এলিয়েনদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা অনেক আগে থেকেই করে আসছেন বিজ্ঞানীরা। সেই প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের সার্চ ফর এক্সট্রাটেরেস্ট্রিয়াল ইন্টেলিজেন্সের (সেটি) বিজ্ঞানীদের দাবি, আলাস্কার একটি হাম্পব্যাক তিমির সঙ্গে সফলভাবে ‘কথোপকথন’ করতে পেরেছেন তাঁরা। যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ইনডিপেনডেন্ট এক প্রতিবেদনে খবরটি দিয়েছে।
তিমি কেবল শব্দ উৎপন্ন করাই নয়, গানে গানে নিজেদের মধ্যে যোগাযোগও করতে পারে। বিজ্ঞানীদের অনুসন্ধানে বের হয়ে এসেছে যে তাদের নিজেদের আঞ্চলিক উপভাষাও রয়েছে। তিমির তৈরি জটিল স্বর পানির নিচে হাজার হাজার মাইল পাড়ি দিয়ে পৌঁছাতে পারে আরেক তিমির কাছে। বিজ্ঞানীদের গবেষণায় এসব জানা গেলেও তিমির উৎপন্ন করা শব্দের অর্থ এখনো অধরা।
গবেষকেরা এর আগেও বেশ কিছু তিমির শব্দ রেকর্ড করেছেন। পানির নিচে রেকর্ড করা এসব স্বরকে দীর্ঘ গানও বলা যেতে পারে। কারণ, সুর এবং সময়ের সঙ্গে ছন্দের বিবর্তনও পাওয়া গেছে তিমির এসব শব্দে।
সার্চ ফর এক্সট্রাটেরেস্ট্রিয়াল ইন্টেলিজেন্সের (সেটি) গবেষণা প্রতিবেদনের সহলেখক ফ্রেড শার্প বলেন, ‘হাম্পব্যাক তিমিরা অত্যন্ত বুদ্ধিমান। তাদের তৈরি জটিল সামাজিক ব্যবস্থাও রয়েছে। মাছ ধরার জন্য তারা বুদ্বুদ থেকে জাল তৈরি করে। পরস্পরের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য তারা ডাকে এবং গান গায়।’
গবেষণা প্রতিবেদনের আরেক লেখক লিসা ওয়াকার নিউইয়র্ক পোস্টকে বলেন, ‘তাদের ভাষা জটিল। তারা উল্লাসে চিৎকার এবং যন্ত্রণায় আর্তনাদ করে। তাদের হৃৎস্পন্দনের শব্দও শোনা যায়। তিমি উচ্চ কম্পাঙ্কের শব্দও করে থাকে। তাদের কণ্ঠস্বর বেশ চিত্তাকর্ষক। তবে আমরা তাদের স্বরের অর্থ বোঝার চেষ্টা করছি।’
গবেষকেরা এই অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে আলাস্কার উপকূলে অন্য তিমিদের শোনার জন্য হাম্পব্যাক তিমির রেকর্ড করা স্বর পানির নিচে বাজিয়েছেন। তাঁরা দেখেন, বেশির ভাগ তিমিই সেই আওয়াজকে পাত্তা দেয়নি। তবে টোয়াইন নামের একটি স্ত্রী তিমি বিজ্ঞানীদের নৌকা ঘিরে প্রায় ২০ মিনিট প্রদক্ষিণ করেছে। এই সময়ে হাম্পব্যাক তিমির আওয়াজকে অনুকরণ করে শব্দও করেছে টোয়াইন।
হাম্পব্যাক তিমির রেকর্ড করা শব্দের মানে কী, তা পুরোপুরি জানেন না বিজ্ঞানীরা। তবে তাঁদের অনুমান, যোগাযোগ করতে বা একে অপরকে ডাকতে এমন শব্দ করে থাকে তিমিরা। লিসা ওয়াকার বলেন, ‘আমরা যেমন হ্যালো বলি, এটার (তিমির আওয়াজ) অর্থও সে রকম হতে পারে। সেও (টোয়াইন) হয়তো হ্যালোর জবাব দিয়েছে।’
গবেষণার প্রধান লেখক ব্রেন্ডা ম্যাককোওয়ান এক বিবৃতিতে বলেন, ‘আমাদের বিশ্বাস, হাম্পব্যাক ভাষায় হাম্পব্যাক তিমি এবং মানুষের এটিই প্রথম যোগাযোগমূলক আদানপ্রদান।’
বিজ্ঞানীরা ধারণা করছেন, পৃথিবীর বাইরের বুদ্ধিমান প্রাণী অর্থাৎ, এলিয়েন ভবিষ্যতে মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ করতে আগ্রহী হবে। আর হাম্পব্যাক তিমির আচরণ থেকেও সেই অনুমানের পক্ষে সমর্থন বাড়ছে তাঁদের। মানুষের বাইরে তিমির মতো বুদ্ধিবৃত্তিক যোগাযোগব্যবস্থার ওপর ভিত্তি করে গবেষকেরা এমন ফিল্টার তৈরির আশা করছেন, যা প্রাপ্ত যেকোনো বহির্জাগতিক সংকেতে প্রয়োগ করা যাবে।
এলিয়েনদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা অনেক আগে থেকেই করে আসছেন বিজ্ঞানীরা। সেই প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের সার্চ ফর এক্সট্রাটেরেস্ট্রিয়াল ইন্টেলিজেন্সের (সেটি) বিজ্ঞানীদের দাবি, আলাস্কার একটি হাম্পব্যাক তিমির সঙ্গে সফলভাবে ‘কথোপকথন’ করতে পেরেছেন তাঁরা। যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ইনডিপেনডেন্ট এক প্রতিবেদনে খবরটি দিয়েছে।
তিমি কেবল শব্দ উৎপন্ন করাই নয়, গানে গানে নিজেদের মধ্যে যোগাযোগও করতে পারে। বিজ্ঞানীদের অনুসন্ধানে বের হয়ে এসেছে যে তাদের নিজেদের আঞ্চলিক উপভাষাও রয়েছে। তিমির তৈরি জটিল স্বর পানির নিচে হাজার হাজার মাইল পাড়ি দিয়ে পৌঁছাতে পারে আরেক তিমির কাছে। বিজ্ঞানীদের গবেষণায় এসব জানা গেলেও তিমির উৎপন্ন করা শব্দের অর্থ এখনো অধরা।
গবেষকেরা এর আগেও বেশ কিছু তিমির শব্দ রেকর্ড করেছেন। পানির নিচে রেকর্ড করা এসব স্বরকে দীর্ঘ গানও বলা যেতে পারে। কারণ, সুর এবং সময়ের সঙ্গে ছন্দের বিবর্তনও পাওয়া গেছে তিমির এসব শব্দে।
সার্চ ফর এক্সট্রাটেরেস্ট্রিয়াল ইন্টেলিজেন্সের (সেটি) গবেষণা প্রতিবেদনের সহলেখক ফ্রেড শার্প বলেন, ‘হাম্পব্যাক তিমিরা অত্যন্ত বুদ্ধিমান। তাদের তৈরি জটিল সামাজিক ব্যবস্থাও রয়েছে। মাছ ধরার জন্য তারা বুদ্বুদ থেকে জাল তৈরি করে। পরস্পরের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য তারা ডাকে এবং গান গায়।’
গবেষণা প্রতিবেদনের আরেক লেখক লিসা ওয়াকার নিউইয়র্ক পোস্টকে বলেন, ‘তাদের ভাষা জটিল। তারা উল্লাসে চিৎকার এবং যন্ত্রণায় আর্তনাদ করে। তাদের হৃৎস্পন্দনের শব্দও শোনা যায়। তিমি উচ্চ কম্পাঙ্কের শব্দও করে থাকে। তাদের কণ্ঠস্বর বেশ চিত্তাকর্ষক। তবে আমরা তাদের স্বরের অর্থ বোঝার চেষ্টা করছি।’
গবেষকেরা এই অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে আলাস্কার উপকূলে অন্য তিমিদের শোনার জন্য হাম্পব্যাক তিমির রেকর্ড করা স্বর পানির নিচে বাজিয়েছেন। তাঁরা দেখেন, বেশির ভাগ তিমিই সেই আওয়াজকে পাত্তা দেয়নি। তবে টোয়াইন নামের একটি স্ত্রী তিমি বিজ্ঞানীদের নৌকা ঘিরে প্রায় ২০ মিনিট প্রদক্ষিণ করেছে। এই সময়ে হাম্পব্যাক তিমির আওয়াজকে অনুকরণ করে শব্দও করেছে টোয়াইন।
হাম্পব্যাক তিমির রেকর্ড করা শব্দের মানে কী, তা পুরোপুরি জানেন না বিজ্ঞানীরা। তবে তাঁদের অনুমান, যোগাযোগ করতে বা একে অপরকে ডাকতে এমন শব্দ করে থাকে তিমিরা। লিসা ওয়াকার বলেন, ‘আমরা যেমন হ্যালো বলি, এটার (তিমির আওয়াজ) অর্থও সে রকম হতে পারে। সেও (টোয়াইন) হয়তো হ্যালোর জবাব দিয়েছে।’
গবেষণার প্রধান লেখক ব্রেন্ডা ম্যাককোওয়ান এক বিবৃতিতে বলেন, ‘আমাদের বিশ্বাস, হাম্পব্যাক ভাষায় হাম্পব্যাক তিমি এবং মানুষের এটিই প্রথম যোগাযোগমূলক আদানপ্রদান।’
বিজ্ঞানীরা ধারণা করছেন, পৃথিবীর বাইরের বুদ্ধিমান প্রাণী অর্থাৎ, এলিয়েন ভবিষ্যতে মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ করতে আগ্রহী হবে। আর হাম্পব্যাক তিমির আচরণ থেকেও সেই অনুমানের পক্ষে সমর্থন বাড়ছে তাঁদের। মানুষের বাইরে তিমির মতো বুদ্ধিবৃত্তিক যোগাযোগব্যবস্থার ওপর ভিত্তি করে গবেষকেরা এমন ফিল্টার তৈরির আশা করছেন, যা প্রাপ্ত যেকোনো বহির্জাগতিক সংকেতে প্রয়োগ করা যাবে।
রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর প্রতিভা ও বিতর্কিত কর্মজীবনের জন্য পরিচিত ছিলেন। বিশ্ব ইতিহাসের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এক আবিষ্কার করেছিলেন এই প্রত্নতত্ত্ববিদ। কিন্তু ইতিহাসের পাতায় আজও উপেক্ষিত।
৬ ঘণ্টা আগেরঙের জগতে নতুন চমক নিয়ে এসেছেন বিজ্ঞানীরা। যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার একদল বিজ্ঞানী দাবি করেছেন, তারা এমন একটি রং আবিষ্কার করেছেন, যা সাধারণ চোখে আগে কখনো দেখা যায়নি। এই রঙের নাম রাখা হয়েছে ‘ওলো’, যা দেখতে একধরনের গাড় সবুজাভ নীল।
১২ ঘণ্টা আগেআইনস্টাইনের কথা উঠলেই চলে আসে আরও একজনের নাম। তিনি হলের এমি নোয়েথার। আইনস্টাইনের আপেক্ষিকতা তত্ত্ব সহজভাবে ব্যাখ্যা করেছিলেন এই নারী। তিনি ছিলেন জার্মান গণিতবিদ। মাত্র ৫৩ বছর বয়সে মারা যান এই নারী। কিন্তু এই অল্প কিছুদিনেই গণিতে তাঁর অবদান অসামান্য।
১ দিন আগেজলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি ও বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাই–অক্সাইডের মাত্রা বৃদ্ধির কারণে বাংলাদেশসহ বিশ্বের কৃষিপ্রধান দেশগুলোর ধানে আর্সেনিকের উপস্থিতির আশঙ্কা বেড়ে গেছে। সম্প্রতি দ্য ল্যানসেট প্ল্যানেটারি হেলথ জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণায় এই তথ্য জানানো হয়েছে।
১ দিন আগে