Ajker Patrika

আবাহনীর হারে শেষ ম্যাচ ফাইনাল

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আবাহনীর হারে শেষ ম্যাচ ফাইনাল

ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে চলতি মৌসুমে পায়ে পা রেখেই যেন হাঁটছে আবাহনী ও শেখ জামাল। গ্রুপ পর্বে দুই দলই একটি করে ম্যাচে হেরেছিল। সমান ২০ পয়েন্ট নিয়ে সুপার লিগে ওঠে তারা। এ পর্বে অবশ্য প্রথম ম্যাচেই শেখ জামাল ৭ উইকেটে হেরেছিল গাজী গ্রুপের কাছে। তাতে আবাহনী তাদের চেয়ে এগিয়ে গিয়েছিল ২ পয়েন্ট।

কিন্তু সমানতালে দৌড়ানো আবাহনীর এগিয়ে যাওয়া যেন সইল না। আজ সুপার লিগে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ওই গাজী গ্রুপেই কাটা পড়ল তারা। বৃষ্টি আইনে ৬ উইকেটে হেরে গেছে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের দল।

ফতুল্লায় ডিএলএস মেথডে শেখ জামালও ৫৯ রানে হারিয়েছে লেজেন্ডস অব রূপগঞ্জকে। তাতে আবাহনী ও শেখ জামালের ১৫ ম্যাচে সমান ২৬ পয়েন্ট। ডিপিএল দুই দলরই একটি করে ম্যাচ বাকি।  আগামী শনিবার মিরপুরে দুই দলই মুখোমুখি হচ্ছে ওই ম্যাচে। যে দল জিতবে, তারাই হবে চ্যাম্পিয়ন। বলা যায়, একটি অঘোষিত ফাইনালের মধ্য দিয়ে শিরোপা নির্ধারণ হবে।

সাভারে বিকেএসপির ৩ নম্বর মাঠে আগে ব্যাটিং করে ৪৭.২ ওভারে ২৪৬ রানে অলআউট হয়ে যায় আবাহনী। ২৪৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে জয়ের দিকেই এগোচ্ছিল গাজী গ্রুপ। কিন্তু ৪১ ওভারে ৪ উইকেটে ২০৯ রান করলে শুরু হয় বৃষ্টি। কিছুক্ষণ পর বৃষ্টি থামলে বৃষ্টি আইনে গাজী গ্রুপের লক্ষ্য নির্ধারণ হয় ৪৫ ওভারে ওভারে ২১৪ রান।

অর্থাৎ ৪ ওভারে ৫ রান লাগে গাজী গ্রুপের। ৫ বলেই সে রান তুলে ফেলেন আকবর আলী ও আসাদউল্লাহ আল গালিব।

ফতুল্লায় সৈকত আলীর ১০৮, নুরুল হাসান সোহান ও জিয়াউর রহমানের ফিফটিতে আগে ব্যাটিং করে ৩৫০ রান করে শেখ জামাল। বৃষ্টি আইনে রূপগঞ্জের লক্ষ্য দাঁড়ায় ৪৬.১ ওভারে ৩১৫ রান। তাতে ৫৯ রানে হেরে যায় তারা।

মিরপুরে দুই ইনিংস মিলে খেলা হয়নি ৫০ ওভার। মোহামেডান আগে ব্যাটিংয়ে নেমে গুটিয়ে গেছে ২৭.৩ ওভারে ১০৯ রানে। ২০.৫ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে এ রান তাড়া করে প্রাইম ব্যাংক। সুপার লিগে নিজেদের চতুর্থ ম্যাচে টস জিতে মোহামেডানকে আগে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানায় প্রাইম ব্যাংক। পাকিস্তানি বাঁহাতি স্পিনার কাশিফ ভাট্টি ও পেসার রেজাউর রহমান রাজার দুর্দান্ত বোলিংয়ের সামনে রীতিমতো অসহায় আত্মসমর্পণ করেন মোহামেডানের ব্যাটাররা। 

ইমরুল কায়েসকে আউট করে শুরুটা কাশিফ করলেও মাইদুল ইসলাম অঙ্কন, আব্দুল মাজিদ ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ– তিন মিডল অর্ডারকে দ্রুত ফিরিয়ে মোহামেডানের মেরুদণ্ড ভেঙে দেন রাজা। বাকি কাজ সামলান কাশিফ ও নাসির হোসেন। কাশিফ ৪৪ রান দিয়ে নেন ৪ উইকেট। ৬ ওভারে ২২ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হন রাজা।

শাহাদাত হোসেনের ৩০ ও প্রান্তিক নওরোজ নাবিলের ৩০ রানের ইনিংসে ২৯.১ ওভা হাতে রেখে ৪ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় প্রাইম ব্যাংক।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত