তানিম আহমেদ, ঢাকা

বিএনপির অংশগ্রহণবিহীন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সঙ্গে লড়ার মতো শক্তিশালী কোনো দল নেই। ১৪ দলীয় জোটের শরিকদের কেউই ভোটে আওয়ামী লীগের সঙ্গ ছাড়তে রাজি নয়। বিগত দুই সংসদে বিরোধী দলের ভূমিকায় থাকা জাতীয় পার্টির (জাপা) মনোভাবও একই। এই অবস্থায় ভোটের জোট নিয়ে শুরু হয়েছে নতুন হিসাব-নিকাশ।
সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে, এবার ভোটের লড়াই হতে পারে দুই জোটের মধ্যে। এক পক্ষে থাকবে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে ১৪ দলীয় জোট ও জাতীয় পার্টি। অন্য পক্ষে থাকতে পারে নতুন নিবন্ধন পাওয়া তৃণমূল বিএনপি, বিএনএম, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টিসহ কয়েকটি দলের নতুন জোট। এই জোটের সম্ভাব্য নাম ‘জাতীয়তাবাদী জোট’।
এবারের ভোটও জোটগতভাবে হবে এমনটাই জানিয়েছেন ১৪ দলীয় জোটের মুখপাত্র ও সমন্বয়ক আমির হোসেন আমু। গতকাল মঙ্গলবার গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘নির্বাচন জোটগতভাবে হবে। ১৪ দলের শরিকদের আসন ভাগাভাগির বিষয়টি জাতীয় পার্টির সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে নির্ধারিত হবে। তবে জোটের আসনবিন্যাস ও প্রার্থী চূড়ান্ত করতে ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।’
বিএনপি ও সমমনা দলগুলো অংশ না নেওয়ায় আওয়ামী লীগ টানা চতুর্থবারের মতো ক্ষমতায় আসছে, এটা অনুমেয়। কিন্তু একেবারে প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীন ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসতে চায় না দলটি। এ কারণে দলের কেউ নৌকার প্রার্থীর বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়তে চাইলে তাঁকে এবার বাধা দিচ্ছে না আওয়ামী লীগ। সেই সঙ্গে ছোট ছোট দলকেও অবস্থান শক্তিশালী করতে উৎসাহ দিচ্ছে ক্ষমতাসীন দলটি।
ভোটের দৌড়ে যোগ দেওয়া দলগুলোর মধ্যে কেবল জাতীয় পার্টিরই কোথাও কোথাও স্থানীয় পর্যায়ে কিছু ভিত্তি আছে। আওয়ামী লীগের আশঙ্কা, উল্লেখযোগ্যসংখ্যক আসনে জেতার নিশ্চয়তা না পেলে শেষ মুহূর্তে হয়তো নির্বাচনে না-ও থাকতে পারে জাপা। তাই দলটিকে ভোটে ধরে রাখতে আসন ছাড় দেওয়ার কথা ভাবছে ক্ষমতাসীনেরা।
জাতীয় পার্টির একটি সূত্র জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে নির্বাচন নিয়ে কথা বলতে গতকাল সন্ধ্যায় গণভবনে গিয়েছেন জাপার চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জি এম) কাদের, দলের মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু ও প্রেসিডিয়াম সদস্য আনিসুল ইসলাম মাহমুদ।
জোট গঠনের আলোচনা নিয়ে জানতে চাইলে মুজিবুল হক চুন্নু গতকাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দেখা যাক, কী হয়।’
৪ ডিসেম্বর ৩০০ আসনে মনোনয়নপত্র বাছাই হয়ে গেছে। এতে বৈধ হওয়া প্রার্থীর তালিকার নানামুখী বিশ্লেষণ করে আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকেরা মনে করছেন, দল মনোনীত প্রার্থী ও শক্ত বিদ্রোহী প্রার্থীদের মিলিয়ে এবারের ভোটে প্রায় ২২০ আসনে বিজয় অনেকটাই নিশ্চিত। তা সত্ত্বেও যুক্তরাষ্ট্রসহ নানা মহল থেকে নিষেধাজ্ঞার ঝুঁকি থাকায় ভোটের পর সরকার পরিচালনায় দেশ-বিদেশে নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হতে পারে। এমন বিবেচনায় দীর্ঘদিনের পরীক্ষিত মিত্র দলগুলোকে ভোটের পরও যূথবদ্ধ রাখা দরকার বলে মনে করছেন সরকারি দলের কুশীলবেরা। জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের শরিকদের অন্তত ৫০টি আসন ছেড়ে দিয়ে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে পুরোনো মহাজোটকে চাঙা করার কথাও বলছেন কেউ কেউ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আওয়ামী লীগের এক নেতা দলের সাধারণ সম্পাদকের বরাত দিয়ে বলেন, চট্টগ্রাম-৫ আসনে জাপার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ নির্বাচন করছেন। সেখানে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবদুস সালামের মনোনয়নও বাছাইয়ে টিকে গেছে। এখন আসনটি নিয়ে বেশ দোটানায় আওয়ামী লীগ। কারণ, আসনটি জাপা প্রার্থীকে ছেড়ে না দিলে দলটিকে ভোটে রাখা কঠিন।
আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর এক নেতা বলেন, ‘বিদ্যমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে জাতীয় পার্টির গুরুত্ব থাকলেও হাতে গোনা কয়েকটি আসন ছাড়া বিজয়ী হওয়ার মতো তাদের অবস্থান নেই। এমন পরিস্থিতিতে আমরা তাদের আসন ছাড় না দিলে চার-পাঁচটার বেশি আসনে তারা বিজয়ী হতে পারবে না। এমনটা আমরা চাই না। এ জন্য কিছু আসনে তাদের ছাড় দেওয়ার চিন্তাভাবনা চলছে।’
ওই নেতা আরও বলেন, ‘জাপাকে আসন ছাড় দিলেও দলীয় প্রার্থীকে প্রত্যাহার করা হবে কি না, সেটা এখনো ঠিক করা হয়নি। প্রার্থী প্রত্যাহার না করেও কীভাবে তাদের ছাড় দেওয়া যায়, সেই পরিকল্পনা আমরা করছি। সর্বশেষ ১৫-২০টি আসনে তাদের ছাড়ও দেওয়া হতে পারে। সবকিছু নির্ভর করবে নির্বাচনী পরিবেশ-পরিস্থিতির ওপর। ছাড়ের আশ্বাস না পেলে তারা নির্বাচনের মাঠ থেকে সরেও যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে অংশগ্রহণমূলক ভোট নিয়ে আরও বেশি প্রশ্ন তোলার সুযোগ তৈরি হবে। আমরা সেটা দিতে চাই না।’
জাতীয় পার্টি প্রসঙ্গে ১৪ দলীয় জোটের শরিক একটি দলের প্রধান বলেন, ‘সরকারের যেমন জাতীয় পার্টিকে দরকার, জাতীয় পার্টিরও তেমনি সরকারকে দরকার। সরকারকে দলটি বিভিন্ন সময়ে সহযোগিতা করেছে, বিনিময়ে সুবিধাও পেয়েছে। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে জাতীয় পার্টির অবস্থান কোথায় থাকবে, সেটা আওয়ামী লীগকেই ঠিক করতে হবে। নির্বাচনের জন্য যদি তাদের মহাজোটে নেয়, সেটা আমরা মেনে নেব।’
জাপার বাইরের ছোট ছোট দলের নেতারাও ভোটের আগেই জোট গঠনে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। অনেকে গণভবনে ছুটে গেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাক্ষাৎ পেতে। দলগুলোর বড় নেতারা নিজ নিজ আসনে জেতা নিশ্চিত করতে চান। পাশাপাশি কোন দল কত আসন এবং কোন কোন আসন পেতে পারে, তারও পাকা হিসাব করে ফেলতে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন।
অন্যদিকে তৃণমূল বিএনপি, বিএনএম, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টিসহ কয়েকটি দলকে নিয়ে জাতীয়তাবাদী জোট নামে একটি রাজনৈতিক মঞ্চ গঠনেরও তোড়জোড় চলছে বলে জানান রাজনীতির কুশীলবেরা। জোটবদ্ধ হতে পারলে তারা সব মিলিয়ে ৩০টি আসনে জয় পেতে পারে, এমনটাই মনে করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
জোট ও অন্যান্য দলের আসন ছাড় নিয়ে পরিকল্পনার বিষয়ে আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান ও সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্যাহ আজকের পত্রিকাকে বলেন, দলীয় সাধারণ সম্পাদক এ বিষয়গুলো বলবেন।

বিএনপির অংশগ্রহণবিহীন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সঙ্গে লড়ার মতো শক্তিশালী কোনো দল নেই। ১৪ দলীয় জোটের শরিকদের কেউই ভোটে আওয়ামী লীগের সঙ্গ ছাড়তে রাজি নয়। বিগত দুই সংসদে বিরোধী দলের ভূমিকায় থাকা জাতীয় পার্টির (জাপা) মনোভাবও একই। এই অবস্থায় ভোটের জোট নিয়ে শুরু হয়েছে নতুন হিসাব-নিকাশ।
সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে, এবার ভোটের লড়াই হতে পারে দুই জোটের মধ্যে। এক পক্ষে থাকবে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে ১৪ দলীয় জোট ও জাতীয় পার্টি। অন্য পক্ষে থাকতে পারে নতুন নিবন্ধন পাওয়া তৃণমূল বিএনপি, বিএনএম, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টিসহ কয়েকটি দলের নতুন জোট। এই জোটের সম্ভাব্য নাম ‘জাতীয়তাবাদী জোট’।
এবারের ভোটও জোটগতভাবে হবে এমনটাই জানিয়েছেন ১৪ দলীয় জোটের মুখপাত্র ও সমন্বয়ক আমির হোসেন আমু। গতকাল মঙ্গলবার গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘নির্বাচন জোটগতভাবে হবে। ১৪ দলের শরিকদের আসন ভাগাভাগির বিষয়টি জাতীয় পার্টির সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে নির্ধারিত হবে। তবে জোটের আসনবিন্যাস ও প্রার্থী চূড়ান্ত করতে ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।’
বিএনপি ও সমমনা দলগুলো অংশ না নেওয়ায় আওয়ামী লীগ টানা চতুর্থবারের মতো ক্ষমতায় আসছে, এটা অনুমেয়। কিন্তু একেবারে প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীন ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসতে চায় না দলটি। এ কারণে দলের কেউ নৌকার প্রার্থীর বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়তে চাইলে তাঁকে এবার বাধা দিচ্ছে না আওয়ামী লীগ। সেই সঙ্গে ছোট ছোট দলকেও অবস্থান শক্তিশালী করতে উৎসাহ দিচ্ছে ক্ষমতাসীন দলটি।
ভোটের দৌড়ে যোগ দেওয়া দলগুলোর মধ্যে কেবল জাতীয় পার্টিরই কোথাও কোথাও স্থানীয় পর্যায়ে কিছু ভিত্তি আছে। আওয়ামী লীগের আশঙ্কা, উল্লেখযোগ্যসংখ্যক আসনে জেতার নিশ্চয়তা না পেলে শেষ মুহূর্তে হয়তো নির্বাচনে না-ও থাকতে পারে জাপা। তাই দলটিকে ভোটে ধরে রাখতে আসন ছাড় দেওয়ার কথা ভাবছে ক্ষমতাসীনেরা।
জাতীয় পার্টির একটি সূত্র জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে নির্বাচন নিয়ে কথা বলতে গতকাল সন্ধ্যায় গণভবনে গিয়েছেন জাপার চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জি এম) কাদের, দলের মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু ও প্রেসিডিয়াম সদস্য আনিসুল ইসলাম মাহমুদ।
জোট গঠনের আলোচনা নিয়ে জানতে চাইলে মুজিবুল হক চুন্নু গতকাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দেখা যাক, কী হয়।’
৪ ডিসেম্বর ৩০০ আসনে মনোনয়নপত্র বাছাই হয়ে গেছে। এতে বৈধ হওয়া প্রার্থীর তালিকার নানামুখী বিশ্লেষণ করে আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকেরা মনে করছেন, দল মনোনীত প্রার্থী ও শক্ত বিদ্রোহী প্রার্থীদের মিলিয়ে এবারের ভোটে প্রায় ২২০ আসনে বিজয় অনেকটাই নিশ্চিত। তা সত্ত্বেও যুক্তরাষ্ট্রসহ নানা মহল থেকে নিষেধাজ্ঞার ঝুঁকি থাকায় ভোটের পর সরকার পরিচালনায় দেশ-বিদেশে নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হতে পারে। এমন বিবেচনায় দীর্ঘদিনের পরীক্ষিত মিত্র দলগুলোকে ভোটের পরও যূথবদ্ধ রাখা দরকার বলে মনে করছেন সরকারি দলের কুশীলবেরা। জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের শরিকদের অন্তত ৫০টি আসন ছেড়ে দিয়ে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে পুরোনো মহাজোটকে চাঙা করার কথাও বলছেন কেউ কেউ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আওয়ামী লীগের এক নেতা দলের সাধারণ সম্পাদকের বরাত দিয়ে বলেন, চট্টগ্রাম-৫ আসনে জাপার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ নির্বাচন করছেন। সেখানে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবদুস সালামের মনোনয়নও বাছাইয়ে টিকে গেছে। এখন আসনটি নিয়ে বেশ দোটানায় আওয়ামী লীগ। কারণ, আসনটি জাপা প্রার্থীকে ছেড়ে না দিলে দলটিকে ভোটে রাখা কঠিন।
আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর এক নেতা বলেন, ‘বিদ্যমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে জাতীয় পার্টির গুরুত্ব থাকলেও হাতে গোনা কয়েকটি আসন ছাড়া বিজয়ী হওয়ার মতো তাদের অবস্থান নেই। এমন পরিস্থিতিতে আমরা তাদের আসন ছাড় না দিলে চার-পাঁচটার বেশি আসনে তারা বিজয়ী হতে পারবে না। এমনটা আমরা চাই না। এ জন্য কিছু আসনে তাদের ছাড় দেওয়ার চিন্তাভাবনা চলছে।’
ওই নেতা আরও বলেন, ‘জাপাকে আসন ছাড় দিলেও দলীয় প্রার্থীকে প্রত্যাহার করা হবে কি না, সেটা এখনো ঠিক করা হয়নি। প্রার্থী প্রত্যাহার না করেও কীভাবে তাদের ছাড় দেওয়া যায়, সেই পরিকল্পনা আমরা করছি। সর্বশেষ ১৫-২০টি আসনে তাদের ছাড়ও দেওয়া হতে পারে। সবকিছু নির্ভর করবে নির্বাচনী পরিবেশ-পরিস্থিতির ওপর। ছাড়ের আশ্বাস না পেলে তারা নির্বাচনের মাঠ থেকে সরেও যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে অংশগ্রহণমূলক ভোট নিয়ে আরও বেশি প্রশ্ন তোলার সুযোগ তৈরি হবে। আমরা সেটা দিতে চাই না।’
জাতীয় পার্টি প্রসঙ্গে ১৪ দলীয় জোটের শরিক একটি দলের প্রধান বলেন, ‘সরকারের যেমন জাতীয় পার্টিকে দরকার, জাতীয় পার্টিরও তেমনি সরকারকে দরকার। সরকারকে দলটি বিভিন্ন সময়ে সহযোগিতা করেছে, বিনিময়ে সুবিধাও পেয়েছে। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে জাতীয় পার্টির অবস্থান কোথায় থাকবে, সেটা আওয়ামী লীগকেই ঠিক করতে হবে। নির্বাচনের জন্য যদি তাদের মহাজোটে নেয়, সেটা আমরা মেনে নেব।’
জাপার বাইরের ছোট ছোট দলের নেতারাও ভোটের আগেই জোট গঠনে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। অনেকে গণভবনে ছুটে গেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাক্ষাৎ পেতে। দলগুলোর বড় নেতারা নিজ নিজ আসনে জেতা নিশ্চিত করতে চান। পাশাপাশি কোন দল কত আসন এবং কোন কোন আসন পেতে পারে, তারও পাকা হিসাব করে ফেলতে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন।
অন্যদিকে তৃণমূল বিএনপি, বিএনএম, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টিসহ কয়েকটি দলকে নিয়ে জাতীয়তাবাদী জোট নামে একটি রাজনৈতিক মঞ্চ গঠনেরও তোড়জোড় চলছে বলে জানান রাজনীতির কুশীলবেরা। জোটবদ্ধ হতে পারলে তারা সব মিলিয়ে ৩০টি আসনে জয় পেতে পারে, এমনটাই মনে করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
জোট ও অন্যান্য দলের আসন ছাড় নিয়ে পরিকল্পনার বিষয়ে আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান ও সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্যাহ আজকের পত্রিকাকে বলেন, দলীয় সাধারণ সম্পাদক এ বিষয়গুলো বলবেন।

‘বিএনপির কাছে ২০ আসন চায় এনসিপি, চায় মন্ত্রিসভায়ও হিস্যা’—এই শিরোনামে গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। আজ বুধবার (৫ নভেম্বর) দলটির মিডিয়া সেলের সম্পাদক মুশফিক উস সালেহীন স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে সংবাদটিকে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত আখ্যা দেওয়া হয়।
১ ঘণ্টা আগে
আজ বুধবার বিকেল সাড়ে ৩টায় রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আসেন রাষ্ট্রদূত বোরিস ভ্যান।
১ ঘণ্টা আগে
গতকাল মঙ্গলবার দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের বৈঠকে এই কমিটি গঠন করা হয়। আজ বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় জামায়াতের প্রচার বিভাগ।
২ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) তিনটি দলকে নিবন্ধন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এই তালিকায় ‘আমজনতার দল’ না থাকায় নির্বাচন ভবনের প্রধান ফটকের সামনে গতকাল মঙ্গলবার বিকেল থেকে আমরণ অনশনে বসেছে দলটির সদস্যসচিব তারেক রহমান।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

‘বিএনপির কাছে ২০ আসন চায় এনসিপি, চায় মন্ত্রিসভায়ও হিস্যা’—এই শিরোনামে গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। আজ বুধবার (৫ নভেম্বর) দলটির মিডিয়া সেলের সম্পাদক মুশফিক উস সালেহীন স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে সংবাদটিকে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত আখ্যা দেওয়া হয়।
আজ একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত সংবাদকে তুলে ধরে বিবৃতিতে বলা হয়, ‘বিএনপির কাছে ২০ আসন চায় এনসিপি, চায় মন্ত্রিসভায়ও হিস্যা’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বিএনপির সঙ্গে আসন সমঝোতা ও মন্ত্রিসভায় হিস্যা চাওয়ার খবর সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
এনসিপি কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জোট, আসন সমঝোতা বা ক্ষমতা ভাগাভাগি বিষয়ে কোনো আলোচনা বা সিদ্ধান্ত নেয়নি। এমন কোনো প্রস্তাবও দলের নীতিনির্ধারণী পর্ষদে কখনো গৃহীত হয়নি।
এনসিপি বিশ্বাস করে, দেশের ভবিষ্যৎ রাজনীতি হবে জনগণের অধিকার, জবাবদিহি, সংস্কার ও গণতান্ত্রিক পুনর্গঠনের। সে লক্ষ্যেই দলটি সারা দেশে সাংগঠনিক প্রস্তুতি ও প্রার্থী যাচাইপ্রক্রিয়া চালিয়ে যাচ্ছে।
প্রতিবেদনে উল্লিখিত তথাকথিত ‘সূত্র’ সম্পূর্ণ অনুমাননির্ভর এবং সাংবাদিকতার মৌলিক নীতির পরিপন্থী। এতে জনগণ বিভ্রান্ত হয়েছে এবং দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে।
এনসিপি অবিলম্বে সেই সংবাদপত্রকে প্রকাশ্যে দুঃখপ্রকাশ ও সংশোধনী প্রকাশের আহ্বান জানাচ্ছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘আমরা পুনরায় স্পষ্ট করছি, এনসিপি কোনো দলের কাছে আসন বা মন্ত্রিসভায় অংশগ্রহণের দাবি তোলেনি। আমরা জনগণের আস্থায় একটি বাংলাদেশপন্থী, দায়িত্বশীল ও স্বতন্ত্র রাজনৈতিক শক্তি গড়ে তুলতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’

‘বিএনপির কাছে ২০ আসন চায় এনসিপি, চায় মন্ত্রিসভায়ও হিস্যা’—এই শিরোনামে গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। আজ বুধবার (৫ নভেম্বর) দলটির মিডিয়া সেলের সম্পাদক মুশফিক উস সালেহীন স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে সংবাদটিকে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত আখ্যা দেওয়া হয়।
আজ একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত সংবাদকে তুলে ধরে বিবৃতিতে বলা হয়, ‘বিএনপির কাছে ২০ আসন চায় এনসিপি, চায় মন্ত্রিসভায়ও হিস্যা’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বিএনপির সঙ্গে আসন সমঝোতা ও মন্ত্রিসভায় হিস্যা চাওয়ার খবর সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
এনসিপি কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জোট, আসন সমঝোতা বা ক্ষমতা ভাগাভাগি বিষয়ে কোনো আলোচনা বা সিদ্ধান্ত নেয়নি। এমন কোনো প্রস্তাবও দলের নীতিনির্ধারণী পর্ষদে কখনো গৃহীত হয়নি।
এনসিপি বিশ্বাস করে, দেশের ভবিষ্যৎ রাজনীতি হবে জনগণের অধিকার, জবাবদিহি, সংস্কার ও গণতান্ত্রিক পুনর্গঠনের। সে লক্ষ্যেই দলটি সারা দেশে সাংগঠনিক প্রস্তুতি ও প্রার্থী যাচাইপ্রক্রিয়া চালিয়ে যাচ্ছে।
প্রতিবেদনে উল্লিখিত তথাকথিত ‘সূত্র’ সম্পূর্ণ অনুমাননির্ভর এবং সাংবাদিকতার মৌলিক নীতির পরিপন্থী। এতে জনগণ বিভ্রান্ত হয়েছে এবং দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে।
এনসিপি অবিলম্বে সেই সংবাদপত্রকে প্রকাশ্যে দুঃখপ্রকাশ ও সংশোধনী প্রকাশের আহ্বান জানাচ্ছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘আমরা পুনরায় স্পষ্ট করছি, এনসিপি কোনো দলের কাছে আসন বা মন্ত্রিসভায় অংশগ্রহণের দাবি তোলেনি। আমরা জনগণের আস্থায় একটি বাংলাদেশপন্থী, দায়িত্বশীল ও স্বতন্ত্র রাজনৈতিক শক্তি গড়ে তুলতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’

বিএনপির অংশগ্রহণবিহীন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সঙ্গে লড়ার মতো শক্তিশালী কোনো দল নেই। ১৪ দলীয় জোটের শরিকদের কেউই ভোটে আওয়ামী লীগের সঙ্গ ছাড়তে রাজি নয়। বিগত দুই সংসদে বিরোধী দলের ভূমিকায় থাকা জাতীয় পার্টির (জাপা) মনোভাবও একই। এই অবস্থায় ভোটের জোট নিয়ে শুরু হয়েছে নতুন হিসাব-নি
০৬ ডিসেম্বর ২০২৩
আজ বুধবার বিকেল সাড়ে ৩টায় রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আসেন রাষ্ট্রদূত বোরিস ভ্যান।
১ ঘণ্টা আগে
গতকাল মঙ্গলবার দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের বৈঠকে এই কমিটি গঠন করা হয়। আজ বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় জামায়াতের প্রচার বিভাগ।
২ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) তিনটি দলকে নিবন্ধন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এই তালিকায় ‘আমজনতার দল’ না থাকায় নির্বাচন ভবনের প্রধান ফটকের সামনে গতকাল মঙ্গলবার বিকেল থেকে আমরণ অনশনে বসেছে দলটির সদস্যসচিব তারেক রহমান।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত নেদারল্যান্ডসের নতুন রাষ্ট্রদূত বোরিস ভ্যান বোমেল।
আজ বুধবার বিকেল সাড়ে ৩টায় রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আসেন রাষ্ট্রদূত বোরিস ভ্যান। এ সময় বিএনপি মহাসচিবের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য জানান।
বৈঠকে মির্জা ফখরুলের সঙ্গে ছিলেন দলের যুগ্ম মহাসচিব হুমায়ুন কবির ও সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত নেদারল্যান্ডসের নতুন রাষ্ট্রদূত বোরিস ভ্যান বোমেল।
আজ বুধবার বিকেল সাড়ে ৩টায় রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আসেন রাষ্ট্রদূত বোরিস ভ্যান। এ সময় বিএনপি মহাসচিবের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য জানান।
বৈঠকে মির্জা ফখরুলের সঙ্গে ছিলেন দলের যুগ্ম মহাসচিব হুমায়ুন কবির ও সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ।

বিএনপির অংশগ্রহণবিহীন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সঙ্গে লড়ার মতো শক্তিশালী কোনো দল নেই। ১৪ দলীয় জোটের শরিকদের কেউই ভোটে আওয়ামী লীগের সঙ্গ ছাড়তে রাজি নয়। বিগত দুই সংসদে বিরোধী দলের ভূমিকায় থাকা জাতীয় পার্টির (জাপা) মনোভাবও একই। এই অবস্থায় ভোটের জোট নিয়ে শুরু হয়েছে নতুন হিসাব-নি
০৬ ডিসেম্বর ২০২৩
‘বিএনপির কাছে ২০ আসন চায় এনসিপি, চায় মন্ত্রিসভায়ও হিস্যা’—এই শিরোনামে গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। আজ বুধবার (৫ নভেম্বর) দলটির মিডিয়া সেলের সম্পাদক মুশফিক উস সালেহীন স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে সংবাদটিকে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত আখ্যা দেওয়া হয়।
১ ঘণ্টা আগে
গতকাল মঙ্গলবার দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের বৈঠকে এই কমিটি গঠন করা হয়। আজ বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় জামায়াতের প্রচার বিভাগ।
২ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) তিনটি দলকে নিবন্ধন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এই তালিকায় ‘আমজনতার দল’ না থাকায় নির্বাচন ভবনের প্রধান ফটকের সামনে গতকাল মঙ্গলবার বিকেল থেকে আমরণ অনশনে বসেছে দলটির সদস্যসচিব তারেক রহমান।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ও গণভোটের বিষয়ে ‘সমঝোতামূলক রূপরেখা’ তৈরির লক্ষ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার জন্য দুই সদস্যের কমিটি গঠন করেছে জামায়াতে ইসলামী।
গতকাল মঙ্গলবার দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের বৈঠকে এই কমিটি গঠন করা হয়। আজ বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে জামায়াতে ইসলামী জানায়, অন্য রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার জন্য গঠিত কমিটির সদস্যরা হলেন, নায়েবে আমির সাবেক সংসদ সদস্য ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের ও সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ড. হামিদুর রহমান আযাদ।

জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ও গণভোটের বিষয়ে ‘সমঝোতামূলক রূপরেখা’ তৈরির লক্ষ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার জন্য দুই সদস্যের কমিটি গঠন করেছে জামায়াতে ইসলামী।
গতকাল মঙ্গলবার দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের বৈঠকে এই কমিটি গঠন করা হয়। আজ বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে জামায়াতে ইসলামী জানায়, অন্য রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার জন্য গঠিত কমিটির সদস্যরা হলেন, নায়েবে আমির সাবেক সংসদ সদস্য ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের ও সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ড. হামিদুর রহমান আযাদ।

বিএনপির অংশগ্রহণবিহীন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সঙ্গে লড়ার মতো শক্তিশালী কোনো দল নেই। ১৪ দলীয় জোটের শরিকদের কেউই ভোটে আওয়ামী লীগের সঙ্গ ছাড়তে রাজি নয়। বিগত দুই সংসদে বিরোধী দলের ভূমিকায় থাকা জাতীয় পার্টির (জাপা) মনোভাবও একই। এই অবস্থায় ভোটের জোট নিয়ে শুরু হয়েছে নতুন হিসাব-নি
০৬ ডিসেম্বর ২০২৩
‘বিএনপির কাছে ২০ আসন চায় এনসিপি, চায় মন্ত্রিসভায়ও হিস্যা’—এই শিরোনামে গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। আজ বুধবার (৫ নভেম্বর) দলটির মিডিয়া সেলের সম্পাদক মুশফিক উস সালেহীন স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে সংবাদটিকে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত আখ্যা দেওয়া হয়।
১ ঘণ্টা আগে
আজ বুধবার বিকেল সাড়ে ৩টায় রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আসেন রাষ্ট্রদূত বোরিস ভ্যান।
১ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) তিনটি দলকে নিবন্ধন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এই তালিকায় ‘আমজনতার দল’ না থাকায় নির্বাচন ভবনের প্রধান ফটকের সামনে গতকাল মঙ্গলবার বিকেল থেকে আমরণ অনশনে বসেছে দলটির সদস্যসচিব তারেক রহমান।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) তিনটি দলকে নিবন্ধন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এই তালিকায় ‘আমজনতার দল’ না থাকায় নির্বাচন ভবনের প্রধান ফটকের সামনে গতকাল মঙ্গলবার বিকেল থেকে আমরণ অনশনে বসেছে দলটির সদস্যসচিব তারেক রহমান।
আজ বুধবার তারেকের অনশনের প্রতি সংহতি জানাতে আসেন গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খাঁন। এ সময় তিনি বলেন, “তারেক রহমান ভাই যে আন্দোলন করছেন এই আন্দোলন যৌক্তিক এবং তাঁর দল আমজনতার দলকে অবশ্যই নিবন্ধন দিতে হবে। ”
রাশেদ খাঁন বলেন, “রাজপথের লড়াকু সৈনিক ভারতীয় আধিপত্যবাদী শক্তির বিরুদ্ধে যিনি সব সময় রাজপথে লড়াই করেছেন আপনাদের পরিচিত মুখ আমজনতার দলের সদস্যসচিব তারেক রহমান ভাই। তিনি প্রায় ২০ ঘণ্টা ধরে নির্বাচন কমিশনের মূল ফটকের সামনে তাঁর দলের নিবন্ধনের দাবিতে অনশন করছেন। আমরা রাজপথে তাঁর বিভিন্ন সময় আন্দোলন সংগ্রাম দেখেছি। ”
তিনি বলেন, “গতকাল আমরা দেখেছি তিনটি দলকে নিবন্ধন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে এনসিপি নিবন্ধন পেয়েছে, আমরা তাদের শুভকামনা জানাই। কিন্তু বাকি দু’টি দল কীভাবে নিবন্ধন পেয়েছে সেটি নিয়ে প্রশ্ন আছে। আমরা মনে করি নিবন্ধন পাওয়ার ক্ষেত্রে এক নম্বর শর্ত হতে হবে রাজপথের সক্রিয়তা। কিন্তু এই সক্রিয়তা বিবেচনা না করে শুধুমাত্র কমিটি দিয়েছে, বাসা-বাড়িকে অফিস হিসেবে দেখিয়ে; তারা এই ছলে বলে কৌশলে নিবন্ধন পাবে—সেটি আমরা কোনোভাবেই মানতে পারি না। ”
রাশেদ খাঁন বলেন, “আমরা দেখেছি ২৪-এর ডামি নির্বাচনের আগে কীভাবে বিএনএম, সুপ্রিম পার্টিসহ কয়েকটি দলকে নিবন্ধন দেওয়া হয়েছে। এর আগে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে বৈঠক করে আমরা অনুরোধ জানিয়েছিলাম এই সকল ভুঁইফোড় দলকে যারা আগে ডিজিএফআই’র মাধ্যমে নিবন্ধন পেয়েছে এদের অবশই নিবন্ধন বাতিল করতে হবে। তাদেরকে বাতিল করা হয়নি। উল্টো আমরা দেখলাম গণ-অভ্যুত্থানের পরে রাজপথের সক্রিয় দলগুলোকে নিবন্ধন দেওয়া হয়নি। ”
আলোচিত ডেসটিনি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রফিকুল আমীনের গড়া বাংলাদেশ আম জনগণ পার্টিকে নিবন্ধন দেওয়ার সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে গণ অধিকার পরিষদের এই নেতা বলেন, ডেসটিনি প্রায় ৪২ লাখ গ্রাহকের অর্থ আত্মসাৎ করেছিল। সেই দলও দেখলাম নিবন্ধন পেল। আমার প্রশ্ন হলো—এই দল কীভাবে নিবন্ধন পেল? ২৪-এর গণ–অভ্যুত্থানের আগে আমরা এই দলকে কখনোই রাজপথে দেখি নাই। হঠাৎ করে জেল থেকে বের হলো। দল গঠন করল। কমিটি দিল। বাসাবাড়িকে অফিস হিসেবে দেখিয়ে দিল। তারা নিবন্ধন পেল। কিন্তু তারেক রহমান যাকে আপনারা সকলে চিনেন, রাজপথের জ্বালাময়ী বক্তব্য সকলে শুনেছেন, সব সময় সংগ্রাম করেছেন। তাঁর দলকে নিবন্ধন দেওয়া হয়নি। ”
রাশেদ খাঁন বলেন, “আমার ব্যক্তিগত জায়গা থেকে তারেক রহমানের সঙ্গে সংহতি জানানোর জন্য আমি এখানে এসেছি। এখন প্রধান নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে কথা বলব। তিনি (তারেক রহমান) অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। প্রায় ২০ ঘণ্টার অধিক সময় তিনি পাড়ি দিয়েছেন। এখানে সারা রাত তিনি শুয়েছিলেন। মশার কামড় খেয়েছেন। এইভাবে একজন রাজপথের সংগ্রামী নেতা তিনি রাস্তায় শুয়ে থাকবেন। আর নির্বাচন কমিশনার তাঁরা কোনো মন্তব্য করবেন না—সেটি হতে পারে না। তাঁদের মন্তব্য জানার জন্য, তাঁরা কী ভাবছেন, কী করবেন—সেটি জানার জন্য, প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে কথা বলার জন্য এই মুহূর্তে আমি যাব। ”
এ সময় তিনি আরও বলেন, “তারেক রহমান ভাইয়ের যে আন্দোলন, সেই আন্দোলনের প্রতি আমার সংহতি রয়েছে। আমি মনে করি, তারেক রহমান ভাই যে আন্দোলন করছেন, এই আন্দোলন যৌক্তিক এবং তাঁর দল আমজনতার দলকে অবশ্যই নিবন্ধন দিতে হবে। ”
উল্লেখ্য, গতকাল নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ বলেছেন, চূড়ান্ত পর্যালোচনা শেষে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (মার্ক্সবাদী), বাংলাদেশ আম জনগণ পার্টি নিবন্ধন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। দাবি-আপত্তি আসলে তা নিষ্পত্তি করে চূড়ান্ত নিবন্ধন দেওয়া হবে।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) তিনটি দলকে নিবন্ধন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এই তালিকায় ‘আমজনতার দল’ না থাকায় নির্বাচন ভবনের প্রধান ফটকের সামনে গতকাল মঙ্গলবার বিকেল থেকে আমরণ অনশনে বসেছে দলটির সদস্যসচিব তারেক রহমান।
আজ বুধবার তারেকের অনশনের প্রতি সংহতি জানাতে আসেন গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খাঁন। এ সময় তিনি বলেন, “তারেক রহমান ভাই যে আন্দোলন করছেন এই আন্দোলন যৌক্তিক এবং তাঁর দল আমজনতার দলকে অবশ্যই নিবন্ধন দিতে হবে। ”
রাশেদ খাঁন বলেন, “রাজপথের লড়াকু সৈনিক ভারতীয় আধিপত্যবাদী শক্তির বিরুদ্ধে যিনি সব সময় রাজপথে লড়াই করেছেন আপনাদের পরিচিত মুখ আমজনতার দলের সদস্যসচিব তারেক রহমান ভাই। তিনি প্রায় ২০ ঘণ্টা ধরে নির্বাচন কমিশনের মূল ফটকের সামনে তাঁর দলের নিবন্ধনের দাবিতে অনশন করছেন। আমরা রাজপথে তাঁর বিভিন্ন সময় আন্দোলন সংগ্রাম দেখেছি। ”
তিনি বলেন, “গতকাল আমরা দেখেছি তিনটি দলকে নিবন্ধন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে এনসিপি নিবন্ধন পেয়েছে, আমরা তাদের শুভকামনা জানাই। কিন্তু বাকি দু’টি দল কীভাবে নিবন্ধন পেয়েছে সেটি নিয়ে প্রশ্ন আছে। আমরা মনে করি নিবন্ধন পাওয়ার ক্ষেত্রে এক নম্বর শর্ত হতে হবে রাজপথের সক্রিয়তা। কিন্তু এই সক্রিয়তা বিবেচনা না করে শুধুমাত্র কমিটি দিয়েছে, বাসা-বাড়িকে অফিস হিসেবে দেখিয়ে; তারা এই ছলে বলে কৌশলে নিবন্ধন পাবে—সেটি আমরা কোনোভাবেই মানতে পারি না। ”
রাশেদ খাঁন বলেন, “আমরা দেখেছি ২৪-এর ডামি নির্বাচনের আগে কীভাবে বিএনএম, সুপ্রিম পার্টিসহ কয়েকটি দলকে নিবন্ধন দেওয়া হয়েছে। এর আগে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে বৈঠক করে আমরা অনুরোধ জানিয়েছিলাম এই সকল ভুঁইফোড় দলকে যারা আগে ডিজিএফআই’র মাধ্যমে নিবন্ধন পেয়েছে এদের অবশই নিবন্ধন বাতিল করতে হবে। তাদেরকে বাতিল করা হয়নি। উল্টো আমরা দেখলাম গণ-অভ্যুত্থানের পরে রাজপথের সক্রিয় দলগুলোকে নিবন্ধন দেওয়া হয়নি। ”
আলোচিত ডেসটিনি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রফিকুল আমীনের গড়া বাংলাদেশ আম জনগণ পার্টিকে নিবন্ধন দেওয়ার সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে গণ অধিকার পরিষদের এই নেতা বলেন, ডেসটিনি প্রায় ৪২ লাখ গ্রাহকের অর্থ আত্মসাৎ করেছিল। সেই দলও দেখলাম নিবন্ধন পেল। আমার প্রশ্ন হলো—এই দল কীভাবে নিবন্ধন পেল? ২৪-এর গণ–অভ্যুত্থানের আগে আমরা এই দলকে কখনোই রাজপথে দেখি নাই। হঠাৎ করে জেল থেকে বের হলো। দল গঠন করল। কমিটি দিল। বাসাবাড়িকে অফিস হিসেবে দেখিয়ে দিল। তারা নিবন্ধন পেল। কিন্তু তারেক রহমান যাকে আপনারা সকলে চিনেন, রাজপথের জ্বালাময়ী বক্তব্য সকলে শুনেছেন, সব সময় সংগ্রাম করেছেন। তাঁর দলকে নিবন্ধন দেওয়া হয়নি। ”
রাশেদ খাঁন বলেন, “আমার ব্যক্তিগত জায়গা থেকে তারেক রহমানের সঙ্গে সংহতি জানানোর জন্য আমি এখানে এসেছি। এখন প্রধান নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে কথা বলব। তিনি (তারেক রহমান) অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। প্রায় ২০ ঘণ্টার অধিক সময় তিনি পাড়ি দিয়েছেন। এখানে সারা রাত তিনি শুয়েছিলেন। মশার কামড় খেয়েছেন। এইভাবে একজন রাজপথের সংগ্রামী নেতা তিনি রাস্তায় শুয়ে থাকবেন। আর নির্বাচন কমিশনার তাঁরা কোনো মন্তব্য করবেন না—সেটি হতে পারে না। তাঁদের মন্তব্য জানার জন্য, তাঁরা কী ভাবছেন, কী করবেন—সেটি জানার জন্য, প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে কথা বলার জন্য এই মুহূর্তে আমি যাব। ”
এ সময় তিনি আরও বলেন, “তারেক রহমান ভাইয়ের যে আন্দোলন, সেই আন্দোলনের প্রতি আমার সংহতি রয়েছে। আমি মনে করি, তারেক রহমান ভাই যে আন্দোলন করছেন, এই আন্দোলন যৌক্তিক এবং তাঁর দল আমজনতার দলকে অবশ্যই নিবন্ধন দিতে হবে। ”
উল্লেখ্য, গতকাল নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ বলেছেন, চূড়ান্ত পর্যালোচনা শেষে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (মার্ক্সবাদী), বাংলাদেশ আম জনগণ পার্টি নিবন্ধন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। দাবি-আপত্তি আসলে তা নিষ্পত্তি করে চূড়ান্ত নিবন্ধন দেওয়া হবে।

বিএনপির অংশগ্রহণবিহীন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সঙ্গে লড়ার মতো শক্তিশালী কোনো দল নেই। ১৪ দলীয় জোটের শরিকদের কেউই ভোটে আওয়ামী লীগের সঙ্গ ছাড়তে রাজি নয়। বিগত দুই সংসদে বিরোধী দলের ভূমিকায় থাকা জাতীয় পার্টির (জাপা) মনোভাবও একই। এই অবস্থায় ভোটের জোট নিয়ে শুরু হয়েছে নতুন হিসাব-নি
০৬ ডিসেম্বর ২০২৩
‘বিএনপির কাছে ২০ আসন চায় এনসিপি, চায় মন্ত্রিসভায়ও হিস্যা’—এই শিরোনামে গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। আজ বুধবার (৫ নভেম্বর) দলটির মিডিয়া সেলের সম্পাদক মুশফিক উস সালেহীন স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে সংবাদটিকে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত আখ্যা দেওয়া হয়।
১ ঘণ্টা আগে
আজ বুধবার বিকেল সাড়ে ৩টায় রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আসেন রাষ্ট্রদূত বোরিস ভ্যান।
১ ঘণ্টা আগে
গতকাল মঙ্গলবার দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের বৈঠকে এই কমিটি গঠন করা হয়। আজ বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় জামায়াতের প্রচার বিভাগ।
২ ঘণ্টা আগে