বিদ্যুৎ সরবরাহে সমস্যার কারণে এক সপ্তাহ বন্ধ ছিল চাঁদে অবতরণকারী জাপানের মনুষ্যবিহীন চন্দ্রযান ল্যান্ডার স্লিম বা ‘মুন স্নাইপার’ । সেটি আবার কাজ শুরু করেছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
জাপান অ্যারোস্পেস এক্সপ্লোরেশন এজেন্সি (জাক্সা) বলেছে, তারা গতকাল রোববার ল্যান্ডারের সঙ্গে পুনরায় যোগাযোগ স্থাপন করতে পেরেছে। এতে ত্রুটি ঠিক হওয়ার ইঙ্গিত পাওয়া গেছে।
জাক্সা বলছে, আলোর উৎস অর্থাৎ, সূর্যের অবস্থানের পরিবর্তনের পরে ল্যান্ডার স্লিমের সৌরকোষগুলো আবার কাজ করছে। গত ২০ জানুয়ারি চন্দ্রপৃষ্ঠে সফলভাবে অবতরণের সময় থেকেই স্লিমের সৌরবিদ্যুৎব্যবস্থা কাজ করেনি। চন্দ্রযানটির সৌরকোষগুলো সূর্য থেকে আড়ালে থাকায় বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারেনি।
সূর্যালোকের কোণ পরিবর্তিত হলে সৌরবিদ্যুৎব্যবস্থা আবারও কাজ করতে পারে—এমন সম্ভাবনা সামনে রেখে ব্যাটারিতে সঞ্চিত চার্জে কয়েক ঘণ্টা চলার পর চন্দ্রযানটিকে বন্ধ করে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল জাক্সা।
সৌরবিদ্যুৎব্যবস্থায় সমস্যা প্রসঙ্গে জাক্সার প্রধান হিতোশি কুনিনাকা বলেছিলেন, চাঁদে সৌরকোণ পরিবর্তিত হলে সূর্যের আলো অন্যদিক থেকে আসে। সেই আলোয় চার্জ হতে পারে যানটির সৌরবিদ্যুৎব্যবস্থা।
সামাজিক প্ল্যাটফর্ম এক্সে চাঁদে স্লিমের তোলা পাথরের একটি ছবি পোস্ট করেছে জাক্সা। চাঁদের সেই পাথরের নাম দেওয়া হয়েছে ‘টয় পুডল’। জাক্সা জানিয়েছে, ল্যান্ডারটি চাঁদের সৃষ্টি সম্পর্কে সূত্র খুঁজতে পাথরের গঠন বিশ্লেষণ করবে।
চাঁদে মুন স্নাইপারের সফল অবতরণের মাধ্যমে বিশ্বের পঞ্চম দেশ হিসেবে ইতিহাস গড়েছে জাপান। যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, চীন ও ভারতের পর চাঁদে অবতরণের তালিকায় যুক্ত হলো জাপানের নাম।
স্লিম দুটি ছোট রোভার (অমসৃণ জমিনে চলাচল ও অনুসন্ধানের কাজ করা যন্ত্র) নিয়ে গেছে। জাক্সার তথ্যমতে, রেকর্ড করা ডেটা ঠিকঠাক মতো পাঠানো এটাই নির্দেশ করে যে চাঁদের মাটি স্পর্শের আগে রোভারগুলো সফলভাবে মুক্ত করতে সক্ষম হয়েছিল স্লিম।
চাঁদের জন্ম, বিবর্তন নিয়ে তুলে আনা অনেক নতুন তথ্যের ভিত্তিতে চাঁদের ইতিহাস নিয়ে গবেষণার জন্য পাঠানো হয়েছে মুন স্নাইপার। ইনফ্রারেড (অবলোহিত) ক্যামেরা দিয়ে চাঁদের বুকে ছবি তুলবে রোভার। তবে এই অনুসন্ধান এবং এর ফলাফল সম্পর্কে জানতে কত দিন লাগতে পারে, তা অনিশ্চিত।
গত বছরের ৭ সেপ্টেম্বর স্লিমের সফল উৎক্ষেপণ করেছিল জাপান। গত ২৫ ডিসেম্বর চাঁদের কক্ষপথে যানটি প্রবেশের কথা জানিয়েছিল জাপানের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা জাক্সা।
এর আগে গত বছরের ২৩ আগস্ট সন্ধ্যায় ভারতের চন্দ্রযান-৩ সফলভাবে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করে। এর মধ্য দিয়ে চতুর্থ দেশ হিসেবে চন্দ্রপৃষ্ঠে এবং প্রথম দেশ হিসেবে দক্ষিণ মেরুতে সফলভাবে অবতরণ করার গৌরব অর্জন করে ভারত।
তবে ৪ সেপ্টেম্বর চন্দ্রযান-৩-এর ল্যান্ডার ‘বিক্রম’ চাঁদের বুকে ‘ঘুমিয়ে পড়ে’। চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে সূর্যাস্তের কারণে সেটি শক্তির উৎসের অভাবে কর্মক্ষমতা হারায়। এই অঞ্চলে পৃথিবীর ১৪ রাতের সমান সময় অন্ধকার থাকে। ২২ সেপ্টেম্বরের দিকে ল্যান্ডার বিক্রম ও রোভার প্রজ্ঞান স্লিপিং মুড থেকে জেগে উঠতে পারে বলে আশা করেছিলেন ভারতীয় বিজ্ঞানীরা। তবে সেটি আজও জাগেনি।
বিদ্যুৎ সরবরাহে সমস্যার কারণে এক সপ্তাহ বন্ধ ছিল চাঁদে অবতরণকারী জাপানের মনুষ্যবিহীন চন্দ্রযান ল্যান্ডার স্লিম বা ‘মুন স্নাইপার’ । সেটি আবার কাজ শুরু করেছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
জাপান অ্যারোস্পেস এক্সপ্লোরেশন এজেন্সি (জাক্সা) বলেছে, তারা গতকাল রোববার ল্যান্ডারের সঙ্গে পুনরায় যোগাযোগ স্থাপন করতে পেরেছে। এতে ত্রুটি ঠিক হওয়ার ইঙ্গিত পাওয়া গেছে।
জাক্সা বলছে, আলোর উৎস অর্থাৎ, সূর্যের অবস্থানের পরিবর্তনের পরে ল্যান্ডার স্লিমের সৌরকোষগুলো আবার কাজ করছে। গত ২০ জানুয়ারি চন্দ্রপৃষ্ঠে সফলভাবে অবতরণের সময় থেকেই স্লিমের সৌরবিদ্যুৎব্যবস্থা কাজ করেনি। চন্দ্রযানটির সৌরকোষগুলো সূর্য থেকে আড়ালে থাকায় বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারেনি।
সূর্যালোকের কোণ পরিবর্তিত হলে সৌরবিদ্যুৎব্যবস্থা আবারও কাজ করতে পারে—এমন সম্ভাবনা সামনে রেখে ব্যাটারিতে সঞ্চিত চার্জে কয়েক ঘণ্টা চলার পর চন্দ্রযানটিকে বন্ধ করে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল জাক্সা।
সৌরবিদ্যুৎব্যবস্থায় সমস্যা প্রসঙ্গে জাক্সার প্রধান হিতোশি কুনিনাকা বলেছিলেন, চাঁদে সৌরকোণ পরিবর্তিত হলে সূর্যের আলো অন্যদিক থেকে আসে। সেই আলোয় চার্জ হতে পারে যানটির সৌরবিদ্যুৎব্যবস্থা।
সামাজিক প্ল্যাটফর্ম এক্সে চাঁদে স্লিমের তোলা পাথরের একটি ছবি পোস্ট করেছে জাক্সা। চাঁদের সেই পাথরের নাম দেওয়া হয়েছে ‘টয় পুডল’। জাক্সা জানিয়েছে, ল্যান্ডারটি চাঁদের সৃষ্টি সম্পর্কে সূত্র খুঁজতে পাথরের গঠন বিশ্লেষণ করবে।
চাঁদে মুন স্নাইপারের সফল অবতরণের মাধ্যমে বিশ্বের পঞ্চম দেশ হিসেবে ইতিহাস গড়েছে জাপান। যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, চীন ও ভারতের পর চাঁদে অবতরণের তালিকায় যুক্ত হলো জাপানের নাম।
স্লিম দুটি ছোট রোভার (অমসৃণ জমিনে চলাচল ও অনুসন্ধানের কাজ করা যন্ত্র) নিয়ে গেছে। জাক্সার তথ্যমতে, রেকর্ড করা ডেটা ঠিকঠাক মতো পাঠানো এটাই নির্দেশ করে যে চাঁদের মাটি স্পর্শের আগে রোভারগুলো সফলভাবে মুক্ত করতে সক্ষম হয়েছিল স্লিম।
চাঁদের জন্ম, বিবর্তন নিয়ে তুলে আনা অনেক নতুন তথ্যের ভিত্তিতে চাঁদের ইতিহাস নিয়ে গবেষণার জন্য পাঠানো হয়েছে মুন স্নাইপার। ইনফ্রারেড (অবলোহিত) ক্যামেরা দিয়ে চাঁদের বুকে ছবি তুলবে রোভার। তবে এই অনুসন্ধান এবং এর ফলাফল সম্পর্কে জানতে কত দিন লাগতে পারে, তা অনিশ্চিত।
গত বছরের ৭ সেপ্টেম্বর স্লিমের সফল উৎক্ষেপণ করেছিল জাপান। গত ২৫ ডিসেম্বর চাঁদের কক্ষপথে যানটি প্রবেশের কথা জানিয়েছিল জাপানের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা জাক্সা।
এর আগে গত বছরের ২৩ আগস্ট সন্ধ্যায় ভারতের চন্দ্রযান-৩ সফলভাবে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করে। এর মধ্য দিয়ে চতুর্থ দেশ হিসেবে চন্দ্রপৃষ্ঠে এবং প্রথম দেশ হিসেবে দক্ষিণ মেরুতে সফলভাবে অবতরণ করার গৌরব অর্জন করে ভারত।
তবে ৪ সেপ্টেম্বর চন্দ্রযান-৩-এর ল্যান্ডার ‘বিক্রম’ চাঁদের বুকে ‘ঘুমিয়ে পড়ে’। চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে সূর্যাস্তের কারণে সেটি শক্তির উৎসের অভাবে কর্মক্ষমতা হারায়। এই অঞ্চলে পৃথিবীর ১৪ রাতের সমান সময় অন্ধকার থাকে। ২২ সেপ্টেম্বরের দিকে ল্যান্ডার বিক্রম ও রোভার প্রজ্ঞান স্লিপিং মুড থেকে জেগে উঠতে পারে বলে আশা করেছিলেন ভারতীয় বিজ্ঞানীরা। তবে সেটি আজও জাগেনি।
পৃথিবীর বাইরে প্রাণের অনুসন্ধানে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেলেন বিজ্ঞানীরা। মাত্র ৪০ আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত ট্রাপিস্ট–১ই (TRAPPIST-1 e) গ্রহে পৃথিবীর মতো প্রাণের বিকাশ সহায়ক বায়ুমণ্ডল থাকার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। এটি ট্রাপিস্ট ১ (TRAPPIST-1) লাল বামনের চারপাশে ঘুরতে থাকা সাতটি গ্রহের একটি।
৮ ঘণ্টা আগেমহাবিশ্বের সবচেয়ে পুরোনো ‘ব্ল্যাক হোল’ আবিষ্কার করেছেন বলে দাবি করছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। শক্তিশালী জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ (জেডব্লিউএসটি) থেকে প্রাপ্ত ডেটা বিশ্লেষণ করে তারা জানান, এমন একটি ব্ল্যাক হোলের অস্তিত্বের ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে, যার জন্ম হতে পারে বিগ ব্যাংয়ের মাত্র এক সেকেন্ডেরও কম সময় পরে
১ দিন আগেঢাকার সময় অনুযায়ী, আজ রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) রাত ৯টা ২৮ মিনিটে শুরু হয়েছে অত্যন্ত বিরল পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণের ‘পেনুম্ব্রাল’ বা সূক্ষ্ম ছায়া পর্ব। রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ আংশিকভাবে গ্রহণ শুরু হবে। বাংলাদেশসহ এশিয়ার বিস্তীর্ণ অংশ থেকে এই গ্রহণ দেখা যাচ্ছে।
৩ দিন আগেপ্রায় দুই শতাব্দী ধরে বিজ্ঞানের পাঠ্যপুস্তকে শেখানো হয়ে আসছে যে, বরফের ওপর চাপ বা ঘর্ষণের ফলে তার পৃষ্ঠে একটি পাতলা তরল স্তর তৈরি হয়, আর এই তরল স্তরই বরফকে পিচ্ছিল করে তোলে। শীতপ্রধান দেশে বরফে ঢাকা ফুটপাতে হাঁটার সময় হঠাৎ পিছলে পড়ে যাওয়ার ঘটনা তাই অনেকেই এভাবে ব্যাখ্যা করতেন।
৩ দিন আগে