আজ থেকে ৭৫ হাজার বছর আগে, পৃথিবীর বুকে টিকে থাকা মানুষের এক প্রজাতি নিয়ান্ডারথালরা দেখতে ঠিক কেমন ছিলেন তার ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন আন্তর্জাতিক একদল বিজ্ঞানী। নিয়ান্ডারথাল প্রজাতির অবশিষ্ট কঙ্কালের ওপর কারিকুরি ফলিয়ে তাঁরা সেটিকে মানুষের রূপ দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। এ ধরনের প্রচেষ্টা এই প্রথম।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, একদল প্যালিওআর্টিস্ট বা প্রাগৈতিহাসিক যুগের বৈজ্ঞানিক প্রমাণাদির চিত্র তৈরিতে বিশেষজ্ঞরা ওই নিয়ান্ডারথাল নারীর একটি ত্রি-মাত্রিক মডেল তৈরি করেছেন।
এ বিষয়ে যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব ক্যামব্রিজের প্যালিওঅ্যানথ্রোপোলজিস্ট বা প্রাগৈতিহাসিক আমলের নৃতত্ত্ব বিশেষজ্ঞ ড. এমা পোমরয় বিবিসিকে বলেন, ‘আমি মনে করি, তিনি (নিয়ান্ডারথাল মানবীর ত্রি-মাত্রিক মডেল) আমাদের জানতে সহায়তা করবেন, তাঁরা আসলে কেমন ছিলেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘যেকোনো ব্যক্তির দেহাবশেষের সঙ্গে কাজ করতে পারাটা আসলে খুবই উত্তেজনাপূর্ণ এবং এটি একটি বিশাল সুযোগ, বিশেষ করে তাঁর মতো বিশেষ একজন।’
যে কঙ্কাল বা দেহাবশেষের ওপর ভিত্তি করে ওই নিয়ান্ডারথাল মানবীর ত্রিমাত্রিক মডেল তৈরি করা হয়েছে, তা উদ্ধার করা হয়েছে ইরাকের কুর্দিস্থানে অবস্থিত শানিদার গুহা থেকে। ১৯৫০—এর দশকে এই গুহা থেকেই অন্তত ১০ জন নিয়ান্ডারথাল মানব, মানবী ও শিশুর দেহাবশেষ উদ্ধার করা হয়েছে।
সর্বশেষ, ২০১৫ সালে ইরাকের কুর্দিস্তানের প্রশাসন একদল ব্রিটিশ নৃবিজ্ঞানীকে আমন্ত্রণ জানায় গুহাটি দেখতে। সেই অভিযানে গিয়েই তাঁরা এই নিয়ান্ডারথাল মানবীর দেহাবশেষ খুঁজে পান। তাঁরা এর নামকরণ করেন, শানিদার-জেড নামে। মূলত, গবেষকেরা ওই নারীর শরীরে ঊর্ধ্বাংশ—মেরুদণ্ড, কাঁধ, বাহু ও হাতের অবশেষ উদ্ধার করতে পেরেছিলেন।
পরে কুর্দি প্রশাসনের অনুমতিতে সেই দেহাবশেষ ব্রিটেনে নেওয়া হয় এবং সেগুলোকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনার প্রাণান্ত প্রচেষ্টা শুরু করেন বিজ্ঞানীরা। সব মিলিয়ে সেটি করতে এক বছরেরও বেশি সময় লেগে যায়। পরে পুনঃসংযোজিত সেই কঙ্কালকে তুলে দেওয়া হয় নেদারল্যান্ডসে প্যালিওআর্টিস্ট আদ্রিয়ে অ্যান্ড আলফঁস কেনিসের হাতে। তাঁরা মূলত, প্রাচীন দেহাবশেষের জীবিত রূপ কেমন ছিল তার প্রতিকৃতি তৈরিতে স্বনামধন্য। পরে তাঁরা ত্রি-মাত্রিক স্ক্যানারের সহায়তাও ওই নারীর মুখচ্ছবি ফুটিয়ে তোলেন।
প্রথমদিকে, বিজ্ঞানীরা দেহাবশেষটির কঙ্কালটির লিঙ্গ নিয়ে চিন্তিত ছিলেন। কিন্তু পেলভিক বোনের বা শ্রোণিচক্রের হাড়ের নমুনাসহ অন্যান্য নমুনা বিশ্লেষণ করে তাঁরা নিশ্চিত হন যে, এই কঙ্কালটি একজন নারীরা। এ ছাড়া, দাঁতে এনামেল থেকেও বিজ্ঞানীরা নিশ্চিত হন যে, এটি একজন নারীর দাঁত।
বিজ্ঞানীদের অনুমান, ওই নারী তাঁর জীবনের ৪০ এর দশকের মাঝামাঝি মারা গেছেন। কারণ, তাঁর দাঁতগুলো অনেকটাই ক্ষয়ে গিয়েছিল। দাঁতের অবস্থা বিশ্লেষণের ফলাফলের বিষয়ে ড. পোমরয় বলেন, সম্ভবত তিনি স্বাভাবিকভাবেই মারা গিয়েছিলেন।
আজ থেকে ৭৫ হাজার বছর আগে, পৃথিবীর বুকে টিকে থাকা মানুষের এক প্রজাতি নিয়ান্ডারথালরা দেখতে ঠিক কেমন ছিলেন তার ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন আন্তর্জাতিক একদল বিজ্ঞানী। নিয়ান্ডারথাল প্রজাতির অবশিষ্ট কঙ্কালের ওপর কারিকুরি ফলিয়ে তাঁরা সেটিকে মানুষের রূপ দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। এ ধরনের প্রচেষ্টা এই প্রথম।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, একদল প্যালিওআর্টিস্ট বা প্রাগৈতিহাসিক যুগের বৈজ্ঞানিক প্রমাণাদির চিত্র তৈরিতে বিশেষজ্ঞরা ওই নিয়ান্ডারথাল নারীর একটি ত্রি-মাত্রিক মডেল তৈরি করেছেন।
এ বিষয়ে যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব ক্যামব্রিজের প্যালিওঅ্যানথ্রোপোলজিস্ট বা প্রাগৈতিহাসিক আমলের নৃতত্ত্ব বিশেষজ্ঞ ড. এমা পোমরয় বিবিসিকে বলেন, ‘আমি মনে করি, তিনি (নিয়ান্ডারথাল মানবীর ত্রি-মাত্রিক মডেল) আমাদের জানতে সহায়তা করবেন, তাঁরা আসলে কেমন ছিলেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘যেকোনো ব্যক্তির দেহাবশেষের সঙ্গে কাজ করতে পারাটা আসলে খুবই উত্তেজনাপূর্ণ এবং এটি একটি বিশাল সুযোগ, বিশেষ করে তাঁর মতো বিশেষ একজন।’
যে কঙ্কাল বা দেহাবশেষের ওপর ভিত্তি করে ওই নিয়ান্ডারথাল মানবীর ত্রিমাত্রিক মডেল তৈরি করা হয়েছে, তা উদ্ধার করা হয়েছে ইরাকের কুর্দিস্থানে অবস্থিত শানিদার গুহা থেকে। ১৯৫০—এর দশকে এই গুহা থেকেই অন্তত ১০ জন নিয়ান্ডারথাল মানব, মানবী ও শিশুর দেহাবশেষ উদ্ধার করা হয়েছে।
সর্বশেষ, ২০১৫ সালে ইরাকের কুর্দিস্তানের প্রশাসন একদল ব্রিটিশ নৃবিজ্ঞানীকে আমন্ত্রণ জানায় গুহাটি দেখতে। সেই অভিযানে গিয়েই তাঁরা এই নিয়ান্ডারথাল মানবীর দেহাবশেষ খুঁজে পান। তাঁরা এর নামকরণ করেন, শানিদার-জেড নামে। মূলত, গবেষকেরা ওই নারীর শরীরে ঊর্ধ্বাংশ—মেরুদণ্ড, কাঁধ, বাহু ও হাতের অবশেষ উদ্ধার করতে পেরেছিলেন।
পরে কুর্দি প্রশাসনের অনুমতিতে সেই দেহাবশেষ ব্রিটেনে নেওয়া হয় এবং সেগুলোকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনার প্রাণান্ত প্রচেষ্টা শুরু করেন বিজ্ঞানীরা। সব মিলিয়ে সেটি করতে এক বছরেরও বেশি সময় লেগে যায়। পরে পুনঃসংযোজিত সেই কঙ্কালকে তুলে দেওয়া হয় নেদারল্যান্ডসে প্যালিওআর্টিস্ট আদ্রিয়ে অ্যান্ড আলফঁস কেনিসের হাতে। তাঁরা মূলত, প্রাচীন দেহাবশেষের জীবিত রূপ কেমন ছিল তার প্রতিকৃতি তৈরিতে স্বনামধন্য। পরে তাঁরা ত্রি-মাত্রিক স্ক্যানারের সহায়তাও ওই নারীর মুখচ্ছবি ফুটিয়ে তোলেন।
প্রথমদিকে, বিজ্ঞানীরা দেহাবশেষটির কঙ্কালটির লিঙ্গ নিয়ে চিন্তিত ছিলেন। কিন্তু পেলভিক বোনের বা শ্রোণিচক্রের হাড়ের নমুনাসহ অন্যান্য নমুনা বিশ্লেষণ করে তাঁরা নিশ্চিত হন যে, এই কঙ্কালটি একজন নারীরা। এ ছাড়া, দাঁতে এনামেল থেকেও বিজ্ঞানীরা নিশ্চিত হন যে, এটি একজন নারীর দাঁত।
বিজ্ঞানীদের অনুমান, ওই নারী তাঁর জীবনের ৪০ এর দশকের মাঝামাঝি মারা গেছেন। কারণ, তাঁর দাঁতগুলো অনেকটাই ক্ষয়ে গিয়েছিল। দাঁতের অবস্থা বিশ্লেষণের ফলাফলের বিষয়ে ড. পোমরয় বলেন, সম্ভবত তিনি স্বাভাবিকভাবেই মারা গিয়েছিলেন।
নাসার জেমস ওয়েব টেলিস্কোপের (জেডব্লিউএসটি) মাধ্যমে মহাবিশ্বের সবচেয়ে বড় মানচিত্র তৈরি করলেন করেছেন বিজ্ঞানীরা। এই মানচিত্রটি মহাবিশ্বের একটি ছোট অংশজুড়ে বিস্তৃত, যেখানে প্রায় আট লাখ গ্যালাক্সি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এর মধ্যে এমন গ্যালাক্সিও আছে, যা এত দূরে অবস্থিত যে সেগুলো মহাবিশ্বের শৈশবের সময়কার,
২ ঘণ্টা আগেআধুনিক জীবনে প্লাস্টিকের ব্যবহার এড়িয়ে চলা প্রায় অসম্ভব। তবে এই বহুল ব্যবহৃত উপাদানটিই আজ পরিবেশের জন্য এক ভয়াবহ হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। বছরের পর বছর ধরে এই প্লাস্টিক জমে থাকছে নদী-নালা, সাগর ও মাটির গভীরে, যা জলজ প্রাণী থেকে শুরু করে মানবস্বাস্থ্যের ওপর ফেলছে মারাত্মক প্রভাব। বিশ্বজুড়ে বিজ্ঞানীরা
১ দিন আগেবিশ্বব্রহ্মাণ্ডে প্রতি মুহূর্তে ঘটছে অসংখ্য শক্তিশালী বিস্ফোরণ ঘটছে। নক্ষত্রগুলো জ্বলছে বিশাল পরমাণু বিক্রিয়ার শক্তিতে, আর বিশাল উল্কাপিণ্ড ছুটে এসে ধাক্কা দিচ্ছে গ্রহে গ্রহে। তবে সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা এমন এক ধরনের মহাজাগতিক বিস্ফোরণ শনাক্ত করেছেন, যা এই সব কিছুকেই পেছনে ফেলে দিয়েছে। তাদের দাবি, মহাকা
২ দিন আগেআমাদের গ্রহে প্রাণের বিকাশ ও প্রাচুর্য টিকে আছে অক্সিজেনের কল্যাণে। কিন্তু পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল সব সময় এমন ছিল না। বিজ্ঞানীরা ধারণা করছেন, ভবিষ্যতে আমাদের বায়ুমণ্ডলে আবারও মিথেনের আধিক্য হবে এবং অক্সিজেনবিহীন অবস্থায় ফিরে যাবে। তবে এখনই ভয় পাওয়ার কিছু নেই।
৩ দিন আগে