নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
১০ বছরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার তাইজুল ইসলামের। ক্যারিয়ারের তৃতীয় টেস্টেই এক ইনিংসে পেয়েছিলেন ৮ উইকেট। সেই তাইজুলকে তাঁর এক দশকের ক্যারিয়ারের অধিকাংশ সময়েই থাকতে হলো সাকিব আল হাসানের ছায়ায়। এই যেমন মুত্তিয়া মুরালিধরনের ছায়ায় ছিলেন রঙ্গনা হেরাথ। শেন ওয়ার্নের ছায়ায় ছিলেন স্টুয়ার্ট ম্যাকগিল।
সাকিব এখন আর নেই। চোটে না পড়লে বা ফর্ম হারিয়ে না ফেললে টেস্টে বাংলাদেশ একাদশে তাইজুলের সুযোগ পেতে আগের মতো তীর্থের কাকের মতো অপেক্ষা করতে হবে না এখন। এটা কতটা স্বস্তির তাঁর জন্য? তাইজুলের উত্তর, ‘সাকিব ভাই নাই, তাই তো? সাকিব ভাই ছাড়া খেলিনি তা তো না। তিনি থাকা পর্যন্ত অনেক ম্যাচ তাঁকে ছাড়া খেলেছি। এমনকি নিউজিল্যান্ডে টেস্টে জিতেছি (ঘরে ও বাইরে) সাকিব ভাইকে ছাড়া খেলেছি। এ রকম অনেক উদাহরণ আছে। আপনি তো একজন খেলোয়াড়কে ৫০ বছর খেলাতে পারবেন না। একজন আসবে, একজন যাবে—১০, ১৫, বড়জোর ২০ বছর খেলবে। এটা মেনে নিতে হবে। কোনো সন্দেহ নেই, তিনি অনেক বড় খেলোয়াড় ছিলেন। আপনারা দোয়া করবেন, আমরাও দোয়া করব, ও রকম যেন আরেকজন আসে। এখন যারা আছে, তারাও যেন ভালো করে।’
আজ মিরপুর টেস্টে ৫ উইকেট নিয়েছেন। বাংলাদেশের সবচেয়ে দ্রুততম বোলার হিসেবে টেস্টে ২০০ উইকেট (৮৫ ইনিংসে) নিয়েছেন। ৪৮ টেস্টে তাইজুলের অর্জন নেহাত কম নয়। তবু ক্যারিয়ারের বেশির ভাগ সময়েই ‘আন সিং হিরো’ থেকে গেছেন বাঁহাতি স্পিনার। দলে সাকিব আছেন এবং একাদশে এক কিংবা দুজনের বেশি স্পিনারের দরকার নেই—তাইজুলের ম্যাচ খেলার সুযোগ হয়নি। সবশেষ পাকিস্তান সফরেই যেন তিনি দলে থাকলেন সাকিবের বিকল্প হিসেবে।
এই ‘বিকল্প’ হিসেবে বছরের পর বছর খেলার যাতনাটা কেমন, যিনি কি না সুযোগ পেলে ধারাবাহিক ভালো করেন? সাকিব না থাকলে যেমন দলের সবাই বলেন, ‘অনেক মিস করব।’ তাইজুল না থাকলে কেউ বলেন না ‘তাইজুলকে মিস করি!’ তিনি নীরবে দলে আসেন, নীরবেই আবার বাদ পড়ে যান। এটা মেনে নেওয়া কতটা কঠিন? কঠিন এ প্রশ্নে তাইজুল বেশ রসাত্মক এক উত্তরই দিলেন, ‘আমাদের দেশে সত্যি বলতে অনেক সময় দেখবেন অনেক কিছু মুখে মুখে হয়। কেউ খারাপ করলেও অনেক সময় ট্রল হতে হতে স্টার হয়ে গেছে। আবার অনেকে ভালো করে স্টার হতে পারেনি। আমি মেনে নিয়েছি। মেনে নেওয়া ছাড়া উপায় নেই!’
আজ তাইজুলের পুরো সংবাদ সম্মেলনটাই হলো মনে রাখার মতো। অনেক প্রশ্নের উত্তর রসাত্মক হলেও তাঁর বেশির ভাগ কথার গভীরতা উল্লেখ করার মতোই। নিজেকে কতটা বঞ্চিত ভাবেন? এ প্রশ্নে হাসতেই হাসতেই যেমন বললেন, ‘বঞ্চিত বলতে...আপনার প্রশ্ন কেমন যেন হয়ে গেল (হাসি)! বঞ্চিত হওয়ার কিছু নেই। বিশ্বের অনেক বড় বড় খেলোয়াড় আছেন, উদাহরণ অনেক আছে। মুরালির সময়ে হেরাথ খেলতে পারেননি। যখন হেরাথ খেলার সুযোগ পেয়েছেন, তিনি অনেক উইকেট পেয়েছেন। আমারও ইনশা আল্লাহ দেখি ভালো কিছু হয় নাকি।’
১০ বছরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার তাইজুল ইসলামের। ক্যারিয়ারের তৃতীয় টেস্টেই এক ইনিংসে পেয়েছিলেন ৮ উইকেট। সেই তাইজুলকে তাঁর এক দশকের ক্যারিয়ারের অধিকাংশ সময়েই থাকতে হলো সাকিব আল হাসানের ছায়ায়। এই যেমন মুত্তিয়া মুরালিধরনের ছায়ায় ছিলেন রঙ্গনা হেরাথ। শেন ওয়ার্নের ছায়ায় ছিলেন স্টুয়ার্ট ম্যাকগিল।
সাকিব এখন আর নেই। চোটে না পড়লে বা ফর্ম হারিয়ে না ফেললে টেস্টে বাংলাদেশ একাদশে তাইজুলের সুযোগ পেতে আগের মতো তীর্থের কাকের মতো অপেক্ষা করতে হবে না এখন। এটা কতটা স্বস্তির তাঁর জন্য? তাইজুলের উত্তর, ‘সাকিব ভাই নাই, তাই তো? সাকিব ভাই ছাড়া খেলিনি তা তো না। তিনি থাকা পর্যন্ত অনেক ম্যাচ তাঁকে ছাড়া খেলেছি। এমনকি নিউজিল্যান্ডে টেস্টে জিতেছি (ঘরে ও বাইরে) সাকিব ভাইকে ছাড়া খেলেছি। এ রকম অনেক উদাহরণ আছে। আপনি তো একজন খেলোয়াড়কে ৫০ বছর খেলাতে পারবেন না। একজন আসবে, একজন যাবে—১০, ১৫, বড়জোর ২০ বছর খেলবে। এটা মেনে নিতে হবে। কোনো সন্দেহ নেই, তিনি অনেক বড় খেলোয়াড় ছিলেন। আপনারা দোয়া করবেন, আমরাও দোয়া করব, ও রকম যেন আরেকজন আসে। এখন যারা আছে, তারাও যেন ভালো করে।’
আজ মিরপুর টেস্টে ৫ উইকেট নিয়েছেন। বাংলাদেশের সবচেয়ে দ্রুততম বোলার হিসেবে টেস্টে ২০০ উইকেট (৮৫ ইনিংসে) নিয়েছেন। ৪৮ টেস্টে তাইজুলের অর্জন নেহাত কম নয়। তবু ক্যারিয়ারের বেশির ভাগ সময়েই ‘আন সিং হিরো’ থেকে গেছেন বাঁহাতি স্পিনার। দলে সাকিব আছেন এবং একাদশে এক কিংবা দুজনের বেশি স্পিনারের দরকার নেই—তাইজুলের ম্যাচ খেলার সুযোগ হয়নি। সবশেষ পাকিস্তান সফরেই যেন তিনি দলে থাকলেন সাকিবের বিকল্প হিসেবে।
এই ‘বিকল্প’ হিসেবে বছরের পর বছর খেলার যাতনাটা কেমন, যিনি কি না সুযোগ পেলে ধারাবাহিক ভালো করেন? সাকিব না থাকলে যেমন দলের সবাই বলেন, ‘অনেক মিস করব।’ তাইজুল না থাকলে কেউ বলেন না ‘তাইজুলকে মিস করি!’ তিনি নীরবে দলে আসেন, নীরবেই আবার বাদ পড়ে যান। এটা মেনে নেওয়া কতটা কঠিন? কঠিন এ প্রশ্নে তাইজুল বেশ রসাত্মক এক উত্তরই দিলেন, ‘আমাদের দেশে সত্যি বলতে অনেক সময় দেখবেন অনেক কিছু মুখে মুখে হয়। কেউ খারাপ করলেও অনেক সময় ট্রল হতে হতে স্টার হয়ে গেছে। আবার অনেকে ভালো করে স্টার হতে পারেনি। আমি মেনে নিয়েছি। মেনে নেওয়া ছাড়া উপায় নেই!’
আজ তাইজুলের পুরো সংবাদ সম্মেলনটাই হলো মনে রাখার মতো। অনেক প্রশ্নের উত্তর রসাত্মক হলেও তাঁর বেশির ভাগ কথার গভীরতা উল্লেখ করার মতোই। নিজেকে কতটা বঞ্চিত ভাবেন? এ প্রশ্নে হাসতেই হাসতেই যেমন বললেন, ‘বঞ্চিত বলতে...আপনার প্রশ্ন কেমন যেন হয়ে গেল (হাসি)! বঞ্চিত হওয়ার কিছু নেই। বিশ্বের অনেক বড় বড় খেলোয়াড় আছেন, উদাহরণ অনেক আছে। মুরালির সময়ে হেরাথ খেলতে পারেননি। যখন হেরাথ খেলার সুযোগ পেয়েছেন, তিনি অনেক উইকেট পেয়েছেন। আমারও ইনশা আল্লাহ দেখি ভালো কিছু হয় নাকি।’
ঢাকায় এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের এজিএমেই ঠিক হয়েছিল সেপ্টেম্বরে আরব আমিরাতে হবে ২০২৫ এশিয়া কাপ। আজ আনুষ্ঠানিকভাবেও এসিসি জানিয়ে দিয়েছে টুর্নামেন্ট শুরুর দিনক্ষণ, প্রকাশ করেছে সূচিও। ৯ সেপ্টেম্বর শুরু হয়ে ২৮ সেপ্টেম্বর শেষ হবে এশিয়ার সবচেয়ে বড় এই ক্রিকেট প্রতিযোগিতা।
৫ ঘণ্টা আগেকয়েক দিন আগে ঢাকায় এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের বার্ষিক সভা (এজিএম) শেষে সভাপতি মহসিন নাকভি জানিয়েছিলেন, দ্রুতই এশিয়া কাপ নিয়ে চূড়ান্ত ঘোষণা আসবে। আজই এল সে ঘোষণা। ৯ সেপ্টেম্বর শুরু হবে এশিয়া কাপ। বাংলাদেশ পড়েছে ‘বি’ গ্রুপে। যেখানে প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তান ও হংকং।
৬ ঘণ্টা আগেত্রিদেশীয় সিরিজের প্রথম ম্যাচে নাটকীয় জয় পেয়েছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। হারারেতে আজ দক্ষিণ আফ্রিকা অনূর্ধ্ব-১৯ দলকে ১ উইকেটে হারিয়েছে তারা। অলরাউন্ড নৈপুণ্যে জয়ের নায়ক সামিউন বশির। বল হাতে ২ উইকেট নেওয়ার পর ব্যাটিংয়ে হার না মানা ৪৫ রানের ইনিংস খেলেন তিনি।
৭ ঘণ্টা আগেওল্ড ট্রাফোর্ড টেস্টে বল হাতে আলো ছড়ানোর পর ব্যাটিংয়ে সুবাস ছড়িয়েছেন বেন স্টোকস। নাম লেখালেন বিরল এক ক্লাবেও। স্যার গ্যারি সোবার্স ও জ্যাক ক্যালিসের পর টেস্টে ৭ হাজার রান ও ২০০ উইকেট নেওয়া তৃতীয় ক্রিকেটার তিনি। স্টোকস সেই ক্লাবে নাম লিখিয়েছেন সেঞ্চুরি করেই।
৭ ঘণ্টা আগে