পিঁপড়া থেকে মাছ, কাক, অনেক প্রাণী হাতিয়ার হিসেবে পাথর ব্যবহার করে। কিন্তু সাম্প্রতিক কাল পর্যন্ত শুধু মানুষ এবং মানুষের পূর্বপুরুষদের (আত্মীয় প্রজাতি) পাথরের হাতিয়ার ব্যবহারের একটি স্বীকৃত প্রত্নতাত্ত্বিক রেকর্ড ছিল। এখন বিজ্ঞানীরা স্বীকার করছেন, এ ধরনের হাতিয়ার ব্যবহারে দক্ষ শুধু হোমিনিনরাই ছিল না। অর্থাৎ, শুধু মানুষ বা তাদের আত্মীয় প্রজাতিই নয়, অন্য প্রজাতিও ‘প্রস্তর যুগে’ প্রবেশ করেছিল!
সাম্প্রতিক গবেষণা দেখা গেছে, প্রস্তর যুগ মানুষের একচেটিয়া সভ্যতা নয়। শিম্পাঞ্জি, ক্যাপুচিন বানর এবং লম্বা লেজওয়ালা ম্যাকাকও প্রস্তর যুগ পার করেছে। প্রত্নতাত্ত্বিক প্রমাণ রয়েছে যে, এসব প্রজাতি অতীতে পাথরের সরঞ্জাম ব্যবহার করত। সামুদ্রিক ভোঁদড়ও সম্ভবত পরবর্তীতে এই ক্লাবে যোগ দিয়েছে।
প্রাইমেট প্রজাতির প্রতিটিরই হাতিয়ার ব্যবহারের দক্ষতা আছে। এটি সামাজিকভাবে শেখা একটি আচরণ। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাইমেট প্রত্নতাত্ত্বিক ক্যাটারিনা আলমেদা–ওয়ারেন বলেন, এটি ওদের সংস্কৃতির অংশ হয়ে উঠেছে। ক্যাটারিনা শিম্পাঞ্জি নিয়ে গবেষণা করেন।
তিনি বলেন, বিভিন্ন গ্রুপ বিভিন্ন টুল ব্যবহার করে। উদাহরণস্বরূপ কিছু শিম্পাঞ্জি গোষ্ঠী নারিকেল জাতীয় ফল ভাঙার জন্য একটি সমতল পৃষ্ঠ বিশিষ্ট পাথরের ওপর রেখে আরেকটি ভারী পাথর বা শিলা দিয়ে আঘাত করার কৌশল জানে।
শিম্পাঞ্জিরা (প্যান ট্রোগ্লোডাইটস) হাজার বছর ধরে হাতুড়ি এবং পাথর বা শিলার মুগুরের মতো হাতিয়ার ব্যবহার করে আসছে। প্রসিডিংস অব দ্য ন্যাশনাল একাডেমি অব সায়েন্সেস জার্নালে ২০০৭ সালে প্রকাশিত গবেষণা অনুসারে, আইভরি কোস্টের শিম্পাঞ্জিরা ৪ হাজার ৩০০ বছর আগেও শিম্পাঞ্জিরা এ ধরনের ব্যবহার করত। তথাকথিত এই ‘শিম্পাঞ্জি প্রস্তর যুগ’ আফ্রিকার চিরহরিৎ অংশে বসতি স্থাপনকারী মানুষের আগমনেরও অনেক আগের ঘটনা।
ব্রাজিলের ক্যাপুচিন বানর (সাপাজুস লিবিডিনোসাস) নারিকেল জাতীয় ফল ফাটানোর জন্য পাথরের হাতিয়ার ব্যবহার করে। গবেষকেরা ৩ হাজার বছর আগে ক্যাপুচিনদের ব্যবহৃত নারিকেল ফাটার কাজে ব্যবহৃত পাথর আবিষ্কার করেছেন। নেচার ইকোলজি অ্যান্ড ইভোলিউশন জার্নালে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে, বিভিন্ন খাবার সংগ্রহ ও প্রক্রিয়ার ভিত্তিতে এদের সরঞ্জামের শৈলীগুলোতেও হাজার হাজার বছর ধরে পরিবর্তিত হয়ে এসেছে।
থাইল্যান্ডের একটি সমুদ্র সৈকতে একটি গবেষক দল পাথরের হাতিয়ার খুঁজে পেয়েছেন। বলা হচ্ছে, একসময় বার্মিজ লম্ব লেজ বিশিষ্ট ম্যাকাক নারিকেল জাতীয় ফলের খোলস ছাড়ানোর জন্য এটি ব্যবহার করত। জার্নাল অব হিউম্যান ইভোলিউশনে ২০১৩ সালের একটি গবেষণাপত্র অনুসারে, এই সরঞ্জামগুলো সম্ভবত ১৯৫০ এবং ২০০৪ সালের এর মধ্যে ব্যবহার করা হয়েছে।
এই প্রাইমেটরা কীভাবে পাথরের সরঞ্জাম ব্যবহার করতে শিখেছিল তা স্পষ্ট নয়। শিম্পাঞ্জিদের ক্ষেত্রে একেবারে প্রাথমিককালের পাথরের সরঞ্জামগুলো থেকে ধারণা করা যায়, এরা ‘মুগুরের মতো বস্তু ব্যবহারের সংস্কৃতি’ মানুষ এবং শিম্পাঞ্জিদের একটি সাধারণ পূর্বপুরুষ থেকে উত্তরাধিকারসূত্রে পেয়েছিল।
তবে এটাও সম্ভব যে, মানুষ এবং শিম্পাঞ্জিরা একে অপরের থেকে স্বাধীনভাবে পাথরের হাতিয়ার ব্যবহার করতে শিখেছে। পাথরের হাতিয়ার ব্যবহারে দক্ষ অন্যান্য প্রাণীর ক্ষেত্রেও সেটিই হতে পারে।
সাও পাওলো বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববিজ্ঞানী এবং প্রাইমাটোলজিস্ট তিয়াগো ফালোতিকো বলেন, পাথরের সরঞ্জামগুলো একটা অস্পষ্টতা রয়েছে। ফালোতিকো ক্যাপুচিন টুলস গবেষণার সহ–লেখক ছিলেন। তিনি বলেন, কিন্তু কোনো প্রাণী প্রজাতির ‘প্রস্তর যুগে’ প্রবেশ করার অর্থ এই নয় যে, সেই প্রজাতি শিগগিরই যে কোনও সময় মানব প্রজাতিতে উন্নীত হওয়ার পথ অনুসরণ করবে। এর অর্থ এই নয় যে, পাথরের সরঞ্জাম ব্যবহারকারীরা অন্যান্য সরঞ্জাম ব্যবহারকারী প্রাণীর তুলনায় বুদ্ধিমান।
২০২২ সালে আর্জেন্টিনার একটি গবেষক দল অনুমান করেছিলেন, ব্রাজিলে ৫০ হাজার বছর আগের ‘মানব বসতি’ আসলে ক্যাপুচিন বানরেরাই পত্তন করেছিল। দ্য হোলোসিন জার্নালে এই গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছিল। গবেষকেরা দেখেছেন, পাথরের সরঞ্জামগুলো কোয়ার্টজাইট এবং কোয়ার্টজ কোবল থেকে তৈরি। এগুলো ব্রাজিলের দ্য গ্রেট ক্যাপিভারা ন্যাশনাল পার্কে বর্তমানের ক্যাপুচিন বানরদের তৈরি সরঞ্জামগুলোর মতোই।
এ ব্যাপারে ফালোতিকো বলেন, এই গবেষণাটি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দিতে পারে না। এটি নিয়ে আরও অনুসন্ধান ও বিশ্লেষণ প্রয়োজন। কিন্তু যদি এটি সত্য হয় তাহলে, হাজার হাজার বছর ধরে পাথরের হাতিয়ার ব্যবহারে দক্ষ ক্যাপুচিন বানরের প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনগুলো সপক্ষেই শক্ত ভিত্তি তৈরি করবে এবং ওই সময় মানুষের দক্ষিণ আমেরিকায় বসতি স্থাপন নিয়ে যে বিতর্ক রয়েছে সেটিই জারি থাকবে।
কোন সরঞ্জামগুলো কোন প্রজাতি ব্যবহার করত এটি জানা গেলে, অন্য প্রজাতির তৈরি সরঞ্জামগুলো পরোক্ষভাবে মানব প্রত্নতত্ত্ব সম্পর্কেও ধারণা দিতে পারে। আলমেইদা–ওয়ারেন বলেন, ৩৩ লাখ বছর আগের প্রাচীনতম হোমিনিন–নির্মিত সরঞ্জাম আংশিকভাবে পাওয়া যায়। কারণ প্রাইমেটদের তৈরি সরঞ্জামগুলো প্রত্নতাত্ত্বিকদের ধারণা দিতে পারে মানুষের প্রাচীন হাতিয়ার খুঁজতে তাঁদের কী সন্ধান করতে হবে।
এই গবেষক আরও বলেন, শুধু মানুষের জন্য ‘প্রস্তর যুগ’ বলে একটি নির্দিষ্ট সময়ে পাথরের হাতিয়ার ব্যবহারকে বোঝানো হয়। কিন্তু মানুষ তো শুধু পাথরের হাতিয়ার ব্যবহার করেনি। অন্য প্রজাতিগুলোর ‘প্রস্তর যুগ’ও তেমনি। বর্তমান সময়ে প্রাইমেটদের ব্যবহৃত সরঞ্জামগুলোর অধ্যয়ন গবেষকদের মানব সরঞ্জামগুলো সম্পর্কে ধারণা দিতে পারে। সেগুলোর অস্তিত্ব হয়তো এখন অনেকখানিই বিলুপ্ত হয়ে গেছে।
উদাহরণস্বরূপ, শিম্পাঞ্জিরা মাছ ধরতে গাছের লম্বা ছাল ব্যবহার করে যেগুলোর মধ্যে শুঁয়োপোকা থাকত। শুঁয়োপোকা এরা টোপ হিসেবে ব্যবহার করে। এ ছাড়া ক্ষত সারানোর জন্য এরা ঔষধি লতাপাতাও ব্যবহার করে। অনেক ক্ষেত্রে উদ্ভিদের ব্যবহার আরও জটিল বলে উল্লেখ করেন আলমেইদা–ওয়ারেন।
মানুষ ছাড়া অন্য প্রজাতির প্রত্নতত্ত্বও সময়ের সঙ্গে এই প্রজাতির আচরণের বিবর্তনের ওপর আলোকপাত করতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, প্রাচীন ক্যাপুচিন বানর অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে দেখা যায়, বিভিন্ন খাবার সংগ্রহের জন্য এই বানরেরা শতাব্দী ধরে এদের হাতিয়ারগুলোতেও পরিবর্তন এনেছে।
ক্যালিফোর্নিয়ার গবেষকেরা দেখেছেন, সামুদ্রিক ভোঁদড়েরা পাথরের ওপর রেখে ঝিনুকের খোলস ফাটিয়ে নেয়। সায়েন্টিফিক রিপোর্ট জার্নালে ২০১৯ সালে প্রকাশিত একটি সমীক্ষা অনুসারে, গবেষকেরা সামুদ্রিক ভোঁদড়ের ব্যবহৃত পাথর শনাক্ত করতে পেরেছেন।
উত্তর আমেরিকার পশ্চিম উপকূল বরাবর সামুদ্রিক ভোঁদড়ের সংখ্যা কমে গেছে। এখন যেহেতু গবেষকেরা জানেন তাঁদের কী অনুসন্ধান করতে হবে, সেহেতু ভোঁদড়ের বসতিগুলোর ইতিহাস এবং এরা যে বাস্তুতন্ত্রকে প্রভাবিত করেছে সেগুলো খুঁজে বের করতে পারার আশা করছেন।
পিঁপড়া থেকে মাছ, কাক, অনেক প্রাণী হাতিয়ার হিসেবে পাথর ব্যবহার করে। কিন্তু সাম্প্রতিক কাল পর্যন্ত শুধু মানুষ এবং মানুষের পূর্বপুরুষদের (আত্মীয় প্রজাতি) পাথরের হাতিয়ার ব্যবহারের একটি স্বীকৃত প্রত্নতাত্ত্বিক রেকর্ড ছিল। এখন বিজ্ঞানীরা স্বীকার করছেন, এ ধরনের হাতিয়ার ব্যবহারে দক্ষ শুধু হোমিনিনরাই ছিল না। অর্থাৎ, শুধু মানুষ বা তাদের আত্মীয় প্রজাতিই নয়, অন্য প্রজাতিও ‘প্রস্তর যুগে’ প্রবেশ করেছিল!
সাম্প্রতিক গবেষণা দেখা গেছে, প্রস্তর যুগ মানুষের একচেটিয়া সভ্যতা নয়। শিম্পাঞ্জি, ক্যাপুচিন বানর এবং লম্বা লেজওয়ালা ম্যাকাকও প্রস্তর যুগ পার করেছে। প্রত্নতাত্ত্বিক প্রমাণ রয়েছে যে, এসব প্রজাতি অতীতে পাথরের সরঞ্জাম ব্যবহার করত। সামুদ্রিক ভোঁদড়ও সম্ভবত পরবর্তীতে এই ক্লাবে যোগ দিয়েছে।
প্রাইমেট প্রজাতির প্রতিটিরই হাতিয়ার ব্যবহারের দক্ষতা আছে। এটি সামাজিকভাবে শেখা একটি আচরণ। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাইমেট প্রত্নতাত্ত্বিক ক্যাটারিনা আলমেদা–ওয়ারেন বলেন, এটি ওদের সংস্কৃতির অংশ হয়ে উঠেছে। ক্যাটারিনা শিম্পাঞ্জি নিয়ে গবেষণা করেন।
তিনি বলেন, বিভিন্ন গ্রুপ বিভিন্ন টুল ব্যবহার করে। উদাহরণস্বরূপ কিছু শিম্পাঞ্জি গোষ্ঠী নারিকেল জাতীয় ফল ভাঙার জন্য একটি সমতল পৃষ্ঠ বিশিষ্ট পাথরের ওপর রেখে আরেকটি ভারী পাথর বা শিলা দিয়ে আঘাত করার কৌশল জানে।
শিম্পাঞ্জিরা (প্যান ট্রোগ্লোডাইটস) হাজার বছর ধরে হাতুড়ি এবং পাথর বা শিলার মুগুরের মতো হাতিয়ার ব্যবহার করে আসছে। প্রসিডিংস অব দ্য ন্যাশনাল একাডেমি অব সায়েন্সেস জার্নালে ২০০৭ সালে প্রকাশিত গবেষণা অনুসারে, আইভরি কোস্টের শিম্পাঞ্জিরা ৪ হাজার ৩০০ বছর আগেও শিম্পাঞ্জিরা এ ধরনের ব্যবহার করত। তথাকথিত এই ‘শিম্পাঞ্জি প্রস্তর যুগ’ আফ্রিকার চিরহরিৎ অংশে বসতি স্থাপনকারী মানুষের আগমনেরও অনেক আগের ঘটনা।
ব্রাজিলের ক্যাপুচিন বানর (সাপাজুস লিবিডিনোসাস) নারিকেল জাতীয় ফল ফাটানোর জন্য পাথরের হাতিয়ার ব্যবহার করে। গবেষকেরা ৩ হাজার বছর আগে ক্যাপুচিনদের ব্যবহৃত নারিকেল ফাটার কাজে ব্যবহৃত পাথর আবিষ্কার করেছেন। নেচার ইকোলজি অ্যান্ড ইভোলিউশন জার্নালে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে, বিভিন্ন খাবার সংগ্রহ ও প্রক্রিয়ার ভিত্তিতে এদের সরঞ্জামের শৈলীগুলোতেও হাজার হাজার বছর ধরে পরিবর্তিত হয়ে এসেছে।
থাইল্যান্ডের একটি সমুদ্র সৈকতে একটি গবেষক দল পাথরের হাতিয়ার খুঁজে পেয়েছেন। বলা হচ্ছে, একসময় বার্মিজ লম্ব লেজ বিশিষ্ট ম্যাকাক নারিকেল জাতীয় ফলের খোলস ছাড়ানোর জন্য এটি ব্যবহার করত। জার্নাল অব হিউম্যান ইভোলিউশনে ২০১৩ সালের একটি গবেষণাপত্র অনুসারে, এই সরঞ্জামগুলো সম্ভবত ১৯৫০ এবং ২০০৪ সালের এর মধ্যে ব্যবহার করা হয়েছে।
এই প্রাইমেটরা কীভাবে পাথরের সরঞ্জাম ব্যবহার করতে শিখেছিল তা স্পষ্ট নয়। শিম্পাঞ্জিদের ক্ষেত্রে একেবারে প্রাথমিককালের পাথরের সরঞ্জামগুলো থেকে ধারণা করা যায়, এরা ‘মুগুরের মতো বস্তু ব্যবহারের সংস্কৃতি’ মানুষ এবং শিম্পাঞ্জিদের একটি সাধারণ পূর্বপুরুষ থেকে উত্তরাধিকারসূত্রে পেয়েছিল।
তবে এটাও সম্ভব যে, মানুষ এবং শিম্পাঞ্জিরা একে অপরের থেকে স্বাধীনভাবে পাথরের হাতিয়ার ব্যবহার করতে শিখেছে। পাথরের হাতিয়ার ব্যবহারে দক্ষ অন্যান্য প্রাণীর ক্ষেত্রেও সেটিই হতে পারে।
সাও পাওলো বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববিজ্ঞানী এবং প্রাইমাটোলজিস্ট তিয়াগো ফালোতিকো বলেন, পাথরের সরঞ্জামগুলো একটা অস্পষ্টতা রয়েছে। ফালোতিকো ক্যাপুচিন টুলস গবেষণার সহ–লেখক ছিলেন। তিনি বলেন, কিন্তু কোনো প্রাণী প্রজাতির ‘প্রস্তর যুগে’ প্রবেশ করার অর্থ এই নয় যে, সেই প্রজাতি শিগগিরই যে কোনও সময় মানব প্রজাতিতে উন্নীত হওয়ার পথ অনুসরণ করবে। এর অর্থ এই নয় যে, পাথরের সরঞ্জাম ব্যবহারকারীরা অন্যান্য সরঞ্জাম ব্যবহারকারী প্রাণীর তুলনায় বুদ্ধিমান।
২০২২ সালে আর্জেন্টিনার একটি গবেষক দল অনুমান করেছিলেন, ব্রাজিলে ৫০ হাজার বছর আগের ‘মানব বসতি’ আসলে ক্যাপুচিন বানরেরাই পত্তন করেছিল। দ্য হোলোসিন জার্নালে এই গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছিল। গবেষকেরা দেখেছেন, পাথরের সরঞ্জামগুলো কোয়ার্টজাইট এবং কোয়ার্টজ কোবল থেকে তৈরি। এগুলো ব্রাজিলের দ্য গ্রেট ক্যাপিভারা ন্যাশনাল পার্কে বর্তমানের ক্যাপুচিন বানরদের তৈরি সরঞ্জামগুলোর মতোই।
এ ব্যাপারে ফালোতিকো বলেন, এই গবেষণাটি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দিতে পারে না। এটি নিয়ে আরও অনুসন্ধান ও বিশ্লেষণ প্রয়োজন। কিন্তু যদি এটি সত্য হয় তাহলে, হাজার হাজার বছর ধরে পাথরের হাতিয়ার ব্যবহারে দক্ষ ক্যাপুচিন বানরের প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনগুলো সপক্ষেই শক্ত ভিত্তি তৈরি করবে এবং ওই সময় মানুষের দক্ষিণ আমেরিকায় বসতি স্থাপন নিয়ে যে বিতর্ক রয়েছে সেটিই জারি থাকবে।
কোন সরঞ্জামগুলো কোন প্রজাতি ব্যবহার করত এটি জানা গেলে, অন্য প্রজাতির তৈরি সরঞ্জামগুলো পরোক্ষভাবে মানব প্রত্নতত্ত্ব সম্পর্কেও ধারণা দিতে পারে। আলমেইদা–ওয়ারেন বলেন, ৩৩ লাখ বছর আগের প্রাচীনতম হোমিনিন–নির্মিত সরঞ্জাম আংশিকভাবে পাওয়া যায়। কারণ প্রাইমেটদের তৈরি সরঞ্জামগুলো প্রত্নতাত্ত্বিকদের ধারণা দিতে পারে মানুষের প্রাচীন হাতিয়ার খুঁজতে তাঁদের কী সন্ধান করতে হবে।
এই গবেষক আরও বলেন, শুধু মানুষের জন্য ‘প্রস্তর যুগ’ বলে একটি নির্দিষ্ট সময়ে পাথরের হাতিয়ার ব্যবহারকে বোঝানো হয়। কিন্তু মানুষ তো শুধু পাথরের হাতিয়ার ব্যবহার করেনি। অন্য প্রজাতিগুলোর ‘প্রস্তর যুগ’ও তেমনি। বর্তমান সময়ে প্রাইমেটদের ব্যবহৃত সরঞ্জামগুলোর অধ্যয়ন গবেষকদের মানব সরঞ্জামগুলো সম্পর্কে ধারণা দিতে পারে। সেগুলোর অস্তিত্ব হয়তো এখন অনেকখানিই বিলুপ্ত হয়ে গেছে।
উদাহরণস্বরূপ, শিম্পাঞ্জিরা মাছ ধরতে গাছের লম্বা ছাল ব্যবহার করে যেগুলোর মধ্যে শুঁয়োপোকা থাকত। শুঁয়োপোকা এরা টোপ হিসেবে ব্যবহার করে। এ ছাড়া ক্ষত সারানোর জন্য এরা ঔষধি লতাপাতাও ব্যবহার করে। অনেক ক্ষেত্রে উদ্ভিদের ব্যবহার আরও জটিল বলে উল্লেখ করেন আলমেইদা–ওয়ারেন।
মানুষ ছাড়া অন্য প্রজাতির প্রত্নতত্ত্বও সময়ের সঙ্গে এই প্রজাতির আচরণের বিবর্তনের ওপর আলোকপাত করতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, প্রাচীন ক্যাপুচিন বানর অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে দেখা যায়, বিভিন্ন খাবার সংগ্রহের জন্য এই বানরেরা শতাব্দী ধরে এদের হাতিয়ারগুলোতেও পরিবর্তন এনেছে।
ক্যালিফোর্নিয়ার গবেষকেরা দেখেছেন, সামুদ্রিক ভোঁদড়েরা পাথরের ওপর রেখে ঝিনুকের খোলস ফাটিয়ে নেয়। সায়েন্টিফিক রিপোর্ট জার্নালে ২০১৯ সালে প্রকাশিত একটি সমীক্ষা অনুসারে, গবেষকেরা সামুদ্রিক ভোঁদড়ের ব্যবহৃত পাথর শনাক্ত করতে পেরেছেন।
উত্তর আমেরিকার পশ্চিম উপকূল বরাবর সামুদ্রিক ভোঁদড়ের সংখ্যা কমে গেছে। এখন যেহেতু গবেষকেরা জানেন তাঁদের কী অনুসন্ধান করতে হবে, সেহেতু ভোঁদড়ের বসতিগুলোর ইতিহাস এবং এরা যে বাস্তুতন্ত্রকে প্রভাবিত করেছে সেগুলো খুঁজে বের করতে পারার আশা করছেন।
লন্ডনের মুরফিল্ডস আই হসপিটালে একদল দৃষ্টিহীন রোগীর চোখে অত্যাধুনিক একটি ইমপ্লান্ট সফলভাবে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। এর ফলে রোগীরা এখন দেখতে পারছেন। চিকিৎসকদের দাবি, আন্তর্জাতিক এই ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের ফলাফল ‘চমকপ্রদ’।
২ দিন আগে‘ইভেন্টউড’ নামে একটি মার্কিন কোম্পানি এমন এক ধরনের কাঠ তৈরি করেছে, যার শক্তি ইস্পাতের চেয়ে প্রায় ১০ গুণ বেশি এবং ওজন ছয় গুণ কম। এই কাঠের নাম দেওয়া হয়েছে ‘সুপারউড’। কোম্পানিটি ইতিমধ্যে বাণিজ্যিকভাবে এই কাঠের উৎপাদন শুরু করেছে।
৮ দিন আগেআন্তর্জাতিক অঙ্গনে খ্যাতিমান রসায়নবিদ ড. ওমর ইয়াঘি রসায়নে নোবেল পুরস্কার অর্জন করেছেন। তিনি দ্বিতীয় মুসলিম বিজ্ঞানী হিসেবে রসায়নে নোবেল জয় করলেন। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াই এবং শুষ্ক অঞ্চল থেকে পানীয় জল সংগ্রহের প্রযুক্তিতে তাঁর যুগান্তকারী গবেষণার জন্য তিনি বিশ্বজুড়ে পরিচিত।
১৪ দিন আগেচলতি বছর রসায়নে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন তিন বিজ্ঞানী—সুসুমু কিতাগাওয়া, রিচার্ড রবসন ও ওমর এম ইয়াঘি। আজ বুধবার সুইডেনের রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি অব সায়েন্সেস এ পুরস্কারের বিজয়ী হিসেবে তাঁদের নাম ঘোষণা করেছে। নোবেল কমিটি জানিয়েছে, তাঁরা ‘মেটাল-অর্গানিক ফ্রেমওয়ার্কসের বিকাশ’ ঘটানোর জন্য এ সম্মাননা পাচ্ছেন।
১৫ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
লন্ডনের মুরফিল্ডস আই হসপিটালে একদল দৃষ্টিহীন রোগীর চোখে অত্যাধুনিক একটি ইমপ্লান্ট সফলভাবে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। এর ফলে রোগীরা এখন দেখতে পারছেন। চিকিৎসকদের দাবি, আন্তর্জাতিক এই ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের ফলাফল ‘চমকপ্রদ’।
সত্তর বছর বয়সী দৃষ্টিহীন রোগী শিলা আরভিন, এই প্রযুক্তির সাহায্যে আবার বই পড়তে এবং ক্রসওয়ার্ড মেলাতে পারছেন। বিবিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এটিকে ‘অভূতপূর্ব’ এক অভিজ্ঞতা বলে বর্ণনা করেন।
‘ড্রাই এজ-রিলেটেড মাকুলার ডিজেনারেশন’-এর জটিল পর্যায়, যা জিওগ্রাফিক অ্যাট্রোফি নামে পরিচিত—এই পর্যায়ে থাকা রোগীদের জন্য এই প্রযুক্তিটি নতুন আশার সঞ্চার করেছে। বয়স্কদের মধ্যে এই রোগটি বেশি দেখা যায়। এই রোগে রেটিনার একটি ক্ষুদ্র অংশে থাকা কোষগুলো ধীরে ধীরে ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং মারা যায়। ফলস্বরূপ রোগীর দৃষ্টি ঝাপসা বা বিকৃত হয়ে যায়।
বিশ্বজুড়ে প্রায় ৫০ লাখ এবং শুধু যুক্তরাজ্যেই আড়াই লাখেরও বেশি মানুষ এই সমস্যায় ভুগছেন।
ক্যালিফোর্নিয়া ভিত্তিক বায়োটেক সংস্থা সায়েন্স করপোরেশনের তৈরি ‘প্রিমা ইমপ্লান্ট’ নামক এই মাইক্রোচিপটিই এই সাফল্যের মূল ভিত্তি। এটি যেভাবে কাজ করে:
ইমপ্লান্ট স্থাপন: একটি অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে মানুষের চুলের মতো পাতলা, ২ মিলিমিটার আয়তনের বর্গাকার একটি ফটোভোলটাইক মাইক্রোচিপ রেটিনার ঠিক নিচে স্থাপন করা হয়।
ছবি গ্রহণ: রোগীরা এরপর বিশেষ এক ধরনের চশমা পরেন, এতে একটি বিল্ট-ইন ভিডিও ক্যামেরা যুক্ত থাকে।
মস্তিষ্কে তথ্য পাঠানো: এই ক্যামেরাটি ইনফ্রারেড রশ্মির মাধ্যমে ভিডিও চিত্র ইমপ্লান্টে পাঠায়। ইমপ্লান্ট সেই তথ্যকে একটি ছোট পকেট-আকারের প্রসেসরে পাঠায়, যেখানে ছবিটি আরও স্পষ্ট করা হয়। এরপর উন্নত এই প্রতিচ্ছবিটি ইমপ্লান্ট এবং অপটিক নার্ভের মাধ্যমে রোগীর মস্তিষ্কে ফিরে যায়। মস্তিষ্ক সেটি প্রক্রিয়া করে রোগীর দৃষ্টিশক্তি ফিরিয়ে দেয়।
মুরফিল্ডস আই হসপিটালের কনসালট্যান্ট অপথ্যালমিক সার্জন ড. মাহী মুকিত, যুক্তরাজ্যের এই ট্রায়ালের নেতৃত্ব দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘এটি প্রথম ইমপ্লান্ট যা রোগীদের দৃষ্টি ফিরিয়ে দিয়েছে। তাঁরা পড়া এবং লেখার মতো কাজে এটি ব্যবহার করতে পারছেন। আমি মনে করি এটি একটি বড় অগ্রগতি।’
নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অব মেডিসিন-এ প্রকাশিত গবেষণা প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইউরোপের পাঁচটি দেশের ৩৮ জন রোগী এই প্রিমা ইমপ্লান্ট ট্রায়ালে অংশ নেন। ৩২ জন রোগীর চোখে ইমপ্লান্ট বসানো হয়, যার মধ্যে ২৭ জন পড়তে সক্ষম হয়েছেন। এক বছর পর, তাঁদের দৃষ্টিশক্তি আরও উন্নত হয়।
উইল্টশায়ারের বাসিন্দা শিলা আরভিন ৩০ বছর আগে তাঁর দৃষ্টিশক্তি হারাতে শুরু করেন। ইমপ্লান্ট বসানোর পর তিনি এখন চিঠি, বই পড়তে পারছেন, সুডোকু খেলতে পারছেন। তিনি আনন্দে উচ্ছ্বসিত হয়ে বলেন, ‘আমি খুবই খুশি। প্রযুক্তি এত দ্রুত এগোচ্ছে, আমি এর অংশ হতে পেরেছি।’
ড. মুকিত আশা প্রকাশ করেছেন, এই প্রযুক্তিটি আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই যুক্তরাজ্যের সরকারি স্বাস্থ্য পরিষেবা সংস্থা ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস (এনএইচএস)-এর রোগীদের জন্য ব্যবহার করা যাবে। মাকুলার সোসাইটির গবেষণা পরিচালক ড. পিটার ব্লুমফিল্ড এই ফলাফলকে ‘উৎসাহব্যঞ্জক’ এবং চিকিৎসায় নিরাময় অযোগ্য এই রোগে আক্রান্তদের জন্য ‘দারুণ খবর’ বলে অভিহিত করেছেন।
তবে যাদের চোখের অপটিক নার্ভ (যেটি রেটিনা থেকে মস্তিষ্কে সংকেত পাঠায়) ঠিকমতো কাজ করে না তাদের জন্য এই প্রযুক্তি কাজে আসবে না।
লন্ডনের মুরফিল্ডস আই হসপিটালে একদল দৃষ্টিহীন রোগীর চোখে অত্যাধুনিক একটি ইমপ্লান্ট সফলভাবে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। এর ফলে রোগীরা এখন দেখতে পারছেন। চিকিৎসকদের দাবি, আন্তর্জাতিক এই ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের ফলাফল ‘চমকপ্রদ’।
সত্তর বছর বয়সী দৃষ্টিহীন রোগী শিলা আরভিন, এই প্রযুক্তির সাহায্যে আবার বই পড়তে এবং ক্রসওয়ার্ড মেলাতে পারছেন। বিবিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এটিকে ‘অভূতপূর্ব’ এক অভিজ্ঞতা বলে বর্ণনা করেন।
‘ড্রাই এজ-রিলেটেড মাকুলার ডিজেনারেশন’-এর জটিল পর্যায়, যা জিওগ্রাফিক অ্যাট্রোফি নামে পরিচিত—এই পর্যায়ে থাকা রোগীদের জন্য এই প্রযুক্তিটি নতুন আশার সঞ্চার করেছে। বয়স্কদের মধ্যে এই রোগটি বেশি দেখা যায়। এই রোগে রেটিনার একটি ক্ষুদ্র অংশে থাকা কোষগুলো ধীরে ধীরে ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং মারা যায়। ফলস্বরূপ রোগীর দৃষ্টি ঝাপসা বা বিকৃত হয়ে যায়।
বিশ্বজুড়ে প্রায় ৫০ লাখ এবং শুধু যুক্তরাজ্যেই আড়াই লাখেরও বেশি মানুষ এই সমস্যায় ভুগছেন।
ক্যালিফোর্নিয়া ভিত্তিক বায়োটেক সংস্থা সায়েন্স করপোরেশনের তৈরি ‘প্রিমা ইমপ্লান্ট’ নামক এই মাইক্রোচিপটিই এই সাফল্যের মূল ভিত্তি। এটি যেভাবে কাজ করে:
ইমপ্লান্ট স্থাপন: একটি অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে মানুষের চুলের মতো পাতলা, ২ মিলিমিটার আয়তনের বর্গাকার একটি ফটোভোলটাইক মাইক্রোচিপ রেটিনার ঠিক নিচে স্থাপন করা হয়।
ছবি গ্রহণ: রোগীরা এরপর বিশেষ এক ধরনের চশমা পরেন, এতে একটি বিল্ট-ইন ভিডিও ক্যামেরা যুক্ত থাকে।
মস্তিষ্কে তথ্য পাঠানো: এই ক্যামেরাটি ইনফ্রারেড রশ্মির মাধ্যমে ভিডিও চিত্র ইমপ্লান্টে পাঠায়। ইমপ্লান্ট সেই তথ্যকে একটি ছোট পকেট-আকারের প্রসেসরে পাঠায়, যেখানে ছবিটি আরও স্পষ্ট করা হয়। এরপর উন্নত এই প্রতিচ্ছবিটি ইমপ্লান্ট এবং অপটিক নার্ভের মাধ্যমে রোগীর মস্তিষ্কে ফিরে যায়। মস্তিষ্ক সেটি প্রক্রিয়া করে রোগীর দৃষ্টিশক্তি ফিরিয়ে দেয়।
মুরফিল্ডস আই হসপিটালের কনসালট্যান্ট অপথ্যালমিক সার্জন ড. মাহী মুকিত, যুক্তরাজ্যের এই ট্রায়ালের নেতৃত্ব দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘এটি প্রথম ইমপ্লান্ট যা রোগীদের দৃষ্টি ফিরিয়ে দিয়েছে। তাঁরা পড়া এবং লেখার মতো কাজে এটি ব্যবহার করতে পারছেন। আমি মনে করি এটি একটি বড় অগ্রগতি।’
নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অব মেডিসিন-এ প্রকাশিত গবেষণা প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইউরোপের পাঁচটি দেশের ৩৮ জন রোগী এই প্রিমা ইমপ্লান্ট ট্রায়ালে অংশ নেন। ৩২ জন রোগীর চোখে ইমপ্লান্ট বসানো হয়, যার মধ্যে ২৭ জন পড়তে সক্ষম হয়েছেন। এক বছর পর, তাঁদের দৃষ্টিশক্তি আরও উন্নত হয়।
উইল্টশায়ারের বাসিন্দা শিলা আরভিন ৩০ বছর আগে তাঁর দৃষ্টিশক্তি হারাতে শুরু করেন। ইমপ্লান্ট বসানোর পর তিনি এখন চিঠি, বই পড়তে পারছেন, সুডোকু খেলতে পারছেন। তিনি আনন্দে উচ্ছ্বসিত হয়ে বলেন, ‘আমি খুবই খুশি। প্রযুক্তি এত দ্রুত এগোচ্ছে, আমি এর অংশ হতে পেরেছি।’
ড. মুকিত আশা প্রকাশ করেছেন, এই প্রযুক্তিটি আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই যুক্তরাজ্যের সরকারি স্বাস্থ্য পরিষেবা সংস্থা ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস (এনএইচএস)-এর রোগীদের জন্য ব্যবহার করা যাবে। মাকুলার সোসাইটির গবেষণা পরিচালক ড. পিটার ব্লুমফিল্ড এই ফলাফলকে ‘উৎসাহব্যঞ্জক’ এবং চিকিৎসায় নিরাময় অযোগ্য এই রোগে আক্রান্তদের জন্য ‘দারুণ খবর’ বলে অভিহিত করেছেন।
তবে যাদের চোখের অপটিক নার্ভ (যেটি রেটিনা থেকে মস্তিষ্কে সংকেত পাঠায়) ঠিকমতো কাজ করে না তাদের জন্য এই প্রযুক্তি কাজে আসবে না।
পিঁপড়া থেকে মাছ, কাক, অনেক প্রাণী হাতিয়ার হিসেবে পাথর ব্যবহার করে। কিন্তু সাম্প্রতিক কাল পর্যন্ত শুধু মানুষ এবং মানুষের পূর্বপুরুষদের (আত্মীয় প্রজাতি) পাথরের হাতিয়ার ব্যবহারের একটি স্বীকৃত প্রত্নতাত্ত্বিক রেকর্ড ছিল। এখন বিজ্ঞানীরা স্বীকার করছেন, এ ধরনের হাতিয়ার ব্যবহারে দক্ষ শুধু হোমিনিনরাই ছিল না।
১২ মার্চ ২০২৪‘ইভেন্টউড’ নামে একটি মার্কিন কোম্পানি এমন এক ধরনের কাঠ তৈরি করেছে, যার শক্তি ইস্পাতের চেয়ে প্রায় ১০ গুণ বেশি এবং ওজন ছয় গুণ কম। এই কাঠের নাম দেওয়া হয়েছে ‘সুপারউড’। কোম্পানিটি ইতিমধ্যে বাণিজ্যিকভাবে এই কাঠের উৎপাদন শুরু করেছে।
৮ দিন আগেআন্তর্জাতিক অঙ্গনে খ্যাতিমান রসায়নবিদ ড. ওমর ইয়াঘি রসায়নে নোবেল পুরস্কার অর্জন করেছেন। তিনি দ্বিতীয় মুসলিম বিজ্ঞানী হিসেবে রসায়নে নোবেল জয় করলেন। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াই এবং শুষ্ক অঞ্চল থেকে পানীয় জল সংগ্রহের প্রযুক্তিতে তাঁর যুগান্তকারী গবেষণার জন্য তিনি বিশ্বজুড়ে পরিচিত।
১৪ দিন আগেচলতি বছর রসায়নে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন তিন বিজ্ঞানী—সুসুমু কিতাগাওয়া, রিচার্ড রবসন ও ওমর এম ইয়াঘি। আজ বুধবার সুইডেনের রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি অব সায়েন্সেস এ পুরস্কারের বিজয়ী হিসেবে তাঁদের নাম ঘোষণা করেছে। নোবেল কমিটি জানিয়েছে, তাঁরা ‘মেটাল-অর্গানিক ফ্রেমওয়ার্কসের বিকাশ’ ঘটানোর জন্য এ সম্মাননা পাচ্ছেন।
১৫ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
‘ইভেন্টউড’ নামে একটি মার্কিন কোম্পানি এমন এক ধরনের কাঠ তৈরি করেছে, যার শক্তি ইস্পাতের চেয়ে প্রায় ১০ গুণ বেশি এবং ওজন ছয় গুণ কম। এই কাঠের নাম দেওয়া হয়েছে ‘সুপারউড’। কোম্পানিটি ইতিমধ্যে বাণিজ্যিকভাবে এই কাঠের উৎপাদন শুরু করেছে।
মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) সিএনএন জানিয়েছে, ইভেন্টউড কোম্পানিটি সহ-প্রতিষ্ঠা করেছেন উপাদান বিজ্ঞানী লিয়াংবিং হু। বর্তমানে তিনি ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপনা করছেন।
দশ বছরেরও বেশি সময় আগে মেরিল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘সেন্টার ফর মেটেরিয়াল ইনোভেশান’-এ কাজ করার সময় লিয়াংবিং হু প্রচলিত কাঠকে নতুনভাবে পুনর্গঠনের চেষ্টা শুরু করেন। এমনকি তিনি কাঠের মূল উপাদান ‘লিগনিন’ সরিয়ে সেটিকে স্বচ্ছও করেছিলেন। তবে তাঁর আসল লক্ষ্য ছিল, কাঠকে এর প্রধান উপাদান সেলুলোজ ব্যবহার করে আরও শক্তিশালী করা।
২০১৭ সালে হু প্রথমবারের মতো কাঠের সেলুলোজ রসায়নিকভাবে পরিবর্তন করে এর শক্তি বহুগুণ বাড়াতে সক্ষম হন। এই প্রক্রিয়ায় কাঠকে পানির সঙ্গে নির্দিষ্ট রাসায়নিক পদার্থে প্রথমে সেদ্ধ করা হয়। এরপর তাপ ও চাপ প্রয়োগ করে কাঠের কোষের স্তর ঘন করা হয়। এতে কাঠের ঘনত্ব ও দৃঢ়তা এতটাই বেড়ে যায় যে, গবেষণায় দেখা যায়—এর শক্তি অধিকাংশ ধাতু ও সংকর ধাতুর চেয়েও বেশি।
এরপর বহু বছর ধরে হু প্রক্রিয়াটি আরও উন্নত করেন এবং ১৪০ টিরও বেশি পেটেন্ট নেন। এখন সেই গবেষণার ধারাবাহিকতায় ‘সুপারউড’ বাজারে এসেছে।
ইন্টারউড-এর প্রধান নির্বাহী অ্যালেক্স লাউ বলেন, ‘রাসায়নিক দিক থেকে এটি কাঠই। কিন্তু এর গুণাবলি সাধারণ কাঠের তুলনায় বহুগুণ উন্নত।’ তিনি জানান, সুপারউড দিয়ে তৈরি ভবনগুলো চার গুণ হালকা হতে পারে, ফলে ভূমিকম্প-প্রতিরোধী ও নির্মাণে সহজ হবে।
সুপারউডের আরেকটি বিশেষত্ব হলো, এটি ২০ গুণ পর্যন্ত শক্তিশালী এবং ১০ গুণ বেশি দাগ ও ক্ষয় প্রতিরোধে সক্ষম। এই কাঠের প্রাকৃতিক ছিদ্রযুক্ত গঠন সংকুচিত হয়ে ঘন ও শক্ত হওয়ায় এটি ছত্রাক, পোকামাকড় এবং এমনকি আগুনও প্রতিরোধ করে।
ইন্টারউড বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ডের ফ্রেডেরিক শহরে সুপারউডের উৎপাদন শুরু করেছে। শুরুতে এটিকে স্থাপনার বহিরাংশের জন্য—যেমন দেয়াল প্যানেল, ডেকিং ও ক্ল্যাডিংয়ে ব্যবহার করা হবে। আগামী বছর থেকে অভ্যন্তরীণ সাজসজ্জা ও আসবাবেও এর ব্যবহার শুরু হবে বলে আশা করছে কোম্পানিটি।
সুপারউডের উৎপাদন খরচ এখনো সাধারণ কাঠের চেয়ে বেশি। তবে ইস্পাতের তুলনায় এর কার্বন নিঃসরণ প্রায় ৯০ শতাংশ কম। লাউ বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য কাঠের চেয়ে সস্তা হওয়া নয়; বরং ইস্পাতের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করা।’
অস্ট্রেলিয়ার ইউনিভার্সিটি অব নিউ সাউথ ওয়েলসের অধ্যাপক ফিলিপ ওল্ডফিল্ড মত দিয়েছেন, কাঠ পরিবেশবান্ধব কারণ এটি উৎপাদনের সময় কার্বন ধরে রাখে। তিনি বলেন, ‘সুপারউডের মতো শক্তিশালী কাঠ স্থপতিদের নতুন নকশা ও বড় কাঠামো তৈরিতে অনুপ্রাণিত করবে। এর ফলে নির্মাণশিল্পে কাঠের ব্যবহার আরও বাড়াতে পারে।’
‘ইভেন্টউড’ নামে একটি মার্কিন কোম্পানি এমন এক ধরনের কাঠ তৈরি করেছে, যার শক্তি ইস্পাতের চেয়ে প্রায় ১০ গুণ বেশি এবং ওজন ছয় গুণ কম। এই কাঠের নাম দেওয়া হয়েছে ‘সুপারউড’। কোম্পানিটি ইতিমধ্যে বাণিজ্যিকভাবে এই কাঠের উৎপাদন শুরু করেছে।
মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) সিএনএন জানিয়েছে, ইভেন্টউড কোম্পানিটি সহ-প্রতিষ্ঠা করেছেন উপাদান বিজ্ঞানী লিয়াংবিং হু। বর্তমানে তিনি ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপনা করছেন।
দশ বছরেরও বেশি সময় আগে মেরিল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘সেন্টার ফর মেটেরিয়াল ইনোভেশান’-এ কাজ করার সময় লিয়াংবিং হু প্রচলিত কাঠকে নতুনভাবে পুনর্গঠনের চেষ্টা শুরু করেন। এমনকি তিনি কাঠের মূল উপাদান ‘লিগনিন’ সরিয়ে সেটিকে স্বচ্ছও করেছিলেন। তবে তাঁর আসল লক্ষ্য ছিল, কাঠকে এর প্রধান উপাদান সেলুলোজ ব্যবহার করে আরও শক্তিশালী করা।
২০১৭ সালে হু প্রথমবারের মতো কাঠের সেলুলোজ রসায়নিকভাবে পরিবর্তন করে এর শক্তি বহুগুণ বাড়াতে সক্ষম হন। এই প্রক্রিয়ায় কাঠকে পানির সঙ্গে নির্দিষ্ট রাসায়নিক পদার্থে প্রথমে সেদ্ধ করা হয়। এরপর তাপ ও চাপ প্রয়োগ করে কাঠের কোষের স্তর ঘন করা হয়। এতে কাঠের ঘনত্ব ও দৃঢ়তা এতটাই বেড়ে যায় যে, গবেষণায় দেখা যায়—এর শক্তি অধিকাংশ ধাতু ও সংকর ধাতুর চেয়েও বেশি।
এরপর বহু বছর ধরে হু প্রক্রিয়াটি আরও উন্নত করেন এবং ১৪০ টিরও বেশি পেটেন্ট নেন। এখন সেই গবেষণার ধারাবাহিকতায় ‘সুপারউড’ বাজারে এসেছে।
ইন্টারউড-এর প্রধান নির্বাহী অ্যালেক্স লাউ বলেন, ‘রাসায়নিক দিক থেকে এটি কাঠই। কিন্তু এর গুণাবলি সাধারণ কাঠের তুলনায় বহুগুণ উন্নত।’ তিনি জানান, সুপারউড দিয়ে তৈরি ভবনগুলো চার গুণ হালকা হতে পারে, ফলে ভূমিকম্প-প্রতিরোধী ও নির্মাণে সহজ হবে।
সুপারউডের আরেকটি বিশেষত্ব হলো, এটি ২০ গুণ পর্যন্ত শক্তিশালী এবং ১০ গুণ বেশি দাগ ও ক্ষয় প্রতিরোধে সক্ষম। এই কাঠের প্রাকৃতিক ছিদ্রযুক্ত গঠন সংকুচিত হয়ে ঘন ও শক্ত হওয়ায় এটি ছত্রাক, পোকামাকড় এবং এমনকি আগুনও প্রতিরোধ করে।
ইন্টারউড বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ডের ফ্রেডেরিক শহরে সুপারউডের উৎপাদন শুরু করেছে। শুরুতে এটিকে স্থাপনার বহিরাংশের জন্য—যেমন দেয়াল প্যানেল, ডেকিং ও ক্ল্যাডিংয়ে ব্যবহার করা হবে। আগামী বছর থেকে অভ্যন্তরীণ সাজসজ্জা ও আসবাবেও এর ব্যবহার শুরু হবে বলে আশা করছে কোম্পানিটি।
সুপারউডের উৎপাদন খরচ এখনো সাধারণ কাঠের চেয়ে বেশি। তবে ইস্পাতের তুলনায় এর কার্বন নিঃসরণ প্রায় ৯০ শতাংশ কম। লাউ বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য কাঠের চেয়ে সস্তা হওয়া নয়; বরং ইস্পাতের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করা।’
অস্ট্রেলিয়ার ইউনিভার্সিটি অব নিউ সাউথ ওয়েলসের অধ্যাপক ফিলিপ ওল্ডফিল্ড মত দিয়েছেন, কাঠ পরিবেশবান্ধব কারণ এটি উৎপাদনের সময় কার্বন ধরে রাখে। তিনি বলেন, ‘সুপারউডের মতো শক্তিশালী কাঠ স্থপতিদের নতুন নকশা ও বড় কাঠামো তৈরিতে অনুপ্রাণিত করবে। এর ফলে নির্মাণশিল্পে কাঠের ব্যবহার আরও বাড়াতে পারে।’
পিঁপড়া থেকে মাছ, কাক, অনেক প্রাণী হাতিয়ার হিসেবে পাথর ব্যবহার করে। কিন্তু সাম্প্রতিক কাল পর্যন্ত শুধু মানুষ এবং মানুষের পূর্বপুরুষদের (আত্মীয় প্রজাতি) পাথরের হাতিয়ার ব্যবহারের একটি স্বীকৃত প্রত্নতাত্ত্বিক রেকর্ড ছিল। এখন বিজ্ঞানীরা স্বীকার করছেন, এ ধরনের হাতিয়ার ব্যবহারে দক্ষ শুধু হোমিনিনরাই ছিল না।
১২ মার্চ ২০২৪লন্ডনের মুরফিল্ডস আই হসপিটালে একদল দৃষ্টিহীন রোগীর চোখে অত্যাধুনিক একটি ইমপ্লান্ট সফলভাবে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। এর ফলে রোগীরা এখন দেখতে পারছেন। চিকিৎসকদের দাবি, আন্তর্জাতিক এই ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের ফলাফল ‘চমকপ্রদ’।
২ দিন আগেআন্তর্জাতিক অঙ্গনে খ্যাতিমান রসায়নবিদ ড. ওমর ইয়াঘি রসায়নে নোবেল পুরস্কার অর্জন করেছেন। তিনি দ্বিতীয় মুসলিম বিজ্ঞানী হিসেবে রসায়নে নোবেল জয় করলেন। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াই এবং শুষ্ক অঞ্চল থেকে পানীয় জল সংগ্রহের প্রযুক্তিতে তাঁর যুগান্তকারী গবেষণার জন্য তিনি বিশ্বজুড়ে পরিচিত।
১৪ দিন আগেচলতি বছর রসায়নে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন তিন বিজ্ঞানী—সুসুমু কিতাগাওয়া, রিচার্ড রবসন ও ওমর এম ইয়াঘি। আজ বুধবার সুইডেনের রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি অব সায়েন্সেস এ পুরস্কারের বিজয়ী হিসেবে তাঁদের নাম ঘোষণা করেছে। নোবেল কমিটি জানিয়েছে, তাঁরা ‘মেটাল-অর্গানিক ফ্রেমওয়ার্কসের বিকাশ’ ঘটানোর জন্য এ সম্মাননা পাচ্ছেন।
১৫ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
আন্তর্জাতিক অঙ্গনে খ্যাতিমান রসায়নবিদ ড. ওমর ইয়াঘি রসায়নে নোবেল পুরস্কার অর্জন করেছেন। তিনি দ্বিতীয় মুসলিম বিজ্ঞানী হিসেবে রসায়নে নোবেল জয় করলেন। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াই এবং শুষ্ক অঞ্চল থেকে পানীয় জল সংগ্রহের প্রযুক্তিতে তাঁর যুগান্তকারী গবেষণার জন্য তিনি বিশ্বজুড়ে পরিচিত।
রসায়নে প্রথম মুসলিম নোবেল বিজয়ী হলেন মিসরীয়-আমেরিকান রসায়নবিদ ড. আহমেদ জেওয়াইল। তিনি ১৯৯৯ সালে তাঁর কাজের জন্য পুরস্কৃত হন।
ড. ইয়াঘি ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, বার্কলে-তে রসায়নের অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত। তাঁর প্রধান গবেষণা ক্ষেত্র হলো ‘রেটিকুলার কেমিস্ট্রি’ নামে রসায়নের একটি নতুন শাখা, যার পথিকৃৎ তিনি। তিনি এই ক্ষেত্রটিকে সংজ্ঞায়িত করেছেন এভাবে: ‘শক্তিশালী বন্ধনের মাধ্যমে আণবিক বিল্ডিং ব্লকগুলোকে বিস্তৃত কাঠামোর মধ্যে জুড়ে দেওয়া’।
এই ক্ষেত্রে তিনি তিন ধরনের যুগান্তকারী পদার্থের আবিষ্কার ও নকশা প্রণয়নের জন্য সুপরিচিত। এগুলো হলো: মেটাল-অরগানিক ফ্রেমওয়ার্কস (এমওএফ), কোভ্যালেন্ট অরগানিক ফ্রেমওয়ার্কস (সিওএফ) এবং জিউলিটিক ইমিডাজোলেট ফ্রেমওয়ার্কস (জেডআইএফ)। মেটাল-অরগানিক ফ্রেমওয়ার্কস-এর জন্য অপর দুই বিজ্ঞানীর সঙ্গে এবার রসায়নে নোবেল জিতেছেন ওমর।
এই বস্তুগুলো পৃথিবীর জ্ঞাত পদার্থগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ পৃষ্ঠতল এলাকা ধারণ করে। ফলে এগুলো প্রয়োগ বহুবিধ এবং মানবকল্যাণে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, যেমন:
মরুভূমি বা শুষ্ক অঞ্চল থেকে জলীয় বাষ্প শোষণের মাধ্যমে বিশুদ্ধ পানীয় জল আহরণ
কার্বন ডাই-অক্সাইড ধারণ ও রূপান্তর
হাইড্রোজেন ও মিথেন সংরক্ষণ
অনুঘটক (Catalysis) হিসেবে ব্যবহার।
তাঁর কাজের প্রভাব অত্যন্ত সুদূরপ্রসারী। তাঁর কাজের ভিত্তিতে ৩ শতাধিক গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে, যা মোট আড়াই লাখের বার সাইটেশন পেয়েছে এবং তাঁর এইচ-সূচক ১৯০।
শরণার্থী জীবন থেকে শীর্ষস্থান
ড. ওমর ইয়াঘি ১৯৬৫ সালে জর্ডানের আম্মানে এক ফিলিস্তিনি শরণার্থী পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। বিদ্যুৎ এবং সুপেয় পানির সীমিত সুবিধা নিয়ে একটি মাত্র ঘরে গাদাগাদি করে থেকে কেটেছে তাঁর শৈশব। বাবার অনুপ্রেরণায় মাত্র ১৫ বছর বয়সে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান।
ইংরেজি ভাষা ভালোভাবে না জানা সত্ত্বেও তিনি হাডসন ভ্যালি কমিউনিটি কলেজ থেকে পড়াশোনা শুরু করেন এবং পরে ইউনিভার্সিটি অ্যাট আলবানি থেকে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি ইউনিভার্সিটি অব ইলিনয়, আরবানা-শ্যাম্পেইন থেকে রসায়নে পিএইচডি (১৯৯০) অর্জন করেন, যেখানে তাঁর উপদেষ্টা ছিলেন ড. ওয়াল্টার জি. ক্লেমপারার। পরবর্তীতে তিনি রিচার্ড এইচ. হোম-এর অধীনে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পোস্ট ডক্টরাল ফেলো হিসেবে গবেষণা সম্পন্ন করেন।
সৌদি নাগরিকত্ব ও বৈশ্বিক গবেষণা কেন্দ্র
ড. ওমর ইয়াঘি তাঁর বৈজ্ঞানিক কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০২১ সালে সৌদি আরব সরকারের পক্ষ থেকে সৌদি নাগরিকত্ব লাভ করেন। এটি সৌদি আরবের ‘ভিশন ২০৩০ ’-এর লক্ষ্য পূরণে দেশের উন্নয়নে প্রতিভাবান বিশেষজ্ঞদের আকৃষ্ট করার একটি অংশ।
ড. ইয়াঘি বর্তমানে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ গবেষণা প্রতিষ্ঠানের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো:
বার্কলে গ্লোবাল সায়েন্স ইনস্টিটিউট: উন্নয়নশীল দেশগুলোতে গবেষণা কেন্দ্র নির্মাণ এবং তরুণ গবেষকদের সুযোগ দেওয়াই এই প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য।
কাভলি এনার্জি ন্যানো সায়েন্সেস ইনস্টিটিউট: আণবিক স্তরে শক্তির রূপান্তরের মৌলিক বিজ্ঞানের ওপর জোর দেয়।
বাকার ইনস্টিটিউট অব ডিজিটাল ম্যাটেরিয়ালস ফর দ্য প্ল্যানেট: জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় সাশ্রয়ী, সহজে স্থাপনযোগ্য এমওএফ এবং সিওএফ-এর মতো সূক্ষ্ম ছিদ্রযুক্ত উপকরণ তৈরির লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে।
নোবেল ছাড়াও, ড. ওমর ইয়াঘি তাঁর বৈজ্ঞানিক অর্জনের জন্য বিশ্বজুড়ে বহু মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন, যার মধ্যে রয়েছে—উলফ প্রাইজ ইন কেমিস্ট্রি (২০১৮), কিং ফয়সাল ইন্টারন্যাশনাল প্রাইজ ইন সায়েন্স (২০১৫), সলভয় প্রাইজ (২০২৪), তাং প্রাইজ (২০২৪) এবং বলজান প্রাইজ (২০২৪)।
আন্তর্জাতিক অঙ্গনে খ্যাতিমান রসায়নবিদ ড. ওমর ইয়াঘি রসায়নে নোবেল পুরস্কার অর্জন করেছেন। তিনি দ্বিতীয় মুসলিম বিজ্ঞানী হিসেবে রসায়নে নোবেল জয় করলেন। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াই এবং শুষ্ক অঞ্চল থেকে পানীয় জল সংগ্রহের প্রযুক্তিতে তাঁর যুগান্তকারী গবেষণার জন্য তিনি বিশ্বজুড়ে পরিচিত।
রসায়নে প্রথম মুসলিম নোবেল বিজয়ী হলেন মিসরীয়-আমেরিকান রসায়নবিদ ড. আহমেদ জেওয়াইল। তিনি ১৯৯৯ সালে তাঁর কাজের জন্য পুরস্কৃত হন।
ড. ইয়াঘি ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, বার্কলে-তে রসায়নের অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত। তাঁর প্রধান গবেষণা ক্ষেত্র হলো ‘রেটিকুলার কেমিস্ট্রি’ নামে রসায়নের একটি নতুন শাখা, যার পথিকৃৎ তিনি। তিনি এই ক্ষেত্রটিকে সংজ্ঞায়িত করেছেন এভাবে: ‘শক্তিশালী বন্ধনের মাধ্যমে আণবিক বিল্ডিং ব্লকগুলোকে বিস্তৃত কাঠামোর মধ্যে জুড়ে দেওয়া’।
এই ক্ষেত্রে তিনি তিন ধরনের যুগান্তকারী পদার্থের আবিষ্কার ও নকশা প্রণয়নের জন্য সুপরিচিত। এগুলো হলো: মেটাল-অরগানিক ফ্রেমওয়ার্কস (এমওএফ), কোভ্যালেন্ট অরগানিক ফ্রেমওয়ার্কস (সিওএফ) এবং জিউলিটিক ইমিডাজোলেট ফ্রেমওয়ার্কস (জেডআইএফ)। মেটাল-অরগানিক ফ্রেমওয়ার্কস-এর জন্য অপর দুই বিজ্ঞানীর সঙ্গে এবার রসায়নে নোবেল জিতেছেন ওমর।
এই বস্তুগুলো পৃথিবীর জ্ঞাত পদার্থগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ পৃষ্ঠতল এলাকা ধারণ করে। ফলে এগুলো প্রয়োগ বহুবিধ এবং মানবকল্যাণে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, যেমন:
মরুভূমি বা শুষ্ক অঞ্চল থেকে জলীয় বাষ্প শোষণের মাধ্যমে বিশুদ্ধ পানীয় জল আহরণ
কার্বন ডাই-অক্সাইড ধারণ ও রূপান্তর
হাইড্রোজেন ও মিথেন সংরক্ষণ
অনুঘটক (Catalysis) হিসেবে ব্যবহার।
তাঁর কাজের প্রভাব অত্যন্ত সুদূরপ্রসারী। তাঁর কাজের ভিত্তিতে ৩ শতাধিক গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে, যা মোট আড়াই লাখের বার সাইটেশন পেয়েছে এবং তাঁর এইচ-সূচক ১৯০।
শরণার্থী জীবন থেকে শীর্ষস্থান
ড. ওমর ইয়াঘি ১৯৬৫ সালে জর্ডানের আম্মানে এক ফিলিস্তিনি শরণার্থী পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। বিদ্যুৎ এবং সুপেয় পানির সীমিত সুবিধা নিয়ে একটি মাত্র ঘরে গাদাগাদি করে থেকে কেটেছে তাঁর শৈশব। বাবার অনুপ্রেরণায় মাত্র ১৫ বছর বয়সে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান।
ইংরেজি ভাষা ভালোভাবে না জানা সত্ত্বেও তিনি হাডসন ভ্যালি কমিউনিটি কলেজ থেকে পড়াশোনা শুরু করেন এবং পরে ইউনিভার্সিটি অ্যাট আলবানি থেকে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি ইউনিভার্সিটি অব ইলিনয়, আরবানা-শ্যাম্পেইন থেকে রসায়নে পিএইচডি (১৯৯০) অর্জন করেন, যেখানে তাঁর উপদেষ্টা ছিলেন ড. ওয়াল্টার জি. ক্লেমপারার। পরবর্তীতে তিনি রিচার্ড এইচ. হোম-এর অধীনে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পোস্ট ডক্টরাল ফেলো হিসেবে গবেষণা সম্পন্ন করেন।
সৌদি নাগরিকত্ব ও বৈশ্বিক গবেষণা কেন্দ্র
ড. ওমর ইয়াঘি তাঁর বৈজ্ঞানিক কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০২১ সালে সৌদি আরব সরকারের পক্ষ থেকে সৌদি নাগরিকত্ব লাভ করেন। এটি সৌদি আরবের ‘ভিশন ২০৩০ ’-এর লক্ষ্য পূরণে দেশের উন্নয়নে প্রতিভাবান বিশেষজ্ঞদের আকৃষ্ট করার একটি অংশ।
ড. ইয়াঘি বর্তমানে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ গবেষণা প্রতিষ্ঠানের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো:
বার্কলে গ্লোবাল সায়েন্স ইনস্টিটিউট: উন্নয়নশীল দেশগুলোতে গবেষণা কেন্দ্র নির্মাণ এবং তরুণ গবেষকদের সুযোগ দেওয়াই এই প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য।
কাভলি এনার্জি ন্যানো সায়েন্সেস ইনস্টিটিউট: আণবিক স্তরে শক্তির রূপান্তরের মৌলিক বিজ্ঞানের ওপর জোর দেয়।
বাকার ইনস্টিটিউট অব ডিজিটাল ম্যাটেরিয়ালস ফর দ্য প্ল্যানেট: জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় সাশ্রয়ী, সহজে স্থাপনযোগ্য এমওএফ এবং সিওএফ-এর মতো সূক্ষ্ম ছিদ্রযুক্ত উপকরণ তৈরির লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে।
নোবেল ছাড়াও, ড. ওমর ইয়াঘি তাঁর বৈজ্ঞানিক অর্জনের জন্য বিশ্বজুড়ে বহু মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন, যার মধ্যে রয়েছে—উলফ প্রাইজ ইন কেমিস্ট্রি (২০১৮), কিং ফয়সাল ইন্টারন্যাশনাল প্রাইজ ইন সায়েন্স (২০১৫), সলভয় প্রাইজ (২০২৪), তাং প্রাইজ (২০২৪) এবং বলজান প্রাইজ (২০২৪)।
পিঁপড়া থেকে মাছ, কাক, অনেক প্রাণী হাতিয়ার হিসেবে পাথর ব্যবহার করে। কিন্তু সাম্প্রতিক কাল পর্যন্ত শুধু মানুষ এবং মানুষের পূর্বপুরুষদের (আত্মীয় প্রজাতি) পাথরের হাতিয়ার ব্যবহারের একটি স্বীকৃত প্রত্নতাত্ত্বিক রেকর্ড ছিল। এখন বিজ্ঞানীরা স্বীকার করছেন, এ ধরনের হাতিয়ার ব্যবহারে দক্ষ শুধু হোমিনিনরাই ছিল না।
১২ মার্চ ২০২৪লন্ডনের মুরফিল্ডস আই হসপিটালে একদল দৃষ্টিহীন রোগীর চোখে অত্যাধুনিক একটি ইমপ্লান্ট সফলভাবে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। এর ফলে রোগীরা এখন দেখতে পারছেন। চিকিৎসকদের দাবি, আন্তর্জাতিক এই ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের ফলাফল ‘চমকপ্রদ’।
২ দিন আগে‘ইভেন্টউড’ নামে একটি মার্কিন কোম্পানি এমন এক ধরনের কাঠ তৈরি করেছে, যার শক্তি ইস্পাতের চেয়ে প্রায় ১০ গুণ বেশি এবং ওজন ছয় গুণ কম। এই কাঠের নাম দেওয়া হয়েছে ‘সুপারউড’। কোম্পানিটি ইতিমধ্যে বাণিজ্যিকভাবে এই কাঠের উৎপাদন শুরু করেছে।
৮ দিন আগেচলতি বছর রসায়নে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন তিন বিজ্ঞানী—সুসুমু কিতাগাওয়া, রিচার্ড রবসন ও ওমর এম ইয়াঘি। আজ বুধবার সুইডেনের রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি অব সায়েন্সেস এ পুরস্কারের বিজয়ী হিসেবে তাঁদের নাম ঘোষণা করেছে। নোবেল কমিটি জানিয়েছে, তাঁরা ‘মেটাল-অর্গানিক ফ্রেমওয়ার্কসের বিকাশ’ ঘটানোর জন্য এ সম্মাননা পাচ্ছেন।
১৫ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
চলতি বছর রসায়নে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন তিন বিজ্ঞানী—সুসুমু কিতাগাওয়া, রিচার্ড রবসন ও ওমর এম ইয়াঘি। আজ বুধবার সুইডেনের রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি অব সায়েন্সেস এ পুরস্কারের বিজয়ী হিসেবে তাঁদের নাম ঘোষণা করেছে। নোবেল কমিটি জানিয়েছে, তাঁরা ‘মেটাল-অর্গানিক ফ্রেমওয়ার্কসের বিকাশ’ ঘটানোর জন্য এ সম্মাননা পাচ্ছেন।
নোবেল কমিটি জানিয়েছে, এই তিন বিজ্ঞানী একধরনের নতুন আণবিক কাঠামো তৈরি করেছেন। তাঁদের উদ্ভাবিত মেটাল-অর্গানিক ফ্রেমওয়ার্কসের ভেতরে বড় বড় ফাঁকা জায়গা থাকে। সেই ফাঁক দিয়ে বিভিন্ন অণু ভেতরে-বাইরে আসা–যাওয়া করতে পারে।
গবেষকেরা এ কাঠামো ব্যবহার করে মরুভূমির বাতাস থেকে পানি সংগ্রহ করেছেন। দূষিত পানি থেকে ক্ষতিকর পদার্থ আলাদা করেছেন। আবার কার্বন ডাই-অক্সাইড আটকে রাখা এবং হাইড্রোজেন সংরক্ষণেও এ প্রযুক্তি কাজে লাগানো হয়েছে।
সুসুমু কিতাগাওয়া ১৯৫১ সালে জাপানের কিয়োটোতে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৭৯ সালে কিয়োটো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। বর্তমানে তিনি কিয়োটো বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক। রিচার্ড রবসন ১৯৩৭ সালে যুক্তরাজ্যের গ্লাসবার্নে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৬২ সালে তিনি যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। পরে তিনি অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হন। ওমর এম ইয়াঘি ১৯৬৫ সালে জর্ডানের আম্মানে জন্মগ্রহণ করেন। তবে তাঁর পরিবারের মূল শিকড় ফিলিস্তিনে প্রোথিত। তিনি ১৯৯০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় বিশ্ববিদ্যালয় আর্বানা-শ্যাম্পেইন থেকে পিএইচডি সম্পন্ন করেন। বর্তমানে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, বার্কলেতে অধ্যাপনা করছেন।
এর আগে গত বছর রসায়নে নোবেল বিজয়ী হলেন—ডেভিড বেকার, ডেমিস হাসাবিস ও জন এম জাম্পার। প্রোটিনের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কাজ করার কারণে তাঁদের গত বছর নোবেল পুরস্কারে ভূষিত করা হয়।
চলতি বছর রসায়নে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন তিন বিজ্ঞানী—সুসুমু কিতাগাওয়া, রিচার্ড রবসন ও ওমর এম ইয়াঘি। আজ বুধবার সুইডেনের রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি অব সায়েন্সেস এ পুরস্কারের বিজয়ী হিসেবে তাঁদের নাম ঘোষণা করেছে। নোবেল কমিটি জানিয়েছে, তাঁরা ‘মেটাল-অর্গানিক ফ্রেমওয়ার্কসের বিকাশ’ ঘটানোর জন্য এ সম্মাননা পাচ্ছেন।
নোবেল কমিটি জানিয়েছে, এই তিন বিজ্ঞানী একধরনের নতুন আণবিক কাঠামো তৈরি করেছেন। তাঁদের উদ্ভাবিত মেটাল-অর্গানিক ফ্রেমওয়ার্কসের ভেতরে বড় বড় ফাঁকা জায়গা থাকে। সেই ফাঁক দিয়ে বিভিন্ন অণু ভেতরে-বাইরে আসা–যাওয়া করতে পারে।
গবেষকেরা এ কাঠামো ব্যবহার করে মরুভূমির বাতাস থেকে পানি সংগ্রহ করেছেন। দূষিত পানি থেকে ক্ষতিকর পদার্থ আলাদা করেছেন। আবার কার্বন ডাই-অক্সাইড আটকে রাখা এবং হাইড্রোজেন সংরক্ষণেও এ প্রযুক্তি কাজে লাগানো হয়েছে।
সুসুমু কিতাগাওয়া ১৯৫১ সালে জাপানের কিয়োটোতে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৭৯ সালে কিয়োটো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। বর্তমানে তিনি কিয়োটো বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক। রিচার্ড রবসন ১৯৩৭ সালে যুক্তরাজ্যের গ্লাসবার্নে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৬২ সালে তিনি যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। পরে তিনি অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হন। ওমর এম ইয়াঘি ১৯৬৫ সালে জর্ডানের আম্মানে জন্মগ্রহণ করেন। তবে তাঁর পরিবারের মূল শিকড় ফিলিস্তিনে প্রোথিত। তিনি ১৯৯০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় বিশ্ববিদ্যালয় আর্বানা-শ্যাম্পেইন থেকে পিএইচডি সম্পন্ন করেন। বর্তমানে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, বার্কলেতে অধ্যাপনা করছেন।
এর আগে গত বছর রসায়নে নোবেল বিজয়ী হলেন—ডেভিড বেকার, ডেমিস হাসাবিস ও জন এম জাম্পার। প্রোটিনের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কাজ করার কারণে তাঁদের গত বছর নোবেল পুরস্কারে ভূষিত করা হয়।
পিঁপড়া থেকে মাছ, কাক, অনেক প্রাণী হাতিয়ার হিসেবে পাথর ব্যবহার করে। কিন্তু সাম্প্রতিক কাল পর্যন্ত শুধু মানুষ এবং মানুষের পূর্বপুরুষদের (আত্মীয় প্রজাতি) পাথরের হাতিয়ার ব্যবহারের একটি স্বীকৃত প্রত্নতাত্ত্বিক রেকর্ড ছিল। এখন বিজ্ঞানীরা স্বীকার করছেন, এ ধরনের হাতিয়ার ব্যবহারে দক্ষ শুধু হোমিনিনরাই ছিল না।
১২ মার্চ ২০২৪লন্ডনের মুরফিল্ডস আই হসপিটালে একদল দৃষ্টিহীন রোগীর চোখে অত্যাধুনিক একটি ইমপ্লান্ট সফলভাবে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। এর ফলে রোগীরা এখন দেখতে পারছেন। চিকিৎসকদের দাবি, আন্তর্জাতিক এই ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের ফলাফল ‘চমকপ্রদ’।
২ দিন আগে‘ইভেন্টউড’ নামে একটি মার্কিন কোম্পানি এমন এক ধরনের কাঠ তৈরি করেছে, যার শক্তি ইস্পাতের চেয়ে প্রায় ১০ গুণ বেশি এবং ওজন ছয় গুণ কম। এই কাঠের নাম দেওয়া হয়েছে ‘সুপারউড’। কোম্পানিটি ইতিমধ্যে বাণিজ্যিকভাবে এই কাঠের উৎপাদন শুরু করেছে।
৮ দিন আগেআন্তর্জাতিক অঙ্গনে খ্যাতিমান রসায়নবিদ ড. ওমর ইয়াঘি রসায়নে নোবেল পুরস্কার অর্জন করেছেন। তিনি দ্বিতীয় মুসলিম বিজ্ঞানী হিসেবে রসায়নে নোবেল জয় করলেন। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াই এবং শুষ্ক অঞ্চল থেকে পানীয় জল সংগ্রহের প্রযুক্তিতে তাঁর যুগান্তকারী গবেষণার জন্য তিনি বিশ্বজুড়ে পরিচিত।
১৪ দিন আগে