ঠিক এক বছর আগে বড়দিনে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপের মহাশূন্য যাত্রা শুরু হয়। এই টেলিস্কোপের পরিকল্পনা, নকশা এবং নির্মাণে সময় লেগেছে তিন দশক। এটি বানাতে খরচ হয়েছে ১ হাজার কোটি ডলার।
বিখ্যাত হাবল স্পেস টেলিস্কোপের এই উত্তরসূরি আদৌ প্রত্যাশা পূরণ করতে পারবে কি না তা নিয়ে অনেকেই শঙ্কায় ছিলেন। কার্যকারিতা দেখতে অপেক্ষা করতে হয়েছিল কয়েক মাস। জেমস ওয়েবের তোলা প্রথম রঙিন ছবি প্রকাশ উপলক্ষে আমেরিকান, ইউরোপীয় এবং কানাডীয় মহাকাশ সংস্থাগুলো চলতি বছরের জুলাই মাসে একটি পার্টির আয়োজন করে। জেমস ওয়েবের তোলা কিছু অসাধারণ ছবি:
জেমস ওয়েব সম্পর্কে প্রথম যে জিনিসটি মনে রাখতে হবে তা হলো— এটি একটি ইনফ্রারেড টেলিস্কোপ। ইনফ্রারেড বোঝার জন্য আমাদের প্রথমে জানতে হবে আলোর তরঙ্গ দৈর্ঘ্য সম্বন্ধে। আলো মূলত একটি তড়িৎ চৌম্বক তরঙ্গ। দৃশ্যমান বর্ণালি বা দৃশ্য বর্ণালি বা আলোক বর্ণালি হচ্ছে তড়িৎ চুম্বকীয় বর্ণালির সেই অংশ যা মানুষের চোখে দৃশ্যমান অর্থাৎ যা মানুষের চোখ চিহ্নিত করতে পারে। এই তরঙ্গ দৈর্ঘ্য সীমার তড়িৎ চুম্বকীয় বিকিরণকে দৃশ্যমান আলো বা শুধু আলো বলে অভিহিত করা হয়।
আমরা যে সাতটি রং খালি চোখে দেখতে পারি তার মধ্যে লাল আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য সবচেয়ে বেশি। ইনফ্রারেড বলতে এমন তরঙ্গ বোঝায় যা লাল আলোর তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের চেয়ে বেশি। জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ সেই আলো তার ক্যামেরায় ধারণ করতে সক্ষম। গ্যাস এবং ধুলোয় পূর্ণ মহাজাগতিক অঞ্চলগুলি অন্বেষণে জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা বিভিন্ন ধরনের ক্যামেরা ব্যবহার করে থাকেন।
ঈগল নীহারিকা
পৃথিবী থেকে ৬ হাজার ৫০০ আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত ঈগল নেবুলা।
ক্যারিনা নীহারিকা
বিজ্ঞানীরা এই দৃশ্যকে বলছেন কসমিক ক্লিফস। তারকা গঠনকারী এই নীহারিকা ক্যারিনা নামে পরিচিত। চিত্রটির একপাশ থেকে অন্য পাশের দূরত্ব প্রায় ১৫ আলোকবর্ষ। এক আলোকবর্ষ প্রায় ৯ দশমিক ৪৬ ট্রিলিয়ন কিলোমিটার দূরত্বের সমান।
কার্টহুইল গ্যালাক্সি
সুইস জ্যোতির্বিজ্ঞানী ফ্রিটজ জুইকি ১৯৪০ এর দশকে এই বৃহৎ ছায়াপথটি আবিষ্কার করেছিলেন। এর জটিল চাকার মতো কাঠামো অন্য গ্যালাক্সির সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষের ফলাফল। এই গ্যালাক্সির ব্যাস প্রায় ১ লাখ ৪৫ হাজার আলোকবর্ষ।
নেপচুন গ্রহ
জেমস ওয়েব যে শুধু গভীর মহাবিশ্বের দিকে নজর দিয়েছে তা নয়, এটি আমাদের সৌরজগতের ভেতরেও অনুসন্ধান কার্যক্রম চালিয়েছে। নেপচুন সৌরজগতের অষ্টম গ্রহ। ছবিতে গ্রহটিকে এর বলয়সহ দেখা যাচ্ছে। এটিকে ঘিরে থাকা ছোট সাদা বিন্দুগুলো এবং ওপরের বড় বিন্দু হচ্ছে নেপচুনের চাঁদ। ওপরের চাঁদটির নাম ট্রাইটন, এটি নেপচুনের বৃহত্তম উপগ্রহ।
ওরিয়ন নীহারিকা
ওরিয়ন মহাকাশের সবচেয়ে পরিচিত অঞ্চলগুলোর মধ্যে একটি। এটি একটি নক্ষত্র-গঠনকারী অঞ্চল বা নীহারিকা। পৃথিবী থেকে এর দূরত্ব প্রায় ১ হাজার ৩৫০ আলোকবর্ষ। ছবিতে ওরিয়ন নেবুলাকে ঘন গ্যাস এবং ধূলিকণার একটি প্রাচীর মনে হচ্ছে।
ডিমারফোস গ্রহাণু
নাসা একটি একটি গ্রহাণুকে উদ্দেশ্য করে একটি মহাকাশযান চালায়। গ্রহাণুটির নাম দেওয়া হয় ডিমারফোস। ১৬০ মিটার প্রশস্ত পাথরের পথকে বিচ্যুত করা যায় কি না তা দেখতেই এই পরীক্ষা চালায় নাসা। এটি পৃথিবীর জন্য হুমকি স্বরূপ গ্রহাণুগুলো থেকে পৃথিবীকে রক্ষা করার কৌশলের একটি পরীক্ষা ছিল। মহাকাশ যানের আঘাতের ফলে গ্রহাণু থেকে ১ হাজার টন ধ্বংসাবশেষ ঝরে পড়ে।
ডব্লিউ আর-১৪০ নক্ষত্র
জেমস ওয়েবের তোলা ছবিগুলোর মধ্যে এটি সবচেয়ে আকর্ষণীয় বলা ধরা হচ্ছে। ডব্লিউআর–এর পূর্ণ রূপ উলফ-রায়েট। এটি আয়ুষ্কালের শেষ পর্যায়ে পৌঁছানো এক ধরনের বড় তারকা। উলফ-রায়েটস মহাকাশে বিশাল গ্যাসীয় বাতাস বয়ে বেড়ায়। ছবিতে দেখা যাচ্ছে, একটি অদেখা সহচর তারকা সেই বাতাসকে সংকুচিত করে ধূলিকণা তৈরি করছে। যে ধূলিময় শেলগুলো দেখা যাচ্ছে তা বাইরের দিকে ১০ ট্রিলিয়ন কিলোমিটারেরও বেশি প্রসারিত যা পৃথিবী এবং আমাদের সূর্যের মধ্যে দূরত্বের ৭০ হাজার গুন।
ফ্যান্টম গ্যালাক্সি
গ্যালাক্সি টির মূল নাম এম ৭৪। ফ্যান্টম গ্যালাক্সি মূলত এর ডাক নাম। গ্যালাক্সিটি এর জাঁকজমকপূর্ণ সর্পিল বাহুগুলোর জন্য পরিচিত। এটি পৃথিবী থেকে প্রায় ৩ কোটি ২০ লাখ আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত। গ্যালাক্সিটি প্রায় পৃথিবীর মুখোমুখি অবস্থান করছে।
ঠিক এক বছর আগে বড়দিনে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপের মহাশূন্য যাত্রা শুরু হয়। এই টেলিস্কোপের পরিকল্পনা, নকশা এবং নির্মাণে সময় লেগেছে তিন দশক। এটি বানাতে খরচ হয়েছে ১ হাজার কোটি ডলার।
বিখ্যাত হাবল স্পেস টেলিস্কোপের এই উত্তরসূরি আদৌ প্রত্যাশা পূরণ করতে পারবে কি না তা নিয়ে অনেকেই শঙ্কায় ছিলেন। কার্যকারিতা দেখতে অপেক্ষা করতে হয়েছিল কয়েক মাস। জেমস ওয়েবের তোলা প্রথম রঙিন ছবি প্রকাশ উপলক্ষে আমেরিকান, ইউরোপীয় এবং কানাডীয় মহাকাশ সংস্থাগুলো চলতি বছরের জুলাই মাসে একটি পার্টির আয়োজন করে। জেমস ওয়েবের তোলা কিছু অসাধারণ ছবি:
জেমস ওয়েব সম্পর্কে প্রথম যে জিনিসটি মনে রাখতে হবে তা হলো— এটি একটি ইনফ্রারেড টেলিস্কোপ। ইনফ্রারেড বোঝার জন্য আমাদের প্রথমে জানতে হবে আলোর তরঙ্গ দৈর্ঘ্য সম্বন্ধে। আলো মূলত একটি তড়িৎ চৌম্বক তরঙ্গ। দৃশ্যমান বর্ণালি বা দৃশ্য বর্ণালি বা আলোক বর্ণালি হচ্ছে তড়িৎ চুম্বকীয় বর্ণালির সেই অংশ যা মানুষের চোখে দৃশ্যমান অর্থাৎ যা মানুষের চোখ চিহ্নিত করতে পারে। এই তরঙ্গ দৈর্ঘ্য সীমার তড়িৎ চুম্বকীয় বিকিরণকে দৃশ্যমান আলো বা শুধু আলো বলে অভিহিত করা হয়।
আমরা যে সাতটি রং খালি চোখে দেখতে পারি তার মধ্যে লাল আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য সবচেয়ে বেশি। ইনফ্রারেড বলতে এমন তরঙ্গ বোঝায় যা লাল আলোর তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের চেয়ে বেশি। জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ সেই আলো তার ক্যামেরায় ধারণ করতে সক্ষম। গ্যাস এবং ধুলোয় পূর্ণ মহাজাগতিক অঞ্চলগুলি অন্বেষণে জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা বিভিন্ন ধরনের ক্যামেরা ব্যবহার করে থাকেন।
ঈগল নীহারিকা
পৃথিবী থেকে ৬ হাজার ৫০০ আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত ঈগল নেবুলা।
ক্যারিনা নীহারিকা
বিজ্ঞানীরা এই দৃশ্যকে বলছেন কসমিক ক্লিফস। তারকা গঠনকারী এই নীহারিকা ক্যারিনা নামে পরিচিত। চিত্রটির একপাশ থেকে অন্য পাশের দূরত্ব প্রায় ১৫ আলোকবর্ষ। এক আলোকবর্ষ প্রায় ৯ দশমিক ৪৬ ট্রিলিয়ন কিলোমিটার দূরত্বের সমান।
কার্টহুইল গ্যালাক্সি
সুইস জ্যোতির্বিজ্ঞানী ফ্রিটজ জুইকি ১৯৪০ এর দশকে এই বৃহৎ ছায়াপথটি আবিষ্কার করেছিলেন। এর জটিল চাকার মতো কাঠামো অন্য গ্যালাক্সির সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষের ফলাফল। এই গ্যালাক্সির ব্যাস প্রায় ১ লাখ ৪৫ হাজার আলোকবর্ষ।
নেপচুন গ্রহ
জেমস ওয়েব যে শুধু গভীর মহাবিশ্বের দিকে নজর দিয়েছে তা নয়, এটি আমাদের সৌরজগতের ভেতরেও অনুসন্ধান কার্যক্রম চালিয়েছে। নেপচুন সৌরজগতের অষ্টম গ্রহ। ছবিতে গ্রহটিকে এর বলয়সহ দেখা যাচ্ছে। এটিকে ঘিরে থাকা ছোট সাদা বিন্দুগুলো এবং ওপরের বড় বিন্দু হচ্ছে নেপচুনের চাঁদ। ওপরের চাঁদটির নাম ট্রাইটন, এটি নেপচুনের বৃহত্তম উপগ্রহ।
ওরিয়ন নীহারিকা
ওরিয়ন মহাকাশের সবচেয়ে পরিচিত অঞ্চলগুলোর মধ্যে একটি। এটি একটি নক্ষত্র-গঠনকারী অঞ্চল বা নীহারিকা। পৃথিবী থেকে এর দূরত্ব প্রায় ১ হাজার ৩৫০ আলোকবর্ষ। ছবিতে ওরিয়ন নেবুলাকে ঘন গ্যাস এবং ধূলিকণার একটি প্রাচীর মনে হচ্ছে।
ডিমারফোস গ্রহাণু
নাসা একটি একটি গ্রহাণুকে উদ্দেশ্য করে একটি মহাকাশযান চালায়। গ্রহাণুটির নাম দেওয়া হয় ডিমারফোস। ১৬০ মিটার প্রশস্ত পাথরের পথকে বিচ্যুত করা যায় কি না তা দেখতেই এই পরীক্ষা চালায় নাসা। এটি পৃথিবীর জন্য হুমকি স্বরূপ গ্রহাণুগুলো থেকে পৃথিবীকে রক্ষা করার কৌশলের একটি পরীক্ষা ছিল। মহাকাশ যানের আঘাতের ফলে গ্রহাণু থেকে ১ হাজার টন ধ্বংসাবশেষ ঝরে পড়ে।
ডব্লিউ আর-১৪০ নক্ষত্র
জেমস ওয়েবের তোলা ছবিগুলোর মধ্যে এটি সবচেয়ে আকর্ষণীয় বলা ধরা হচ্ছে। ডব্লিউআর–এর পূর্ণ রূপ উলফ-রায়েট। এটি আয়ুষ্কালের শেষ পর্যায়ে পৌঁছানো এক ধরনের বড় তারকা। উলফ-রায়েটস মহাকাশে বিশাল গ্যাসীয় বাতাস বয়ে বেড়ায়। ছবিতে দেখা যাচ্ছে, একটি অদেখা সহচর তারকা সেই বাতাসকে সংকুচিত করে ধূলিকণা তৈরি করছে। যে ধূলিময় শেলগুলো দেখা যাচ্ছে তা বাইরের দিকে ১০ ট্রিলিয়ন কিলোমিটারেরও বেশি প্রসারিত যা পৃথিবী এবং আমাদের সূর্যের মধ্যে দূরত্বের ৭০ হাজার গুন।
ফ্যান্টম গ্যালাক্সি
গ্যালাক্সি টির মূল নাম এম ৭৪। ফ্যান্টম গ্যালাক্সি মূলত এর ডাক নাম। গ্যালাক্সিটি এর জাঁকজমকপূর্ণ সর্পিল বাহুগুলোর জন্য পরিচিত। এটি পৃথিবী থেকে প্রায় ৩ কোটি ২০ লাখ আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত। গ্যালাক্সিটি প্রায় পৃথিবীর মুখোমুখি অবস্থান করছে।
চিংড়ি চাষের জন্য এক অমানবিক পদ্ধতি বেছে নেন খামারিরা। এটি এমন পদ্ধতি, যেখানে স্ত্রী চিংড়ির একটি বা উভয় চোখই কেটে বা উপড়ে ফেলা হয়। শুনতে এটি জলজ প্রাণী চাষে ব্যবহৃত বহুল প্রচলিত ও কার্যকর পদ্ধতি। ক্রাস্টেসিয়ান (খোলসযুক্ত জলজ প্রাণী) প্রাণীদের প্রজনন ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে এই পদ্ধতি। মূলত বাণিজ্যিক
১৪ ঘণ্টা আগেজনপ্রিয় সংগীতশিল্পী কেটি পেরি আরও পাঁচ নারীকে গতকাল সোমবার মহাকাশে এক সংক্ষিপ্ত অভিযানে গিয়েছিলেন। তাঁদের বহন করে নিয়ে গিয়েছিল বিলিয়নিয়ার জেফ বেজোসের একটি রকেট। বেজোসের বাগ্দত্তা লরেন সানচেজ, সাংবাদিক গেইল কিং, নাসার সাবেক রকেট বিজ্ঞানী আয়েশা বোয়ে, বিজ্ঞানী আমান্ডা নুয়েন এবং চলচ্চিত্র প্রযোজক...
১ দিন আগেবিশ্ববিখ্যাত পপ তারকা কেটি পেরি সহ আরও পাঁচজন নারী সফলভাবে মহাকাশ ভ্রমণ শেষে পৃথিবীতে নিরাপদে ফিরে এসেছেন। জেফ বেজোসের ব্লু অরিজিনের নিউ শেফার্ড রকেটের মাধ্যমে এই অভিযানে অংশ নিয়েছিলেন তাঁরা।
২ দিন আগেপয়লা বৈশাখ আজ। গ্রীষ্মের শুরু হলো। গরমের এই মৌসুমে তাপমাত্রার ঊর্ধ্বগতিতে নাভিশ্বাস উঠবে অনেকের। গরমে বেহাল অবস্থা হয় সবারই। তবে গবেষণা বলছে, গরমের সময় পুরুষদের তুলনায় নারীরা বেশি ঝুঁকিতে থাকে। তাপ সহ্য করার ক্ষমতা, জৈবিক, শারীরিক, সামাজিক ও হরমোনজনিত নানা কারণে এ পার্থক্য হয়ে থাকে।
২ দিন আগে