প্রমিতি কিবরিয়া ইসলাম, ঢাকা
হালকা বৃষ্টিতে ভিজলে বা ঘামলে বগলের নিচে, ঘাড়ের অংশের জামা কিছুটা গাঢ় রঙের দেখায়। কিছু রং এতটাই গাঢ় দেখায় যে ভেজা ও শুকনো অংশ সহজেই আলাদা করে চিহ্নিত করা যায়। এমনটি কেন হয়?
পানি স্বচ্ছ পদার্থ। তবে অদ্ভুত বিষয় হলো—কাপড়ে পানি লাগার পর এর রং কিছুটা গাঢ় দেখায়। ভেজা কাপড়কে কিছুটা গাঢ় দেখানোর কারণ প্রায় ৩০ বছর আগে আবিষ্কার করা হয়।
কিন্তু বাস্তবে ভেজা কাপড়ের রং শুকনো কাপড়ের চেয়ে গাঢ় হয় না। বরং চোখে ওই রকম লাগে। অন্যান্য ভেজা পৃষ্ঠের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। যেমন: ঝড়-বৃষ্টির পর ভেজা সিমেন্ট, অথবা ঢেউ আছড়ে পড়ার পরে ভেজা বালির রংও গাঢ় দেখায়।
যখন সূর্য বা বাতি থেকে আলো কোনো বস্তুর ওপরে পড়ে, তখন সেই আলোর কিছুটা শোষিত হয় ও কিছু প্রতিফলিত হয়। বস্তুর রং কেমন দেখাবে তা নির্ভর করে আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্যের ওপর। বস্তু থেকে প্রতিফলিত হয়ে যে তরঙ্গদৈর্ঘ্যের রং এসে আমাদের চোখে পড়ে সেই রংটিই আমরা বস্তুটির রং হিসেবে নির্ধারণ করি। যেমন—একটি নিল শার্টে যখন আলো পড়ে তখন সেটি নীল রং তৈরির জন্য দায়ী তরঙ্গদৈর্ঘ্য (প্রায় ৪৫০ ন্যানোমিটার) ছাড়া বাকি সমস্ত আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য শুষে নেয়। আমাদের আলোক সংবেদনশীল রেটিনাসহ এর চারপাশের অঞ্চলে এই নীল রঙের তরঙ্গদৈর্ঘ্য সংবেদ তৈরি করে।
নিউজিল্যান্ডের ভিক্টোরিয়া ইউনিভার্সিটি অব ওয়েলিংটনের পদার্থবিদ জন লেকনার ও মাইকেল ডর্ফের মতে, ভেজা কাপড় রুক্ষ ও বেশি শোষণক্ষমতা সম্পন্ন হওয়ার সেটি গাঢ় রঙের দেখায়।
ফাইবার বা তন্তু ও আর্দ্রতার কারণে ভেজা কাপড়ের পৃষ্ঠ প্রায়ই অসম (অমসৃণ) হয়। আলো যখন এই জাতীয় পৃষ্ঠতে গিয়ে পড়ে, তখন পৃষ্ঠের রুক্ষতার কারণে আলো বিক্ষিপ্তভাবে ছড়িয়ে পড়ে। এই বিক্ষিপ্ততার কারণে পৃষ্ঠটির ওপর যে পরিমাণ আলো পড়েছিল, তার চেয়ে কম আলো আমাদের চোখে আসে। আর তাই ফ্যাব্রিক গাঢ় দেখায়।
কাপড়ের মধ্যে পানির অণু আলোর নির্দিষ্ট তরঙ্গদৈর্ঘ্য শোষণ করতে পারে। এই শোষণ আলোর প্রতিফলন ক্ষমতা কমিয়ে দেয়, কাপড় যত বেশি পানি শোষণ করে আলোর শোষণ তত বেশি হয়, আর কাপড়ের রংও তত বেশি গাঢ় হয়।
আমেরিকান কেমিক্যাল সোসাইটির বিশেষজ্ঞদের প্যানেলের সদস্য ও অবসরপ্রাপ্ত রসায়নবিদ রিচার্ড সাচলেবেনের মতে, যে পৃষ্ঠে প্রতিফলিত হয়ে আলো ফিরে আসে, সেই পৃষ্ঠের বৈশিষ্ট্যের ওপর নির্ভর করে বস্তুটিকে আমরা কোন রঙে দেখব।
উদাহরণস্বরূপ, যখন নীল জামায় পানি পড়ে বা ঘাম লেগে ভিজে যায়, তখন পানির একটি অতিরিক্ত স্তর কাপড়কে আবৃত করে। সুতরাং, আলো একটি ভেজা কাপড়ের ওপর পড়লে সেই পানির স্তরটির কারণে নীল জামার নীল তরঙ্গদৈর্ঘ্যের আলো চোখে কম আসে। পক্ষান্তরে বেশি নীল আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য প্রতিসৃত হওয়ার কারণে চোখ এড়িয়ে যায় বা কাপড় আবার শোষণ করে ফেলে; এই ঘটনাটিকে পূর্ণ অভ্যন্তরীণ প্রতিফলন বলা হয়।
সাচলেবেনের বলেন, ‘পানি রং শোষণ করে না, কারণ পানি নিজেই বর্ণহীন। কিন্তু এর পরিবর্তে, পানি কাপড়ের উপরিভাগে একটি গাইড হিসেবে কাজ করে। কাপড়ের ওপর পড়া আলোর প্রতিফলন কোণ পরিবর্তন করে।’ ফলে কম পরিমাণে আলো চোখে আসে, তখন রংটিকে গাঢ় বলে মনে হয়।
তথ্যসূত্র: বিবিসি সায়েন্স ফোকাস, লাইভ সায়েন্স
হালকা বৃষ্টিতে ভিজলে বা ঘামলে বগলের নিচে, ঘাড়ের অংশের জামা কিছুটা গাঢ় রঙের দেখায়। কিছু রং এতটাই গাঢ় দেখায় যে ভেজা ও শুকনো অংশ সহজেই আলাদা করে চিহ্নিত করা যায়। এমনটি কেন হয়?
পানি স্বচ্ছ পদার্থ। তবে অদ্ভুত বিষয় হলো—কাপড়ে পানি লাগার পর এর রং কিছুটা গাঢ় দেখায়। ভেজা কাপড়কে কিছুটা গাঢ় দেখানোর কারণ প্রায় ৩০ বছর আগে আবিষ্কার করা হয়।
কিন্তু বাস্তবে ভেজা কাপড়ের রং শুকনো কাপড়ের চেয়ে গাঢ় হয় না। বরং চোখে ওই রকম লাগে। অন্যান্য ভেজা পৃষ্ঠের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। যেমন: ঝড়-বৃষ্টির পর ভেজা সিমেন্ট, অথবা ঢেউ আছড়ে পড়ার পরে ভেজা বালির রংও গাঢ় দেখায়।
যখন সূর্য বা বাতি থেকে আলো কোনো বস্তুর ওপরে পড়ে, তখন সেই আলোর কিছুটা শোষিত হয় ও কিছু প্রতিফলিত হয়। বস্তুর রং কেমন দেখাবে তা নির্ভর করে আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্যের ওপর। বস্তু থেকে প্রতিফলিত হয়ে যে তরঙ্গদৈর্ঘ্যের রং এসে আমাদের চোখে পড়ে সেই রংটিই আমরা বস্তুটির রং হিসেবে নির্ধারণ করি। যেমন—একটি নিল শার্টে যখন আলো পড়ে তখন সেটি নীল রং তৈরির জন্য দায়ী তরঙ্গদৈর্ঘ্য (প্রায় ৪৫০ ন্যানোমিটার) ছাড়া বাকি সমস্ত আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য শুষে নেয়। আমাদের আলোক সংবেদনশীল রেটিনাসহ এর চারপাশের অঞ্চলে এই নীল রঙের তরঙ্গদৈর্ঘ্য সংবেদ তৈরি করে।
নিউজিল্যান্ডের ভিক্টোরিয়া ইউনিভার্সিটি অব ওয়েলিংটনের পদার্থবিদ জন লেকনার ও মাইকেল ডর্ফের মতে, ভেজা কাপড় রুক্ষ ও বেশি শোষণক্ষমতা সম্পন্ন হওয়ার সেটি গাঢ় রঙের দেখায়।
ফাইবার বা তন্তু ও আর্দ্রতার কারণে ভেজা কাপড়ের পৃষ্ঠ প্রায়ই অসম (অমসৃণ) হয়। আলো যখন এই জাতীয় পৃষ্ঠতে গিয়ে পড়ে, তখন পৃষ্ঠের রুক্ষতার কারণে আলো বিক্ষিপ্তভাবে ছড়িয়ে পড়ে। এই বিক্ষিপ্ততার কারণে পৃষ্ঠটির ওপর যে পরিমাণ আলো পড়েছিল, তার চেয়ে কম আলো আমাদের চোখে আসে। আর তাই ফ্যাব্রিক গাঢ় দেখায়।
কাপড়ের মধ্যে পানির অণু আলোর নির্দিষ্ট তরঙ্গদৈর্ঘ্য শোষণ করতে পারে। এই শোষণ আলোর প্রতিফলন ক্ষমতা কমিয়ে দেয়, কাপড় যত বেশি পানি শোষণ করে আলোর শোষণ তত বেশি হয়, আর কাপড়ের রংও তত বেশি গাঢ় হয়।
আমেরিকান কেমিক্যাল সোসাইটির বিশেষজ্ঞদের প্যানেলের সদস্য ও অবসরপ্রাপ্ত রসায়নবিদ রিচার্ড সাচলেবেনের মতে, যে পৃষ্ঠে প্রতিফলিত হয়ে আলো ফিরে আসে, সেই পৃষ্ঠের বৈশিষ্ট্যের ওপর নির্ভর করে বস্তুটিকে আমরা কোন রঙে দেখব।
উদাহরণস্বরূপ, যখন নীল জামায় পানি পড়ে বা ঘাম লেগে ভিজে যায়, তখন পানির একটি অতিরিক্ত স্তর কাপড়কে আবৃত করে। সুতরাং, আলো একটি ভেজা কাপড়ের ওপর পড়লে সেই পানির স্তরটির কারণে নীল জামার নীল তরঙ্গদৈর্ঘ্যের আলো চোখে কম আসে। পক্ষান্তরে বেশি নীল আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য প্রতিসৃত হওয়ার কারণে চোখ এড়িয়ে যায় বা কাপড় আবার শোষণ করে ফেলে; এই ঘটনাটিকে পূর্ণ অভ্যন্তরীণ প্রতিফলন বলা হয়।
সাচলেবেনের বলেন, ‘পানি রং শোষণ করে না, কারণ পানি নিজেই বর্ণহীন। কিন্তু এর পরিবর্তে, পানি কাপড়ের উপরিভাগে একটি গাইড হিসেবে কাজ করে। কাপড়ের ওপর পড়া আলোর প্রতিফলন কোণ পরিবর্তন করে।’ ফলে কম পরিমাণে আলো চোখে আসে, তখন রংটিকে গাঢ় বলে মনে হয়।
তথ্যসূত্র: বিবিসি সায়েন্স ফোকাস, লাইভ সায়েন্স
অতীতের দিকে তাকালে পৃথিবীর জলবায়ুর পরিবর্তনকে রোলার কোস্টারের সঙ্গে তুলনা করা যায়। সময়ে সময়ে এই গ্রহের তাপমাত্রার পরিবর্তন ঘটেছে। একবার উষ্ণ হয়ে উঠেছে, আবার বরফযুগ শুরু হয়েছে। এই পরিবর্তনগুলো কখনোই স্থায়ী নয়। কিছু সময় পর পৃথিবী বর্তমানে উষ্ণ পরিবেশে ফিরে আসে। তবে নতুন এক গবেষণায় জানা যায়, আজ থেকে ১১
৩ ঘণ্টা আগেবিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক অর্জন করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের গবেষক দল। তারা একটি নতুন পরমাণু ব্যাটারি উদ্ভাবন করেছেন, যা পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রের বর্জ্য ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারে। এটি একটি যুগান্তকারী আবিষ্কার। কারণ এই ধরনের পরমাণু ব্যাটারি কোনো চার্জ বা রক্ষণাবেক্ষণ...
১ দিন আগেহিমশীতল বরফে আচ্ছাদিত প্রত্যন্ত আর্কটিক অঞ্চলে বসবাস করে বিশালদেহী সাদা লোমের পোলার বিয়ার বা মেরু ভালুক। এই তীব্র ঠান্ডায় থাকলেও তাদের লোমে বরফ জমে না। তাই মেরু ভালুকের লোম নিয়ে বেশ আগ্রহী হন বিজ্ঞানীরা। প্রাণীটির লোম নিয়ে গবেষণা করে এর কারণ খুঁজে পেয়েছেন তাঁরা। মূলত তৈলাক্ত হওয়ায় লোমগুলো জমে যায়
২ দিন আগেনরওয়ের মূল ভূখণ্ডের ১ হাজার ৩০০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে আর্কটিক সার্কেলের ওপরে এবং উত্তর মেরুর কাছাকাছি মানবজাতির ভবিষ্যতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি সম্পদ লুকিয়ে রয়েছে। এটি কয়লা, তেল বা মূল্যবান খনিজ নয়, বরং বীজ।
৩ দিন আগে