Ajker Patrika

তিমির সঙ্গে সফলভাবে ‘কথোপকথনের’ দাবি বিজ্ঞানীদের

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ২০: ০০
তিমির সঙ্গে সফলভাবে ‘কথোপকথনের’ দাবি বিজ্ঞানীদের

এলিয়েনদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা অনেক আগে থেকেই করে আসছেন বিজ্ঞানীরা। সেই প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের সার্চ ফর এক্সট্রাটেরেস্ট্রিয়াল ইন্টেলিজেন্সের (সেটি) বিজ্ঞানীদের দাবি, আলাস্কার একটি হাম্পব্যাক তিমির সঙ্গে সফলভাবে ‘কথোপকথন’ করতে পেরেছেন তাঁরা। যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ইনডিপেনডেন্ট এক প্রতিবেদনে খবরটি দিয়েছে।

তিমি কেবল শব্দ উৎপন্ন করাই নয়, গানে গানে নিজেদের মধ্যে যোগাযোগও করতে পারে। বিজ্ঞানীদের অনুসন্ধানে বের হয়ে এসেছে যে তাদের নিজেদের আঞ্চলিক উপভাষাও রয়েছে। তিমির তৈরি জটিল স্বর পানির নিচে হাজার হাজার মাইল পাড়ি দিয়ে পৌঁছাতে পারে আরেক তিমির কাছে। বিজ্ঞানীদের গবেষণায় এসব জানা গেলেও তিমির উৎপন্ন করা শব্দের অর্থ এখনো অধরা।

গবেষকেরা এর আগেও বেশ কিছু তিমির শব্দ রেকর্ড করেছেন। পানির নিচে রেকর্ড করা এসব স্বরকে দীর্ঘ গানও বলা যেতে পারে। কারণ, সুর এবং সময়ের সঙ্গে ছন্দের বিবর্তনও পাওয়া গেছে তিমির এসব শব্দে।

সার্চ ফর এক্সট্রাটেরেস্ট্রিয়াল ইন্টেলিজেন্সের (সেটি) গবেষণা প্রতিবেদনের সহলেখক ফ্রেড শার্প বলেন, ‘হাম্পব্যাক তিমিরা অত্যন্ত বুদ্ধিমান। তাদের তৈরি জটিল সামাজিক ব্যবস্থাও রয়েছে। মাছ ধরার জন্য তারা বুদ্‌বুদ থেকে জাল তৈরি করে। পরস্পরের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য তারা ডাকে এবং গান গায়।’

গবেষণা প্রতিবেদনের আরেক লেখক লিসা ওয়াকার নিউইয়র্ক পোস্টকে বলেন, ‘তাদের ভাষা জটিল। তারা উল্লাসে চিৎকার এবং যন্ত্রণায় আর্তনাদ করে। তাদের হৃৎস্পন্দনের শব্দও শোনা যায়। তিমি উচ্চ কম্পাঙ্কের শব্দও করে থাকে। তাদের কণ্ঠস্বর বেশ চিত্তাকর্ষক। তবে আমরা তাদের স্বরের অর্থ বোঝার চেষ্টা করছি।’

গবেষকেরা এই অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে আলাস্কার উপকূলে অন্য তিমিদের শোনার জন্য হাম্পব্যাক তিমির রেকর্ড করা স্বর পানির নিচে বাজিয়েছেন। তাঁরা দেখেন, বেশির ভাগ তিমিই সেই আওয়াজকে পাত্তা দেয়নি। তবে টোয়াইন নামের একটি স্ত্রী তিমি বিজ্ঞানীদের নৌকা ঘিরে প্রায় ২০ মিনিট প্রদক্ষিণ করেছে। এই সময়ে হাম্পব্যাক তিমির আওয়াজকে অনুকরণ করে শব্দও করেছে টোয়াইন।

হাম্পব্যাক তিমির রেকর্ড করা শব্দের মানে কী, তা পুরোপুরি জানেন না বিজ্ঞানীরা। তবে তাঁদের অনুমান, যোগাযোগ করতে বা একে অপরকে ডাকতে এমন শব্দ করে থাকে তিমিরা। লিসা ওয়াকার বলেন, ‘আমরা যেমন হ্যালো বলি, এটার (তিমির আওয়াজ) অর্থও সে রকম হতে পারে। সেও (টোয়াইন) হয়তো হ্যালোর জবাব দিয়েছে।’

গবেষণার প্রধান লেখক ব্রেন্ডা ম্যাককোওয়ান এক বিবৃতিতে বলেন, ‘আমাদের বিশ্বাস, হাম্পব্যাক ভাষায় হাম্পব্যাক তিমি এবং মানুষের এটিই প্রথম যোগাযোগমূলক আদানপ্রদান।’

বিজ্ঞানীরা ধারণা করছেন, পৃথিবীর বাইরের বুদ্ধিমান প্রাণী অর্থাৎ, এলিয়েন ভবিষ্যতে মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ করতে আগ্রহী হবে। আর হাম্পব্যাক তিমির আচরণ থেকেও সেই অনুমানের পক্ষে সমর্থন বাড়ছে তাঁদের। মানুষের বাইরে তিমির মতো বুদ্ধিবৃত্তিক যোগাযোগব্যবস্থার ওপর ভিত্তি করে গবেষকেরা এমন ফিল্টার তৈরির আশা করছেন, যা প্রাপ্ত যেকোনো বহির্জাগতিক সংকেতে প্রয়োগ করা যাবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

উড়তে থাকা ভারতকে থামাতে ফিল্ডিং নিল নিউজিল্যান্ড

ভারত-নিউজিল্যান্ডের চিন্তা বাদ দিয়ে আপাতত ঘুমাতে চান তিনি

ফরিদপুরে ছাত্রদলের ১৮ সদস্যের কমিটি ঘোষণার পরদিনই ১১ জনের পদত্যাগ

ডিজিএফআইয়ের সাবেক প্রধান সাইফুল আলমের বাসা থেকে আড়াই কোটি টাকা উদ্ধার

ইতিহাস নির্মাতারা রাজনীতির ঊর্ধ্বে: ঢাবি উপাচার্য

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত