Ajker Patrika

ভারতের বিপক্ষে সুযোগটা কি নিতে পারবে বাংলাদেশ

আহমেদ রিয়াদ, গোয়ালিয়র থেকে
আপডেট : ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ১১: ০৫
Thumbnail image

দুই দলই গত কদিনে দিনের আলো ও ফ্লাডলাইটে তিন সেশন অনুশীলন করেছে, তবে মাঠে একে অন্যের সঙ্গে একবারও দেখা হয়নি। এমনকি দুই দলের অধিনায়কের ট্রফি নিয়ে ফটোসেশন পর্যন্ত হয়নি। দুই দলের সাক্ষাৎ হচ্ছে আজ সন্ধ্যায় শ্রীমন্ত মাধবরাও সিন্ধিয়া ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিরিজের প্রথম ম্যাচে। তো আজ কোন দল এগিয়ে থেকে মাঠে নামবে—টেস্ট সিরিজে এই প্রশ্নের উত্তরে চোখ বুজে ভারত বলা গেলেও টি-টোয়েন্টিতে কি তা বলা যাচ্ছে?

হতে পারে খেলাটা ভারতেরই উঠানে, হতে পারে তারা এই সংস্করণে বর্তমানে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন। কিন্তু পরিসংখ্যানে বাংলাদেশ ঢের এগিয়ে। বাংলাদেশের বর্তমান টি-টোয়েন্টি দলের সবার সম্মিলিত আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি খেলার অভিজ্ঞতা ৬৪৪ ম্যাচ, ভারতের অভিজ্ঞতা সেখানে ৩৮৯ ম্যাচ।

বাংলাদেশ দলে আছেন মাহমুদউল্লাহ, মোস্তাফিজুর রহমান, লিটন দাস, তাসকিন আহমেদ, মেহেদী হাসান মিরাজের মতো অভিজ্ঞরা। আছেন ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আলো ছড়ানো তানজিম হাসান সাকিব, রিশাদ হোসেনের মতো দারুণ সব তরুণ খেলোয়াড়। অন্যদিকে ভারতীয় দলে সুযোগ পাওয়া মায়াঙ্ক যাদব, নিতিশ কুমার রেড্ডি, হারষিত রানার এখনো আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে অভিষেকই হয়নি। অভিজ্ঞতায় এগিয়ে থাকা বাংলাদেশ যেমন গোয়ালিয়রের নতুন মাঠে প্রথমবার খেলতে যাচ্ছে, ভারতও তা-ই। অনভিজ্ঞ এই ভারতকে নতুন মাঠে হারানোর সুযোগটা কি বাংলাদেশ নিতে পারবে?

প্রশ্নটার উত্তর মোটেই সহজ নয় এ কারণে, অভিজ্ঞতায় ভারত যতই পিছিয়ে থাকুক, দলের বেশির ভাগ আইপিএল মাতিয়ে আসা ক্রিকেটার। এই দলে আছেন সূর্যকুমার যাদব, হার্দিক পান্ডিয়া, শিবম দুবে, ওয়াশিংটন সুন্দর, সানজু স্যামসন, রিংকু সিং, আর্শদীপ সিংয়ের মতো দুর্দান্ত সব ক্রিকেটার। উইকেট দুই দলের কাছে অচেনা থাকলেও ঘরোয়া ক্রিকেটের পরিসংখ্যান আর কন্ডিশন আভাস দিচ্ছে, আজকের ম্যাচের উইকেট রানপ্রসবাই হবে। উইকেট নিয়ে কাল বাংলাদেশ দলের তাওহীদ হৃদয় অবশ্য বললেন ভিন্ন কথা, ‘আমরা এখানে দুই দিন অনুশীলন করেছি। উইকেট কিছুটা মন্থর ও নিচু। ঘরোয়া ক্রিকেটের কিছু ম্যাচও হয়েছে এখানে। মনে হচ্ছে উইকেট মন্থরই হবে।’

মন্থর উইকেট বাংলাদেশের জন্য ইতিবাচক হওয়ার কথা। দেশে বেশির ভাগ সময়ে মন্থর উইকেটে খেলে অভ্যস্ত তারা। তবে সিন্ধিয়া স্টেডিয়ামের প্রধান কিউরেটর মনোহার জামলি বলেছেন রানপ্রসবা উইকেটের কথা, ‘স্টেডিয়াম নতুন হলেও উইকেট নতুন নয়। টি-টোয়েন্টি রানের খেলা, দর্শকদের বিনোদনের কথা মাথায় রেখে ব্যাটিং-সহায়ক উইকেট তৈরি করা হয়েছে।’ উইকেট যেমনই হোক, হৃদয় ঘোষণা দিয়ে রেখেছেন, তাঁরা জিততেই খেলতে নামবেন, ‘আমরা জেতার লক্ষ্যেই খেলব। আমাদের লক্ষ্য আছে, যাতে সিরিজটা জিততে পারি, ভালো ক্রিকেট খেলতে পারি।’

ম্যাচটা বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠেছে স্বাগতিক দর্শকদের কাছে। ১৪ বছর পর গোয়ালিয়রে ফিরছে আন্তর্জাতিক ম্যাচ, আর ভারতের ৫৪তম ভেন্যু হিসেবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পথচলা শুরু হবে শহর থেকে ১২ কিলোমিটার দূরে, সিন্ধিয়া স্টেডিয়ামে। জুনে টি-টোয়েন্টিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর এই ম্যাচ দিয়ে ঘরের মাঠে ২০ ওভারের ক্রিকেটে ফিরছে ভারত। ম্যাচটা ঘিরে আয়োজনের তাই কমতি নেই মধ্যপ্রদেশ ক্রিকেট সংস্থার।

অনুমান করাই যায়, ৩০ হাজার দর্শক ধারণক্ষমতার মধ্যপ্রদেশের নতুন এই স্টেডিয়াম আজ নিশ্চিত ভারতীয় জার্সির সঙ্গে মিলিয়ে নীল সমুদ্রে রূপ নেবে। সেই সমুদ্রের কল্লোলে বাংলাদেশ ভেসে যাবে, নাকি উল্টো স্বাগতিক দর্শকদের নৈঃশব্দ্যে ডোবাবে, নির্ভর করছে শান্তদের পারফরম্যান্সের ওপর।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত