ভারতীয় ইনিংসের ৫৩ তম ওভারে টম হার্টলিকে রক্ষণাত্মক খেলতে গিয়ে এলবিডব্লিউ রবিচন্দ্রন অশ্বিন। তখন স্কোরবোর্ডে ভারত—১৭৭ /৭। প্রথম ইনিংসে ৩৫৩ রানে অলআউট হওয়া ইংল্যান্ডের চেয়ে ১৭৬ রানে পিছিয়ে। নিজেদের চিরচেনা স্পিনসহায়ক উইকেটে স্বাগতিকদের এমন দুর্দশা কে অনুমান করতে পেরেছিল!
তখন ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক মাইকেল ভনের টুইট, ‘নিজেদের মাঠে ভারতীয় খেলোয়াড়দের কীভাবে খেলতে হবে তা নিয়ে বিভ্রান্তির মধ্যে ফেলেছে দুই তরুণ ইংলিশ স্পিনার, বিষয়টি উপভোগ করার মতোই...’। তবে সেটি আর খুব বেশি উপভোগ্য হতে দেয়নি ভারতের ব্যাটিং লেজ। ওই সময় ভারতের ২০০ করা নিয়ে সংশয় থাকলেও শেষ পর্যন্ত আর কোনো উইকেট না হারিয়েই দিন শেষে ২১৯ রান তুলেছে তারা। পিছিয়ে ১৩৪ রানে।
২০০ রানের মধ্যে ভারতকে অলআউট করতে পারলে, মনস্তাত্ত্বিকভাবে বড় একটা সুবিধা পেত ইংল্যান্ড। তাতে দ্বিতীয় ইনিংস শুরুর আগেই বড় একটা রানে এগিয়ে থাকত তারা। পিচ ফেটে চৌচির হওয়ার আগেই দ্বিতীয় ইনিংসে মাঝারি মানের একটা স্কোর গড়লেই বড় একটা চাপে পড়ে যেত ভারত।
অবশ্য এখনো চাপে আছে স্বাগতিকেরা। কিন্তু ৭ উইকেট খোয়ানোর পর যে ভারী চাপ ছিল, সেটি কুলদীপ যাদব ও ধ্রুব জুরেলের ৪২ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটির সুবাদে কমে এসেছে।
ভারতীয় ব্যাটারদের দুর্দশার বড় কারণ—দুই তরুণ স্পিনার শোয়েব বশির ও টম হার্টলি। ভারতের পতন হওয়া ৭ উইকেটের ৬টিই নিয়েছেন তাঁরা। ৪টি বশির, ২টি হার্টলি। বাকি উইকেটটি নিয়েছেন অভিজ্ঞ পেসার জেমস অ্যান্ডারসন।
বশির-হার্টলির সাফল্যের পেছনে অবশ্য উইকেটেরও অবদান। সময় যত গড়াবে ততই স্পিন ধরবে—ভারতের প্রথাগত স্পিনসহায়ক উইকেটে এই চরিত্রটাই ফুটে উঠেছে রাঁচিতে। বল নিচু হয়ে আসছে। উইকেটে পড়ে স্কিড করছে। এমন উইকেটে স্পিন খেলা উত্তরোত্তর আরও জটিল হচ্ছে। আর এই কারণেই ব্যাকরণ মেনে ব্যাটিং করার পরও ৭৩ রানে আউট যশস্বী জয়সওয়াল কিংবা ১৪ রানে সরফরাজ খান। রোহিত শর্মা (২) আউট হওয়ার পর শুবমান গিলের (৩৮) সঙ্গে জয়সওয়ালের ৮২ রানের জুটিটিই ইনিংস সর্বোচ্চ। নিজেদের স্পিনসহায়ক উইকেটে ভারত নিজেরায় পড়েছে ফাঁদে।
১১৭ বলে ৭৩ রানের ইনিংস খেলার পথেই রেকর্ড বইয়ের একটা পাতায় স্যার ডন ব্র্যাডম্যান ও গ্যারি সোবার্সের পাশে নাম উঠিয়েছেন যশস্বী জয়সওয়াল। ২৩ বছরে পা রাখার আগে কোনো টেস্ট সিরিজে ৬০০ কিংবা তার চেয়ে বেশি রান করায় কিংবদন্তিদের পাশে চলে এসেছেন ভারতীয় এই ওপেনার। সুনীল গাভাস্কারের পর দ্বিতীয় ভারতীয় হিসেবে এই কীর্তি গড়লেন তিনি।
পঞ্চাশোর্ধ্ব রানের ইনিংসটি খেলার পথে একটা ছক্কাও মেরেছেন জয়সওয়াল। যা চলতি পঞ্চিকা বর্ষে তাঁর টেস্ট ছক্কার সংখ্যাকে উন্নীত করেছে ২৩-এ। এক পঞ্জিকাবর্ষে কোনো ভারতীয় ব্যাটারের এটিই সবচেয়ে বেশি ছক্কার রেকর্ড। ২২ ছক্কা নিয়ে আগে এই রেকর্ডটি ছিল বীরেন্দর শেবাগের।
এর আগে ইংল্যান্ড তাদের প্রথম ইনিংসে করে ৩৫৩ রান। আগের দিন ১০৬ রানে অপরাজিত থাকা রুটকে এদিনও আউট করতে পারেননি কোনো ভারতীয় বোলার। এদিন ১২২ রানে অপরাজিত থাকলেও সঙ্গীর অভাবে রুট দলের স্কোরটাকে আর বাড়িয়ে নিতে পারেননি। আগের দিন ৩২ রানে অপরাজিত থাকা অলি রবিনসন করেছেন দ্বিতীয় ইনিংস সর্বোচ্চ ৫৮ রান। এদিন ইংল্যান্ডের শেষ ৩ উইকেটের তিনটিই নিয়েছেন রবীন্দ্র জাদেজা।
ভারতীয় ইনিংসের ৫৩ তম ওভারে টম হার্টলিকে রক্ষণাত্মক খেলতে গিয়ে এলবিডব্লিউ রবিচন্দ্রন অশ্বিন। তখন স্কোরবোর্ডে ভারত—১৭৭ /৭। প্রথম ইনিংসে ৩৫৩ রানে অলআউট হওয়া ইংল্যান্ডের চেয়ে ১৭৬ রানে পিছিয়ে। নিজেদের চিরচেনা স্পিনসহায়ক উইকেটে স্বাগতিকদের এমন দুর্দশা কে অনুমান করতে পেরেছিল!
তখন ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক মাইকেল ভনের টুইট, ‘নিজেদের মাঠে ভারতীয় খেলোয়াড়দের কীভাবে খেলতে হবে তা নিয়ে বিভ্রান্তির মধ্যে ফেলেছে দুই তরুণ ইংলিশ স্পিনার, বিষয়টি উপভোগ করার মতোই...’। তবে সেটি আর খুব বেশি উপভোগ্য হতে দেয়নি ভারতের ব্যাটিং লেজ। ওই সময় ভারতের ২০০ করা নিয়ে সংশয় থাকলেও শেষ পর্যন্ত আর কোনো উইকেট না হারিয়েই দিন শেষে ২১৯ রান তুলেছে তারা। পিছিয়ে ১৩৪ রানে।
২০০ রানের মধ্যে ভারতকে অলআউট করতে পারলে, মনস্তাত্ত্বিকভাবে বড় একটা সুবিধা পেত ইংল্যান্ড। তাতে দ্বিতীয় ইনিংস শুরুর আগেই বড় একটা রানে এগিয়ে থাকত তারা। পিচ ফেটে চৌচির হওয়ার আগেই দ্বিতীয় ইনিংসে মাঝারি মানের একটা স্কোর গড়লেই বড় একটা চাপে পড়ে যেত ভারত।
অবশ্য এখনো চাপে আছে স্বাগতিকেরা। কিন্তু ৭ উইকেট খোয়ানোর পর যে ভারী চাপ ছিল, সেটি কুলদীপ যাদব ও ধ্রুব জুরেলের ৪২ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটির সুবাদে কমে এসেছে।
ভারতীয় ব্যাটারদের দুর্দশার বড় কারণ—দুই তরুণ স্পিনার শোয়েব বশির ও টম হার্টলি। ভারতের পতন হওয়া ৭ উইকেটের ৬টিই নিয়েছেন তাঁরা। ৪টি বশির, ২টি হার্টলি। বাকি উইকেটটি নিয়েছেন অভিজ্ঞ পেসার জেমস অ্যান্ডারসন।
বশির-হার্টলির সাফল্যের পেছনে অবশ্য উইকেটেরও অবদান। সময় যত গড়াবে ততই স্পিন ধরবে—ভারতের প্রথাগত স্পিনসহায়ক উইকেটে এই চরিত্রটাই ফুটে উঠেছে রাঁচিতে। বল নিচু হয়ে আসছে। উইকেটে পড়ে স্কিড করছে। এমন উইকেটে স্পিন খেলা উত্তরোত্তর আরও জটিল হচ্ছে। আর এই কারণেই ব্যাকরণ মেনে ব্যাটিং করার পরও ৭৩ রানে আউট যশস্বী জয়সওয়াল কিংবা ১৪ রানে সরফরাজ খান। রোহিত শর্মা (২) আউট হওয়ার পর শুবমান গিলের (৩৮) সঙ্গে জয়সওয়ালের ৮২ রানের জুটিটিই ইনিংস সর্বোচ্চ। নিজেদের স্পিনসহায়ক উইকেটে ভারত নিজেরায় পড়েছে ফাঁদে।
১১৭ বলে ৭৩ রানের ইনিংস খেলার পথেই রেকর্ড বইয়ের একটা পাতায় স্যার ডন ব্র্যাডম্যান ও গ্যারি সোবার্সের পাশে নাম উঠিয়েছেন যশস্বী জয়সওয়াল। ২৩ বছরে পা রাখার আগে কোনো টেস্ট সিরিজে ৬০০ কিংবা তার চেয়ে বেশি রান করায় কিংবদন্তিদের পাশে চলে এসেছেন ভারতীয় এই ওপেনার। সুনীল গাভাস্কারের পর দ্বিতীয় ভারতীয় হিসেবে এই কীর্তি গড়লেন তিনি।
পঞ্চাশোর্ধ্ব রানের ইনিংসটি খেলার পথে একটা ছক্কাও মেরেছেন জয়সওয়াল। যা চলতি পঞ্চিকা বর্ষে তাঁর টেস্ট ছক্কার সংখ্যাকে উন্নীত করেছে ২৩-এ। এক পঞ্জিকাবর্ষে কোনো ভারতীয় ব্যাটারের এটিই সবচেয়ে বেশি ছক্কার রেকর্ড। ২২ ছক্কা নিয়ে আগে এই রেকর্ডটি ছিল বীরেন্দর শেবাগের।
এর আগে ইংল্যান্ড তাদের প্রথম ইনিংসে করে ৩৫৩ রান। আগের দিন ১০৬ রানে অপরাজিত থাকা রুটকে এদিনও আউট করতে পারেননি কোনো ভারতীয় বোলার। এদিন ১২২ রানে অপরাজিত থাকলেও সঙ্গীর অভাবে রুট দলের স্কোরটাকে আর বাড়িয়ে নিতে পারেননি। আগের দিন ৩২ রানে অপরাজিত থাকা অলি রবিনসন করেছেন দ্বিতীয় ইনিংস সর্বোচ্চ ৫৮ রান। এদিন ইংল্যান্ডের শেষ ৩ উইকেটের তিনটিই নিয়েছেন রবীন্দ্র জাদেজা।
হামজা চৌধুরীর অভিষেক হয়েছে, সমিত সোমও দুয়ারে কড়া নাড়ছেন। এবার আলোচনায় আরেক প্রবাসী ফুটবলার কিউবা মিচেল। জুনে বাংলাদেশের জার্সিতে তাঁকে খেলানোর চেষ্টা করছে বাফুফে। কিউবাও খেলার জন্য সম্মতি দিয়েছেন।
২৬ মিনিট আগেবাংলাদেশ ক্রিকেটে বড় কোনো সুখবর নেই অনেক দিন হলো। এমনকি জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে চলমান সিলেট টেস্টে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স বলার মতো হয়নি এখনো। এই যখন অবস্থা বাংলাদেশ ক্রিকেটের, তখন সামাজিক মাধ্যমে বোমা ফাটিয়েছেন নুরুল হাসান সোহান।
১ ঘণ্টা আগেসিলেটে আজ বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় দিনের খেলা চলছে। বাংলাদেশের চেয়ে লিড নেওয়ার প্রায় কাছাকাছি চলে এসেছে জিম্বাবুয়ে। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৪১ ওভারে ৪ উইকেটে ১৪৩ রান করেছে সফরকারীরা। এর আগে বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে ১৯১ রানে অলআউট হয়েছিল। বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে টেস্টের পাশাপাশি আইপিএল...
২ ঘণ্টা আগেটেস্ট শুরুর আগে নাহিদ রানাকে নিয়ে নাজমুল হোসেন শান্ত ও শন উইলিয়ামসের মধ্যে কথার লড়াই জমে উঠেছিল। উইলিয়ামস জানিয়েছিলেন, নাহিদ রানার চেয়েও বেশি গতির বোলিং মেশিন জিম্বাবুয়ের আছে। এরপর শান্ত জবাব দিয়েছিলেন এই বলে যে খেললেই জিম্বাবুয়ে বুঝবে তাঁর (নাহিদ রানার) গতি কী জিনিস।
২ ঘণ্টা আগে