক্লাকে। এই কমিটির সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী ফিরোজ করিম নেলী। দুজনেই আগের কমিটির সদস্য ছিলেন।
ডানা বলেন, ‘যেহেতু সরকার বলেছে ক্রীড়াঙ্গনের লোক থাকবে। এই কমিটিতে ৫০ শতাংশ লোকও নাই। আমরা অবশ্যই আশা করব কালকের মধ্যে কমিটি ভেঙে দিতে হবে। নয়ত বৃহত্তর কর্মসূচি ঘোষণা করব। আমরা ফিরোজা করিম নেলীকে চাই না। উনি তো খেলোয়াড় নন। অনেক সাবেক খেলোয়াড় ও সংগঠক আছে তারা সুযোগ পায় না। এই কমিটির বিলুপ্তি চাই।’
নেলীকে নিয়ে সাবেক সাঁতারু মাহফুজা আক্তার তানিয়া বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সময় দেখেছি সাঁতার ফেডারেশনে অনেক নন স্পোর্টসম্যান ছিল। এখন মহিলা ক্রীড়া সংস্থাতেও সেসব দেখছি। নেলী করিম আমাদের সঙ্গে যা করেছে সেসব মানার মতো না। এসব আশা করি না। তা ছাড়া সার্চ কমিটি যাদের নাম দিল তাদের কেউ তো কমিটিতে নেই। আমরা চাই সুস্থ কমিটি, পূর্ণাঙ্গ কমিটি।’
নতুন অ্যাডহক কমিটির অনেকেই কোনো দিন খেলাধুলায় ছিলেন না বলে মনে করেন সাবেক ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড় নাজমা সিদ্দিকী শিমুল, ‘নেলী জীবনে একদিন লুডুও খেলেনি সে কেন জেনারেল সেক্রেটারি। এখানে কমিটিতে যারা আছে তাদের কাউকে চিনি না। ডানা আপার একজনের যোগ্যতা এদের কারও নেই।’

বাংলাদেশে সবশেষ এসেছিলেন ২০১৪ সালে, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সময়। ধারাভাষ্যকার হিসেবে। এর পরের নয় বছরে অনেক পাল্টে গেছে পৃথিবী। পাল্টেছে বাংলাদেশ। হয়েছে এবং চলছে অনেক উন্নয়নকাজ।
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
ফুটবলে দিন শেষে ফলই গুরুত্বপূর্ণ। তাই বাংলাদেশ কোচ পিটার বাটলারের কাছে প্রশ্ন রাখা হয়েছিল আজ থাইল্যান্ডকে কি হারাতে পারবেন ঋতুপর্ণা-আফঈদারা? জবাবে বাটলার পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে দিলেন। থাইল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশ শেষ কবে জিতেছিল?
১৮ মিনিট আগে
জাতীয় ক্রিকেট লিগের (এনসিএল) প্রথম রাউন্ডের দ্বিতীয় দিনে দাপট দেখালেন বোলাররা। আলাদাভাবে বলতে হয় আফিফ হোসেন ধ্রুবর কথা। বরিশালের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করেছেন তিনি। বোলারদের দাপটের দিনে ব্যাটিংয়ে আলো ছড়িয়েছেন নাঈম ইসলাম ও আবু হায়দার রনি। সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন এই দুজন।
২ ঘণ্টা আগে
হংকং আর আফগানিস্তানকে হারিয়ে প্রত্যাশামতোই সুপার ফোরে উঠেছিল বাংলাদেশ। এই রাউন্ডেও শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে হয়েছিল দুর্দান্ত শুরু। কিন্তু শেষ দুই ম্যাচে ভারত ও পাকিস্তানের বিপক্ষে বোলাররা ভালো করলেও ব্যাটিং ব্যর্থতায় হারে বাংলাদেশ। আর চোটের কারণে গুরুত্বপূর্ণ এই দুই ম্যাচের একটিতেও খেলা হয়নি অধিনায়ক লিটন
৩ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

জাতীয় ক্রিকেট লিগের (এনসিএল) প্রথম রাউন্ডের দ্বিতীয় দিনে দাপট দেখালেন বোলাররা। আলাদাভাবে বলতে হয় আফিফ হোসেন ধ্রুবর কথা। বরিশালের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করেছেন তিনি। বোলারদের দাপটের দিনে ব্যাটিংয়ে আলো ছড়িয়েছেন নাঈম ইসলাম ও আবু হায়দার রনি। সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন এই দুজন।
আজ দিনের শুরুতেই ৩১৩ রানে অলআউট হয় খুলনা। জবাবে আফিফের হ্যাটট্রিকে ১২৬ রানে গুটিয়ে যায় বরিশাল। ৪২ তম ওভারের প্রথম বলে শামসুল ইসলামকে এলবিডব্লু করেন আফিফ। পরের দুই বলে ইয়াসির আরাফাত মিশু ও রুয়েল মিয়াকে ফেরান তিনি। প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে ১৯ তম বোলার হিসেবে হ্যাটট্রিক করলেন আফিফ।
সব মিলিয়ে বরিশালকে অলআউট করা পথে ৩১ রানে নেন ৬ উইকেট। ফলোঅনে পড়ে আবার ব্যাট করতে নামে বরিশাল। এ যাত্রায় ১১৯ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ করেছে তারা। এখনো ৬৮ রানে পিছিয়ে দলটি।
ঢাকার করা ২২১ রানের জবাবে দ্বিতীয় দিন শেষে ৮ উইকেটে ৩০৮ রান করেছে রংপুর। ১১১ রানে অপরাজিত আছেন নাঈম। তানভীর হায়দারের ব্যাট থেকে আসে ৪৫ রান। ৮৭ রানের লিড নিয়েছে রংপুর। সিলেটের বিপক্ষে ৪০১ রানে থেমেছে ময়মনসিংহের ইনিংস। দলটির হয়ে গতকাল সেঞ্চুরি তুলে নেন আরিফুল ইসলাম। আজ সে পথে হাঁটলেন রনি। ১০৭ রান করেন এই বাঁ হাতি পেসার। জবাবে ৫ উইকেটে ১৯৮ রানে দিনের খেলা শেষ করেছে সিলেট। ৫ উইকেট হাতে রেখে ২০৩ রানে পিছিয়ে তারা।
রাজশাহী বিভাগীয় স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় দিন ১৪ উইকেট পড়েছে। চট্টগ্রামের ৪০১ রানের জবাব দিতে নেমে স্বাগতিকরা থামে ১৯৬ রানে। সফরকারীদের হয়ে ৩৯ রানে ৬ উইকেট নেন হাসান মুরাদ। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে ১৩৩ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে দিনের খেলা শেষ করেছে চট্টগ্রাম। ৩৩৮ রানের লিড পেয়েছে তারা।

জাতীয় ক্রিকেট লিগের (এনসিএল) প্রথম রাউন্ডের দ্বিতীয় দিনে দাপট দেখালেন বোলাররা। আলাদাভাবে বলতে হয় আফিফ হোসেন ধ্রুবর কথা। বরিশালের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করেছেন তিনি। বোলারদের দাপটের দিনে ব্যাটিংয়ে আলো ছড়িয়েছেন নাঈম ইসলাম ও আবু হায়দার রনি। সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন এই দুজন।
আজ দিনের শুরুতেই ৩১৩ রানে অলআউট হয় খুলনা। জবাবে আফিফের হ্যাটট্রিকে ১২৬ রানে গুটিয়ে যায় বরিশাল। ৪২ তম ওভারের প্রথম বলে শামসুল ইসলামকে এলবিডব্লু করেন আফিফ। পরের দুই বলে ইয়াসির আরাফাত মিশু ও রুয়েল মিয়াকে ফেরান তিনি। প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে ১৯ তম বোলার হিসেবে হ্যাটট্রিক করলেন আফিফ।
সব মিলিয়ে বরিশালকে অলআউট করা পথে ৩১ রানে নেন ৬ উইকেট। ফলোঅনে পড়ে আবার ব্যাট করতে নামে বরিশাল। এ যাত্রায় ১১৯ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ করেছে তারা। এখনো ৬৮ রানে পিছিয়ে দলটি।
ঢাকার করা ২২১ রানের জবাবে দ্বিতীয় দিন শেষে ৮ উইকেটে ৩০৮ রান করেছে রংপুর। ১১১ রানে অপরাজিত আছেন নাঈম। তানভীর হায়দারের ব্যাট থেকে আসে ৪৫ রান। ৮৭ রানের লিড নিয়েছে রংপুর। সিলেটের বিপক্ষে ৪০১ রানে থেমেছে ময়মনসিংহের ইনিংস। দলটির হয়ে গতকাল সেঞ্চুরি তুলে নেন আরিফুল ইসলাম। আজ সে পথে হাঁটলেন রনি। ১০৭ রান করেন এই বাঁ হাতি পেসার। জবাবে ৫ উইকেটে ১৯৮ রানে দিনের খেলা শেষ করেছে সিলেট। ৫ উইকেট হাতে রেখে ২০৩ রানে পিছিয়ে তারা।
রাজশাহী বিভাগীয় স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় দিন ১৪ উইকেট পড়েছে। চট্টগ্রামের ৪০১ রানের জবাব দিতে নেমে স্বাগতিকরা থামে ১৯৬ রানে। সফরকারীদের হয়ে ৩৯ রানে ৬ উইকেট নেন হাসান মুরাদ। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে ১৩৩ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে দিনের খেলা শেষ করেছে চট্টগ্রাম। ৩৩৮ রানের লিড পেয়েছে তারা।

বাংলাদেশে সবশেষ এসেছিলেন ২০১৪ সালে, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সময়। ধারাভাষ্যকার হিসেবে। এর পরের নয় বছরে অনেক পাল্টে গেছে পৃথিবী। পাল্টেছে বাংলাদেশ। হয়েছে এবং চলছে অনেক উন্নয়নকাজ।
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
ফুটবলে দিন শেষে ফলই গুরুত্বপূর্ণ। তাই বাংলাদেশ কোচ পিটার বাটলারের কাছে প্রশ্ন রাখা হয়েছিল আজ থাইল্যান্ডকে কি হারাতে পারবেন ঋতুপর্ণা-আফঈদারা? জবাবে বাটলার পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে দিলেন। থাইল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশ শেষ কবে জিতেছিল?
১৮ মিনিট আগে
অবশেষে মহিলা ক্রীড়া সংস্থার অ্যাডহক কমিটি দিয়েছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি)। গতকাল ঘোষিত কমিটি নিয়ে রয়েছে বিতর্ক। তাই এই কমিটির বিলুপ্তি চান সাবেক ক্রীড়াবিদ ও সংগঠকেরা।
২৫ মিনিট আগে
হংকং আর আফগানিস্তানকে হারিয়ে প্রত্যাশামতোই সুপার ফোরে উঠেছিল বাংলাদেশ। এই রাউন্ডেও শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে হয়েছিল দুর্দান্ত শুরু। কিন্তু শেষ দুই ম্যাচে ভারত ও পাকিস্তানের বিপক্ষে বোলাররা ভালো করলেও ব্যাটিং ব্যর্থতায় হারে বাংলাদেশ। আর চোটের কারণে গুরুত্বপূর্ণ এই দুই ম্যাচের একটিতেও খেলা হয়নি অধিনায়ক লিটন
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

হংকং আর আফগানিস্তানকে হারিয়ে প্রত্যাশামতোই সুপার ফোরে উঠেছিল বাংলাদেশ। এই রাউন্ডেও শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে হয়েছিল দুর্দান্ত শুরু। কিন্তু শেষ দুই ম্যাচে ভারত ও পাকিস্তানের বিপক্ষে বোলাররা ভালো করলেও ব্যাটিং ব্যর্থতায় হারে বাংলাদেশ। আর চোটের কারণে গুরুত্বপূর্ণ এই দুই ম্যাচের একটিতেও খেলা হয়নি অধিনায়ক লিটন দাসের। এরপর আরব আমিরাতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজটিও টিভিতে দেখেছেন বাসায় বসে। তাঁর অনুপস্থিতিতে এই সিরিজে ধবলধোলাই হয়েছে বাংলাদেশ।
অনেকেই বলেছেন অধিনায়ক লিটন থাকলে হয়তো এই সিরিজে ধবলধোলাই হতে হতো না বাংলাদেশকে। হতো কিনা, সে প্রশ্নে না গিয়ে খেলা মিস করার যন্ত্রণার কথা জানালেন বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে বললেন, ‘খেলোয়াড় হিসেবে যখন আপনি ম্যাচ খেলতে পারবেন না এটা, কষ্টদায়ক। এটা শুধু এশিয়া কাপেই নয়, আমি যখন বাসা থেকে আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজও দেখেছি, সেটাও ছিল আমার জন্য কষ্টদায়ক।’
কেন কষ্টদায়ক চট্টগ্রামে সংবাদ সম্মেলনে তাঁর ব্যাখ্যাও দিলেন লিটন, ‘কষ্টদায়ক এ জন্য যে একজন প্লেয়ার ভালো ফর্মে ছিল, টুকটাক ভালো পারফর্ম করছিল এবং দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছিল। সেখান থেকে (সরে এসে) বাসায় বসে খেলা দেখাটাও কষ্টদায়ক ব্যাপার।’ তবে লিটন এটাও বলছে ইনজুরির ওপর কারও নিয়ন্ত্রণ নেই। বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি অধিনায়কের ভাষায়, ‘এটা আপনাকে মেনে নিতেই হবে যে কিছু কিছু ক্ষেত্রে আপনার নিয়ন্ত্রণ নেই, বিশেষ করে ইনজুরি। তাই যে কোনো সময় যে কেউ ইনজুরিতে পড়তে পারে।’

হংকং আর আফগানিস্তানকে হারিয়ে প্রত্যাশামতোই সুপার ফোরে উঠেছিল বাংলাদেশ। এই রাউন্ডেও শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে হয়েছিল দুর্দান্ত শুরু। কিন্তু শেষ দুই ম্যাচে ভারত ও পাকিস্তানের বিপক্ষে বোলাররা ভালো করলেও ব্যাটিং ব্যর্থতায় হারে বাংলাদেশ। আর চোটের কারণে গুরুত্বপূর্ণ এই দুই ম্যাচের একটিতেও খেলা হয়নি অধিনায়ক লিটন দাসের। এরপর আরব আমিরাতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজটিও টিভিতে দেখেছেন বাসায় বসে। তাঁর অনুপস্থিতিতে এই সিরিজে ধবলধোলাই হয়েছে বাংলাদেশ।
অনেকেই বলেছেন অধিনায়ক লিটন থাকলে হয়তো এই সিরিজে ধবলধোলাই হতে হতো না বাংলাদেশকে। হতো কিনা, সে প্রশ্নে না গিয়ে খেলা মিস করার যন্ত্রণার কথা জানালেন বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে বললেন, ‘খেলোয়াড় হিসেবে যখন আপনি ম্যাচ খেলতে পারবেন না এটা, কষ্টদায়ক। এটা শুধু এশিয়া কাপেই নয়, আমি যখন বাসা থেকে আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজও দেখেছি, সেটাও ছিল আমার জন্য কষ্টদায়ক।’
কেন কষ্টদায়ক চট্টগ্রামে সংবাদ সম্মেলনে তাঁর ব্যাখ্যাও দিলেন লিটন, ‘কষ্টদায়ক এ জন্য যে একজন প্লেয়ার ভালো ফর্মে ছিল, টুকটাক ভালো পারফর্ম করছিল এবং দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছিল। সেখান থেকে (সরে এসে) বাসায় বসে খেলা দেখাটাও কষ্টদায়ক ব্যাপার।’ তবে লিটন এটাও বলছে ইনজুরির ওপর কারও নিয়ন্ত্রণ নেই। বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি অধিনায়কের ভাষায়, ‘এটা আপনাকে মেনে নিতেই হবে যে কিছু কিছু ক্ষেত্রে আপনার নিয়ন্ত্রণ নেই, বিশেষ করে ইনজুরি। তাই যে কোনো সময় যে কেউ ইনজুরিতে পড়তে পারে।’

বাংলাদেশে সবশেষ এসেছিলেন ২০১৪ সালে, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সময়। ধারাভাষ্যকার হিসেবে। এর পরের নয় বছরে অনেক পাল্টে গেছে পৃথিবী। পাল্টেছে বাংলাদেশ। হয়েছে এবং চলছে অনেক উন্নয়নকাজ।
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
ফুটবলে দিন শেষে ফলই গুরুত্বপূর্ণ। তাই বাংলাদেশ কোচ পিটার বাটলারের কাছে প্রশ্ন রাখা হয়েছিল আজ থাইল্যান্ডকে কি হারাতে পারবেন ঋতুপর্ণা-আফঈদারা? জবাবে বাটলার পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে দিলেন। থাইল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশ শেষ কবে জিতেছিল?
১৮ মিনিট আগে
অবশেষে মহিলা ক্রীড়া সংস্থার অ্যাডহক কমিটি দিয়েছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি)। গতকাল ঘোষিত কমিটি নিয়ে রয়েছে বিতর্ক। তাই এই কমিটির বিলুপ্তি চান সাবেক ক্রীড়াবিদ ও সংগঠকেরা।
২৫ মিনিট আগে
জাতীয় ক্রিকেট লিগের (এনসিএল) প্রথম রাউন্ডের দ্বিতীয় দিনে দাপট দেখালেন বোলাররা। আলাদাভাবে বলতে হয় আফিফ হোসেন ধ্রুবর কথা। বরিশালের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করেছেন তিনি। বোলারদের দাপটের দিনে ব্যাটিংয়ে আলো ছড়িয়েছেন নাঈম ইসলাম ও আবু হায়দার রনি। সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন এই দুজন।
২ ঘণ্টা আগে