অনলাইন ডেস্ক
প্রেমিক বা প্রেমিকার সঙ্গে থাকার সময় মানুষের মস্তিষ্কের যে পরিমাণ ডোপামিন হরমোন ক্ষরিত হয়, তা ব্যক্তির মস্তিষ্কে দীর্ঘস্থায়ী ছাপ রেখে যায়। এই ছাপ মূলত প্রিয় মানুষের একটি প্রতিচ্ছবি, যা মানুষের প্রেমকে দীর্ঘস্থায়ী করতে সহায়তা করে। এমনটাই জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব কলোরাডো বোল্ডারের একদল গবেষক। বিজ্ঞানবিষয়ক সংবাদমাধ্যম সায়েন্স ডেইলির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কারেন্ট বায়োলজি নামক একটি বিজ্ঞানবিষয়ক জার্নালে এই গবেষণা নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে।
ইউনিভার্সিটি অব কলোরাডো বোল্ডারের বিজ্ঞানীরা একদল ইঁদুরের ওপর গবেষণা চালিয়ে এ-বিষয়ক প্রমাণ পেয়েছেন। তাঁরা বলছেন, নমুনা ইঁদুরগুলোর মস্তিষ্ক বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, যেসব ইঁদুরের সঙ্গী আছে, সেগুলোর মস্তিষ্কে ডোপামিন হরমোন ক্ষরণের একটি দীর্ঘস্থায়ী ছাপ পড়ে যায়। উল্লেখ্য, এই ইঁদুরগুলো একগামী মনোভাব প্রদর্শন করে।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, কেন মানুষ সম্পর্কের ক্ষেত্রে কিছু নির্দিষ্ট মানুষের প্রতি বেশি আকাঙ্ক্ষা অনুভব করে, তার সমাধান খুঁজতে গিয়ে তাঁরা এই গবেষণা চালিয়েছিলেন। গবেষকেরা বলছেন, মানুষের মতো নমুনা ইঁদুরগুলো তাদের সঙ্গীর সঙ্গে দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্কে থাকে এবং তাদেরও সঙ্গী হারানোর বেদনা হয়।
নতুন এই আবিষ্কারের বিষয়ে এই গবেষণা নিবন্ধের মূল লেখক ও ইউনিভার্সিটি অব কলোরাডো বোল্ডারের বিহ্যাভিওরাল নিউরোসায়েন্সের সহযোগী অধ্যাপক জোয়ি ডোনাল্ডসন বলেছেন, ‘আমরা যা পেয়েছি, তা মূলত আমাদের (মস্তিষ্কে) আকাঙ্ক্ষার একটি জৈবিক নিদর্শন, যা আমাদের ব্যাখ্যা করতে সাহায্য করে—কেন আমরা কিছু মানুষের তুলনায় অন্য মানুষদের সঙ্গে বেশি থাকতে চাই।’
এই গবেষণা থেকে ডোনাল্ডসন ও তাঁর সহযোগীরা মূলত মানুষ যখন কোনো ঘনিষ্ঠ সম্পর্কে থাকে, তখন তাদের মস্তিষ্কে কী ঘটে এবং যখন সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে যায়, তখন কী ঘটে এবং কোন প্রক্রিয়ায় তা কাটিয়ে ওঠে, সে বিষয়টি জানার চেষ্টা করেন। তাঁরা দেখতে পান, মানুষের প্রেম বাঁচিয়ে রাখতে নিউরোট্রান্সমিটার ডোপামিন অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
ডোনাল্ডসন বলেন, ‘মানুষ হিসেবে আমাদের পুরো সামাজিক জগৎটাই মূলত বিভিন্ন মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ করার ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কিছু ইচ্ছার বিভিন্ন মাত্রার দ্বারা নির্ধারিত হয়।’ তিনি বলেন, ‘এই গবেষণা বলছে, আমাদের মস্তিষ্কে কিছু লোকের দীর্ঘস্থায়ী রাসায়নিক ছাপ পড়ে যায়, যা আমাদের সময়ের সঙ্গে সম্পর্কগুলো এগিয়ে নিতে সহায়তা করে।’
ডোনাল্ডসন ও তাঁর দল আরও দেখতে পেয়েছেন, নমুনা ইঁদুরগুলো যখন সেটির সঙ্গীর কাছাকাছি থাকে, তখন সেটির মস্তিষ্কের নিউক্লিয়াস অ্যাকামবেন্স নামক একটি অংশকে আলোকিত বা উদ্বেলিত করে। মানুষের মস্তিষ্কের এই অংশ মূলত কোনো কিছু করার তাড়নাকে কাজে রূপান্তরের কাজটি করে থাকে। বিজ্ঞানীরা মানুষের ক্ষেত্রেও একই ধরনের চিত্র পেয়েছেন। মানুষ যখন তাঁর প্রিয় মানুষের হাত ধরে থাকেন, তখন তাঁর মস্তিষ্কের নিউক্লিয়াস অ্যাকামবেন্স আলোকিত হয়ে ওঠে।
আর এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই মূলত মানুষের মস্তিষ্কে প্রিয় মানুষের একটি দীর্ঘস্থায়ী ছাপ বা প্রতিচ্ছবি পড়ে এবং এরপর মস্তিষ্কের সেই অংশই প্রেম বা সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যেতে সহায়তা করে।
প্রেমিক বা প্রেমিকার সঙ্গে থাকার সময় মানুষের মস্তিষ্কের যে পরিমাণ ডোপামিন হরমোন ক্ষরিত হয়, তা ব্যক্তির মস্তিষ্কে দীর্ঘস্থায়ী ছাপ রেখে যায়। এই ছাপ মূলত প্রিয় মানুষের একটি প্রতিচ্ছবি, যা মানুষের প্রেমকে দীর্ঘস্থায়ী করতে সহায়তা করে। এমনটাই জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব কলোরাডো বোল্ডারের একদল গবেষক। বিজ্ঞানবিষয়ক সংবাদমাধ্যম সায়েন্স ডেইলির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কারেন্ট বায়োলজি নামক একটি বিজ্ঞানবিষয়ক জার্নালে এই গবেষণা নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে।
ইউনিভার্সিটি অব কলোরাডো বোল্ডারের বিজ্ঞানীরা একদল ইঁদুরের ওপর গবেষণা চালিয়ে এ-বিষয়ক প্রমাণ পেয়েছেন। তাঁরা বলছেন, নমুনা ইঁদুরগুলোর মস্তিষ্ক বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, যেসব ইঁদুরের সঙ্গী আছে, সেগুলোর মস্তিষ্কে ডোপামিন হরমোন ক্ষরণের একটি দীর্ঘস্থায়ী ছাপ পড়ে যায়। উল্লেখ্য, এই ইঁদুরগুলো একগামী মনোভাব প্রদর্শন করে।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, কেন মানুষ সম্পর্কের ক্ষেত্রে কিছু নির্দিষ্ট মানুষের প্রতি বেশি আকাঙ্ক্ষা অনুভব করে, তার সমাধান খুঁজতে গিয়ে তাঁরা এই গবেষণা চালিয়েছিলেন। গবেষকেরা বলছেন, মানুষের মতো নমুনা ইঁদুরগুলো তাদের সঙ্গীর সঙ্গে দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্কে থাকে এবং তাদেরও সঙ্গী হারানোর বেদনা হয়।
নতুন এই আবিষ্কারের বিষয়ে এই গবেষণা নিবন্ধের মূল লেখক ও ইউনিভার্সিটি অব কলোরাডো বোল্ডারের বিহ্যাভিওরাল নিউরোসায়েন্সের সহযোগী অধ্যাপক জোয়ি ডোনাল্ডসন বলেছেন, ‘আমরা যা পেয়েছি, তা মূলত আমাদের (মস্তিষ্কে) আকাঙ্ক্ষার একটি জৈবিক নিদর্শন, যা আমাদের ব্যাখ্যা করতে সাহায্য করে—কেন আমরা কিছু মানুষের তুলনায় অন্য মানুষদের সঙ্গে বেশি থাকতে চাই।’
এই গবেষণা থেকে ডোনাল্ডসন ও তাঁর সহযোগীরা মূলত মানুষ যখন কোনো ঘনিষ্ঠ সম্পর্কে থাকে, তখন তাদের মস্তিষ্কে কী ঘটে এবং যখন সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে যায়, তখন কী ঘটে এবং কোন প্রক্রিয়ায় তা কাটিয়ে ওঠে, সে বিষয়টি জানার চেষ্টা করেন। তাঁরা দেখতে পান, মানুষের প্রেম বাঁচিয়ে রাখতে নিউরোট্রান্সমিটার ডোপামিন অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
ডোনাল্ডসন বলেন, ‘মানুষ হিসেবে আমাদের পুরো সামাজিক জগৎটাই মূলত বিভিন্ন মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ করার ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কিছু ইচ্ছার বিভিন্ন মাত্রার দ্বারা নির্ধারিত হয়।’ তিনি বলেন, ‘এই গবেষণা বলছে, আমাদের মস্তিষ্কে কিছু লোকের দীর্ঘস্থায়ী রাসায়নিক ছাপ পড়ে যায়, যা আমাদের সময়ের সঙ্গে সম্পর্কগুলো এগিয়ে নিতে সহায়তা করে।’
ডোনাল্ডসন ও তাঁর দল আরও দেখতে পেয়েছেন, নমুনা ইঁদুরগুলো যখন সেটির সঙ্গীর কাছাকাছি থাকে, তখন সেটির মস্তিষ্কের নিউক্লিয়াস অ্যাকামবেন্স নামক একটি অংশকে আলোকিত বা উদ্বেলিত করে। মানুষের মস্তিষ্কের এই অংশ মূলত কোনো কিছু করার তাড়নাকে কাজে রূপান্তরের কাজটি করে থাকে। বিজ্ঞানীরা মানুষের ক্ষেত্রেও একই ধরনের চিত্র পেয়েছেন। মানুষ যখন তাঁর প্রিয় মানুষের হাত ধরে থাকেন, তখন তাঁর মস্তিষ্কের নিউক্লিয়াস অ্যাকামবেন্স আলোকিত হয়ে ওঠে।
আর এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই মূলত মানুষের মস্তিষ্কে প্রিয় মানুষের একটি দীর্ঘস্থায়ী ছাপ বা প্রতিচ্ছবি পড়ে এবং এরপর মস্তিষ্কের সেই অংশই প্রেম বা সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যেতে সহায়তা করে।
আমাদের গ্রহের অভ্যন্তরে ঘটছে অসংখ্য জটিল প্রক্রিয়া। এই প্রক্রিয়াটি পৃথিবীর উপরিভাগের চেয়ে অনেক বেশি রহস্যময়। ভূপৃষ্ঠের পাতলা স্তর এবং উত্তপ্ত কেন্দ্রের মাঝখানে অবস্থিত ম্যান্টল অঞ্চলটি প্রায় ২ হাজার ৯০০ কিলোমিটার গভীর পর্যন্ত বিস্তৃত।
১৯ ঘণ্টা আগেআন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে (আইএসএস) প্রায় সাত মাস ধরে আটকে রয়েছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত নভোচারী সুনিতা উইলিয়ামস এবং তাঁর সঙ্গী বুচ উইলমোর। এত দীর্ঘ সময় মহাকাশে থাকার কারণে সুনিতা এখন বড় চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছেন। তিনি ভুলে গেছেন কীভাবে হাঁটতে হয়! এই চ্যালেঞ্জটি তাঁর শরীরের ওপর দীর্ঘ মহাকাশ অভিযানের প্র
২১ ঘণ্টা আগেমহাকাশ স্টেশনে আটকে পড়া নভোচারী বাচ উইলমোর এবং সুনি উইলিয়ামসকে দ্রুত ফিরিয়ে আনতে ইলন মাস্ককে নির্দেশ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গত মঙ্গলবার রাতে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে এ তথ্য জানান মাস্ক। তবে এই ঘোষণার ফলে নাসার...
২ দিন আগেচাঁদে গিয়ে অক্সিজেনের সংকটে পড়েন নভোচারীরা। এই সংকট কাটিয়ে ওঠা যায় কীভাবে, সেই উদ্যোগ নিয়েছেন একদল প্রকৌশলী। তাঁরা চাইছেন, সেখানে যে অক্সিজেন পাওয়া যায়, এ জন্য একটি যন্ত্রের নকশা তৈরি করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের সিয়েরা স্পেসের প্রকৌশলীরা। তাঁরা আশা করছেন
৪ দিন আগে