আজকের পত্রিকা ডেস্ক
শুক্রের সঙ্গে একই কক্ষপথে ঘুরে বেড়ানো একদল প্রায় অদৃশ্য গ্রহাণু পৃথিবীর জন্য বিপদ ডেকে আনতে পারে বলে সতর্ক করলেন বিজ্ঞানীরা। বর্তমানে এগুলো আমাদের নজরের বাইরে রয়েছে। তবে সময়ের সঙ্গে এদের গতিপথ পরিবর্তন হয়ে পৃথিবীর জন্য মারাত্মক হুমকি সৃষ্টি হতে পারে।
এসব গ্রহাণু ‘ভেনাস কো-অরবিটাল অ্যাস্টেরয়েড’ নামে পরিচিত। তবে গ্রহাণুগুলো সূর্যঘেঁষা কক্ষপথে অবস্থান করায় এগুলো বর্তমানের টেলিস্কোপ দিয়ে দেখা প্রায় অসম্ভব। ফলে এগুলোর গতিপথে পরিবর্তন ঘটলে অনেক দেরিতে তা নজরে আসবে। তবে এখনই আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। কয়েক হাজার বছর পর গ্রহাণুগুলো পৃথিবীতে আঘাত হানতে পারে।
ব্রাজিলের সাও পাওলো স্টেট ইউনিভার্সিটির (ইউএনইএসপি) অধ্যাপক ও গবেষণাপত্রের প্রধান লেখক ভালেরিও কারুবা বলেন, ‘আমাদের গবেষণা বলছে, এমন সম্ভাব্য বিপজ্জনক একদল গ্রহাণু রয়েছে, যেগুলো বর্তমান প্রযুক্তি দিয়ে শনাক্ত করা যাচ্ছে না।’
এই গ্রহাণুগুলো সূর্যকে শুক্রের মতো একই সময়ে একবার প্রদক্ষিণ করে। এ জন্য গ্রহাণুগুলো টেলিস্কোপের সামনে তখনই আসে, যখন টেলিস্কোপ সূর্যের দিকে তাক করা থাকে। তবে সূর্যের তীব্র আলোয় আকাশে উজ্জ্বল হলুদ বল ছাড়া টেলিস্কোপ কিছুই দেখতে পারে না।
এই গ্রহাণুগুলো সূর্যের চারপাশে শুক্র গ্রহের মতো একই সময় ধরে একবার প্রদক্ষিণ করে। এ কারণে এগুলো সাধারণত সূর্যের সংলগ্ন অঞ্চলে অবস্থান করে, যেখানে সূর্যের তীব্র আলো থাকার কারণে টেলিস্কোপ দিয়ে সেগুলো দেখা মুশকিল।
বর্তমানে এ ধরনের প্রায় ২০টি গ্রহাণু শনাক্ত হয়েছে। এদের কক্ষপথে বিচ্যুতি বেশি। অর্থাৎ, এগুলো সূর্যের এতটাও কাছে নয় যে, একেবারেই অদৃশ্য হয়ে যায়। তাই সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের সময় কিছুটা দেখা যায়।
বিজ্ঞানীদের মডেল অনুযায়ী, আরও অনেক কম বিচ্যুতির গ্রহাণু রয়েছে, যেগুলো সূর্যের এত কাছাকাছি ঘোরে যে, সাধারণ টেলিস্কোপে দেখা যায় না। শুধু নির্দিষ্ট অবস্থায় পর্যবেক্ষণ সম্ভব।
নতুন চালু হওয়া ভেরা সি রিউবিন অবজারভেটরি কিছু উজ্জ্বল গ্রহাণু শনাক্ত করতে পারবে। এর জন্য এদের ২০ ডিগ্রির বেশি উচ্চতায় উঠে আসতে হবে। তবে এসব গ্রহাণুর কক্ষপথ এতটাই এলোমেলো যে, এগুলো কবে কখন এভাবে দেখা যাবে তা বলা কঠিন।
এর পরিবর্তে গবেষকেরা বলছেন, নাসার নিয়ার আর্থ অবজেক্ট (এনইও) সারভেওরের মতো মহাকাশে থাকা পর্যবেক্ষণযন্ত্র ব্যবহার করা উচিত। এটি এই অঞ্চলকে আরও ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করে কো-অরবিটাল গ্রহাণুগুলোকে শনাক্ত ও অনুসরণ করতে পারবে।
গবেষকেরা জানান, ৩০০ মিটার বা প্রায় ৩২৮ গজ প্রশস্ত গ্রহাণুগুলো ভেনাসের সঙ্গে ঘোরার সময় মাধ্যাকর্ষণ শক্তির টানাপোড়েনে কক্ষপথ হারাতে পারে এবং পৃথিবীর কাছাকাছি চলে আসতে পারে।
অধ্যাপক কারুবা বলেন, এ রকম পরিবর্তনের সময় গ্রহাণুগুলো পৃথিবীর কক্ষপথের খুব কাছ দিয়ে চলে যেতে পারে। এমনকি পৃথিবীকেও অতিক্রম করতে পারে।
যদি এ ধরনের একটি গ্রহাণু পৃথিবীতে আঘাত হানে, তাহলে প্রায় ৩ থেকে সাড়ে ৪ কিলোমিটার প্রশস্ত একটি গর্ত সৃষ্টি হতে পারে এবং এর শক্তি হবে কয়েক শ মেগাটনের সমান। এর ফলে পৃথিবীতে ভয়াবহ ধ্বংসযজ্ঞ হতে পারে।
বিশেষ করে, যদি এমন কোনো জায়গায় আঘাত হানে, যেখানে ঘনবসতি রয়েছে, তাহলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ হবে ভয়াবহ।
কারুবা বলেন, ‘প্ল্যানেটারি ডিফেন্স বা গ্রহ রক্ষার পরিকল্পনায় কেবল যেগুলো দেখা যাচ্ছে সেগুলো নয়; যেগুলো এখনো চোখে পড়েনি, সেগুলোও বিবেচনায় নিতে হবে।’
এই গবেষণা প্রকাশিত হয়েছে অ্যাস্ট্রোনমি ও অ্যাস্ট্রোফিজিকস সাময়িকীর জুলাই সংখ্যায়।
তথ্যসূত্র: স্পেসডট কম
শুক্রের সঙ্গে একই কক্ষপথে ঘুরে বেড়ানো একদল প্রায় অদৃশ্য গ্রহাণু পৃথিবীর জন্য বিপদ ডেকে আনতে পারে বলে সতর্ক করলেন বিজ্ঞানীরা। বর্তমানে এগুলো আমাদের নজরের বাইরে রয়েছে। তবে সময়ের সঙ্গে এদের গতিপথ পরিবর্তন হয়ে পৃথিবীর জন্য মারাত্মক হুমকি সৃষ্টি হতে পারে।
এসব গ্রহাণু ‘ভেনাস কো-অরবিটাল অ্যাস্টেরয়েড’ নামে পরিচিত। তবে গ্রহাণুগুলো সূর্যঘেঁষা কক্ষপথে অবস্থান করায় এগুলো বর্তমানের টেলিস্কোপ দিয়ে দেখা প্রায় অসম্ভব। ফলে এগুলোর গতিপথে পরিবর্তন ঘটলে অনেক দেরিতে তা নজরে আসবে। তবে এখনই আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। কয়েক হাজার বছর পর গ্রহাণুগুলো পৃথিবীতে আঘাত হানতে পারে।
ব্রাজিলের সাও পাওলো স্টেট ইউনিভার্সিটির (ইউএনইএসপি) অধ্যাপক ও গবেষণাপত্রের প্রধান লেখক ভালেরিও কারুবা বলেন, ‘আমাদের গবেষণা বলছে, এমন সম্ভাব্য বিপজ্জনক একদল গ্রহাণু রয়েছে, যেগুলো বর্তমান প্রযুক্তি দিয়ে শনাক্ত করা যাচ্ছে না।’
এই গ্রহাণুগুলো সূর্যকে শুক্রের মতো একই সময়ে একবার প্রদক্ষিণ করে। এ জন্য গ্রহাণুগুলো টেলিস্কোপের সামনে তখনই আসে, যখন টেলিস্কোপ সূর্যের দিকে তাক করা থাকে। তবে সূর্যের তীব্র আলোয় আকাশে উজ্জ্বল হলুদ বল ছাড়া টেলিস্কোপ কিছুই দেখতে পারে না।
এই গ্রহাণুগুলো সূর্যের চারপাশে শুক্র গ্রহের মতো একই সময় ধরে একবার প্রদক্ষিণ করে। এ কারণে এগুলো সাধারণত সূর্যের সংলগ্ন অঞ্চলে অবস্থান করে, যেখানে সূর্যের তীব্র আলো থাকার কারণে টেলিস্কোপ দিয়ে সেগুলো দেখা মুশকিল।
বর্তমানে এ ধরনের প্রায় ২০টি গ্রহাণু শনাক্ত হয়েছে। এদের কক্ষপথে বিচ্যুতি বেশি। অর্থাৎ, এগুলো সূর্যের এতটাও কাছে নয় যে, একেবারেই অদৃশ্য হয়ে যায়। তাই সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের সময় কিছুটা দেখা যায়।
বিজ্ঞানীদের মডেল অনুযায়ী, আরও অনেক কম বিচ্যুতির গ্রহাণু রয়েছে, যেগুলো সূর্যের এত কাছাকাছি ঘোরে যে, সাধারণ টেলিস্কোপে দেখা যায় না। শুধু নির্দিষ্ট অবস্থায় পর্যবেক্ষণ সম্ভব।
নতুন চালু হওয়া ভেরা সি রিউবিন অবজারভেটরি কিছু উজ্জ্বল গ্রহাণু শনাক্ত করতে পারবে। এর জন্য এদের ২০ ডিগ্রির বেশি উচ্চতায় উঠে আসতে হবে। তবে এসব গ্রহাণুর কক্ষপথ এতটাই এলোমেলো যে, এগুলো কবে কখন এভাবে দেখা যাবে তা বলা কঠিন।
এর পরিবর্তে গবেষকেরা বলছেন, নাসার নিয়ার আর্থ অবজেক্ট (এনইও) সারভেওরের মতো মহাকাশে থাকা পর্যবেক্ষণযন্ত্র ব্যবহার করা উচিত। এটি এই অঞ্চলকে আরও ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করে কো-অরবিটাল গ্রহাণুগুলোকে শনাক্ত ও অনুসরণ করতে পারবে।
গবেষকেরা জানান, ৩০০ মিটার বা প্রায় ৩২৮ গজ প্রশস্ত গ্রহাণুগুলো ভেনাসের সঙ্গে ঘোরার সময় মাধ্যাকর্ষণ শক্তির টানাপোড়েনে কক্ষপথ হারাতে পারে এবং পৃথিবীর কাছাকাছি চলে আসতে পারে।
অধ্যাপক কারুবা বলেন, এ রকম পরিবর্তনের সময় গ্রহাণুগুলো পৃথিবীর কক্ষপথের খুব কাছ দিয়ে চলে যেতে পারে। এমনকি পৃথিবীকেও অতিক্রম করতে পারে।
যদি এ ধরনের একটি গ্রহাণু পৃথিবীতে আঘাত হানে, তাহলে প্রায় ৩ থেকে সাড়ে ৪ কিলোমিটার প্রশস্ত একটি গর্ত সৃষ্টি হতে পারে এবং এর শক্তি হবে কয়েক শ মেগাটনের সমান। এর ফলে পৃথিবীতে ভয়াবহ ধ্বংসযজ্ঞ হতে পারে।
বিশেষ করে, যদি এমন কোনো জায়গায় আঘাত হানে, যেখানে ঘনবসতি রয়েছে, তাহলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ হবে ভয়াবহ।
কারুবা বলেন, ‘প্ল্যানেটারি ডিফেন্স বা গ্রহ রক্ষার পরিকল্পনায় কেবল যেগুলো দেখা যাচ্ছে সেগুলো নয়; যেগুলো এখনো চোখে পড়েনি, সেগুলোও বিবেচনায় নিতে হবে।’
এই গবেষণা প্রকাশিত হয়েছে অ্যাস্ট্রোনমি ও অ্যাস্ট্রোফিজিকস সাময়িকীর জুলাই সংখ্যায়।
তথ্যসূত্র: স্পেসডট কম
‘ইভেন্টউড’ নামে একটি মার্কিন কোম্পানি এমন এক ধরনের কাঠ তৈরি করেছে, যার শক্তি ইস্পাতের চেয়ে প্রায় ১০ গুণ বেশি এবং ওজন ছয় গুণ কম। এই কাঠের নাম দেওয়া হয়েছে ‘সুপারউড’। কোম্পানিটি ইতিমধ্যে বাণিজ্যিকভাবে এই কাঠের উৎপাদন শুরু করেছে।
৫ দিন আগেআন্তর্জাতিক অঙ্গনে খ্যাতিমান রসায়নবিদ ড. ওমর ইয়াঘি রসায়নে নোবেল পুরস্কার অর্জন করেছেন। তিনি দ্বিতীয় মুসলিম বিজ্ঞানী হিসেবে রসায়নে নোবেল জয় করলেন। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াই এবং শুষ্ক অঞ্চল থেকে পানীয় জল সংগ্রহের প্রযুক্তিতে তাঁর যুগান্তকারী গবেষণার জন্য তিনি বিশ্বজুড়ে পরিচিত।
১১ দিন আগেচলতি বছর রসায়নে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন তিন বিজ্ঞানী—সুসুমু কিতাগাওয়া, রিচার্ড রবসন ও ওমর এম ইয়াঘি। আজ বুধবার সুইডেনের রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি অব সায়েন্সেস এ পুরস্কারের বিজয়ী হিসেবে তাঁদের নাম ঘোষণা করেছে। নোবেল কমিটি জানিয়েছে, তাঁরা ‘মেটাল-অর্গানিক ফ্রেমওয়ার্কসের বিকাশ’ ঘটানোর জন্য এ সম্মাননা পাচ্ছেন।
১১ দিন আগেপদার্থবিজ্ঞানের একটি অন্যতম প্রধান প্রশ্ন হলো—কত বড় ব্যবস্থার (system) মধ্যে কোয়ান্টাম বলবিদ্যার প্রভাব দৃশ্যমান করা সম্ভব? এ বছরের নোবেল বিজয়ীরা একটি বৈদ্যুতিক সার্কিট ব্যবহার করে এমন একটি ব্যবস্থায় কোয়ান্টাম মেকানিক্যাল টানেলিং ও কোয়ান্টাইজড শক্তির স্তর প্রমাণ করেছেন—যেটির আকার রীতিমতো...
১২ দিন আগে