Ajker Patrika

দাবার শহরে ক্রিকেট উন্মাদনা

নিজস্ব প্রতিবেদক, চেন্নাই থেকে
Thumbnail image

চেন্নাইকে বিশ্বের মানুষ চেনে নানাভাবে। কেউ চেনে উন্নত চিকিৎসার শহর হিসেবে; কারও কারও কাছে চেন্নাই আবার মোটর রেসিংয়ের শহরও। তবে চেন্নাই টেস্ট কভার করতে এসে শহরটিকে চেনা হলো দাবার শহর হিসেবে। ভারতীয়দের কাছে ক্রিকেট সবচেয়ে বড় খেলা হলেও চেন্নাই তাদের কাছে দাবার মক্কা!

চেন্নাইয়ের সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ দাবা। এখানে পাঠ্যবইয়ে জায়গা করে নিয়েছে দাবা, স্কুলে খেলাটি শেখানো হয় হাতে-কলমে। ইন্টারন্যাশনাল চেস ফেডারেশনের তথ্যানুযায়ী, ভারতের মোট গ্র্যান্ডমাস্টারের প্রায় ৪০ শতাংশ চেন্নাইয়ের। ১৯৬১ সালে ভারতকে প্রথম আন্তর্জাতিক মাস্টার হিসেবে ম্যানুয়েল অ্যারনকে উপহার দিয়েছিল এই চেন্নাই।

ভারতের প্রথম গ্র্যান্ডমাস্টার, দাবার অসাধারণ প্রতিভা বিশ্বনাথন আনন্দও ছিলেন চেন্নাইয়ের। ২০০১ সালে সুব্বারমন বিজয়লক্ষ্মী ভারতের প্রথম মহিলা গ্র্যান্ডমাস্টার হন, তিনিও চেন্নাইয়ের। বছরে ২০০টির বেশি দাবা প্রতিযোগিতা হয়ে থাকে তামিলনাড়ুতে। রাজ্য সরকার সরকারি স্কুলগুলোয় ছাত্রছাত্রীদের জ্ঞানের সঠিক বিকাশের জন্য দাবা শেখাতে উৎসাহিত করে।

ভারতের খুদে দাবা প্রতিভা রমেশবাবু প্রজ্ঞানন্দের কথা কার না জানা। ২০১৬ সালে তিনি গ্র্যান্ডমাস্টারের খেতাব লাভ করেছিলেন মাত্র ১২ বছর ১০ মাস ১৩ দিন বয়সে। হয়েছিলেন ভারতের দ্বিতীয় এবং বিশ্বের পঞ্চম সর্বকনিষ্ঠ গ্র্যান্ডমাস্টার। সেই প্রজ্ঞানন্দেরও উঠে আসা চেন্নাই থেকে।

চেন্নাইয়ের স্থানীয় এক সংবাদকর্মী আশোকা ভেনুগোপাল জানান, শুধু দাবা নয়, চেন্নাইয়ের মানুষ এখন বুঁদ ক্রিকেটেও। দাবার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ক্রিকেট উন্মাদনা। তবে চেন্নাই যত বড় বড় দাবাড়ু উপহার দিয়েছে ভারতকে, সে হিসেবে বেশি বেশি কিংবদন্তি ক্রিকেটার উঠে আসেনি এই শহর থেকে। বর্তমান ভারতীয় দলে এই শহরের প্রতিনিধি শুধু রবিচন্দ্রন অশ্বিন।

এই অশ্বিনই চলতি চেন্নাই টেস্টে বাংলাদেশের বোলারদের সবচেয়ে বেশি ভুগিয়েছেন। দুর্দান্ত ব্যাটিং করে চিদাম্বরম স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে আন্দোলিত করেছেন দর্শকদের। গতকাল থেকেই গ্যালারিতে ‘অশ্বিন’, ‘অশ্বিন’ ধোনি তুলেছেন চেন্নাইয়ের দর্শকেরা। মজার ব্যাপার, দাবার শহরে চেন্নাইয়ের ছেলে অশ্বিন ভালো দাবাও খেলেন!

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত