নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) আজ ফরচুন বরিশাল ও রংপুর রাইডার্স ম্যাচে মাঠে ঢুকে আম্পায়ারদের সঙ্গে তর্কে জড়ান সাকিব আল হাসান। এ নিয়ে চলছে অনেক আলোচনা। ম্যাচটি অবশ্য সাকিবের বরিশাল ৬ উইকেটে জিতেছে।
বরিশালের ব্যাটিংয়ের শুরুতে সেই ঘটনা ঘটেছিল। রংপুরের দেওয়া ১৫৯ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে মাঠে নামেন বরিশালের দুই উদ্বোধনী ব্যাটার এনামুল হক বিজয় ও চতুরঙ্গ ডি সিলভা।
ব্যাটার ও বোলারদের ডানহাতি-বাঁহাতি কম্বিনেশন নিয়ে ঝামেলা তৈরি হয়। ম্যাচের পর ম্যাচসেরা মেহেদী হাসান মিরাজ এবং রংপুরের অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান সংবাদমাধ্যমকে এই ঘটনার ব্যাখ্যা দিয়েছেন।
মিরাজ বললেন, ‘আমাদের তো ডানহাতি-বাঁহাতি কম্বিনেশন ক্রিজে ছিল। যেহেতু শেখ মাহেদি হাসান শুরু করছিল, তাই আমাদের বাঁহাতি ব্যাটার চাতুরাঙ্গা স্ট্রাইক প্রান্তে ছিল। সাকিব ভাই এখান থেকে বলছে যেন ডানহাতি ব্যাটার স্ট্রাইক নেয়, নিলে একটা সুবিধা পাবে। কারণ এক-দুইটা বল খুব গুরুত্বপূর্ণ। সাকিব ভাই বাইরে থেকে এটাই বলছিল। তারপর যখন আবার বিজয় ভাই স্ট্রাইকে আসছে, ওরা আবার বাঁহাতি বোলার নিয়ে এসেছে। তখন আবারও বদলাচ্ছিল। জিনিসটা এ রকম ছিল। কিন্তু এটা যে বড় কিছু; তেমন না। ওরাও সুবিধা নিতে চাচ্ছিল, হয়তো দুষ্টামি করছিল সোহান ভাই ওই সময়ে। ’
যে ঘটনাই ঘটুক, সাকিব মাঠে নামতে পারেন কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘একটা জিনিস দেখেন, পরিস্থিতি এমন ছিল; বিজয় ভাইকে যখন বলছিল, তখন কিন্তু আম্পায়ারের সঙ্গে কথা হচ্ছিল। অধিনায়ক তো মাঠে যেতে পারে। অনেক সময় যেতে পারে না?’
মিরাজের এমন প্রশ্নের জবাবে এক সাংবাদিক তাঁকে বলেন, অনুমতি নিয়ে যেতে পারে। তখন মিরাজ বলেন, ‘আম্পায়ারের (চতুর্থ) সঙ্গে তো কথা বলছে। এখানে যে আম্পায়ার ছিল, থার্ড আম্পায়ার (আসলে চতুর্থ) সঙ্গে আগে কথা বলছে। ’
আম্পায়ারের সঙ্গে সাকিবের কী কথা হয়েছে জানতে চাইলে মিরাজ বলেন, ‘আম্পায়ারের সঙ্গে যে কথা হয়েছে, তখন তো খেলা চলছিল, খেলার ভেতর ঢুকে গিয়েছিলাম। ড্রেসিংরুমে কোনো আলোচনা হয়নি। ওরকম কথা হয়নি।’
রংপুরের অধিনায়ক সোহান বলেছেন, ‘সাকিব ভাইয়ের সঙ্গে যখন তর্কাতর্কি হয়েছে, তখন তো আমি কাছে ছিলাম না। আমি অন্য পাশে ছিলাম। মাঠে ছিলাম, কী কথা হয়েছে আমি জানি না।’
সাকিব যখন বাইরে থেকে তাঁর দলের ব্যাটারদের উপদেশ দিচ্ছেন স্ট্রাইকিং নিয়ে, তখন সোহানও বোলার পরিবর্তন করছিলেন। রংপুরের অধিনায়ক বলেন, ‘আমি দেখছিলাম সাকিব ভাই বাইরে থেকে যখন চিল্লাচ্ছে, এ জন্য আমিও বদলাচ্ছিলাম। সাকিব ভাই যখন বাইরে থেকে চিৎকার করছিল, এ জন্য আমিও বদলাচ্ছিলাম।’
এভাবে খেলোয়াড় মাঠে ঢুকে যাওয়ার মতো ঘটনা আগে কখনো সোহান দেখেছেন কি না, এ প্রশ্নে সোহানের উত্তর, ‘আজকে দেখলাম। প্রথমবার।’
স্ট্রাইক নেওয়ার অপেক্ষায় ছিলেন ডি সিলভা। তবে অফ স্পিনার শেখ মেহেদীকে বোলিংয়ে আসতে দেখে বিজয়ের সঙ্গে প্রান্ত বদল করেন চতুরঙ্গ। এ সময় রংপুরের অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান 'ম্যাচ আপের' জন্য মেহেদীকে সরিয়ে বোলিংয়ে নিয়ে আসেন বাঁহাতি স্পিনার রাকিবুল হাসানকে।
ব্যাপারটা মানতে পারেননি সোহান। দুই ব্যাটার যখন প্রান্ত বদল করছেন, সোহান আম্পায়ারের কাছে যান। বাউন্ডারি লাইনে দাঁড়িয়ে এই ঘটনা দেখছিলেন সাকিব। কিছুক্ষণ পর ছুটে আসেন মাঠের ভেতরে। সেটাও খালি পায়ে! মাঠেই আম্পায়ারের সঙ্গে খানিকক্ষণ তর্ক চলে সাকিবের। শেষ পর্যন্ত রাকিবুলকেই বোলিংয়ে রাখেন সোহান। স্ট্রাইকে থাকেন চতুরঙ্গ।
কিছুক্ষণের মধ্যে বিষয়টির ব্যাখ্যা এসেছে বরিশালের পক্ষ থেকে। দলটির ম্যানেজার সাজ্জাদ আহমেদ শিপন এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘নিয়ম অনুযায়ী কোন বোলার বল করবেন তা ঠিক হওয়ার পর ব্যাটসম্যানরা কে স্ট্রাইক নেবেন তা ঠিক হয়। এক্ষেত্রে শেখ মেহেদীকে বল করতে আসতে দেখে চতুরঙ্গ ডি সিলভার বদলে এনামুল হক বিজয়কে স্ট্রাইকে চাচ্ছিলেন সাকিব। কিন্তু আম্পায়ার সেটার অনুমতি দিতে রাজি হচ্ছিলেন না, এই নিয়ে কথা বলতে মাঠে প্রবেশ করেন তিনি।’
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) আজ ফরচুন বরিশাল ও রংপুর রাইডার্স ম্যাচে মাঠে ঢুকে আম্পায়ারদের সঙ্গে তর্কে জড়ান সাকিব আল হাসান। এ নিয়ে চলছে অনেক আলোচনা। ম্যাচটি অবশ্য সাকিবের বরিশাল ৬ উইকেটে জিতেছে।
বরিশালের ব্যাটিংয়ের শুরুতে সেই ঘটনা ঘটেছিল। রংপুরের দেওয়া ১৫৯ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে মাঠে নামেন বরিশালের দুই উদ্বোধনী ব্যাটার এনামুল হক বিজয় ও চতুরঙ্গ ডি সিলভা।
ব্যাটার ও বোলারদের ডানহাতি-বাঁহাতি কম্বিনেশন নিয়ে ঝামেলা তৈরি হয়। ম্যাচের পর ম্যাচসেরা মেহেদী হাসান মিরাজ এবং রংপুরের অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান সংবাদমাধ্যমকে এই ঘটনার ব্যাখ্যা দিয়েছেন।
মিরাজ বললেন, ‘আমাদের তো ডানহাতি-বাঁহাতি কম্বিনেশন ক্রিজে ছিল। যেহেতু শেখ মাহেদি হাসান শুরু করছিল, তাই আমাদের বাঁহাতি ব্যাটার চাতুরাঙ্গা স্ট্রাইক প্রান্তে ছিল। সাকিব ভাই এখান থেকে বলছে যেন ডানহাতি ব্যাটার স্ট্রাইক নেয়, নিলে একটা সুবিধা পাবে। কারণ এক-দুইটা বল খুব গুরুত্বপূর্ণ। সাকিব ভাই বাইরে থেকে এটাই বলছিল। তারপর যখন আবার বিজয় ভাই স্ট্রাইকে আসছে, ওরা আবার বাঁহাতি বোলার নিয়ে এসেছে। তখন আবারও বদলাচ্ছিল। জিনিসটা এ রকম ছিল। কিন্তু এটা যে বড় কিছু; তেমন না। ওরাও সুবিধা নিতে চাচ্ছিল, হয়তো দুষ্টামি করছিল সোহান ভাই ওই সময়ে। ’
যে ঘটনাই ঘটুক, সাকিব মাঠে নামতে পারেন কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘একটা জিনিস দেখেন, পরিস্থিতি এমন ছিল; বিজয় ভাইকে যখন বলছিল, তখন কিন্তু আম্পায়ারের সঙ্গে কথা হচ্ছিল। অধিনায়ক তো মাঠে যেতে পারে। অনেক সময় যেতে পারে না?’
মিরাজের এমন প্রশ্নের জবাবে এক সাংবাদিক তাঁকে বলেন, অনুমতি নিয়ে যেতে পারে। তখন মিরাজ বলেন, ‘আম্পায়ারের (চতুর্থ) সঙ্গে তো কথা বলছে। এখানে যে আম্পায়ার ছিল, থার্ড আম্পায়ার (আসলে চতুর্থ) সঙ্গে আগে কথা বলছে। ’
আম্পায়ারের সঙ্গে সাকিবের কী কথা হয়েছে জানতে চাইলে মিরাজ বলেন, ‘আম্পায়ারের সঙ্গে যে কথা হয়েছে, তখন তো খেলা চলছিল, খেলার ভেতর ঢুকে গিয়েছিলাম। ড্রেসিংরুমে কোনো আলোচনা হয়নি। ওরকম কথা হয়নি।’
রংপুরের অধিনায়ক সোহান বলেছেন, ‘সাকিব ভাইয়ের সঙ্গে যখন তর্কাতর্কি হয়েছে, তখন তো আমি কাছে ছিলাম না। আমি অন্য পাশে ছিলাম। মাঠে ছিলাম, কী কথা হয়েছে আমি জানি না।’
সাকিব যখন বাইরে থেকে তাঁর দলের ব্যাটারদের উপদেশ দিচ্ছেন স্ট্রাইকিং নিয়ে, তখন সোহানও বোলার পরিবর্তন করছিলেন। রংপুরের অধিনায়ক বলেন, ‘আমি দেখছিলাম সাকিব ভাই বাইরে থেকে যখন চিল্লাচ্ছে, এ জন্য আমিও বদলাচ্ছিলাম। সাকিব ভাই যখন বাইরে থেকে চিৎকার করছিল, এ জন্য আমিও বদলাচ্ছিলাম।’
এভাবে খেলোয়াড় মাঠে ঢুকে যাওয়ার মতো ঘটনা আগে কখনো সোহান দেখেছেন কি না, এ প্রশ্নে সোহানের উত্তর, ‘আজকে দেখলাম। প্রথমবার।’
স্ট্রাইক নেওয়ার অপেক্ষায় ছিলেন ডি সিলভা। তবে অফ স্পিনার শেখ মেহেদীকে বোলিংয়ে আসতে দেখে বিজয়ের সঙ্গে প্রান্ত বদল করেন চতুরঙ্গ। এ সময় রংপুরের অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান 'ম্যাচ আপের' জন্য মেহেদীকে সরিয়ে বোলিংয়ে নিয়ে আসেন বাঁহাতি স্পিনার রাকিবুল হাসানকে।
ব্যাপারটা মানতে পারেননি সোহান। দুই ব্যাটার যখন প্রান্ত বদল করছেন, সোহান আম্পায়ারের কাছে যান। বাউন্ডারি লাইনে দাঁড়িয়ে এই ঘটনা দেখছিলেন সাকিব। কিছুক্ষণ পর ছুটে আসেন মাঠের ভেতরে। সেটাও খালি পায়ে! মাঠেই আম্পায়ারের সঙ্গে খানিকক্ষণ তর্ক চলে সাকিবের। শেষ পর্যন্ত রাকিবুলকেই বোলিংয়ে রাখেন সোহান। স্ট্রাইকে থাকেন চতুরঙ্গ।
কিছুক্ষণের মধ্যে বিষয়টির ব্যাখ্যা এসেছে বরিশালের পক্ষ থেকে। দলটির ম্যানেজার সাজ্জাদ আহমেদ শিপন এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘নিয়ম অনুযায়ী কোন বোলার বল করবেন তা ঠিক হওয়ার পর ব্যাটসম্যানরা কে স্ট্রাইক নেবেন তা ঠিক হয়। এক্ষেত্রে শেখ মেহেদীকে বল করতে আসতে দেখে চতুরঙ্গ ডি সিলভার বদলে এনামুল হক বিজয়কে স্ট্রাইকে চাচ্ছিলেন সাকিব। কিন্তু আম্পায়ার সেটার অনুমতি দিতে রাজি হচ্ছিলেন না, এই নিয়ে কথা বলতে মাঠে প্রবেশ করেন তিনি।’
স্বাগত পানীয় দিয়ে শুরু। কয়েক পদের মিষ্টান্ন দিয়ে শেষ। এর মাঝে কী ছিল না আজ বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) ও এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি) নৈশভোজে!
৩ ঘণ্টা আগেঅবশেষে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি) বার্ষিক সাধারণ সভার (এজিএম) মেঘ কাটতে শুরু করেছে। আগামীকাল ঢাকায় হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে এসিসির এজিএম বয়কট করছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)—এমনই সংবাদ প্রকাশ হয়েছিল ভারতের সংবাদমাধ্যমে। ঢাকার সভা বর্জনে ভারতকে অনুসরণ করছিল শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তানের মতো
৪ ঘণ্টা আগেএক ম্যাচ বাকি থাকতেই পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ। মাসখানেক আগে এই বাংলাদেশকে ঘরের মাঠে ধবলধোলাই করেছিল পাকিস্তান। তারা নিজেরাই এখন ধবলধোলাইয়ের মুখে; যা মানতে পারছেন না দলটির সাবেক পেসার শোয়েব আখতার। পাকিস্তানকে ধুয়ে দেওয়ার পাশাপাশি করলেন বাংলাদেশের...
৫ ঘণ্টা আগেঅনূর্ধ্ব-২৩ এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের প্রস্তুতি নিতে বাহরাইনের বিপক্ষে দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। ১৬ ও ২২ আগস্ট হবে ম্যাচ দুটি। আজ জাতীয় দল কমিটির সভায় নেওয়া হয়েছে এই সিদ্ধান্ত। তবে অনূর্ধ্ব-২৩ দলের কোচ কে হবেন, সে ব্যাপারে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
৭ ঘণ্টা আগে