বাজারে বিদ্যমান কীটনাশকগুলো ডেঙ্গু রোগের বাহক এডিস মশাকে ধ্বংস করতে ব্যর্থ হচ্ছে। বিশেষ করে এশিয়া মহাদেশের বড় একটি অংশে। ফলে অতিদ্রুত এই ভয়াবহ এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে নতুন কোনো পদ্ধতি আবিষ্কৃত না হলে পরিস্থিতি শিগগিরই নাগালের বাইরে চলে যাবে বলে সতর্ক করেছেন গবেষকেরা। জাপান টাইমসের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
সাধারণত, এ ধরনের মশা দমনে বিভিন্ন ধরনের কীটনাশক ধোঁয়া আকারে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু সেই পদ্ধতি কতটা কাজ করছে এবং এর প্রতিক্রিয়া কেমন হতে পারে সে বিষয়ে কখনোই আলাদা করে ভাবা হয়নি। কিন্তু বর্তমানে পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে আগের উপায়ে আর ডেঙ্গুবাহী মশা নিধন কার্যকর হয়ে উঠছে না।
জাপানি বিজ্ঞানী শিনজি কাসাই এবং তাঁর দল আফ্রিকার দেশ ঘানার পাশাপাশি এশিয়ার বেশ কয়েকটি দেশ থেকে মশার নমুনা নিয়ে পরীক্ষা করে দেখেন, মশার বেশ কয়েকটি প্রজাতি মিউটেশনের মাধ্যমে জনপ্রিয় মশা নিধনকারক পাইরিথ্রয়েডভিত্তিক রাসায়নিক যেমন পারমেথ্রিনের কার্যকারিতাকে বিনষ্ট করে দিয়েছে। সোজা কথায় বললে, মশা এই রাসায়নিকের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছে।
কাসাই বলেন, ‘কম্বোডিয়ায় এডিস ইজিপ্টি মশার প্রজাতির ৯০ শতাংশই মিউটেশনের অত্যন্ত উচ্চ স্তরের প্রতিরোধ ক্ষমতা অর্জন করেছে।’ গবেষণা থেকে কাসাই দেখতে পান, কিছু কিছু প্রজাতির মশার প্রতিরোধক্ষমতা আগের চেয়ে হাজার গুণ বেশি বেড়েছে। তিনি আরও দেখতে পান, আগে যেসব রাসায়নিক প্রয়োগ করলে প্রায় শতভাগ মশা মারা যেত, বর্তমানে মিউটেশনের কারণে সেই একই রাসায়নিক প্রয়োগে মাত্র ৭ শতাংশ মশা মারা যায়। এমনকি সেই রাসায়নিকের ডোজ ১০ গুণ বাড়ানো হলেও তা কেবল ৩০ শতাংশ মশাকে মারতে সক্ষম হবে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, প্রতিবছর আনুমানিক ১০ থেকে ৪০ কোটি মানুষ ডেঙ্গুতে সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকিতে থাকে। যদিও ৮০ ভাগ ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী খুব সামান্য লক্ষণ প্রকাশ করে কিংবা করে না, কিন্তু এই ডেঙ্গুই মানুষের অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণজনিত জ্বরের কারণ হতে পারে।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ডেঙ্গুর বেশ কয়েকটি ভ্যাকসিন তৈরি করেছে, কিন্তু কোনো বিকল্পই ডেঙ্গু নির্মূলের কাছাকাছি নয়। ফলে ডেঙ্গুবাহী মশা নির্মূলে নতুন করেই ভাবতে হবে বলে পরামর্শ বিজ্ঞানীদের।
ড. কাসাই এবং তাঁর দলের গবেষণা থেকে দেখা গেছে, বিদ্যমান কীটনাশকের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে মশার প্রজাতিগুলো জেনেটিক পরিবর্তন ঘটাচ্ছে। যেমন তারা দেখতে পেয়েছেন, এডিস ইজিপ্টি মশার প্রজাতির বেশ কয়েকটি জেনেটিক পরিবর্তন হয়েছে প্রতিরোধ সংশ্লিষ্ট। যা কি না বাজারে বিদ্যমান পাইরিথ্রয়েড এবং অন্যান্য কীটনাশকের বিরুদ্ধে প্রজাতিটিকে সুরক্ষা দেয়।
তাই গবেষকেরা বলছেন, এই মিউটেশনের কারণে সাধারণভাবে ব্যবহৃত কৌশলগুলো আর কার্যকর না-ও হতে পারে। এ বিষয়ে সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ও মশা গবেষক ক্যামেরন ওয়েব বলেছেন, ‘আমাদের কাছে পর্যাপ্ত প্রমাণ রয়েছে যে মশার সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে বর্তমান কীটনাশকের আর কার্যকর না-ও হতে পারে।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের নতুন রাসায়নিক প্রয়োজন। তবে মানবজাতিকে রক্ষায় কর্তৃপক্ষ এবং গবেষকদের ভ্যাকসিনসহ অন্য উপায়গুলো নিয়েও ভাবতে হবে।’
বাজারে বিদ্যমান কীটনাশকগুলো ডেঙ্গু রোগের বাহক এডিস মশাকে ধ্বংস করতে ব্যর্থ হচ্ছে। বিশেষ করে এশিয়া মহাদেশের বড় একটি অংশে। ফলে অতিদ্রুত এই ভয়াবহ এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে নতুন কোনো পদ্ধতি আবিষ্কৃত না হলে পরিস্থিতি শিগগিরই নাগালের বাইরে চলে যাবে বলে সতর্ক করেছেন গবেষকেরা। জাপান টাইমসের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
সাধারণত, এ ধরনের মশা দমনে বিভিন্ন ধরনের কীটনাশক ধোঁয়া আকারে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু সেই পদ্ধতি কতটা কাজ করছে এবং এর প্রতিক্রিয়া কেমন হতে পারে সে বিষয়ে কখনোই আলাদা করে ভাবা হয়নি। কিন্তু বর্তমানে পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে আগের উপায়ে আর ডেঙ্গুবাহী মশা নিধন কার্যকর হয়ে উঠছে না।
জাপানি বিজ্ঞানী শিনজি কাসাই এবং তাঁর দল আফ্রিকার দেশ ঘানার পাশাপাশি এশিয়ার বেশ কয়েকটি দেশ থেকে মশার নমুনা নিয়ে পরীক্ষা করে দেখেন, মশার বেশ কয়েকটি প্রজাতি মিউটেশনের মাধ্যমে জনপ্রিয় মশা নিধনকারক পাইরিথ্রয়েডভিত্তিক রাসায়নিক যেমন পারমেথ্রিনের কার্যকারিতাকে বিনষ্ট করে দিয়েছে। সোজা কথায় বললে, মশা এই রাসায়নিকের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছে।
কাসাই বলেন, ‘কম্বোডিয়ায় এডিস ইজিপ্টি মশার প্রজাতির ৯০ শতাংশই মিউটেশনের অত্যন্ত উচ্চ স্তরের প্রতিরোধ ক্ষমতা অর্জন করেছে।’ গবেষণা থেকে কাসাই দেখতে পান, কিছু কিছু প্রজাতির মশার প্রতিরোধক্ষমতা আগের চেয়ে হাজার গুণ বেশি বেড়েছে। তিনি আরও দেখতে পান, আগে যেসব রাসায়নিক প্রয়োগ করলে প্রায় শতভাগ মশা মারা যেত, বর্তমানে মিউটেশনের কারণে সেই একই রাসায়নিক প্রয়োগে মাত্র ৭ শতাংশ মশা মারা যায়। এমনকি সেই রাসায়নিকের ডোজ ১০ গুণ বাড়ানো হলেও তা কেবল ৩০ শতাংশ মশাকে মারতে সক্ষম হবে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, প্রতিবছর আনুমানিক ১০ থেকে ৪০ কোটি মানুষ ডেঙ্গুতে সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকিতে থাকে। যদিও ৮০ ভাগ ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী খুব সামান্য লক্ষণ প্রকাশ করে কিংবা করে না, কিন্তু এই ডেঙ্গুই মানুষের অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণজনিত জ্বরের কারণ হতে পারে।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ডেঙ্গুর বেশ কয়েকটি ভ্যাকসিন তৈরি করেছে, কিন্তু কোনো বিকল্পই ডেঙ্গু নির্মূলের কাছাকাছি নয়। ফলে ডেঙ্গুবাহী মশা নির্মূলে নতুন করেই ভাবতে হবে বলে পরামর্শ বিজ্ঞানীদের।
ড. কাসাই এবং তাঁর দলের গবেষণা থেকে দেখা গেছে, বিদ্যমান কীটনাশকের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে মশার প্রজাতিগুলো জেনেটিক পরিবর্তন ঘটাচ্ছে। যেমন তারা দেখতে পেয়েছেন, এডিস ইজিপ্টি মশার প্রজাতির বেশ কয়েকটি জেনেটিক পরিবর্তন হয়েছে প্রতিরোধ সংশ্লিষ্ট। যা কি না বাজারে বিদ্যমান পাইরিথ্রয়েড এবং অন্যান্য কীটনাশকের বিরুদ্ধে প্রজাতিটিকে সুরক্ষা দেয়।
তাই গবেষকেরা বলছেন, এই মিউটেশনের কারণে সাধারণভাবে ব্যবহৃত কৌশলগুলো আর কার্যকর না-ও হতে পারে। এ বিষয়ে সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ও মশা গবেষক ক্যামেরন ওয়েব বলেছেন, ‘আমাদের কাছে পর্যাপ্ত প্রমাণ রয়েছে যে মশার সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে বর্তমান কীটনাশকের আর কার্যকর না-ও হতে পারে।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের নতুন রাসায়নিক প্রয়োজন। তবে মানবজাতিকে রক্ষায় কর্তৃপক্ষ এবং গবেষকদের ভ্যাকসিনসহ অন্য উপায়গুলো নিয়েও ভাবতে হবে।’
রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর প্রতিভা ও বিতর্কিত কর্মজীবনের জন্য পরিচিত ছিলেন। বিশ্ব ইতিহাসের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এক আবিষ্কার করেছিলেন এই প্রত্নতত্ত্ববিদ। কিন্তু ইতিহাসের পাতায় আজও উপেক্ষিত।
১৩ ঘণ্টা আগেরঙের জগতে নতুন চমক নিয়ে এসেছেন বিজ্ঞানীরা। যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার একদল বিজ্ঞানী দাবি করেছেন, তারা এমন একটি রং আবিষ্কার করেছেন, যা সাধারণ চোখে আগে কখনো দেখা যায়নি। এই রঙের নাম রাখা হয়েছে ‘ওলো’, যা দেখতে একধরনের গাড় সবুজাভ নীল।
২০ ঘণ্টা আগেআইনস্টাইনের কথা উঠলেই চলে আসে আরও একজনের নাম। তিনি হলের এমি নোয়েথার। আইনস্টাইনের আপেক্ষিকতা তত্ত্ব সহজভাবে ব্যাখ্যা করেছিলেন এই নারী। তিনি ছিলেন জার্মান গণিতবিদ। মাত্র ৫৩ বছর বয়সে মারা যান এই নারী। কিন্তু এই অল্প কিছুদিনেই গণিতে তাঁর অবদান অসামান্য।
২ দিন আগেজলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি ও বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাই–অক্সাইডের মাত্রা বৃদ্ধির কারণে বাংলাদেশসহ বিশ্বের কৃষিপ্রধান দেশগুলোর ধানে আর্সেনিকের উপস্থিতির আশঙ্কা বেড়ে গেছে। সম্প্রতি দ্য ল্যানসেট প্ল্যানেটারি হেলথ জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণায় এই তথ্য জানানো হয়েছে।
২ দিন আগে