Ajker Patrika

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের জন্য তৈরি হচ্ছেন আকবর–হৃদয়রা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের জন্য তৈরি হচ্ছেন আকবর–হৃদয়রা

অনূর্ধ্ব–১৯ বিশ্বকাপ জয়ের পর করোনার ধাক্কায় মাঠের ক্রিকেটে খুব একটা নামা হয়নি আকবর আলী-তৌহিদ হৃদয়দের। নিজেদের আরও পরিণত করে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আগমনের প্রস্তুতিতে তাই অনেকটাই ভাটা পড়েছিল। বাংলাদেশ হাই–পারফরম্যান্স (এইচপি) দলের প্রস্তুতি দিয়েই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের প্রস্তুতি শুরু করতে চাইছেন তরুণ ক্রিকেটাররা।

বাংলাদেশ ‘এ’ দলের বিপক্ষে সিরিজ খেলতে চট্টগ্রামে ক্যাম্পের জন্য আজ ঢাকা ছেড়েছে ২২ সদস্যের এইচপি দল। অনূর্ধ্ব–১৯ দলের বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার রয়েছেন এখানে। করোনায় প্রস্তুতিটা ঠিকভাবে নিতে পারেননি তাঁরা।

বঙ্গবন্ধু টি–টোয়েন্টি কাপ ও ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন (ডিপিএল) ক্রিকেট লিগে কয়েকজন ক্রিকেটার খেললেও প্রস্তুতিটা ভালোভাবে নিতে পারেননি। এই ক্যাম্প দিয়েই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিজেদের প্রস্তুতির শুরুটা করতে চাইছেন অনূর্ধ্ব–১৯ বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক আকবর আলী। চট্টগ্রামের যাওয়ার আগে আকবর জানান, ‘সবারই তো ইচ্ছা থাকে জাতীয় দলে খেলার। জাতীয় দলে খেলতে যে সমস্যাগুলো রয়েছে সেগুলো এই ক্যাম্পে মাধ্যমে কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা থাকবে। চেষ্টা করব এই ক্যাম্প থেকে যেন কিছু শিখতে পারি।’

বঙ্গবন্ধু টি–টোয়েন্টি কাপে ১০ ম্যাচে ১৫০ স্ট্রাইকরেটে ১৭১ রান করেছিলেন আকবর। ডিপিএল অবশ্য নিজেকে হারিয়ে খুঁজেছেন। অনূর্ধ্ব–১৯ বিশ্বকাপজয়ী এইচপি দলের আরেক সদস্য হৃদয়। তাঁর পারফরম্যান্স অবশ্য বেশ উজ্জ্বল ছিল বলা যায়। বঙ্গবন্ধু টি–টোয়েন্টি কাপে ৯ ম্যাচে ১৯৪ রান করেছিলেন। ডিপিএলে ১১ ম্যাচ খেলে করেন ২২৮ রান।

শুধু প্রস্তুত হওয়া নয়, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে যেন লম্বা সময় ধরে খেলতে পারেন সেরকম মানসিকতা তৈরি করতে চান হৃদয়। চট্টগ্রামে যাওয়ার আগে নিজেদের লক্ষ্যের কথা বলতে গিয়ে হৃদয় বলেছেন, ‘এইচপি ক্যাম্প থেকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের জন্য টেকনিক্যাল দিকগুলোতে কীভাবে আরও ভালো করা যায় সেটাই মূল লক্ষ্য থাকবে। যাতে করে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আমরা ভালো করতে পারি ও অনেক দিন খেলতে পারি।   

জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ২, ৪, ৬ সেপ্টেম্বর হবে ওয়ানডে ম্যাচগুলো। এরপর ৯ সেপ্টেম্বর শুরু হবে চার দিনের প্রথম ম্যাচটি। ১৫ সেপ্টেম্বর শুরু হবে দ্বিতীয় চার দিনের ম্যাচ। এইচপি ক্যাম্প শেষ হবে ৮ অক্টোবর।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ঢাকায় আসছেন ব্রাজিলের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক কাফু

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ঢাকায় আসছেন ব্রাজিলের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক কাফু। ছবি: সংগৃহীত
ঢাকায় আসছেন ব্রাজিলের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক কাফু। ছবি: সংগৃহীত

প্রদর্শনী ফুটবল টুর্নামেন্টে অতিথি হিসেবে ডিসেম্বরে ঢাকায় আসছেন ব্রাজিলের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক কাফু। এএফবি লাতিন-বাংলা সুপার কাপের ব্যানারে টুর্নামেন্টে অংশ নেবে ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা ও বাংলাদেশের একটি করে দল। টুর্নামেন্টটি আয়োজন করবে এএফ বক্সিং প্রমোশন ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড।

টুর্নামেন্টে প্রতিটি দল একবার করে একে অপরের মুখোমুখি হবে। ম্যাচ তিনটি হবে ৫, ৭ ও ১১ ডিসেম্বর। কাফু ঢাকায় থাকবেন ১০ ও ১১ ডিসেম্বর। খেলা হবে জাতীয় স্টেডিয়ামে।

কাফু ব্রাজিলের হয়ে খেলেছেন ১৯৯০ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত। ২০০২ বিশ্বকাপে তাঁর নেতৃত্বে চ্যাম্পিয়ন হয় ব্রাজিল। সেলেসাওদের তাঁর চেয়ে বেশি ম্যাচ খেলেননি আর কোনো ফুটবলার।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বড় প্রতিযোগিতা আয়োজন করতে পারছে না পাকিস্তান

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ০৬ নভেম্বর ২০২৫, ২১: ৫৭
২০২৬ সালেও পাকিস্তানে হচ্ছে না এসএ গেমস। ছবি: সংগৃহীত
২০২৬ সালেও পাকিস্তানে হচ্ছে না এসএ গেমস। ছবি: সংগৃহীত

হওয়ার কথা ছিল ২০২৩ সালে, হয়নি। ২০২৪-২০২৫ এমনকি ২০২৬ সালেও এসএ গেমস আয়োজন করতে পারছে না পাকিস্তান। দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বড় প্রতিযোগিতাটি নিয়ে বারবার স্থগিতের ঘোষণা জানাচ্ছে তারা।

আদৌ আসরটি হবে কি না, তা নিয়েও রয়েছে সংশয়। আগামী বছরের জানুয়ারিতে তিন শহরে এসএ গেমস আয়োজনের কথা ছিল পাকিস্তানের জাতীয় অলিম্পিক কমিটির। ৩ মাস আগেও গেমস নিয়ে তাদের কোনো প্রস্তুতিই দেখা যায়নি। অথচ এই বছরের ফেব্রুয়ারিতে ঘটা করে তারা জানিয়েছিল আগামী জানুয়ারিতে আয়োজনের কথা।

বাংলাদেশের বিভিন্ন ফেডারেশনও এসএ গেমসের জন্য শুরু করে ক্যাম্প। তা বাতিল করতে হয় অনিশ্চয়তা কারণে। গতকাল বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের (বিওএ) মহাপরিচালক ব্রি. জেনারেল এ বি এম শেফাউল কবীর (অব.) বলেন, ‘পাকিস্তান ৩০ নভেম্বরের মধ্যে নিশ্চিত করবে ২০২৬ সালের জানুয়ারিতে এসএ গেমস হবে না।’

৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে পাকিস্তানকে জানাতেও হবে ২০২৭ সালের মধ্যে আয়োজন করতে পারবে কি না। এসএ গেমস সর্বশেষ হয়েছে ২০১৯ সালে নেপালে। এরপর থেকে ক্রমশই হিমাগারের দিকে ছুঁটছে গেমসটি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

জাহানারার যৌন নিপীড়নের অভিযোগ খতিয়ে দেখবে বিসিবি

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ০৬ নভেম্বর ২০২৫, ২২: ৩৯
জাহানারা আলমের অভিযোগে অস্বস্তিতে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড।
জাহানারা আলমের অভিযোগে অস্বস্তিতে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড।

বাংলাদেশ নারী দলের সাবেক অধিনায়ক জাহানারা আলম গত দুই দিনে একাধিক সাক্ষাৎকারে সতীর্থ, অধিনায়ক, কোচিং স্টাফ, নির্বাচক ও বিসিবির নারী বিভাগের সাবেক প্রধানের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন। বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের সাবেক নির্বাচক ও টিম ম্যানেজার মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জু এবং বিসিবির নারী বিভাগের প্রয়াত সাবেক ইনচার্জ তৌহিদুর রহমানের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের মতো গুরুতর ও স্পর্শকাতর অভিযোগ এসেছে তাঁর সাক্ষাৎকারে। বিষয়টি নিয়ে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।

জাহানারার অভিযোগ নিয়ে বিসিবির নারী বিভাগের প্রধান আবদুর রাজ্জাক জানিয়েছেন, তাঁর বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন। আজ রাতে রাজ্জাক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অবশ্যই আমরা জানার চেষ্টা করব। এত মানুষের বিরুদ্ধে অভিযোগ। আবার এখানে একটা প্রশ্ন, সবাই খারাপ, এটা হয় কীভাবে? অনেক সময় যারা দল থেকে বাদ পড়ে, তাদের ক্ষোভ থাকে। কিন্তু সে যেসব অভিযোগ তুলেছে, এটা ভয়াবহ। এখন বোর্ডের কী করা উচিত, আমাদের আলোচনা করতে হবে। সে শুধু বলতে থাকবে, আমরা শুনতে থাকব? এটা আমার পর্যায়ে নেই, বোর্ডের সবাইকে মিলে আলোচনা করতে হবে।’

বোর্ড সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল আইসিসির সভায় যোগ দিতে এ মুহূর্তে দুবাই আছেন। তাঁর দেশে ফেরার কথা পরশু। রাজ্জাক বলেন, ‘আমি এর মধ্যে বুলবুল ভাইকে বিষয়টি জানিয়েছি। তিনি ফিরলে আমরা আলোচনা করব।’

বাংলাদেশের হয়ে ৫২ ওয়ানডে ও ৮৩ টি-টোয়েন্টি খেলা জাহানারা সবশেষ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেছেন গত বছর ডিসেম্বরে। এর পর থেকে ৩২ বছর বয়সী পেসার আছেন অস্ট্রেলিয়ায়। জাহানারার বিস্ফোরক অভিযোগ ভাবমূর্তি সংকটে বিসিবি, বিশেষ করে, নারী ক্রিকেটে। এ ধরনের অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্ত না হলে দেশের নারী ক্রিকেটের বড় ক্ষতি হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সহজ জয়ে এগিয়ে গেল ভারত

ক্রীড়া ডেস্ক    
শেষ ম্যাচে জিততেই হবে অস্ট্রেলিয়াকে। ছবি: ক্রিকইনফো
শেষ ম্যাচে জিততেই হবে অস্ট্রেলিয়াকে। ছবি: ক্রিকইনফো

প্রথম তিন টি-টোয়েন্টি শেষে ১-১ সমতায় ছিল অস্ট্রেলিয়া ও ভারত। সিরিজ জেতার জন্য তাই চতুর্থ ম্যাচটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠে দুই দলের জন্য। যেখানে বাজিমাত করেছে সূর্যকুমার যাদবের দল। অজিদের ৪৮ রানে হারিয়ে সিরিজে এগিয়ে গেল সফরকারীরা।

কুইন্সল্যান্ডের হেরিটেজ ব্যাংক স্টেডিয়ামে অস্ট্রেলিয়াকে হারাতে বেগ পেতে হয়নি ভারতের। গৌতম গম্ভীরের দলের করা ১৬৭ রানের জবাবে ১১৯ রানে গুটিয়ে গেছে স্বাগতিকরা। শেষ টি-টোয়েন্টিতে আগামী ৮ নভেম্বর গ্যাবাতে খেলতে নামবে দুই দল। সিরিজ বাঁচাতে চাইলে ম্যাচটি জিততেই হবে মিচেল মার্শের দলকে।

লক্ষ্য তাড়ায় মার্শ ও ম্যাথু শর্ট ছাড়া অস্ট্রেলিয়ার আর কোনো ব্যাটারই চাহিদা মেনে ব্যাট চালাতে পারেননি। উল্টো নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়েছে বিপদ বাড়ায় তারা। তাই পুরো ২০ ওভার ব্যাট করতে পারেনি অস্ট্রেলিয়া। ১৮.২ ওভারে অলআউট হয় সাবেক চ্যাম্পিয়নরা।

তাদের হয়ে ২৪ বলে ৩০ রান করেন মার্শ। ২৫ রান আসে শর্টের ব্যাট থেকে। বাকিরা থেমেছেন ২০ এর নিচেই। ভারতের হয়ে এদিন মাত্র ১.২ ওভার বল করেন ওয়াশিংটন সুন্দর। ৩ রান খরচায় সমান উইকেট নেন সুন্দর। এছাড়া আকসার প্যাটেল ও শিভম দুবে সমান দুটি করে উইকেট ঝুলিতে পুরেন। দুজনেই দেন সমান ২০ রান করে।

যৌথ প্রচেষ্টায় লড়াকু পুঁজি পায় ভারত। সর্বোচ্চ ৪৬ রান এনে দেন শুবমান গিল। ২৮ রান করেন অভিষেক শর্মা। এছাড়া দুবে ২২, প্যাটেল ২১ ও সূর্যকুমারের অবদান ২০ রান। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে বল হাতে সবচেয়ে সফল নাথান এলিস। ২১ রানের বিনিময়ে ৩ ব্যাটারকে ফেরান এই পেসার। ৩ উইকেট নিতে ৪৫ রান দেন অ্যাডাম জাম্পা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত