রানা আব্বাস, মাসকাট থেকে
মাহমুদউল্লাহ গতকাল ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে এলেন মুখটা গোমড়া করে! হতে পারে, গা পোড়ানো তপ্ত রোদে ম্যাচ খেলার ক্লান্তিতে মুখ থেকে তাঁর হাসি উধাও। প্রথম রাউন্ডে এই একটি ম্যাচ বাংলাদেশ খেলেছে দিনের আলোয়। এখানে ভরদুপুরে ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রাকে অনুভব হয় ৩৮-৩৯ ডিগ্রি! কঠিন কন্ডিশনে ম্যাচ খেলার ধকলে মুখে হাসি না থাকতেই পারে অধিনায়কের।
না, ঘটনা তা নয়। যতই কঠিন কন্ডিশনে খেলা থাক, ম্যাচ জয়ের পর (যে জয় দিয়ে আবার সুপার টুয়েলভ নিশ্চিত হয়েছে) সব অধিনায়কের মুখেই থাকবে চওড়া হাসি। সেখানে মাহমুদউল্লাহর মুখ কেমন শক্ত হয়ে আছে। এমনিতে তিনি বিস্ফোরক মন্তব্য করেন কমই। গতকালের সংবাদ সম্মেলনে আরও কম বলার ‘ব্রত’ নিয়েই যেন এলেন। এ প্রশ্ন, সে প্রশ্নের পর তাঁকে গত ম্যাচের পর সাকিব আল হাসানের তির্যক উত্তরের কথা মনে করিয়ে দিতেই যেন ভেতরে জমে থাকা ‘ক্ষোভ-দুঃখ’ উগরেই দিলেন মাহমুদউল্লাহ।
স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে হারের পর বাংলাদেশ দলের পারফরম্যান্স নিয়ে যে সমালোচনাটা হচ্ছে সংবাদমাধ্যম, দর্শক কিংবা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে; এমনকি খেলা দেখতে মাসকাটে আসা বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের বিভিন্ন মন্তব্য দলের পরিবেশ যেন আরও ভারী করে তুলেছে। সংবাদ সম্মেলনে যেভাবে মুখ শক্ত করে প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছিলেন, সেটি অস্বাভাবিক নয় মাহমুদউল্লাহর কাছে। বাংলাদেশ অধিনায়ক বললেন, ‘মুখ শক্ত হওয়াটাই স্বাভাবিক। আমরাও মানুষ, ভুল করি। এতে একেবারে (খেলোয়াড়দের) ছোট করে ফেলা ঠিক না। এটা আমাদের দেশ, আমরা সবাই একসঙ্গে খেলি। আমার মনে হয়, আমাদের চেয়ে বেশি অনুভূতি আর কারও থাকে না। খারাপ করলে সমালোচনা অবশ্যই হবে। তবে একেবারে ছোট করে ফেলা ঠিক না।’
সব সময় বলি সাকিব চ্যাম্পিয়ন খেলোয়াড়। ওর মতো কেউ থাকা বাংলাদেশ দলের জন্যই আশীর্বাদ। ক্যারিয়ারজুড়েই সে অসাধারণ।
মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, অধিনায়ক, বাংলাদেশ
গত কয়েক দিনে চারদিক থেকে ধেয়ে আসা সমালোচনা বা নেতিবাচক আলোচনা যে বাংলাদেশ দলের খেলোয়াড়েরা স্বাভাবিকভাবে নিতে পারছেন না, সেটি মাহমুদউল্লাহর কথায় পরিষ্কার। খারাপ করলে সমালোচনা হবেই। এটা পৃথিবীর সব দলের, সব খেলোয়াড়ের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। এটি এত গুরুত্বের সঙ্গে কেন নিচ্ছেন মাহমুদউল্লাহ ও তাঁর সতীর্থরা? একটা টুর্নামেন্টের মাঝে এটি কেনই-বা বাংলাদেশ দলকে এতটা স্পর্শ করছে?
মাহমুদউল্লাহর যুক্তি, কিছু সমালোচনা নাকি একেবারেই ‘ব্যক্তিগত আঘাত’ হয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ অধিনায়ক বলছেন, ‘আমাদের সবই স্পর্শ করে। বললাম তো, আমরাও মানুষ। আমাদেরও অনুভূতি কাজ করে। আমাদের সবার পরিবার আছে। আমাদের বাবা-মা বসে থাকে টিভির সামনে। তারা মন খারাপ করে।’ মাহমুদউল্লাহ সামনে আনলেন সিনিয়র ক্রিকেটারদের ব্যাটিং স্ট্রাইকরেটের সমালোচনার বিষয়টিও, ‘আমাদের তিন সিনিয়র ক্রিকেটারের স্ট্রাইকরেট নিয়েও অনেক কথা হয়। আমরা চেষ্টা করেছি। এমন নয় যে চেষ্টা করিনি। আমরা চেষ্টা করেছি। হয়তো ফল আমাদের পক্ষে আনতে পারিনি। সমালোচনা আরেকটু স্বাস্থ্যকর হলে সবার জন্য ভালো।’
সংবাদ সম্মেলনে কঠিন-কঠিন সব প্রশ্নের ভিড়ে একটা ইতিবাচক প্রশ্ন পেয়ে প্রশ্নকর্তাকে বিশেষ ধন্যবাদও দিলেন মাহমুদউল্লাহ। বাছাইপর্বে একটু হোঁচট খাওয়ায় কথা হবেই। কেউ কেউ হয়তো সীমাও ছাড়িয়ে যাবেন। কিন্তু ধারাবাহিক ভালো খেললে এসব তির্যক প্রশ্ন, কঠিন সমালোচনা যে উপসাগরের হাওয়ায় মিলিয়ে যাবে—অধিনায়কের কি সেটি অজানা?
মাহমুদউল্লাহ গতকাল ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে এলেন মুখটা গোমড়া করে! হতে পারে, গা পোড়ানো তপ্ত রোদে ম্যাচ খেলার ক্লান্তিতে মুখ থেকে তাঁর হাসি উধাও। প্রথম রাউন্ডে এই একটি ম্যাচ বাংলাদেশ খেলেছে দিনের আলোয়। এখানে ভরদুপুরে ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রাকে অনুভব হয় ৩৮-৩৯ ডিগ্রি! কঠিন কন্ডিশনে ম্যাচ খেলার ধকলে মুখে হাসি না থাকতেই পারে অধিনায়কের।
না, ঘটনা তা নয়। যতই কঠিন কন্ডিশনে খেলা থাক, ম্যাচ জয়ের পর (যে জয় দিয়ে আবার সুপার টুয়েলভ নিশ্চিত হয়েছে) সব অধিনায়কের মুখেই থাকবে চওড়া হাসি। সেখানে মাহমুদউল্লাহর মুখ কেমন শক্ত হয়ে আছে। এমনিতে তিনি বিস্ফোরক মন্তব্য করেন কমই। গতকালের সংবাদ সম্মেলনে আরও কম বলার ‘ব্রত’ নিয়েই যেন এলেন। এ প্রশ্ন, সে প্রশ্নের পর তাঁকে গত ম্যাচের পর সাকিব আল হাসানের তির্যক উত্তরের কথা মনে করিয়ে দিতেই যেন ভেতরে জমে থাকা ‘ক্ষোভ-দুঃখ’ উগরেই দিলেন মাহমুদউল্লাহ।
স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে হারের পর বাংলাদেশ দলের পারফরম্যান্স নিয়ে যে সমালোচনাটা হচ্ছে সংবাদমাধ্যম, দর্শক কিংবা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে; এমনকি খেলা দেখতে মাসকাটে আসা বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের বিভিন্ন মন্তব্য দলের পরিবেশ যেন আরও ভারী করে তুলেছে। সংবাদ সম্মেলনে যেভাবে মুখ শক্ত করে প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছিলেন, সেটি অস্বাভাবিক নয় মাহমুদউল্লাহর কাছে। বাংলাদেশ অধিনায়ক বললেন, ‘মুখ শক্ত হওয়াটাই স্বাভাবিক। আমরাও মানুষ, ভুল করি। এতে একেবারে (খেলোয়াড়দের) ছোট করে ফেলা ঠিক না। এটা আমাদের দেশ, আমরা সবাই একসঙ্গে খেলি। আমার মনে হয়, আমাদের চেয়ে বেশি অনুভূতি আর কারও থাকে না। খারাপ করলে সমালোচনা অবশ্যই হবে। তবে একেবারে ছোট করে ফেলা ঠিক না।’
সব সময় বলি সাকিব চ্যাম্পিয়ন খেলোয়াড়। ওর মতো কেউ থাকা বাংলাদেশ দলের জন্যই আশীর্বাদ। ক্যারিয়ারজুড়েই সে অসাধারণ।
মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, অধিনায়ক, বাংলাদেশ
গত কয়েক দিনে চারদিক থেকে ধেয়ে আসা সমালোচনা বা নেতিবাচক আলোচনা যে বাংলাদেশ দলের খেলোয়াড়েরা স্বাভাবিকভাবে নিতে পারছেন না, সেটি মাহমুদউল্লাহর কথায় পরিষ্কার। খারাপ করলে সমালোচনা হবেই। এটা পৃথিবীর সব দলের, সব খেলোয়াড়ের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। এটি এত গুরুত্বের সঙ্গে কেন নিচ্ছেন মাহমুদউল্লাহ ও তাঁর সতীর্থরা? একটা টুর্নামেন্টের মাঝে এটি কেনই-বা বাংলাদেশ দলকে এতটা স্পর্শ করছে?
মাহমুদউল্লাহর যুক্তি, কিছু সমালোচনা নাকি একেবারেই ‘ব্যক্তিগত আঘাত’ হয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ অধিনায়ক বলছেন, ‘আমাদের সবই স্পর্শ করে। বললাম তো, আমরাও মানুষ। আমাদেরও অনুভূতি কাজ করে। আমাদের সবার পরিবার আছে। আমাদের বাবা-মা বসে থাকে টিভির সামনে। তারা মন খারাপ করে।’ মাহমুদউল্লাহ সামনে আনলেন সিনিয়র ক্রিকেটারদের ব্যাটিং স্ট্রাইকরেটের সমালোচনার বিষয়টিও, ‘আমাদের তিন সিনিয়র ক্রিকেটারের স্ট্রাইকরেট নিয়েও অনেক কথা হয়। আমরা চেষ্টা করেছি। এমন নয় যে চেষ্টা করিনি। আমরা চেষ্টা করেছি। হয়তো ফল আমাদের পক্ষে আনতে পারিনি। সমালোচনা আরেকটু স্বাস্থ্যকর হলে সবার জন্য ভালো।’
সংবাদ সম্মেলনে কঠিন-কঠিন সব প্রশ্নের ভিড়ে একটা ইতিবাচক প্রশ্ন পেয়ে প্রশ্নকর্তাকে বিশেষ ধন্যবাদও দিলেন মাহমুদউল্লাহ। বাছাইপর্বে একটু হোঁচট খাওয়ায় কথা হবেই। কেউ কেউ হয়তো সীমাও ছাড়িয়ে যাবেন। কিন্তু ধারাবাহিক ভালো খেললে এসব তির্যক প্রশ্ন, কঠিন সমালোচনা যে উপসাগরের হাওয়ায় মিলিয়ে যাবে—অধিনায়কের কি সেটি অজানা?
বেশ নাটকীয়তার পর এশিয়া কাপের সূচি চূড়ান্ত হয়। তবে এই টুর্নামেন্ট নিয়ে এখনো শেষ হয়নি জটিলতা। এবার খেলা সম্প্রচার নিয়ে পাকিস্তানের ওপর চাপ তৈরি হয়েছে। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের ওপর চাপ তৈরি করেছে প্রতিযোগিতার সম্প্রচারকারী সংস্থা সনি স্পোর্টস নেটওয়ার্ক। এশিয়া কাপ সম্প্রচার করবে চ্যানেলটি।
১ ঘণ্টা আগেইন্টার মায়ামির সঙ্গে লিওনেল মেসির চুক্তিটা এই বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত। গুঞ্জন আছে, ২০২৮ পর্যন্ত নতুন চুক্তি করবেন তিনি। আবার এটাও শোনা যাচ্ছে নতুন ক্লাবে যেতে পারেন আর্জেন্টাইন এই ফরোয়ার্ড। তবে মায়ামি কোচ হাভিয়ের মাসচেরানো প্রত্যাশা মেসি কোথাও যাবেন না।
২ ঘণ্টা আগেবিশ্ব অ্যাকুয়াটিকস চ্যাম্পিয়শিপে টাইমিংয়ে উন্নতির লক্ষ্য নিয়ে পুলে নামেন বাংলাদেশি সাঁতারুরা। অ্যানি আক্তার মেয়েদের ১০০ মিটার ফ্রি স্ট্রাইলে ক্যারিয়ারসেরা টাইমিং করলেও আজ হতাশ করেন ৫০ মিটার ফ্রিস্টাইলে।
৪ ঘণ্টা আগেফরাসি প্রসিকিউটররা প্যারিস সেন্ট-জার্মেইয়ের তারকা ফুটবলার আশরাফ হাকিমির বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে বিচার শুরু করার আহ্বান জানিয়েছেন। ২০২৩ সালে এক নারী তাঁর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন। তবে মরক্কোর এই ডিফেন্ডার অভিযোগটি অস্বীকার করেছেন।
৪ ঘণ্টা আগে