অনলাইন ডেস্ক
সিংহ শিকারের জন্য জেব্রাকে তাড়া করলে জেব্রার ধরাশায়ী হওয়া অবশ্যম্ভাবী, তাতে বাধা দেওয়ার কেউ নেই। কিন্তু গবেষকরা বলছেন, ছোট্ট প্রাণী পিঁপড়ার বাধায় পণ্ড হচ্ছে সিংহের জেব্রা শিকার। বনের রাজা বাধ্য হচ্ছেন বিকল্প শিকারে। এ যেন সেই বাইবেলের ডেভিড-গোলিয়াথের গল্প।
আফ্রিকার কেনিয়ায় বাস্তুসংস্থানের ওপর পরিচালিত একটি গবেষণা আজ শুক্রবার প্রকাশিত হয়েছে বিজ্ঞানবিষয়ক জার্নাল ‘সায়েন্সে’। প্রকাশিত ওই গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, আফ্রিকার দেশ কেনিয়ার সাভানা অঞ্চলের তৃণভূমিতে এক প্রজাতির পিঁপড়ার আর্বিভাবে সম্পূর্ণ পাল্টে গেছে বাস্তুসংস্থান। শেষমেশ সিংহকে ভাবতে হয়েছে বিকল্প শিকারের কথা।
সাভানার একাশিয়া জাতের হুসলিং থর্ন ট্রি (বৈজ্ঞানিক নাম ভ্যাচেলিয়া ড্রেপানোলোবিয়াম) গাছে বাস করত এক ধরনের পিঁপড়া, যাদের একাশিয়া পিঁপড়া (বৈজ্ঞানিক নাম ক্রেমাটোগাস্টার) বলা হয়। একাশিয়া পিঁপড়া হাতি বা অন্য কোনো তৃণভোজী প্রাণী থেকে রক্ষা করত একাশিয়া গাছকে। এই পিঁপড়া অন্য আরেকটি হিংস্র বা ইনভ্যসিভ প্রজাতির পিঁপড়ার আক্রমণে নাই হয়ে যেতে থাকে।
ফলে এই অঞ্চলের একাশিয়া গাছ খেয়ে সাবাড় করে ফেলে হাতি। পাল্টে যায় তৃণভূমির দৃশ্য। এতেই সমস্যায় পড়ে সিংহ। গাছপালার যেসব আড়াল কাজে লাগিয়ে জেব্রা শিকার করত সিংহ, সেসব আর নেই। বাধ্য হয়ে আরও কঠিন এবং বিপজ্জনক শিকারের দিকে যেতে বাধ্য হয়েছে এই অঞ্চলের সিংহরা। সেই শিকারের নাম মহিষ।
ফনা অ্যান্ড ফ্লোরা ইন্টারন্যাশনালের একজন বাস্তুসংস্থান বিজ্ঞানী মেরেডিথ পামার সায়েন্স জার্নালে প্রকাশিত গবেষণা সম্পর্কে বলেন, বাস্তুসংস্থান কতটা জটিল হতে পারে তার এক দারুণ চিত্র এই গবেষণাপত্র। বাস্তুসংস্থানের একটি উপাদান সরিয়ে নিলে প্রকৃতি সব প্রাণীকুলের ওপর যে প্রভাব পড়ে সেটাই উঠে এসেছে এই গবেষণায়।
গবেষণাপত্র থেকে জানা গেছে, পূর্ব আফ্রিকার হাজার হাজার বর্গকিলোমিটার জুড়ে ছড়িয়ে আছে হুসলিং থর্ন ট্রি নামের একটি গাছ। স্থানীয় পিঁপড়াদের (অ্যাকাশিয়া অ্যান্টস) খাদ্য সরবরাহ করে এই গাছ। বিনিময়ে তৃণভোজী প্রাণীদের হাত থেকে গাছকে রক্ষা করে বাবলার ডলপালা ও পাতায় বসবাসকারী এসব পিঁপড়া। যেমন, আফ্রিকান বুশ হাতির নাকের ছিদ্র দিয়ে ঢুকে শরীরের ভেতরেও প্রবেশ করে এই অ্যাকাশিয়া পিঁপড়া।
কিন্তু হঠাৎ দেখা গেল, এই পিঁপড়ার সংখ্যা আশঙ্কাজনকভাবে কমে যাচ্ছে। ২০০০ সালের শুরুর দিকে হিংস্র বা ইনভ্যসিভ প্রজাতির বড় মাথার পিঁপড়ার (বৈজ্ঞানিক নাম ফেইডোল মেগাসেফালা) আনাগোনা দেখা যায় অঞ্চলটিতে। ধারণা করা হয়, ভারত মহাসাগরের কোনো দ্বীপ থেকেই কেনিয়ায় আগমন ঘটে এই প্রজাতির পিঁপড়ার। পিঁপড়াগুলো একাশিয়া গাছের পিঁপড়াদের আক্রমণ করে এবং তাদের ডিম ও বাচ্চা খেয়ে ফেলে। এতে হাতির কাছে বাবলা গাছ হয়ে পড়ে অরক্ষিত।
ইউনিভার্সিটি অব ওয়াইমিংয়ের (ইউডব্লিউ) বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞ ও পরিবেশবিদ জ্যাকব গোহেনের চোখে পড়ে এই পরিবর্তন। হাতি একাশিয়া গাছ খেয়ে ফেলায় প্রকৃতির অন্যান্য প্রাণীর ওপর কেমন প্রভাব পড়ে, তা দেখতে চান তিনি। গোহেন বলেন, ‘সিংহেরা সাধারণত ঘন ঝোপ ব্যবহার করে শিকার ধরতে অনেক বেশি কার্যকর। আফ্রিকান সাভানা যদি আরও উন্মুক্ত হয়ে পড়ে তবে সিংহের জন্য জেব্রা শিকার করা আরও কঠিন হবে?’
এই প্রশ্নের সমাধানে সাহায্যে এগিয়ে আসে কেনিয়ার লাইকিপিয়া কাউন্টির ওআই পেজেটা কনজারভেন্সি। সাভানায় ৩৬০ বর্গকিলোমিটারেরও বেশি এলাকাজুড়ে গোহেন এবং তাঁর সহকর্মীরা এক ডজন ২৫০০ বর্গমিটারের এক ডজন প্লট নির্ধারণ করেন। প্রতিটি প্লটে গাছপালার ঘনত্ব, জেব্রার সংখ্যা এবং বড় মাথার পিঁপড়া রাখা হয়। গবেষক দল ছয়টি সিংহীর মধ্যে জিপিএস কলার স্থাপন করে বিভিন্ন প্লটে তাঁদের আচরণ কীভাবে আলাদা হয় তা পরীক্ষা শুরু করেন।
টানা তিন বছর পর্যবেক্ষণের পর কিছু চমকপ্রদ সিদ্ধান্তে পৌঁছায় গোহেনের দল। যেসব গাছে অ্যাকাশিয়া অ্যান্টস বা গাছ রক্ষাকারী পিঁপড়া ছিল সেসবের তুলনায় এই প্রজাতির পিঁপড়া না থাকা গাছ প্রায় ৭ গুণ দ্রুত সময়ে উপড়ে ফেলে হাতি। গাছ ও ঝোপঝাড়ের পরিমাণ কমে যায় সেসব প্লটে। লুকিয়ে থেকে জেব্রা শিকার করাও কঠিন হয়ে পড়ে সিংহের জন্য। বিপরীতে, স্থানীয় পিঁপড়াযুক্ত এলাকায় সিংহ লুকিয়ে থাকতে পারে এবং প্রায় তিনগুণ বেশি জেব্রা শিকারেও সক্ষম হয়।
যে এলাকায় পরীক্ষাটি করা হয় সেখানে সিংহের প্রধান শিকার জেব্রা পাওয়ার পরিমাণ কমলেও সিংহের সংখ্যা অনেকটাই স্থির ছিল। গবেষণায় দেখা গেছে, বিড়াল প্রজাতির এই বড় প্রাণীরা তাদের খাদ্য বৈচিত্র্যের সঙ্গে দ্রুত মানিয়ে নিতে পারে। গবেষক দল দেখেছে যে, সিংহের দ্বারা জেব্রা হত্যা ২০২০ সালে নেমে এসেছিল মাত্র ৪২ শতাংশে, যেখানে ২০০৩ সালেই এটি ছিল প্রায় ৬৭ শতাংশ। একই সময়ের মধ্যে সিংহের দ্বারা মহিষ হত্যা শূন্য থেকে উঠে গেছে ৪২ শতাংশে। এই খাদ্যতালিকাগত পরিবর্তন টেকসই কিনা তা স্পষ্ট করা যায়নি।
এই ফলাফলে বেশ অবাক হয়েছেন ইউডব্লিউ-এর একজন পরিবেশবিদ ডগলাস কামারু। তিনি বলেন, সিংহের পক্ষে মহিষ মারা খুব কঠিন। জেব্রার তুলনায় এটি অনেক শক্তিশালী এবং কখনো কখনো মহিষ সিংহকে মেরে ফেলে।
ব্রিটিশ কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশবিদ ক্যাটলিন গেনর বলেন, শুধুমাত্র পৃথক একটি প্রজাতির পরিবর্তে সম্পূর্ণ বাস্তুতন্ত্র নিয়ে ভাবলে পরিবেশে পরিবর্তনের প্রভাবগুলো আরও ভালোভাবে অনুমান করা যায়। একটি প্রজাতি হারিয়ে গেলে পুরো পরিবেশেই ঘটতে পড়ে আমূল পরিবর্তন।
সিংহ শিকারের জন্য জেব্রাকে তাড়া করলে জেব্রার ধরাশায়ী হওয়া অবশ্যম্ভাবী, তাতে বাধা দেওয়ার কেউ নেই। কিন্তু গবেষকরা বলছেন, ছোট্ট প্রাণী পিঁপড়ার বাধায় পণ্ড হচ্ছে সিংহের জেব্রা শিকার। বনের রাজা বাধ্য হচ্ছেন বিকল্প শিকারে। এ যেন সেই বাইবেলের ডেভিড-গোলিয়াথের গল্প।
আফ্রিকার কেনিয়ায় বাস্তুসংস্থানের ওপর পরিচালিত একটি গবেষণা আজ শুক্রবার প্রকাশিত হয়েছে বিজ্ঞানবিষয়ক জার্নাল ‘সায়েন্সে’। প্রকাশিত ওই গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, আফ্রিকার দেশ কেনিয়ার সাভানা অঞ্চলের তৃণভূমিতে এক প্রজাতির পিঁপড়ার আর্বিভাবে সম্পূর্ণ পাল্টে গেছে বাস্তুসংস্থান। শেষমেশ সিংহকে ভাবতে হয়েছে বিকল্প শিকারের কথা।
সাভানার একাশিয়া জাতের হুসলিং থর্ন ট্রি (বৈজ্ঞানিক নাম ভ্যাচেলিয়া ড্রেপানোলোবিয়াম) গাছে বাস করত এক ধরনের পিঁপড়া, যাদের একাশিয়া পিঁপড়া (বৈজ্ঞানিক নাম ক্রেমাটোগাস্টার) বলা হয়। একাশিয়া পিঁপড়া হাতি বা অন্য কোনো তৃণভোজী প্রাণী থেকে রক্ষা করত একাশিয়া গাছকে। এই পিঁপড়া অন্য আরেকটি হিংস্র বা ইনভ্যসিভ প্রজাতির পিঁপড়ার আক্রমণে নাই হয়ে যেতে থাকে।
ফলে এই অঞ্চলের একাশিয়া গাছ খেয়ে সাবাড় করে ফেলে হাতি। পাল্টে যায় তৃণভূমির দৃশ্য। এতেই সমস্যায় পড়ে সিংহ। গাছপালার যেসব আড়াল কাজে লাগিয়ে জেব্রা শিকার করত সিংহ, সেসব আর নেই। বাধ্য হয়ে আরও কঠিন এবং বিপজ্জনক শিকারের দিকে যেতে বাধ্য হয়েছে এই অঞ্চলের সিংহরা। সেই শিকারের নাম মহিষ।
ফনা অ্যান্ড ফ্লোরা ইন্টারন্যাশনালের একজন বাস্তুসংস্থান বিজ্ঞানী মেরেডিথ পামার সায়েন্স জার্নালে প্রকাশিত গবেষণা সম্পর্কে বলেন, বাস্তুসংস্থান কতটা জটিল হতে পারে তার এক দারুণ চিত্র এই গবেষণাপত্র। বাস্তুসংস্থানের একটি উপাদান সরিয়ে নিলে প্রকৃতি সব প্রাণীকুলের ওপর যে প্রভাব পড়ে সেটাই উঠে এসেছে এই গবেষণায়।
গবেষণাপত্র থেকে জানা গেছে, পূর্ব আফ্রিকার হাজার হাজার বর্গকিলোমিটার জুড়ে ছড়িয়ে আছে হুসলিং থর্ন ট্রি নামের একটি গাছ। স্থানীয় পিঁপড়াদের (অ্যাকাশিয়া অ্যান্টস) খাদ্য সরবরাহ করে এই গাছ। বিনিময়ে তৃণভোজী প্রাণীদের হাত থেকে গাছকে রক্ষা করে বাবলার ডলপালা ও পাতায় বসবাসকারী এসব পিঁপড়া। যেমন, আফ্রিকান বুশ হাতির নাকের ছিদ্র দিয়ে ঢুকে শরীরের ভেতরেও প্রবেশ করে এই অ্যাকাশিয়া পিঁপড়া।
কিন্তু হঠাৎ দেখা গেল, এই পিঁপড়ার সংখ্যা আশঙ্কাজনকভাবে কমে যাচ্ছে। ২০০০ সালের শুরুর দিকে হিংস্র বা ইনভ্যসিভ প্রজাতির বড় মাথার পিঁপড়ার (বৈজ্ঞানিক নাম ফেইডোল মেগাসেফালা) আনাগোনা দেখা যায় অঞ্চলটিতে। ধারণা করা হয়, ভারত মহাসাগরের কোনো দ্বীপ থেকেই কেনিয়ায় আগমন ঘটে এই প্রজাতির পিঁপড়ার। পিঁপড়াগুলো একাশিয়া গাছের পিঁপড়াদের আক্রমণ করে এবং তাদের ডিম ও বাচ্চা খেয়ে ফেলে। এতে হাতির কাছে বাবলা গাছ হয়ে পড়ে অরক্ষিত।
ইউনিভার্সিটি অব ওয়াইমিংয়ের (ইউডব্লিউ) বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞ ও পরিবেশবিদ জ্যাকব গোহেনের চোখে পড়ে এই পরিবর্তন। হাতি একাশিয়া গাছ খেয়ে ফেলায় প্রকৃতির অন্যান্য প্রাণীর ওপর কেমন প্রভাব পড়ে, তা দেখতে চান তিনি। গোহেন বলেন, ‘সিংহেরা সাধারণত ঘন ঝোপ ব্যবহার করে শিকার ধরতে অনেক বেশি কার্যকর। আফ্রিকান সাভানা যদি আরও উন্মুক্ত হয়ে পড়ে তবে সিংহের জন্য জেব্রা শিকার করা আরও কঠিন হবে?’
এই প্রশ্নের সমাধানে সাহায্যে এগিয়ে আসে কেনিয়ার লাইকিপিয়া কাউন্টির ওআই পেজেটা কনজারভেন্সি। সাভানায় ৩৬০ বর্গকিলোমিটারেরও বেশি এলাকাজুড়ে গোহেন এবং তাঁর সহকর্মীরা এক ডজন ২৫০০ বর্গমিটারের এক ডজন প্লট নির্ধারণ করেন। প্রতিটি প্লটে গাছপালার ঘনত্ব, জেব্রার সংখ্যা এবং বড় মাথার পিঁপড়া রাখা হয়। গবেষক দল ছয়টি সিংহীর মধ্যে জিপিএস কলার স্থাপন করে বিভিন্ন প্লটে তাঁদের আচরণ কীভাবে আলাদা হয় তা পরীক্ষা শুরু করেন।
টানা তিন বছর পর্যবেক্ষণের পর কিছু চমকপ্রদ সিদ্ধান্তে পৌঁছায় গোহেনের দল। যেসব গাছে অ্যাকাশিয়া অ্যান্টস বা গাছ রক্ষাকারী পিঁপড়া ছিল সেসবের তুলনায় এই প্রজাতির পিঁপড়া না থাকা গাছ প্রায় ৭ গুণ দ্রুত সময়ে উপড়ে ফেলে হাতি। গাছ ও ঝোপঝাড়ের পরিমাণ কমে যায় সেসব প্লটে। লুকিয়ে থেকে জেব্রা শিকার করাও কঠিন হয়ে পড়ে সিংহের জন্য। বিপরীতে, স্থানীয় পিঁপড়াযুক্ত এলাকায় সিংহ লুকিয়ে থাকতে পারে এবং প্রায় তিনগুণ বেশি জেব্রা শিকারেও সক্ষম হয়।
যে এলাকায় পরীক্ষাটি করা হয় সেখানে সিংহের প্রধান শিকার জেব্রা পাওয়ার পরিমাণ কমলেও সিংহের সংখ্যা অনেকটাই স্থির ছিল। গবেষণায় দেখা গেছে, বিড়াল প্রজাতির এই বড় প্রাণীরা তাদের খাদ্য বৈচিত্র্যের সঙ্গে দ্রুত মানিয়ে নিতে পারে। গবেষক দল দেখেছে যে, সিংহের দ্বারা জেব্রা হত্যা ২০২০ সালে নেমে এসেছিল মাত্র ৪২ শতাংশে, যেখানে ২০০৩ সালেই এটি ছিল প্রায় ৬৭ শতাংশ। একই সময়ের মধ্যে সিংহের দ্বারা মহিষ হত্যা শূন্য থেকে উঠে গেছে ৪২ শতাংশে। এই খাদ্যতালিকাগত পরিবর্তন টেকসই কিনা তা স্পষ্ট করা যায়নি।
এই ফলাফলে বেশ অবাক হয়েছেন ইউডব্লিউ-এর একজন পরিবেশবিদ ডগলাস কামারু। তিনি বলেন, সিংহের পক্ষে মহিষ মারা খুব কঠিন। জেব্রার তুলনায় এটি অনেক শক্তিশালী এবং কখনো কখনো মহিষ সিংহকে মেরে ফেলে।
ব্রিটিশ কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশবিদ ক্যাটলিন গেনর বলেন, শুধুমাত্র পৃথক একটি প্রজাতির পরিবর্তে সম্পূর্ণ বাস্তুতন্ত্র নিয়ে ভাবলে পরিবেশে পরিবর্তনের প্রভাবগুলো আরও ভালোভাবে অনুমান করা যায়। একটি প্রজাতি হারিয়ে গেলে পুরো পরিবেশেই ঘটতে পড়ে আমূল পরিবর্তন।
আমাদের গ্রহের অভ্যন্তরে ঘটছে অসংখ্য জটিল প্রক্রিয়া। এই প্রক্রিয়াটি পৃথিবীর উপরিভাগের চেয়ে অনেক বেশি রহস্যময়। ভূপৃষ্ঠের পাতলা স্তর এবং উত্তপ্ত কেন্দ্রের মাঝখানে অবস্থিত ম্যান্টল অঞ্চলটি প্রায় ২ হাজার ৯০০ কিলোমিটার গভীর পর্যন্ত বিস্তৃত।
৫ ঘণ্টা আগেআন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে (আইএসএস) প্রায় সাত মাস ধরে আটকে রয়েছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত নভোচারী সুনিতা উইলিয়ামস এবং তাঁর সঙ্গী বুচ উইলমোর। এত দীর্ঘ সময় মহাকাশে থাকার কারণে সুনিতা এখন বড় চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছেন। তিনি ভুলে গেছেন কীভাবে হাঁটতে হয়! এই চ্যালেঞ্জটি তাঁর শরীরের ওপর দীর্ঘ মহাকাশ অভিযানের প্র
৭ ঘণ্টা আগেমহাকাশ স্টেশনে আটকে পড়া নভোচারী বাচ উইলমোর এবং সুনি উইলিয়ামসকে দ্রুত ফিরিয়ে আনতে ইলন মাস্ককে নির্দেশ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গত মঙ্গলবার রাতে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে এ তথ্য জানান মাস্ক। তবে এই ঘোষণার ফলে নাসার...
১ দিন আগেচাঁদে গিয়ে অক্সিজেনের সংকটে পড়েন নভোচারীরা। এই সংকট কাটিয়ে ওঠা যায় কীভাবে, সেই উদ্যোগ নিয়েছেন একদল প্রকৌশলী। তাঁরা চাইছেন, সেখানে যে অক্সিজেন পাওয়া যায়, এ জন্য একটি যন্ত্রের নকশা তৈরি করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের সিয়েরা স্পেসের প্রকৌশলীরা। তাঁরা আশা করছেন
৩ দিন আগে