নিম্ন ও মধ্য আয়ের দেশগুলোতেই কোভিড টিকা গ্রহণে মানুষের আগ্রহ ও আস্থা বেশি। যদিও সেসব দেশে যথেষ্ট টিকার সরবরাহ নেই। অথচ যুক্তরাষ্ট্রের মতো ধনী দেশে টিকার উদ্বৃত্ত সরবরাহ থাকলেও মানুষের মধ্যে টিকা গ্রহণের আগ্রহ কম। বিভিন্ন আর্থিক অবস্থার ১২টি দেশে জরিপ করে এমন তথ্য উঠে এসেছে। গবেষণা প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়েছে নেচার মেডিসিন জার্নালে।
গত ১৬ জুলাই প্রকাশিত গবেষণা প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, এশিয়া, আফ্রিকা এবং দক্ষিণ আমেরিকার নিম্ন ও মধ্য আয়ের কয়েকটি দেশে জরিপ চালিয়ে দেখা গেছে, সেসব দেশের ৮০ শতাংশ মানুষ কোভিড টিকা নিতে আগ্রহী। যেখানে যুক্তরাষ্ট্রে টিকা নিতে আগ্রহী ৬৫ শতাংশ মানুষ। উচ্চ–মধ্য আয়ের দেশ রাশিয়াতে মানুষের আগ্রহ খুবই কম, সেখানে মাত্র ৩০ শতাংশ মানুষ টিকা নিতে চান।
এই সমীক্ষা প্রতিবেদনের লেখকেরা বলছেন, বিশ্বব্যাপী কোভিড টিকার বৈষম্যহীন সরবরাহ নিশ্চিত করা শুধু নৈতিক দায়িত্বই নয়, এই ভাইরাসের বিস্তার রোধে সবচেয়ে শক্তিশালী উপায়। আর মানুষের মধ্যে যতো বেশি করে দ্বিধা দূর করা যাবে টিকাদান কর্মসূচি ততো সহজ হবে।
কানেকটিকাটের নিউহ্যাভেনে ইয়েল ইউনিভার্সিটির অর্থনীতিবিদ আহমেদ মুশফিক মোবারক বলেন, বৈষম্যহীন সরবরাহের বিষয়টিই শুধু গুরুত্বপূর্ণ নয়, বরং টিকা শেয়ার করাই হলো সবচেয়ে কার্যকর বিষয়। আপনি সেই সব মানুষকেই টিকা দেবেন যারা নিতে আগ্রহী।
টিকা নিয়ে মানুষের মধ্যে দ্বিধার বিষয়টি বুঝতে মোবারক ও তাঁর সহকর্মীরা ১১টি নিম্ন ও মধ্য আয়ের দেশে জরিপ চালান। এর মধ্যে রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রকেও যুক্ত করেন তাঁরা। বুরকিনা ফাসো, কলম্বিয়া, ভারত, মোজাম্বিক, নেপাল, নাইজেরিয়া, পাকিস্তান, রুয়ান্ডা, সিয়েরা লিওন, উগান্ডা, রাশিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রে ২০২০ সালের জুন থেকে ২০২১ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত এ জরিপ চালানো হয়। জরিপে অংশগ্রহণকারীদের কাছে গবেষকেরা জানতে চান, দেশে টিকা দেওয়া শুরু হলে তাঁরা নিতে আগ্রহী কি–না। আর টিকা নিতে চাওয়া বা না চাওয়ার সিদ্ধান্তের কারণ কী–সেটিও জানতে চাওয়া হয়।
এতে দেখা যায়, নিম্ন ও মধ্য আয়ের দেশের নাগরিকদের মধ্যে জরিপে অংশগ্রহণকারীদের প্রায় অর্ধেকই বলেছেন, টিকা নেওয়ার ব্যাপারে তাঁদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে কমিউনিটি স্বাস্থ্য কর্মীরা সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছেন। গবেষণার ফলাফলে একটা বিষয় স্পষ্ট হয়েছে যে, কমিউনিটি স্বাস্থ্য কর্মী এবং সমাজের নেতৃস্থানীয় লোকেদের ভূমিকা গণ টিকাদান কর্মসূচি সফল করার ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ কথা বলেন, দক্ষিণ আফ্রিকার স্টেলেনবোশ ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞান–যোগাযোগ গবেষক ম্যারিনা জোবার্ট। অবশ্য তিনি এই গবেষণায় যুক্ত ছিলেন না।
গবেষক আহমেদ মুশফিক মোবারক বলছেন, কোভিড টিকা নিতে না চাওয়ার পেছনে টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া এবং কার্যকারিতা নিয়ে উদ্বেগই প্রধান কারণ। গবেষণায় দেখা গেছে, টিকা নিয়ে প্রচলিত ষড়তত্ত্বের প্রভাবে মানুষের মধ্যে খুব জোরাল দ্বিধা দেখা যায়নি।
লন্ডন স্কুল অব হাইজিন অ্যান্ড ট্রপিক্যাল মেডিসিন বিভাগের নৃতাত্ত্বিক হেইডি লারসন, তিনি ওই বিভাগের ভ্যাকসিন কনফিডেন্স প্রজেক্টেরও প্রধান। হেইডি বিভিন্ন আর্থ–সামাজিক অবস্থার দেশ থেকে এভাবে তথ্য–উপাত্ত তুলে আনার উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন। তবে তাঁর আশঙ্কা, এই ফলাফল অতি সাধারণীকরণ কি–না। তিনি বলেন, বিভিন্ন দেশ ও জনগোষ্ঠীর মধ্যে টিকার ব্যাপারে দৃষ্টিভঙ্গি খুবই ভিন্ন হয়। আফ্রিকার ১৫টি দেশে টিকা নিয়ে মানুষের চিন্তাভাবনা বিষয়ে গবেষণা করেছেন হেইডি লারসন। সেই অভিজ্ঞতা থেকেই তাঁর এমন আশঙ্কা।
নিম্ন ও মধ্য আয়ের দেশগুলোতেই কোভিড টিকা গ্রহণে মানুষের আগ্রহ ও আস্থা বেশি। যদিও সেসব দেশে যথেষ্ট টিকার সরবরাহ নেই। অথচ যুক্তরাষ্ট্রের মতো ধনী দেশে টিকার উদ্বৃত্ত সরবরাহ থাকলেও মানুষের মধ্যে টিকা গ্রহণের আগ্রহ কম। বিভিন্ন আর্থিক অবস্থার ১২টি দেশে জরিপ করে এমন তথ্য উঠে এসেছে। গবেষণা প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়েছে নেচার মেডিসিন জার্নালে।
গত ১৬ জুলাই প্রকাশিত গবেষণা প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, এশিয়া, আফ্রিকা এবং দক্ষিণ আমেরিকার নিম্ন ও মধ্য আয়ের কয়েকটি দেশে জরিপ চালিয়ে দেখা গেছে, সেসব দেশের ৮০ শতাংশ মানুষ কোভিড টিকা নিতে আগ্রহী। যেখানে যুক্তরাষ্ট্রে টিকা নিতে আগ্রহী ৬৫ শতাংশ মানুষ। উচ্চ–মধ্য আয়ের দেশ রাশিয়াতে মানুষের আগ্রহ খুবই কম, সেখানে মাত্র ৩০ শতাংশ মানুষ টিকা নিতে চান।
এই সমীক্ষা প্রতিবেদনের লেখকেরা বলছেন, বিশ্বব্যাপী কোভিড টিকার বৈষম্যহীন সরবরাহ নিশ্চিত করা শুধু নৈতিক দায়িত্বই নয়, এই ভাইরাসের বিস্তার রোধে সবচেয়ে শক্তিশালী উপায়। আর মানুষের মধ্যে যতো বেশি করে দ্বিধা দূর করা যাবে টিকাদান কর্মসূচি ততো সহজ হবে।
কানেকটিকাটের নিউহ্যাভেনে ইয়েল ইউনিভার্সিটির অর্থনীতিবিদ আহমেদ মুশফিক মোবারক বলেন, বৈষম্যহীন সরবরাহের বিষয়টিই শুধু গুরুত্বপূর্ণ নয়, বরং টিকা শেয়ার করাই হলো সবচেয়ে কার্যকর বিষয়। আপনি সেই সব মানুষকেই টিকা দেবেন যারা নিতে আগ্রহী।
টিকা নিয়ে মানুষের মধ্যে দ্বিধার বিষয়টি বুঝতে মোবারক ও তাঁর সহকর্মীরা ১১টি নিম্ন ও মধ্য আয়ের দেশে জরিপ চালান। এর মধ্যে রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রকেও যুক্ত করেন তাঁরা। বুরকিনা ফাসো, কলম্বিয়া, ভারত, মোজাম্বিক, নেপাল, নাইজেরিয়া, পাকিস্তান, রুয়ান্ডা, সিয়েরা লিওন, উগান্ডা, রাশিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রে ২০২০ সালের জুন থেকে ২০২১ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত এ জরিপ চালানো হয়। জরিপে অংশগ্রহণকারীদের কাছে গবেষকেরা জানতে চান, দেশে টিকা দেওয়া শুরু হলে তাঁরা নিতে আগ্রহী কি–না। আর টিকা নিতে চাওয়া বা না চাওয়ার সিদ্ধান্তের কারণ কী–সেটিও জানতে চাওয়া হয়।
এতে দেখা যায়, নিম্ন ও মধ্য আয়ের দেশের নাগরিকদের মধ্যে জরিপে অংশগ্রহণকারীদের প্রায় অর্ধেকই বলেছেন, টিকা নেওয়ার ব্যাপারে তাঁদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে কমিউনিটি স্বাস্থ্য কর্মীরা সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছেন। গবেষণার ফলাফলে একটা বিষয় স্পষ্ট হয়েছে যে, কমিউনিটি স্বাস্থ্য কর্মী এবং সমাজের নেতৃস্থানীয় লোকেদের ভূমিকা গণ টিকাদান কর্মসূচি সফল করার ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ কথা বলেন, দক্ষিণ আফ্রিকার স্টেলেনবোশ ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞান–যোগাযোগ গবেষক ম্যারিনা জোবার্ট। অবশ্য তিনি এই গবেষণায় যুক্ত ছিলেন না।
গবেষক আহমেদ মুশফিক মোবারক বলছেন, কোভিড টিকা নিতে না চাওয়ার পেছনে টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া এবং কার্যকারিতা নিয়ে উদ্বেগই প্রধান কারণ। গবেষণায় দেখা গেছে, টিকা নিয়ে প্রচলিত ষড়তত্ত্বের প্রভাবে মানুষের মধ্যে খুব জোরাল দ্বিধা দেখা যায়নি।
লন্ডন স্কুল অব হাইজিন অ্যান্ড ট্রপিক্যাল মেডিসিন বিভাগের নৃতাত্ত্বিক হেইডি লারসন, তিনি ওই বিভাগের ভ্যাকসিন কনফিডেন্স প্রজেক্টেরও প্রধান। হেইডি বিভিন্ন আর্থ–সামাজিক অবস্থার দেশ থেকে এভাবে তথ্য–উপাত্ত তুলে আনার উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন। তবে তাঁর আশঙ্কা, এই ফলাফল অতি সাধারণীকরণ কি–না। তিনি বলেন, বিভিন্ন দেশ ও জনগোষ্ঠীর মধ্যে টিকার ব্যাপারে দৃষ্টিভঙ্গি খুবই ভিন্ন হয়। আফ্রিকার ১৫টি দেশে টিকা নিয়ে মানুষের চিন্তাভাবনা বিষয়ে গবেষণা করেছেন হেইডি লারসন। সেই অভিজ্ঞতা থেকেই তাঁর এমন আশঙ্কা।
বহু শতাব্দী ধরে মানুষ আকাশের দিকে তাকিয়ে জানতে চেয়েছে—মহাবিশ্বের শুরুতে ঠিক কী ঘটেছিল। এই দীর্ঘ অনুসন্ধানের পথ এখন অনেকটাই সহজ করে দিয়েছে নাসার তৈরি জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ। ১ হাজার ৩০০ কোটি বছর আগের মহাবিশ্বের রঙিন ছবি তুলে তাক লাগিয়ে দিয়েছিল টেলিস্কোপটি।
১ দিন আগেমাইক্রোপ্লাস্টিকে থাকা রাসায়নিক পদার্থ জলজ প্রাণীর জন্য মারাত্মক বিষ হয়ে দাঁড়ায়। এসব মাছ মানুষও খায়। ফলে ক্ষতিকর রাসায়নিক ঢুকে যেতে পারে মানবদেহেও। গবেষণায় দেখা গেছে, টায়ার থেকে সৃষ্ট এসব কণার ভেতরে থাকা ‘৬ পিপিডি-কিউ’ এক ধরনের রাসায়নিক পদার্থ মাছের মৃত্যুর অন্যতম কারণ। এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের
৩ দিন আগেমহাকাশ গবেষণায় এক যুগান্তকারী আবিষ্কার করেছেন নাসার জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। হাবল স্পেস টেলিস্কোপ এবং চন্দ্র এক্স-রে অবজারভেটরির মাধ্যমে তাঁরা একটি বিরল ধরণের ব্ল্যাক হোলের সন্ধান পেয়েছেন, যা হতে পারে বহুদিন খোঁজে থাকা ‘মধ্যম-ভরবিশিষ্ট ব্ল্যাক হোল’ (Intermediate-Mass Black Hole)। এই ব্ল্যাক হোলকে একটি নক
৩ দিন আগেআকাশপ্রেমীদের জন্য দারুণ এক সন্ধ্যা অপেক্ষা করছে ২৮ জুলাই সোমবার। এদিন সূর্যাস্তের প্রায় ৪৫ মিনিট পর পশ্চিম আকাশে দেখা মিলবে চাঁদ ও মঙ্গল গ্রহের অসাধারণ সংযোগের। একে বলা হচ্ছে গ্রীষ্মের সবচেয়ে সুন্দর রাত—কারণ একই রাতে আকাশে দেখা যাবে একাধিক উল্কাবৃষ্টি।
৪ দিন আগে