নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
শুধু এনসিপির নেতা না হয়ে বাংলাদেশের নেতা হয়ে উঠতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে আহ্বান জানিয়েছেন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) প্রেসিডেন্ট কর্নেল (অব.) অলি আহমদ। বুধবার বিকেলে রাজধানীর মগবাজারের দলীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই আহ্বান জানান।
পণ্য আমদানি-রপ্তানির প্রক্রিয়াকে আধুনিকায়ন করার পরামর্শ দিয়ে প্রধান উপদেষ্টার উদ্দেশে এলডিপি প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আপনি এনসিপির নেতা না হয়ে বাংলাদেশের নেতা হয়ে উঠুন। চট্টগ্রাম বন্দরের মাধ্যমে বিশেষ কোনো গোষ্ঠী যেন সুবিধা না পেয়ে এর মাধ্যমে বাংলাদেশ উপকৃত হতে পারে, সে ব্যবস্থা নিতে হবে।’
কর্নেল অলি বলেন, ‘মানবিক করিডরের ব্যাপারে এককভাবে সিদ্ধান্ত নিলে বুমেরাং হতে পারে। সবার সঙ্গে পরামর্শ করে সিদ্ধান্ত নিন।’
বর্তমান অস্থিতিশীল রাজনৈতিক অবস্থা প্রসঙ্গে অলি বলেন, ‘আজকে রাস্তাঘাটে হাঙ্গামা চলছে। সকালে বাসা থেকে বের হয়ে বিকেলে জনগণ ঘরে ফিরতে পারবে কি না, তার নিশ্চয়তা নেই। যেটা প্রয়োজন। যে যেটা চায়, সেটাই নিয়ে হরতাল করতেছে। কেউ মেয়র হতে চায়, আবার কেউ মেয়র হতে বের হতে চায়। কেউ চাকরি চায়, কেউ চুরির জন্য চাকরি হারাচ্ছে। সব মিলিয়ে ১৮ কোটি মানুষের জীবন দুর্বিষহ করেছে। এ ধরনের কোনো কাজে এলডিপি লিপ্ত হবে না। কাউকে সন্তুষ্ট করার জন্য কোনো বক্তব্য আমরা এখানে রাখব না।’
রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের হত্যাকাণ্ডে শেখ হাসিনা জড়িত ছিলেন বলেও অভিযোগ করেন অলি আহমদ। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে ভারতের পছন্দের সরকার দরকার ছিল। প্রথম তাদের (ভারত) পছন্দের সরকার ছিল শেখ মুজিবুর রহমান। তারপর শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে হত্যা করে, এ হত্যার সঙ্গে হাসিনা জড়িত ছিল। আমি আগেও বলেছি।’
কর্নেল অলি বলেন, ‘আমি আবারও বলি, সাজেদা চৌধুরীকে নিয়ে শেখ হাসিনা পালিয়ে যাচ্ছিল। আখাউড়া বর্ডারে ধরা পড়ে। তাদের তৎকালীন বিডিআর ধরে নিয়ে আসে। সে (হাসিনা) আসার ১৭-১৮ দিনের মধ্যে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান নিহত হন।’
কর্নেল অলি বলেন, ‘এলডিপির পক্ষ থেকে গত বছরের আগস্টে অন্তর্বর্তী সরকারকে কয়েকটি পরামর্শ দিয়েছিলাম। তার মধ্যে অন্যতম ছিল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা এবং হাসিনার অনুগত যারা বাহিনীতে আছে, তাদের চাকরিচ্যুত করা। অনেক দিন লাগল। ৯ মাস লাগল এই সরকারকে বুঝতে এবং ছাত্রদের বুঝতে। আমরা যেটা আগস্টে বলেছিলাম, তারা সেটা ৯ মাস পরে আশা করল। আওয়ামী লীগকে শুরুতেই নিষিদ্ধ করলে দেশে বিশৃঙ্খলা কেউ করতে পারত না। বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ আর কখনো দল হিসেবে দাঁড়াতে পারবে না।’
অলি আহমদ বলেন, ‘বর্তমানে আমরা এমন অবস্থায় এসে গেছি, যেখানে হারাম-হালালের কোনো পার্থক্য নাই। মানুষ এবং জানোয়ারের মধ্যে কোনো পার্থক্য নাই। মনুষ্যত্ব তো লোপ হয়ে গেছে। যেখানে পয়সা পাই সেখানে, দৌড় দিই। দেশের কথা চিন্তা করি না। তবে এলডিপির পক্ষ থেকে আমাদের চিন্তাধারা ভিন্ন। কারণ, আমরা মুক্তিযুদ্ধ করেছি।’
সংবাদ সম্মেলনে এলডিপির মহাসচিব রেদোয়ান আহমেদসহ দলটির কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
শুধু এনসিপির নেতা না হয়ে বাংলাদেশের নেতা হয়ে উঠতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে আহ্বান জানিয়েছেন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) প্রেসিডেন্ট কর্নেল (অব.) অলি আহমদ। বুধবার বিকেলে রাজধানীর মগবাজারের দলীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই আহ্বান জানান।
পণ্য আমদানি-রপ্তানির প্রক্রিয়াকে আধুনিকায়ন করার পরামর্শ দিয়ে প্রধান উপদেষ্টার উদ্দেশে এলডিপি প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আপনি এনসিপির নেতা না হয়ে বাংলাদেশের নেতা হয়ে উঠুন। চট্টগ্রাম বন্দরের মাধ্যমে বিশেষ কোনো গোষ্ঠী যেন সুবিধা না পেয়ে এর মাধ্যমে বাংলাদেশ উপকৃত হতে পারে, সে ব্যবস্থা নিতে হবে।’
কর্নেল অলি বলেন, ‘মানবিক করিডরের ব্যাপারে এককভাবে সিদ্ধান্ত নিলে বুমেরাং হতে পারে। সবার সঙ্গে পরামর্শ করে সিদ্ধান্ত নিন।’
বর্তমান অস্থিতিশীল রাজনৈতিক অবস্থা প্রসঙ্গে অলি বলেন, ‘আজকে রাস্তাঘাটে হাঙ্গামা চলছে। সকালে বাসা থেকে বের হয়ে বিকেলে জনগণ ঘরে ফিরতে পারবে কি না, তার নিশ্চয়তা নেই। যেটা প্রয়োজন। যে যেটা চায়, সেটাই নিয়ে হরতাল করতেছে। কেউ মেয়র হতে চায়, আবার কেউ মেয়র হতে বের হতে চায়। কেউ চাকরি চায়, কেউ চুরির জন্য চাকরি হারাচ্ছে। সব মিলিয়ে ১৮ কোটি মানুষের জীবন দুর্বিষহ করেছে। এ ধরনের কোনো কাজে এলডিপি লিপ্ত হবে না। কাউকে সন্তুষ্ট করার জন্য কোনো বক্তব্য আমরা এখানে রাখব না।’
রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের হত্যাকাণ্ডে শেখ হাসিনা জড়িত ছিলেন বলেও অভিযোগ করেন অলি আহমদ। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে ভারতের পছন্দের সরকার দরকার ছিল। প্রথম তাদের (ভারত) পছন্দের সরকার ছিল শেখ মুজিবুর রহমান। তারপর শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে হত্যা করে, এ হত্যার সঙ্গে হাসিনা জড়িত ছিল। আমি আগেও বলেছি।’
কর্নেল অলি বলেন, ‘আমি আবারও বলি, সাজেদা চৌধুরীকে নিয়ে শেখ হাসিনা পালিয়ে যাচ্ছিল। আখাউড়া বর্ডারে ধরা পড়ে। তাদের তৎকালীন বিডিআর ধরে নিয়ে আসে। সে (হাসিনা) আসার ১৭-১৮ দিনের মধ্যে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান নিহত হন।’
কর্নেল অলি বলেন, ‘এলডিপির পক্ষ থেকে গত বছরের আগস্টে অন্তর্বর্তী সরকারকে কয়েকটি পরামর্শ দিয়েছিলাম। তার মধ্যে অন্যতম ছিল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা এবং হাসিনার অনুগত যারা বাহিনীতে আছে, তাদের চাকরিচ্যুত করা। অনেক দিন লাগল। ৯ মাস লাগল এই সরকারকে বুঝতে এবং ছাত্রদের বুঝতে। আমরা যেটা আগস্টে বলেছিলাম, তারা সেটা ৯ মাস পরে আশা করল। আওয়ামী লীগকে শুরুতেই নিষিদ্ধ করলে দেশে বিশৃঙ্খলা কেউ করতে পারত না। বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ আর কখনো দল হিসেবে দাঁড়াতে পারবে না।’
অলি আহমদ বলেন, ‘বর্তমানে আমরা এমন অবস্থায় এসে গেছি, যেখানে হারাম-হালালের কোনো পার্থক্য নাই। মানুষ এবং জানোয়ারের মধ্যে কোনো পার্থক্য নাই। মনুষ্যত্ব তো লোপ হয়ে গেছে। যেখানে পয়সা পাই সেখানে, দৌড় দিই। দেশের কথা চিন্তা করি না। তবে এলডিপির পক্ষ থেকে আমাদের চিন্তাধারা ভিন্ন। কারণ, আমরা মুক্তিযুদ্ধ করেছি।’
সংবাদ সম্মেলনে এলডিপির মহাসচিব রেদোয়ান আহমেদসহ দলটির কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
জালাল উদ্দিন আহমদ বলেন, ‘খুনি শেখ হাসিনা এ দেশ থেকে পালিয়ে গেলেও তার ষড়যন্ত্র এখনো বন্ধ হয় নাই। তার দোসররা দেশের বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান করছে। বর্তমান সরকার এই দোসরদের গ্রেপ্তার করে শাস্তির আওতায় আনতে ব্যর্থ হয়েছে। গত দুই দিন আগে গোপালগঞ্জে এনসিপির শান্তিপূর্ণ সমাবেশে পলাতক...
২ ঘণ্টা আগেজনগণের ম্যান্ডেট ছাড়া কোনো পরিবর্তনই ‘টেকসই’ হবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেছেন, ‘আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই, কোনো পরিবর্তন টেকসই হবে না, যদি জনগণের ম্যান্ডেট না থাকে। ১০ জন লোক ঢাকায় বসে বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য নির্ধারণ করতে পারবে না।’
২১ ঘণ্টা আগেফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন ঠেকাতে পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ ব্যাপারে দলের নেতা-কর্মীসহ দেশবাসীকে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেছেন, নির্বাচনের জন্য একটি ইতিবাচক পরিবেশ সৃষ্টি হলেও পরিকল্পিতভাবে তা ব্যর্থ করার চেষ্টা চলছে। ফেব্রুয়ারির
২১ ঘণ্টা আগেজিয়াউর রহমান কাদের নিয়ে দল গঠন করেছেন জানেন? শাহ আজিজ। তিনি ছিলেন এক নম্বর রাজাকার। জিয়াউর রহমান তাঁকে প্রধানমন্ত্রী বানিয়েছিলেন। অথচ আজ বিএনপি স্লোগান দেয়, এই দেশে রাজাকার থাকবে না! কী আজিব জাহেল! আওয়ামী লীগের বিএনপির ওপর ক্ষোভটাই ছিল—জিয়াউর রহমান রাজাকারকে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন।
২১ ঘণ্টা আগে