Ajker Patrika

পাঁচ মাস পর অধিনায়ক হয়েই ফিরছেন কামিন্স

ক্রীড়া ডেস্ক    
পাঁচ মাস পর ফিরছেন প্যাট কামিন্স। ছবি: ক্রিকইনফো
পাঁচ মাস পর ফিরছেন প্যাট কামিন্স। ছবি: ক্রিকইনফো

কিংসটনে জুলাইয়ে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্টে ২৭ রানে অলআউট হয়ে বাজে রেকর্ডে নাম লিখিয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে কামিন্স সবশেষ মাঠে নেমেছিলেন এই ম্যাচেই। অবশেষে পাঁচ মাস পর তাঁর অপেক্ষা ফুরোচ্ছে। অষ্ট্রেলিয়ার তারকা পেসারের ফেরাটা হচ্ছে অধিনায়ক হয়েই।

অ্যাডিলেডে ১৭ ডিসেম্বর মাঠে গড়াবে অ্যাশেজের তৃতীয় টেস্ট। এই ম্যাচ সামনে রেখে গত রাতে ১৫ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ)। এই ম্যাচে কামিন্সকে করা হয়েছে অধিনায়ক। তাঁর মতো ফিরছেন উসমান খাজাও। পিঠের চোটে পড়ায় ব্রিসবেনে সবশেষ গোলাপি বলের টেস্টে খেলতে পারেননি তিনি। সবশেষ খাজা মাঠে নেমেছিলেন পার্থে অ্যাশেজের প্রথম টেস্টে। এবার যেহেতু অ্যাডিলেড টেস্টে ফিরেছেন তিনি, সেক্ষেত্রে তাঁকে মিডল অর্ডারে ব্যাটিং করতে হতে পারে। দল ঘোষণার আগেই গতকাল প্রধান কোচ অ্যান্ড্রু ম্যাকডোনাল্ড এমনটা ইঙ্গিত দিয়েছিলেন।

অ্যাশেজের তৃতীয় টেস্টে অস্ট্রেলিয়া দলে পরিবর্তন বলতে কামিন্স-খাজার অন্তর্ভুক্তি। বাকিরা সব আগের মতোই। অ্যালেক্স ক্যারি উইকেটরক্ষক ব্যাটার। স্টিভ স্মিথ, ট্রাভিস হেড, মারনাস লাবুশেন, উসমান খাজার মতো অভিজ্ঞদের সঙ্গে ব্যাটিং লাইনআপে আছেন তরুণ জেক ওয়েদার‍্যাল্ড। কামিন্স ফেরায় পেস বোলিং লাইনআপটাও একটু শক্তিশালী হয়েছে। মিচেল স্টার্ক, মাইকেল নেসার, স্কট বোল্যান্ডদের মতো তারকা পেসারদের সঙ্গে আছেন কামিন্স। নেসার ব্রিসবেনে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে নিয়েছেন ৫ উইকেট। আগুনে বোলিংয়ে প্রথম দুই টেস্টেই ম্যাচসেরা হয়েছেন স্টার্ক। পার্থে প্রথম টেস্টে নিয়েছেন ১০ উইকেট। সিরিজে সর্বোচ্চ ১৮ উইকেট অস্ট্রেলিয়ার এই বাঁহাতি পেসারেরই।

পার্থ, ব্রিসবেন দুই টেস্টেই অস্ট্রেলিয়া ৮ উইকেটে জিতেছে। পার্থে সিরিজের প্রথম টেস্ট শেষ হয়েছে দুই দিনে। ব্রিসবেনে গোলাপি বলের টেস্ট চার দিনে শেষ হয়েছে। ১৭ ডিসেম্বর অ্যাডিলেড ওভালে শুরু হতে যাওয়া তৃতীয় টেস্টে কামিন্সের ফেরাটা হচ্ছে অধিনায়ক হয়েই ফিরতে পারেন কামিন্স। ২৬ ডিসেম্বর মেলবোর্নে শুরু হবে চতুর্থ টেস্ট। নতুন বছরের ৩ জানুয়ারি মাঠে গড়াবে অ্যাশেজের পঞ্চম তথা শেষ টেস্ট।

অ্যাডিলেড টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার ১৫ সদস্যের দল

উসমান খাজা, জেক ওয়েদার‍্যাল্ড, মারনাস লাবুশেন, প্যাট কামিন্স (অধিনায়ক), স্কট বোল্যান্ড, স্টিভ স্মিথ, ট্রাভিস হেড, ক্যামেরন গ্রিন, অ্যালেক্স ক্যারি (উইকেটরক্ষক), মিচেল স্টার্ক, নাথান লায়ন, ব্রেন্ডন ডগেট, বিউ ওয়েবস্টার, মাইকেল নেসার, জশ ইংলিস

আরও পড়ুন:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রিয়াল মাদ্রিদ-ম্যানচেস্টার সিটি হাইভোল্টেজ ম্যাচ দেখবেন কোথায়

ক্রীড়া ডেস্ক    
রাতে মাঠে নামছে রিয়াল মাদ্রিদ-ম্যানচেস্টার সিটি। ছবি: এএফপি
রাতে মাঠে নামছে রিয়াল মাদ্রিদ-ম্যানচেস্টার সিটি। ছবি: এএফপি

ওয়েলিংটনে নিউজিল্যান্ড-ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দিনের খেলা শেষ হয়েছে কিছুক্ষণ আগে। রাতে চ্যাম্পিয়নস লিগে রয়েছে একগাদা ম্যাচ। বাংলাদেশ সময় রাত ২টায় শুরু হবে রিয়াল মাদ্রিদ-ম্যানচেস্টার সিটি হাইভোল্টেজ ম্যাচ। ম্যাচটি সরাসরি সম্প্রচার করবে সনি টেন ২ ও টেন ৩। ভিন্ন ভিন্ন ম্যাচে মাঠে নামবে পিএসজি, আর্সেনালের মতো দলগুলো। এক নজরে দেখে নিন টিভিতে কী কী খেলা রয়েছে।

ক্রিকেট খেলার সরাসরি

ওয়েলিংটন টেস্ট: ১ম দিন

নিউজিল্যান্ড-ওয়েস্ট ইন্ডিজ

সকাল ৪টা

সরাসরি

টি স্পোর্টস

ফুটবল খেলা সরাসরি

উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ

কারাবাগ-আয়াক্স

রাত ১১টা ৪৫ মিনিট

সরাসরি

ক্লাব ব্রুগা-আর্সেনাল

রাত ২টা

সরাসরি

সনি টেন ১

ভিয়ারিয়াল-কোপেনহেগেন

রাত ১১টা ৪৫ মিনিট

সরাসরি

সনি টেন ২

রিয়াল মাদ্রিদ-ম্যানসিটি

রাত ২টা

সরাসরি

সনি টেন ২ ও টেন ৩

আথলেতিক-পিএসজি

রাত ২টা

সরাসরি

সনি টেন ৫

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

তবু অস্বস্তিতে দিন পার করল নিউজিল্যান্ড

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ১০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২: ৩৮
স্ট্রেচারে করে মাঠ ছাড়ছেন নিউজিল্যান্ডের পেসার ব্লেয়ার টিকনার। ছবি: ক্রিকইনফো
স্ট্রেচারে করে মাঠ ছাড়ছেন নিউজিল্যান্ডের পেসার ব্লেয়ার টিকনার। ছবি: ক্রিকইনফো

ওয়েলিংটনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দিনটা নিউজিল্যান্ডের জন্য অম্লমধুরই বলা চলে। দুর্দান্ত বোলিংয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ২০৫ রানে গুটিয়ে দিয়েছে নিউজিল্যান্ড। ৪ উইকেট নিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটিং লাইনআপ ধসিয়ে দিয়েছেন ব্লেয়ার টিকনার। সেই টিকনারকেই মাঠ ছাড়তে হয়েছে স্ট্রেচারে করে।

টস জিতে আজ শুরু হওয়া ওয়েলিংটনে দ্বিতীয় টেস্টে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক টম লাথাম। ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংসের ৬৭তম ওভারের ঘটনা। সেই ওভারের দ্বিতীয় বলে অভিষিক্ত কিউই পেসার মাইকেল রেকে ফাইন লেগে ঠেলে দেন টেভিন ইমলাচ। যদিও সেটা লেগবাই ছিল। সে যা-ই হোক, টিকনারের মিসফিল্ডিংয়ে বলটা চারই হয়ে যাচ্ছিল। ডাইভ দিয়ে তিনি চার ঠেকানোর পর কাঁধের ব্যথার যন্ত্রণায় কাতরাতে থাকেন। তৎক্ষণাৎ মাঠে চিকিৎসক এসে স্ট্রেচারে করে টিকনারকে মাঠের বাইরে নিয়ে যান। কিউই এই পেসারের সম্ভবত বাঁ কাঁধের হাড়ের স্থানচ্যুতি হয়েছে।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্ট দিয়েই নিউজিল্যান্ডের দুই ক্রিকেটারের টেস্টে অভিষেক হয়েছে। মাইকেল রের মতো আজ প্রথম টেস্ট খেলতে নামছেন মিচেল হে। এর আগে ৭ ওয়ানডে ও ১২ আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি খেললেও ক্রিকেটের রাজকীয় সংস্করণে এটা তাঁর প্রথম ম্যাচ। দুই কিউই ক্রিকেটারের অভিষেকের দিনে মাঠ ছেড়েছেন তাঁদের সতীর্থ টিকনার। ওয়েলিংটন টেস্টের প্রথম দিনটা নিউজিল্যান্ড শেষ করেছে বিনা উইকেটে ২৪ রানে।

টস হেরে আগে ব্যাটিং পাওয়া ওয়েস্ট ইন্ডিজের উদ্বোধনী জুটিতে ৬৬ রান যোগ করেন জন ক্যাম্পবেল ও ব্র্যান্ডন কিং। ১৭তম ওভারের চতুর্থ বলে কিংকে এলবিডব্লু করে জুটি ভাঙেন টিকনার। মুহূর্তেই উইন্ডিজ ২৮.৩ ওভারে ৩ উইকেটে ৯৩ রানে পরিণত হয়। খেই হারানো নিউজিল্যান্ড এরপর দিশা পায় রস্টন চেজ ও শাই হোপের ব্যাটিংয়ে। চতুর্থ উইকেটে ১০২ বলে ৬০ রানের জুটি গড়তে অবদান রাখেন তাঁরা (হোপ-চেজ)। ৪৬তম ওভারের তৃতীয় বলে হোপকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন টিকনার। ৮০ বলে ৮ চারে ৪৮ রান করেন হোপ।

ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক চেজকেও (২৯) দ্রুত ফেরান টিকনার। ৫৬তম ওভারের চতুর্থ বলে টিকনারের বলে ইনসাইড এজ হয়ে ফেরেন চেজ। ম্যাচে সেটা টিকনারের চতুর্থ উইকেট। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকা ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৭৫ ওভারে ২০৫ রানে গুটিয়ে যায়। ইনিংস সর্বোচ্চ ৪৮ রান আসে হোপের ব্যাট থেকে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪৪ রান করেন ক্যাম্পবেল। টিকনারের ৪ উইকেটের পাশাপাশি মাইকেল রে নিয়েছেন ৩ উইকেট। একটি করে উইকেট নিয়েছেন জ্যাকব ডাফি ও গ্লেন ফিলিপস। নিউজিল্যান্ড তাদের প্রথম ইনিংসে ৯ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়ে ২৪ রানে প্রথম দিনের খেলা শেষ করেছে। লাথাম ৭ ও ডেভন কনওয়ে ১৬ রানে আগামীকাল দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু করবেন।

টেস্ট ইতিহাসে সর্বোচ্চ ৪১৮ রান তাড়া করে জয়ের কীর্তি এখনো ওয়েস্ট ইন্ডিজের দখলে। ২০০৩ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ক্যারিবীয়রা এই রান তাড়া করে জিতেছিল। ২২ বছরে এর চেয়ে বড় লক্ষ্য বারবার চতুর্থ ইনিংসে দলগুলোর সামনে এসেছিল। কিন্তু কেউই সফল হয়নি। ক্রাইস্টচার্চে সিরিজের প্রথম টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সামনে ৫৩১ রানের পাহাড় সমান লক্ষ্য দিয়েছিল নিউজিল্যান্ড। জাস্টিন গ্রিভসের ডাবল সেঞ্চুরিতে (২০২*) করে ম্যাচটা ড্র করেছিল ক্যারিবীয়রা। নিউজিল্যান্ড-ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট ১৮ ডিসেম্বর মাঠে গড়াবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বুমরার বিতর্কিত উইকেটে ‘জড়িত’ এক ভারতীয় আম্পায়ার

ক্রীড়া ডেস্ক    
জসপ্রীত বুমরার এই নো বল নিয়েই যত বিতর্ক। ছবি: সংগৃহীত
জসপ্রীত বুমরার এই নো বল নিয়েই যত বিতর্ক। ছবি: সংগৃহীত

ডেওয়াল্ড ব্রেভিস একটু থামলেন। ভেবেছিলেন তৃতীয় আম্পায়ার কে এন অনন্তপদ্মনবন হয়তো সিদ্ধান্ত বদলে মাঠে ফেরাবেন। কিন্তু কিসের কী! শেষ পর্যন্ত জসপ্রীত বুমরার পক্ষেই রায় দিলেন তিনি। তাঁর এই প্রশ্নবিদ্ধ সিদ্ধান্ত নিয়ে হয়েছে সমালোচনা।

কটকের বরাবাতি স্টেডিয়ামে ভারতের দেওয়া ১৭৬ রানের লক্ষ্যে নেমে ব্যাটিং করছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ১১তম ওভারের দ্বিতীয় বলে বুমরার অফস্টাম্পের বাইরের বল লেগ সাইডে মারতে যান ব্রেভিস। টপ এজ হওয়া বল কাভারে সহজেই লুফে নেন ভারতীয় অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব। তাতেই আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে শততম উইকেট পেয়ে গেলেন বুমরা। বিতর্কের শুরু এখানেই। টিভি রিপ্লেতে দেখা যায়, বুমরার সামনের পা উইকেটের বাইরে ছিল। যাচাই-বাচাই করে তৃতীয় আম্পায়ার কে এন অনন্তপদ্মনবন আউটই দিলেন। বুমরার ডেলিভারিটা বৈধ ছিল কি না, রিপ্লে দেখে দুই ধারাভাষ্যকার সুনীল গাভাস্কার ও পমি এমবাঙ্গোয়া সন্দেহ প্রকাশ করেন। হতবাক এমবাঙ্গোয়া বলেন, ‘দাগের পেছনে কিছুই দেখতে পাচ্ছি না। তার মানে সে (বুমরা) এটার বাইরে।’

বিভিন্ন কোণ থেকে ক্যামেরার মাধ্যমে অনেকক্ষণ যাচাই-বাচাই করার পরও বোঝার উপায় নেই যে বুমরার পা আদৌ উইকেটের ভেতরে ছিল কি ছিল না গাভাস্কার-এমবাঙ্গোয়াদের কথা অনুযায়ী তৃতীয় আম্পায়ার কে এন অনন্তপদ্মনবন বুমরার বলটাকে ফ্রন্ট ফুট নো বল দিতে পারতেন। তবে আরেক ধারাভাষ্যকার দীপ দাসগুপ্ত বলছেন ভিন্ন কথা। তাঁর মতে বেনিফিট অব ডাউট বোলারদের পক্ষেই সাধারণত যায়। যে ওভারে ব্রেভিসের উইকেট বুমরা তুলে নিয়েছেন, একই ওভারে বুমরা পেয়েছেন আরও এক উইকেট। ১১তম ওভারের পঞ্চম বলে কেশব মহারাজকে ফিরিয়ে ভারতের হয়ে টি-টোয়েন্টিতে ১০১তম উইকেট তুলে নিয়েছেন।

টস হেরে আগে ব্যাটিং পাওয়া ভারত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৭৫ রান করেছে। সেই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১২.৩ ওভারে ৭৪ রানে গুটিয়ে যায় প্রোটিয়ারা। ১০১ রানের জয়ে অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে ম্যাচসেরা হয়েছেন হার্দিক পান্ডিয়া। ২৮ বলে ৬ চার ও ৪ ছক্কায় ৫৯ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছেন। বোলিংয়ে ২ ওভারে ১৬ রানে নিয়েছেন ১ উইকেট। আগামীকাল নিউ চন্ডীগড়ে হবে ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি। ১৪ ডিসেম্বর ধর্মশালা, ১৭ ডিসেম্বর লক্ষ্ণৌ ও ১৯ ডিসেম্বর আহমেদাবাদে হবে তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম টি-টোয়েন্টি।

আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ১০১ উইকেট পাওয়া বুমরা ঢুকে গেলেন এলিট ক্লাব। টেস্ট, ওয়ানডে, টি-টোয়েন্টি—তিন সংস্করণেই ১০০ বা তার বেশি উইকেট নেওয়া পঞ্চম বোলার এখন তিনি। এর আগে এই এলিট ক্লাবে নাম লিখিয়েছেন সাকিব আল হাসান, লাসিথ মালিঙ্গা, টিম সাউদি ও শাহিন শাহ আফ্রিদি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সাক্ষাৎকার

৫ বছরে সিনিয়র বিশ্বকাপে খেলা সম্ভব

জুনিয়র হকি বিশ্বকাপে ৬ ম্যাচে ১৮ গোল করেছেন আমিরুল ইসলাম। ছবি: বাংলাদেশ হকি ফেডারেশন

প্রথমবার জুনিয়র হকি বিশ্বকাপে অংশ নিয়ে প্রত্যাশার চেয়েও বেশি কিছু করে দেখিয়েছে বাংলাদেশ। আর এই সাফল্যের পেছনে অন্যতম নায়ক আমিরুল ইসলাম। ৬ ম্যাচে ১৮ গোল করে এখনো টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ গোলদাতা। তরুণ এই ডিফেন্ডার এবার স্বপ্ন বুনছেন জাতীয় দলের হয়ে বিশ্বকাপ খেলার। আজকের পত্রিকাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি শুনিয়েছেন সেই গল্প। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন আনোয়ার সোহাগ

আনোয়ার সোহাগ, ঢাকা

প্রশ্ন: প্রথমবার বিশ্বকাপে অংশ নিয়ে ভালো একটা অর্জন নিয়ে ফিরছে বাংলাদেশ। ২৪ দলের মধ্যে ১৭তম হয়ে জিতেছে চ্যালেঞ্জার ট্রফি। কেমন লাগছে?

আমিরুল ইসলাম: অবশ্যই ভালো লাগছে। বিশ্বকাপের মতো একটা মঞ্চে আমরা সাফল্যের সঙ্গে বাংলাদেশের পতাকা ওড়াতে পেরেছি। একটা ট্রফি নিয়ে ফিরতে পারছি। এটাই আমাদের সবচেয়ে বড় অর্জন। অবশ্যই আমাদের গর্ব হচ্ছে। দেশের মানুষ এখন আমাদের সামর্থ্য নিয়ে ভরসা করতে পারবে।

প্রশ্ন: অস্ট্রিয়ার বিপক্ষে আপনি হ্যাটট্রিক করলেও ম্যাচের শেষ দিকটায় খুবই নাটকীয়তা দেখা গেছে। ওই ম্যাচে স্নায়ুচাপ উতরে যাওয়া কোন মন্ত্রে?

আমিরুল: শেষ ৫ মিনিট খুব চাপের ছিল। ছোট ছোট ভুলগুলো আসলে বড় সমস্যা তৈরি করে। এর কারণে গোল হজম করতে হতে পারে এবং সেটাই হয়েছে। চেষ্টা করেছি যতটা সম্ভব ঠান্ডা মাথায় খেলার। গোলকিপারের ওপর চাপ কম রাখার। আলহামদুলিল্লাহ আমরা জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছি। আনন্দ-উচ্ছ্বাসে টিম হোটেলে গিয়েছি আমরা।

প্রশ্ন: ৬ ম্যাচে ৫ হ্যাটট্রিক, ১৮ গোল। টুর্নামেন্টটা নিশ্চয়ই আপনার কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকবে?

আমিরুল: আমি আমার কাজটা করে যাব। সেটার ফল পেয়েছি। হ্যাটট্রিক করাটা অভ্যাস বলব না। আমার কাছে সুযোগ এসেছে, যে করেই হোক সুযোগ কাজে লাগাতেই হবে। নিজের প্রতি বিশ্বাস ছিল, আমি পারব।

প্রশ্ন: ১৫ দিন আগেও হকির এই টুর্নামেন্টে আপনাদের অংশগ্রহণ নিয়ে খুব একটা আলোচনা ছিল না। এটি কি নিজেদের চাপমুক্ত হয়ে খেলতে বেশি সহায়তা করেছে?

আমিরুল: আসলে পরিকল্পনা করে তো সবকিছু হয় না। পেনাল্টি কর্নার আমার শক্তির জায়গা। কোচের সঙ্গে আমি বেশি আলোচনা করেছি এ নিয়ে। শক্তির একেকটা জায়গা ধরে আমি অনুশীলন করেছি। কোচ আমাকে অনেক সহায়তা করেছেন। ধন্যবাদ দেব সতীর্থদেরও। বিশেষ করে ফরোয়ার্ডদের। তারা পেনাল্টি কর্নার আদায় করার কারণেই আমি আজকের আমিরুল কিংবা পরিচিতি পাচ্ছি। তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা সব সময়ই থাকবে।

প্রশ্ন: হকিতে খুব একটা ভালো সুযোগ-সুবিধা নেই, কাঠামো নেই। তবু বড় মঞ্চে সাফল্য এসেছে কোন সূত্র ধরে?

আমিরুল: সাফল্যের পেছনে খেলোয়াড়দের অবদান সবচেয়ে বেশি। তারা দেশের হয়ে নিজের আত্মবিশ্বাসটুকু সম্বল করে হকি নিয়ে এগোচ্ছে। কিন্তু দেখুন, আমরা সব সময় ভালো পৃষ্ঠপোষক পাই না। সরকার থেকে খুব একটা আর্থিক সাপোর্ট পাই না। বা ন্যূনতম যে সম্মানী, সেটাও পাই না। আমরা দেশের জন্য খেলি। সব সময় এটাই হয়ে আসছে। তো ভবিষ্যতে যদি কিছু পাই আলহামদুলিল্লাহ, না পেলেও আর কী করার থাকতে পারে।

প্রশ্ন: ইতিবাচকের চেয়ে নেতিবাচক ঘটনায় সংবাদ শিরোনাম হয় হকি। আপনাদের এই সাফল্যে দেশের হকির ভাবমূর্তি কতটা বদলাবে বলে মনে হয়?

আমিরুল: বিষয়টা খেলোয়াড় হিসেবে আমারও খারাপ লাগে। আমাদের এই পারফরম্যান্স অনেক কিছু বদলে দিতে পারবে। যদি বিষয়টা ইতিবাচকভাবে নেওয়া হয় এবং দলটা যদি কাজ করে।

প্রশ্ন: বড় মঞ্চে ভালো করেও দলকে ঘিরে একটা অনিশ্চয়তা ভর করেছে। আপনারা জানেন না যে এরপর আপনাদের পরের টুর্নামেন্টটা কী হবে।

​আমিরুল: প্রথমত, আমরা এত কিছু চিন্তা করছি না। আমাদের লক্ষ্য ছিল ভালো একটা ফল নিয়ে আসা। তো আলহামদুলিল্লাহ, করতে পেরেছি। এখন বাকিটা ফেডারেশনের হাতে। আমরা এই বিষয়ে আশা করছি। আমরা চাই যেন খেলাটা মাঠে থাকে। ফেডারেশনে আবার বড় ফান্ডও নেই। সব সময় শুনছি যে টাকা নেই, টাকা নেই! এটা একটা সমস্যা। তো আমি বলব যে যেন যারা পৃষ্ঠপোষক আছে, তারা যদি এখানে থাকে, তাহলে আমি মনে করি, তারা এই মিশনে আরও কাজ করবে এবং তারা এই বিষয় আরও গুরুত্বের সঙ্গে নেবে।

প্রশ্ন: এখন কি স্বপ্ন দেখেন যে হকির সিনিয়র বিশ্বকাপেও বাংলাদেশের খেলা সম্ভব?

​আমিরুল: আমি বলব যে যদি দলটার পরিচর্যা করা হয় এবং সঙ্গে যদি কিছু খেলোয়াড় যোগ করা হয়; তাহলে দলটা শিগগির ভালো অবস্থায় যাবে। সঙ্গে যদি একজন ভালো মানের কোচ থাকেন, তাহলে ৫-৭ বছরের মধ্যে বিশ্বকাপে পৌঁছানো সম্ভব।

প্রশ্ন: হকিতে ফ্র‍্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টের ছোঁয়া লাগলেও সেটা স্থায়ী হয়নি। এ রকম টুর্নামেন্ট নিশ্চয়ই খেলতে চান নিয়মিত?

আমিরুল: এমন টুর্নামেন্ট হলে অবশ্যই আমাদের জন্য ভালো। আমরা চাই যেন এই লিগ প্রতিবছর হয়। এতে আরও খেলোয়াড় উঠে আসবে। সেখানে বিদেশি কোচরাও আসবেন, আমরা তাঁদের কাছ থেকে শিখতে পারব। আমি বলব, এটা যদি নিয়মিত হয়, তাহলে দেশের হকি আরও ভালো পথে যাবে।

প্রশ্ন: ভারতে হকির সংস্কৃতি কেমন দেখলেন?

আমিরুল: প্রথমত হচ্ছে, ওদের অবকাঠামোটা আসলে খুব শক্তিশালী। সরকার থেকে খেলোয়াড়েরা অনেক সাপোর্ট পায়। জুনিয়র লেভেল থেকে সিনিয়র লেভেল পর্যন্ত ওদের পরিচর্যা করা হচ্ছে। স্পোর্টস ইনস্টিটিউট সারা বছরই ওদের সাপোর্ট দেয় এবং ট্রেনিং করতে পারে। ওদের মধ্যে লড়াই করার চেতনা আছে, যে কারণে অনেক উন্নত। আমাদের তো বিকেএসপির পর অনেকে ছন্নছাড়া হয়ে পড়ে, ওখানে (ভারতে) এ রকম না।

প্রশ্ন: অনেকে তারকাখ্যাতি পাওয়ার পর পথ হারিয়ে ফেলেন। নিজেকে নিয়ে আপনার পরিকল্পনা কী?

আমিরুল: কে কী বলল না বলল, এসবে কান দিই না। চেষ্টা করব সব সময় মাটিতে পা রাখার। আমি পরিশ্রমে বিশ্বাসী। খারাপ পারফরম্যান্স যখন হয়, তখন চেষ্টা করি স্বাভাবিক থাকতে। কোচের সঙ্গে পরামর্শ করি, কীভাবে খারাপ সময়টা কাটিয়ে উঠতে পারি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত