Ajker Patrika

নিশামের তাণ্ডব চেয়ে চেয়ে দেখলেন লিটনরা 

ক্রীড়া ডেস্ক
Thumbnail image

২৭ রান করতেই নেই ৩ উইকেট। চতুর্থ উইকেট পড়ল ৬৬ রানে। সেখান থেকে রংপুর রাইডার্স ৬ উইকেটে ১৮৫ রানের সংগ্রহ পাবে সেটি কে বা কল্পনা করেছিল? জিমি নিশাম হয়তো করেছিলেন। তাঁর তাণ্ডবেই তো এই স্কোর! ৪৯ বলে ৮ চার ও ৭ ছয়ে অপরাজিত ৯৭ রান করেছেন নিউজিল্যান্ড তারকা। 

অবশ্য এমন চোখধাঁধানো ব্যাটিংয়ের পরও আক্ষেপ রয়ে গেল নিশামের। সেঞ্চুরির জন্য মুশফিক হাসানের করা ইনিংসের শেষ ওভারের শেষ বলে তাঁর দরকার ছিল ৩ রান। কিন্তু আগের বলে ছক্কা হাঁকানো নিশাম ফুলটস বলটিতে ব্যাট লাগাতে পারেননি। সন্তুষ্ট থাকতে হয় ১ বাই-রান নিয়ে। 

আজ মিরপুরে বিপিএলের প্রথম কোয়ালিফায়ারে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে রংপুরের শুরুটা হয় দুঃস্বপ্নের মতন। অবশ্য ইনিংসের প্রথম দুই বলে দুই চার দিয়ে দারুণ শুরুর আভাস দিয়েছিলেন ওপেনার রনি তালুকদার। কিন্তু পরের ওভারে থেকে উইকেট উদ্‌যাপনে মাতেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের বোলাররা। 

শামীম হোসেন পাটওয়ারিকে দিয়ে শুরু। তানভির ইসলামের দ্বিতীয় বলেই ডাক নিয়ে ফেরেন রংপুর ওপেনার। এরপর পরের ওভারে বিদায় নেন রনি (১৩)। চতুর্থ ওভারে সাবেক কলকাতা নাইট রাইডার্স সতীর্থ আন্দ্রে রাসেল ফেরান সাকিব আল হাসানকে (৫)। সে ধাক্কা সামলানোর চেষ্টা করা শেখ মেহেদি হাসানকে (২২) ঘূর্ণিতে কাবু করেন আরেক ক্যারিবিয়ান তারকা সুনীল নারাইন। কিন্তু এরপর উইকেটের পেছনে দাঁড়িয়ে উল্টো দর্শক হয়ে নিশামের তাণ্ডব দেখতে হয়েছে লিটন দাসদের। কুমিল্লার বোলাররা কোনো সুবিধায় করতে পারেননি কিউই ব্যাটারের সামনে। 

রংপুরকে খাদ থেকে টেনে তোলেন নিশাম। তাঁর দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে দলীয় শতক পেরোয় দলটি। শুরু থেকেই তুফানের গতিতে ব্যাট চালানো কিউই অলরাউন্ডার আরও দানবীয় হয়ে ওঠেন ইনিংসের শেষদিকে। শেষ পাঁচ ওভারে রংপুর নিয়েছে ৬৮ রান। যার মধ্যে শেষ ওভারে ২ চার ও ৩ ছয়ে নেন ২৮ রান। ১৯ তম ওভার শেষে নিশামের রান ছিল ৭১ আর রংপুরের ৬ উইকেটে ১৫৭। কুমিল্লার হয়ে সবচেয়ে খরুচে বোলার মুশফিক। ৪ ওভারে ১ উইকেট নিয়ে দিয়েছেন ৭২ রান। ২ উইকেট নেন রাসেল।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত