Ajker Patrika

ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করলেই হবে না, আইনের আওতায় আনতে হবে: সেলিমা রহমান 

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
Thumbnail image

ছাত্রলীগকে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক পার্টির এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ দাবি জানান।

সেলিমা রহমান বলেন, ‘তাদের (ছাত্রলীগ) হাতে দা, পিস্তল, অস্ত্র আছে। তারা কী যেখানে সেখানে হামলা করবে না? তাই বলছি, এদের আইনের আওতায় আনতে হবে। সবচেয়ে বড় কথা হলো-শেখ হাসিনাকে আগে আইনের আওতায় আনতে হবে, তাঁর বিচার করতে হবে।’ 

তিনি বলেন, ‘স্বৈরাচার পালিয়ে বেড়াচ্ছেন, পালিয়ে বেড়ানোর পর তাঁর গলার আওয়াজ ছোট হচ্ছে না। যাদের হাতে অস্ত্র ওঠে। আমাদের ওপর নির্যাতন করে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ওপরে গুলি করে। শুধুমাত্র তাদের সংগঠনকে নিষিদ্ধ করলে হবে না, তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে।’

সেলিমা রহমান বলেন, ‘একটি নির্বাহী আদেশে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ সকল বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের মামলা উঠিয়ে নেওয়া যায়, কিন্তু অন্তর্বর্তী সরকার সেটা করছে না। আমরা একই দাবি জানাচ্ছি।’

তিনি বলেন, ‘ছাত্র-জনতার আন্দোলনের পর আমরা একটা মুক্তি পেয়েছি, কিন্তু আমরা কি স্বস্তিতে আছি? আমরা একটা সংকট পেরিয়ে উঠেছি সত্যি কিন্তু একটা ক্রান্তিলগ্নে দাঁড়িয়ে আছি। সাধারণ মানুষ আজ স্বস্তি পাচ্ছে না। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, দাবি দাওয়া নিয়ে অফিস ঘেরাও কর্মসূচি করছে। পতিত স্বৈরাচারের দোসররা পরিকল্পনা মাফিক দেশকে অস্থিতিশীল করার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।’ 

বিএনপির এই নেত্রী বলেন, ‘ছাত্র-জনতার আন্দোলনের স্বপ্ন ছিল মানুষকে তাঁর অধিকার ফিরে দেওয়া। বিএনপিসহ সকল বিরোধী দলের স্বপ্ন তিন বারের জাতীয় নির্বাচনের মানুষ ভোট দিতে পারেনি, তাদের ভোটের অধিকার ও মৌলিক অধিকার ফিরিয়ে দেওয়া।’ 

অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারে যারা আছেন তারা খুবই ভালো, সজ্জন মানুষ। তারা কাজ করছে, আমরা তাদের সহযোগিতা করছি। কিন্তু তাদের বুঝতে হবে, যেগুলো আগে দরকার সেগুলো আগে করতে হবে। সব সংস্কার একেবারে সম্ভব হয় না। জনগণের ভোটে নির্বাচিত রাজনৈতিক দলই পারে সুন্দরভাবে দেশ পরিচালনা করতে।’ 

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, ‘জনগণের একটি প্রশ্ন উঠেছে, সরকার কি একটি নির্বাচনের মাধ্যমে জনপ্রতিনিধির হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করবেন? নাকি যেই ব্যক্তিরা মানুষ হত্যা করেছে, যে ব্যক্তিদের দ্বারা বাংলাদেশের রক্তে রঞ্জিত হয়েছে, সেই ব্যক্তিদের প্রেতাত্মাদের দ্বারা ষড়যন্ত্রে আবদ্ধ হচ্ছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত