Ajker Patrika

ছাত্র প্রতিনিধিদের দুর্নীতিতে জড়ানোর দায় প্রধান উপদেষ্টার: রাশেদ খান

ফরিদপুর প্রতিনিধি
ফরিদপুর প্রেসক্লাবে জেলা গণ অধিকার পরিষদ আয়োজিত মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন রাশেদ খান। ছবি: আজকের পত্রিকা
ফরিদপুর প্রেসক্লাবে জেলা গণ অধিকার পরিষদ আয়োজিত মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন রাশেদ খান। ছবি: আজকের পত্রিকা

বিভিন্ন দপ্তরে দায়িত্ব পাওয়া ছাত্র প্রতিনিধিদের চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজিসহ দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়া দায় প্রধান উপদেষ্টার বলে মন্তব্য করেছেন গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান।

আজ বৃহস্পতিবার ফরিদপুর প্রেসক্লাবে জেলা গণ অধিকার পরিষদ আয়োজিত মতবিনিময় সভায় রাশেদ এ মন্তব্য করেন। ২০১৮ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলন থেকে ২০২৪ সালের সফল গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তী রাষ্ট্র সংস্কারে করণীয় বিষয়ে এই সভা হয়।

রাশেদ বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্রনেতাদের সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে ছাত্র প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। এরপর সেই ছাত্র প্রতিনিধিরা চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজিসহ দুর্নীতিতে জড়িত হয়ে পড়ল। এর দায় কার? এর দায় উপদেষ্টা পরিষদের, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের। কারণ, তিনি কখনোই বলেননি—তোমরা দেশের গর্ব, তোমরা আমাদের গণ-অভ্যুত্থান এনে দিয়েছ, তোমরা এখন ক্লাসে ফিরে যাও। তা না করে তিনি ছাত্রদের দল করার পরামর্শ দিয়ে মাথায় তুলেছেন।’

গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘ডিসি-এসপিরা সমন্বয়কদের নাম শুনলে তাঁদের আসেন আসেন বলে ডেকে নিয়ে পাশের চেয়ারে বসিয়েছেন। সমন্বয়কদের খুশি করতে নিজের চেয়ারটা ছেড়ে দিতে পারলে বাঁচেন। এইভাবে অতি ভক্তি, তেলামি করে ছাত্রদের বিভ্রান্তিতে ফেলা হয়েছে। আমি সব ছাত্রকে কথা বলছি না। যারা (দুর্নীতি) করেছে তাদের বলছি। আজকে ছাত্ররা ডিসি অফিস ও এসপি অফিসে গিয়ে খবরদারি করছে। আমরা গণ-অভ্যুত্থানের পর দেশে এটা আশা করিনি। দেশে যা শুরু হয়েছে, এভাবে চলতে পারে না।’

রাশেদ অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাদের সমালোচনা করে বলেন, ‘গণ-অভ্যুত্থানের পর বর্তমান সরকারের উপদেষ্টাদের কাছে আমাদের অনেক আশা ছিল। উপদেষ্টারা তাঁদের সম্পদের হিসাব দিতে চেয়েছিলেন, সেটা জনসমক্ষে দেননি। সরকারের এক বছরে দেশে কোনো রাস্তাঘাটের উন্নয়ন হয়নি; দুর্নীতি, চাঁদাবাজি, দখলদারি বন্ধ হয়নি; দৃশ্যমান কোনো সংস্কার হয়নি। সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ফ্যাসিবাদী শেখ হাসিনার বন্দোবস্ত টিকিয়ে রেখে কার্যক্রম চালাচ্ছেন। পুলিশে আওয়ামী লীগ, বিভিন্ন দপ্তরে-সেক্টরে আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগকেই বহাল তবিয়তে রাখা হয়েছে।’

রাশেদ জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জি এম) কাদেরকে গ্রেপ্তারের দাবি জানান। তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের প্রশ্নে আমরা ঐক্যবদ্ধ। ফ্যাসিবাদদের পুনর্বাসন হতে দেওয়া যাবে না।’

অনুষ্ঠানে গণ অধিকার পরিষদের ফরিদপুর জেলা সভাপতি মোহাম্মদ ফরহাদ হোসেন সভাপতিত্ব করেন। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন জেলা গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মোল্লা মোহাম্মাদ ফরহাদ মিয়া, সিনিয়র সহসভাপতি মো. রুবেল শেখ, সহ-অর্থ সম্পাদক শেখ জাহিদ হাসান, ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি ‌হৃদয় আহমেদ, যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি সাইদুর রহমান, শ্রমিক অধিকার পরিষদের সভাপতি ‌জুয়েল ভান্ডারী প্রমুখ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত