অস্ট্রেলিয়া থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়া একটি ভূভাগ সাড়ে ১৫ কোটি বছর আগে বেমালুম অদৃশ্য হয়ে যায় বলে ধারণা করা হয়েছিল। তবে সাত বছরের গবেষণায় বিজ্ঞানীরা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার স্থলভাগে ওই জায়গার সন্ধান পেয়েছেন।
ইন্দোনেশিয়াজুড়ে অদৃশ্য একটি বাধা বন্য প্রাণীরা কেন অতিক্রম করতে পারে না, এটিও ব্যাখ্যা করতে এই আবিষ্কার সাহায্য করবে বলে মনে করা হচ্ছে। এসব তথ্য জানা যায় মার্কিন সংবাদমাধ্যম বিজনেস ইনসাইডারের এক প্রতিবেদনে।
বিজ্ঞানীদের নতুন গবেষণা বলছে, আর্গোল্যান্ড নামের ওই মহাদেশকে পুনরায় এঁকে আবিষ্কার করা গেছে। মহাদেশীয় বিভাজন সাধারণত প্রাচীন জীবাশ্ম, শিলা এবং পর্বতশ্রেণিতে চিহ্ন রেখে যায়। কিন্তু আর্গোল্যান্ডের কোনো হদিস বিজ্ঞানীরা পাচ্ছিলেন না।
এখন নেদারল্যান্ডসের উতরেখত বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা মনে করেন, তাঁরা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার পূর্বের দ্বীপগুলোতে লুকানো রহস্যময় ভূভাগটির সন্ধান পেয়েছেন।
এই আবিষ্কার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও অস্ট্রেলিয়ার বন্য প্রাণীদের আলাদা করে রাখা কাল্পনিক সীমানা ওয়ালেস লাইনের ব্যাখ্যা পেতে সাহায্য করতে পারে।
‘আমরা আক্ষরিক অর্থেই তথ্যের “দ্বীপ” নিয়ে কাজ করছিলাম, যে কারণে গবেষণায় এত সময় লেগেছে। সাত বছর ধরে ধাঁধার টুকরাগুলো জোড়া লাগিয়েছি।’ গবেষণাটির লেখক ও উতরেখত বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ববিদ এল্ডার্ট অ্যাডভোকাট এক বিজ্ঞপ্তিতে বলেছেন।
অ্যাডভোকাট লাইভ সায়েন্সকে বলেন, অস্ট্রেলিয়া থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর আর্গোল্যান্ড কোথায় গিয়েছিল, তা খুঁজে বের করতে সতর্কভাবে কিছু কাজ করতে হয়। বিজ্ঞানীরা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার চারপাশে কিছু ফিতার মতো বা রিবন মহাদেশ খুঁজে পান। কিন্তু সেগুলোকে একত্র করতে পারছিলেন না।
‘কিছুই মিলছিল না, ’ বলেন তিনি।
অবশেষে, একটি ধারণা এল তাঁদের মাথায়, আর্গোল্যান্ড যদি একটি ভূভাগের পরিবর্তে কিছু টুকরা টুকরা মহাদেশ মিলিয়ে একটি কিছু হয়?
‘দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার পরিস্থিতি আফ্রিকা ও দক্ষিণ আমেরিকার মতো জায়গাগুলোর থেকে একেবারেই আলাদা। যেখানে একটি মহাদেশ সুন্দরভাবে দুই টুকরা হয়ে গেছে।’ অ্যাডভোকাট বিজ্ঞপ্তিতে বলেন।
‘আর্গোল্যান্ড অনেকগুলো অংশে বিভক্ত হয়ে পড়ে। এটি মহাদেশটি সম্পর্কে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গিকে বাধাগ্রস্ত করেছিল।’ বলেন তিনি।
এই অনুমান থেকে কাজ করে, তারা দেখতে পান যে আর্গোল্যান্ড সত্যিই অদৃশ্য হয়ে যায়নি। এটি ইন্দোনেশিয়ার পূর্বে দ্বীপগুলোর মধ্যে খুব প্রসারিত এবং খণ্ডিত অংশ হিসেবে টিকে ছিল।
এই কাজের মাধ্যমে, তারা অবশেষে আর্গোল্যান্ডকে ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হন।
কারণ, এটি একটি একক ভূভাগ নয়, বরং সমুদ্র দিয়ে বিভক্ত ক্ষুদ্র মহাদেশের একটি যোগফল। অ্যাডভোকাট এবং তার বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকর্মী ভূতত্ত্ববিদ ডুয়ে ভ্যান হিন্সবেয়ারগ্যান আর্গোল্যান্ডকে আরও সুনির্দিষ্টভাবে সংজ্ঞায়িত করার জন্য একটি নতুন শব্দ তৈরি করেছেন, সেটি হলো ‘আর্গোপেলাগো’।
তাদের ফলাফল ১৯ অক্টোবর গন্ডোয়ানা রিসার্চ নামের জার্নালে প্রকাশিত হয়।
অ্যাডভোকাট লাইভ সায়েন্সকে জানান, ওয়ালেস লাইন নামের ইন্দোনেশিয়ার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত একটি কাল্পনিক রেখাকে ব্যাখ্যা করতেও এটি বিজ্ঞানীদের সাহায্য করতে পারে। এই রেখা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার স্তন্যপায়ী প্রাণী ও পাখিদের আলাদা করে রেখেছে।
রেখা বা ব্যারিয়ারটি বিজ্ঞানীদের বিভ্রান্ত করেছে; কারণ, এটি দ্বীপের বন্য প্রাণীকে খুব স্পষ্টভাবে আলাদা করে। রেখার পশ্চিমে বাঘ ও হাতির মতো স্তন্যপায়ী প্রাণী রয়েছে, যেগুলো দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াতেও পাওয়া যায়। তবে এগুলো পূর্বে প্রায় সম্পূর্ণ অনুপস্থিত, যেখানে আপনি মার্সুপিয়াল (সাধারণত থলেতে বাচ্চা বহন করে এ ধরনের প্রাণীরা) এবং কাকাতুয়া খুঁজে পেতে পারেন, যা অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে সম্পর্কিত।
এটি সম্ভবত দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় ভেঙে পড়ার আগে আর্গোল্যান্ড ভবিষ্যতের অস্ট্রেলিয়া থেকে তার নিজস্ব বন্য প্রাণী নিয়ে যাওয়ার কারণে হতে পারে।
‘এই পুনর্গঠনগুলো জীববৈচিত্র্য ও জলবায়ুর বিবর্তনের মতো বিষয়গুলো আমাদের বোঝার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।’ বলেন ডুয়ে ভ্যান হিন্সবেয়ারগ্যান।
অস্ট্রেলিয়া থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়া একটি ভূভাগ সাড়ে ১৫ কোটি বছর আগে বেমালুম অদৃশ্য হয়ে যায় বলে ধারণা করা হয়েছিল। তবে সাত বছরের গবেষণায় বিজ্ঞানীরা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার স্থলভাগে ওই জায়গার সন্ধান পেয়েছেন।
ইন্দোনেশিয়াজুড়ে অদৃশ্য একটি বাধা বন্য প্রাণীরা কেন অতিক্রম করতে পারে না, এটিও ব্যাখ্যা করতে এই আবিষ্কার সাহায্য করবে বলে মনে করা হচ্ছে। এসব তথ্য জানা যায় মার্কিন সংবাদমাধ্যম বিজনেস ইনসাইডারের এক প্রতিবেদনে।
বিজ্ঞানীদের নতুন গবেষণা বলছে, আর্গোল্যান্ড নামের ওই মহাদেশকে পুনরায় এঁকে আবিষ্কার করা গেছে। মহাদেশীয় বিভাজন সাধারণত প্রাচীন জীবাশ্ম, শিলা এবং পর্বতশ্রেণিতে চিহ্ন রেখে যায়। কিন্তু আর্গোল্যান্ডের কোনো হদিস বিজ্ঞানীরা পাচ্ছিলেন না।
এখন নেদারল্যান্ডসের উতরেখত বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা মনে করেন, তাঁরা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার পূর্বের দ্বীপগুলোতে লুকানো রহস্যময় ভূভাগটির সন্ধান পেয়েছেন।
এই আবিষ্কার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও অস্ট্রেলিয়ার বন্য প্রাণীদের আলাদা করে রাখা কাল্পনিক সীমানা ওয়ালেস লাইনের ব্যাখ্যা পেতে সাহায্য করতে পারে।
‘আমরা আক্ষরিক অর্থেই তথ্যের “দ্বীপ” নিয়ে কাজ করছিলাম, যে কারণে গবেষণায় এত সময় লেগেছে। সাত বছর ধরে ধাঁধার টুকরাগুলো জোড়া লাগিয়েছি।’ গবেষণাটির লেখক ও উতরেখত বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ববিদ এল্ডার্ট অ্যাডভোকাট এক বিজ্ঞপ্তিতে বলেছেন।
অ্যাডভোকাট লাইভ সায়েন্সকে বলেন, অস্ট্রেলিয়া থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর আর্গোল্যান্ড কোথায় গিয়েছিল, তা খুঁজে বের করতে সতর্কভাবে কিছু কাজ করতে হয়। বিজ্ঞানীরা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার চারপাশে কিছু ফিতার মতো বা রিবন মহাদেশ খুঁজে পান। কিন্তু সেগুলোকে একত্র করতে পারছিলেন না।
‘কিছুই মিলছিল না, ’ বলেন তিনি।
অবশেষে, একটি ধারণা এল তাঁদের মাথায়, আর্গোল্যান্ড যদি একটি ভূভাগের পরিবর্তে কিছু টুকরা টুকরা মহাদেশ মিলিয়ে একটি কিছু হয়?
‘দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার পরিস্থিতি আফ্রিকা ও দক্ষিণ আমেরিকার মতো জায়গাগুলোর থেকে একেবারেই আলাদা। যেখানে একটি মহাদেশ সুন্দরভাবে দুই টুকরা হয়ে গেছে।’ অ্যাডভোকাট বিজ্ঞপ্তিতে বলেন।
‘আর্গোল্যান্ড অনেকগুলো অংশে বিভক্ত হয়ে পড়ে। এটি মহাদেশটি সম্পর্কে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গিকে বাধাগ্রস্ত করেছিল।’ বলেন তিনি।
এই অনুমান থেকে কাজ করে, তারা দেখতে পান যে আর্গোল্যান্ড সত্যিই অদৃশ্য হয়ে যায়নি। এটি ইন্দোনেশিয়ার পূর্বে দ্বীপগুলোর মধ্যে খুব প্রসারিত এবং খণ্ডিত অংশ হিসেবে টিকে ছিল।
এই কাজের মাধ্যমে, তারা অবশেষে আর্গোল্যান্ডকে ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হন।
কারণ, এটি একটি একক ভূভাগ নয়, বরং সমুদ্র দিয়ে বিভক্ত ক্ষুদ্র মহাদেশের একটি যোগফল। অ্যাডভোকাট এবং তার বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকর্মী ভূতত্ত্ববিদ ডুয়ে ভ্যান হিন্সবেয়ারগ্যান আর্গোল্যান্ডকে আরও সুনির্দিষ্টভাবে সংজ্ঞায়িত করার জন্য একটি নতুন শব্দ তৈরি করেছেন, সেটি হলো ‘আর্গোপেলাগো’।
তাদের ফলাফল ১৯ অক্টোবর গন্ডোয়ানা রিসার্চ নামের জার্নালে প্রকাশিত হয়।
অ্যাডভোকাট লাইভ সায়েন্সকে জানান, ওয়ালেস লাইন নামের ইন্দোনেশিয়ার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত একটি কাল্পনিক রেখাকে ব্যাখ্যা করতেও এটি বিজ্ঞানীদের সাহায্য করতে পারে। এই রেখা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার স্তন্যপায়ী প্রাণী ও পাখিদের আলাদা করে রেখেছে।
রেখা বা ব্যারিয়ারটি বিজ্ঞানীদের বিভ্রান্ত করেছে; কারণ, এটি দ্বীপের বন্য প্রাণীকে খুব স্পষ্টভাবে আলাদা করে। রেখার পশ্চিমে বাঘ ও হাতির মতো স্তন্যপায়ী প্রাণী রয়েছে, যেগুলো দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াতেও পাওয়া যায়। তবে এগুলো পূর্বে প্রায় সম্পূর্ণ অনুপস্থিত, যেখানে আপনি মার্সুপিয়াল (সাধারণত থলেতে বাচ্চা বহন করে এ ধরনের প্রাণীরা) এবং কাকাতুয়া খুঁজে পেতে পারেন, যা অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে সম্পর্কিত।
এটি সম্ভবত দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় ভেঙে পড়ার আগে আর্গোল্যান্ড ভবিষ্যতের অস্ট্রেলিয়া থেকে তার নিজস্ব বন্য প্রাণী নিয়ে যাওয়ার কারণে হতে পারে।
‘এই পুনর্গঠনগুলো জীববৈচিত্র্য ও জলবায়ুর বিবর্তনের মতো বিষয়গুলো আমাদের বোঝার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।’ বলেন ডুয়ে ভ্যান হিন্সবেয়ারগ্যান।
নাসার জেমস ওয়েব টেলিস্কোপের (জেডব্লিউএসটি) মাধ্যমে মহাবিশ্বের সবচেয়ে বড় মানচিত্র তৈরি করলেন করেছেন বিজ্ঞানীরা। এই মানচিত্রটি মহাবিশ্বের একটি ছোট অংশজুড়ে বিস্তৃত, যেখানে প্রায় আট লাখ গ্যালাক্সি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এর মধ্যে এমন গ্যালাক্সিও আছে, যা এত দূরে অবস্থিত যে সেগুলো মহাবিশ্বের শৈশবের সময়কার,
১৫ ঘণ্টা আগেআধুনিক জীবনে প্লাস্টিকের ব্যবহার এড়িয়ে চলা প্রায় অসম্ভব। তবে এই বহুল ব্যবহৃত উপাদানটিই আজ পরিবেশের জন্য এক ভয়াবহ হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। বছরের পর বছর ধরে এই প্লাস্টিক জমে থাকছে নদী-নালা, সাগর ও মাটির গভীরে, যা জলজ প্রাণী থেকে শুরু করে মানবস্বাস্থ্যের ওপর ফেলছে মারাত্মক প্রভাব। বিশ্বজুড়ে বিজ্ঞানীরা
২ দিন আগেবিশ্বব্রহ্মাণ্ডে প্রতি মুহূর্তে ঘটছে অসংখ্য শক্তিশালী বিস্ফোরণ ঘটছে। নক্ষত্রগুলো জ্বলছে বিশাল পরমাণু বিক্রিয়ার শক্তিতে, আর বিশাল উল্কাপিণ্ড ছুটে এসে ধাক্কা দিচ্ছে গ্রহে গ্রহে। তবে সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা এমন এক ধরনের মহাজাগতিক বিস্ফোরণ শনাক্ত করেছেন, যা এই সব কিছুকেই পেছনে ফেলে দিয়েছে। তাদের দাবি, মহাকা
৩ দিন আগেআমাদের গ্রহে প্রাণের বিকাশ ও প্রাচুর্য টিকে আছে অক্সিজেনের কল্যাণে। কিন্তু পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল সব সময় এমন ছিল না। বিজ্ঞানীরা ধারণা করছেন, ভবিষ্যতে আমাদের বায়ুমণ্ডলে আবারও মিথেনের আধিক্য হবে এবং অক্সিজেনবিহীন অবস্থায় ফিরে যাবে। তবে এখনই ভয় পাওয়ার কিছু নেই।
৪ দিন আগে