অনলাইন ডেস্ক
মহাকাশ চরে বেড়ানো মহাকাশচারীরা প্রায়ই ফিরে এসে পোড়া স্টেক (মাংস) ও পোড়া বারুদের গন্ধ পাওয়ার কথা বলেন। মহাশূন্যের গন্ধ কেন পোড়া জিনিসের মতো? আর কোথা থেকেই বা আসে এ গন্ধ?
ইসরায়েলের বার–ইলান বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যোতিপদার্থবিজ্ঞানী ওফেক বার্নহোল্টজ বিজ্ঞানভিত্তিক সংবাদমাধ্যম লাইভ সায়েন্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, মহাকাশ প্রায় পরম শূন্যস্থান। মহাকর্ষ বল বিহীন এবং তাপমাত্রা হিমাঙ্কের অনেক নিচে থাকার কারণে কোনো ধরনের সুরক্ষা ছাড়া উন্মুক্ত মহাকাশে কয়েক সেকেন্ডের বেশি কেউ বাঁচতে পারে না।
নভোচারীরা এ কারণে মহাকাশযান, স্পেস স্যুট অথবা আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রের ভেতরে থেকে নিজেকে রক্ষা করেন। এ কারণেই এখন পর্যন্ত কেউ সরাসরি মহাশূন্যের গন্ধ নিতে পারেননি।
তবে নভোচারীরা উন্মুক্ত মহাকাশ থেকে মহাকাশযান বা আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রে ফিরে আসার পর হেলমেট খুললেই অদ্ভুত এক ধরনের গন্ধ পান। তাঁদের সঙ্গীরাও মহাকাশযানের বায়ুরোধী দরজা খুলে আবার বন্ধ করার পরক্ষণেই একই ধরনের গন্ধ পাওয়ার কথা বলেন।
২০১৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র নাসার মহাকাশচারী ডমিনিক টনি আন্তোনেলি আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের বাইরে বেরিয়েছিলেন। একে বলা হয় স্পেস ওয়াক। তিনি বলেন, ‘মহাশূন্যে অন্য যেকোনো গন্ধের চেয়ে ভিন্ন একটা গন্ধ আছে।’
জৈব রসায়নবিদ ও ওমেগা ইনগ্রেডিয়েন্টের প্রধান কার্যনির্বাহী স্টিভ পিয়ার্স বলেন, ‘মহাকাশচারীরা প্রায়ই মহাকাশের গন্ধ গরম ধাতু, পোড়া কেক, পোড়া বারুদ বা ধাতুর ঝালাইয়ের গন্ধের সঙ্গে তুলনা করেন।’
নাসার পৃষ্ঠপোষকতায় পরিচালিত ওমেগা ইনগ্রেডিয়েন্ট প্রতিষ্ঠানটি বিভিন্ন মহাকাশচারীর সাক্ষাৎকার বিশ্লেষণ করে একটি বিশেষ সুগন্ধী তৈরি করেছে।
সাবেক নাসা নভোচারী টমাস জোনস মহাকাশের এ গন্ধকে ওজোন গ্যাসের গন্ধের সঙ্গে তুলনা করেছেন। আরেক নাসা নভোচারী ডন পেটিট নাসা ব্লগপোস্টে বলেছেন, মহাকাশের গন্ধ ধাতব। মনোরম মিষ্টি ধাতব অনুভূতি জাগায়।
কিন্তু এ গন্ধ কোথা থেকে আসে?
যুক্তরাষ্ট্রের হিউস্টনে নাসার জনসন স্পেস সেন্টারে মিশন কন্ট্রোলের স্পেস ওয়াকের ফ্লাইট কন্ট্রোলার মিরান্ডা নেলসন লাইভ সায়েন্সকে বলেন, ‘মহাকাশ প্রায় শূন্য হলেও পরম শূন্য নয়। এখানে কোনো ধরনের কণাহীন শূন্যতা নেই।’
এ গন্ধের বেশ কয়েকটি ব্যাখ্যা রয়েছে বলে জানান নেলসন। এর মধ্যে একটি হলো— আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের আশপাশে ভাসমান অক্সিজেন। সূর্য থেকে আসা অতিবেগুনি রশ্মি অক্সিজেন অণুকে ভেঙে দুটি অক্সিজেন পরমাণু মুক্ত করে। এ অক্সিজেন পরমাণুগুলো স্পেস স্যুট, বায়ুরোধী দরজার দেয়াল ও মহাশূন্যের সংস্পর্শে থাকা অন্যান্য বস্তুর গায়ে লেগে থাকে। এতে ওজোন তৈরির মতো রাসায়নিক বিক্রিয়া শুরু হতে পারে। আর সেখান থেকেই এমন গন্ধের সৃষ্টি হতে পারে।
নেলসন বলেন, ‘অন্যান্য মজার তত্ত্বের মধ্যে একটি হলো, এ গন্ধ নক্ষত্র বিস্ফোরণের সঙ্গে সম্পর্কিত।’ নক্ষত্র বিস্ফোরিত হলে এর থেকে গন্ধযুক্ত অণু তৈরি হয়। এটিকে বলা হয়, পলিসাইক্লিক অ্যারোমেটিক হাইড্রোকার্বন, যা সাধারণত কয়লা, খাবার, তেল ও অন্যান্য জিনিসে পাওয়া যায়। তবে এ দুটি ধারণার পক্ষে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক গবেষণা করা হয়নি।
স্পেস ওয়াক প্রশিক্ষণ বাস্তবসম্মত করার জন্য নাসা ২০০৮ সালে স্টিভ পিয়ার্সকে মহাকাশচারীদের বর্ণনা অনুসারে একটি সুগন্ধী তৈরি করতে বলে, যা মহাকাশের গন্ধের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ। মহাকাশ ভ্রমণের সময় নভোচারীরা যাতে অপ্রস্তুত বোধ না করেন সে লক্ষ্যেই এটি তৈরি করা হয়।
স্টিভ পিয়ার্স নিজে কখনো মহাকাশে যাননি বা সুগন্ধী তৈরির সময় কোনো স্পেস স্যুটের গন্ধও পরীক্ষা করেননি। তিনি বলেন, ‘এর পরিবর্তে আমি মহাকাশচারীদের বর্ণনা অনুসারে কাজ করেছি। এর জন্য আমি নিজের জ্ঞান এবং সহজলভ্য ও নিরাপদ সুগন্ধী উপাদান ব্যবহার করেছি, যাতে একই ধরনের অনুভূতি তৈরি করা যায়।’
এ গবেষণার পর পিয়ার্স একটি সুগন্ধি তৈরি করেন যা ‘ইউ ডি স্পেস’ নামে পরিচিত। ২০২০ সালে এটি বাজারে আসার পর সর্বাধিক বিক্রীত সুগন্ধীর স্থান দখল করে নেয়।
পিয়ার্স বলেন, ‘সত্যি বলতে, মহাকাশের ঘ্রাণ অনেক কম মানুষই পেয়েছে, তাই এ ঘ্রাণের সঙ্গে বাস্তবতার মিল নিয়ে মন্তব্য করা কঠিন।’
মহাকাশ চরে বেড়ানো মহাকাশচারীরা প্রায়ই ফিরে এসে পোড়া স্টেক (মাংস) ও পোড়া বারুদের গন্ধ পাওয়ার কথা বলেন। মহাশূন্যের গন্ধ কেন পোড়া জিনিসের মতো? আর কোথা থেকেই বা আসে এ গন্ধ?
ইসরায়েলের বার–ইলান বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যোতিপদার্থবিজ্ঞানী ওফেক বার্নহোল্টজ বিজ্ঞানভিত্তিক সংবাদমাধ্যম লাইভ সায়েন্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, মহাকাশ প্রায় পরম শূন্যস্থান। মহাকর্ষ বল বিহীন এবং তাপমাত্রা হিমাঙ্কের অনেক নিচে থাকার কারণে কোনো ধরনের সুরক্ষা ছাড়া উন্মুক্ত মহাকাশে কয়েক সেকেন্ডের বেশি কেউ বাঁচতে পারে না।
নভোচারীরা এ কারণে মহাকাশযান, স্পেস স্যুট অথবা আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রের ভেতরে থেকে নিজেকে রক্ষা করেন। এ কারণেই এখন পর্যন্ত কেউ সরাসরি মহাশূন্যের গন্ধ নিতে পারেননি।
তবে নভোচারীরা উন্মুক্ত মহাকাশ থেকে মহাকাশযান বা আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রে ফিরে আসার পর হেলমেট খুললেই অদ্ভুত এক ধরনের গন্ধ পান। তাঁদের সঙ্গীরাও মহাকাশযানের বায়ুরোধী দরজা খুলে আবার বন্ধ করার পরক্ষণেই একই ধরনের গন্ধ পাওয়ার কথা বলেন।
২০১৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র নাসার মহাকাশচারী ডমিনিক টনি আন্তোনেলি আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের বাইরে বেরিয়েছিলেন। একে বলা হয় স্পেস ওয়াক। তিনি বলেন, ‘মহাশূন্যে অন্য যেকোনো গন্ধের চেয়ে ভিন্ন একটা গন্ধ আছে।’
জৈব রসায়নবিদ ও ওমেগা ইনগ্রেডিয়েন্টের প্রধান কার্যনির্বাহী স্টিভ পিয়ার্স বলেন, ‘মহাকাশচারীরা প্রায়ই মহাকাশের গন্ধ গরম ধাতু, পোড়া কেক, পোড়া বারুদ বা ধাতুর ঝালাইয়ের গন্ধের সঙ্গে তুলনা করেন।’
নাসার পৃষ্ঠপোষকতায় পরিচালিত ওমেগা ইনগ্রেডিয়েন্ট প্রতিষ্ঠানটি বিভিন্ন মহাকাশচারীর সাক্ষাৎকার বিশ্লেষণ করে একটি বিশেষ সুগন্ধী তৈরি করেছে।
সাবেক নাসা নভোচারী টমাস জোনস মহাকাশের এ গন্ধকে ওজোন গ্যাসের গন্ধের সঙ্গে তুলনা করেছেন। আরেক নাসা নভোচারী ডন পেটিট নাসা ব্লগপোস্টে বলেছেন, মহাকাশের গন্ধ ধাতব। মনোরম মিষ্টি ধাতব অনুভূতি জাগায়।
কিন্তু এ গন্ধ কোথা থেকে আসে?
যুক্তরাষ্ট্রের হিউস্টনে নাসার জনসন স্পেস সেন্টারে মিশন কন্ট্রোলের স্পেস ওয়াকের ফ্লাইট কন্ট্রোলার মিরান্ডা নেলসন লাইভ সায়েন্সকে বলেন, ‘মহাকাশ প্রায় শূন্য হলেও পরম শূন্য নয়। এখানে কোনো ধরনের কণাহীন শূন্যতা নেই।’
এ গন্ধের বেশ কয়েকটি ব্যাখ্যা রয়েছে বলে জানান নেলসন। এর মধ্যে একটি হলো— আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের আশপাশে ভাসমান অক্সিজেন। সূর্য থেকে আসা অতিবেগুনি রশ্মি অক্সিজেন অণুকে ভেঙে দুটি অক্সিজেন পরমাণু মুক্ত করে। এ অক্সিজেন পরমাণুগুলো স্পেস স্যুট, বায়ুরোধী দরজার দেয়াল ও মহাশূন্যের সংস্পর্শে থাকা অন্যান্য বস্তুর গায়ে লেগে থাকে। এতে ওজোন তৈরির মতো রাসায়নিক বিক্রিয়া শুরু হতে পারে। আর সেখান থেকেই এমন গন্ধের সৃষ্টি হতে পারে।
নেলসন বলেন, ‘অন্যান্য মজার তত্ত্বের মধ্যে একটি হলো, এ গন্ধ নক্ষত্র বিস্ফোরণের সঙ্গে সম্পর্কিত।’ নক্ষত্র বিস্ফোরিত হলে এর থেকে গন্ধযুক্ত অণু তৈরি হয়। এটিকে বলা হয়, পলিসাইক্লিক অ্যারোমেটিক হাইড্রোকার্বন, যা সাধারণত কয়লা, খাবার, তেল ও অন্যান্য জিনিসে পাওয়া যায়। তবে এ দুটি ধারণার পক্ষে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক গবেষণা করা হয়নি।
স্পেস ওয়াক প্রশিক্ষণ বাস্তবসম্মত করার জন্য নাসা ২০০৮ সালে স্টিভ পিয়ার্সকে মহাকাশচারীদের বর্ণনা অনুসারে একটি সুগন্ধী তৈরি করতে বলে, যা মহাকাশের গন্ধের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ। মহাকাশ ভ্রমণের সময় নভোচারীরা যাতে অপ্রস্তুত বোধ না করেন সে লক্ষ্যেই এটি তৈরি করা হয়।
স্টিভ পিয়ার্স নিজে কখনো মহাকাশে যাননি বা সুগন্ধী তৈরির সময় কোনো স্পেস স্যুটের গন্ধও পরীক্ষা করেননি। তিনি বলেন, ‘এর পরিবর্তে আমি মহাকাশচারীদের বর্ণনা অনুসারে কাজ করেছি। এর জন্য আমি নিজের জ্ঞান এবং সহজলভ্য ও নিরাপদ সুগন্ধী উপাদান ব্যবহার করেছি, যাতে একই ধরনের অনুভূতি তৈরি করা যায়।’
এ গবেষণার পর পিয়ার্স একটি সুগন্ধি তৈরি করেন যা ‘ইউ ডি স্পেস’ নামে পরিচিত। ২০২০ সালে এটি বাজারে আসার পর সর্বাধিক বিক্রীত সুগন্ধীর স্থান দখল করে নেয়।
পিয়ার্স বলেন, ‘সত্যি বলতে, মহাকাশের ঘ্রাণ অনেক কম মানুষই পেয়েছে, তাই এ ঘ্রাণের সঙ্গে বাস্তবতার মিল নিয়ে মন্তব্য করা কঠিন।’
আমাদের গ্রহের অভ্যন্তরে ঘটছে অসংখ্য জটিল প্রক্রিয়া। এই প্রক্রিয়াটি পৃথিবীর উপরিভাগের চেয়ে অনেক বেশি রহস্যময়। ভূপৃষ্ঠের পাতলা স্তর এবং উত্তপ্ত কেন্দ্রের মাঝখানে অবস্থিত ম্যান্টল অঞ্চলটি প্রায় ২ হাজার ৯০০ কিলোমিটার গভীর পর্যন্ত বিস্তৃত।
৯ ঘণ্টা আগেআন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে (আইএসএস) প্রায় সাত মাস ধরে আটকে রয়েছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত নভোচারী সুনিতা উইলিয়ামস এবং তাঁর সঙ্গী বুচ উইলমোর। এত দীর্ঘ সময় মহাকাশে থাকার কারণে সুনিতা এখন বড় চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছেন। তিনি ভুলে গেছেন কীভাবে হাঁটতে হয়! এই চ্যালেঞ্জটি তাঁর শরীরের ওপর দীর্ঘ মহাকাশ অভিযানের প্র
১১ ঘণ্টা আগেমহাকাশ স্টেশনে আটকে পড়া নভোচারী বাচ উইলমোর এবং সুনি উইলিয়ামসকে দ্রুত ফিরিয়ে আনতে ইলন মাস্ককে নির্দেশ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গত মঙ্গলবার রাতে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে এ তথ্য জানান মাস্ক। তবে এই ঘোষণার ফলে নাসার...
২ দিন আগেচাঁদে গিয়ে অক্সিজেনের সংকটে পড়েন নভোচারীরা। এই সংকট কাটিয়ে ওঠা যায় কীভাবে, সেই উদ্যোগ নিয়েছেন একদল প্রকৌশলী। তাঁরা চাইছেন, সেখানে যে অক্সিজেন পাওয়া যায়, এ জন্য একটি যন্ত্রের নকশা তৈরি করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের সিয়েরা স্পেসের প্রকৌশলীরা। তাঁরা আশা করছেন
৪ দিন আগে