Ajker Patrika

নতুন নতুন শর্ত দিয়ে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার অনিশ্চিত করে ফেলা হচ্ছে: মির্জা ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: আজকের পত্রিকা
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: আজকের পত্রিকা

গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের পথে এখনো নানা অনিশ্চয়তা দেখছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ‘আমরা সবচেয়ে ভঙ্গুর অবস্থায় আছি’—এ মন্তব্য করে তিনি বলেছেন, ‘আমরা এখনো গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে পারিনি। এখনো পর্যন্ত অনিশ্চিত অবস্থার মধ্যে আছি যে, আদৌ অল্প সময়ের মধ্যে গণতন্ত্রের পুনরুদ্ধার সম্ভব কি না। প্রতিদিন নতুন নতুন যুক্ত হচ্ছে শর্ত, বিভিন্ন বক্তব্য, যা দিয়ে আরও জটিল করে ফেলা হচ্ছে সবকিছুকে।’

রাজধানীতে সুপ্রিম কোর্ট মিলনায়তনে আজ বৃহস্পতিবার এক আলোচনা সভায় মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন। সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এ জে মোহাম্মদ আলীর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম এই সভার আয়োজন করে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা দেখতে পাচ্ছি সংস্কার হয়েই তারপর নির্বাচনের কথা বলা হচ্ছে। এটা নিয়ে অনেক তর্ক-বিতর্ক শুরু হয়েছে। মনে হচ্ছে, আমরা বোধ হয় সংস্কারের বিরোধী বা সংস্কারের বাইরে। অথচ সংস্কারটা শুরুই করেছি আমরা।’

মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ‘অনেকেই বলার চেষ্টা করেন, বিএনপি শুধু নির্বাচন চায়, সংস্কার চায় না। তারপর এটাও বলে যে বিএনপি শুধু ক্ষমতা চায়। আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই, বিএনপি তো ক্ষমতা চায়ই। কারণ, আমরা তো ক্ষমতার জন্যই রাজনীতি করি।’

মিয়ানমারের রাখাইনে ‘মানবিক সহায়তা করিডর’ দেওয়া নিয়ে সরকারের ভূমিকার সমালোচনা করেন বিএনপির মহাসচিব। তিনি বলেন, ‘আমি অন্তর্বর্তী সরকারের সাফল্য চাই। আমরাই তাদের বসিয়েছি। কিন্তু এমন কোনো কাজ করবেন না, যা জাতির বিরুদ্ধে যাবে, বাংলাদেশের মানুষের বিরুদ্ধে যাবে।’

এ বিষয়ে ফখরুল আরও বলেন, ‘আজকে এমন এমন কাজ করছেন যে বাংলাদেশের মানুষ কিছুই জানে না। প্যাসেজ দেবেন, করিডর দেবেন। সেই করিডর দেবেন। কারও সঙ্গে আলাপই করছেন না। কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে কথা বলছেন না।’ তিনি আরও বলেন, মানবিক জায়গা থেকে প্রয়োজন হলে অবশ্যই করিডর দেওয়া যেতে পারে। কিন্তু তার জন্য তো কথা বলতে হবে। জনগণকে জিজ্ঞেস করবেন, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কথা বলবেন।

অন্তর্বর্তী সরকারের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার বক্তব্যের সমালোচনা করে ফখরুল বলেন, ‘দেশের মানুষের সঙ্গে আলোচনা করতে পারেন না? দয়া করে বাংলাদেশের মানুষকে অবজ্ঞা করবেন না। এখানে কিছু পণ্ডিত, একাডেমিশিয়ানকে বসিয়ে যদি আরোপ করবেন কোনো কিছু, যা দেশের মানুষের পক্ষে যাবে না, সেটা কোনো দিনই করতে পারবেন না।’

লড়াই চালু রাখার আহ্বান জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘কথা বলা দরকার, এখন আরও বেশি করে বলা দরকার। কারণ, নতুন বাংলাদেশ তৈরি করতে হবে। সেটা করতে গেলে কোথাও যেন ভুল না হয়, ইচ্ছাকৃতভাবে যেন ভুল না করা হয়, গণতন্ত্রকে যেন ব্যাহত না করা হয়, সেই বিষয়ে লক্ষ রাখতে হবে। লড়াই স্তিমিত করলে চলবে না। সে লড়াইকে আরও উজ্জীবিত করতে হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ডে গেছেন সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ

‘ফের ধর্ষণচেষ্টার ক্ষোভে’ বাবাকে খুন, ৯৯৯-এ কল দিয়ে আটকের অনুরোধ মেয়ের

আদালতের বিচারকাজে বাধা দেওয়ায় আইনজীবীর দণ্ড, ক্ষমা চেয়ে পার

আ. লীগের ক্লিন ইমেজের ব্যক্তিদের বিএনপির সদস্য হতে বাধা নেই: রিজভী

১৫ স্থাপনায় পাকিস্তানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, আকাশেই ধ্বংসের দাবি ভারতের

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত