টয়লেটে ফোন নিয়ে যাওয়ার অভ্যাস আছে অনেকেরই। এমনও হতে আপনি হয়তো টয়লেটে বসেই মোবাইলে লেখাটি পড়ছেন। শৌচাগারে যে কাজটি ৩ মিনিটে করা সম্ভব সেটি কিছু পড়া, স্ক্রল এবং পোস্ট করে অন্তত ১৫ মিনিট পার করে দিচ্ছেন অনায়াসে। আপাতদৃষ্টিতে এটি সময় কাটানোর নির্দোষ উপায় মনে হলেও চিকিৎসকেরা বলছেন, এটি আপনার স্বাস্থ্যের জন্য বড় ক্ষতির কারণ হতে পারে। এসব তথ্য জানা যায় মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের এক প্রতিবেদনে।
ডালাসের ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাস সাউথ ওয়েস্টার্ন মেডিকেল সেন্টারের কলোরেকটাল বা কোলনবিষয়ক সার্জন লাই সু বলেন, এটি পাইলস ও পেলভিক বা শ্রোণি-সংক্রান্ত দুর্বলতার ঝুঁকিও বাড়ায়।
নিউইয়র্কের ইনফ্লাম্যাটরি বাওয়েল ডিজিজ সেন্টারের পরিচালক ও মেডিসিনের সহকারী অধ্যাপক ড. ফারাহ মনজুরের মতে, একবার টয়লেটে গড়ে ৫ থেকে ১০ মিনিটের বেশি থাকা উচিত নয়।
এর বেশি থাকলে সমস্যা কী? ড. লাই সু বলেন, ‘মাধ্যাকর্ষণ আমাদের পৃথিবীতে আটকে রাখে, কিন্তু সেই একই মাধ্যাকর্ষণ শরীরকে হৃৎপিণ্ডে রক্ত পাম্প করার জন্য আরও কঠোর পরিশ্রম করতে বাধ্য করে। খোলা ডিম্বাকৃতি আকৃতির টয়লেট সিট নিতম্বকে সংকুচিত করে, সোফায় বসা অবস্থার চেয়ে মলদ্বারকে নিচু অবস্থানে রাখে। আর মাধ্যাকর্ষণ শরীরের নিচের অর্ধেক অংশকে টান দেওয়ায় বর্ধিত চাপ রক্ত সঞ্চালনকে প্রভাবিত করে। ফলে পায়ুপথ বা মলদ্বারের চারপাশের শিরা এবং রক্তনালিগুলো বড় হয়ে যায় এবং রক্তে জমে থাকে। এতে পাইলসের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
‘আজকাল, আমরা দেখছি যে লোকেদের টয়লেটে বেশি সময় কাটছে। এটি মলদ্বার ও শ্রোণির জন্য খুবই অস্বাস্থ্যকর,’ বলেন ড. লাই সু।
বিষয়টির ব্যাখ্যা দিয়ে ড. সু বলেন, শ্রোণির পেশিগুলো উল্লেখযোগ্য পরিমাণে অন্ত্রের গতিবিধির সমন্বয় করে। এ ছাড়া মল নির্গত হয় তা নিশ্চিত করতে শরীরের বাকি অংশের সঙ্গে কাজ করে। একটানা দীর্ঘ সময় বসে থাকলে শ্রোণির মাধ্যাকর্ষণ চাপ পেশিতেও চাপ সৃষ্টি করে।
টয়লেটে বেশি সময় কাটানো এড়াতে ফোন, ম্যাগাজিন ও বই বাথরুমের বাইরে রাখার পরামর্শ দেন ক্যালিফোর্নিয়ার সিটি অব হোপ অরেঞ্জ কাউন্টির গ্যাস্ট্রোএন্টেরোলজিস্ট ড. ল্যান্স উরাডোমো।
তিনি বলেন, ‘ওখানে বেশি সময় কাটাবেন— এই চিন্তাটা মাথায় রাখা যাবে না। টয়লেটে বসে থাকার সময়টা যতটা সম্ভব কম আনন্দদায়ক করার চেষ্টা করুন।
‘তবে এটা ঠিক, কখনো এমন পরিস্থিতি তৈরি হয় যখন না চাইলেও বেশি সময় কাটাতে হয় কাউকে কাউকে। মলত্যাগের সময় কষ্ট কিংবা অস্বস্তি অন্ত্রের সমস্যার নির্দেশক। কোষ্ঠকাঠিন্য বা দীর্ঘ সময় ধরে টয়লেটে বসে থাকাও ক্যানসারের লক্ষণ হতে পারে।’
‘যদি কোলনের ভেতরে কোনো কোষের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি হয়, তবে তা মলের প্রবাহে বাধা দিতে পারে, যা কোষ্ঠকাঠিন্য এবং রক্তপাতের কারণ হতে পারে,’ বলেন উরাডোমো।
আমেরিকান ক্যানসার সোসাইটি সম্প্রতি জানিয়েছে, ১৯৯০ দশকের মাঝামাঝি থেকেই ৫৫ বছরের কম বয়স্কদের মধ্যে কোলন ক্যানসারের হার বেড়েছে। এ বছর দেশটিতে নতুন কোলন ক্যানসার আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ৬৫৯০। এ সময়ে মলাশয়ের ক্যানসারে আক্রান্তের সংখ্যা ৪৬ হাজার ২২০ জন।
উরাডোমো জানান, কর্মজীবনে এমন অনেক তরুণের দেখা পেয়েছেন তিনি, যারা তাঁর কাছে পাইলস এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা নিয়ে আসে। পরে তারা মলাশয় বা মলদ্বারের ক্যানসারে আক্রান্ত হন।
টয়লেটে ফোন নিয়ে যাওয়ার অভ্যাস আছে অনেকেরই। এমনও হতে আপনি হয়তো টয়লেটে বসেই মোবাইলে লেখাটি পড়ছেন। শৌচাগারে যে কাজটি ৩ মিনিটে করা সম্ভব সেটি কিছু পড়া, স্ক্রল এবং পোস্ট করে অন্তত ১৫ মিনিট পার করে দিচ্ছেন অনায়াসে। আপাতদৃষ্টিতে এটি সময় কাটানোর নির্দোষ উপায় মনে হলেও চিকিৎসকেরা বলছেন, এটি আপনার স্বাস্থ্যের জন্য বড় ক্ষতির কারণ হতে পারে। এসব তথ্য জানা যায় মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের এক প্রতিবেদনে।
ডালাসের ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাস সাউথ ওয়েস্টার্ন মেডিকেল সেন্টারের কলোরেকটাল বা কোলনবিষয়ক সার্জন লাই সু বলেন, এটি পাইলস ও পেলভিক বা শ্রোণি-সংক্রান্ত দুর্বলতার ঝুঁকিও বাড়ায়।
নিউইয়র্কের ইনফ্লাম্যাটরি বাওয়েল ডিজিজ সেন্টারের পরিচালক ও মেডিসিনের সহকারী অধ্যাপক ড. ফারাহ মনজুরের মতে, একবার টয়লেটে গড়ে ৫ থেকে ১০ মিনিটের বেশি থাকা উচিত নয়।
এর বেশি থাকলে সমস্যা কী? ড. লাই সু বলেন, ‘মাধ্যাকর্ষণ আমাদের পৃথিবীতে আটকে রাখে, কিন্তু সেই একই মাধ্যাকর্ষণ শরীরকে হৃৎপিণ্ডে রক্ত পাম্প করার জন্য আরও কঠোর পরিশ্রম করতে বাধ্য করে। খোলা ডিম্বাকৃতি আকৃতির টয়লেট সিট নিতম্বকে সংকুচিত করে, সোফায় বসা অবস্থার চেয়ে মলদ্বারকে নিচু অবস্থানে রাখে। আর মাধ্যাকর্ষণ শরীরের নিচের অর্ধেক অংশকে টান দেওয়ায় বর্ধিত চাপ রক্ত সঞ্চালনকে প্রভাবিত করে। ফলে পায়ুপথ বা মলদ্বারের চারপাশের শিরা এবং রক্তনালিগুলো বড় হয়ে যায় এবং রক্তে জমে থাকে। এতে পাইলসের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
‘আজকাল, আমরা দেখছি যে লোকেদের টয়লেটে বেশি সময় কাটছে। এটি মলদ্বার ও শ্রোণির জন্য খুবই অস্বাস্থ্যকর,’ বলেন ড. লাই সু।
বিষয়টির ব্যাখ্যা দিয়ে ড. সু বলেন, শ্রোণির পেশিগুলো উল্লেখযোগ্য পরিমাণে অন্ত্রের গতিবিধির সমন্বয় করে। এ ছাড়া মল নির্গত হয় তা নিশ্চিত করতে শরীরের বাকি অংশের সঙ্গে কাজ করে। একটানা দীর্ঘ সময় বসে থাকলে শ্রোণির মাধ্যাকর্ষণ চাপ পেশিতেও চাপ সৃষ্টি করে।
টয়লেটে বেশি সময় কাটানো এড়াতে ফোন, ম্যাগাজিন ও বই বাথরুমের বাইরে রাখার পরামর্শ দেন ক্যালিফোর্নিয়ার সিটি অব হোপ অরেঞ্জ কাউন্টির গ্যাস্ট্রোএন্টেরোলজিস্ট ড. ল্যান্স উরাডোমো।
তিনি বলেন, ‘ওখানে বেশি সময় কাটাবেন— এই চিন্তাটা মাথায় রাখা যাবে না। টয়লেটে বসে থাকার সময়টা যতটা সম্ভব কম আনন্দদায়ক করার চেষ্টা করুন।
‘তবে এটা ঠিক, কখনো এমন পরিস্থিতি তৈরি হয় যখন না চাইলেও বেশি সময় কাটাতে হয় কাউকে কাউকে। মলত্যাগের সময় কষ্ট কিংবা অস্বস্তি অন্ত্রের সমস্যার নির্দেশক। কোষ্ঠকাঠিন্য বা দীর্ঘ সময় ধরে টয়লেটে বসে থাকাও ক্যানসারের লক্ষণ হতে পারে।’
‘যদি কোলনের ভেতরে কোনো কোষের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি হয়, তবে তা মলের প্রবাহে বাধা দিতে পারে, যা কোষ্ঠকাঠিন্য এবং রক্তপাতের কারণ হতে পারে,’ বলেন উরাডোমো।
আমেরিকান ক্যানসার সোসাইটি সম্প্রতি জানিয়েছে, ১৯৯০ দশকের মাঝামাঝি থেকেই ৫৫ বছরের কম বয়স্কদের মধ্যে কোলন ক্যানসারের হার বেড়েছে। এ বছর দেশটিতে নতুন কোলন ক্যানসার আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ৬৫৯০। এ সময়ে মলাশয়ের ক্যানসারে আক্রান্তের সংখ্যা ৪৬ হাজার ২২০ জন।
উরাডোমো জানান, কর্মজীবনে এমন অনেক তরুণের দেখা পেয়েছেন তিনি, যারা তাঁর কাছে পাইলস এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা নিয়ে আসে। পরে তারা মলাশয় বা মলদ্বারের ক্যানসারে আক্রান্ত হন।
আধুনিক জীবনে প্লাস্টিকের ব্যবহার এড়িয়ে চলা প্রায় অসম্ভব। তবে এই বহুল ব্যবহৃত উপাদানটিই আজ পরিবেশের জন্য এক ভয়াবহ হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। বছরের পর বছর ধরে এই প্লাস্টিক জমে থাকছে নদী-নালা, সাগর ও মাটির গভীরে, যা জলজ প্রাণী থেকে শুরু করে মানবস্বাস্থ্যের ওপর ফেলছে মারাত্মক প্রভাব। বিশ্বজুড়ে বিজ্ঞানীরা
১ দিন আগেবিশ্বব্রহ্মাণ্ডে প্রতি মুহূর্তে ঘটছে অসংখ্য শক্তিশালী বিস্ফোরণ ঘটছে। নক্ষত্রগুলো জ্বলছে বিশাল পরমাণু বিক্রিয়ার শক্তিতে, আর বিশাল উল্কাপিণ্ড ছুটে এসে ধাক্কা দিচ্ছে গ্রহে গ্রহে। তবে সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা এমন এক ধরনের মহাজাগতিক বিস্ফোরণ শনাক্ত করেছেন, যা এই সব কিছুকেই পেছনে ফেলে দিয়েছে। তাদের দাবি, মহাকা
২ দিন আগেআমাদের গ্রহে প্রাণের বিকাশ ও প্রাচুর্য টিকে আছে অক্সিজেনের কল্যাণে। কিন্তু পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল সব সময় এমন ছিল না। বিজ্ঞানীরা ধারণা করছেন, ভবিষ্যতে আমাদের বায়ুমণ্ডলে আবারও মিথেনের আধিক্য হবে এবং অক্সিজেনবিহীন অবস্থায় ফিরে যাবে। তবে এখনই ভয় পাওয়ার কিছু নেই।
৩ দিন আগেবসন্ত এলেই গর্ত থেকে বেরিয়ে আসে লাখ লাখ পিঁপড়া। দলবদ্ধভাবে তারা ছড়িয়ে পড়ে উঠোন, বারান্দা ও রান্নাঘরের মেঝেতে—উদ্দেশ্য একটাই, কলোনির জন্য খাবার খুঁজে বের করা। তবে এদের সব সময় সারিবদ্ধভাবেই হাঁটতে দেখা যায়। তবে তাদের এই শৃঙ্খলাবদ্ধ হাঁটার পেছনে লুকিয়ে আছে চমকপ্রদ এক বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা।
৪ দিন আগে