Ajker Patrika

কোটাব্যবস্থা সংবিধানবিরোধী: জি এম কাদের

গাজীপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ০৬ জুলাই ২০২৪, ২২: ৩২
কোটাব্যবস্থা সংবিধানবিরোধী: জি এম কাদের

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা গোলাম মোহাম্মদ (জি এম) কাদের এমপি সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থাকে ‘সংবিধানবিরোধী’ বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে যে সংবিধান আছে, কোটা সিস্টেম ওই সংবিধানের ২৯–এর ১, ২ ও ৩ নম্বর অনুচ্ছেদে যদি কেউ পড়েন, সেখানে দেখবেন, এ কোটা সম্পূর্ণ সংবিধানবিরোধী। এটা আমার কোনো কথা নয়।’

আজ শনিবার বেলা আড়াইটার দিকে গাজীপুর মহানগরীর তেলিপাড়া এলাকায় সাগর-সৈকত কনভেনশন সেন্টারে গাজীপুর জেলা জাতীয় পার্টির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। 

কাদের আরও বলেন, সবচেয়ে মজার বিষয় হচ্ছে, বর্তমান সরকার এটা চাচ্ছে বলে মনে হচ্ছে। কিন্তু সেখানে হাত-পা বাঁধা। তিনি বলেন, ‘৩৫০ জন এমপির মধ্যে ৩৪০ জন থাকলেও সংবিধান সংশোধন করে এটা পারবেন না। ২৯–এর ১, ২, ৩ অনুচ্ছেদ পরিবর্তন করার কোনো উপায় সংবিধানে দেওয়া দেওয়া হয়নি। সংবিধান অনুযায়ী কোটা বৈধ করার কোনো উপায় নাই।

তিনি বলেন, ‘আমরা বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান করি। কিন্তু তাদের ছেলে, তাদের পরের প্রজন্ম কোটা প্রথার বিষয়ে খুব একটা নীতির মধ্যে আসে না। সবচেয়ে বড় কথা আমাদের দেশ সামনের দিকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য এটা বাধা হতে পারে।’

কাদের সরকারের সমালোচনা করে বলেন, ‘দেশের অর্থনীতিকে ফুটা করে ফেলেছেন, সেই ফুটা দিয়ে সবকিছু বেরিয়ে চলে যাচ্ছে। আপনার রিজার্ভ কোনো সময় বাড়বে না। যেটা বাড়ছে সেটা দেড় থেকে দুই মাস পর আবার আগের অবস্থায় চলে যাচ্ছে। বাংলাদেশের মানুষের অর্থনৈতিক যে দুরবস্থার কারণ বর্তমান সরকারের ভ্রান্তনীতি এবং দুর্নীতি।’ 

কাদের বলেন, ‘গ্যাস এবং বিদ্যুতের বেহাল অবস্থা। সরকারের দুর্নীতির কারণে আজ এ অবস্থা। লক্ষ লক্ষ, হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়ে গেছে গ্যাস এবং বিদ্যুৎ খাতের দুর্নীতির মাধ্যমে।’

তিনি বলেন, ‘২০১০ সালে আইন করেছিল দায়মুক্তির আইন। তারা বিদেশে গিয়ে বিলেনিয়ার (বড়লোকদের) তালিকায় নাম দিয়েছে। এটা কি বাংলাদেশের গৌরবের বিষয়? আগে আমরা শুনতাম আওয়ামী লীগ দায় মুক্তি চায় না। বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের জন্য ইনডেমনিটি দিয়েছে। এখন দায়মুক্তিতে আওয়ামী লীগ চ্যাম্পিয়ন। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে দায়মুক্তি। যার কারণে লক্ষ লক্ষ টাকা পাচার এবং দেশে আজকে লুজার। 

‘যার কারণে আমাদের গাড়ি চলতে পারে না, চুলা জ্বলে না, ইলেকট্রিসিটি থাকে না দায়মুক্তির কারণে। আবার নতুনভাবে দায়মুক্তি দেওয়া হচ্ছে। অবসর ব্যাংকিং করা হচ্ছে। যারা টাকাপয়সা বিদেশে পাচার করেছেন। সব টাকাপয়সা যদি ব্যাংকে আনেন কোনো কথা জিজ্ঞাসা করা হবে না। আপনি চুরি করেছেন, ডাকাতি করেছেন, না মানুষ খুন করেছেন কোনো দরকার নাই। টাকা আমার, এখানে নিয়ে আসেন। এটা দিয়ে কি রিজার্ভ হবে? যে টাকা এখন আসবে, সে টাকা কালকে আবার চলে যাবে। সেটা কীভাবে রিজার্ভ হবে? সরকার সহযোগিতা করছে এ টাকা দায়মুক্তি দিয়ে সাদা করে দেব। কেউ কোনো জিজ্ঞাসা করবে না। চুরি, অপরাধ ও ডাকাতির দায়মুক্তি। এ দায়মুক্তি দিয়ে দেশকে তারা আজকে নর্দমায় ফেলে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে। সাধারণ মানুষ খেতে পারে না।’

তিনি বলেন, ‘দেশে থেকে লোন করে দেশের ব্যাংকগুলো খালি করে দিয়েছে। আর নিজস্ব লোককে লুটতরাজ করতে দিয়ে সেই ব্যাংক খেলাপি ঋণ খালি হয়ে গেছে। এখন ব্যবসায়ীরা গেলে তারা কোনো টাকা পান না। যার জন্য ছোট ছোট ইন্ডাস্ট্রি বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। বিভিন্ন কলকারখানায় লোক ছাঁটাই করতে হচ্ছে। তাঁরা চালাতে পারছেন না। আর বলা হচ্ছে আমরা নিজস্ব অর্থায়নে প্রকল্প করছি। দুর্নীতির বটবৃক্ষ এই সরকার লালন করছে।’

গাজীপুর জেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সাত্তার মিয়ার সভাপতিত্বে এবং সদস্যসচিব কাউন্সিলর কামরুজ্জামান মন্ডলের সঞ্চালনায় সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও অতিরিক্ত মহাসচিব অ্যাডভোকেট রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, প্রেসিডিয়াম সদস্য শেরীফা কাদের, জহিরুল ইসলাম জহির, সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান আরিফুর রহমান খান, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোহাম্মদ রাজু, ভাইস চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন, গাজীপুর মহানগর জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক শরিফুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রফিকুল ইসলামসহ দলের জেলা উপজেলার বিভিন্ন ইউনিটের নেতা–কর্মীরা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মেটার ডেটা সেন্টার হওয়ার পর শুকিয়ে যাচ্ছে স্থানীয়দের টিউবওয়েল

‘সুদে ১৭ লাখ নিয়ে ১৮ লাখ টাকা ফেরত দিয়েছি, তবুও বাড়ি দখল’

১৬ ডিসেম্বরের পর পুরোনো ও নতুন মোবাইল ফোনের রেজিস্ট্রেশন হবে যেভাবে

ফজর নামাজ পড়ে বাসার ছাদে যান আওয়ামী লীগ নেতা, সিঁড়ির পাশে রক্তাক্ত লাশ

ভারতীয় নারী ক্রিকেটারের খেলা দেখে ভাষা হারিয়ে ফেলেছেন মারুফা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

জাতীয় ছাত্রশক্তির কেন্দ্রীয় ও ঢাবি কমিটি ঘোষণা, নেই কাদের

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
সদস্যসচিব জাহিদ আহসান ও সাধারণ সম্পাদক আবু বাকের মজুমদার। ছবি: সংগৃহীত
সদস্যসচিব জাহিদ আহসান ও সাধারণ সম্পাদক আবু বাকের মজুমদার। ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সহযোগী ছাত্রসংগঠন জাতীয় ছাত্রশক্তির চার সদস্যবিশিষ্ট কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন করা হয়েছে। আজ শুক্রবার রাতে এই কমিটি প্রকাশ করা হয়। তবে নতুন করে ঘোষিত কমিটির শীর্ষ কোনো পদে ‘বাগছাসের’ ঢাবি শাখার আহ্বায়ক ও ডাকসুর ভিপিপ্রার্থী আব্দুল কাদেরের নাম দেখা যায়নি।

সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আবু বাকের মজুমদার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৩ অক্টোবর বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ (বাগছাস) পুনর্গঠনের মাধ্যমে আত্মপ্রকাশ করে জাতীয় ছাত্রশক্তি। আত্মপ্রকাশের এক সপ্তাহ পর কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন করা হলো। এতে সভাপতি হিসেবে রয়েছেন বাগছাসের সদস্যসচিব জাহিদ আহসান। সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন বাগছাসের আহ্বায়ক আবু বাকের মজুমদার। কমিটিতে সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে রয়েছেন আবু তৌহিদ মো. সিয়াম (উত্তরাঞ্চল) ও মহির আলম (দক্ষিণাঞ্চল)।

আরও বলা হয়, বালাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের পুনর্গঠনের মাধ্যমে প্রকাশিত জাতীয় ছাত্রশক্তির কেন্দ্রীয় কমিটি গঠিত হলো। আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি প্রকাশিত হবে।

আজ পৃথক এক বিজ্ঞপ্তিতে জাতীয় ছাত্রশক্তির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা কমিটি গঠনের কথাও জানানো হয়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পেয়েছেন তাহমিদ আল মুদ্দাসসির চৌধুরী। সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন আল আমিন সরকার এবং সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সাইফুল্লাহ।

আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে ঢাবি শাখারও পূর্ণাঙ্গ কমিটি প্রকাশ হবে বলে জানানো হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মেটার ডেটা সেন্টার হওয়ার পর শুকিয়ে যাচ্ছে স্থানীয়দের টিউবওয়েল

‘সুদে ১৭ লাখ নিয়ে ১৮ লাখ টাকা ফেরত দিয়েছি, তবুও বাড়ি দখল’

১৬ ডিসেম্বরের পর পুরোনো ও নতুন মোবাইল ফোনের রেজিস্ট্রেশন হবে যেভাবে

ফজর নামাজ পড়ে বাসার ছাদে যান আওয়ামী লীগ নেতা, সিঁড়ির পাশে রক্তাক্ত লাশ

ভারতীয় নারী ক্রিকেটারের খেলা দেখে ভাষা হারিয়ে ফেলেছেন মারুফা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

শাপলা নিয়ে ইসিকে ‘ইগো’ বাদ দিতে বললেন এনসিপি নেতা তুষার

ফরিদপুর প্রতিনিধি
ফরিদপুর অঞ্চলের এনসিপির সমন্বয় সভা। ছবি: আজকের পত্রিকা
ফরিদপুর অঞ্চলের এনসিপির সমন্বয় সভা। ছবি: আজকের পত্রিকা

আগে না বলেছি, এখন দিলে কেমন হবে, নির্বাচন কমিশনকে শাপলা প্রতীক নিয়ে এই ‘ইগো’ বাদ দিতে বললেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার।

আজ শুক্রবার এনসিপির ফরিদপুর অঞ্চলের সমন্বয় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। ফরিদপুর অম্বিকা মেমোরিয়াল হলরুমে সমন্বয় সভায় ফরিদপুর, রাজবাড়ী, গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর ও শরীয়তপুর জেলার নেতারা অংশগ্রহণ করেন।

বিএনপিকে জুলাই সনদে হ্যাঁ ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে সারোয়ার তুষার বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণ কিন্তু জুলাই সনদে হ্যাঁ ভোট দেবেই। আপনার ৩০% না ভোটের পরেও জুলাই সনদ হ্যাঁ ভোটে জিতবে। এরপর বাংলাদেশের মানুষের কাছে কীভাবে মুখ দেখাবেন, এইটা বিবেচনা করেন।’

সারোয়ার তুষার বলেন, ‘গণভোট নিয়ে একটি রাজনৈতিক দলের অ্যাকটিভস্টরা “না” ক্যাম্পেইন করছে। অথচ এই দল গঠন করেছিলেন শহীদ জিয়াউর রহমান, তিনি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। তিনি রাষ্ট্রপতি হওয়ার সময় গণভোটের আয়োজন করেছিলেন এবং বিপুলসংখ্যক মানুষ হ্যাঁ ভোট দিয়েছিল। এমন একটি দল আজকে না ভোটের ক্যাম্পেইন করছে।’

তুষার বলেন, ‘তারা আমাদের ভয় দেখাচ্ছে, বিএনপি যদি না ভোট দেয়, তাহলে জুলাই সনদ পাস হবে না। আমরা তাদের বলতে চাই, জুলাই সনদ ব্যাপক মাত্রায় জনগণের ভোটে পাস হবে, তখন বিএনপি আয়নায় মুখ দেখাতে বা টিকতে পারবে না। এখনো সময় আছে, আপনারা বাংলাদেশের মানুষের বিরুদ্ধে না দাঁড়িয়ে জুলাই সনদে হ্যাঁ-এর পক্ষে আসেন। ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেন, চতুর্দশ সংশোধনীতে আপনাদের ভুল রাজনীতির কারণে লগি-বইঠার তাণ্ডবে ১/১১ এসেছিল।’

এনসিপির এই নেতা বলেন, ‘এই দেশ থেকে ভারতের আধিপত্য বিতাড়িত করার একমাত্র রাস্তা হচ্ছে জুলাই সনদকে হ্যাঁ ভোটে জয় করানো। জুলাই সনদ জনগণের হ্যাঁ ভোটে জিতবে এবং যারা না ভোট দেবে, তাদের দুমড়ে-মুচড়ে পদ্মা ও আড়িয়ল খাঁ নদে ছুড়ে ফেলে দেবেন।’

নির্বাচন কমিশনের উদ্দেশে সারোয়ার তুষার বলেন, ‘জনগণ জুলাই সনদে হ্যাঁ ভোটের পাশাপাশি শাপলায় ভোট দেওয়ার জন্য মুখিয়ে আছে। আপনারা দেখেছেন, ফুল চেয়েছি, কলি দিয়েছে এবং এ কলি থেকে সামনে ফুল ফুটবে। আপনারা কলিকে অন্তর্ভুক্ত করেছেন, তাতে বোঝা যায়, চাইলে শাপলাকেও অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন। আপনারা অনেক জল ঘোলা করেছেন আর জল ঘোলা করার দরকার নেই। আর কোনো কথা বলার আগেই আপনারা দ্রুত শাপলা দিয়ে দেন। এতে আপনাদের কোনো পরাজয় হবে না। মাননীয় ইলেকশন কমিশনার, এটা নিয়ে ইগো করার দরকার নেই, যে আগে না বলেছি, এখন দিলে কেমন হবে।’

ফরিদপুর জেলার প্রধান সমন্বয়কারী সৈয়দা নীলিমা দোলার সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন যুগ্ম সদস্যসচিব নিজাম উদ্দিন, দক্ষিণাঞ্চলের সংগঠক রাসেল আহম্মেদ প্রমুখ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মেটার ডেটা সেন্টার হওয়ার পর শুকিয়ে যাচ্ছে স্থানীয়দের টিউবওয়েল

‘সুদে ১৭ লাখ নিয়ে ১৮ লাখ টাকা ফেরত দিয়েছি, তবুও বাড়ি দখল’

১৬ ডিসেম্বরের পর পুরোনো ও নতুন মোবাইল ফোনের রেজিস্ট্রেশন হবে যেভাবে

ফজর নামাজ পড়ে বাসার ছাদে যান আওয়ামী লীগ নেতা, সিঁড়ির পাশে রক্তাক্ত লাশ

ভারতীয় নারী ক্রিকেটারের খেলা দেখে ভাষা হারিয়ে ফেলেছেন মারুফা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

সংস্কারের শক্তি হিসেবে আমরা সরকার গঠন করতে পারব: হাসনাত আবদুল্লাহ

ঝালকাঠি প্রতিনিধি  
ঝালকাঠি জেলা এনসিপির সমন্বয় সভা। ছবি: আজকের পত্রিকা
ঝালকাঠি জেলা এনসিপির সমন্বয় সভা। ছবি: আজকের পত্রিকা

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, ‘আমরা ২৪-পরবর্তী বাংলাদেশ বিনির্মাণে যে ধারাবাহিকতায় এগিয়ে যাচ্ছি, তাতে আমরা মনে করি, আগামী সংসদ নির্বাচনে যারা সংস্কারের পক্ষে থাকবে, তারাই সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করবে। সেই জায়গা থেকে বলতে পারি, সংস্কারের পক্ষের শক্তি হিসেবে আমরা সরকার গঠন করতে পারব।’

আজ শুক্রবার ঝালকাঠির ফাতেমা কনভেনশন সেন্টারে জেলা এনসিপির সমন্বয় সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে আমরা নির্বাচন নাও করতে পারি। কারণ, আপনারা দেখেছেন, বর্তমানে সচিবালয়ে ডিসি ভাগাভাগি চলছে, এসপি ভাগাভাগি চলছে। বড় বড় রাজনৈতিক দল গনিমতের মাল হিসেবে ডিসি, এসপি, ইউএনও, ওসিসহ কর্মকর্তাদের ভাগাভাগি করে নিচ্ছে। অথচ তারা হচ্ছে খেলার রেফারি। তাদের প্লেয়ার বানানোর ষড়যন্ত্র চলছে।’

নির্বাচন কমিশন প্রসঙ্গে হাসনাত বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের কার্যক্রম সম্পর্কেও আমরা দীর্ঘদিন ধরে বলছি। আপনারা দেখেছেন, নির্বাচন কমিশন একধরনের ব্যক্তিগত ইচ্ছানির্ভর সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। যেমন–প্রতীক বরাদ্দের ক্ষেত্রে তাদের কোনো নীতিমালা নেই। কোন প্রতীক অন্তর্ভুক্ত হবে, সেটারও কোনো নীতিমালা নেই। কেন আলু-মুলা যুক্ত করা হয়েছে, তারও কোনো ব্যাখ্যা নেই। আবার কেন শাপলা কলি লিপিবদ্ধ করা হয়েছে, সেটাও নীতিমালাবহির্ভূত। অর্থাৎ তারা যেভাবে ইচ্ছা, সেভাবেই করছে।’

এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সমন্বয়ক বলেন, ‘এই নির্বাচন কমিশনে গত ১৫ বছর ধরে আওয়ামী সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর যেসব লোক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে? আমরা জেনেছি, নির্বাচন কমিশনের দেড় কোটি মৃত ভোটার রয়েছে। তাদের আমরা ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের নির্বাচনে “কবর থেকে উঠে ভোট দিতে” দেখেছি।

‘আওয়ামী লীগের সঙ্গে আলোচনা করা এখন অপ্রাসঙ্গিক। বিভিন্ন দলের সঙ্গে আমাদের মতবিরোধ থাকতে পারে, কিন্তু তা এক টেবিলে বসে আলোচনা করা সম্ভব। আওয়ামী লীগের কোনো জনসমর্থন নেই। যদি থাকত, তবে ৫ আগস্ট তারা পালিয়ে গেল কেন? তখন তো কেউ প্রতিহত করার সাহস করেনি। সুতরাং, তাদের কোনো জনসমর্থন নেই।’

হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘যারা জিহ্বা, লেখনী ও মিডিয়ার শক্তি দিয়ে আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের বৈধতা দিয়েছে, আপনারা দেখেছেন, আগে যদি কোনো ছাত্রদল বা শিবির নেতাকে গুম, হত্যা বা গ্রেপ্তার করা হতো, তখন মিডিয়ায় প্রচার করা হতো যে “তিন শিবিরকর্মী পুলিশের সঙ্গে গোলাগুলিতে নিহত হয়েছে’’। যারা তাদের এই বৈধতা দিয়েছে, তারাই এখন আওয়ামী লীগকে ফিরিয়ে আনতে চায়।’

এনসিপির এ নেতা আরও বলেন, ২০২৪ সালে বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার কারণে গণতন্ত্র বিলুপ্ত হয়েছে—এই বক্তব্য যারা উৎপাদন করেছে, তারাই এখন টকশোতে এসে ‘নরমালাইজ’ করছে। তারা তখন আওয়ামী লীগের সুবিধাভোগী ছিল, কিন্তু এখন তারা আবির্ভূত হয়েছে সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবী, লেখক অথবা সাংস্কৃতিককর্মী হিসেবে।

এ সময় এনসিপির যুগ্ম মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) মাহমুদা আলম মিতু, যুগ্ম সদস্যসচিব মশিউর রহমান, যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আরিফুর রহমান তুহিন, সদস্য রফিকুল ইসলাম কনক, বরিশাল বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মুজাহিদুল ইসলাম শাহিন, বরিশাল জেলা এনসিপির প্রধান সমন্বয়কারী আবু সাঈদ মুসা, জাতীয় যুবশক্তির সংগঠক পলাশ, জাতীয় শ্রমিক শক্তির সংগঠক নাজমুল ইসলাম টিটু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মেটার ডেটা সেন্টার হওয়ার পর শুকিয়ে যাচ্ছে স্থানীয়দের টিউবওয়েল

‘সুদে ১৭ লাখ নিয়ে ১৮ লাখ টাকা ফেরত দিয়েছি, তবুও বাড়ি দখল’

১৬ ডিসেম্বরের পর পুরোনো ও নতুন মোবাইল ফোনের রেজিস্ট্রেশন হবে যেভাবে

ফজর নামাজ পড়ে বাসার ছাদে যান আওয়ামী লীগ নেতা, সিঁড়ির পাশে রক্তাক্ত লাশ

ভারতীয় নারী ক্রিকেটারের খেলা দেখে ভাষা হারিয়ে ফেলেছেন মারুফা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

নির্বাচন নিয়ে কোনো ষড়যন্ত্রই কাজে আসবে না: এ্যানি

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ৩১ অক্টোবর ২০২৫, ২১: ২০
লক্ষ্মীপুরে কিরাত ও আজান প্রতিযোগিতার অনুষ্ঠানে বিএনপি নেতা এ্যানি। ছবি: আজকের পত্রিকা
লক্ষ্মীপুরে কিরাত ও আজান প্রতিযোগিতার অনুষ্ঠানে বিএনপি নেতা এ্যানি। ছবি: আজকের পত্রিকা

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি বলেছেন, নির্বাচন নিয়ে এখনো ষড়যন্ত্র চলছে, কোনো ষড়যন্ত্রই কাজে আসবে না, সবাই সতর্ক হোন, সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে, সজাগ থাকতে হবে।

আজ শুক্রবার লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চাঁদখালী দাখিল মাদ্রাসার মাঠে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন আস-সুফফা যুব ফাউন্ডেশনের কিরাত ও আজান প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি বলেন, ৫ আগস্টের পর বিএনপির কাছে দেশের মানুষের প্রত্যাশা অনেক, প্রত্যাশার কারণে মানুষের চাওয়াও বেড়ে গেছে। দেশের মানুষের প্রত্যাশা ছিল, রাজনীতিবিদদের গুণগত পরিবর্তন হওয়া দরকার। কিন্তু সেটা হয়নি।

এ্যানি আরও বলেন, গত ১৭ বছরে দেশের মানুষ ভোট দিতে পারেনি। কোনো ভোট হয়নি। আর অনিয়ম-লুটপাট, দুর্নীতি, গুম-খুন ও নির্যাতনের কারণে দেশ থেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে স্বৈরাচার শেখ হাসিনা। এমনিতে বিদায় নেয়নি। তারা গণশত্রুতে পরিণত হয়েছে, জনশত্রুতে পরিণত হয়েছে। এ কারণে বিদায় নিতে বাধ্য হয়েছে, পালিয়ে গেছে।

দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে এ্যানি বলেন, সবাই সতর্ক হোন। সজাগ থাকুন। কোনোভাবে দলের পদ ব্যবহার করে বা দলের নাম ভাঙিয়ে যদি কারও ক্ষতিসাধন করতে চান, এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কঠোর নির্দেশনা রয়েছে। এ ধরনের কোনো তথ্য পেলে তাঁদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দলে তাঁদের জায়গা হবে না। তাই সবাইকে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে। তাদের দুঃখ-কষ্ট বুঝতে হবে।

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘ইসলাম আমাদের শিখিয়েছে—মানবতার জন্য কাজ করা, কল্যাণের জন্য কাজ করা। ন্যায় প্রতিষ্ঠা করা ও শান্তি বজায় রাখা। ইসলামের দৃষ্টিতে এই কাজগুলো অনেক গুরুত্বপূর্ণ। অথচ এসব কাজ করতে গিয়ে দেশের আলেম ও ওলামাদের অনেক নির্যাতন, হামলা ও মামলার শিকার হতে হয়েছে। সমাজ অনেক পেছনে চলে গেছে। অনেক অন্ধকারে চলে গেছে। সেটা ফিরিয়ে আনতে হবে।’

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট হাসিবুর রহমান, উপাধ্যক্ষ মাওলানা ইসমাইল হোসেন, ইউপি প্যানেল চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হোসেন মহাব্বত, জেলা কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশনের কো-অর্ডিনেটর আবুল হাসান সোহেল, যুবদল নেতা জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ। সঞ্চালনা করেন সংগঠনের উপদেষ্টা সামছুল আলম লিটু ও সাধারণ সম্পাদক রিয়াদ হোসেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মেটার ডেটা সেন্টার হওয়ার পর শুকিয়ে যাচ্ছে স্থানীয়দের টিউবওয়েল

‘সুদে ১৭ লাখ নিয়ে ১৮ লাখ টাকা ফেরত দিয়েছি, তবুও বাড়ি দখল’

১৬ ডিসেম্বরের পর পুরোনো ও নতুন মোবাইল ফোনের রেজিস্ট্রেশন হবে যেভাবে

ফজর নামাজ পড়ে বাসার ছাদে যান আওয়ামী লীগ নেতা, সিঁড়ির পাশে রক্তাক্ত লাশ

ভারতীয় নারী ক্রিকেটারের খেলা দেখে ভাষা হারিয়ে ফেলেছেন মারুফা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত