Ajker Patrika

দেশের মানুষ পান্তা ভাত চায় না: মেহের আফরোজ চুমকি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০৯ এপ্রিল ২০২৩, ১২: ৩৬
দেশের মানুষ পান্তা ভাত চায় না: মেহের আফরোজ চুমকি

সংসদ সদস্য মেহের আফরোজ চুমকি বলেছেন, ‘আমরা এইটুকু কথা গর্ব করে বলতে পারি, যত কিছু হোক, বাংলাদেশের মানুষ আজকে না খেয়ে নাই। পান্তা ভাত দেশের মানুষ চায় না। মানুষের বাসার দোরগোড়ায় ভিক্ষা করতে যায় না।’

আজ রোববার জাতীয় সংসদের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ১৪৭ বিধিতে উত্থাপন করা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।

মেহের আফরোজ চুমকি বলেন, ‘আজকে বাংলাদেশে দারিদ্র্য নাই হয়ে গেছে। আজকে জিনিসের দাম বেড়েছে আমরা অস্বীকার করি না। সারা বিশ্বে মানুষ কষ্টে আছে। হিসাব করে খরচ করে। সেখানে বাংলাদেশের একজন মানুষও না খেয়ে আছে? আমরা এইটুকু কথা গর্ব করে বলতে পারি, যত কিছু হয় বাংলাদেশের মানুষ আজকে না খেয়ে নাই। পান্তা ভাত দেশের মানুষ চায় না। মানুষের দোরগোড়ায় ভিক্ষা করতে যায় না। আজকে তারা ভালো খাবার চায়, ভালো পরতে চায়। দেশ আজকে স্বয়ংসম্পূর্ণ।’

নারীর ক্ষমতায়নে শেখ হাসিনা বিশ্বের অন্যতম শীর্ষস্থানে আছেন উল্লেখ করে চুমকি বলেন, ‘এই সংসদের জবাবদিহি নিয়ে আসার জন্য প্রধানমন্ত্রী প্রশ্নোত্তরের সম্মুখীন হয়েছেন। বিরোধী দলের প্রশ্নের উত্তর আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে দিচ্ছেন। সংসদীয় কমিটিকে শক্তিশালী করার জন্য মন্ত্রীর পরিবর্তে এমপিদের সভাপতি করেছেন।’

ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে সামনে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করে চুমকি বলেন, ‘এখন ১৯৭৫ সাল নয়, ২০২৩ সাল। বাংলাদেশ যাচ্ছে ২০৪১ সালে স্মার্ট বাংলাদেশের পথে। এখানে ষড়যন্ত্র করে কেউ পার পাবে না। আমরা সামনে এগিয়ে যাবই যাব।’

মেহের আফরোজ বলেন, আজকে বাংলাদেশ যে পর্যায়ে চলে গেছে, জনগণের কাছে ভোট চাওয়ার প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না। তার পরও কেন চাইতে হয়? চাইতে হয় সেই কারণে, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর একটা বিরাট প্রজন্ম ভুল তথ্য নিয়ে এই বাংলাদেশে বেড়ে উঠেছিল। তারা বঙ্গবন্ধুর ইতিহাস জানত না, এই দেশের কোনো ইতিহাসই সঠিকভাবে জানত না, যার কারণে এই প্রজন্ম আরও সমস্যার সৃষ্টি করছে।

মেহের আফরোজ বলেন, একধরনের বুদ্ধিজীবী শ্রেণি ভুলেই গেছে, বিজয়ের প্রাক্কালে এই দেশ যাতে মাথা তুলে দাঁড়াতে না পারে, সে জন্য বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করেছিল। অথচ কীভাবে সেই বুদ্ধিজীবীরা আবার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়! আমাদের ভাবতে অবাক লাগে, স্বাধীনতা দিবসে স্বাধীনতাকে কটাক্ষ করে একটি ছোট শিশুকে ১০ টাকা দিয়ে মিথ্যা তথ্য দিতে দ্বিধা করেনি। শিশুশ্রম সবার দৃষ্টিগোচর হয়েছে।

সরকারদলীয় সংসদ সদস্য বলেন, ‘মিথ্যা তথ্য দিয়ে উন্নত দেশের মানুষ বলে, সাংবাদিকদের কেন বিচার হবে? এটা হাস্যকর। যে দেশে জননেত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় মন্ত্রী-মিনিস্টারদেরও বিচার হয়, যে দেশে প্রতিটি স্তরের মানুষকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হয়, সেখানে একজন সাংবাদিক মিথ্যা তথ্য দিয়ে আমাদের শিশুদের দিয়ে আবার নতুন প্রজন্মকে ধ্বংস করার প্রয়াস করেছে, তাদের বিচার হবে না! আবার সেটা নিয়ে কথা বলে, এর চাইতে অবাক-বিস্ময়ের কিছু আছে বলে আমি মনে করি না। আমাদের সচেতন হতেই হবে। সচেতন না হয়ে উপায় নেই।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত